আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।
গুম-সংক্রান্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এই কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন বলেছে, গুম কমিশনে জমা হওয়া ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবে কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন,
যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন বাহিনী নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাঁদের ওপর এত ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তাঁরা এখনো ট্রমায় ভুগছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে র্যাবের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অপরাধের ব্যাপ্তি এত বেশি যে এটিকে শুদ্ধি করে আর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই র্যাব বিলুপ্ত করা উচিত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ১০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেন। পাশাপাশি জনবান্ধব-মানবিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পুলিশ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ সংস্কার কমিটিকে বিএনপির দেওয়া সুপারিশমালা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে র্যাব গঠন করা হয়। ওই বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয় র্যাবের। মূলত জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য র্যাব গঠন করা হয়েছিল। র্যাব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষ ইউনিটে বর্তমানে ১০ হাজারের মতো সদস্য রয়েছেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সাড়া দেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভুক্তভোগীরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
গুম তদন্ত কমিশনের প্রধান জানান, কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে এক বছর সময় প্রয়োজন।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই শিরোধার্য। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে র্যাবে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র থাকার কথা এবং গুম-খুনের অভিযোগ স্বীকার করে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুক্তভোগী পরিবার ও জাতির কাজে ক্ষমা চান।
সব গুম পরিকল্পিত
কমিশন বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সব গুমের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাউকে কাউকে গুম করতে এক বছর আগে পরিকল্পনা করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অনুমোদন দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গুমের নির্দেশদাতা ছিলেন, তিনি প্রতিটি ঘটনাই জানতেন বলে গুম কমিশনসংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি বলেন, গুমের সঙ্গে র্যাব, ডিবি ও সিআইডি ছাড়াও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কমিশন। এক বাহিনী ধরে নিয়ে আরেক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করত। অনেক গুমের ঘটনায় একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত ছিল। গুম প্রতিরোধ ও অপরাধীদের বিচারের জন্য কমিশন ১০টির বেশি সুপারিশ করেছে।
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইনের পরিবর্তন ও সংযোজনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া আটক ও গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং আইন অনুসরণ করে কমিশন সেই সুপারিশ করেছে।
কমিশন বলেছে, গুমের ঘটনায় সারা দেশে ৬০০র বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেগুলোর তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও থানা-পুলিশ। এসব ঘটনা পুনরায় তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। গুমের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সামাজিক অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচারণা ও সভা-সেমিনার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
গুম কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।
গুম-সংক্রান্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এই কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন বলেছে, গুম কমিশনে জমা হওয়া ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবে কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন,
যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন বাহিনী নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাঁদের ওপর এত ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তাঁরা এখনো ট্রমায় ভুগছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে র্যাবের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অপরাধের ব্যাপ্তি এত বেশি যে এটিকে শুদ্ধি করে আর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই র্যাব বিলুপ্ত করা উচিত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ১০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেন। পাশাপাশি জনবান্ধব-মানবিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পুলিশ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ সংস্কার কমিটিকে বিএনপির দেওয়া সুপারিশমালা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে র্যাব গঠন করা হয়। ওই বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয় র্যাবের। মূলত জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য র্যাব গঠন করা হয়েছিল। র্যাব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষ ইউনিটে বর্তমানে ১০ হাজারের মতো সদস্য রয়েছেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সাড়া দেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভুক্তভোগীরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
গুম তদন্ত কমিশনের প্রধান জানান, কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে এক বছর সময় প্রয়োজন।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই শিরোধার্য। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে র্যাবে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র থাকার কথা এবং গুম-খুনের অভিযোগ স্বীকার করে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুক্তভোগী পরিবার ও জাতির কাজে ক্ষমা চান।
সব গুম পরিকল্পিত
কমিশন বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সব গুমের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাউকে কাউকে গুম করতে এক বছর আগে পরিকল্পনা করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অনুমোদন দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গুমের নির্দেশদাতা ছিলেন, তিনি প্রতিটি ঘটনাই জানতেন বলে গুম কমিশনসংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি বলেন, গুমের সঙ্গে র্যাব, ডিবি ও সিআইডি ছাড়াও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কমিশন। এক বাহিনী ধরে নিয়ে আরেক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করত। অনেক গুমের ঘটনায় একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত ছিল। গুম প্রতিরোধ ও অপরাধীদের বিচারের জন্য কমিশন ১০টির বেশি সুপারিশ করেছে।
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইনের পরিবর্তন ও সংযোজনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া আটক ও গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং আইন অনুসরণ করে কমিশন সেই সুপারিশ করেছে।
কমিশন বলেছে, গুমের ঘটনায় সারা দেশে ৬০০র বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেগুলোর তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও থানা-পুলিশ। এসব ঘটনা পুনরায় তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। গুমের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সামাজিক অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচারণা ও সভা-সেমিনার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
গুম কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।
গুম-সংক্রান্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এই কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন বলেছে, গুম কমিশনে জমা হওয়া ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবে কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন,
যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন বাহিনী নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাঁদের ওপর এত ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তাঁরা এখনো ট্রমায় ভুগছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে র্যাবের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অপরাধের ব্যাপ্তি এত বেশি যে এটিকে শুদ্ধি করে আর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই র্যাব বিলুপ্ত করা উচিত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ১০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেন। পাশাপাশি জনবান্ধব-মানবিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পুলিশ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ সংস্কার কমিটিকে বিএনপির দেওয়া সুপারিশমালা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে র্যাব গঠন করা হয়। ওই বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয় র্যাবের। মূলত জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য র্যাব গঠন করা হয়েছিল। র্যাব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষ ইউনিটে বর্তমানে ১০ হাজারের মতো সদস্য রয়েছেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সাড়া দেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভুক্তভোগীরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
গুম তদন্ত কমিশনের প্রধান জানান, কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে এক বছর সময় প্রয়োজন।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই শিরোধার্য। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে র্যাবে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র থাকার কথা এবং গুম-খুনের অভিযোগ স্বীকার করে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুক্তভোগী পরিবার ও জাতির কাজে ক্ষমা চান।
সব গুম পরিকল্পিত
কমিশন বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সব গুমের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাউকে কাউকে গুম করতে এক বছর আগে পরিকল্পনা করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অনুমোদন দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গুমের নির্দেশদাতা ছিলেন, তিনি প্রতিটি ঘটনাই জানতেন বলে গুম কমিশনসংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি বলেন, গুমের সঙ্গে র্যাব, ডিবি ও সিআইডি ছাড়াও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কমিশন। এক বাহিনী ধরে নিয়ে আরেক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করত। অনেক গুমের ঘটনায় একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত ছিল। গুম প্রতিরোধ ও অপরাধীদের বিচারের জন্য কমিশন ১০টির বেশি সুপারিশ করেছে।
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইনের পরিবর্তন ও সংযোজনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া আটক ও গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং আইন অনুসরণ করে কমিশন সেই সুপারিশ করেছে।
কমিশন বলেছে, গুমের ঘটনায় সারা দেশে ৬০০র বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেগুলোর তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও থানা-পুলিশ। এসব ঘটনা পুনরায় তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। গুমের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সামাজিক অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচারণা ও সভা-সেমিনার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
গুম কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে।
গুম-সংক্রান্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এই কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কমিশন বলেছে, গুম কমিশনে জমা হওয়া ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবে কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে; যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (চাকরিচ্যুত) জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন,
যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন বাহিনী নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাঁদের ওপর এত ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তাঁরা এখনো ট্রমায় ভুগছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গে র্যাবের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অপরাধের ব্যাপ্তি এত বেশি যে এটিকে শুদ্ধি করে আর পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই র্যাব বিলুপ্ত করা উচিত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ১০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেন। পাশাপাশি জনবান্ধব-মানবিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পুলিশ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। পুলিশ সংস্কার কমিটিকে বিএনপির দেওয়া সুপারিশমালা জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে র্যাব গঠন করা হয়। ওই বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয় র্যাবের। মূলত জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য র্যাব গঠন করা হয়েছিল। র্যাব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষ ইউনিটে বর্তমানে ১০ হাজারের মতো সদস্য রয়েছেন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ জানালেও যুক্তরাষ্ট্র সাড়া দেয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনের সদস্যরা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভুক্তভোগীরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে, সেগুলো দেখতে যাবেন।
গুম তদন্ত কমিশনের প্রধান জানান, কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে এক বছর সময় প্রয়োজন।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই শিরোধার্য। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে র্যাবে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র থাকার কথা এবং গুম-খুনের অভিযোগ স্বীকার করে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুক্তভোগী পরিবার ও জাতির কাজে ক্ষমা চান।
সব গুম পরিকল্পিত
কমিশন বলেছে, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সব গুমের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাউকে কাউকে গুম করতে এক বছর আগে পরিকল্পনা করা হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি অনুমোদন দিয়েছেন। শেখ হাসিনা গুমের নির্দেশদাতা ছিলেন, তিনি প্রতিটি ঘটনাই জানতেন বলে গুম কমিশনসংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি বলেন, গুমের সঙ্গে র্যাব, ডিবি ও সিআইডি ছাড়াও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কমিশন। এক বাহিনী ধরে নিয়ে আরেক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করত। অনেক গুমের ঘটনায় একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত ছিল। গুম প্রতিরোধ ও অপরাধীদের বিচারের জন্য কমিশন ১০টির বেশি সুপারিশ করেছে।
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইনের পরিবর্তন ও সংযোজনেরও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ ছাড়া আটক ও গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং আইন অনুসরণ করে কমিশন সেই সুপারিশ করেছে।
কমিশন বলেছে, গুমের ঘটনায় সারা দেশে ৬০০র বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেগুলোর তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও থানা-পুলিশ। এসব ঘটনা পুনরায় তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। গুমের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সামাজিক অনুষ্ঠান, গণমাধ্যমে প্রচারণা ও সভা-সেমিনার করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
গুম কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে শোকজ করে তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে তিনজন বিচারপতি, যথা বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনকে ওই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উল্লিখিত তিনজন বিচারপতিকে কোনো শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেননি, বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন, যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।
তথ্য চাওয়ার বিষয়টি আদালতের বিশেষ একটি যোগাযোগব্যবস্থা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে, প্রতিটি গণমাধ্যম আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
কয়েক দিন আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা ওঠার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন ধরেন, আপনারা জানেন সাম্প্রতিককালে আপনারা কেউ এটা ইনভেস্টিগেট (অনুসন্ধান) করেননি। আপনাদের অনুরোধ করব, ইনভেস্টিগেট করেন যে, একটা উচ্চ আদালতের একটা বেঞ্চ এক দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন তিনি দিতেই পারেন, কিন্তু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব?’

তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে শোকজ করে তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এবং ফোন করে তিনজন বিচারপতি, যথা বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনকে ওই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উল্লিখিত তিনজন বিচারপতিকে কোনো শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেননি, বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন, যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।
তথ্য চাওয়ার বিষয়টি আদালতের বিশেষ একটি যোগাযোগব্যবস্থা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানা সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে, প্রতিটি গণমাধ্যম আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।
কয়েক দিন আগে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উচ্চ আদালতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা ওঠার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যেমন ধরেন, আপনারা জানেন সাম্প্রতিককালে আপনারা কেউ এটা ইনভেস্টিগেট (অনুসন্ধান) করেননি। আপনাদের অনুরোধ করব, ইনভেস্টিগেট করেন যে, একটা উচ্চ আদালতের একটা বেঞ্চ এক দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। জামিন তিনি দিতেই পারেন, কিন্তু চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ৮০০ মামলা কি শোনা সম্ভব?’

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ও অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
মিলার জানান, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও সহায়তা করবে ইইউ।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’—উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
মিলার আসন্ন নির্বাচনকে ‘দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের সুযোগ’ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইইউ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির সম্ভাবনা এবং বিমান ও নৌপরিবহন খাতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা একমত হন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ পি মোলারমায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে লালদিয়াকে এই অঞ্চলের অন্যতম আধুনিক টার্মিনালে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বৃহৎ প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। ২০০৮ সালের পর এটিই হবে ইইউর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে ও অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
মিলার জানান, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও সহায়তা করবে ইইউ।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে।
সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’—উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
মিলার আসন্ন নির্বাচনকে ‘দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের সুযোগ’ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইইউ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে।
এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির সম্ভাবনা এবং বিমান ও নৌপরিবহন খাতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা একমত হন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ পি মোলারমায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে লালদিয়াকে এই অঞ্চলের অন্যতম আধুনিক টার্মিনালে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সঙ্গেও ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আমরা একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছি।’
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক সহযোগিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সরকার কোনো নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এড়িয়ে চলার প্রয়োজন মনে করে না।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের সরকারও এই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার আকার ও শক্তির তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে। যারা আমাদের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী, তারা স্বাভাবিকভাবেই বেশি দৃশ্যমান। তবে আমাদের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের উপস্থিতি ছোট নয়—আমরা সর্বত্র দৃশ্যমানতা বজায় রাখছি।’
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি বাস্তবসম্মত, অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলে তিনি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন এবং এই অঞ্চলে ‘চীনের কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি’ তুলে ধরবেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে সমর্থন করে।
তিনি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের টিমকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী, যাতে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির অনুপাতে বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের মর্যাদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে আদালতের বারান্দায় মারধর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার খায়রুল বাশারের জামিন আবেদন শুনানির জন্য তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরির পাশাপাশি মূল সড়ক ব্যবহার না করে কৌশলে অন্য পথ দিয়ে এজলাসে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
ওই পথ ধরে এজলাসের দরজায় পৌঁছানোর সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি খায়রুল বাশারের ওপর হামলা চালান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে খায়রুল বাশারকে এজলাসের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে ৯৯টি মামলায় জামিন শুনানি করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত ১৪ মামলায় জামিন দেন। অন্য ৭৫ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খায়রুল বাশারের বিরুদ্ধে তিন শর বেশি মামলা রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে আটক করা হয়। পর্যায়ক্রমে তাঁকে শতাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কয়েক মামলায় তাঁকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।
খায়রুল বাশারকে আজ আদালতে হাজির করা হবে জেনে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই সুযোগ বুঝে তাঁর ওপর হামলা করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এই কমিশন। তাঁর প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও পাওয়া গে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন বিচারপতিকে কোনো শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবল মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এটি আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়। তাই আদালতসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের আগে সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রি
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং অন্যরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকেরা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
৫ ঘণ্টা আগে