নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল শনিবার ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই আয়োজন করে।
সিজিএসের সভাপতি এবং সম্মেলনের চেয়ার জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভাঙন, পুনর্গঠন’।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়, কোনো সংস্কার টিকবে না। তাই বাংলাদেশ যখন একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে, তখন বিচার বিভাগকে নীতিতে স্থির হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
রেফাত আহমদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে, তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, দেশকে এলডিসি মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার সুবিধা পেতে এলডিসি মর্যাদা আরও কিছুদিন ধরে রাখার চেষ্টাকে পুরোনো চিন্তা বলে সমালোচনা করেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের মতো। কিন্তু সেই বাজার ক্রমেই রাজনৈতিক কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে; এই অনিশ্চয়তা অর্থনৈতিক কারণে নয়।
বিশ্ব ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, একসময় সারা বিশ্ব পশ্চিমের শাসনে থাকলেও ক্ষমতার ভরকেন্দ্র এখন ক্রমেই পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে তার অবস্থান নতুন করে সাজাতে হবে। যে বাজারে পুঁজি সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং যে বাজারে দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, বাংলাদেশের সেদিকেই যাওয়া উচিত।
সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ জিডিপি হলেও চীন অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে; ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, বর্তমানে দক্ষিণের দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে চীন। বৈশ্বিক পুঁজির বড় একটি অংশ সরবরাহ করছে চীন। অনেক দেশ চীনের বাজারে প্রবেশ করছে এবং চীনের পুঁজি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার নিকটবর্তী দুটি বড় বাজার ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেনি। সেই দুটি বাজার হচ্ছে ভারত ও চীন।
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নিয়ে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূমিকায় থাকবে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পুনর্গঠনের সময় অনেক রাষ্ট্র পক্ষ বেছে নিতে আগ্রহী হয়, কিন্তু আমাদের উচিত, প্রথমে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেবে এবং জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সেখানে যত বেশি ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য, যত বেশি তথ্যবিচ্যুতি, যত বেশি মিথ্যা, যত বেশি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখা—তত বেশি ক্লিক, আর তত বেশি আয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যপ্রবাহের গণতন্ত্রীকরণ করেছে, এটা সত্য। এখন প্রতিটি মানুষ তার মতামত জানাতে পারে, কিন্তু এর নেতিবাচক দিক হলো এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্যভিত্তিক নয়, জ্ঞাননির্ভর নয়, যুক্তিশীলও নয়।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা অর্থ বা সামরিক শক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব না; আমাদের একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র হলো জ্ঞান ও দক্ষতা।
অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেড় দশকে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল, তাতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলা—এই তিনটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। ব্যাংক, বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছিল তাঁদের হাতেই। এই গোষ্ঠীগুলো প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলেছে। পরিণামে দেশে শুধু স্বজনতোষী পুঁজিবাদ সৃষ্টি হয়নি, হয়েছিল চৌর্যতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল শনিবার ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই আয়োজন করে।
সিজিএসের সভাপতি এবং সম্মেলনের চেয়ার জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভাঙন, পুনর্গঠন’।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়, কোনো সংস্কার টিকবে না। তাই বাংলাদেশ যখন একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে, তখন বিচার বিভাগকে নীতিতে স্থির হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
রেফাত আহমদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে, তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, দেশকে এলডিসি মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার সুবিধা পেতে এলডিসি মর্যাদা আরও কিছুদিন ধরে রাখার চেষ্টাকে পুরোনো চিন্তা বলে সমালোচনা করেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের মতো। কিন্তু সেই বাজার ক্রমেই রাজনৈতিক কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে; এই অনিশ্চয়তা অর্থনৈতিক কারণে নয়।
বিশ্ব ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, একসময় সারা বিশ্ব পশ্চিমের শাসনে থাকলেও ক্ষমতার ভরকেন্দ্র এখন ক্রমেই পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে তার অবস্থান নতুন করে সাজাতে হবে। যে বাজারে পুঁজি সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং যে বাজারে দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, বাংলাদেশের সেদিকেই যাওয়া উচিত।
সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ জিডিপি হলেও চীন অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে; ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, বর্তমানে দক্ষিণের দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে চীন। বৈশ্বিক পুঁজির বড় একটি অংশ সরবরাহ করছে চীন। অনেক দেশ চীনের বাজারে প্রবেশ করছে এবং চীনের পুঁজি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার নিকটবর্তী দুটি বড় বাজার ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেনি। সেই দুটি বাজার হচ্ছে ভারত ও চীন।
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নিয়ে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূমিকায় থাকবে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পুনর্গঠনের সময় অনেক রাষ্ট্র পক্ষ বেছে নিতে আগ্রহী হয়, কিন্তু আমাদের উচিত, প্রথমে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেবে এবং জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সেখানে যত বেশি ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য, যত বেশি তথ্যবিচ্যুতি, যত বেশি মিথ্যা, যত বেশি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখা—তত বেশি ক্লিক, আর তত বেশি আয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যপ্রবাহের গণতন্ত্রীকরণ করেছে, এটা সত্য। এখন প্রতিটি মানুষ তার মতামত জানাতে পারে, কিন্তু এর নেতিবাচক দিক হলো এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্যভিত্তিক নয়, জ্ঞাননির্ভর নয়, যুক্তিশীলও নয়।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা অর্থ বা সামরিক শক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব না; আমাদের একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র হলো জ্ঞান ও দক্ষতা।
অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেড় দশকে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল, তাতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলা—এই তিনটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। ব্যাংক, বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছিল তাঁদের হাতেই। এই গোষ্ঠীগুলো প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলেছে। পরিণামে দেশে শুধু স্বজনতোষী পুঁজিবাদ সৃষ্টি হয়নি, হয়েছিল চৌর্যতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল শনিবার ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই আয়োজন করে।
সিজিএসের সভাপতি এবং সম্মেলনের চেয়ার জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভাঙন, পুনর্গঠন’।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়, কোনো সংস্কার টিকবে না। তাই বাংলাদেশ যখন একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে, তখন বিচার বিভাগকে নীতিতে স্থির হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
রেফাত আহমদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে, তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, দেশকে এলডিসি মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার সুবিধা পেতে এলডিসি মর্যাদা আরও কিছুদিন ধরে রাখার চেষ্টাকে পুরোনো চিন্তা বলে সমালোচনা করেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের মতো। কিন্তু সেই বাজার ক্রমেই রাজনৈতিক কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে; এই অনিশ্চয়তা অর্থনৈতিক কারণে নয়।
বিশ্ব ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, একসময় সারা বিশ্ব পশ্চিমের শাসনে থাকলেও ক্ষমতার ভরকেন্দ্র এখন ক্রমেই পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে তার অবস্থান নতুন করে সাজাতে হবে। যে বাজারে পুঁজি সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং যে বাজারে দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, বাংলাদেশের সেদিকেই যাওয়া উচিত।
সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ জিডিপি হলেও চীন অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে; ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, বর্তমানে দক্ষিণের দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে চীন। বৈশ্বিক পুঁজির বড় একটি অংশ সরবরাহ করছে চীন। অনেক দেশ চীনের বাজারে প্রবেশ করছে এবং চীনের পুঁজি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার নিকটবর্তী দুটি বড় বাজার ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেনি। সেই দুটি বাজার হচ্ছে ভারত ও চীন।
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নিয়ে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূমিকায় থাকবে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পুনর্গঠনের সময় অনেক রাষ্ট্র পক্ষ বেছে নিতে আগ্রহী হয়, কিন্তু আমাদের উচিত, প্রথমে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেবে এবং জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সেখানে যত বেশি ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য, যত বেশি তথ্যবিচ্যুতি, যত বেশি মিথ্যা, যত বেশি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখা—তত বেশি ক্লিক, আর তত বেশি আয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যপ্রবাহের গণতন্ত্রীকরণ করেছে, এটা সত্য। এখন প্রতিটি মানুষ তার মতামত জানাতে পারে, কিন্তু এর নেতিবাচক দিক হলো এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্যভিত্তিক নয়, জ্ঞাননির্ভর নয়, যুক্তিশীলও নয়।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা অর্থ বা সামরিক শক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব না; আমাদের একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র হলো জ্ঞান ও দক্ষতা।
অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেড় দশকে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল, তাতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলা—এই তিনটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। ব্যাংক, বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছিল তাঁদের হাতেই। এই গোষ্ঠীগুলো প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলেছে। পরিণামে দেশে শুধু স্বজনতোষী পুঁজিবাদ সৃষ্টি হয়নি, হয়েছিল চৌর্যতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল শনিবার ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন, বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই আয়োজন করে।
সিজিএসের সভাপতি এবং সম্মেলনের চেয়ার জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম এবং সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভাঙন, পুনর্গঠন’।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়, কোনো সংস্কার টিকবে না। তাই বাংলাদেশ যখন একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের পথে হাঁটছে, তখন বিচার বিভাগকে নীতিতে স্থির হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
রেফাত আহমদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব সংবিধান বাতিলের কথা বলেনি। বরং জনজীবনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সাড়া দেওয়ার মানসিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে তার সাংবিধানিক জীবনের ব্যাকরণ পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। এটি রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে আইনের শাসন কোনো আমলাতান্ত্রিক রীতিনীতি বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত অলংকার নয়। বরং আইনের শাসন হলো সাংবিধানিক ব্যবস্থার একটি নৈতিক পাঠ, যা ন্যায্যতা, যুক্তি এবং জনগণের সম্মতির ওপর ভিত্তি করে। এটি অধিকারের মাধ্যমে, সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে, শাসিতদের যে মর্যাদা প্রদান করে, তার মাধ্যমে এর দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, দেশকে এলডিসি মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজার সুবিধা পেতে এলডিসি মর্যাদা আরও কিছুদিন ধরে রাখার চেষ্টাকে পুরোনো চিন্তা বলে সমালোচনা করেন তিনি।
রেহমান সোবহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলারের মতো। কিন্তু সেই বাজার ক্রমেই রাজনৈতিক কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে; এই অনিশ্চয়তা অর্থনৈতিক কারণে নয়।
বিশ্ব ব্যবস্থার ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মন্তব্য করে রেহমান সোবহান বলেন, একসময় সারা বিশ্ব পশ্চিমের শাসনে থাকলেও ক্ষমতার ভরকেন্দ্র এখন ক্রমেই পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে তার অবস্থান নতুন করে সাজাতে হবে। যে বাজারে পুঁজি সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং যে বাজারে দীর্ঘস্থায়ী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে, বাংলাদেশের সেদিকেই যাওয়া উচিত।
সামগ্রিক বিচারে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ জিডিপি হলেও চীন অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে; ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, বর্তমানে দক্ষিণের দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে চীন। বৈশ্বিক পুঁজির বড় একটি অংশ সরবরাহ করছে চীন। অনেক দেশ চীনের বাজারে প্রবেশ করছে এবং চীনের পুঁজি ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ তার নিকটবর্তী দুটি বড় বাজার ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেনি। সেই দুটি বাজার হচ্ছে ভারত ও চীন।
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নিয়ে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূমিকায় থাকবে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পুনর্গঠনের সময় অনেক রাষ্ট্র পক্ষ বেছে নিতে আগ্রহী হয়, কিন্তু আমাদের উচিত, প্রথমে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেবে এবং জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সেখানে যত বেশি ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য, যত বেশি তথ্যবিচ্যুতি, যত বেশি মিথ্যা, যত বেশি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখা—তত বেশি ক্লিক, আর তত বেশি আয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যপ্রবাহের গণতন্ত্রীকরণ করেছে, এটা সত্য। এখন প্রতিটি মানুষ তার মতামত জানাতে পারে, কিন্তু এর নেতিবাচক দিক হলো এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্যভিত্তিক নয়, জ্ঞাননির্ভর নয়, যুক্তিশীলও নয়।
বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমরা অর্থ বা সামরিক শক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারব না; আমাদের একমাত্র প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র হলো জ্ঞান ও দক্ষতা।
অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেড় দশকে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল, তাতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলা—এই তিনটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। ব্যাংক, বিদ্যুৎসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছিল তাঁদের হাতেই। এই গোষ্ঠীগুলো প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলেছে। পরিণামে দেশে শুধু স্বজনতোষী পুঁজিবাদ সৃষ্টি হয়নি, হয়েছিল চৌর্যতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে...
৮ ঘণ্টা আগে
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) এই আবেদন...
১০ ঘণ্টা আগে
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে নাম থাকা অপর তিনজন হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জানতে চাইলে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচজনের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে পারব বলে আশা করছি।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে এর মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বিষয়ে তদন্ত শেষ দিকে রয়েছে। শিগগির তাঁর বিষয়ে প্রতিবেদন জমা হলে যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
সূত্র জানায়, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডে উসকানি, সহযোগিতা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট বন্ধ করা, হতাহতের তথ্য গোপন ও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হচ্ছে। গুম-খুনের অভিযোগ আনা হচ্ছে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন। এসব যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে দাখিল করার আশা করা হচ্ছে। তবে জিয়াউল আহসানের বিষয়টি পরের ধাপে আসবে। সেটিও দ্রুত হাতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি ও পরে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো, চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ড, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, রামপুরায় হত্যাকাণ্ড ও কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা।
অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সাবেক-বর্তমান বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলাও অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে। তদন্ত চলছে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, জাহাজবাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যাকাণ্ড, গুম-নির্যাতন, উত্তরায় হত্যাকাণ্ড, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে হৃদয় হত্যাকাণ্ড, মহাখালী-তেজগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার।
এ ছাড়া কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যা, চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যাসহ রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী ও লক্ষ্মীপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা পৃথক মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে নাম থাকা অপর তিনজন হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জানতে চাইলে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চার-পাঁচজনের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে এসব আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে পারব বলে আশা করছি।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে এর মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বিষয়ে তদন্ত শেষ দিকে রয়েছে। শিগগির তাঁর বিষয়ে প্রতিবেদন জমা হলে যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
সূত্র জানায়, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডে উসকানি, সহযোগিতা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট বন্ধ করা, হতাহতের তথ্য গোপন ও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হচ্ছে। গুম-খুনের অভিযোগ আনা হচ্ছে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন। এসব যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী সপ্তাহে দাখিল করার আশা করা হচ্ছে। তবে জিয়াউল আহসানের বিষয়টি পরের ধাপে আসবে। সেটিও দ্রুত হাতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি ও পরে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো, চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ড, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড, রামপুরায় হত্যাকাণ্ড ও কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা।
অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সাবেক-বর্তমান বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রামপুরায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলাও অভিযোগ গঠনের জন্য রয়েছে। তদন্ত চলছে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, জাহাজবাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যাকাণ্ড, গুম-নির্যাতন, উত্তরায় হত্যাকাণ্ড, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে হৃদয় হত্যাকাণ্ড, মহাখালী-তেজগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার।
এ ছাড়া কক্সবাজারে কাউন্সিলর একরাম হত্যা, চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যাসহ রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী ও লক্ষ্মীপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা পৃথক মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
১১ দিন আগে
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) এই আবেদন...
১০ ঘণ্টা আগে
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
শুনানির শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। পরে আসামিপক্ষ থেকে আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
একই সময় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির না করে ভার্চুয়ালি শুনানি করতে করা আবেদনের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী ড. তাবারক হোসেন। তবে শুনানি শেষে দৃশ্যমান বিচারের স্বার্থে আবেদন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত বলেন, আইন সবার জন্য সমান।
শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ আসামিদের সকাল সোয়া ১০টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাঁদের হাজির উপলক্ষে সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা এজলাসে আসেন দুপুর পৌনে ১২টায়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
শুনানির শুরুতে চিফ প্রসিকিউটর এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। পরে আসামিপক্ষ থেকে আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
একই সময় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির না করে ভার্চুয়ালি শুনানি করতে করা আবেদনের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী ড. তাবারক হোসেন। তবে শুনানি শেষে দৃশ্যমান বিচারের স্বার্থে আবেদন নামঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। আদালত বলেন, আইন সবার জন্য সমান।
শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আজ আসামিদের সকাল সোয়া ১০টার দিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তাঁদের হাজির উপলক্ষে সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা এজলাসে আসেন দুপুর পৌনে ১২টায়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
১১ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে...
৮ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) এই আবেদন...
১০ ঘণ্টা আগে
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করেন তিনি। অপর দিকে অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে পৃথক চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ-১—২০১৬ সালের ২৩ মে থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ জনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—তাজুল ইসলাম সুমন, আশিক উল আকবর, মাহমুদুল হাসান, নূরে আলম, মো. শরীয়তউল্ল্যাহ, মো. রাজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, রিজওয়ান মাহমুদ অনিক, মো. ফয়েজ ও মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী।
১ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেনজীর আহমেদ, আনোয়ার লতিফ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. মাহাবুব আলম ও মো. সারোয়ার বিন কাশেমকে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এবং বিরোধী দল ও মত নির্মূল করার লক্ষ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক মাত্রায়, লক্ষ্যভিত্তিক এবং পদ্ধতিগতভাবে অবৈধ আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এর অংশ হিসেবে উল্লিখিত ১১ জনকে আসামিরা আটক করে অপহরণপূর্বক র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের বন্দিশালা টিএফআই সেলে নির্যাতন করেছে।
অভিযোগ-২—২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, সোহেল রানা, মেহেদী হাসান ডলার ও মো. শফিকুল ইসলাম।
২ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার, কে এম আজাদ, সারোয়ার বিন কাশেম, মো. খায়রুল ইসলাম ও মো. মশিউর রহমান জুয়েলকে।
অভিযোগ ৩—২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জুন পর্যন্ত দুজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান ও সোহেল রানা।
৩ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, এম খুরশিদ হোসেন, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।
অভিযোগ ৪—২০২৪ সালের ৫ জুন থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত একজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিংয়ে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমানকে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মোমেন ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।
এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করেন তিনি। অপর দিকে অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে পৃথক চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ-১—২০১৬ সালের ২৩ মে থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ জনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—তাজুল ইসলাম সুমন, আশিক উল আকবর, মাহমুদুল হাসান, নূরে আলম, মো. শরীয়তউল্ল্যাহ, মো. রাজিবুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, রিজওয়ান মাহমুদ অনিক, মো. ফয়েজ ও মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী।
১ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, বেনজীর আহমেদ, আনোয়ার লতিফ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. মাহাবুব আলম ও মো. সারোয়ার বিন কাশেমকে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এবং বিরোধী দল ও মত নির্মূল করার লক্ষ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক মাত্রায়, লক্ষ্যভিত্তিক এবং পদ্ধতিগতভাবে অবৈধ আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এর অংশ হিসেবে উল্লিখিত ১১ জনকে আসামিরা আটক করে অপহরণপূর্বক র্যাব গোয়েন্দা বিভাগের বন্দিশালা টিএফআই সেলে নির্যাতন করেছে।
অভিযোগ-২—২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান, সাইফুল ইসলাম তারেক, সোহেল রানা, মেহেদী হাসান ডলার ও মো. শফিকুল ইসলাম।
২ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার, কে এম আজাদ, সারোয়ার বিন কাশেম, মো. খায়রুল ইসলাম ও মো. মশিউর রহমান জুয়েলকে।
অভিযোগ ৩—২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জুন পর্যন্ত দুজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিং ও র্যাব-১-এর কম্পাউন্ডে পুরোনো অস্ত্রাগারসংলগ্ন দ্বিতল ভবনে অবস্থিত টিএফআই সেলে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এখানে যাঁদের গুম করে রাখা হয়েছিল, তাঁরা হলেন—ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমান ও সোহেল রানা।
৩ নম্বর অভিযোগে আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, এম খুরশিদ হোসেন, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, মশিউর রহমান জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।
অভিযোগ ৪—২০২৪ সালের ৫ জুন থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত একজনকে আটক, অপহরণ ও গুম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ। র্যাবের সদর দপ্তর কার্গো অ্যাডমিন বিল্ডিংয়ে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম আরমানকে আটক রেখে এই নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মোমেন ও সাইফুল ইসলাম সুমনকে।
এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক রয়েছেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
১১ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে...
৮ ঘণ্টা আগে
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) দায়িত্ব পালনকালে বেআইনি সিদ্ধান্তের জেরে রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিটিআরসির সাবেক তিন চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে কমিশন মামলার অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির সাবেক কর্মকর্তাদের বেআইনি সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্রের বিশাল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, শাহজাহান মাহমুদ ও মো. জহুরুল হক; বিটিআরসির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, বিটিআরসির সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
দুদক বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ০.০৩ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ০.০১৫ ডলার করা হয়। একই সঙ্গে বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ার ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং IGW অপারেটরদের শেয়ার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। পরীক্ষামূলক এক বছর পর এই হার বহাল রাখার কোনো অনুমোদন না থাকলেও তা বেআইনিভাবে ২৮ মাস ধরে কার্যকর রাখা হয়।
এই অনিয়মের ফলে রেভিনিউ শেয়ারে ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। কম রেটে কল আনায় ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে ৭২ লাখ ১০ হাজার ৯৬৯ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিসহ সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
রাষ্ট্রের এই বিপুল ক্ষতি, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) দায়িত্ব পালনকালে বেআইনি সিদ্ধান্তের জেরে রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিটিআরসির সাবেক তিন চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে কমিশন মামলার অনুমোদন দিয়েছে। বিটিআরসির সাবেক কর্মকর্তাদের বেআইনি সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্রের বিশাল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, শাহজাহান মাহমুদ ও মো. জহুরুল হক; বিটিআরসির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, বিটিআরসির সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকালে এসব কর্মকর্তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও গাইডলাইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (IGW) অপারেটরদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
দুদক বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ০.০৩ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ০.০১৫ ডলার করা হয়। একই সঙ্গে বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ার ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং IGW অপারেটরদের শেয়ার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। পরীক্ষামূলক এক বছর পর এই হার বহাল রাখার কোনো অনুমোদন না থাকলেও তা বেআইনিভাবে ২৮ মাস ধরে কার্যকর রাখা হয়।
এই অনিয়মের ফলে রেভিনিউ শেয়ারে ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। কম রেটে কল আনায় ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৯৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে ৭২ লাখ ১০ হাজার ৯৬৯ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিসহ সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
রাষ্ট্রের এই বিপুল ক্ষতি, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হলো।

সংবিধানই বিচার বিভাগের বৈধতার বাতিঘর। বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে কোনো সংস্কার টিকবে না বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেওয়া এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদার সুরক্ষিত খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত।
১১ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে (গত বছরের জুলাই-আগস্ট) সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশন এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে কয়েক দিনের মধ্যে...
৮ ঘণ্টা আগে
গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কর্মকর্তাদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) এই আবেদন...
১০ ঘণ্টা আগে