Ajker Patrika

ভ্রমণ /সাজেক যাওয়ার এখনই সময়, খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ০৯
সাজেকে পাহাড় এবং মেঘের মিতালি মুগ্ধ করবে আপনাকে। ছবি: লেখক
সাজেকে পাহাড় এবং মেঘের মিতালি মুগ্ধ করবে আপনাকে। ছবি: লেখক

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এই সময়টা, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।

এটা এখন মোটামুটি সবারই জানা যে সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। আপনি কখনো সাজেক যাননি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, কেন সাজেক যাবেন? লেখাটি পড়তে পড়তে আশা করি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দিকে যাওয়া রাতের বাসে চড়েছেন। ভোরের আলো ফুটেছে কেবল, এমন সময় দেখলেন গাড়িটা বামের একটা পথে ঢুকে পড়েছে। খাড়া পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন বাসটা চলবে, সামনে অনেক দূরে হয়তো ম্যাচ বাক্সের মতো অন্য কোনো একটি ট্রাক কিংবা বাস দেখলেন। আর ভাবলেন, মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। ব্যাপার মোটেই তা নয়, আপনি আসলে এখন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জে। বলা চলে সাজেক ভ্রমণের মজা শুরু হয়ে গেল আপনার।

এক কটেজের বারান্দা থেকে মেঘে ঢাকা পাহাড়। ছবি: সুমাইয়া নাজিফা
এক কটেজের বারান্দা থেকে মেঘে ঢাকা পাহাড়। ছবি: সুমাইয়া নাজিফা

তারপর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মোটামুটি পুরো পথটি গিয়েছে পাহাড়কে পাশে রেখে। সবুজ পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবে, একই সঙ্গে আবার কোথাও কোথাও একপাশের খাদ দেখে গা কাঁটা দিতে পারে। খাগড়াছড়িতে প্রবেশের আগে আলুটিলার পাশে যে খাড়া ঢালটা পাবেন, সেটা পেরোনোর সময় রোমাঞ্চিত হবেন। খাগড়াছড়ি তো চলে এলেন, এখন সাজেক যাবেন কীভাবে?

বড় দল হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি বা পিকআপ জিপ ভাড়া নেবেন সাজেক পর্যন্ত। আবার শুধু পরিবার নিয়ে গেলে কিংবা তিন-চারজনের ছোট দল হলে ভাড়া করবেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাহিন্দ্রা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, খাগড়াছড়ি থেকে যখনই রওনা দেন না কেন, বাঘাইহাট থেকে সব গাড়ি ছাড়বে একই সময়ে। সকালে এবং দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে ছাড়ে গাড়ি। পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঙ্গে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ।

বারান্দায় দাঁড়ায়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা। ছবি: লেখক
বারান্দায় দাঁড়ায়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা। ছবি: লেখক

চান্দের গাড়িতে এক রাত থাকাসহ ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সঙ্গে দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা গুহার মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখাবে। এদিকে পিকআপ জিপে ভাড়া পড়বে ৯ হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মাহিন্দ্রায় এই ভাড়া ৫ হাজারের আশপাশে।

খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত পথটা নয়ন জুড়াবে আপনার। দীঘিনালা পর্যন্ত সড়কে বাঁক বেশি। দীঘিনালার কাছে মাইনি নদী পেরোনোর সময় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নদীটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বাঘাইহাট থেকে চান্দের গাড়িগুলো লাইন করে দাঁড়ায়। এ সময় চাইলে বাঘাইহাট বাজারে নেমে পাহাড়ি কলা কিংবা মৌসুমি কোনো ফল কিনতে পারেন। রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফল পাবেন নিঃসন্দেহে। তবে পর্যটকের চাহিদার কারণে দামটা এখন আগের তুলনায় বেড়েছে।

হালকা মেঘে ঢেকে গেছে চারপাশ। ছবি: লেখক
হালকা মেঘে ঢেকে গেছে চারপাশ। ছবি: লেখক

বাঘাইহাটের পর থেকে পাবেন পাহাড়ি পথের আসল মজা। এই রাস্তা উঠেছে তো আবার নেমেছে। তারপর আবার উঠেছে। তবে এই পথে খুব বেশি বাঁক নেই। পাহাড়ি পথে একটার পর একটা চান্দের গাড়ি ছোটার দৃশ্যও সুন্দর। এই পথে রাস্তার ওঠানামার কারণে আপনি পাবেন রোলার কোস্টারে চড়ার অনুভূতি। মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে পাহাড়িদের একটা-দুটো ঘর পাবেন, দেখবেন মুগ্ধ চোখে। চলার পথে অবশ্যই দৃষ্টি সজাগ রাখবেন, না হলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাসালং ও মাইনি নদী যেখানটায় মিলেছে সেখানটা এক কথায় অসাধারণ। সেতুর ওপর থেকে নিচে বাঁ পাশে দুই নদীর মিলনস্থলের সৌন্দর্য দেখে আবার গাড়িতে উঠতে মন চাইবে না।

ভোরের মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করছে এক শিশু। ছবি: লেখক
ভোরের মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করছে এক শিশু। ছবি: লেখক

সাজেক যাওয়া পথে মাঝে মাঝেই রাস্তার দুপাশে দেখবেন পাহাড়ি শিশুদের। হাসিমুখে হাত নাড়বে তারা। সর্বশেষ প্রায় খাড়া একটা চড়াই পেরোতে হবে। এটা পেরোতে গিয়ে গাড়িগুলো গোঁ গোঁ শব্দে প্রতিবাদ জানাতে থাকবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত ঠিকই আপনাকে পাহাড়ের ওপরে পৌঁছে দেবে। সাজেক ভ্রমণের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাহাড়ের খাড়া এই অংশ পেরোনো।

সাজেকের গহিনে। ছবি: ইসমত জাহান
সাজেকের গহিনে। ছবি: ইসমত জাহান

পাহাড়ের ওপর উঠেই চমকে যাবেন। রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। দৃশ্যটা দেখে আপনার একটু দার্জিলিং দার্জিলিং ফিল হতে পারে। একই সঙ্গে আবার এটাও মনে হতে পারে, জায়গাটি অনেক বেশি ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে।

মোটেল-রিসোর্টে ভরপুর এই জায়গার নাম রুইলুই পাড়া। সাজেক রাঙামাটির একটি ইউনিয়ন হলেও পর্যটকেরা সাজেক বলতে এই রুইলুই পাড়া এবং আরও ওপরের পাড়া কংলাককেই বোঝেন। রুইলুই মূলত লুসাই ও ত্রিপুরা অধ্যুষিত একটি পাড়া। মজার ঘটনা, ২০১১ সালে যখন সাজেকে এসেছিলাম, তখন একটি হোটেল-রিসোর্টও ছিল না, আর এখন এগুলোতে গিজগিজ করছে।

লুসাই জাদুঘর। ছবি: লেখক
লুসাই জাদুঘর। ছবি: লেখক

এখন শিরোনামের দিকে একটু তাকাই, লিখেছি ‘সাজেক ভ্রমণের এখনই সময়’, কেন? বর্ষায় প্রকৃতি অনেক সবুজ থাকে সন্দেহ নেই। বৃষ্টিতে পাহাড় যেভাবে সাজে, তার জুড়ি মেলা ভার। মেঘের আনাগোনা থাকে প্রচুর। তবে বৃষ্টির কারণে পথ পিচ্ছিল থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়ে। এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও প্রকৃতির সবুজ ভাব কমতে থাকে। কিন্তু এই সময়টায় বৃষ্টির ঝামেলা নেই, এদিকে আবার পাহাড় যথেষ্ট সবুজ। ভোরের দিকে ভালো মেঘও পাবেন। বেশ একটা শীত শীত আমেজও পাবেন। মোটের ওপর তাই চোখ বুঝে সাজেক ভ্রমণের একটি প্ল্যান সাজিয়ে ফেলতে পারেন।

তবে কথা হলো, পুরোনো সাজেক যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনকার রিসোর্ট-কটেজে ঘিঞ্জি সাজেককে পছন্দ করেন না। তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। এখানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে একের পর এক রিসোর্ট-কটেজ। অনেক ক্ষেত্রেই একটার থেকে প্রকৃতির রূপ উপভোগ নষ্ট করে দিয়েছে আরেকটি। তারপর আবার আমরা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা মিলে অনেকটা আবর্জনাময় করে রেখেছি জায়গাটি।

মিজোরাম ভিউ এক কটেজের বারান্দা থেকে। ছবি: লেখক
মিজোরাম ভিউ এক কটেজের বারান্দা থেকে। ছবি: লেখক

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখনকার সাজেকেও চাইলে আনন্দময় কয়েকটি দিন কাটাতে পারবেন, সেই সঙ্গে ইট-পাথরের নগরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি। এমনিতে সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তার দুপাশ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

রুইলুই পাড়ায় একটা মডেল লুসাই পাড়া আছে। দেখে বেশ মজা পাবেন, টিকিট জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা অনেকটা সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়িটা দেখে মজা পাবেন। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই দেখবেন। রাজার বাড়ি মানে বাড়ির মডেলে আবার আছে কয়েকটা পেইন্টিংও। একটা দোলনাও পাবেন লুসাই শিশুদের জন্য বানানো দোলনার স্টাইলে। এ ছাড়াও লুসাইদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান কিছুই পাবেন। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। সাজেকে পৌঁছার পরদিন ভোরে ঘুরে আসতে পারেন কংলাক পাড়া থেকে। কংলাক পাড়া এদিকের সবচেয়ে উঁচু জায়গা। ওখান থেকে আশপাশের পাহাড় ও রুইলুই পাড়ার রাস্তা এবং ঘরবাড়িগুলো দেখতেও বেশ লাগে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংলাকেও পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক কটেজ-হোটেল গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

কংলাক থেকে নিচে খেলনা গাড়ির মতো দেখা যাচ্ছে একটা জিপকে। ছবি: লেখক
কংলাক থেকে নিচে খেলনা গাড়ির মতো দেখা যাচ্ছে একটা জিপকে। ছবি: লেখক

এখন সাজেকে একটু নিরিবিলি উপভোগের সুযোগ কীভাবে মিলবে, সে বিষয়ে দু-চারটি কথা বলছি। সাজেকের পুবে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পুবমুখী ও পশ্চিমমুখী উভয় কটেজ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। ভালো ব্যালকনি বা বারান্দা আছে এমন একটি কটেজ বেছে নিন। আমার ব্যক্তিগতভাবে পুবমুখী দৃশ্য পছন্দ। কারণ ওদিকে বাংলাদেশের পাহাড় শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টারের এক রাজ্য মিজোরামের পাহাড়। ব্যালকনিতে বসেই বড় একটা সময় পার করে দিতে পারবেন। মিজোরামের ওদিকে কামরা থাকলে দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে কটেজ নিলে সূর্যাস্তের ভিউ ভালো পাবেন।

মেঘ ভালো দেখতে চাইলে একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখবেন সাদা একটা মেঘের পর্দা ঢেকে রেখেছে গোটা পাহাড়রাজ্য। সূর্য ওপর দিকে ওটার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের চাদর ছিঁড়ে সবুজ পাহাড় বেরোতে থাকবে। এ ছাড়া ভিড়বাট্টা এড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে পাহাড়িদের চলাচলের কোনো পথ ধরে চলে যেতে পারেন নিচের দিকে। পাহাড়িদের জীবন, সবুজ গাছপালা, পাখির কলকাকলি—সবকিছুই দেখার ও শোনার সুযোগ মিলবে চোখ-কান খোলা রাখলে। পাহাড়ের ঢালে কোনো ঘেসো জমিতে বসে মিজোরাম কিংবা বাংলাদেশের পাহাড় দেখতে দেখতেও আনন্দময় সময় পার করতে পারেন।

পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা পথে চলছে গাড়ি। ছবি: লেখক
পাহাড়ি আঁকা-বাঁকা পথে চলছে গাড়ি। ছবি: লেখক

তবে সাজেকের ভিড় এড়াতে চাইলে অবশ্য আপনার টানা ছুটির দিন এড়িয়ে যেতে হবে। তেমনি শুক্র ও শনিবার না গেলেই মঙ্গল। কারণ ওই দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় রিসোর্ট-কটেজের ভাড়াও থাকে বেশি। তেমনি সাজেকের রাস্তায় শান্তিমতো হাঁটাও মুশকিল।

আর আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিন হলে ওটাই আপনার প্রথম কর্তব্য। ঈদসহ বড় ছুটিতে অনেকেই রিসোর্ট ভাড়া না করে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন।

যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড়। ছবি: লেখক
যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড়। ছবি: লেখক

রিসোর্ট বা কটেজ বাছাইয়ের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। তেমনি কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন সেটা বাছাইয়েও ইউটিউব আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিছু ভিডিও দেখলে বাছবিচার করার কাজটা সহজ হবে। তেমনি বেশির ভাগ রিসোর্ট-কটেজের ফেসবুক পেজ আছে। ওখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এদিকে ছুটির দিন ছাড়া গেলে আপনি দরাদরি করে একটু কম ভাড়ায় কটেজ পেয়ে যাবেন। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজের রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। রেস্তোরাঁয় গোটা দিনের প্যাকেজ নিলে খাওয়ার খরচটা কম পড়বে।

কাজেই পাঠক, সাজেকে আনন্দময় একটি ভ্রমণে আপনাকে স্বাগত। ওহ্‌, একটা কথা, আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে সম্মান করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ১০ রুটি

ফিচার ডেস্ক
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া

রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।

‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।

পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।

এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।

বোলানি, আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।

লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

লাভাশ, আর্মেনিয়া

আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া
লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া

লুচি, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।

শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া
শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া

শাওবিং, চীন

চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।

পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া
পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া

পরোটা, ভারত

ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া

জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।

সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া
সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া

সানগাক, ইরান

ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।

কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া
কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া

কারে পান, জাপান

জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা

চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।

মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া
মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া

মালাওয়াচ, ইয়েমেন

মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।

হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেমন্তের সকালে দুধ লাউ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দুধ লাউ।
দুধ লাউ।

রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।

দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।
দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।

প্রণালি

লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৮
আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!

বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।

মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!

কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।

সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।

কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!

তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।

বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।

ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!

মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!

কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!

মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুলে তেল মাখলে কী করবেন ও কী করবেন না

সানজিদা সামরিন, ঢাকা 
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম

শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।

যা করবেন

সঠিক তেল নির্বাচন করুন

চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।

মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস
মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস

মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন

চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।

আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন

মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।

চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন

চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।

যা করবেন না

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।

তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না

যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না

অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।

অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না

সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।

এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।

সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র‍্যাফট ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত