Ajker Patrika

জিএসএ নিয়োগ আইন বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোববার আয়োজিত মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওমান এয়ারের জিএসএ ‘এয়ার গ্যালাক্সি’র কর্মকর্তা নাবিলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোববার আয়োজিত মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওমান এয়ারের জিএসএ ‘এয়ার গ্যালাক্সি’র কর্মকর্তা নাবিলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা, দেশীয় কর্মসংস্থান সুরক্ষা ও যাত্রীসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে বিদেশি এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তাঁরা এ দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।

এতে ভোক্তা হয়রানি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওমান এয়ারের জিএসএ ‘এয়ার গ্যালাক্সি’র কর্মকর্তা নাবিলা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন এয়ার ফ্রান্সের জিএসএ ‘বেঙ্গল এয়ারলিফট’-এর মুনির এবং সাউদিয়া এয়ারলাইনসের জিএসএ ‘ইউনাইটেড লিংক’-এর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, জিএসএগুলো এয়ারলাইনস ও যাত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিদেশি সদর দপ্তরে পৌঁছে দেয়, যা শুধু বিদেশি কান্ট্রি ম্যানেজারদের পক্ষে সম্ভব নয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে জিএসএ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের উপস্থিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্যান অ্যাম, ইউনাইটেড, লুফথানসা ও কেএলএমের মতো বিখ্যাত এয়ারলাইনস চালু করতে দেশীয় জিএসএরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, জিএসএ নিয়োগের চলমান নিয়ম ভাঙা হলে প্রতিবছর সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে।

অতীত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একসময় এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সাউদিয়া, থাই এয়ারওয়েজ ও এয়ার ইন্ডিয়া জিএসএ ছাড়া বাংলাদেশে পরিচালিত হতো। তখন বাজারে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ টিকিট লাইনের অভিযোগ উঠেছিল—বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। জিএসএ বাধ্যতামূলক হওয়ার পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়।

মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...