Ajker Patrika

গত ১৫ বছর সংসদ কার্যকর ছিল না: রিট শুনানিতে শিশির মনির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ছবি: সংগৃহীত
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ছবি: সংগৃহীত

বিচারকদের নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন। পরে আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, ‘একটি মামলার শুনানিতে প্রয়াত বিচারপতি টি এইচ খান বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করতে চান? দেশে আগুন জ্বলবে। এই ১৫ বছর দেশে আগুন জ্বলেছে। আমরা এত দিনে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র পেতে পারতাম। যদি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচন সঠিক হতো। শক্তিশালী সংসদ হতো। আমাদের বিচারক নিয়োগ, বিচারকদের কাজ অনেক সুন্দর হতো।’

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘আমার এখনো মনে পড়ে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন আমাদের এলাকার সংসদ সদস্য। তিনি একবার ২৫৬ ভোটে, অন্যবার ৬২২ ভোটে পাস করেছিলেন। তিনি সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় গ্রামের লোকজন রেডিওতে শুনত। এই জিনিস ধ্বংস করা হয়েছে। একদল ৫ বছর সরকারে থাকার পর অন্য দল আসত। সমস্যা কোথায় ছিল? নির্বাচনব্যবস্থা, সংসদীয় ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বারোটা বাজিয়েছে। কত অপরিপক্ব কাজ হয়েছে!’

শিশির মনির বলেন, ‘এখনো যদি সঠিকভাবে যাত্রাটা শুরু করা যায়, রাজনীতি ফিরবে, বিচার বিভাগ ফিরবে। একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। সংসদের সামনে গেলে মনে হয় একটা ভবন দাঁড়িয়ে আছে। কোনো আলোচনা নেই, পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক নেই। সরাসরি সম্প্রচার নেই। এত বড় ভবন! গত ১৫ বছর সংসদ কার্যকর ছিল না। এখনো যদি নিম্ন আদালত সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পরিচালিত করতে পারি, আশা করি ভালো কিছু হবে।’

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধি রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে।’

এর আগে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ১০ আইনজীবী। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ২৭ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত