নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
এক বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অঝোরে কাঁদছিলেন আব্বাস। তখন নবম বা দশম শ্রেণিতে পড়তেন। নীরব সেই কান্নার কারণ জানতে চাইলেন ছোট ভাই জিয়া। কিন্তু কান্না আর থামে না। দীর্ঘক্ষণ পর কান্না থামলে জানালেন, এলাকার কয়েকজন ছেলে বিনা কারণে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। বড় ভাইকে প্রবোধ দিতে ওই ছেলেদের খুঁজতে গিয়েছিলেন জিয়া। কয়েক বছর পর সেই ছেলেই হয়ে গেলেন ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী। বাহিনী গড়ে মারামারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুনোখুনির কারণে ছড়াল তাঁর কুখ্যাতি। আব্বাস উদ্দিন হারিয়ে গেল ‘কিলার’ আব্বাসে।
বলতে বলতে একটু থামলেন জিয়া। পরে বললেন, এই আব্বাসকে নামে এখন সবাই চেনে। তবে পরিবারের কাছে হয়ে গেছেন অচেনা। বিব্রতকর পরিস্থিতি, বিড়ম্বনা এড়াতে আড়াল করতে হয় তাঁর পরিচয়। রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুরে পৈতৃক বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের কথা হয় জিয়ার সঙ্গে। আব্বাসের চেয়ে বছর দুয়েক ছোট তিনি। তাঁরা সাত ভাই-বোন। চার বোন বড়। ভাইদের মধ্যে আব্বাস বড়, জিয়া মেজ। সবার ছোট ভাই সোহাগ।
ইব্রাহিমপুরের ওই বাড়িতেই জন্ম আব্বাসের। সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে বাড়ি ছাড়েন তিনি। ১৯ বছর ধরে বন্দী কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। আট বছরের এক ছেলে আছে তাঁর।
রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম কিলার আব্বাসের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১২টি মামলার কথা জানা গেছে। র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের মতো তিনিও ছিলেন ফাইভ স্টার গ্রুপের অন্যতম সদস্য। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২০০২ সালে কাফরুল থানাধীন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। পরের বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থেকেও মিরপুরসহ রাজধানীর অপরাধজগতে প্রভাব রাখছেন তিনি। রয়েছে ক্যাডার বাহিনীও।
আব্বাসদের সাত ভাই-বোনের সবাই সংসারী। এক বোন গাজীপুরে নিজ বাড়িতে থাকেন। দুই ভাই, তিন বোন পরিবার নিয়ে ইব্রাহিমপুরে নির্মাণাধীন সাততলা পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন। কাফরুল থানার উল্টো পাশে আব্বাসের করা বাড়িতে ছেলে আইদানকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম।
ইব্রাহিমপুরে আব্বাসের বাবা সাহাবুদ্দীন ওরফে তমিজ উদ্দীনের কয়েক পুরুষের বাস। জিয়া বললেন, বাড়ি ও দোকান ভাড়াই ছিল তাঁদের নির্বিবাদী বাবার আয়ের প্রধান উৎস। অপরাধে জড়িয়ে পড়া ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগা বাবা দুই বছর আগে মারা গেছেন। এর ছয় মাস পর মারা যান মা। মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল, ছেলে জেল থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। তা আর হলো না। বাবা, মা—কারও জানাজাতেই থাকতে পারেননি আব্বাস।
দীর্ঘ আলাপের মধ্যে একবারও আব্বাসের নাম মুখে নেননি জিয়া। ‘উনি’, ‘আপনি যাঁর কথা জানতে এসেছেন’—এভাবে সম্বোধন করে গেলেন। কথার মাঝখানে মাঝখানে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন। বললেন, ‘এই পরিচয়ের জন্য আমিসহ পরিবারের সবাইকে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে। এখনো হচ্ছে। তাঁর জন্য নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে পারিনি। ভয়ে অনেকে আমাদের থেকে দূরে সরে গেছে। আবার অনেকে এড়িয়ে যায়।’
কথায় কথায় জিয়া জানালেন, নাট্যনির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছু নাটক, টেলিফিল্মও বানিয়েছেন। বিটিভিসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সেগুলো প্রচারিতও হয়েছে। পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু ভাইয়ের পরিচয়ের কারণে একসময় নিজেই সরে এসেছেন। এখন বাড়ির সামনে একটি লন্ড্রি আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের আয়েই চলতে হয় তাঁকে। ছোট ভাই সোহাগও ছোটখাটো ব্যবসা করেন। সবকিছু থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখতে চাইলেও তাঁদের শান্তি নেই। বাড়িতে এখনো পুলিশ আসে। নজরদারি করেন গোয়েন্দারা। কখনো কখনো সাংবাদিকেরা এসে নানা প্রশ্ন করেন। তখন নিজের সন্তানদের সামনে বিব্রত হতে হয়।
আব্বাসের স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কি যোগাযোগ আছে—এমন প্রশ্নে জিয়া বলেন, ‘বাবা-মা বেঁচে থাকতে ভাতিজা ও তার মা (আব্বাসের স্ত্রী) আসত। তাঁদের মৃত্যুর পর আসা-যাওয়া বন্ধ। তাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। আসলে জানতেও চাই না। শুধু জানি ছেলেটা অসুস্থ।’ তাদের সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হলেন না। অনেকক্ষণ পর নীরবতা ভেঙে বললেন, ‘আব্বাস কীভাবে কিলার আব্বাস হলো—আপনারা এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন না। এর উত্তর খুঁজুন। আর যেন কোনো আব্বাস কিলার আব্বাস না হয়।’ বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি নিজের পুরো নাম বললেন না।
১৯ বছর ধরে কারাবন্দী আব্বাসের স্ত্রী হামিদা বেগম ছেলে আইদানের জন্ম দিয়েছেন ২০১৫ সালে। পরিবার ও ঘনিষ্ঠজন বলেছে, মামলার হাজিরার দিনে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আব্বাস কাফরুলের বাড়িতে আসতেন। সেখানে দীর্ঘ সময় কাটাতেন। আব্বাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় ছেলের নামে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ‘আইদান কেব্ল নেটওয়ার্ক’ নামে ডিশ সংযোগের ব্যবসার কথা সবাই জানে।
ইব্রাহিমপুরেই কথা হয় আব্বাসের ছেলেবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে, আব্বাস জেল থেকে নাকি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে। ব্যাপারটা তেমন না। টাকা হলে কারাগারেই সব মেলে। আব্বাসকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর পর তার স্ত্রী নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করে।’
এক বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অঝোরে কাঁদছিলেন আব্বাস। তখন নবম বা দশম শ্রেণিতে পড়তেন। নীরব সেই কান্নার কারণ জানতে চাইলেন ছোট ভাই জিয়া। কিন্তু কান্না আর থামে না। দীর্ঘক্ষণ পর কান্না থামলে জানালেন, এলাকার কয়েকজন ছেলে বিনা কারণে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। বড় ভাইকে প্রবোধ দিতে ওই ছেলেদের খুঁজতে গিয়েছিলেন জিয়া। কয়েক বছর পর সেই ছেলেই হয়ে গেলেন ভয়ংকর এক সন্ত্রাসী। বাহিনী গড়ে মারামারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুনোখুনির কারণে ছড়াল তাঁর কুখ্যাতি। আব্বাস উদ্দিন হারিয়ে গেল ‘কিলার’ আব্বাসে।
বলতে বলতে একটু থামলেন জিয়া। পরে বললেন, এই আব্বাসকে নামে এখন সবাই চেনে। তবে পরিবারের কাছে হয়ে গেছেন অচেনা। বিব্রতকর পরিস্থিতি, বিড়ম্বনা এড়াতে আড়াল করতে হয় তাঁর পরিচয়। রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুরে পৈতৃক বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের কথা হয় জিয়ার সঙ্গে। আব্বাসের চেয়ে বছর দুয়েক ছোট তিনি। তাঁরা সাত ভাই-বোন। চার বোন বড়। ভাইদের মধ্যে আব্বাস বড়, জিয়া মেজ। সবার ছোট ভাই সোহাগ।
ইব্রাহিমপুরের ওই বাড়িতেই জন্ম আব্বাসের। সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার পর পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে বাড়ি ছাড়েন তিনি। ১৯ বছর ধরে বন্দী কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। আট বছরের এক ছেলে আছে তাঁর।
রাজধানীর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম কিলার আব্বাসের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১২টি মামলার কথা জানা গেছে। র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের মতো তিনিও ছিলেন ফাইভ স্টার গ্রুপের অন্যতম সদস্য। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
২০০২ সালে কাফরুল থানাধীন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। পরের বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে। অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থেকেও মিরপুরসহ রাজধানীর অপরাধজগতে প্রভাব রাখছেন তিনি। রয়েছে ক্যাডার বাহিনীও।
আব্বাসদের সাত ভাই-বোনের সবাই সংসারী। এক বোন গাজীপুরে নিজ বাড়িতে থাকেন। দুই ভাই, তিন বোন পরিবার নিয়ে ইব্রাহিমপুরে নির্মাণাধীন সাততলা পৈতৃক বাড়িতেই থাকেন। কাফরুল থানার উল্টো পাশে আব্বাসের করা বাড়িতে ছেলে আইদানকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী হামিদা বেগম।
ইব্রাহিমপুরে আব্বাসের বাবা সাহাবুদ্দীন ওরফে তমিজ উদ্দীনের কয়েক পুরুষের বাস। জিয়া বললেন, বাড়ি ও দোকান ভাড়াই ছিল তাঁদের নির্বিবাদী বাবার আয়ের প্রধান উৎস। অপরাধে জড়িয়ে পড়া ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগা বাবা দুই বছর আগে মারা গেছেন। এর ছয় মাস পর মারা যান মা। মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল, ছেলে জেল থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। তা আর হলো না। বাবা, মা—কারও জানাজাতেই থাকতে পারেননি আব্বাস।
দীর্ঘ আলাপের মধ্যে একবারও আব্বাসের নাম মুখে নেননি জিয়া। ‘উনি’, ‘আপনি যাঁর কথা জানতে এসেছেন’—এভাবে সম্বোধন করে গেলেন। কথার মাঝখানে মাঝখানে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন। বললেন, ‘এই পরিচয়ের জন্য আমিসহ পরিবারের সবাইকে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়েছে। এখনো হচ্ছে। তাঁর জন্য নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে পারিনি। ভয়ে অনেকে আমাদের থেকে দূরে সরে গেছে। আবার অনেকে এড়িয়ে যায়।’
কথায় কথায় জিয়া জানালেন, নাট্যনির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছু নাটক, টেলিফিল্মও বানিয়েছেন। বিটিভিসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সেগুলো প্রচারিতও হয়েছে। পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু ভাইয়ের পরিচয়ের কারণে একসময় নিজেই সরে এসেছেন। এখন বাড়ির সামনে একটি লন্ড্রি আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের আয়েই চলতে হয় তাঁকে। ছোট ভাই সোহাগও ছোটখাটো ব্যবসা করেন। সবকিছু থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখতে চাইলেও তাঁদের শান্তি নেই। বাড়িতে এখনো পুলিশ আসে। নজরদারি করেন গোয়েন্দারা। কখনো কখনো সাংবাদিকেরা এসে নানা প্রশ্ন করেন। তখন নিজের সন্তানদের সামনে বিব্রত হতে হয়।
আব্বাসের স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কি যোগাযোগ আছে—এমন প্রশ্নে জিয়া বলেন, ‘বাবা-মা বেঁচে থাকতে ভাতিজা ও তার মা (আব্বাসের স্ত্রী) আসত। তাঁদের মৃত্যুর পর আসা-যাওয়া বন্ধ। তাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। আসলে জানতেও চাই না। শুধু জানি ছেলেটা অসুস্থ।’ তাদের সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হলেন না। অনেকক্ষণ পর নীরবতা ভেঙে বললেন, ‘আব্বাস কীভাবে কিলার আব্বাস হলো—আপনারা এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন না। এর উত্তর খুঁজুন। আর যেন কোনো আব্বাস কিলার আব্বাস না হয়।’ বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি নিজের পুরো নাম বললেন না।
১৯ বছর ধরে কারাবন্দী আব্বাসের স্ত্রী হামিদা বেগম ছেলে আইদানের জন্ম দিয়েছেন ২০১৫ সালে। পরিবার ও ঘনিষ্ঠজন বলেছে, মামলার হাজিরার দিনে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আব্বাস কাফরুলের বাড়িতে আসতেন। সেখানে দীর্ঘ সময় কাটাতেন। আব্বাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় ছেলের নামে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ‘আইদান কেব্ল নেটওয়ার্ক’ নামে ডিশ সংযোগের ব্যবসার কথা সবাই জানে।
ইব্রাহিমপুরেই কথা হয় আব্বাসের ছেলেবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে, আব্বাস জেল থেকে নাকি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে। ব্যাপারটা তেমন না। টাকা হলে কারাগারেই সব মেলে। আব্বাসকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর পর তার স্ত্রী নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করে।’
সারা দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মশার উৎপাত। কয়েক মাস ধরে এমন উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে দিনের বেলায় কোনো রকমে টিকতে পারলেও সন্ধ্যা হওয়ার পরপর ঘরে-বাইরে মশার যন্ত্রণায় দাঁড়ানোই দায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আসন্ন গরমের মৌসুমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
৩ ঘণ্টা আগেশুধু রাত নয়, দিনদুপুরেও মহাসড়কে বাসে ডাকাতি হয়েছে। রাতে সড়ক-মহাসড়কে বাসসহ যানবাহনে একের পর এক ডাকাতিতে তৈরি হওয়া আতঙ্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে গত রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বেলা দুইটায় সাভারের রেডিও কলোনি এলাকার এই ডাকাতি। রাতের মতো দিনেও যেন অরক্ষিত মহাসড়ক।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভোট সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যেখানে কোনো বেওয়ারিশ লাশ থাকবে না। তিনি বলেছেন, ‘এমন এক সমাজ চাই, যেখানে বেওয়ারিশ লাশ যেন না থাকে। আমাদের লক্ষ্যও সেটি।’
৭ ঘণ্টা আগে