আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস। মূলত ব্যক্তিগত বাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে, গণপরিবহন, বাইসাইকেল ব্যবহার কিংবা হাঁটার ওপর জোর দিতেই এই দিনটি পালিত হয়।
এটি কেবল একটি প্রতীকী দিবস নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে, যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ভিড়ের কারণে প্রায় অচল হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিটি ছোট রাস্তা, সেখানে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইদানীং বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা শোনা গেলেও এই দিবস কিন্তু খুব একটা নতুন নয়। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের ইতিহাস প্রায় পাঁচ দশক পুরোনো। ১৯৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন জ্বালানি তেল সংকট মোকাবিলা করা। পাশাপাশি শহরে যানবাহনের পরিবেশগত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বায়ু ও শব্দদূষণ কতটা কমে যায় তা লক্ষ্য করা। পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ এই উদ্যোগে যোগ দেয়।
১৯৯৪ সাল থেকে ইউরোপের শহরগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ইউরোপ ছাড়িয়ে লাতিন আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শতাধিক দেশের হাজারো শহরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
কেন প্রয়োজন গাড়িমুক্ত দিবস?
যানজট নিরসন: ঢাকা, দিল্লি, জাকার্তা, মুম্বাইয়ের মতো শহরে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে আটকে থাকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়াকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। একেকটি গাড়ি সাধারণত ১-২ জন যাত্রী বহন করে, অথচ এটি বাসের সমান জায়গা দখল করে। এর ফলে রাস্তার সক্ষমতা হ্রাস পায়, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় এবং মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। যানজট শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণ রোধ: জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এসব দূষিত গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত রোগে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যাও বেড়ে যায় বাতাসের ক্ষতিকর পদার্থের কারণে।
জ্বালানি সাশ্রয়: বিশ্বের জ্বালানি সম্পদ সীমিত এবং তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব, যা জাতীয় অর্থনীতিকেও লাভবান করবে।
পরিবেশবান্ধব শহর গঠন ও মানসিক স্বস্তি: গাড়ির সংখ্যা কমলে শুধু বায়ুদূষণ নয়, শব্দদূষণও কমে। এতে শহরকে হাঁটা ও বাইসাইকেল বান্ধব করে তোলা সহজ হয়। শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর মানসিক স্বস্তি দেয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা, বিশ্বের অন্যতম যানজটপূর্ণ শহর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজটে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বর্তমানে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের প্রায় ৬৫ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং ১৫ শতাংশ প্রাইভেটকার ও জিপ। প্রতিদিন গড়ে ৪০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি ঢাকায় রাস্তায় নামছে, যার বড় অংশ ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে যানজট ও বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে। ২০২২ সালে ঢাকায় সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হলেও নিয়মিত উদ্যোগের অভাবে এর কার্যকারিতা সীমিত।
সমাধান ও আন্তর্জাতিক উদাহরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আরামদায়ক, নিরাপদ ও সময়নিষ্ঠ গণপরিবহন যেমন মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এবং এক্সপ্রেস বাস চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, সাইকেল লেন তৈরি এবং হাঁটার উপযোগী প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তুলে মানুষকে হাঁটা ও সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
প্যারিস, ফ্রান্স এবং বোগোটা, কলম্বিয়ার মতো শহরগুলো একাধিক দিন গাড়িমুক্ত থেকে প্রমাণ করেছে যে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত নীতিমালা থাকলে নগর পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
সুফল ও সীমাবদ্ধতা
ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের শহরের বায়ুমান সাময়িকভাবে উন্নত করে। পাশাপাশি মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বিকল্প পরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়। দীর্ঘ মেয়াদে শহরগুলো আরও টেকসই, বাসযোগ্য ও সবুজ হয়। তবে সমালোচকেরা এটিকে কেবল একটি প্রতীকী দিবস মনে করেন এবং বলেন যে একদিন গাড়ি কম চালালেই সমস্যার সমাধান হবে না। উন্নয়নশীল দেশে পর্যাপ্ত বিকল্প গণপরিবহন না থাকায় এর কার্যকারিতা সীমিত—তা ও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
এই বছর বাংলাদেশে ‘সমাজ, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার সীমিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
২৮ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
২৮ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। ওই পোস্টে আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও হাস্যোজ্জ্বল ছবিও যুক্ত করেন তিনি।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘পদে থাকার সবচেয়ে বড় বিপদ হইতেছে হিউমার করতে পারি না। তো সেই জন্য একটা নিরামিষ ক্যাপশন দিয়াই ছাড়তে হইলো পোস্টটা। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা, ব্রাদারস!’
ফারুকী ফুটনোট দিয়ে আরও লেখেন, ‘অরিজিনাল ক্যাপশন কি দিতে চাইছিলাম সেটা অবশ্য ওদের দুইজনকে পারসোনালি বলছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। ওই পোস্টে আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও হাস্যোজ্জ্বল ছবিও যুক্ত করেন তিনি।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘পদে থাকার সবচেয়ে বড় বিপদ হইতেছে হিউমার করতে পারি না। তো সেই জন্য একটা নিরামিষ ক্যাপশন দিয়াই ছাড়তে হইলো পোস্টটা। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা, ব্রাদারস!’
ফারুকী ফুটনোট দিয়ে আরও লেখেন, ‘অরিজিনাল ক্যাপশন কি দিতে চাইছিলাম সেটা অবশ্য ওদের দুইজনকে পারসোনালি বলছি।’

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
২৮ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।’
আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।’
আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আধুনিক নগরসভ্যতায় পরিবহন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়ে উঠছে যানজট, বায়ুদূষণ, জ্বালানি অপচয় এবং মানসিক চাপের প্রধান কারণ। আর এ কারণেই আজ (২২ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস।
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
২৮ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে