অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৩ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৪৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে