Ajker Patrika

কমিশনে ১৬০০ গুমের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৩২
Thumbnail image
তদন্ত ও কাজের অগ্রগতি জানাল গুম কমিশন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গুম সংক্রান্ত কমিশনে ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে ৪০০টির মতো গুমের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে কমিশন। এর মধ্যে র‍্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২টি, ৩৭টি সিটিসি, ডিবি ৫৫টি, ডিজিএফআই ২৬টি, পুলিশ ২৫টি এবং অন্যান্যভাবে গুমের ঘটনা ৬৮টি। এসব ঘটনা তদন্তে গিয়ে এসব বাহিনীর আটটি গোপন বন্দিশালা পেয়েছে কমিশন, যেখানে বছরের পর বছর গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

কমিশন জানিয়েছে, এসব গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত সদস্যকে ডাকা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

কমিশন অভিযোগ করে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যাঁরা আলামত নষ্ট করছেন, তাঁদের সতর্ক করেছে কমিশন। যাঁরা আালমত ধ্বংস করছেন, তাঁরা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।

গত ২৭ আগস্ট ওই গুম সংক্রান্ত কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল কমিশনে। গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত গুমের অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত