প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল চারটায় এই সংলাপ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। দেশের চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সংলাপে দেশের স্বার্থে সবাই একজোট হওয়ার অঙ্গীকার করেন বলে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা জানান।
সংলাপের সূচনা বক্তব্যে চলমান পরিস্থিতির আলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মুক্ত স্বাধীন নতুন বাংলাদেশকে মুছে দিতে কল্পকাহিনি প্রচার করা হচ্ছে। অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটা মুছে দিতে চায়। তারা নতুন নতুন বেশে নতুনভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এখন যে চেষ্টা চলছে, সেটার বিশেষ একটা রূপ আছে। সে জন্য বিশেষভাবে আপনাদের ডাকা।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন আমাদের সারা দুনিয়াকে বলতে হবে, আমরা এক। আমরা যে পেয়েছি, তা একযোগে পেয়েছি। কোনো মতভেদের মধ্যে পাইনি। কাউকে ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদের আমরা বের করে দিয়েছি।’ তিনি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি, জামায়াত ছাড়াও নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণঅধিকার পরিষদ সংলাপে অংশ নেয়। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এলেও অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সংলাপ শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকার পরেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সংলাপের মূল সূর এটাই ছিল। তিনি বলেন, ‘সবাই একটা কথা বলেছেন যে আমাদের এখন আর শক্তিহীন, নতজানু, দুর্বল ভাবার কোনো রকম অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং আমরা আমাদের ঐক্য অটুট রাখব। ভবিষ্যতে এ রকম অপপ্রচার হলে, উসকানি এলে ঐক্য দিয়ে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, গোটা জাতি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকায় সবাই মিলে একটা সমাবেশ করা যায় কি না, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব এসেছে। সংলাপে দলগুলোর পক্ষ থেকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। একই সঙ্গে সরকারের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশার পাশপাশি বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্রগুলো ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
সংলাপে আলোচনা প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা আরও বলেন, সংলাপে সরকারের যোগাযোগ ও আইনগত দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও দেন রাজনৈতিক নেতারা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যত চুক্তি হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে রামপালসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিলের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের ওপর ভারতের অর্থনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়। ভারতকে বাংলাদেশের প্রতি মর্যাদাশীল প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বানও জানানো হয়।
সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সংলাপ শেষে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য। তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যাঁরা আমরা উপস্থিত ছিলাম, সবাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একমত হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পার্শ্ববর্তী দেশের মিথ্যাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছি যে আমরা যেভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়েছি, একইভাবে সবাই মিলে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব।’
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বলেছি, অতিদ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দিন। রোডম্যাপ পেয়ে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তখন আর কেউ তা করতে সাহস পাবে না।’
সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। দলে ছিলেন নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। সংলাপের পর জামায়াতের আমির সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল-মত আমাদের ভিন্ন, কিন্তু পথ আমাদের এক। পথটা হচ্ছে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক রয়েছি। এখানে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।’ তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব আমরা করেছি। সবার সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় ঘোষণা আসবে সরকারের পক্ষ থেকে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা দেশ, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ আছি। কেউ যদি মনে করে, আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, এটা কোনো বিভেদ নয়। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে; কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ঐক্যের প্রকাশ হিসেবে সারা দেশে একটি দিবসে জাতীয় পতাকা হাতে আমরা দাঁড়াব। এ বিষয়ে হয়তো দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।’
গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা পোড়ানো ভারত সরকারের অবস্থান কি না, তা জানতে সরকার ব্যাখ্যা চাইবে। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তাব ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীজনদের নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে জাতীয় পতাকা অথবা শান্তির পতাকা নিয়ে কর্মসূচি পালন করা।
সংলাপে ভারতীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মমর্যাদাপূর্ণ সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করেছে বলে জানান খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল একমত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল চারটায় এই সংলাপ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। দেশের চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সংলাপে দেশের স্বার্থে সবাই একজোট হওয়ার অঙ্গীকার করেন বলে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা জানান।
সংলাপের সূচনা বক্তব্যে চলমান পরিস্থিতির আলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মুক্ত স্বাধীন নতুন বাংলাদেশকে মুছে দিতে কল্পকাহিনি প্রচার করা হচ্ছে। অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটা মুছে দিতে চায়। তারা নতুন নতুন বেশে নতুনভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এখন যে চেষ্টা চলছে, সেটার বিশেষ একটা রূপ আছে। সে জন্য বিশেষভাবে আপনাদের ডাকা।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন আমাদের সারা দুনিয়াকে বলতে হবে, আমরা এক। আমরা যে পেয়েছি, তা একযোগে পেয়েছি। কোনো মতভেদের মধ্যে পাইনি। কাউকে ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি। যারা আমাদের বুকের ওপর চেপে ছিল, তাদের আমরা বের করে দিয়েছি।’ তিনি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি, জামায়াত ছাড়াও নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণঅধিকার পরিষদ সংলাপে অংশ নেয়। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এলেও অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সংলাপ শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকার পরেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা এবং মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সংলাপের মূল সূর এটাই ছিল। তিনি বলেন, ‘সবাই একটা কথা বলেছেন যে আমাদের এখন আর শক্তিহীন, নতজানু, দুর্বল ভাবার কোনো রকম অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং আমরা আমাদের ঐক্য অটুট রাখব। ভবিষ্যতে এ রকম অপপ্রচার হলে, উসকানি এলে ঐক্য দিয়ে আমরা তা মোকাবিলা করব।’
অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, গোটা জাতি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকায় সবাই মিলে একটা সমাবেশ করা যায় কি না, সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব এসেছে। সংলাপে দলগুলোর পক্ষ থেকে ভারতে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। একই সঙ্গে সরকারের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশার পাশপাশি বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্রগুলো ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
সংলাপে আলোচনা প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা আরও বলেন, সংলাপে সরকারের যোগাযোগ ও আইনগত দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শও দেন রাজনৈতিক নেতারা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যত চুক্তি হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে রামপালসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিলের দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের ওপর ভারতের অর্থনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়। ভারতকে বাংলাদেশের প্রতি মর্যাদাশীল প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বানও জানানো হয়।
সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সংলাপ শেষে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য। তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যাঁরা আমরা উপস্থিত ছিলাম, সবাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একমত হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পার্শ্ববর্তী দেশের মিথ্যাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছি যে আমরা যেভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়েছি, একইভাবে সবাই মিলে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব।’
নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বলেছি, অতিদ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দিন। রোডম্যাপ পেয়ে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তখন আর কেউ তা করতে সাহস পাবে না।’
সংলাপে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। দলে ছিলেন নায়েবে আমির মজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। সংলাপের পর জামায়াতের আমির সাংবাদিকদের বলেন, ‘দল-মত আমাদের ভিন্ন, কিন্তু পথ আমাদের এক। পথটা হচ্ছে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক রয়েছি। এখানে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।’ তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব আমরা করেছি। সবার সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় ঘোষণা আসবে সরকারের পক্ষ থেকে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা দেশ, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ আছি। কেউ যদি মনে করে, আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, এটা কোনো বিভেদ নয়। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে; কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ঐক্যের প্রকাশ হিসেবে সারা দেশে একটি দিবসে জাতীয় পতাকা হাতে আমরা দাঁড়াব। এ বিষয়ে হয়তো দ্রুত সিদ্ধান্ত আসবে।’
গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা পোড়ানো ভারত সরকারের অবস্থান কি না, তা জানতে সরকার ব্যাখ্যা চাইবে। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তাব ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশীজনদের নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে জাতীয় পতাকা অথবা শান্তির পতাকা নিয়ে কর্মসূচি পালন করা।
সংলাপে ভারতীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মমর্যাদাপূর্ণ সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল সংহতি প্রকাশ করেছে বলে জানান খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দল একমত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১০ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩৩ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪৪ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর..
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩৩ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪৪ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবীরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে বলত, “আমরা ৭২-এর সংবিধান চাই না, আমরা নতুন সংবিধান রচনা করতে চাই”—তাহলে সেটাই হতো সংবিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ থাকলে হবে না। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে অষ্টম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিন আরও শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনীক আর হক এবং বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। খায়রুল হক সাহেবরা হুকুম নড়ায়ে দিয়েছেন সংক্ষিপ্ত রায় এবং পূর্ণাঙ্গ রায়ের মধ্য দিয়ে; যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। সংবিধান একটা অরগানিক ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন রকমভাবে উপস্থাপিত হয়। কোরআন কিংবা বাইবেল—কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। সংবিধান পরিবর্তনযোগ্য। আজকে সংবিধানের অ্যামেন্ডমেন্টে (সংশোধন) যদি বলে দেন, তত্ত্বাবধায়কে ফিরে গেলাম, সেটাই যে অ্যাবসোলিউট (যথাযথ) হবে—তাও না। এটাও জনগণের চাহিদা অনুসারে হবে। জনগণ যদি মনে করে, এটাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না, জনগণ ইচ্ছা করলে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল) রায় থাকা উচিত না। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রায়টা লেখা হয়েছে একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এই রায় দুটি গ্রাউন্ডে বাতিল হবে। সাতজন মিলে ঘোষণা করলেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেখানে উনারা ডেভিয়েট (বিচ্যুত) করে পূর্ণাঙ্গ যে রায় দিলেন, তা ওপেন ঘোষণা রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঘোষিত রায় পরিবর্তন করার জন্য রিভিউ করতে হবে। রিভিউ যেকোনো পক্ষ করতে পারে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়েও করতে পারেন। খায়রুল হক সেই পথে না গিয়ে যে পথে হেঁটেছেন, তা আইনের ব্যত্যয়। রিভিউ না করে উনি রায় পরিবর্তন করেছেন। এটা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে জানতেন, এ ধরনের পরিবর্তন করা আইনে সম্ভব নয়। তারপরও উনি সেটা করেছেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর হত্যা, গুম, রাতের বেলায় ভোট দেওয়া, মিথ্যা মামলায় মানুষকে কারাগারে পাঠানো—এ ধরনের রাজনীতি শুরু হয়। ৭০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মামলায় আসামি হয়। সেই কারণে এটা ২১৯ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর..
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১০ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪৪ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রিটকারীরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আব্দুল ওয়াদুদ, রহিম উল্লাহ, আমিনুল ইসলাম শাকিল, ঢাকার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাব্বির রহমান, মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, রাফিউল সাব্বির, শামিম সাহিদি ও হাবিবুর রহমান আল হাসান।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে।
আবেদনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচারকদের বেতনকাঠামো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় নিম্ন স্তরে রয়েছে। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতি সাংঘর্ষিক।
রিটে আরও বলা হয়, সংবিধানে প্রদত্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার বিভাজনের নীতিকে উপেক্ষা করে সংসদ তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে উক্ত আইন দুটি প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বিচারপতিদের জন্য এক অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো সৃষ্টি হয়েছে।

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর..
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১০ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩৩ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) কর জালিয়াতি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অনৈতিক অর্থ সুবিধা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৮ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুতুল সিআরআইয়ের ট্রাস্টি ও ভাইস চেয়ারম্যান।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, জনকল্যাণের নামে গঠিত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন থেকে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি (শেখ রেহানার ছেলে), নসরুল হামিদ বিপু (সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী), নির্বাহী পরিচালক শাব্বির বিন শামস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর আপিল) রওশন আরা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ কর বর্ষ পর্যন্ত সিআরআই ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে নেয়। এ ছাড়া একই সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা নেয়। বৈধ ব্যয় বাদে হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ টাকা স্থিতি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৬ টাকা। অর্থাৎ ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা কম; যা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধিত না থাকা সত্ত্বেও সিআরআই কর সুবিধা লাভের জন্য চাপ প্রয়োগ, প্রতিষ্ঠানটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করিয়ে সরকার থেকে কর মওকুফের সুযোগ নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণের নামে প্রাপ্ত তহবিলকে নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছে এবং বহু কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় ও আত্মসাৎ করেছে।
দুদক বলছে, অভিযুক্তরা ২৫টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন এবং আয়কর পরিশোধ না করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছেন।

মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় এবং অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে এমন অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলগুলোর..
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১০ মিনিট আগে
আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশে আসার পরে যেভাবে দেশের গণতন্ত্র উন্নত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের পরে সেই সুযোগ হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল করার পর...
৩৩ মিনিট আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। ১৩ জনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
৪৪ মিনিট আগে