সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ। গত বছর অভিযোগ করে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন। আর তার আগের বছর ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান ৬০৭ জন।
অভিযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করছি। মানুষকে বেশি সচেতন করার কারণে অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি অভিযোগ করার কারণে জরিমানাও বাড়ছে। অনিয়ম যে হঠাৎ বেড়েছে তা নয়, অনিয়ম আগেও ছিল।’
কোন বিষয়ে বেশি অভিযোগ আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তত ১০০ ধরনের অনিয়মের কথা বলতে পারব। তবে ই-কমার্স বিষয়ে অভিযোগ বেশি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৪ বছরে অভিযোগ করে ৮ হাজারে বেশি মানুষ প্রতিকারের পাশাপাশি ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি পেয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার অংশ (২৫ শতাংশ) থেকে তাঁদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসে। এর বাইরে মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পরিবহনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেওয়া, মানসম্মত পণ্য না পাওয়া এবং অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে প্রতারিত হলে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। পরে তদন্ত বা শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, পণ্য বা সেবা নিয়ে অভিযোগ করে টাকা পাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগের সংখ্যাও বেড়েছে। গত তিন বছরে ৫৭ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগ অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৩টি।
গত তিন বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি বছরই অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬০৫ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৯ হাজার ৫৩৮টি। ২০২১-২২ অর্থবছরের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৫৪টি এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১১ হাজার ৪৮৭টি এবং ২০২০–২১ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯১০ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৩ হাজার ৪৮৮টি।
এ ছাড়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে জরিমানার অংশ থেকে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন ভুক্তভোগী। ২০২১–২২ অর্থবছরে ৬০৭ জন অভিযোগকারী জরিমানা থেকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান। আর ২০২০–২১ অর্থবছরে ৬৮৫ জন অভিযোগকারী পান ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭৫ টাকা।
অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য ও সেবা—দুই ধরনের বিষয় নিয়েই বেশি অভিযোগ আসে। পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি দাম নেওয়াসংক্রান্ত অভিযোগই বেশি। সেবার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ।’
অভিযোগ জানানো প্রক্রিয়া
ডাকযোগে, ফোন-ফ্যাক্স, ই-মেইলে বা সরাসরি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করা যায়। তবে অভিযোগটি লিখিত হতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অভিযোগকারীর পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮ নম্বরে ফোন করে এবং এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া
অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর অভিযোগকারী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকবেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এরপর তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওই কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত বা পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ। গত বছর অভিযোগ করে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন। আর তার আগের বছর ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান ৬০৭ জন।
অভিযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করছি। মানুষকে বেশি সচেতন করার কারণে অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি অভিযোগ করার কারণে জরিমানাও বাড়ছে। অনিয়ম যে হঠাৎ বেড়েছে তা নয়, অনিয়ম আগেও ছিল।’
কোন বিষয়ে বেশি অভিযোগ আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তত ১০০ ধরনের অনিয়মের কথা বলতে পারব। তবে ই-কমার্স বিষয়ে অভিযোগ বেশি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৪ বছরে অভিযোগ করে ৮ হাজারে বেশি মানুষ প্রতিকারের পাশাপাশি ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি পেয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার অংশ (২৫ শতাংশ) থেকে তাঁদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসে। এর বাইরে মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পরিবহনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেওয়া, মানসম্মত পণ্য না পাওয়া এবং অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে প্রতারিত হলে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। পরে তদন্ত বা শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, পণ্য বা সেবা নিয়ে অভিযোগ করে টাকা পাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগের সংখ্যাও বেড়েছে। গত তিন বছরে ৫৭ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগ অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৩টি।
গত তিন বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি বছরই অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬০৫ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৯ হাজার ৫৩৮টি। ২০২১-২২ অর্থবছরের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৫৪টি এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১১ হাজার ৪৮৭টি এবং ২০২০–২১ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯১০ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৩ হাজার ৪৮৮টি।
এ ছাড়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে জরিমানার অংশ থেকে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন ভুক্তভোগী। ২০২১–২২ অর্থবছরে ৬০৭ জন অভিযোগকারী জরিমানা থেকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান। আর ২০২০–২১ অর্থবছরে ৬৮৫ জন অভিযোগকারী পান ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭৫ টাকা।
অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য ও সেবা—দুই ধরনের বিষয় নিয়েই বেশি অভিযোগ আসে। পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি দাম নেওয়াসংক্রান্ত অভিযোগই বেশি। সেবার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ।’
অভিযোগ জানানো প্রক্রিয়া
ডাকযোগে, ফোন-ফ্যাক্স, ই-মেইলে বা সরাসরি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করা যায়। তবে অভিযোগটি লিখিত হতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অভিযোগকারীর পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮ নম্বরে ফোন করে এবং এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া
অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর অভিযোগকারী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকবেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এরপর তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওই কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত বা পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারেন।
সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ। গত বছর অভিযোগ করে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন। আর তার আগের বছর ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান ৬০৭ জন।
অভিযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করছি। মানুষকে বেশি সচেতন করার কারণে অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি অভিযোগ করার কারণে জরিমানাও বাড়ছে। অনিয়ম যে হঠাৎ বেড়েছে তা নয়, অনিয়ম আগেও ছিল।’
কোন বিষয়ে বেশি অভিযোগ আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তত ১০০ ধরনের অনিয়মের কথা বলতে পারব। তবে ই-কমার্স বিষয়ে অভিযোগ বেশি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৪ বছরে অভিযোগ করে ৮ হাজারে বেশি মানুষ প্রতিকারের পাশাপাশি ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি পেয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার অংশ (২৫ শতাংশ) থেকে তাঁদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসে। এর বাইরে মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পরিবহনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেওয়া, মানসম্মত পণ্য না পাওয়া এবং অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে প্রতারিত হলে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। পরে তদন্ত বা শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, পণ্য বা সেবা নিয়ে অভিযোগ করে টাকা পাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগের সংখ্যাও বেড়েছে। গত তিন বছরে ৫৭ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগ অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৩টি।
গত তিন বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি বছরই অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬০৫ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৯ হাজার ৫৩৮টি। ২০২১-২২ অর্থবছরের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৫৪টি এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১১ হাজার ৪৮৭টি এবং ২০২০–২১ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯১০ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৩ হাজার ৪৮৮টি।
এ ছাড়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে জরিমানার অংশ থেকে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন ভুক্তভোগী। ২০২১–২২ অর্থবছরে ৬০৭ জন অভিযোগকারী জরিমানা থেকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান। আর ২০২০–২১ অর্থবছরে ৬৮৫ জন অভিযোগকারী পান ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭৫ টাকা।
অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য ও সেবা—দুই ধরনের বিষয় নিয়েই বেশি অভিযোগ আসে। পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি দাম নেওয়াসংক্রান্ত অভিযোগই বেশি। সেবার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ।’
অভিযোগ জানানো প্রক্রিয়া
ডাকযোগে, ফোন-ফ্যাক্স, ই-মেইলে বা সরাসরি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করা যায়। তবে অভিযোগটি লিখিত হতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অভিযোগকারীর পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮ নম্বরে ফোন করে এবং এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া
অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর অভিযোগকারী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকবেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এরপর তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওই কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত বা পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ। গত বছর অভিযোগ করে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন। আর তার আগের বছর ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান ৬০৭ জন।
অভিযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করছি। মানুষকে বেশি সচেতন করার কারণে অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। বেশি অভিযোগ করার কারণে জরিমানাও বাড়ছে। অনিয়ম যে হঠাৎ বেড়েছে তা নয়, অনিয়ম আগেও ছিল।’
কোন বিষয়ে বেশি অভিযোগ আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্তত ১০০ ধরনের অনিয়মের কথা বলতে পারব। তবে ই-কমার্স বিষয়ে অভিযোগ বেশি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৪ বছরে অভিযোগ করে ৮ হাজারে বেশি মানুষ প্রতিকারের পাশাপাশি ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি পেয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার অংশ (২৫ শতাংশ) থেকে তাঁদের এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ আসে। এর বাইরে মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পরিবহনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেওয়া, মানসম্মত পণ্য না পাওয়া এবং অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে প্রতারিত হলে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। পরে তদন্ত বা শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পান অভিযোগকারী। বাকি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, পণ্য বা সেবা নিয়ে অভিযোগ করে টাকা পাওয়ার পাশাপাশি অভিযোগের সংখ্যাও বেড়েছে। গত তিন বছরে ৫৭ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগ অধিদপ্তরে জমা পড়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫১৩টি।
গত তিন বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতি বছরই অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৬০৫ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৯ হাজার ৫৩৮টি। ২০২১-২২ অর্থবছরের অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৫৪টি এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১১ হাজার ৪৮৭টি এবং ২০২০–২১ অর্থবছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৯১০ এবং নিষ্পত্তি করা হয় ১৩ হাজার ৪৮৮টি।
এ ছাড়া ২০২২–২৩ অর্থবছরে জরিমানার অংশ থেকে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ২৭৫ টাকা পান ১ হাজার ৩৬ জন ভুক্তভোগী। ২০২১–২২ অর্থবছরে ৬০৭ জন অভিযোগকারী জরিমানা থেকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৫০ টাকা পান। আর ২০২০–২১ অর্থবছরে ৬৮৫ জন অভিযোগকারী পান ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭৫ টাকা।
অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পণ্য ও সেবা—দুই ধরনের বিষয় নিয়েই বেশি অভিযোগ আসে। পণ্যের ক্ষেত্রে বেশি দাম নেওয়াসংক্রান্ত অভিযোগই বেশি। সেবার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ।’
অভিযোগ জানানো প্রক্রিয়া
ডাকযোগে, ফোন-ফ্যাক্স, ই-মেইলে বা সরাসরি অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করা যায়। তবে অভিযোগটি লিখিত হতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে পণ্য বা সেবা ক্রয়ের রসিদ যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অভিযোগকারীর পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করতে হবে।
০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮ নম্বরে ফোন করে এবং এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া
অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর অভিযোগকারী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকবেন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এরপর তথ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ওই কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত বা পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫ টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪ টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করতে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়।
গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
আজ শুনানির সময় জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। আজ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ও জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)) আছেন, আর ৯ জন কর্মকর্তা অবসরে।
সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে পাঠানো হয়।
আজ আদালত থেকে বের হয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তা বাহিনীতে ‘সার্ভিং (কর্মরত)’ বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তাঁর চাকরি থাকে না।
সে ক্ষেত্রে ওই সেনা কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত—এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী তামিম বলেন, ‘যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে এই আইন কবে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সার্ভিং বলা যেতেই পারে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করতে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়।
গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
আজ শুনানির সময় জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। আজ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় ও জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর)) আছেন, আর ৯ জন কর্মকর্তা অবসরে।
সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে পাঠানো হয়।
আজ আদালত থেকে বের হয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওই ১৫ সেনা কর্মকর্তা বাহিনীতে ‘সার্ভিং (কর্মরত)’ বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তাঁর চাকরি থাকে না।
সে ক্ষেত্রে ওই সেনা কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত—এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী তামিম বলেন, ‘যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে এই আইন কবে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সার্ভিং বলা যেতেই পারে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫ টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪ টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার এস এম হাসানুল জাহীদকে সারদা রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে; পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদারকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশে বদলি করা হয়েছে; টাঙ্গাইল পিটিসির পুলিশ সুপার আ ফ ম আল কিবরিয়াকে সিআইডির পুলিশ সুপার, গাইবান্দার কমান্ড্যান্ট আবু সায়েম প্রধানকে রংপুর পিটিসির পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি মুহাম্মদ শফি ইকবালকে সিআইডির পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেনকে গাইবান্দা ইন সার্ভিস সেন্টারে, এপিবিএনের এসপি উক্য সিংকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রংপুর রেঞ্জ পুলিশের এসপি সনাতন চক্রবর্তীকে রংপুর মহানগরে, শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলকে শেরপুর ইন সার্ভিস সেন্টারের এসপি, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইনকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজিতে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পিবিআইয়ের এসপি মো. আবু ইউসুফের ও র্যাবে কর্মরত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের পুলিশ অধিদপ্তরে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার এস এম হাসানুল জাহীদকে সারদা রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে; পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তালুকদারকে ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশে বদলি করা হয়েছে; টাঙ্গাইল পিটিসির পুলিশ সুপার আ ফ ম আল কিবরিয়াকে সিআইডির পুলিশ সুপার, গাইবান্দার কমান্ড্যান্ট আবু সায়েম প্রধানকে রংপুর পিটিসির পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি, পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি মুহাম্মদ শফি ইকবালকে সিআইডির পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেনকে গাইবান্দা ইন সার্ভিস সেন্টারে, এপিবিএনের এসপি উক্য সিংকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার, সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রংপুর রেঞ্জ পুলিশের এসপি সনাতন চক্রবর্তীকে রংপুর মহানগরে, শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েলকে শেরপুর ইন সার্ভিস সেন্টারের এসপি, পুলিশ অধিদপ্তরের এসপি মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইনকে পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজিতে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পিবিআইয়ের এসপি মো. আবু ইউসুফের ও র্যাবে কর্মরত পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমানের পুলিশ অধিদপ্তরে বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫ টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪ টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩৪ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে কারিগরি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় এবং যৌথভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দেয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ওইকুন ইলগুন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা এবং বিমান ও সিভিল এভিয়েশন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঢাকায় এসেছে তুরস্কের আট সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। আজ রোববার সকালে তাঁরা সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে কারিগরি সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় এবং যৌথভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা দেয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট ডিগ্রি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ওইকুন ইলগুন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা এবং বিমান ও সিভিল এভিয়েশন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর (২০২৩) প্রায় ১০ হাজার অভিযোগ বেশি পড়েছে। গত বছর অভিযোগ জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫ টি। আর এর আগের বছর অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৫৪ টি। বেশি অভিযোগ আসায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকাও পেয়েছেন বেশি মানুষ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই সময়সীমা ধার্য করা হয়। গুমের এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদও আসামি।
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার ১৩ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে