শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’
সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।
ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।
সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।
এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’
সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।
ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।
সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।
এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’
সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।
ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।
সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।
এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে। কারণ, ইতিমধ্যে সুদসহ ভর্তুকির বকেয়া অর্থ দাবি করছে ঠিকাদারেরা। ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়াতে তাই দেনদরবার করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় আমরা কৃষিতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, সরকার যথাযথ পর্যালোচনা করেই বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখবে।’
সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য চলতি অর্থবছরের সমান বরাদ্দ দিতে চাইলেও ‘প্রয়োজনে’ তা কিছুটা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ দেওয়া ১৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার চাহিদা পাওয়া গেছে। অর্থবছর শেষে এই ভর্তুকির পরিমাণ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যার পুরোটা এখনো পরিশোধ হয়নি।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি। গত অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির ২৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা সুদসহ দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এই খাতে এখন পর্যন্ত কত টাকা বকেয়া আছে, তা জানায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সুদসহ বকেয়া পরিশোধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সুদসহ বকেয়া শোধ না করলে তারা আগামীতে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে না বলে জানিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধন করে তা সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার মধ্যে আনবে সরকার। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মতোই হবে বলে আভাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। এ বিষয়ে কৃষিসচিব অর্থসচিবের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান।
ভর্তুকির খরচ কেন বাড়ছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা এবং উপকরণ উইংয়ের তথ্যানুযায়ী, সারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নতুন অর্থবছরে সারের চাহিদা কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ডলারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাফে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। করোনার ধকল কাটলেও রাশিয়া-ইউক্রেন অব্যাহত যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সার আমদানির খরচ খুব একটা কমেনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। কারণ কৃষির ভর্তুকির বড় অংশ ব্যয় হয় সার কেনায়। এর বাইরে কৃষির আধুনিকায়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, কৃষি পুনর্বাসন ও গবেষণা এবং ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রণোদনায় ভর্তুকির টাকা খরচ করা হয়।
সূত্র জানায়, কৃষিতে ভর্তুকির টাকা বকেয়া পড়ায় অর্থ বিভাগ বন্ড ইস্যু করে ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে। কিন্তু বন্ড থেকে আশানুরূপ অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায় বকেয়ার পুরোটা পরিশোধ করা যায়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে ভর্তুকির বকেয়ার ২৪ হাজার কোটি টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শোধ করেছে।
এসব বিষয়ে কৃষিসচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘কৃষির পরিসংখ্যানে ঘাটতি আছে, কৃষি উৎপাদনের পরিসংখ্যান যথার্থ নয়। সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করতে একটি অ্যাপ বানানো হবে। সেই অ্যাপে জমির ধরন অনুযায়ী কোন ঋতুতে কোন ফসল হবে, কোন বীজ কতটুকু লাগবে, সার ও কীটনাশক কী পরিমাণ লাগবে—তা জানতে পারবেন কৃষক। আবহাওয়া অনুযায়ী কোথায় কোন ধরনের ফসলের চাষ হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কৃষিসচিব আরও জানান, ২৫ বছর মেয়াদি একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের মানুষের জন্য কতটুকু এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য কতটুকু খাদ্যশস্য দরকার তার একটি ধারণা থাকবে। সরকার সেই তথ্যানুযায়ী উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করবে, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৫ মিনিট আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিতে ভর্তুকি দিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে আগামী বাজেটের আকার বাড়বে না জানিয়ে এ বাবদ চলতি অর্থবছরের সমান ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিতে বরাদ্দ না বাড়ালে তারা বিপাকে পড়বে।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৫ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে