Ajker Patrika

আমরা জঙ্গি কার্ড খেলব: জুলাই আন্দোলনে হাসিনা–ইনুর ফোনালাপ শুনলেন ট্রাইব্যুনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনু। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনু। ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আন্দোলনকারীদের নিয়ে জঙ্গি কার্ড খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ওই সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি স্কুলে দিতে বলছি যে, তোমরা ছাত্ররা সব ঘরে ফেরো। গার্ডিয়ানদেরকে বলছি, এখানে কিন্তু জঙ্গি হামলা হয়েছে। এটা আমাকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বলেছে। এটা জঙ্গি হামলা দিয়ে দিব পত্রিকায়।’

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের অডিওতে এসব কথা বলতে শোনা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তানভীর হাসান জোহা সাক্ষ্য দেওয়ার পর ওই অডিও ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জোহা। তিনি এ মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর।

জবানবন্দির শেষ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালকে পাঁচটি অডিও দেন জোহা। এর মধ্যে চারটি শোনানো হয়; যেখানে দুটি অডিও শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর। আর অন্য দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি এ এস এম মাকসুদ কামাল ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথোপকথনের।

ট্রাইব্যুনালের আজকের এই বিচারিক কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো–

হাসানুল হক ইনু: হ্যালো জি স্লামালাইকুম। আমি ইনু বলছিলাম। হ্যালো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ বলেন।

হাসানুল হক ইনু: জি, না আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী একটু উদ্বেগের ভিতরে ছিলাম। তো আমি মনে করি যে সিদ্ধান্তটা খুব সঠিক হয়েছে আরকি। তো আমি যেটা বলতে চাচ্ছিলাম যে কারফিউটা একটু কঠোর কারফিউ আরকি। তবে সারা ঢাকা শহরে যদি মাইক নামায়ে দিত, প্রশাসন থেকে কারফিউতে কি করা উচিত না...তাহলে একটু সুবিধা হতো মনে হয়।

শেখ হাসিনা: আমি হোম মিনিস্টারকে বলছি এখনি, সব জায়গায় মাইকিং করার জন্য...চারজন আহত...জেলায় জেলায় ডিসি অফিস...

হাসানুল হক ইনু: হ্যাঁ, ওইগুলা সব পেয়েছি আমি, ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আওয়ামী লীগের বাড়ি, আওয়ামী লীগ অফিস, এইগুলার প্রত্যেকের লিস্ট আমি পেয়েছি...

শেখ হাসিনা: আমি এখন ঢাকায় আসব।

হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা তো এখন আমার কথা হচ্ছে যে কারফিউটা মানে এমন হবে যে, ঘর থেকে বের হলেই অ্যারেস্ট করবে, গুলি হবে না। সেটা আপনার আমার ভিতরে, গুলি নাই। কিন্তু সেনাবাহিনীর ভাবটা এমন হবে, কঠোর মানে কঠোর একেবারে। তো সেই জন্য...

শেখ হাসিনা: আজকে আমি, সত্যি কথা বলতে কি, বলি আপনাকে। আমি...কমিটি আছে তো...মিটিং করছিলাম, করার আগেই আমি দিছি...তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে বসছিলাম...

হাসানুল হক ইনু: ওটা দেখছি

শেখ হাসিনা: বললাম যে সিচুয়েশনটা একটু ভালো হচ্ছে। তাহলে আস্তে আস্তে আর্মি যেসব জেলা শান্ত আছে, ওইখান থেকে উঠায় ফেলো। আর এইখানে আস্তে আস্তে গ্র্যাজুয়ালি তুলে ফেলো। এই ডিসিশনটা দিয়ে দিছি।

হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা।

শেখ হাসিনা: মানুষ একটু ইয়ে থাকুক। ওমা, ওইখানে বসা অবস্থায় শুনলাম যে, শুরু হয়ে গেছে।

হাসানুল হক ইনু: ওতো টার্গেটেড। উপজেলা লেভেলেরও ইউএনও অফিস ভাঙচুর করছে...

শেখ হাসিনা: ...পরিণাম শুনলাম তখন আমি বললাম যে ঠিক আছে...তোমরা বলো কী করবা...কারফিউটা আগায় দিচ্ছে আরকি, পয়েন্টগুলো যেগুলো ওদের কতগুলো জায়গা ওরা সিলেক্ট করছে, যেখানে হামলা করবে...তার প্রটেকশন দিবে। আর...র‍্যাব-পুলিশ টহল দিবে আর সেনাবাহিনীর অবশিষ্টর মধ্যে...যেখানে যেখানে প্রয়োজন হয়, তোমরা টহল দিবা। যেটা বলছ ওইটা ঠিক...ওই প্রেশারটা থাকতে হবে।

হাসানুল হক ইনু: প্রেশারটা থাকতে হবে, মানে প্রেশারটা থাকতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, যেটা কালকে আলাপ করছিলাম যে আপনার পার্টি নেটওয়ার্কে আমাদের পার্টি নেটওয়ার্কে...রেডি করা যে কারফিউ উঠে গেলে এক লাখ লোক ঢাকা দখল করব আমরা। বসব।

শেখ হাসিনা:... ওরা জেলায় আসবে, আমাদেরও জেলা থেকে লোক আসতে চাচ্ছে...বলছি ঠিক আছে আসেন।

হাসানুল হক ইনু: হ্যাঁ এটা আনা দরকার আমি মনে করি, এটা কারেক্ট।

শেখ হাসিনা: না, আসুক...

হাসানুল হক ইনু: আমি কালকে বলছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে শহীদ মিনার, শাহবাগ চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে, প্রেসক্লাবের সামনে, পল্টনে...

শেখ হাসিনা:...আমাদের নিয়ে নিতে হবে

হাসানুল হক ইনু: এটা আমরা নিব, আমরা বসব এইখানে এবং কারফিউ যেদিন রিলাক্স হবে, সেদিনই মিছিলের নগরী হয়ে যাবে একেবারে এবং কিছুই না, শান্তি চাই, শান্তি চাই, ছাত্ররা বাড়ি যাও, ফেরত যাও, ফেরত যাও, সন্ত্রাস দমন করো...

শেখ হাসিনা: আচ্ছা আমি এটা স্কুলে দিতে বলছি যে তোমরা ছাত্ররা সব ঘরে ফেরো। গার্ডিয়ানদেরকে বলছি, এইখানে কিন্তু জঙ্গি হামলা হইছে।

হাসানুল হক ইনু: হ্যাঁ, রাইট রাইট।

শেখ হাসিনা: না, এইটা আমাকে...বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ইয়ে পাইছি। তারা এইটাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে কনসিডার মানে বলতেছে।

হাসানুল হক ইনু: হ্যাঁ, জাঙ্গি হামলাই হইছে...এই কার্ডটা খেলব আমরা এখন।

শেখ হাসিনা: না কার্ড খেলা না, এটা আমি আগে করি নাই, কিন্তু আমাকে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে মেসেজটা দিছে যে এটা জঙ্গি হামলা...

হাসানুল হক ইনু: জঙ্গি সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছে এখন সরকার।

শেখ হাসিনা: ...তারা আমাকে এইটাই বলছে যে এইটা জঙ্গি হামলা...দিয়ে দিব পেপারে।

হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা, এইটা একটা ব্যাপার, আরেকটা হচ্ছে যে, দুইটা ভাগ, একটা হচ্ছে ছাত্রদের কোটা আন্দোলনকারী, একটা হচ্ছে উৎখাতকারী। উৎখাতকারীরা জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলায় চলে গিয়েছে। কোটা সংস্কারকারীর ব্যাপারে আপনার আমার সরকারের যা যা আছি, সমবেদনা আছে। উৎখাতকারীকে আমি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কোনো ছাত্র যদি উৎখাতকারীর সঙ্গে জড়িত হয়, সেই দায়িত্ব আমি নিব না।

শেখ হাসিনা: ...এটা আপনারা বলেন, এটা আপনারা বলেন না কেন?

হাসানুল হক ইনু: আমি তো বলব...

শেখ হাসিনা: আরে আমি তো শো, আপনারা বললে তখন মনে করবে যে অন্যান্য অ্যাঙ্গেল থেকে বলা হইছে।

হাসানুল হক ইনু: আমি তো অবশ্যই বলব...

শেখ হাসিনা: বাকি দেখতেছি না, কমিউনিস্ট পার্টি তারা এখন শেষ হয়ে গেছে...

হাসানুল হক ইনু: তো দেখি আমি ওদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি।

শেখ হাসিনা:...কি জানি উনার নাম? সাইফুল হক নাকি?

হাসানুল হক ইনু: সাইফুল সাইফুল। জোনায়েদ সাকি। জোনায়েদ সাকি, সাইফুল হক। আচ্ছা আমি জোনায়েদ সাকি, সাইফুল হকের সঙ্গে একটু লিয়াজোঁ করি।

শেখ হাসিনা: তোমরা কোথায় নিচ্ছ দেশটাকে? ওদের মধ্যে যে সমর্থন দিচ্ছ তা এখন দেখো পুরা জঙ্গি হামলা হচ্ছে।

হাসানুল হক ইনু: আরেকটা পয়েন্ট কি খেয়াল করছেন আপনি যে, আনু মুহাম্মদরা সরি শিক্ষকেরা যারা সমর্থন দিছে, তারা একটা অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা করার চেষ্টা করছে। যেখানে বলতে চাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে হেন-তেন নিয়ে হবে, ছায়া সরকার করবে এবং সংবিধান বাতিল করার জন্য একটা সংবিধান সভা করতে হবে। মানে সংবিধানই বাতিল করে দিবে...হ্যাঁ সংবিধান বাতিল চায়। আমি...ভাইকে একটু আগে বলছি যে, মাইনুল ভাই এটা খুবই অ্যালার্মিং কথা, যেখানে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি আর ম্যুরাল ভেঙে ফেলতেছে। তার মানে আমার পয়েন্টটা নিতে হবে যে, এদের অ্যাটাকটা হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের বেসিক অর্জনের ওপরে। সুতরাং তারা তো খালি সরকার বদল চাচ্ছে না, মানে কোটা আন্দোলন করে কোটা চায়নি, তারা সরকার উৎখাত করতে চাইছে। আর এক দফা আন্দোলনের মানে তারা হচ্ছে সরকারের মানে রাষ্ট্রের বেসিক সংবিধান উড়ায় দিচ্ছে চাচ্ছে। তার মানে এই জায়গায় পলিটিকসটা অ্যাটাক করতে হবে আমাকে, দাঁড় করাইতে হবে এখন।

শেখ হাসিনা: ওই যে সেভেনটি ফাইভের পর করছিল...

হাসানুল হক ইনু: এক্সাক্টলি। তো এখন আপনি কি এডজাস্ট করবেন এইটা ছোটখাটো পাঁচ-দশ মিনিটের...আরও দুই দিন এক দিন পরে?

শেখ হাসিনা: আজকের দিনটা যাক দেখি।

হাসানুল হক ইনু: আজকের দিনটা যাক, আমি প্ল্যানগুলা সাজাই, আপনাকে আমি আমার বিবেচনা যেগুলা আছে দিব আপনাকে। আর আমি বলি যে কারফিউটা বডি ল্যাঙ্গুয়েজে অনেক কঠোর হবে যে, ঘর থেকে বের হলেই অ্যারেস্ট। গুলি না, মানে অ্যারেস্ট করে ভেসে আসবে মানে টেলিভিশনে যে শান্তিনিকেতন থেকে ৩০ জন অ্যারেস্ট হইছে, জেলে পাঠানো হইছে, কিন্তু জেলে পাঠাব না, থানায় রাখব, ১০ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দিবেন আরকি। বুঝলেন না?

শেখ হাসিনা: বেশ, আচ্ছা।

হাসানুল হক ইনু: গরিব মানুষই তো। কিন্তু প্রোপাগান্ডা হবে ঘর থেকে বেরোলেই, মানে গুলি হবে, গুলি শব্দ বলব না, আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে কঠোর। কেউ ঘরের বাইরে বেরোবে না। মানে রিল্যাক্স কারফিউ না আরকি। আপনার অফিসের মানে বাসার চারপাশে একটু মানে এই মানিক মিয়া এভিনিউর এখান থেকে প্রোডাকশন বাড়ান।

শেখ হাসিনা: গণভবন, বঙ্গভবন সব আক্রমণ করবে...

হাসানুল হক ইনু: তা ঠিক আছে, আল্লাহ ভরসা। আমার কথা হচ্ছে যে, আমাদের পরে যে জনতার ঢাকা এটা প্রমাণ করার জন্য হোমওয়ার্কটাই আজকের ২৪ ঘণ্টায় করে ফেলতে হবে। এগুলো ওয়ার্ডে থেকে দুই হাজার লোক রেডি করতে হবে। এভরি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দুই হাজার রেডি করতে হবে এবং জেলাগুলোতেও। আমি আমার যত নেটওয়ার্ক আছে, বলছি। কারফিউ উঠবে সঙ্গে সঙ্গে মিছিল বের হবে কুষ্টিয়া শহরে তিন হাজার লোকের পাঁচ হাজার লোকের, রংপুর শহরে, ময়মনসিংহ শহরে। মানে শান্তি চাই, সংঘাত চাই না। ছাত্ররা ঘরে ফেরত যাও। এই মিছিল দখল করে নিতে হবে।

শেখ হাসিনা: ঠিক আছে, আপনারা আগে বলেন যে, ছাত্ররা পরে যাও।

হাসানুল হক ইনু: আমিও বলতেছি, আমি অবশ্যই বলবে। কিন্তু আপনার পার্টিটাকে একটু চাঙা করেন।

শেখ হাসিনা: আমি স্ক্রলে দিয়ে দিছি দেখেন এখন চলে আসছে।

হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা ঠিক আছে। ওকে, ঠিক আছে।

আরও এক কথোপকথন–

হাসানুল হক ইনু: হ্যালো জি জি স্লামালাইকুম।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ ওয়ালাইকুমস্লাম, কী হইছে?

হাসানুল হক ইনু: ইনু বলছিলাম...না একটা কথা..আমি মনে করি যে আপনার পদক্ষেপটা সঠিকই হয়েছে, এখন পর্যন্ত যা রিপোর্ট বাংলাদেশে পাচ্ছি আরকি। খালি ঢাকাতে আপনার রামপুরার দিকে এবং...

শেখ হাসিনা: না রামপুরা ক্লিয়ার, শনির আখড়ায় একটু ঝামেলা এখন আছে...

হাসানুল হক ইনু: শনির আখড়ায় কিছু মোল্লারাই...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ জানি, না, খালি মোল্লা না ওইখানে অনেক মাদ্রাসা।

হাসানুল হক ইনু: মাদ্রাসা আছে ওই...

শেখ হাসিনা: ...ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে...মাইকিং করতে হচ্ছে আরকি...নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না, আর্মিকে আমরা...নামাচ্ছি।

হাসানুল হক ইনু: ও আচ্ছা...

শেখ হাসিনা: না, আমি বলছি ক্যাজুয়ালটির দরকার নাই, ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে, আকাশ থেকে নামবে, তখন দুই পাশ দিয়ে ধরবে...মেসেজটা দিয়ে দিতে পারেন যে...সেনা পাঠানো হচ্ছে...আর হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বম্বিং করা হবে...র‍্যাব এর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।

হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা ওপর দিয়ে সাউন্ড বোম যাবে আরকি, ঠিক আছে...আমি একটা পয়েন্ট আপনাকে একটু নজরে আনার জন্য রিকোয়েস্ট করতেছি যে, কারফিউ ধরেন দুই-পাঁচ দিন যা চল্লো, চল্লো। কিন্তু কারফিউয়ের পরে যাতে আর মিছিল না নামতে পারে, সেই জন্য একটা হোমওয়ার্ক করতে। করা দরকার যে রকম আমি উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, যাত্রাবাড়ীতে যারা মিছিল লিড করছে, সেইগুলা চিহ্নিত। আর ছাত্রদল, বিএনপির ছেলেমেয়ে, শিবিরের...মানে ধরেন রিজভীকে অ্যারেস্ট করা বা রুহুলকে অ্যারেস্ট করা ইম্পর্টেন্ট না, ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে ওইখানে গ্রাউন্ডে যে মিছিলটা লিড করেছে। আমার কুষ্টিয়া জেলাতে এসপি সেইভাবে অলরেডি তালিকা করে ফেলছে। ওখানে কোনো সংঘর্ষ হয়নি, একটা ছররা গুলি খালি একজনের পায়ে লাগছে, উনি ম্যানেজ করছেন। উনি অলরেডি কম্পিউটারে ছবি দেখে দেখে ছেলেগুলার তালিকা করতেছেন। তা আমি বললাম যে ছেলেগুলাকে আজকে রাত্রের ভিতরে পিকআপ করে নাও।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ শিউর।

হাসানুল হক ইনু: যাতে মিছিলটা লিড না করতে পারে। তা আমি ঢাকা শহরের জন্য বলছি যে আপনার গোয়েন্দারা নিশ্চয়ই তালিকা করতে পারবে যে উত্তরায় কারা।

শেখ হাসিনা: ...খালি গোয়েন্দারটা না, লোকাল লিডারদেরও করা উচিত।

হাসানুল হক ইনু: লোকাল লিডার ওইখানে এমপি খসরু আছে এবং হাসান হাবিব আছে। আমার কালকের যে রিপোর্ট হাসান হাবিব কিন্তু রাগ করে খসরুর ওপরে ছেড়ে দিছে যে এমপি সাহেব মোকাবিলা করুক...

শেখ হাসিনা: খসরু তো পারবে না, খসরু তো লোকাল না। হাসান তো লোকাল। ওদের তো লোকজন আছে।

হাসানুল হক ইনু: লোকাল না তো, হ্যাঁ রাইট। হাসান হাবিব নামেনি, আর এইখানে ওয়াকিলও সামলাইতে পারেনি। ও দুই লাইনে পা দিয়ে চলে। তো আমার কথা হচ্ছে যে, একটু লোকাল লিডারদের সাহায্যে তালিকাটা করে নিয়ে আজকের রাতের ভিতরে সব কাস্টডিতে নিতে পারেন। তাহলে কোন জায়গায় আর মোহাম্মদপুরে একটা পাঁয়তারা ছিল কালকে। আপনি রাত ১২টায় গিয়ে খুব ভালো করছেন। আজকে কিন্তু গণভবন ঘেরাও করত। মোহাম্মদপুরে ওইখান থেকে রেডি হচ্ছিল কালকে, মানে এইটা, সুতরাং...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, এইটা কয়েক দিন ধরে করতেছে।

হাসানুল হক ইনু: ডিসিশনটা খুবই কারেক্ট হইছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা: থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ...আমরা হলো রণক্ষেত্রের সাথী।

হাসানুল হক ইনু: রণক্ষেত্রের সাথী। তা আপনি একটু দয়া করে...এই পিকআপটা করতে বলেন...

শেখ হাসিনা: না, এইটা বলা আছে, বলতেছি, বলতেছি।

হাসানুল হক ইনু: ওইটা একটু হোমওয়ার্ক করতে বলেন, করে অ্যারেস্ট করে ফেলতে বলেন আজকে। মানে সবই অ্যারেস্ট করে ফেললে আর মিছিল করার লোক থাকবে না।

শেখ হাসিনা: লিসেন, দাঁড়ান, দাঁড়ান। অ্যারেস্ট করে...

হাসানুল হক ইনু: আরেকটা রিকোয়েস্ট আমার, ইন্টারনেট মনে হয় চালু করতে পারেন। এটা আমাদেরই কাজে লাগবে।

শেখ হাসিনা: কি যে চালু করব সব তো পোড়াই দিছে। ডাটা সেন্টারও পোড়ায় দিছে। ই পোড়ায় দিছে, এখন ওই নতুন তার কিনে জোড়া লাগাতে হবে।

হাসানুল হক ইনু: ...আমি যে কথাটা বলার চেষ্টা...আমি একাত্তরে রাত ৮টার সময় যাব একা কথা বলব। আমি বলব যে সরকারের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীর কোনো বিরোধ নেই। সরকারের সঙ্গে বিরোধ হচ্ছে নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াতের।

শেখ হাসিনা: না, ওইটা তো বলা হয়েছে। ওইটা আমি নিজেও বলছি...

হাসানুল হক ইনু:...এই জিনিসটা প্রোপাগান্ডায় আনতে হবে, যদি ইন্টারনেট থাকে, গণমাধ্যম দিয়ে আমরা পুরা নিউজে ফ্লাড করে দিলাম...

শেখ হাসিনা: ইন্টারনেট পাব কোথায়? ইন্টারনেট পোড়ায় দিছে। জীবনে...আমি তো আর আনব না, যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে... আমি দিছি ইন্টারনেট, ওরা পোড়াইতে থাকুক, ওইটা চলতে হবে...

হাসানুল হক ইনু: অন্য সরকার বাংলাদেশে আসবে না।

শেখ হাসিনা: আসুক, না আমি আর পারব না...যাচ্ছি এখন

হাসানুল হক ইনু: না না... যাওয়ার দরকার নাই।

শেখ হাসিনা: জামায়াত শায়েস্তা করে থুয়ে যেতে হবে। আপনার যেখানে যেখানে লোক আছে, তালিকাগুলি আপনারা করান, আমরাও করাচ্ছি।

হাসানুল হক ইনু:...আপনি এই...জামায়াত-শিবিরের মেরুদণ্ডটা আবার ভেঙে দেন ঢাকা শহরে।

শেখ হাসিনা: একেবারে...

হাসানুল হক ইনু:...এক্সপোজ হইছে আরকি, একটু দেখেন। আর বাদবাকি আমাকে যেটা বলবেন, আমি ইনশাআল্লাহ করব, কোনো অসুবিধা নেই।

শেখ হাসিনা: না ওই তালিকাগুলি একটু করায় ফালান...এই সুতায় যা পারেন, শিবির যে কয়টা আছে, যা আছে সব বের করেন...

হাসানুল হক ইনু: বুচ্ছি আমি বুচ্ছি।

শেখ হাসিনা: ঠিকাছে আচ্ছা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’: সৌদি আলেমদের আমন্ত্রণ, ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

আজকের রাশিফল: ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন, সিদ্ধান্ত ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি: আনসার মহাপরিচালক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার মহাপরিচালক। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার মহাপরিচালক। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি।

আনসার মহাপরিচালক ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্‌দীন অ্যাভিনিউয়ের সুপরিচিত ‘প্যালেট গ্যালারি’তে ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এই নবীন শিল্পীর প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মানবিক সংবেদন, প্রকৃতির সূক্ষ্ম সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। আফিফ আলভির শিল্পকর্মে সাহসী রঙের ব্যবহার, দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার মহাপরিচালক। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার মহাপরিচালক। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়ে জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে।

আনসার মহাপরিচালক এ সময় আনসার বাহিনীর ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার প্রতিভা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমান সুযোগ সৃষ্টিতেও প্রকল্পটি কার্যকর অবদান রাখছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাসরুর আরেফীন, প্রয়াস স্কুলের অধ্যক্ষ কর্নেল মো. আলতাফ আলী এবং বেক্সার সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

এই প্রদর্শনী শুধু আফিফ আলভির শিল্পযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নয়, বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল বিকাশে অনুপ্রেরণার নতুন দৃষ্টান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’: সৌদি আলেমদের আমন্ত্রণ, ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

আজকের রাশিফল: ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন, সিদ্ধান্ত ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ১ লাখ ৯৩ হাজার ছাড়াল, চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

বাসস, ঢাকা 
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৬
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ১ লাখ ৯৩ হাজার ছাড়াল, চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৯ এবং নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৫ জন।

দেশভিত্তিক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের প্রবাসী ভোটাররা শীর্ষে রয়েছেন; যেখানে ৩৮ হাজার ২৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ১৯ হাজার ২৭১ জন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে নিবন্ধনের সময়সীমা আরও বাড়িয়েছে। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে এই সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোটার নিবন্ধন করতে পারছেন।

নির্বাচন কমিশন পোস্টাল ব্যালট পেপার নির্বিঘ্নে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক ঠিকানা প্রদানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসি থেকে পাঠানো এক বার্তায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে:

নিবন্ধনের সময় আপনার অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিন। প্রয়োজনে কর্মস্থল অথবা পরিচিতজনের ঠিকানা ব্যবহার করুন।

নিবন্ধনের সময় ভুল ঠিকানা দিয়ে থাকলে, ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোবাইল অ্যাপের এডিট মেনু ব্যবহার করে তা সংশোধন করুন।

ইসি সতর্ক করেছে যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান ব্যতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারদের নিকট পাঠানো সম্ভব হবে না।

সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার সময় ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) চালু হবে

ইসি সচিব আখতার আহমেদ আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।

তিনি জানান, আইসিপিভির জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৫ দিনের মেয়াদে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৮ নভেম্বর ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে ভোটার নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যেখান থেকে ভোট দেবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’: সৌদি আলেমদের আমন্ত্রণ, ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

আজকের রাশিফল: ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন, সিদ্ধান্ত ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউক্রেন থেকে এল ৩০০০ টন সূর্যমুখী তেল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের অধীনে ৩ হাজার টন সূর্যমুখী তেল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মধুরছড়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর লজিস্টিকস হাবে এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, সুইডেন এবং ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

ইউক্রেন সরকারের ২০২২ সালে চালু করা ‘গ্রেইন ফ্রম ইউক্রেন’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানবিক সংকটে ইউক্রেনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দেওয়া এই সূর্যমুখী তেল ইউক্রেনেই উৎপাদিত হয়েছে। এই তেলের সংগ্রহ ও পরিবহন বাবদ মোট ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে সুইডেন সরকার বহন করেছে।

অনুষ্ঠানের পর প্রতিনিধিদল খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে ডব্লিউএফপি-এর ই-ভাউচার পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যমুখী তেল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সিস্টেমে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে মাসিক মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা দিয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য, তাজা সবজি, মাছ ও মুরগি কিনতে পারেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার এই ব্যবস্থাটি স্থানীয় অর্থনীতিকেও সমর্থন জোগায়।

অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, সুইডেন এবং ডব্লিউএফপি-এর প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ বজায় রাখার এবং সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডব্লিউএফপি-এর কার্যক্রমে ১৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’: সৌদি আলেমদের আমন্ত্রণ, ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

আজকের রাশিফল: ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন, সিদ্ধান্ত ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শত্রুমুক্ত তিনটি জেলা

নতুন দেশের জন্য এল প্রথম স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ফেনী প্রতিনিধি
নতুন দেশের জন্য এল প্রথম স্বীকৃতি

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।

ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’

অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।

সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’

ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।

এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী

একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।

যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।

ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।

৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র‌্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।

৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’

ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’: সৌদি আলেমদের আমন্ত্রণ, ৪০ হাজার মানুষের জন্য রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি

আজকের রাশিফল: ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন, সিদ্ধান্ত ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত