একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
এফসিডিওয়ের সতর্কতা বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়েছে—ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সেবায় বিঘ্ন ঘটানোসহ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশন কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন নাগরিকদের সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই ২০২৪ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে বাংলাদেশ সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। এর অধীনে ঢাকা জেলায় ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। সিলেট বিভাগে এই দুই দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে চলার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হলো। বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আপনাকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ইন্টারনেট ও স্থানীয় মাধ্যমসহ যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেলওয়ে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
এফসিডিওয়ের সতর্কতা বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়েছে—ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সেবায় বিঘ্ন ঘটানোসহ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশন কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন নাগরিকদের সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই ২০২৪ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে বাংলাদেশ সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। এর অধীনে ঢাকা জেলায় ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। সিলেট বিভাগে এই দুই দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে চলার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হলো। বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আপনাকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ইন্টারনেট ও স্থানীয় মাধ্যমসহ যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেলওয়ে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
এফসিডিওয়ের সতর্কতা বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়েছে—ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সেবায় বিঘ্ন ঘটানোসহ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশন কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন নাগরিকদের সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই ২০২৪ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে বাংলাদেশ সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। এর অধীনে ঢাকা জেলায় ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। সিলেট বিভাগে এই দুই দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে চলার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হলো। বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আপনাকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ইন্টারনেট ও স্থানীয় মাধ্যমসহ যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেলওয়ে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
এফসিডিওয়ের সতর্কতা বিষয়ক বিবৃতিতে বলা হয়েছে—ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সেবায় বিঘ্ন ঘটানোসহ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশন কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন নাগরিকদের সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি শুধু প্রয়োজনীয় কাজগুলো করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই ২০২৪ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে বাংলাদেশ সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছে। এর অধীনে ঢাকা জেলায় ২৪ ও ২৫ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। সিলেট বিভাগে এই দুই দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে চলার জন্য আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হলো। বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আপনাকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ইন্টারনেট ও স্থানীয় মাধ্যমসহ যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রেলওয়ে সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৪ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
২৪ জুলাই ২০২৪ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
২৪ জুলাই ২০২৪জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৪ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
২৪ জুলাই ২০২৪জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৪ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেশুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
একান্ত জরুরি না হলে নাগরিকদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের ‘ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’ (এফসিডিও) আজ বুধবার এই সতর্কতা জারি করে।
২৪ জুলাই ২০২৪জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৪ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে