রজত কান্তি রায়, ঢাকা

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্রার রোমাঞ্চ নেচে ওঠে তাঁর রক্তে। তিনি পাড়ি দেন পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্রের মতো বড় বড় নদ-নদী, সাইকেলে ঘোরেন চৌষট্টি জেলা, ম্যারাথন দৌড়াতে চলে যান মেঘালয়ের মাওয়ালিং কিংবা ট্রেকিং করতে নাগাল্যান্ডের জুকো ভ্যালি। আর স্বপ্ন দেখেন আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার।
বললাম, প্রেম করার সময় পান? বয়স তো এখন প্রেম করারই! হাসলেন আকিক। জানালেন, তাঁর কোনো ‘গার্লফ্রেন্ড’ নেই। সাইকেল চালাতে বা দৌড়াতে গিয়ে যাতে পেশি শক্ত হয়ে না যায়, টান না পড়ে তাতে, সে জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হয়। তার ওপর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়া তো আছেই। এত কাজের বাইরে তাঁর সময় কোথায় প্রেম করার! এই একহারা গড়নের তরুণটির কথায় কষ্ট পাওয়া উচিত, নাকি হাসা—সেটা ভাবতে না পেরে পরের প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম তাঁর দিকে।
ভয়ংকর মেঘনার গল্প
আবদুল মতিন মাস্টার ও পেয়ারা বেগম দম্পতির তিন ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে বড় মো. আল-আমিন আকিক। জন্ম ১৯৯৪ সালে। আকিকের গ্রামের বাড়ি প্রশাসনিকভাবে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় হলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ সহজ। সেই সূত্রে আকিক গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন সোনারগাঁয়ের বৈদ্দার বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে। স্কুলটি ছিল সোনারগাঁ জাদুঘরের কাছাকাছি এলাকায়। বর্ষায় উত্তাল আর শীতে কুয়াশায় দৃষ্টি আটকে যাওয়া মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন তাঁকে স্কুলে যেতে হতো। সে এক দুর্ধর্ষ যাত্রা! এমনও হয়েছে, শীতের কুয়াশায় নৌকা পথ হারিয়ে চলে গেছে অন্যদিকে। স্কুল যাওয়া হয়নি আর। দুপুর পেরিয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। কিশোরকালের এই ‘অভিযাত্রা’ই আকিককে সাহসী করে তোলে ভ্রমণ, সাঁতার কিংবা সাইক্লিংয়ে।
ভ্রমণের শুরু
আকিক বলছিলেন, ভ্রমণের শুরুটা তাঁর স্কুল পালানো থেকে। উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সোনারগাঁ জাদুঘর আর পানাম সিটির কাছাকাছি হওয়ায় স্কুল পালিয়ে সেসব জায়গায় ঘোরাঘুরি দিয়েই ভ্রমণের হাতেখড়ি। তবে এটা জোরালো হয় ২০১৩ সাল থেকে। সে সময় তিনি কলেজশিক্ষার্থী। পড়েন দনিয়া কলেজে। ‘স্কুল পালানো টাইপ’ মানুষ হওয়ায় বন্ধুবান্ধব জুটে যায় বিস্তর। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করেন আকিক। তারপর সিদ্ধেশ্বরী কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিবিএতে ভর্তি হন। এ সময় থেকে শুরু করেন টিউশনি এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিখ্যাত কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া। সেসব করে কিছু অর্থ আসে হাতে। সেই অর্থ নিয়মিত ব্যয় হতে থাকে ভ্রমণের পেছনে। এভাবেই তিনি একসময় এমবিএ শেষ করেন। টিউশনি ও কোচিংয়ে লেকচার দেওয়ার অর্থই এখনো তাঁর মূল রোজগারের জায়গা। সেই টাকা দিয়েই চলে ঘোরাঘুরি। অবশ্য এখন ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুকে কনটেন্ট বানিয়ে অল্প কিছু রোজগার করেন আকিক।
সাঁতার
আকিকের ঘোরাঘুরি এবং সাঁতার, সাইক্লিং, ম্যারাথন আর ট্রেকিংয়ের তালিকা বেশ দীর্ঘ। ২০২১ সালের মে মাসে আকিক প্রথম মেঘনা নদী পাড়ি দেন। সেই পথ ছিল ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এরপরেই তিনি ওই বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখে অংশ নেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া প্রতিযোগিতায়। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার তিনি সাঁতরে পার হন ৫ ঘণ্টা ৪৭ মিনিটে। সেদিন সাগর ছিল ভীষণ উত্তাল। খাবি খেতে খেতে তিনি ছুঁতে পেরেছিলেন সেন্ট মার্টিনের ফিনিশিং পয়েন্ট। লবণপানি আর ঠান্ডায় ঠোঁট সাদা হয়ে গিয়েছিল আকিকের। দুই দিন ঠিকমতো খেতে পারেননি, কিন্তু শান্তি পেয়েছিলেন ভীষণ। বৈরী পরিবেশে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সেই ঘটনা মেঘনাপাড়ের ছেলেটির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকখানি। এরপর তিনি কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র নদ সাঁতরে পাড়ি দেন। ব্রহ্মপুত্রের বরফগলা ঠান্ডা পানি শরীর ও আত্মায় কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল সে-যাত্রা। এরপর গত ১৮ মার্চ সিলেটের লালাখালের সারি নদীতে ১০ কিলোমিটার সাঁতরে ফিরেছেন। সিলেট জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে সেই প্রতিযোগিতায় তিনি চতুর্থ হন।
তবে হ্যাঁ, বাংলা চ্যানেল বা অন্যান্য নদী নয়, আকিক মনে করেন, নদীর মধ্যে পদ্মা পাড়ি দেওয়া কঠিন কাজ। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জে পদ্মার মৈনটঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার সাঁতরে পৌঁছান ফরিদপুরের শয়তানখালী ঘাটে, সময় লাগে ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।
সাইক্লিং
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার ১ হাজার ১০ কিলোমিটার পথ এমটিবি সাইকেলে চড়ে মাত্র ৪ দিনে পাড়ি দেন আকিক। সেই যাত্রায় শেষ পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন আলিফ ও শান্ত। সময়টা ২০২০ সাল।
এ ছাড়া ২০২২ সালে আখাউড়া থেকে মুজিবনগর ৩৯৫ কিলোমিটার, একই বছর হালুয়াঘাট থেকে কুয়াকাটা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ক্রশকান্ট্রি সাইকেল চালান আকিক। তাঁর ৬৪ জেলা সাইকেলে ভ্রমণ শুরু হয় ২০২১ সালের শেষ থেকে। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি সেটা শেষ করেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি নিয়েছেন বিশেষ কারণে। আকিক বছরের একেক ঋতুতে একেক অঞ্চলে সাইকেল চালান। ছয়টি ঋতু ধরেই তিনি পুরো দেশ সাইকেলে সফর করেন। এ ছাড়া তিনি ত্রিপুরা ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রাইডে অংশ নেন ২০২২ সালে।
ম্যারাথন
আকিক ম্যারাথন শুরু করেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা হাফ ম্যারাথন দিয়ে। ২০২২ সালে মেঘালয়ের মাউলিং গ্রামে ফুল ম্যারাথন। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুল ম্যারাথনে অংশ নেন।
জুকো ভ্যালির নিঃসঙ্গ ট্র্যাকে
সেটা ছিল ভয়ংকর সুন্দর! বলতে গিয়ে আকিকের চোখ বন্ধ হয়ে এল সেই স্বর্গীয় দৃশ্যের কথা মনে করে। খুব কম তথ্য
নিয়ে তিনি নাগাল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আর গিয়েই জুকো ভ্যালির ৪০ কিলোমিটারের এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রায় নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। ভয় তাড়াতে জোরে জোরে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল
না আল-আমিনের।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আকিকের স্বপ্নের পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম। ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং আর ফুল ম্যারাথন মিলিয়ে ১৭ ঘণ্টা স্থায়ী এক বিশাল উত্তেজনায় কাঁপা সেই চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে আগামী বছর মালয়েশিয়ার আঞ্চলিক আয়োজনে যেতে চান আকিক।

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্রার রোমাঞ্চ নেচে ওঠে তাঁর রক্তে। তিনি পাড়ি দেন পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্রের মতো বড় বড় নদ-নদী, সাইকেলে ঘোরেন চৌষট্টি জেলা, ম্যারাথন দৌড়াতে চলে যান মেঘালয়ের মাওয়ালিং কিংবা ট্রেকিং করতে নাগাল্যান্ডের জুকো ভ্যালি। আর স্বপ্ন দেখেন আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার।
বললাম, প্রেম করার সময় পান? বয়স তো এখন প্রেম করারই! হাসলেন আকিক। জানালেন, তাঁর কোনো ‘গার্লফ্রেন্ড’ নেই। সাইকেল চালাতে বা দৌড়াতে গিয়ে যাতে পেশি শক্ত হয়ে না যায়, টান না পড়ে তাতে, সে জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হয়। তার ওপর বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়া তো আছেই। এত কাজের বাইরে তাঁর সময় কোথায় প্রেম করার! এই একহারা গড়নের তরুণটির কথায় কষ্ট পাওয়া উচিত, নাকি হাসা—সেটা ভাবতে না পেরে পরের প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম তাঁর দিকে।
ভয়ংকর মেঘনার গল্প
আবদুল মতিন মাস্টার ও পেয়ারা বেগম দম্পতির তিন ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে বড় মো. আল-আমিন আকিক। জন্ম ১৯৯৪ সালে। আকিকের গ্রামের বাড়ি প্রশাসনিকভাবে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলায় হলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ সহজ। সেই সূত্রে আকিক গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন সোনারগাঁয়ের বৈদ্দার বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে। স্কুলটি ছিল সোনারগাঁ জাদুঘরের কাছাকাছি এলাকায়। বর্ষায় উত্তাল আর শীতে কুয়াশায় দৃষ্টি আটকে যাওয়া মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন তাঁকে স্কুলে যেতে হতো। সে এক দুর্ধর্ষ যাত্রা! এমনও হয়েছে, শীতের কুয়াশায় নৌকা পথ হারিয়ে চলে গেছে অন্যদিকে। স্কুল যাওয়া হয়নি আর। দুপুর পেরিয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। কিশোরকালের এই ‘অভিযাত্রা’ই আকিককে সাহসী করে তোলে ভ্রমণ, সাঁতার কিংবা সাইক্লিংয়ে।
ভ্রমণের শুরু
আকিক বলছিলেন, ভ্রমণের শুরুটা তাঁর স্কুল পালানো থেকে। উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সোনারগাঁ জাদুঘর আর পানাম সিটির কাছাকাছি হওয়ায় স্কুল পালিয়ে সেসব জায়গায় ঘোরাঘুরি দিয়েই ভ্রমণের হাতেখড়ি। তবে এটা জোরালো হয় ২০১৩ সাল থেকে। সে সময় তিনি কলেজশিক্ষার্থী। পড়েন দনিয়া কলেজে। ‘স্কুল পালানো টাইপ’ মানুষ হওয়ায় বন্ধুবান্ধব জুটে যায় বিস্তর। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ শুরু করেন আকিক। তারপর সিদ্ধেশ্বরী কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিবিএতে ভর্তি হন। এ সময় থেকে শুরু করেন টিউশনি এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিখ্যাত কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া। সেসব করে কিছু অর্থ আসে হাতে। সেই অর্থ নিয়মিত ব্যয় হতে থাকে ভ্রমণের পেছনে। এভাবেই তিনি একসময় এমবিএ শেষ করেন। টিউশনি ও কোচিংয়ে লেকচার দেওয়ার অর্থই এখনো তাঁর মূল রোজগারের জায়গা। সেই টাকা দিয়েই চলে ঘোরাঘুরি। অবশ্য এখন ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুকে কনটেন্ট বানিয়ে অল্প কিছু রোজগার করেন আকিক।
সাঁতার
আকিকের ঘোরাঘুরি এবং সাঁতার, সাইক্লিং, ম্যারাথন আর ট্রেকিংয়ের তালিকা বেশ দীর্ঘ। ২০২১ সালের মে মাসে আকিক প্রথম মেঘনা নদী পাড়ি দেন। সেই পথ ছিল ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এরপরেই তিনি ওই বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখে অংশ নেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া প্রতিযোগিতায়। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার তিনি সাঁতরে পার হন ৫ ঘণ্টা ৪৭ মিনিটে। সেদিন সাগর ছিল ভীষণ উত্তাল। খাবি খেতে খেতে তিনি ছুঁতে পেরেছিলেন সেন্ট মার্টিনের ফিনিশিং পয়েন্ট। লবণপানি আর ঠান্ডায় ঠোঁট সাদা হয়ে গিয়েছিল আকিকের। দুই দিন ঠিকমতো খেতে পারেননি, কিন্তু শান্তি পেয়েছিলেন ভীষণ। বৈরী পরিবেশে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সেই ঘটনা মেঘনাপাড়ের ছেলেটির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেকখানি। এরপর তিনি কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র নদ সাঁতরে পাড়ি দেন। ব্রহ্মপুত্রের বরফগলা ঠান্ডা পানি শরীর ও আত্মায় কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল সে-যাত্রা। এরপর গত ১৮ মার্চ সিলেটের লালাখালের সারি নদীতে ১০ কিলোমিটার সাঁতরে ফিরেছেন। সিলেট জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে সেই প্রতিযোগিতায় তিনি চতুর্থ হন।
তবে হ্যাঁ, বাংলা চ্যানেল বা অন্যান্য নদী নয়, আকিক মনে করেন, নদীর মধ্যে পদ্মা পাড়ি দেওয়া কঠিন কাজ। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জে পদ্মার মৈনটঘাট থেকে ১৩ কিলোমিটার সাঁতরে পৌঁছান ফরিদপুরের শয়তানখালী ঘাটে, সময় লাগে ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট।
সাইক্লিং
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার ১ হাজার ১০ কিলোমিটার পথ এমটিবি সাইকেলে চড়ে মাত্র ৪ দিনে পাড়ি দেন আকিক। সেই যাত্রায় শেষ পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন আলিফ ও শান্ত। সময়টা ২০২০ সাল।
এ ছাড়া ২০২২ সালে আখাউড়া থেকে মুজিবনগর ৩৯৫ কিলোমিটার, একই বছর হালুয়াঘাট থেকে কুয়াকাটা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ক্রশকান্ট্রি সাইকেল চালান আকিক। তাঁর ৬৪ জেলা সাইকেলে ভ্রমণ শুরু হয় ২০২১ সালের শেষ থেকে। ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি সেটা শেষ করেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি নিয়েছেন বিশেষ কারণে। আকিক বছরের একেক ঋতুতে একেক অঞ্চলে সাইকেল চালান। ছয়টি ঋতু ধরেই তিনি পুরো দেশ সাইকেলে সফর করেন। এ ছাড়া তিনি ত্রিপুরা ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রাইডে অংশ নেন ২০২২ সালে।
ম্যারাথন
আকিক ম্যারাথন শুরু করেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা হাফ ম্যারাথন দিয়ে। ২০২২ সালে মেঘালয়ের মাউলিং গ্রামে ফুল ম্যারাথন। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ফুল ম্যারাথনে অংশ নেন।
জুকো ভ্যালির নিঃসঙ্গ ট্র্যাকে
সেটা ছিল ভয়ংকর সুন্দর! বলতে গিয়ে আকিকের চোখ বন্ধ হয়ে এল সেই স্বর্গীয় দৃশ্যের কথা মনে করে। খুব কম তথ্য
নিয়ে তিনি নাগাল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আর গিয়েই জুকো ভ্যালির ৪০ কিলোমিটারের এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রায় নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। ভয় তাড়াতে জোরে জোরে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল
না আল-আমিনের।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আকিকের স্বপ্নের পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম। ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং আর ফুল ম্যারাথন মিলিয়ে ১৭ ঘণ্টা স্থায়ী এক বিশাল উত্তেজনায় কাঁপা সেই চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে আগামী বছর মালয়েশিয়ার আঞ্চলিক আয়োজনে যেতে চান আকিক।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ মিনিট আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্
২৭ এপ্রিল ২০২৩
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্
২৭ এপ্রিল ২০২৩
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ মিনিট আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্
২৭ এপ্রিল ২০২৩
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ মিনিট আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন। আপনার রসবোধ আজ একটি ছোটখাটো পারিবারিক অশান্তি এড়াতে সাহায্য করবে। দুপুরে অতিরিক্ত বিরিয়ানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নইলে সন্ধ্যায় হাঁটার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে দিনটি বেশ শুভ। হঠাৎ করে পকেটে বা পুরোনো জ্যাকেটের পকেটে কিছু অপ্রত্যাশিত খুচরা পয়সা খুঁজে পেতে পারেন। এই অর্থ দিয়ে লটারির টিকিট কাটার আগে দুবার ভাবুন। আজ আপনাকে খুব মিষ্টি করে কেউ কিছু বললেও সেই প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা নেওয়ার দিন এটি নয়। ‘ঠিক আছে, কাল দেখা যাক!’ —এই বাক্যটি আজ আপনার জন্য রক্ষাকবচ। বিকেল বেলা হালকা হলুদ পোশাক পরে ছাদে এক কাপ চা খেতে বসলে মন ভালো থাকবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলছে ঘর গুছিয়ে ফেলুন, আরেক মন বলছে গোটা বিশ্বের আবর্জনা আপনার ঘরেই জমা থাকুক! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ একজন দার্শনিক, কিন্তু বাস্তবে আপনার কফি মগটি কোথায়, তা খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ। আজ কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনার দেওয়া উপদেশ বুমেরাং হয়ে নিজের দিকেই ফিরে আসতে পারে। দিনের শেষে নিজের কাজ গুছিয়ে রাখলে শান্তি পাবেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন।
কর্কট
আজ আপনার মন চাইবে অতীতচারণা করতে। পুরোনো প্রেমপত্র বা ফেলে আসা ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার বাড়িতে কোনো নতুন সদস্যের আগমন হতে পারে, হতে পারে এটি আপনার বাড়িতে আসা ডেলিভারি পার্সেল বা একটি নতুন গাছ। রান্নাঘরে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যদি নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করেন, তবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতের কাছে রাখুন। আপনার যত্নশীলতা আজ আপনাকে সামাজিক মহলে প্রশংসা এনে দেবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় একটি মজার গেম খেলুন।
সিংহ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ লাইমলাইটে থাকতে পারেন, যেমনটি আপনি চান! তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আজ কারও কাছে ‘অতিরিক্ত নাটকীয়তা’ মনে হতে পারে। তাই নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সব আলোচনায় নিজেকে সেরা প্রমাণ করার চেষ্টা না করে শুধু শুনুন। কেউ একজন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারে, যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। তবে ভুলেও আজ কাউকে অযথা ধার দেবেন না! আপনার পোষা প্রাণী বা ছোট ভাই-বোনকে সময় দিন।
কন্যা
পারফেকশনিস্ট কন্যা রাশি আজ সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে সময়ের দিকে নজর না-ও দিতে পারে। সব কাজ বারবার চেক করতে গিয়ে দেখবেন, শেষ পর্যন্ত ট্রেন মিস হয়ে গেছে। আপনার সমালোচনা করার স্বভাব আজ আপনাকে একটু সমস্যায় ফেলতে পারে। কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে, যা আছে তা মেনে নিন। আজ যদি বাইরে যান, তবে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর থাকায় মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। কাজে ছোট ছোট ব্রেক নিন। একটি বড় কাজকে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করুন।
তুলা
শুক্রের প্রভাবে আজ আপনি ভারসাম্যের সন্ধানে অস্থির থাকতে পারেন। হয় আপনি একপাশে অতিরিক্ত ঘুমাবেন, না হয় অতিরিক্ত কাজ করবেন। মাঝে থাকার কোনো মধ্যম পথ খুঁজে পাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনার যুক্তি আজ যতই ক্ষুরধার হোক না কেন, অন্যেরা তা না-ও বুঝতে পারে। বরং নিজের পছন্দের কিছু সৃজনশীল কাজ করে মন শান্ত রাখুন। অপ্রত্যাশিত কোনো স্থান থেকে উপহার পেতে পারেন। সন্ধ্যায় রোমান্টিক ডিনারের পরিকল্পনা করুন।
বৃশ্চিক
প্লুটো আপনার মধ্যে রহস্যময় শক্তি এনেছে। আজ আপনি এমন কিছু গোপন তথ্য জানতে পারেন, যা আপনাকে হাসাবে বা ভাবাবে। তবে এ তথ্যটি যেন গোপনই থাকে। আজকের আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় আবেগের বহিঃপ্রকাশও কিছুটা শুষ্ক হতে পারে। পুরোনো কোনো অপ্রীতিকর স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পাত্তা দেবেন না। অতীতকে তার জায়গায় বিশ্রাম নিতে দিন। নতুন কোনো বিনিয়োগের আগে অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করে নিন। আজ একটু মেডিটেশন করলে মানসিক শান্তি পাবেন।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা আজ আপনাকে হয়তো বিছানা থেকে উঠতেই দেবে না! মনের মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়াই কঠিন। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্য এটি দারুণ দিন। আপনার অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কোনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। তাই স্বপ্ন দেখতে দেখতেও মাটিতে পা রাখুন। দিনের শুরুতে সামান্য হাঁটা বা ব্যায়াম আপনাকে সতেজ রাখবে। নিজের পছন্দের খাবার রান্না করে অন্যকে খাওয়ান।
মকর
শনিদেব আজ আপনাকে অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা দিতে পারেন। মনে হবে, আপনার কাঁধে পৃথিবীর সব অফিসের কাজ আর পরিবারের গুরুদায়িত্ব চেপে বসেছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের জন্য আপনি প্রশংসা পাবেন। আপনার কাজের চাপ যতই বাড়ুক, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করবেন না। বিশেষ করে রাতের ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। বিকেল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
কুম্ভ
আজ আপনার উদ্ভাবনী মস্তিষ্ক নতুন নতুন ধারণায় পূর্ণ থাকবে। এমন কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে পারেন যা কেউ ভাবেনি। তবে এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব যেন অন্য কারও কাঁধে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবেগের বশে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার মানবিক দিকটি আজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হবে। কোনো সমাজসেবামূলক কাজে সামান্য হলেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।
মীন
আপনার কল্পনা আজ আকাশ ছুঁতে পারে। আপনি হয়তো দিনের আলোতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকে বিঘ্নিত করতে পারে। আশপাশে যা ঘটছে, তার প্রতি আপনার সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। আজ কারও কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা শুনলে তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের মনকে শান্ত রাখতে আপনার পছন্দের শিল্প বা সংগীতের শরণাপন্ন হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিনটি অনুকূল নয়। সন্ধ্যায় হালকা উষ্ণ পানীয় পান করুন এবং মিষ্টি গান শুনুন।

মেষ
আপনার গ্রহশাসক মঙ্গল আজ একটু অলস মোডে আছে। তাই সারা দিন ধরে ‘গুরুত্বপূর্ণ কাজ’ বলে যা ভাবছিলেন, তা আসলে সোফায় বসে পুরোনো দিনের সিরিয়াল দেখতে দেখতেই কেটে যেতে পারে। সহকর্মী বা জীবনসঙ্গীর কোনো বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হলে মাথা গরম না করে হাসিমুখে শুনুন। আপনার রসবোধ আজ একটি ছোটখাটো পারিবারিক অশান্তি এড়াতে সাহায্য করবে। দুপুরে অতিরিক্ত বিরিয়ানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নইলে সন্ধ্যায় হাঁটার পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
বৃষ
আর্থিক দিক থেকে দিনটি বেশ শুভ। হঠাৎ করে পকেটে বা পুরোনো জ্যাকেটের পকেটে কিছু অপ্রত্যাশিত খুচরা পয়সা খুঁজে পেতে পারেন। এই অর্থ দিয়ে লটারির টিকিট কাটার আগে দুবার ভাবুন। আজ আপনাকে খুব মিষ্টি করে কেউ কিছু বললেও সেই প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া বা নেওয়ার দিন এটি নয়। ‘ঠিক আছে, কাল দেখা যাক!’ —এই বাক্যটি আজ আপনার জন্য রক্ষাকবচ। বিকেল বেলা হালকা হলুদ পোশাক পরে ছাদে এক কাপ চা খেতে বসলে মন ভালো থাকবে।
মিথুন
আপনার দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলছে ঘর গুছিয়ে ফেলুন, আরেক মন বলছে গোটা বিশ্বের আবর্জনা আপনার ঘরেই জমা থাকুক! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ একজন দার্শনিক, কিন্তু বাস্তবে আপনার কফি মগটি কোথায়, তা খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ। আজ কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাবেন না। আপনার দেওয়া উপদেশ বুমেরাং হয়ে নিজের দিকেই ফিরে আসতে পারে। দিনের শেষে নিজের কাজ গুছিয়ে রাখলে শান্তি পাবেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ১০ মিনিট প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন।
কর্কট
আজ আপনার মন চাইবে অতীতচারণা করতে। পুরোনো প্রেমপত্র বা ফেলে আসা ছবির অ্যালবাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার বাড়িতে কোনো নতুন সদস্যের আগমন হতে পারে, হতে পারে এটি আপনার বাড়িতে আসা ডেলিভারি পার্সেল বা একটি নতুন গাছ। রান্নাঘরে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যদি নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করেন, তবে ফায়ার এক্সটিংগুইশার হাতের কাছে রাখুন। আপনার যত্নশীলতা আজ আপনাকে সামাজিক মহলে প্রশংসা এনে দেবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় একটি মজার গেম খেলুন।
সিংহ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ লাইমলাইটে থাকতে পারেন, যেমনটি আপনি চান! তবে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আজ কারও কাছে ‘অতিরিক্ত নাটকীয়তা’ মনে হতে পারে। তাই নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সব আলোচনায় নিজেকে সেরা প্রমাণ করার চেষ্টা না করে শুধু শুনুন। কেউ একজন আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারে, যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। তবে ভুলেও আজ কাউকে অযথা ধার দেবেন না! আপনার পোষা প্রাণী বা ছোট ভাই-বোনকে সময় দিন।
কন্যা
পারফেকশনিস্ট কন্যা রাশি আজ সবকিছু নিখুঁত করতে গিয়ে সময়ের দিকে নজর না-ও দিতে পারে। সব কাজ বারবার চেক করতে গিয়ে দেখবেন, শেষ পর্যন্ত ট্রেন মিস হয়ে গেছে। আপনার সমালোচনা করার স্বভাব আজ আপনাকে একটু সমস্যায় ফেলতে পারে। কোনো কিছু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে, যা আছে তা মেনে নিন। আজ যদি বাইরে যান, তবে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর থাকায় মাস্ক ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। কাজে ছোট ছোট ব্রেক নিন। একটি বড় কাজকে পাঁচটি ছোট ভাগে ভাগ করুন।
তুলা
শুক্রের প্রভাবে আজ আপনি ভারসাম্যের সন্ধানে অস্থির থাকতে পারেন। হয় আপনি একপাশে অতিরিক্ত ঘুমাবেন, না হয় অতিরিক্ত কাজ করবেন। মাঝে থাকার কোনো মধ্যম পথ খুঁজে পাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনার যুক্তি আজ যতই ক্ষুরধার হোক না কেন, অন্যেরা তা না-ও বুঝতে পারে। বরং নিজের পছন্দের কিছু সৃজনশীল কাজ করে মন শান্ত রাখুন। অপ্রত্যাশিত কোনো স্থান থেকে উপহার পেতে পারেন। সন্ধ্যায় রোমান্টিক ডিনারের পরিকল্পনা করুন।
বৃশ্চিক
প্লুটো আপনার মধ্যে রহস্যময় শক্তি এনেছে। আজ আপনি এমন কিছু গোপন তথ্য জানতে পারেন, যা আপনাকে হাসাবে বা ভাবাবে। তবে এ তথ্যটি যেন গোপনই থাকে। আজকের আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় আবেগের বহিঃপ্রকাশও কিছুটা শুষ্ক হতে পারে। পুরোনো কোনো অপ্রীতিকর স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পাত্তা দেবেন না। অতীতকে তার জায়গায় বিশ্রাম নিতে দিন। নতুন কোনো বিনিয়োগের আগে অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করে নিন। আজ একটু মেডিটেশন করলে মানসিক শান্তি পাবেন।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা আজ আপনাকে হয়তো বিছানা থেকে উঠতেই দেবে না! মনের মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়াই কঠিন। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্য এটি দারুণ দিন। আপনার অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কোনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। তাই স্বপ্ন দেখতে দেখতেও মাটিতে পা রাখুন। দিনের শুরুতে সামান্য হাঁটা বা ব্যায়াম আপনাকে সতেজ রাখবে। নিজের পছন্দের খাবার রান্না করে অন্যকে খাওয়ান।
মকর
শনিদেব আজ আপনাকে অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা দিতে পারেন। মনে হবে, আপনার কাঁধে পৃথিবীর সব অফিসের কাজ আর পরিবারের গুরুদায়িত্ব চেপে বসেছে। তবে কঠোর পরিশ্রমের জন্য আপনি প্রশংসা পাবেন। আপনার কাজের চাপ যতই বাড়ুক, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করবেন না। বিশেষ করে রাতের ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। বিকেল ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
কুম্ভ
আজ আপনার উদ্ভাবনী মস্তিষ্ক নতুন নতুন ধারণায় পূর্ণ থাকবে। এমন কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতে পারেন যা কেউ ভাবেনি। তবে এই আইডিয়াগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব যেন অন্য কারও কাঁধে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আবেগের বশে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রেমের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার মানবিক দিকটি আজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হবে। কোনো সমাজসেবামূলক কাজে সামান্য হলেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।
মীন
আপনার কল্পনা আজ আকাশ ছুঁতে পারে। আপনি হয়তো দিনের আলোতেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকে বিঘ্নিত করতে পারে। আশপাশে যা ঘটছে, তার প্রতি আপনার সংবেদনশীলতা আজ চরমে থাকবে। আজ কারও কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা শুনলে তাকে এড়িয়ে চলুন। নিজের মনকে শান্ত রাখতে আপনার পছন্দের শিল্প বা সংগীতের শরণাপন্ন হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিনটি অনুকূল নয়। সন্ধ্যায় হালকা উষ্ণ পানীয় পান করুন এবং মিষ্টি গান শুনুন।

চালিভাংগা গ্রামটি দ্বীপের মতো। এর চারদিকে মেঘনা নদী। বর্ষায় এর রূপ ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সেটা না বললেও বোঝা যায়। শীতে এর অবস্থা ভয়াবহ থাকে কুয়াশার কারণে। এই দ্বীপের মতো গ্রামটিতে জন্ম এবং বর্ষায় মেঘনার ভয়ংকর রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা মো. আল-আমিন আকিকের। সে জন্যই হয়তো এই ত্রিশ না হয়ে ওঠা বয়সে অভিযাত্
২৭ এপ্রিল ২০২৩
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৪ মিনিট আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৪ ঘণ্টা আগে