চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সংবর্ধনা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল দলের সব সদস্য, কোচ পিটার বাটলারসহ সংবর্ধনা নিতে আসা ২৫ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তাঁরা সবাই একসঙ্গে নাশতা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী দল যমুনায় পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সংবর্ধনা শেষে দুপুর ১২টার পর বাফুফের বাসে করে যমুনা ছাড়েন নারী ফুটবলাররা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে নারী ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছি। এটি শুধু নারী ফুটবল দলের বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশে নারীরা সাধারণভাবে অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হন।’ তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং পরিবারের জন্য সহায়তা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন এত বেশি নয় যে আমরা অনেক সহায়তা করতে পারি।’
কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকা শহরে তাঁদের আবাসনের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এশিয়ার বাইরে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত একটি উপজেলায় ফুটবলার হয়ে উঠতে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন, তা তুলে ধরেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর জন্মস্থানের দুর্বল অবকাঠামোর কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা, আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবি আলাদা কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জানানোর জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে দ্বিধা করবেন না। আমরা আপনার দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। যদি কিছু এখন সমাধান করা যায়, আমরা তা করব।’
নারী ফুটবল দলের সদস্যরা বের হয়ে যাওয়ার পর যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নারী ফুটবল দলের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট টিমের অনেক পিআর দেখি, কিন্তু তাদেরও সমস্যা আছে। ছোট ছোট সমস্যা অ্যাড্রেস করা হয়নি। খেলাধুলার মূল স্টেকহোল্ডার খেলোয়াড়েরা। তারাই অগ্রাধিকারে থাকবে। এত দিন পর্যন্ত অগ্রাধিকারে থাকত কমিটির সদস্যরা। সেটা আর হবে না।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের সদস্যরা আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোর বিষয়ে কথা বলেছেন। এখানে আলোচনা খুব খোলামেলা হয়েছে। আলোচনার সবকিছুই অ্যাড্রেস করব। তাই সবাইকে বলব আরও সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য। তারা দুই-তিন দিনের মধ্যে সেটা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে সেটা পৌঁছিয়ে দেব।’
খেলোয়াড়দের ফ্ল্যাটের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে ওনারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওনাদের লিখিত দাবির মধ্যে বিষয়টি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারী ফুটবল দলের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। বাফুফেতে এত দিন কাজী সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, তাদের ওয়ার্কআউট করব, যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো বেতন বকেয়া না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, সেটা কেন হলো? আর্থিক অনিয়মের বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি।’
সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও বাফুফে কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে তাদের কেউ নেই। আমাদের কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছিল, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে সহকারী কোচ ও গোলরক্ষক কোচের নাম ছিল না।’

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল দলের সব সদস্য, কোচ পিটার বাটলারসহ সংবর্ধনা নিতে আসা ২৫ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তাঁরা সবাই একসঙ্গে নাশতা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী দল যমুনায় পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সংবর্ধনা শেষে দুপুর ১২টার পর বাফুফের বাসে করে যমুনা ছাড়েন নারী ফুটবলাররা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে নারী ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছি। এটি শুধু নারী ফুটবল দলের বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশে নারীরা সাধারণভাবে অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হন।’ তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং পরিবারের জন্য সহায়তা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন এত বেশি নয় যে আমরা অনেক সহায়তা করতে পারি।’
কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকা শহরে তাঁদের আবাসনের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এশিয়ার বাইরে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত একটি উপজেলায় ফুটবলার হয়ে উঠতে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন, তা তুলে ধরেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর জন্মস্থানের দুর্বল অবকাঠামোর কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা, আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবি আলাদা কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জানানোর জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে দ্বিধা করবেন না। আমরা আপনার দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। যদি কিছু এখন সমাধান করা যায়, আমরা তা করব।’
নারী ফুটবল দলের সদস্যরা বের হয়ে যাওয়ার পর যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নারী ফুটবল দলের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট টিমের অনেক পিআর দেখি, কিন্তু তাদেরও সমস্যা আছে। ছোট ছোট সমস্যা অ্যাড্রেস করা হয়নি। খেলাধুলার মূল স্টেকহোল্ডার খেলোয়াড়েরা। তারাই অগ্রাধিকারে থাকবে। এত দিন পর্যন্ত অগ্রাধিকারে থাকত কমিটির সদস্যরা। সেটা আর হবে না।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের সদস্যরা আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোর বিষয়ে কথা বলেছেন। এখানে আলোচনা খুব খোলামেলা হয়েছে। আলোচনার সবকিছুই অ্যাড্রেস করব। তাই সবাইকে বলব আরও সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য। তারা দুই-তিন দিনের মধ্যে সেটা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে সেটা পৌঁছিয়ে দেব।’
খেলোয়াড়দের ফ্ল্যাটের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে ওনারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওনাদের লিখিত দাবির মধ্যে বিষয়টি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারী ফুটবল দলের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। বাফুফেতে এত দিন কাজী সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, তাদের ওয়ার্কআউট করব, যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো বেতন বকেয়া না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, সেটা কেন হলো? আর্থিক অনিয়মের বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি।’
সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও বাফুফে কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে তাদের কেউ নেই। আমাদের কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছিল, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে সহকারী কোচ ও গোলরক্ষক কোচের নাম ছিল না।’
চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সংবর্ধনা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল দলের সব সদস্য, কোচ পিটার বাটলারসহ সংবর্ধনা নিতে আসা ২৫ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তাঁরা সবাই একসঙ্গে নাশতা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী দল যমুনায় পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সংবর্ধনা শেষে দুপুর ১২টার পর বাফুফের বাসে করে যমুনা ছাড়েন নারী ফুটবলাররা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে নারী ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছি। এটি শুধু নারী ফুটবল দলের বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশে নারীরা সাধারণভাবে অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হন।’ তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং পরিবারের জন্য সহায়তা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন এত বেশি নয় যে আমরা অনেক সহায়তা করতে পারি।’
কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকা শহরে তাঁদের আবাসনের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এশিয়ার বাইরে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত একটি উপজেলায় ফুটবলার হয়ে উঠতে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন, তা তুলে ধরেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর জন্মস্থানের দুর্বল অবকাঠামোর কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা, আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবি আলাদা কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জানানোর জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে দ্বিধা করবেন না। আমরা আপনার দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। যদি কিছু এখন সমাধান করা যায়, আমরা তা করব।’
নারী ফুটবল দলের সদস্যরা বের হয়ে যাওয়ার পর যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নারী ফুটবল দলের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট টিমের অনেক পিআর দেখি, কিন্তু তাদেরও সমস্যা আছে। ছোট ছোট সমস্যা অ্যাড্রেস করা হয়নি। খেলাধুলার মূল স্টেকহোল্ডার খেলোয়াড়েরা। তারাই অগ্রাধিকারে থাকবে। এত দিন পর্যন্ত অগ্রাধিকারে থাকত কমিটির সদস্যরা। সেটা আর হবে না।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের সদস্যরা আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোর বিষয়ে কথা বলেছেন। এখানে আলোচনা খুব খোলামেলা হয়েছে। আলোচনার সবকিছুই অ্যাড্রেস করব। তাই সবাইকে বলব আরও সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য। তারা দুই-তিন দিনের মধ্যে সেটা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে সেটা পৌঁছিয়ে দেব।’
খেলোয়াড়দের ফ্ল্যাটের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে ওনারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওনাদের লিখিত দাবির মধ্যে বিষয়টি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারী ফুটবল দলের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। বাফুফেতে এত দিন কাজী সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, তাদের ওয়ার্কআউট করব, যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো বেতন বকেয়া না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, সেটা কেন হলো? আর্থিক অনিয়মের বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি।’
সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও বাফুফে কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে তাদের কেউ নেই। আমাদের কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছিল, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে সহকারী কোচ ও গোলরক্ষক কোচের নাম ছিল না।’

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল দলের সব সদস্য, কোচ পিটার বাটলারসহ সংবর্ধনা নিতে আসা ২৫ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তাঁরা সবাই একসঙ্গে নাশতা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারী দল যমুনায় পৌঁছায়। এ সময় তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সংবর্ধনা শেষে দুপুর ১২টার পর বাফুফের বাসে করে যমুনা ছাড়েন নারী ফুটবলাররা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে নারী ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছি। এটি শুধু নারী ফুটবল দলের বিষয় নয়, বরং বাংলাদেশে নারীরা সাধারণভাবে অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হন।’ তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ পরিবারের সদস্য এবং পরিবারের জন্য সহায়তা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেতন এত বেশি নয় যে আমরা অনেক সহায়তা করতে পারি।’
কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকা শহরে তাঁদের আবাসনের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এশিয়ার বাইরে, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত একটি উপজেলায় ফুটবলার হয়ে উঠতে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয়েছেন, তা তুলে ধরেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী তাঁর জন্মস্থানের দুর্বল অবকাঠামোর কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা, আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবি আলাদা কাগজে লিখে তাঁর কার্যালয়ে জানানোর জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে দ্বিধা করবেন না। আমরা আপনার দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব। যদি কিছু এখন সমাধান করা যায়, আমরা তা করব।’
নারী ফুটবল দলের সদস্যরা বের হয়ে যাওয়ার পর যমুনার গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নারী ফুটবল দলের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট টিমের অনেক পিআর দেখি, কিন্তু তাদেরও সমস্যা আছে। ছোট ছোট সমস্যা অ্যাড্রেস করা হয়নি। খেলাধুলার মূল স্টেকহোল্ডার খেলোয়াড়েরা। তারাই অগ্রাধিকারে থাকবে। এত দিন পর্যন্ত অগ্রাধিকারে থাকত কমিটির সদস্যরা। সেটা আর হবে না।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবল দলের সদস্যরা আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোর বিষয়ে কথা বলেছেন। এখানে আলোচনা খুব খোলামেলা হয়েছে। আলোচনার সবকিছুই অ্যাড্রেস করব। তাই সবাইকে বলব আরও সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য। তারা দুই-তিন দিনের মধ্যে সেটা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে সেটা পৌঁছিয়ে দেব।’
খেলোয়াড়দের ফ্ল্যাটের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে ওনারা এ বিষয়ে কিছু বলেননি। ওনাদের লিখিত দাবির মধ্যে বিষয়টি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নারী ফুটবল দলের বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁদের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। বাফুফেতে এত দিন কাজী সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, তাদের ওয়ার্কআউট করব, যাতে করে ভবিষ্যতে কখনো বেতন বকেয়া না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, সেটা কেন হলো? আর্থিক অনিয়মের বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো নিয়ে নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি।’
সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও বাফুফে কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে তাদের কেউ নেই। আমাদের কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছিল, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে সহকারী কোচ ও গোলরক্ষক কোচের নাম ছিল না।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
২ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল
০৩ নভেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
২ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবর্তন আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও টিকে থাকার লড়াই আমাদের হাতেই। আর এই টিকে থাকার অনুপ্রেরণা পরিবারে সবচেয়ে বেশি দেন নারীরা। নারীদের অদম্য সাহসেই গড়ে উঠবে জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিসেস (সিওপি) নেটওয়ার্ক কনভেনশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের দর্শন বদলাতে হবে। বড় মেগা প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি নদীভাঙন ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্র অভিযোজন প্রকল্পগুলোকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করতে হবে। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাগুলোকে জাতীয় উন্নয়নের পরিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতা প্রধান ডিপাক এলমার, জাতিসংঘ নারী সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলার নারীদের জন্য কাজ করা ১০ অদম্য নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল
০৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নতুন করে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুধু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে সক্ষম রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেই কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করা হবে অভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে। এর ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেতে এজেন্সিগুলোকে ১০টি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
তথ্য অনুযায়ী, অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানানো হয়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য নির্ধারিত ১০ শর্ত হলো:
১. লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত ৫ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২. গত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী বিদেশে পাঠানোর প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
৫. সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।
৬. জোরপূর্বক শ্রম, মানবপাচার, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।
৭. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে—যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা মডিউল থাকবে।
৮. অন্তত ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।
৯. কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
১০. পূর্বে মালয়েশিয়া বা অন্য গন্তব্য দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসম্মত প্রক্রিয়া অনুসরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব শর্ত পূরণে সক্ষম সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ জন্য যোগ্য এজেন্সিগুলোকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল
০৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন গত ১৫ মাস বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। ট্রেন তিনটি পুনরায় চালানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফা ভারতকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। এ অবস্থায় আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুঁড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম আন্তসরকার রেলওয়ে সভার (আইজিআরএম) প্রস্তুতিমূলক সভায় ভারতকে পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ে ৬ অক্টোবর ওই সভা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে চিঠি প্রস্তুত করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে সেই চিঠি পাঠানো হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ মন্ত্রণালয় চিঠিটি ভারতকে পাঠাবে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড প্রতিবছর আইজিআরএম করে। ৩৮তম আইজিআরএম ২০২৬ সালের মার্চে ঢাকায় হওয়ার কথা। তবে সেটি হবে কি না এখনো চূড়ান্ত নয়।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতকে। আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে আবারও চিঠি লিখব। আমাদের দিক থেকে আগ্রহের যে কমতি নেই, সেটা আমরা প্রমাণ করতে চাই। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভায়।’
প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, এ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে পরিচালনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়েকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবে। এ প্রস্তাবে রাতের বেলা ট্রেন পরিচালনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ভারতীয় রেলওয়েকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সভায়।
একসঙ্গে রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়েকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রস্তুতিমূলক আইজিআরএম সভা থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এন্ড টু এন্ড কাস্টম ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করার জন্য খুলনা স্টেশনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া রেলপথে যাতায়াতের জন্য আলাদা ভিসা দেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠাবে রেল মন্ত্রণালয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, উভয় দেশের পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ এবং পণ্যবাহী ট্রেন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দর্শনা-গেদে, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইজিআরএমের প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা যায়, সভায় প্রায় ২৯টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল, আন্তসীমান্ত যোগাযোগ এবং যৌথ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য এর আগেও ভারতকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি চিঠির উত্তর পর্যন্ত দেয়নি। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে ট্রেন চালাতে চায় না তারা। বর্তমানে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে। তবে তা আগের তুলনায় কম। ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। ফলে এ সরকারের আমলে পুনরায় এসব ট্রেন চালু হবে কি না, সেটা অনিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা বা অন্য জরুরি ভিসা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দিল্লি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিলে ভারতের সেটা বিবেচনায় নিয়ে চালানো উচিত। ভূরাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। মানুষের এই ট্রেনগুলো প্রয়োজন। ফলে যাত্রীবাহী আন্তদেশীয় ট্রেনগুলো চালু হলে উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব চালু করা উচিত।’

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে নারী ফুটবল
০৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা ঘরে ও সমাজে প্রতিদিন জলবায়ু সহনশীলতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্যোগে, দারিদ্র্যে কিংবা অনিশ্চয়তায় তাঁরা কখনো হার মানেননি। এই নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
২ ঘণ্টা আগে
অতীতে মালয়েশিয়া সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কমসংখ্যক এজেন্সিকে সুযোগ দিত। তবে সাম্প্রতিক ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষ এ বিষয়ে সমান সুযোগের দাবি জানায়। বৈঠকের পর মালয়েশিয়া তাদের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড পাঠায়, যা বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে