বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন এমন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি যেগুলোতে কম অর্থের প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত সম্পন্নের জন্য সকল মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাইয়ের সময় সে বিষয়টা আমাদের একটু দেখা দরকার, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারি।’
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব প্রকল্প অল্প খরচ করলেই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। তাহলে আমরা আবার নতুন প্রকল্প নিতে পারব। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে আমার মনে হয়, সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কারণ দ্রুত শেষ না করলে খরচ যেমন বাড়ে, তেমনি অহেতুক কালক্ষেপণ হয়, সেটা যেন আর না হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সে বিষয়টা আমাদের একটু দেখা দরকার, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বৈশ্বিক কারণেই কিছু অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে, তাছাড়া আমরা খুব ভালোভাবেই এগোচ্ছিলাম। আমাদের প্রবৃদ্ধিও সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দেশের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হচ্ছিল। এ সময় কোভিড-১৯ অতিমারি আসায় বিশ্বব্যাপী সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ল। এরপর যখন আমরা এটি মোকাবিলা করে এর থেকে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি, তখনই এল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশন, এখন আবার গাজায় যেভাবে গণহত্যা চলছে এবং আক্রমণ চলছে, বিশ্বব্যাপীই একটি অশান্ত পরিবেশ। যার কারণে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়ও বেশি লেগে যাচ্ছে। বহির্বিশ্বের নানা কারণে চাপটা আমাদের ওপরও এসে পড়েছে।’
যে কারণে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তিনি এ সময় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি জলাভূমিগুলোতে মাছ চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তাঁর নিজের এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া) সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছেন। যারা অনুপস্থিত মালিক তারা একটা অংশ পাবে কিন্তু তাদের অংশটা একটু কম হবে, যারা শ্রম দেবে তারা একটা অংশ পাবে আর সমবায়ের জন্য একটা অংশ থাকবে। যাতে করে খরচটা চালানো যায়। তিনি বলেন, ‘আমি এটা করে যাচ্ছি এবং আমি মনে করি, এটাতে সফল হতে পারলে এবং সারা বাংলাদেশে এটা চালু করে দিতে পারলে কোনো জমি আর অনাবাদি থাকবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস আমাদের বাইরে থেকে আনতেই হয়। তারপরেও সার্বিক উৎপাদন বাড়ানো গেলে এর শুভ ফলটা জনগণ পাবে, অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।’ তিনি উদাহরণ দেন, তাঁর সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন দেশের প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। কিন্তু এবারের আমাদের যে পরিমাণ সরষে হয়েছে তাতে ৪০ শতাংশ আমরা এই সরষের তেল দিয়ে বা ধানের তুষ থেকে সৃষ্ট রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন করছি, এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তাছাড়া মাছ, মাংস, দুধ ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে এবং মানুষের এগুলো গ্রহণের হারটাও বেড়েছে। যাঁরা আগে আমিষ খাবারের কথা চিন্তা করতেন না, এখন তাঁরাও নিচ্ছেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নটা আমাদের দরকার। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন এমন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি যেগুলোতে কম অর্থের প্রয়োজন, সেগুলো দ্রুত সম্পন্নের জন্য সকল মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাইয়ের সময় সে বিষয়টা আমাদের একটু দেখা দরকার, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারি।’
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব প্রকল্প অল্প খরচ করলেই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। তাহলে আমরা আবার নতুন প্রকল্প নিতে পারব। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে আমার মনে হয়, সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কারণ দ্রুত শেষ না করলে খরচ যেমন বাড়ে, তেমনি অহেতুক কালক্ষেপণ হয়, সেটা যেন আর না হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সে বিষয়টা আমাদের একটু দেখা দরকার, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বৈশ্বিক কারণেই কিছু অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে, তাছাড়া আমরা খুব ভালোভাবেই এগোচ্ছিলাম। আমাদের প্রবৃদ্ধিও সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দেশের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হচ্ছিল। এ সময় কোভিড-১৯ অতিমারি আসায় বিশ্বব্যাপী সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ল। এরপর যখন আমরা এটি মোকাবিলা করে এর থেকে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি, তখনই এল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশন, এখন আবার গাজায় যেভাবে গণহত্যা চলছে এবং আক্রমণ চলছে, বিশ্বব্যাপীই একটি অশান্ত পরিবেশ। যার কারণে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়ও বেশি লেগে যাচ্ছে। বহির্বিশ্বের নানা কারণে চাপটা আমাদের ওপরও এসে পড়েছে।’
যে কারণে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তিনি এ সময় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি জলাভূমিগুলোতে মাছ চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তাঁর নিজের এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া) সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছেন। যারা অনুপস্থিত মালিক তারা একটা অংশ পাবে কিন্তু তাদের অংশটা একটু কম হবে, যারা শ্রম দেবে তারা একটা অংশ পাবে আর সমবায়ের জন্য একটা অংশ থাকবে। যাতে করে খরচটা চালানো যায়। তিনি বলেন, ‘আমি এটা করে যাচ্ছি এবং আমি মনে করি, এটাতে সফল হতে পারলে এবং সারা বাংলাদেশে এটা চালু করে দিতে পারলে কোনো জমি আর অনাবাদি থাকবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস আমাদের বাইরে থেকে আনতেই হয়। তারপরেও সার্বিক উৎপাদন বাড়ানো গেলে এর শুভ ফলটা জনগণ পাবে, অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।’ তিনি উদাহরণ দেন, তাঁর সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন দেশের প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। কিন্তু এবারের আমাদের যে পরিমাণ সরষে হয়েছে তাতে ৪০ শতাংশ আমরা এই সরষের তেল দিয়ে বা ধানের তুষ থেকে সৃষ্ট রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন করছি, এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তাছাড়া মাছ, মাংস, দুধ ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে এবং মানুষের এগুলো গ্রহণের হারটাও বেড়েছে। যাঁরা আগে আমিষ খাবারের কথা চিন্তা করতেন না, এখন তাঁরাও নিচ্ছেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নটা আমাদের দরকার। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনলাইন কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।
৪০ মিনিট আগেজাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৬ মে থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন বাসমালিকেরা। ২৯ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যাত্রার টিকিট এই অগ্রিম বিক্রির আওতায় থাকবে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে আলী রীয়াজ বলেন, শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
৩ ঘণ্টা আগে