Ajker Patrika

আলোচিত সেই বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চিঠি দিচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ২০: ৪৬
আলোচিত সেই বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চিঠি দিচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

১১ নভেম্বর ওই মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশকে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। এমনকি আলামত না পেলে মামলা না নেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে আজ সাংবাদিকেরা আইনমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ওনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অবজারভেশনে (পর্যবেক্ষণ) এ-সম্পর্কিত উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এ নিয়ে বলতে পারি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। বাংলাদেশের আইনে এ ধরনের ফৌজদারি অপরাধে মামলা দায়েরের কোনো সময়সীমা নেই। এই কারণে আগামীকাল (রোববার) প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে জন্য একটা চিঠি লিখছি।’ 

১১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার। রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে কিছু পরামর্শ দেন। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলে ধর্ষণের আলামত থাকে না। এরপর কোনো ভিকটিম মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশকে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে মামলা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, ধর্ষণের আলামত না পেলে পুলিশ যেন কোনো মামলা গ্রহণ না করে। এ ধরনের মামলায় অযথা আদালতের সময় নষ্ট হয়। 

ট্রাইব্যুনাল বলেন, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের এই মামলাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। এই মামলায় বিচার করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এই সময়ে আরও অনেক মামলা নিষ্পত্তি করা যেত। অথচ বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনাস্থলের কোনো আলামত নেই। এ ধরনের মামলা গ্রহণ করে এবং তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে জনগণের সময় নষ্ট করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেন। 

পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনো আলামত ছাড়া, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ ছাড়া এই অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

‘৫ মিনিট রুলস’ যেভাবে ইলন মাস্কের জীবনে সাফল্য আনল

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বাজার দখলের চেষ্টা ভারতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত