ফারুক মেহেদী, ঢাকা

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীর ও মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
প্রস্তাবিত আদেশের প্রারম্ভিক ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল ভিত্তি হলো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সফল গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।
৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর সংবিধান সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো সম্মিলিতভাবে ওই সনদে স্বাক্ষর করে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সর্বোচ্চ অনুমোদন প্রয়োজন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে: সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণভোট অনুষ্ঠান অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন ও উক্ত পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করা অত্যাবশ্যক।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সেই কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে।
প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ - এ যা বলা হয়েছে:

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরে বেলা ২টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেখানে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সুপারিশের তিনটি ভাগ আছে। অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। সংবিধান-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে দুটো বিকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে—সরকার যেন অবিলম্বে একটি আদেশ জারি করে। এ আদেশের বিষয় হবে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ। আদেশের অধীনে একটি গণভোট হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা ২৭০ দিন এমন দায়িত্ব পালন করবে।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২৯ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আনসারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে তিনজন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। তা ছাড়া এবারই প্রথম প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনী দেশের নিরাপত্তা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের জীবন ও স্বার্থের পরোয়া না করে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে। তাই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কর্মজীবনের মানোন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারের অংশ। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩১টি যানবাহন কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনিবাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।’
দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যদের ছুটি, বিনোদন ভ্রমণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রায়ই নানা ধরনের যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আজকের এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এ সময় ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসটি সর্বোচ্চ পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সব সদস্যের জন্য নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ রকম উদ্ধার হতেই থাকবে এবং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, অস্ত্র উদ্ধার আরও বাড়তে থাকবে এবং একসময় দেখবেন যে বাইরে আর কোনো অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ককটেল বিস্ফোরণের পর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশের এক চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী নির্বাচন ভবনের সামনের ভাস্কর্যের সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় ভবনটির নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন ভবনের চারপাশে অফিস সময়ের পর ও ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকায় নিরাপত্তা হুমকি আরও বাড়ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবনের আশপাশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা এবং নির্বাচন ভবনের সামনে ও আশপাশে পুলিশের টহল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই সুপারিশ হস্তান্তর করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে বেশি নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে