নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসার জন্য অসুস্থ মাকে নিয়ে ভৈরব থেকে ট্রেনে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন শাহ পরান নামের এক যাত্রী। মাকে প্ল্যাটফর্মের বাইরে অপেক্ষমাণ গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে একটি হুইলচেয়ারের খুব দরকার ছিল তাঁর। এ জন্য স্টেশনে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, এখন কোনো হুইলচেয়ার ফাঁকা নেই। সাধারণ যাত্রীদের জন্য রাখা একমাত্র হুইলচেয়ারটি অন্য একজন নিয়ে গেছে। শাহ পরান যখন অপেক্ষা করছিলেন, ততক্ষণে আরও দুজন অসুস্থ যাত্রীর জন্য হুইলচেয়ার নিতে সেখানে জড়ো হন স্বজনেরা।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর মায়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত হুইলচেয়ারটি পেলেন শাহ পরান। এরপর শুরু হয় কুলির সঙ্গে দেনদরবার। অবশেষে ২৩০ টাকার বিনিময়ে ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে অসুস্থ এই যাত্রীকে স্টেশনের সামনে অপেক্ষমাণ একটি গাড়িতে তুলে দেন কুলি।
যাত্রীসেবায় এমন বিড়ম্বনার শিকার শাহ পরান অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হুইলচেয়ার পাওয়া অসুস্থ যাত্রীর নাগরিক অধিকার। কিন্তু দেশের প্রধান রেলস্টেশনে যদি এ দশা হয়, তবে বাকিগুলোর কী অবস্থা বুঝে নেন।
আরেক যাত্রী ইমদাদুল হক টুটুল তাঁর অসুস্থ ভাইকে ট্রেনে করে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর পাঠাতে এসেছিলেন স্টেশনে। হুইলচেয়ার না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন তিনিও। এ বিষয়ে টুটুল বলেন, ‘আমাদের নাগরিক সেবা লঙ্ঘিত হচ্ছে। আর যাত্রীসেবা তো নেই বললেই চলে। ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করলে কিংবা কুলিদের বেশি টাকা দিলে ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। নতুবা ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ সাধারণ যাত্রীদের।’
হুইলচেয়ার পেতে অসুস্থ যাত্রীদের এমন বিড়ম্বনার দৃশ্য দেখার পর কমলাপুর রেলস্টেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে কমলাপুর স্টেশনে মোট তিনটা হুইলচেয়ার সচল আছে। এর মধ্যে একটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য। বাকি দুইটি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য। এ ছাড়া যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য আছে ২০টি ট্রলি। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এসব হুইলচেয়ার ও ট্রলি পরিচালনা করে না। স্টেশনের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার আগে একটি জায়গায় এগুলো নিয়ে বসেন মো. ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি। যাত্রীরা তাঁর কাছে গেলেই ট্রলি বা হুইলচেয়ার পাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় তা পাচ্ছেন না।
না পাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ১০ দিন ধরে সাধারণ যাত্রীদের একটি মাত্র হুইলচেয়ার দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আরও ৭ থেকে ৮টা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে রেলের স্টোর রুমে। নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা হুইলচেয়ার মেরামত করে চালানোর উপযোগী নয়।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, হুইলচেয়ার যাত্রী নিজে ব্যবহার করলে ১০ টাকা এবং কুলি নিলে ২০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র হচ্ছে, একটি মাত্র হুইলচেয়ারটিও কুলিদের দখলে থাকে। আর কোনো যাত্রী যখন কুলিদের মাধ্যমে হুইলচেয়ার নেন, তখন তাঁকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
এ বিষয়ে ট্রলি ও হুইলচেয়ার পরিচালনাকারী মো. ইসমাইল আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রীরা যদি নিজেরা হুইলচেয়ারে করে রোগীকে নিয়ে যান, তখন তো কুলির প্রয়োজন পড়ে না। আর বাড়তি টাকাও লাগে না।
কমলাপুর রেলস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন লাখো যাত্রী যাতায়াত করেন। এর মধ্যে অনেক অসুস্থ যাত্রীও থাকেন, যাঁদের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাতে বা প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হতে হুইলচেয়ারের খুব প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এ-সংখ্যক যাত্রীর জন্য মাত্র তিনটি হুইলচেয়ার কেন, জানতে চাইলে কমলাপুরের স্টেশনমাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, স্টেশনে ২০টি হুইলচেয়ার লাগবে, এমন চাহিদার কথা এরই মধ্যে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের কিছু হুইলচেয়ার ছিল। সেগুলো এখন নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ১০ থেকে ২০টি হুইলচেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, অসুস্থ রোগী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় হুইলচেয়ার কিনতে আলাদাভাবে থাকে না কোনো বাজেট। ফলে প্রয়োজন হলে ম্যানেজ করা হয় বা নতুন করে হুইলচেয়ার কেনে রেলওয়ে। একসময় কমলাপুরে ১৬টি হুইলচেয়ার ছিল, পর্যায়ক্রমে প্রায় সবগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলাপুরে হুইলচেয়ার যদি অকেজো হয়ে পড়ে থাকে, তাহলে যাত্রী সুবিধার জন্য সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করব। তা না হলে নতুন করে কিনতে হবে। তবে আমরা বেশ কিছু স্টেশন আধুনিকায়ন করছি। সব স্টেশনেই হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
চিকিৎসার জন্য অসুস্থ মাকে নিয়ে ভৈরব থেকে ট্রেনে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন শাহ পরান নামের এক যাত্রী। মাকে প্ল্যাটফর্মের বাইরে অপেক্ষমাণ গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে একটি হুইলচেয়ারের খুব দরকার ছিল তাঁর। এ জন্য স্টেশনে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়, এখন কোনো হুইলচেয়ার ফাঁকা নেই। সাধারণ যাত্রীদের জন্য রাখা একমাত্র হুইলচেয়ারটি অন্য একজন নিয়ে গেছে। শাহ পরান যখন অপেক্ষা করছিলেন, ততক্ষণে আরও দুজন অসুস্থ যাত্রীর জন্য হুইলচেয়ার নিতে সেখানে জড়ো হন স্বজনেরা।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষার পর মায়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত হুইলচেয়ারটি পেলেন শাহ পরান। এরপর শুরু হয় কুলির সঙ্গে দেনদরবার। অবশেষে ২৩০ টাকার বিনিময়ে ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে অসুস্থ এই যাত্রীকে স্টেশনের সামনে অপেক্ষমাণ একটি গাড়িতে তুলে দেন কুলি।
যাত্রীসেবায় এমন বিড়ম্বনার শিকার শাহ পরান অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, হুইলচেয়ার পাওয়া অসুস্থ যাত্রীর নাগরিক অধিকার। কিন্তু দেশের প্রধান রেলস্টেশনে যদি এ দশা হয়, তবে বাকিগুলোর কী অবস্থা বুঝে নেন।
আরেক যাত্রী ইমদাদুল হক টুটুল তাঁর অসুস্থ ভাইকে ট্রেনে করে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর পাঠাতে এসেছিলেন স্টেশনে। হুইলচেয়ার না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন তিনিও। এ বিষয়ে টুটুল বলেন, ‘আমাদের নাগরিক সেবা লঙ্ঘিত হচ্ছে। আর যাত্রীসেবা তো নেই বললেই চলে। ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করলে কিংবা কুলিদের বেশি টাকা দিলে ভিআইপি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। নতুবা ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ সাধারণ যাত্রীদের।’
হুইলচেয়ার পেতে অসুস্থ যাত্রীদের এমন বিড়ম্বনার দৃশ্য দেখার পর কমলাপুর রেলস্টেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে কমলাপুর স্টেশনে মোট তিনটা হুইলচেয়ার সচল আছে। এর মধ্যে একটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য। বাকি দুইটি ভিআইপি যাত্রীদের জন্য। এ ছাড়া যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য আছে ২০টি ট্রলি। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এসব হুইলচেয়ার ও ট্রলি পরিচালনা করে না। স্টেশনের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার আগে একটি জায়গায় এগুলো নিয়ে বসেন মো. ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি। যাত্রীরা তাঁর কাছে গেলেই ট্রলি বা হুইলচেয়ার পাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় তা পাচ্ছেন না।
না পাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ১০ দিন ধরে সাধারণ যাত্রীদের একটি মাত্র হুইলচেয়ার দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আরও ৭ থেকে ৮টা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে রেলের স্টোর রুমে। নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা হুইলচেয়ার মেরামত করে চালানোর উপযোগী নয়।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, হুইলচেয়ার যাত্রী নিজে ব্যবহার করলে ১০ টাকা এবং কুলি নিলে ২০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র হচ্ছে, একটি মাত্র হুইলচেয়ারটিও কুলিদের দখলে থাকে। আর কোনো যাত্রী যখন কুলিদের মাধ্যমে হুইলচেয়ার নেন, তখন তাঁকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
এ বিষয়ে ট্রলি ও হুইলচেয়ার পরিচালনাকারী মো. ইসমাইল আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রীরা যদি নিজেরা হুইলচেয়ারে করে রোগীকে নিয়ে যান, তখন তো কুলির প্রয়োজন পড়ে না। আর বাড়তি টাকাও লাগে না।
কমলাপুর রেলস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন লাখো যাত্রী যাতায়াত করেন। এর মধ্যে অনেক অসুস্থ যাত্রীও থাকেন, যাঁদের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাতে বা প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হতে হুইলচেয়ারের খুব প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এ-সংখ্যক যাত্রীর জন্য মাত্র তিনটি হুইলচেয়ার কেন, জানতে চাইলে কমলাপুরের স্টেশনমাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, স্টেশনে ২০টি হুইলচেয়ার লাগবে, এমন চাহিদার কথা এরই মধ্যে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের কিছু হুইলচেয়ার ছিল। সেগুলো এখন নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ১০ থেকে ২০টি হুইলচেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, অসুস্থ রোগী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় হুইলচেয়ার কিনতে আলাদাভাবে থাকে না কোনো বাজেট। ফলে প্রয়োজন হলে ম্যানেজ করা হয় বা নতুন করে হুইলচেয়ার কেনে রেলওয়ে। একসময় কমলাপুরে ১৬টি হুইলচেয়ার ছিল, পর্যায়ক্রমে প্রায় সবগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলাপুরে হুইলচেয়ার যদি অকেজো হয়ে পড়ে থাকে, তাহলে যাত্রী সুবিধার জন্য সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করব। তা না হলে নতুন করে কিনতে হবে। তবে আমরা বেশ কিছু স্টেশন আধুনিকায়ন করছি। সব স্টেশনেই হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর হঠাৎ বিদেশযাত্রা ও বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে যে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল, দেশে ফিরে সেটির অবসান ঘটালেন তিনি।
৪২ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি নিয়ে দেশ-বিদেশে জোর আলোচনা চললেও সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর জবাবে ড. ইউনূসও নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে তিনি ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে