নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ (জুলাই চার্টার) বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি ঐকমত্য না হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কমিশন একাধিক সুপারিশ বা প্রস্তাব পেশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আয়োজিত সংলাপের চতুর্থ দিনে তিনি এই তথ্য জানান।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ উল্লেখ করেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই ছয়টি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি এটিকে একটি জায়গায় আনা যায়, উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি একটি প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সানন্দে সেই প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলগুলো একটি একক প্রস্তাবে একমত হলে কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানাবে যে, এটিই বাস্তবায়নের পথ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাজের অগ্রগতি নিয়ে সর্বদা খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিশেষ করে সনদের জায়গায় এটিকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সবার স্বাক্ষরিত একটি রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করার বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন।’
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, অবশ্যই ১৫ অক্টোবরের আগে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক ব্যস্ততা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই কমিশন তার মেয়াদের আগেই অর্থাৎ ১৫ অক্টোবরের আগে কাজ শেষ করতে চায়।’
আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, সম্মিলিতভাবে কোনো প্রস্তাব দিতে পারলে কমিশন সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। তিনি প্রত্যাশা করেন, আজকের সংলাপে দলগুলো সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে।
তিনি বলেন, যদি ৩০টি রাজনৈতিক দল আজকেই একটি বিষয়ে একমত হয়, তবে আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাদা করে বসার প্রয়োজন হবে না। তবে প্রয়োজন হলে, আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসা হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি দেশের মানুষের কাছে কমিশনের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণ দিয়ে, তাদের রক্ত দিয়ে আমাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছে। আপনারা তার অংশীদার।’
আলী রীয়াজ বলেন, কর্মীদের ১৬ বছরের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন এবং জীবনদানের বিনিময়ে নাগরিকেরা একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রত্যাশা করেন, যেখানে তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। তিনি এটিকে কেবল দায়িত্ব নয়, ‘দায়’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘কেবল সনদ স্বাক্ষর করাই এই দায়ের শেষ নয়, বরং সবাইকে মিলে এই রাষ্ট্রের সংস্কার এবং কাঠামোগত পরিবর্তনের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘প্রাণের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি। আমরা যেন বিস্তৃত না হই। দলের চেয়ে সবচেয়ে বড় হচ্ছে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া।
জুলাই সনদ (জুলাই চার্টার) বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি ঐকমত্য না হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কমিশন একাধিক সুপারিশ বা প্রস্তাব পেশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আয়োজিত সংলাপের চতুর্থ দিনে তিনি এই তথ্য জানান।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ উল্লেখ করেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই ছয়টি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে যদি এটিকে একটি জায়গায় আনা যায়, উপস্থিত ৩০টি রাজনৈতিক দল যদি একটি প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সানন্দে সেই প্রস্তাব উপস্থাপন করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলগুলো একটি একক প্রস্তাবে একমত হলে কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানাবে যে, এটিই বাস্তবায়নের পথ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাজের অগ্রগতি নিয়ে সর্বদা খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বিশেষ করে সনদের জায়গায় এটিকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সবার স্বাক্ষরিত একটি রাজনৈতিক দলিলে পরিণত করার বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন।’
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, অবশ্যই ১৫ অক্টোবরের আগে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাংগঠনিক ব্যস্ততা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই কমিশন তার মেয়াদের আগেই অর্থাৎ ১৫ অক্টোবরের আগে কাজ শেষ করতে চায়।’
আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, সম্মিলিতভাবে কোনো প্রস্তাব দিতে পারলে কমিশন সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। তিনি প্রত্যাশা করেন, আজকের সংলাপে দলগুলো সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে।
তিনি বলেন, যদি ৩০টি রাজনৈতিক দল আজকেই একটি বিষয়ে একমত হয়, তবে আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাদা করে বসার প্রয়োজন হবে না। তবে প্রয়োজন হলে, আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসা হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি দেশের মানুষের কাছে কমিশনের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণ দিয়ে, তাদের রক্ত দিয়ে আমাদের একটা দায়িত্ব দিয়েছে। আপনারা তার অংশীদার।’
আলী রীয়াজ বলেন, কর্মীদের ১৬ বছরের জেল-জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন এবং জীবনদানের বিনিময়ে নাগরিকেরা একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রত্যাশা করেন, যেখানে তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। তিনি এটিকে কেবল দায়িত্ব নয়, ‘দায়’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘কেবল সনদ স্বাক্ষর করাই এই দায়ের শেষ নয়, বরং সবাইকে মিলে এই রাষ্ট্রের সংস্কার এবং কাঠামোগত পরিবর্তনের জায়গাটা তৈরি করতে হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘প্রাণের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি। আমরা যেন বিস্তৃত না হই। দলের চেয়ে সবচেয়ে বড় হচ্ছে নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্ন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. আইয়ুব মিয়া।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
১১ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
১১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
১১ ঘণ্টা আগে