আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
একসময় ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) পদায়নকে গর্বের মনে করতেন পুলিশ সদস্যরা। তাই ডিএমপিতে বদলি হতে চেষ্টা, তদবির, চিঠি, সুপারিশের অন্ত ছিল না। অথচ এখন ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের অনেক অধস্তন সদস্য ঢাকার বাইরে বদলি হতে চাইছেন। পুলিশ সদর দপ্তরে ডিএমপি থেকে ঢাকার বাইরে বদলি চেয়ে সাড়ে সাত হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বদলির আবেদনকারী এই সদস্যদের মধ্যে আছেন কনস্টেবল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ডিএমপির চাকরিতে এখন কাজের চাপ ও মানসিক চাপ দুটিই বেশি। এ জন্য তাঁরা রাজধানীর বাইরে যেতে চাইছেন।
আবেদনের এই হিড়িকে পুলিশ সদর দপ্তর এ মুহূর্তে কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের বদলির সব আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএমপি থেকে কাউকে সরানো যাবে না বলে সব বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এরপরও চেষ্টা-তদবির থামছে না।
সূত্র বলেছে, গত বছর জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনাবলি ডিএমপির অধস্তন পুলিশ সদস্যদের মানসিকতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আন্দোলন চলাকালে এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে সবচেয়ে বেশি পুলিশের স্থাপনায় হামলা হয় রাজধানীতে।
কয়েকটি থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও লুট করা হয়। সহিংসতায় নিহত হন পুলিশের ৪৪ সদস্য। এসব ঘটনায় এবং সমালোচনায় মনোবল হারিয়েছে পুলিশ।
৫ আগস্টের পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ৫৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। ডিএমপিতেও রদবদল হয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের পর শুরু হয়েছে বিভিন্ন দাবিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন। গত জুলাই থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীতে অন্তত ১৭৯টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এক দিনে সর্বোচ্চ ১৭টি স্থানে একসঙ্গে বিক্ষোভও হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। কখনো আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গের জন্য করতে হয়েছে লাঠিপেটা। ছুড়তে হয়েছে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড। হয়েছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
৭ এপ্রিল শিক্ষা ভবনের সামনে বিলুপ্ত বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক আটকে রাখলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক কনস্টেবল। ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখার এই সদস্যরা কিছুক্ষণ আগে মারমুখী ছিলেন। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের একজন বলেন, প্রতিদিন এটা ভালো লাগে না। কিন্তু আদেশ মানতে হবে। পরিবার কোনো ঝামেলায় না জড়াতে বলেছে। ঢাকায় কোনো আন্দোলন হলেই তাঁর মা ফোন দিয়ে কাঁদেন। সাবধানে থাকতে বলেন। কথা বলার সময় তাঁর চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তি, হতাশা।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ডিএমপির মোট অনুমোদিত সদস্য ৩২ হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে এসআই ২ হাজার ৫০০, সার্জেন্ট ১ হাজার ৩৩, এসআই (সশস্ত্র) ৪৮৯, টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ৬৮, এএসআই ৪ হাজার ৮৬, সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ২৩৮, নায়েক ১ হাজার ৫৫৪ এবং কনস্টেবল ২২ হাজার ৪২ জন। ডিএমপিতে কর্মরতদের ৫ আগস্টের পর ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে অন্য সদস্যদের ডিএমপিতে আনা হয়। ওই সদস্যরাই কয়েক মাস পরই ঢাকায় থাকতে চাইছেন না।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ডিএমপির সাড়ে ৭ হাজারের বেশি সদস্য বদলির জন্য আবেদন করেছেন। যাঁদের বেশির ভাগ কনস্টেবল ও এএসআই। এসআইরাও রয়েছেন। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য রেঞ্জ, মহানগর ও ইউনিট থেকেও বদলির অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে। ১২ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ডিসেম্বর পর্যন্ত সবার আবেদন বাতিল করা হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিভিন্ন স্মারকের মূলে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত পদের পুলিশ সদস্য, যাঁরা অন্যত্র বদলি হওয়ার আবেদন করেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের আবেদন বিবেচিত হয়নি। শুধু পিআরএলে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়। রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ও ইউনিটের সব কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের এই তথ্য জানাতে বলা হয়। এরপরও কেউ অন্যত্র বদলি হতে চাইলে তাঁদের আবার আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯ মার্চ ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত আরেক নির্দেশনায় কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত বদলির বিষয়ে আবার আবেদন বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, এতসংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় সব আবেদন মূল্যায়ন করলে বিভিন্ন ইউনিটে ফোর্স ও জনবলের ঘাটতি হতো। তাই সমন্বয় করে সব সময় বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
অবশ্য পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগ বলছে, বদলির এই আবেদন স্বাভাবিক।
ডিএমপির সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর ডিএমপির কনস্টেবল থেকে কমিশনার পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিএমপিতে ঢাকার বাইরের ইউনিট, রেঞ্জ ও বিভাগ থেকে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়। তাঁদের অনেকের পরিবার, সন্তান ও বাবা-মা বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন। সন্তানেরা আগের কর্মস্থলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। তাই বেশির ভাগ সদস্য আবার বদলি হতে চাইছেন। রাজধানীতে একজন কনস্টেবল দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি বাড়িভাড়া পান। এই সুবিধার চেয়ে বেশির ভাগ আবেদনকারী পরিবারের সঙ্গে থাকাটাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বদলির আবেদনেও পরিবারের সঙ্গে থাকার কথাই বলেছেন তাঁরা।
সূত্র জানায়, একই জায়গায় পাঁচ বছরের বেশি চাকরি করছেন এমন এসআইদের তথ্য চেয়ে ২৪ ডিসেম্বর ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের হালনাগাদ তথ্য নেওয়া হয়। তথ্য সংগ্রহের পর গত দুই মাস ধরে তাঁদের রদবদল করা হচ্ছে।
ডিএমপির মুখপাত্র এবং জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মো. তালেবুর রহমান বলেন, অনেকে পারিবারিক কারণে যেতে চান। তবে অনেকে আবার থাকতেও চাইছেন। দুটি বিষয়ই রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
একসময় ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) পদায়নকে গর্বের মনে করতেন পুলিশ সদস্যরা। তাই ডিএমপিতে বদলি হতে চেষ্টা, তদবির, চিঠি, সুপারিশের অন্ত ছিল না। অথচ এখন ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশের অনেক অধস্তন সদস্য ঢাকার বাইরে বদলি হতে চাইছেন। পুলিশ সদর দপ্তরে ডিএমপি থেকে ঢাকার বাইরে বদলি চেয়ে সাড়ে সাত হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বদলির আবেদনকারী এই সদস্যদের মধ্যে আছেন কনস্টেবল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ডিএমপির চাকরিতে এখন কাজের চাপ ও মানসিক চাপ দুটিই বেশি। এ জন্য তাঁরা রাজধানীর বাইরে যেতে চাইছেন।
আবেদনের এই হিড়িকে পুলিশ সদর দপ্তর এ মুহূর্তে কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের বদলির সব আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএমপি থেকে কাউকে সরানো যাবে না বলে সব বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এরপরও চেষ্টা-তদবির থামছে না।
সূত্র বলেছে, গত বছর জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনাবলি ডিএমপির অধস্তন পুলিশ সদস্যদের মানসিকতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আন্দোলন চলাকালে এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে সবচেয়ে বেশি পুলিশের স্থাপনায় হামলা হয় রাজধানীতে।
কয়েকটি থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও লুট করা হয়। সহিংসতায় নিহত হন পুলিশের ৪৪ সদস্য। এসব ঘটনায় এবং সমালোচনায় মনোবল হারিয়েছে পুলিশ।
৫ আগস্টের পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ৫৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। ডিএমপিতেও রদবদল হয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের পর শুরু হয়েছে বিভিন্ন দাবিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন। গত জুলাই থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীতে অন্তত ১৭৯টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এক দিনে সর্বোচ্চ ১৭টি স্থানে একসঙ্গে বিক্ষোভও হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। কখনো আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গের জন্য করতে হয়েছে লাঠিপেটা। ছুড়তে হয়েছে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড। হয়েছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
৭ এপ্রিল শিক্ষা ভবনের সামনে বিলুপ্ত বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক আটকে রাখলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক কনস্টেবল। ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখার এই সদস্যরা কিছুক্ষণ আগে মারমুখী ছিলেন। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের একজন বলেন, প্রতিদিন এটা ভালো লাগে না। কিন্তু আদেশ মানতে হবে। পরিবার কোনো ঝামেলায় না জড়াতে বলেছে। ঢাকায় কোনো আন্দোলন হলেই তাঁর মা ফোন দিয়ে কাঁদেন। সাবধানে থাকতে বলেন। কথা বলার সময় তাঁর চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তি, হতাশা।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ডিএমপির মোট অনুমোদিত সদস্য ৩২ হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে এসআই ২ হাজার ৫০০, সার্জেন্ট ১ হাজার ৩৩, এসআই (সশস্ত্র) ৪৮৯, টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ৬৮, এএসআই ৪ হাজার ৮৬, সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর ২৩৮, নায়েক ১ হাজার ৫৫৪ এবং কনস্টেবল ২২ হাজার ৪২ জন। ডিএমপিতে কর্মরতদের ৫ আগস্টের পর ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে অন্য সদস্যদের ডিএমপিতে আনা হয়। ওই সদস্যরাই কয়েক মাস পরই ঢাকায় থাকতে চাইছেন না।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, গত অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ডিএমপির সাড়ে ৭ হাজারের বেশি সদস্য বদলির জন্য আবেদন করেছেন। যাঁদের বেশির ভাগ কনস্টেবল ও এএসআই। এসআইরাও রয়েছেন। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য রেঞ্জ, মহানগর ও ইউনিট থেকেও বদলির অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে। ১২ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ডিসেম্বর পর্যন্ত সবার আবেদন বাতিল করা হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বিভিন্ন স্মারকের মূলে কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত পদের পুলিশ সদস্য, যাঁরা অন্যত্র বদলি হওয়ার আবেদন করেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের আবেদন বিবেচিত হয়নি। শুধু পিআরএলে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের আবেদন বিবেচনায় নেওয়া হয়। রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন ও ইউনিটের সব কনস্টেবল, এএসআই ও এসআইদের এই তথ্য জানাতে বলা হয়। এরপরও কেউ অন্যত্র বদলি হতে চাইলে তাঁদের আবার আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯ মার্চ ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত আরেক নির্দেশনায় কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত বদলির বিষয়ে আবার আবেদন বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, এতসংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় সব আবেদন মূল্যায়ন করলে বিভিন্ন ইউনিটে ফোর্স ও জনবলের ঘাটতি হতো। তাই সমন্বয় করে সব সময় বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়।
অবশ্য পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশাসন বিভাগ বলছে, বদলির এই আবেদন স্বাভাবিক।
ডিএমপির সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর ডিএমপির কনস্টেবল থেকে কমিশনার পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিএমপিতে ঢাকার বাইরের ইউনিট, রেঞ্জ ও বিভাগ থেকে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়। তাঁদের অনেকের পরিবার, সন্তান ও বাবা-মা বিভিন্ন জেলায় রয়েছেন। সন্তানেরা আগের কর্মস্থলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। তাই বেশির ভাগ সদস্য আবার বদলি হতে চাইছেন। রাজধানীতে একজন কনস্টেবল দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেশি বাড়িভাড়া পান। এই সুবিধার চেয়ে বেশির ভাগ আবেদনকারী পরিবারের সঙ্গে থাকাটাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বদলির আবেদনেও পরিবারের সঙ্গে থাকার কথাই বলেছেন তাঁরা।
সূত্র জানায়, একই জায়গায় পাঁচ বছরের বেশি চাকরি করছেন এমন এসআইদের তথ্য চেয়ে ২৪ ডিসেম্বর ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের হালনাগাদ তথ্য নেওয়া হয়। তথ্য সংগ্রহের পর গত দুই মাস ধরে তাঁদের রদবদল করা হচ্ছে।
ডিএমপির মুখপাত্র এবং জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মো. তালেবুর রহমান বলেন, অনেকে পারিবারিক কারণে যেতে চান। তবে অনেকে আবার থাকতেও চাইছেন। দুটি বিষয়ই রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
আগামী জুলাই মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কাল বিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন—মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এই সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে।’
২ ঘণ্টা আগেসরকারি সফরে আজ বুধবার ঢাকা পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।
৩ ঘণ্টা আগেঅনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহকদের সেবা বঞ্চিত করা এবং অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের ৩৫টি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে একযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযান চলছে। আজ বুধবার সকালে দুদকের বিভিন্ন জেলার সমন্বিত কার্যালয় থেকে ৩৫টি এনফোর্সমেন্ট টিম পৃথকভাবে এসব অভিযান শুরু করে।
৩ ঘণ্টা আগে