আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে পপি ফুলের ক্রমবর্ধমান চাষ বাংলাদেশের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। কারণ, এই পপি ফুল থেকে তৈরি হয় আফিম; আফিম থেকে হেরোইন, ইয়াবা ও আইসের মতো ভয়ংকর সব মাদক। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারিরা ইয়াবা, হেরোইন ও আইসের মতো বাংলাদেশে আফিমেরও বাজার তৈরির পাশাপাশি অন্য দেশে পাচারের রুট বানানোর চেষ্টায় নেমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক পাচারকারীদের নতুন এই চেষ্টা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ, একটি অংশ ইতিমধ্যে ইয়াবা, হেরোইন ও আইসে আসক্ত। আফিম ঢুকলে কেউ কেউ এতে আসক্ত হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।
সূত্র জানায়, বান্দরবানে গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে আফিমের দুটি চালান ধরা পড়ার পর এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারণ, মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা এই পার্বত্য জেলায় নিকট অতীতে আফিমের চালান ধরা পড়েনি। মিয়ানমার থেকে মূলত ইয়াবা, হেরোইন, আইস পাচার হয়ে দেশে ঢোকে।
র্যাব সূত্র জানায়, বান্দরবানে ধরা পড়া ওই দুটি চালানে সাড়ে ৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের আফিম ছিল। এর মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি লামায় সাড়ে তিন কেজি এবং ১ এপ্রিল রোয়াংছড়ি থেকে আড়াই কেজি আফিম ধরা পড়ে। এ দুই চালানোর সঙ্গে স্থানীয় দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁরা আফিম এনেছিলেন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে। পরবর্তী বাহকের কাছে চালান হস্তান্তরের আগেই তাঁরা গ্রেপ্তার হন। এরপর আফিমের উৎস খুঁজতে মাঠে নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ইয়াবা, হেরোইন, আইসের পর মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিম পাচারের জন্যও বাংলাদেশকে রুট বানানোর চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারিরা। মিয়ানমারে আফিমের কাঁচামাল পপি ফুলের চাষ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টিও জানা যায়। মিয়ানমারের যেসব রাজ্যে পপি ফুলের চাষ হচ্ছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। মাদক চোরাচালানও গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনা ও নগদ অর্থের জন্য তারা মাদককে ব্যবহার করছে।
বিশ্বে একসময় পপি ফুলের চাষ ও আফিম উৎপাদনে শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। তবে দেশটিতে তালেবান সরকার ক্ষমতায় এসে পপি চাষ ও আফিম উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। গত তিন বছরে দেশটিতে পপি চাষ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। অন্যদিকে এই তিন বছরে পপি ফুলের চাষ বেড়েছে মিয়ানমারে।
গত ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত কার্যালয় (ইউএনওডিসি) মিয়ানমারের পপি চাষ ও আফিম উৎপাদনের ওপর একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তাশাসিত মিয়ানমারে ২০২১ সাল থেকে আবার আফিম উৎপাদন বেড়েছে। দেশটিতে ২০২১ সালে ৪২৩ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ৭৯৫, ২০২৩ সালে ১ হাজার ৮০ এবং ২০২৪ সালে ৯৯৫ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়। গত বছর যুদ্ধ আক্রান্ত শান রাজ্যে পপি চাষ ৪ শতাংশ কমলেও চলতি মৌসুমে আবার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে আফিম উৎপাদনে মিয়ানমার এখন শীর্ষে। দেশটির শান রাজ্যের উত্তর শান, দক্ষিণ শান ও পূর্ব শান, কাচিন, চিন ও কায়াহ রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় পপি ফুলের চাষ বেশি হয়। স্থানীয়ভাবে এর নাম ‘শান্তির ফুল’। ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রায় ৪৭ হাজার ১০০ হেক্টর এবং ২০২৪ সালে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পপি ফুলের চাষ হয়েছে। আফিম থেকে মিয়ানমার বছরে ১ বিলিয়ন থেকে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে, যা দেশটির ২০২২ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৭ থেকে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। দেশটি এই আয় আরও বাড়াতে চায়। পপি ফুল থেকে আফিম ছাড়াও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারে পপি চাষের এলাকাগুলো বর্তমানে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র কেনা ও নগদ অর্থ সংগ্রহের জন্য মাদক চোরাচালানে বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এটিই বাংলাদেশের জন্য বড় উদ্বেগের।
সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশকে বড় বাজার ও রুট বিবেচনায় নিয়ে মাদক উৎপাদন ও পাচার করে। কিন্তু এটি ঠেকাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রস্তুতি কম। মাদককে সহজলভ্য রেখে জনগণের ওপর দোষ চাপানো হয়। কিন্তু মাদকের রুট বন্ধ করতে পারলে ইয়াবা, আইস, আফিম—কোনো কিছুই দেশকে আক্রান্ত করতে পারত না। তিনি বলেন, মিয়ানমারের আফিম বাংলাদেশের জন্য নতুন আতঙ্ক। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে সব ধরনের অবৈধ কাজ করবে। মাদক ঠেকাতে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক একটি যোগাযোগ রাখা উচিত। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবান ও কক্সবাজার থেকে আফিম ও হেরোইন পাচার বেড়েছে। গত বছর ওই দুই সীমান্তে ৩১ কেজি আফিম এবং ২৬৪ কেজি ৮৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে বিজিবি। এ ছাড়া আফিম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের সাড়ে ১২ লাখ ইনজেকশনও জব্দ করে। ২০২২ সালে ৭২ কেজি ১৫৯ গ্রাম হেরোইন এবং ২০২৩ সালে ৩৩০ কেজি ৭৯৩ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে বিজিবি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিজিবির সূত্র বলছে, মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিম ও হেরোইনের মূল গন্তব্য বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ হলো পাচারের রুট। মিয়ানমারে এ দুটি মাদকের উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশে ঢুকছেও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ তৈরিতে প্রয়োজনীয় হওয়ায় ব্রাজিলসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে পপি ফুলের চাষের বৈধতা রয়েছে। তবে মিয়ানমার পপি চাষ হচ্ছে অবৈধভাবে এবং মাদক তৈরির জন্য। পপি ফুলের চাষ বৃদ্ধি কেবল দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। মিয়ানমার থেকে মাদক পাচার বৃদ্ধি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন নতুন মাদক বিভিন্ন ফরম্যাটে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করে চোরাকারবারিরা। এ বিষয়ে অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। তবে জনগণকেও এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে পপি ফুলের ক্রমবর্ধমান চাষ বাংলাদেশের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। কারণ, এই পপি ফুল থেকে তৈরি হয় আফিম; আফিম থেকে হেরোইন, ইয়াবা ও আইসের মতো ভয়ংকর সব মাদক। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারিরা ইয়াবা, হেরোইন ও আইসের মতো বাংলাদেশে আফিমেরও বাজার তৈরির পাশাপাশি অন্য দেশে পাচারের রুট বানানোর চেষ্টায় নেমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক পাচারকারীদের নতুন এই চেষ্টা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। কারণ, একটি অংশ ইতিমধ্যে ইয়াবা, হেরোইন ও আইসে আসক্ত। আফিম ঢুকলে কেউ কেউ এতে আসক্ত হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।
সূত্র জানায়, বান্দরবানে গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে আফিমের দুটি চালান ধরা পড়ার পর এ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারণ, মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা এই পার্বত্য জেলায় নিকট অতীতে আফিমের চালান ধরা পড়েনি। মিয়ানমার থেকে মূলত ইয়াবা, হেরোইন, আইস পাচার হয়ে দেশে ঢোকে।
র্যাব সূত্র জানায়, বান্দরবানে ধরা পড়া ওই দুটি চালানে সাড়ে ৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের আফিম ছিল। এর মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি লামায় সাড়ে তিন কেজি এবং ১ এপ্রিল রোয়াংছড়ি থেকে আড়াই কেজি আফিম ধরা পড়ে। এ দুই চালানোর সঙ্গে স্থানীয় দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁরা আফিম এনেছিলেন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে। পরবর্তী বাহকের কাছে চালান হস্তান্তরের আগেই তাঁরা গ্রেপ্তার হন। এরপর আফিমের উৎস খুঁজতে মাঠে নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ইয়াবা, হেরোইন, আইসের পর মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিম পাচারের জন্যও বাংলাদেশকে রুট বানানোর চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারিরা। মিয়ানমারে আফিমের কাঁচামাল পপি ফুলের চাষ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টিও জানা যায়। মিয়ানমারের যেসব রাজ্যে পপি ফুলের চাষ হচ্ছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। মাদক চোরাচালানও গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অস্ত্র-গোলাবারুদ কেনা ও নগদ অর্থের জন্য তারা মাদককে ব্যবহার করছে।
বিশ্বে একসময় পপি ফুলের চাষ ও আফিম উৎপাদনে শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। তবে দেশটিতে তালেবান সরকার ক্ষমতায় এসে পপি চাষ ও আফিম উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। গত তিন বছরে দেশটিতে পপি চাষ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। অন্যদিকে এই তিন বছরে পপি ফুলের চাষ বেড়েছে মিয়ানমারে।
গত ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত কার্যালয় (ইউএনওডিসি) মিয়ানমারের পপি চাষ ও আফিম উৎপাদনের ওপর একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তাশাসিত মিয়ানমারে ২০২১ সাল থেকে আবার আফিম উৎপাদন বেড়েছে। দেশটিতে ২০২১ সালে ৪২৩ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ৭৯৫, ২০২৩ সালে ১ হাজার ৮০ এবং ২০২৪ সালে ৯৯৫ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়। গত বছর যুদ্ধ আক্রান্ত শান রাজ্যে পপি চাষ ৪ শতাংশ কমলেও চলতি মৌসুমে আবার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে আফিম উৎপাদনে মিয়ানমার এখন শীর্ষে। দেশটির শান রাজ্যের উত্তর শান, দক্ষিণ শান ও পূর্ব শান, কাচিন, চিন ও কায়াহ রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় পপি ফুলের চাষ বেশি হয়। স্থানীয়ভাবে এর নাম ‘শান্তির ফুল’। ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রায় ৪৭ হাজার ১০০ হেক্টর এবং ২০২৪ সালে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পপি ফুলের চাষ হয়েছে। আফিম থেকে মিয়ানমার বছরে ১ বিলিয়ন থেকে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে, যা দেশটির ২০২২ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৭ থেকে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। দেশটি এই আয় আরও বাড়াতে চায়। পপি ফুল থেকে আফিম ছাড়াও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারে পপি চাষের এলাকাগুলো বর্তমানে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীগুলো অস্ত্র কেনা ও নগদ অর্থ সংগ্রহের জন্য মাদক চোরাচালানে বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এটিই বাংলাদেশের জন্য বড় উদ্বেগের।
সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশকে বড় বাজার ও রুট বিবেচনায় নিয়ে মাদক উৎপাদন ও পাচার করে। কিন্তু এটি ঠেকাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রস্তুতি কম। মাদককে সহজলভ্য রেখে জনগণের ওপর দোষ চাপানো হয়। কিন্তু মাদকের রুট বন্ধ করতে পারলে ইয়াবা, আইস, আফিম—কোনো কিছুই দেশকে আক্রান্ত করতে পারত না। তিনি বলেন, মিয়ানমারের আফিম বাংলাদেশের জন্য নতুন আতঙ্ক। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে সব ধরনের অবৈধ কাজ করবে। মাদক ঠেকাতে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক একটি যোগাযোগ রাখা উচিত। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবান ও কক্সবাজার থেকে আফিম ও হেরোইন পাচার বেড়েছে। গত বছর ওই দুই সীমান্তে ৩১ কেজি আফিম এবং ২৬৪ কেজি ৮৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে বিজিবি। এ ছাড়া আফিম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের সাড়ে ১২ লাখ ইনজেকশনও জব্দ করে। ২০২২ সালে ৭২ কেজি ১৫৯ গ্রাম হেরোইন এবং ২০২৩ সালে ৩৩০ কেজি ৭৯৩ গ্রাম হেরোইন জব্দ করে বিজিবি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিজিবির সূত্র বলছে, মিয়ানমারে উৎপাদিত আফিম ও হেরোইনের মূল গন্তব্য বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ হলো পাচারের রুট। মিয়ানমারে এ দুটি মাদকের উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশে ঢুকছেও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধ তৈরিতে প্রয়োজনীয় হওয়ায় ব্রাজিলসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে পপি ফুলের চাষের বৈধতা রয়েছে। তবে মিয়ানমার পপি চাষ হচ্ছে অবৈধভাবে এবং মাদক তৈরির জন্য। পপি ফুলের চাষ বৃদ্ধি কেবল দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। মিয়ানমার থেকে মাদক পাচার বৃদ্ধি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন নতুন মাদক বিভিন্ন ফরম্যাটে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করে চোরাকারবারিরা। এ বিষয়ে অধিদপ্তর প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। তবে জনগণকেও এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
মজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
২ ঘণ্টা আগেচাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পরপর দুই দিন সড়ক অবরোধ করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত এসব পুলিশ সদস্যের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ডিআইজি পদ
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাধারণ নারী কর্মীদের আপাতত মালয়েশিয়া না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায়।
৩ ঘণ্টা আগেচলতি মাস (ফেব্রুয়ারি) জুড়ে আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধসহ যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘এটা বিশ্ব মিডিয়ার যুগ। এক মিনিটের ভেতরে এই ঢাকা শহরের খবর ব্রাজিল চলে যাচ্ছে। এমনকি যদি টাওয়ার থাকে, ব্রাজিলের আমাজন...
৩ ঘণ্টা আগে