নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম উইংয়ের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, মেট্রোপলিটনে ইউনিফর্ম পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ দ্রুতই নতুন পোশাকে রূপান্তরিত হবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের পোশাকই ব্যবহার করবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগের পর পুলিশ সংস্কারের দাবি ওঠে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন দেয়। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরাও এই নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে দেশের সব মহানগর পুলিশে নতুন পোশাক চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব সদস্যই নতুন ইউনিফর্ম পাবেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য তিন ধরনের নতুন পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
তাঁর মতে, পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার বদলও আসবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুলিশে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের কাজও চলছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
২০ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
২০ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
২০ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের জমির লিজ বাবদ ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় হয়েছে। তবে বকেয়া রয়ে গেছে আরও ৭৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৭ টাকা। অন্যদিকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮০ টাকা এবং পৌরকর বাবদ রেলের বড় অঙ্কের দেনা রয়েছে।
রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ২১ একর। এর মধ্যে বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৪,৪১১ একর। রেল পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০ হাজার ২৮৬ একর, অবৈধ দখলে আছে ৬ হাজার ৭৫৪ এবং অব্যবহৃত রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৪ একর জমি।
বেহাত ও অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয়, সার্টিফিকেট মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা, নীলফামারী ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকদের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ লিজ ও লাইসেন্স ফি বকেয়া পড়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে, ভূসম্পত্তি বিভাগের তদারকি দুর্বল।
বর্তমানে রেলের ভূমি বিভাগে গড়ে মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি উন্নয়ন কর দাবির সময় জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর ও জমির শ্রেণি উল্লেখ না থাকায় কর নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মকর্তার অবস্থান ও নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
সভায় রেলের ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মাসে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন রেল মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। দখলমুক্ত করা জমি প্রকৌশল বিভাগের সহায়তায় দখলে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় রেলের ভূমির বকেয়া থাকা লিজ ও লাইসেন্স ফি দ্রুত আদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপযোগী হলেও যেসব জমি এখনো লিজ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত লিজ দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের গত ৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিজ ও লাইসেন্স ফি আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
রেলওয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে এবং কোনো অসংগতি ধরা পড়লে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২০ হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ জন্য অনেক সভা হয়েছে, যেখানে ইজারা বাড়ানো ও আয় বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংশোধিত নীতিমালা এখনো অনুমোদিত হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের জমি লিজের বকেয়া আদায় করতে না পারা রেলওয়ের দীর্ঘদিনের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থারই ফল। লিজের অর্থ নিয়মমতো আদায়ে নেই কার্যকর তদারকি। আবার বিপুল জমি বেদখলে। এসব কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, রেলের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। রেলের জমি ব্যবস্থাপনা এখনো পুরোনো কাগজনির্ভর ও বিশৃঙ্খল। জমির সঠিক নথি, হালনাগাদ তথ্য ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক ডিজিটাল ডেটাবেইস গড়া জরুরি। বেদখল জমি উদ্ধার ও স্বচ্ছ লিজ ব্যবস্থাপনা চালু করতে পারলে রেলওয়ে রাজস্ব দিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধভাবে লিজ দেওয়া জমির টাকা তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। লিজের বকেয়া কিছু উঠেছে, কিছু ওঠেনি। আইনি ব্যবস্থা হিসেবে বকেয়া শোধ না করলে একপর্যায়ে উচ্ছেদ করা হয়। আর ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া রেল মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
রেলের জমি লিজ বাবদ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। একাধিক নোটিশ ও সতর্কবার্তা পাঠানো সত্ত্বেও অধিকাংশ লিজগ্রহীতা বকেয়া অর্থ পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে রেলের রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া ভূমি লিজ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের জমির লিজ বাবদ ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় হয়েছে। তবে বকেয়া রয়ে গেছে আরও ৭৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৭ টাকা। অন্যদিকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ৩৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮০ টাকা এবং পৌরকর বাবদ রেলের বড় অঙ্কের দেনা রয়েছে।
রেলের ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৬০ হাজার ২১ একর। এর মধ্যে বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে ১৪,৪১১ একর। রেল পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০ হাজার ২৮৬ একর, অবৈধ দখলে আছে ৬ হাজার ৭৫৪ এবং অব্যবহৃত রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৪ একর জমি।
বেহাত ও অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। বলা হয়, সার্টিফিকেট মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা, নীলফামারী ও বগুড়ার জেলা প্রশাসকদের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ লিজ ও লাইসেন্স ফি বকেয়া পড়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করে, ভূসম্পত্তি বিভাগের তদারকি দুর্বল।
বর্তমানে রেলের ভূমি বিভাগে গড়ে মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ জনবল নিয়ে কাজ চলছে। জনবল সংকটের কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। ভূমি উন্নয়ন কর দাবির সময় জেলা প্রশাসকদের পাঠানো চিঠিতে মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর ও জমির শ্রেণি উল্লেখ না থাকায় কর নির্ধারণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মকর্তার অবস্থান ও নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।
সভায় রেলের ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মাসে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন রেল মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। দখলমুক্ত করা জমি প্রকৌশল বিভাগের সহায়তায় দখলে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় রেলের ভূমির বকেয়া থাকা লিজ ও লাইসেন্স ফি দ্রুত আদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপযোগী হলেও যেসব জমি এখনো লিজ দেওয়া হয়নি, তা নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত লিজ দিতে হবে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের গত ৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিজ ও লাইসেন্স ফি আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
রেলওয়ের হিসাব বিভাগ থেকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে এবং কোনো অসংগতি ধরা পড়লে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২০ হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ জন্য অনেক সভা হয়েছে, যেখানে ইজারা বাড়ানো ও আয় বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংশোধিত নীতিমালা এখনো অনুমোদিত হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের জমি লিজের বকেয়া আদায় করতে না পারা রেলওয়ের দীর্ঘদিনের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থারই ফল। লিজের অর্থ নিয়মমতো আদায়ে নেই কার্যকর তদারকি। আবার বিপুল জমি বেদখলে। এসব কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, রেলের উন্নয়ন হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। রেলের জমি ব্যবস্থাপনা এখনো পুরোনো কাগজনির্ভর ও বিশৃঙ্খল। জমির সঠিক নথি, হালনাগাদ তথ্য ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক ডিজিটাল ডেটাবেইস গড়া জরুরি। বেদখল জমি উদ্ধার ও স্বচ্ছ লিজ ব্যবস্থাপনা চালু করতে পারলে রেলওয়ে রাজস্ব দিয়ে আত্মনির্ভর হতে পারবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধভাবে লিজ দেওয়া জমির টাকা তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। লিজের বকেয়া কিছু উঠেছে, কিছু ওঠেনি। আইনি ব্যবস্থা হিসেবে বকেয়া শোধ না করলে একপর্যায়ে উচ্ছেদ করা হয়। আর ভূসম্পত্তি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া রেল মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম বা পোশাক মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আজ শনিবার থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা ‘লোহিত রঙের’ নতুন পোশাক পরেছেন। তবে জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ সদস্যরা এখনো নতুন ইউনিফর্ম পাননি; ধাপে ধাপে তাঁদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে
২০ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
৪৪ মিনিট আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
১ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগে