শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা। সংবিধান ও আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এসব কমিশনে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের নিয়োগের সুযোগ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছেন আমলারা। এত দিন এসব নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বদলে আমলাদের জেলার দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা আমলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, কমিশনগুলোতে আমলানির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে যাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, কমিশনগুলোতে শুধু আমলা নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করা উচিত। এতে ভালো ফল হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য না করলেও অনেক সাংসদ তা ভালোভাবে নেননি। গত ২৮ জুন জাতীয় সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এতে মানুষ মনে করে আমরা যা দিই, এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই দেন।’ তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চগুলো আস্তে আস্তে ব্যবসায়ীরা দখল করছেন। দেশ চালাচ্ছেন আমলারা। আমরা রাজনীতিবিদেরা এখন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’ তবে তাঁদের এই বক্তব্যে ভিন্নমত পোষণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জেলা পর্যায়ে সচিবদের দায়িত্ব দেওয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করেন।
রাজনৈতিকে নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সরকারের দপ্তরগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই আধিপত্য। যেসব কমিশন ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যদেরও নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানেও আধিপত্য রয়েছে সাবেক আমলাদের। এসব কমিশনে ও সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের নিয়োগের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য তো পিএসসি না। সেখান থেকে আরও অনেক ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে পিএসসিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক থাকা উচিত।
সরকারি কর্মকমিশন বা পিএসসিতে বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য আছেন। কমিশনের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সচিব, তিনজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এক সাবেক কর্মকর্তা, একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন শিক্ষক, একজন চিকিৎসক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সরকারি প্রকৌশলী সদস্যের দায়িত্বে আছেন। সাবেক সচিব মো. সোহরাব হোসাইন পিএসসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা, আবদুল মান্নান, এস এম গোলাম ফারুক এবং ও এন সিদ্দিকা খানম। সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুল হক, নূরজাহান বেগম, কাজী সালাহ্উদ্দিন আকবর পিএসসির সদস্য।
এর বাইরে পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা এম শামীম আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বিনয় কৃষ্ণ বালা, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা পিএসসির সদস্যের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরজাহান বেগম, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই সাবেক আমলা। অর্থাৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ৬০ শতাংশ পদেই আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধান অনুসারে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। যাঁরা ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরি করেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে কমিশনের অর্ধেক সদস্য (অর্ধেকের কম না) নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পিএসসির গত কয়েকটি কমিশন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিশনে দিনদিন আমলাদের সংখ্যা বাড়ছে।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তবে কারা ওই পদে নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্য সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য সংলাপের আয়োজন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। সংবিধান ও আইনে কিছু বলা না থাকলেও এরপর থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করে সরকার।
সাবেক একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনে যাঁদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হয়েছিল, তাঁরাও কিন্তু ভালো সুপারিশ দিতে পারেননি। কারণ বর্তমান কমিশন নিয়ে বিতর্ক আছে।
তথ্য কমিশনের তিনজন কমিশনারের সব পদেই বর্তমানে সাবেক সচিবদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাবেক সচিব মরতুজা আহমদ প্রধান তথ্য কমিশনার এবং সাবেক সচিব সুরাইয়া বেগম ও আবদুল মালেক তথ্য কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগে একটি বাছাই কমিটি করতে হয়। আইন, বিচার, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা বা জনপ্রশাসনে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অধিকারী ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া যায়। সরকারের সাবেক আমলাদের বাইরে অন্যরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছেন কম।
সাবেক সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব নাছিমা বেগম। সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নমিতা হালদার মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। সাবেক সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে আছেন।
কমিশনগুলো ছাড়াও সরকারি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের শীর্ষ পদেও এখন সাবেক আমলাদের প্রাধান্য। সাবেক সচিব ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব এন এ এম ছিদ্দিক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
এভাবে সরকারি দপ্তরে সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দেওয়াকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো একধরনের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে রূপান্তিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় এমন লোক নিয়োগ পাচ্ছেন, প্রতিষ্ঠানের যে মৌলিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তার সঙ্গে তাঁদের কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা বা সংশ্লিষ্টতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েও তাঁরা এ রকম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছেন। একপর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। সাবেক সচিবরা অভিজ্ঞ, তাঁরা অবসরে যাওয়ার পরও ভালোমতো কাজ করতে পারেন। তাঁরা ছাড়া সিভিল সোসাইটিতে হয়তো সে রকম ব্যক্তি উঠে আসছেন না। সে কারণেই আমলারা প্রাধান্য পাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৭ সালের পর যত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেখানে কমিশনারদের নিয়োগে সার্চ কমিটির বিধান রাখা হয়েছিল। শুধু পিএসসির সদস্য হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যাবে তা সংবিধানে তা বলা নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত বিধি থাকলে এই সমস্যা হতো না। অথচ সরকার চাইলেই এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো লোককে নিয়োগ দিতে পারে। একটি কমিশনে সব পেশার মানুষ থাকলে ভারসাম্য থাকে, নিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়টিই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৫ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৫ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৫ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১২ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), নির্বাচন কমিশন, তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলোর বেশির ভাগ পদেই আছেন সাবেক আমলা।
০৫ জুলাই ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৫ ঘণ্টা আগে