অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, তা সব দল মানবে না। তা নিয়ে দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মতামতের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করব। আমাদের বিবেচনার দিক হচ্ছে, এটাকে বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে যেন সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। সরকার যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারে, সে তাগাদা দেওয়া হবে। কারণ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করতে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি। এমন অবস্থায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। যেখানে জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষ আদেশ জারি এবং এর বৈধতা নিতে গণভোট আয়োজনের কথা থাকবে। এ ছাড়া থাকতে পারে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দিয়ে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে
জমা দেবে কমিশন। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আদেশ জারি নিয়ে কারসাজি ঠেকাতেই তারা পূর্ণাঙ্গ ড্রাফট সরকারকে দেবে।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি না, এ প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করে। বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট না পাওয়ায় সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে রাজি করাতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত রোববারও কমিশনের সঙ্গে এনসিপির তিন নেতার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে মনে করে কমিশন।
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, তা সব দল মানবে না। তা নিয়ে দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মতামতের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করব। আমাদের বিবেচনার দিক হচ্ছে, এটাকে বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে যেন সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। সরকার যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারে, সে তাগাদা দেওয়া হবে। কারণ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করতে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি। এমন অবস্থায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। যেখানে জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষ আদেশ জারি এবং এর বৈধতা নিতে গণভোট আয়োজনের কথা থাকবে। এ ছাড়া থাকতে পারে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দিয়ে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে
জমা দেবে কমিশন। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আদেশ জারি নিয়ে কারসাজি ঠেকাতেই তারা পূর্ণাঙ্গ ড্রাফট সরকারকে দেবে।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি না, এ প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করে। বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট না পাওয়ায় সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে রাজি করাতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত রোববারও কমিশনের সঙ্গে এনসিপির তিন নেতার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে মনে করে কমিশন।
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
২২ মিনিট আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাগুলো হলো সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব সংগঠন দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক রোহিঙ্গা নিয়ে নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠন ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
গত রোববার এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, আইনি সংস্কার, গুম এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসংশা করা হয়েছে।
চিঠিতে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে এবং এর আগের ১৫ বছরে যেসব গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতে করে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ অন্যতম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বাক্স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের আগস্টের আগে হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো পর্যালোচনা ও বাতিলের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাগুলো হলো সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব সংগঠন দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক রোহিঙ্গা নিয়ে নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠন ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
গত রোববার এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, আইনি সংস্কার, গুম এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসংশা করা হয়েছে।
চিঠিতে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে এবং এর আগের ১৫ বছরে যেসব গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতে করে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ অন্যতম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বাক্স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের আগস্টের আগে হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো পর্যালোচনা ও বাতিলের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।
প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
৪ ঘণ্টা আগে