মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি একটি। এই জেলাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলা হয়। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখজুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
ভ্রমণ পরিকল্পনা সব ঠিকঠাক। যাব অচেনা-অজানা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে। তাই দীঘিনালার বাসিন্দা রকি বিশ্বাসের সহযোগিতা নিলাম। তিনি সবুজ সংকেত দিলে এক বৃহস্পতিবার রাতের গাড়িতে ছুটলাম খাগড়াছড়ি। ভোরে সেখানে নেমে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে উঠে বসলাম চান্দের গাড়িতে। প্রায় এক ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছেড়ে তাবাক্ষ গুহার দিকে এগোতে থাকল গাড়ি। পাহাড়ি পথ। কিছুটা অগ্রসর হতেই গাড়ি খাদে আটকে যায়। ঠেলা-ধাক্কা, নাকে দড়ি বেঁধেও গাড়ি এগিয়ে নেওয়া গেল না। খাদে আটকা অচল গাড়ি সচল করতে গিয়ে একটা ঘণ্টা বরবাদ। অতঃপর দুই পা-ই ভরসা।
হাঁড়ি-পাতিল, বাজারসদাইসহ ট্র্যকিং শুরু। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই ট্র্যাকিং চলছে। মাঝেমধ্যে ছায়াঘেরা কোনো গাছতলায় জিরিয়ে নিই। চলতে চলতে চোখে ধরা দেয় নীল আসমানে পেজা তুলার মতো শুভ্র মেঘের ভেলা, কখনোবা কালো মেঘের ঘনঘটা, ঢেউ খেলানো পাহাড়, জুমের ফসল, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ অরণ্য, উঁচু-নিচু পাহাড়। নলখাগড়ার জঙ্গল। এ সবই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রাণশক্তি। এই শক্তি বেড়ে দ্বিগুণ হলো যখন একটা সময় পুরোপুরি জংলি পথে ঢুকে গেলাম। সে এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার-স্যাপার। সব মিলিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা হাইকিং-ট্র্যাকিং করতে করতে পৌঁছে যাই বড় মাইরুং ঝরনার ওপরে। গড়িয়ে যাওয়া টলটলে পানির ঝাপটা চোখেমুখে দিতেই সব ক্লান্তি উবে যায়।
ঝরনা দেখে সবাই দড়ি বেয়ে তরতর করে নেমে গেল পানিতে। ১১০ কেজির দেহ নিয়ে প্রায় ৮৫ ডিগ্রি খাঁড়া পাহাড়ের আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ ফুট নিচে নেমে এলাম। বড় মাইরুং ঝরনার ঠান্ডা পানি মন কেড়ে নেয়। বয়ে চলা ঝিরির পরিবেশ দেখতেও বেশ নৈসর্গিক। ঝরনার পানি রিমঝিম ছন্দ তুলে অবিরাম গড়িয়ে পড়ে। এর শীতল পানি চুম্বকের মতো দেহটাকে টেনে নেওয়ায় ইচ্ছেমতো ভিজতে থাকি। সবুজের গালিচায় মোড়ানো গহিন পাহাড়ের বুক চিরে জেগে থাকা বড় মাইরুং ঝরনা মন জিতে নেয়।
ওদিকে বন্ধুদের কেউ কেউ জঙ্গল থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে আনে। কেউ বড় বড় পাথর বসিয়ে চুলা বানায়। রন্ধন কারিগরেরা আগুন জ্বালিয়ে রান্নায় ব্যতিব্যস্ত। বাঁশকোড়ল সংগ্রহ করতে যাওয়া স্থানীয় বগড়াছড়া পাড়ার তরুণীরাও আমাদের রান্নাযজ্ঞে হাত মেলায়।
অল্প কিছুদূর গেলেই কাঙ্ক্ষিত তাবাক্ষ গুহার দেখা মিলবে। কিন্তু না। এখনই যাচ্ছি না। আগে দুপুরের আহার সেরে নেওয়া হবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রেডি হয়ে যায় সাদা ভাত আর মুরগির তরকারি। আহ্ কী ঘ্রাণ! এই ঘ্রাণ কি তবে ঝরনার পানি দিয়ে রান্নার কারণে? তা যাই হোক, সবাই মিলে পেট পুরে খাই। খেয়েদেয়ে এবার ছুটলাম তাবাক্ষ।
অল্প কিছু দূর মাইরুং তৈসা ঝিরিপথ ধরে এগোতেই গুহামুখের দেখা মেলে। দেখেই কেমন যেন রহস্যময় লাগে। ভেতরে ঢুকলে না জানি কী হয়! কিন্তু আমাদের থামাবে কে? একে একে সবাই সরু গুহার ভেতরে ঢুকে পড়ি। একটা সময় পুরোই ঘুটঘুটে অন্ধকার আমাদের আচ্ছন্ন করে। তবু সঙ্গে নেওয়া টর্চের আলোয় আগাতে থাকি। তাবাক্ষর ভেতরটা ভয়ংকর অদ্ভুত সৌন্দর্যে ঘেরা। পাথুরে পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই তাবাক্ষ গুহাটর্চের আলোয় ওপরের দিকে তাকালে মনের মাঝে ভয়ানক শিহরণ জাগে। তাবাক্ষর পাথুরে ছাদজুড়ে যেন রহস্য খেলা করে। গুহার কিছু কিছু জায়গা মাত্র ১৭ থেকে ১৮ ইঞ্চি চওড়া। সেসব জায়গা দিয়েও কাতচিৎ হয়ে অবলীলায় ঢুকে পড়ছি।
দলের প্রত্যেকের মাথায় অদেখাকে দেখার নেশা চেপে ধরেছে। ভয়ডর সব তখন ছিল ফিকে। কথা একটিই, দেখতে হবে তাবাক্ষর শেষ পর্যন্ত। গুহার আঁকাবাঁকা পথে আগাতে আগাতে একটা সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সুরু পথের মাঝে থাকা একখণ্ড পাথর। হয়তো পাথরটি পথ আগলে না রাখলে আরও কিছুটা দূর যাওয়া যেত। খানিকটা সময় পাথরের চিপাচাপা দিয়ে চোখ বুলিয়ে সেখান থেকেই ফিরতি পথ ধরি। সাংবাদিক অপু দত্তর রিপোর্ট অনুযায়ী, তাবাক্ষ গুহা প্রায় ১৬০ ফুট দীর্ঘ। এর উচ্চতা ৩০ ফুট। আর প্রায় সাড়ে তিন ফুট প্রশস্ত এই গুহা।
স্থানীয়রা তাবাক্ষ গুহাটিকে দেবতার গুহা নামেও ডাকে। ত্রিপুরা ভাষায় ‘তাবাক্ষ’ অর্থ বাদুড়ের গুহা। যারা যে নামেই ডাকুক না কেন, এর সৌন্দর্য অসাধারণ। নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুদের তাবাক্ষ গুহা রোমাঞ্চিত করবে এটা নিশ্চিত। তাবাক্ষ মিশন শেষ করার পরেও যাদের সময় থাকবে, তারা ফেরার সময়ই যেতে পারেন তুয়ারী মারাইং।
এবার আমাদের গাইড মিল্টন ত্রিপুরার নির্দেশনা মতো ছুটলাম। পথে ব্রেক দিয়ে পেটে কিছু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। সারা দিন কী পাব আর কোথায় খাব এই ভেবে। তাই গরম ভাত, ডিম, ভর্তা আর ডাল দিয়েই সকালের নাশতা সেরে নিলাম। এরপর ছুটলাম পিচঢালা আঁকাবাঁকা পথে। যেতে যেতে নয়মাইল ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে মাহেন্দ্রে ঢুকে যায় ইট সুরকির পথ মাইতুই পাড়ার দিকে। মনের ভেতরে বেশ ভালো লাগা কাজ করতে থাকে।
চারপাশ সুনসান নীরব অরণ্য। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে সরু পথ। আলহাজ মোস্তফা হাকিম বিদ্যানিকেতন ছাড়িয়ে সীমানাপাড়ায় পৌঁছে গাড়িতে ব্রেক পড়ল। এবার শুরু ঢেউ খেলানো পাহাড়ে হাইকিং ট্রেকিং। সঙ্গে জুমের ফসলের মন উদাস করা ঘ্রাণ। চলার পথে ছোট্ট একটি জুমঘরে খানিকটা সময় জিরিয়ে নেওয়া। মাঝেমধ্যে দূর থেকে দৈত্যকার গাছের ঘন অরণ্য দেখার মাঝে অদ্ভুত অনুভূতি দোল দেয়। এরকমভাবে প্রায় ঘণ্টাখানিক ট্রেকিং করার পর এক বিশাল খাদের কিনারায় গিয়ে থামতে হয়।
এবার চিকন চিকন সব বাঁশের ফাঁক গলে নামতে হবে। দেখতে এসেছি, দেখতে হবে। তাই লতাগুল্ম ধরে ধরে নেমে যাই। নামলাম তো ঠিকই, কিন্তু এর পরের দৃশ্য যে ভয়ংকর তা বুঝিনি। অনবরত পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। প্রায় দেড় শ ফুটের ওপর থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি পাথর আর পাথর। ঠিক ওই জায়গাটা দিয়েই ১০ থেকে ১২ ফুট নিচে নামতে হবে। একটু এদিক-সেদিক হলেই চোখে আর কিছু দেখতে হবে না। কী আর করা, সঙ্গীদের সাহায্যে রশি বেয়ে নেমে পড়ি। নিখাদ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। লিখে বোঝানো মুশকিল। বুঝতে হলে যেতে হবে মায়াবি প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘেরা তুয়ারী মারাইং। সেখানে প্রকৃতি যেমন মায়াবি, তেমনি চরম প্রতিশোধপরায়ণ। যাক সেসব গুরুগম্ভীর কথা। বরং বাকি অংশের ট্রেইল নিয়ে গল্প করি।
তুয়ারী মারাইং ঝরনার দেখা পেতে আর খুব বেশি পথ ছিল না। যতটুকুনই ছিল শুধু পাথর আর পাথর। দুপাশে খাঁড়া উঁচু পাহাড়, তার মাঝ দিয়েই চলছিল আমাদের হাইকিং। প্রাচীন গাছগুলোর ডালপালা এমনভাবে একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল, যে কেউ প্রথম দেখায় ভূতুরে বাড়ির প্রান্তর মনে করে ভুল করতে পারে। ভ্রমণের আনন্দ ঠিক এই জায়গাটাতেই।
যেতে যেতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঝরনার দেখা মেলে। তুয়ারী মারাইং ঝরনার রূপ দেখব, নাকি এর পরিবেশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখব স্থির করা কিছুটা অসম্ভব হয়ে যায়। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে ঝরনার পানির ধারা পতনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখানে। মন মাতানো অনবরত ছন্দ তোলা রিমঝিম শব্দ। পানি পড়তে পড়তে ঝরনার সামনে খুব সুন্দর ক্যাসকেড তৈরি হয়েছে। সেখানে অবলীলায় সাঁতার কাটা যায়। ঝরনার ডান পাশের পাহাড়ের পাদদেশটা চমৎকার আকৃতির। যেন বিশাল একটি থালা। সম্ভবত এ কারণেই ঝরনার নামটা তুয়ারী মারাইং।
তুয়ারী অর্থ কুয়া বা কূপ আর মারাইং অর্থ থালা। অর্থাৎ কুয়ার থালা বা কুয়ার মতো থালা। এটি একটি ত্রিপুরা ভাষার শব্দ। সব মিলিয়ে তুয়ারী মাইরাং ঝরনা ও এর পাহাড়ের পাদদেশের ভৌগোলিক আকৃতিসহ এখানে যাওয়ার ট্রেইলটা অসাধারণ সুন্দর।
সতর্কতা
অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণে রশি, শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত পানিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে। গাইডের পরামর্শ ছাড়া কোনো পাড়া বা পাহাড়ের পথে যাওয়া যাবে না।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি রুটে যেতে হবে বাসে। অথবা বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে খাগড়াছড়ি। ঢাকা থেকে বাসে ভাড়া ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা। তাবাক্ষ যেতে হলে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর থেকে চান্দের গাড়িতে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের দীঘিনালা উপজেলার আটমাইল নামক এলাকা হয়ে বড় পাড়া বা বগড়াছড়া পাড়া পর্যন্ত যেতে হবে। এরপর প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথে ট্র্যাকিং করতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় পাড়াগুলো থেকে গাইড নিয়ে যেতে হবে। নয়তো পথ হারানোর আশঙ্কা আছে। যাঁরা খাগড়াছড়ি শহর থেকে সরাসরি তুয়ারী মারাইং যেতে চান, তাঁরা বাসস্ট্যান্ড থেকে চান্দের গাড়ি বা মাহেন্দ্র কিংবা সিএনজিতে দীঘিনালার নয়মাইল এলাকার সীমানা পাড়া পর্যন্ত যাবেন। মাইতুই বা সীমানা পাড়া থেকে স্থানীয় গাইড পাওয়া যায়।
খাওয়া ও থাকা
সকালে বেরিয়ে গেলে দিনেই ঘুরে এসে শহরে থাকা যায়। তাবাক্ষ যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে নিতে হবে।
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি একটি। এই জেলাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলা হয়। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখজুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
ভ্রমণ পরিকল্পনা সব ঠিকঠাক। যাব অচেনা-অজানা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে। তাই দীঘিনালার বাসিন্দা রকি বিশ্বাসের সহযোগিতা নিলাম। তিনি সবুজ সংকেত দিলে এক বৃহস্পতিবার রাতের গাড়িতে ছুটলাম খাগড়াছড়ি। ভোরে সেখানে নেমে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে উঠে বসলাম চান্দের গাড়িতে। প্রায় এক ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছেড়ে তাবাক্ষ গুহার দিকে এগোতে থাকল গাড়ি। পাহাড়ি পথ। কিছুটা অগ্রসর হতেই গাড়ি খাদে আটকে যায়। ঠেলা-ধাক্কা, নাকে দড়ি বেঁধেও গাড়ি এগিয়ে নেওয়া গেল না। খাদে আটকা অচল গাড়ি সচল করতে গিয়ে একটা ঘণ্টা বরবাদ। অতঃপর দুই পা-ই ভরসা।
হাঁড়ি-পাতিল, বাজারসদাইসহ ট্র্যকিং শুরু। প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই ট্র্যাকিং চলছে। মাঝেমধ্যে ছায়াঘেরা কোনো গাছতলায় জিরিয়ে নিই। চলতে চলতে চোখে ধরা দেয় নীল আসমানে পেজা তুলার মতো শুভ্র মেঘের ভেলা, কখনোবা কালো মেঘের ঘনঘটা, ঢেউ খেলানো পাহাড়, জুমের ফসল, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ অরণ্য, উঁচু-নিচু পাহাড়। নলখাগড়ার জঙ্গল। এ সবই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রাণশক্তি। এই শক্তি বেড়ে দ্বিগুণ হলো যখন একটা সময় পুরোপুরি জংলি পথে ঢুকে গেলাম। সে এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার-স্যাপার। সব মিলিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা হাইকিং-ট্র্যাকিং করতে করতে পৌঁছে যাই বড় মাইরুং ঝরনার ওপরে। গড়িয়ে যাওয়া টলটলে পানির ঝাপটা চোখেমুখে দিতেই সব ক্লান্তি উবে যায়।
ঝরনা দেখে সবাই দড়ি বেয়ে তরতর করে নেমে গেল পানিতে। ১১০ কেজির দেহ নিয়ে প্রায় ৮৫ ডিগ্রি খাঁড়া পাহাড়ের আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ ফুট নিচে নেমে এলাম। বড় মাইরুং ঝরনার ঠান্ডা পানি মন কেড়ে নেয়। বয়ে চলা ঝিরির পরিবেশ দেখতেও বেশ নৈসর্গিক। ঝরনার পানি রিমঝিম ছন্দ তুলে অবিরাম গড়িয়ে পড়ে। এর শীতল পানি চুম্বকের মতো দেহটাকে টেনে নেওয়ায় ইচ্ছেমতো ভিজতে থাকি। সবুজের গালিচায় মোড়ানো গহিন পাহাড়ের বুক চিরে জেগে থাকা বড় মাইরুং ঝরনা মন জিতে নেয়।
ওদিকে বন্ধুদের কেউ কেউ জঙ্গল থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে আনে। কেউ বড় বড় পাথর বসিয়ে চুলা বানায়। রন্ধন কারিগরেরা আগুন জ্বালিয়ে রান্নায় ব্যতিব্যস্ত। বাঁশকোড়ল সংগ্রহ করতে যাওয়া স্থানীয় বগড়াছড়া পাড়ার তরুণীরাও আমাদের রান্নাযজ্ঞে হাত মেলায়।
অল্প কিছুদূর গেলেই কাঙ্ক্ষিত তাবাক্ষ গুহার দেখা মিলবে। কিন্তু না। এখনই যাচ্ছি না। আগে দুপুরের আহার সেরে নেওয়া হবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রেডি হয়ে যায় সাদা ভাত আর মুরগির তরকারি। আহ্ কী ঘ্রাণ! এই ঘ্রাণ কি তবে ঝরনার পানি দিয়ে রান্নার কারণে? তা যাই হোক, সবাই মিলে পেট পুরে খাই। খেয়েদেয়ে এবার ছুটলাম তাবাক্ষ।
অল্প কিছু দূর মাইরুং তৈসা ঝিরিপথ ধরে এগোতেই গুহামুখের দেখা মেলে। দেখেই কেমন যেন রহস্যময় লাগে। ভেতরে ঢুকলে না জানি কী হয়! কিন্তু আমাদের থামাবে কে? একে একে সবাই সরু গুহার ভেতরে ঢুকে পড়ি। একটা সময় পুরোই ঘুটঘুটে অন্ধকার আমাদের আচ্ছন্ন করে। তবু সঙ্গে নেওয়া টর্চের আলোয় আগাতে থাকি। তাবাক্ষর ভেতরটা ভয়ংকর অদ্ভুত সৌন্দর্যে ঘেরা। পাথুরে পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই তাবাক্ষ গুহাটর্চের আলোয় ওপরের দিকে তাকালে মনের মাঝে ভয়ানক শিহরণ জাগে। তাবাক্ষর পাথুরে ছাদজুড়ে যেন রহস্য খেলা করে। গুহার কিছু কিছু জায়গা মাত্র ১৭ থেকে ১৮ ইঞ্চি চওড়া। সেসব জায়গা দিয়েও কাতচিৎ হয়ে অবলীলায় ঢুকে পড়ছি।
দলের প্রত্যেকের মাথায় অদেখাকে দেখার নেশা চেপে ধরেছে। ভয়ডর সব তখন ছিল ফিকে। কথা একটিই, দেখতে হবে তাবাক্ষর শেষ পর্যন্ত। গুহার আঁকাবাঁকা পথে আগাতে আগাতে একটা সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সুরু পথের মাঝে থাকা একখণ্ড পাথর। হয়তো পাথরটি পথ আগলে না রাখলে আরও কিছুটা দূর যাওয়া যেত। খানিকটা সময় পাথরের চিপাচাপা দিয়ে চোখ বুলিয়ে সেখান থেকেই ফিরতি পথ ধরি। সাংবাদিক অপু দত্তর রিপোর্ট অনুযায়ী, তাবাক্ষ গুহা প্রায় ১৬০ ফুট দীর্ঘ। এর উচ্চতা ৩০ ফুট। আর প্রায় সাড়ে তিন ফুট প্রশস্ত এই গুহা।
স্থানীয়রা তাবাক্ষ গুহাটিকে দেবতার গুহা নামেও ডাকে। ত্রিপুরা ভাষায় ‘তাবাক্ষ’ অর্থ বাদুড়ের গুহা। যারা যে নামেই ডাকুক না কেন, এর সৌন্দর্য অসাধারণ। নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুদের তাবাক্ষ গুহা রোমাঞ্চিত করবে এটা নিশ্চিত। তাবাক্ষ মিশন শেষ করার পরেও যাদের সময় থাকবে, তারা ফেরার সময়ই যেতে পারেন তুয়ারী মারাইং।
এবার আমাদের গাইড মিল্টন ত্রিপুরার নির্দেশনা মতো ছুটলাম। পথে ব্রেক দিয়ে পেটে কিছু দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। সারা দিন কী পাব আর কোথায় খাব এই ভেবে। তাই গরম ভাত, ডিম, ভর্তা আর ডাল দিয়েই সকালের নাশতা সেরে নিলাম। এরপর ছুটলাম পিচঢালা আঁকাবাঁকা পথে। যেতে যেতে নয়মাইল ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে মাহেন্দ্রে ঢুকে যায় ইট সুরকির পথ মাইতুই পাড়ার দিকে। মনের ভেতরে বেশ ভালো লাগা কাজ করতে থাকে।
চারপাশ সুনসান নীরব অরণ্য। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে সরু পথ। আলহাজ মোস্তফা হাকিম বিদ্যানিকেতন ছাড়িয়ে সীমানাপাড়ায় পৌঁছে গাড়িতে ব্রেক পড়ল। এবার শুরু ঢেউ খেলানো পাহাড়ে হাইকিং ট্রেকিং। সঙ্গে জুমের ফসলের মন উদাস করা ঘ্রাণ। চলার পথে ছোট্ট একটি জুমঘরে খানিকটা সময় জিরিয়ে নেওয়া। মাঝেমধ্যে দূর থেকে দৈত্যকার গাছের ঘন অরণ্য দেখার মাঝে অদ্ভুত অনুভূতি দোল দেয়। এরকমভাবে প্রায় ঘণ্টাখানিক ট্রেকিং করার পর এক বিশাল খাদের কিনারায় গিয়ে থামতে হয়।
এবার চিকন চিকন সব বাঁশের ফাঁক গলে নামতে হবে। দেখতে এসেছি, দেখতে হবে। তাই লতাগুল্ম ধরে ধরে নেমে যাই। নামলাম তো ঠিকই, কিন্তু এর পরের দৃশ্য যে ভয়ংকর তা বুঝিনি। অনবরত পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। প্রায় দেড় শ ফুটের ওপর থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি পাথর আর পাথর। ঠিক ওই জায়গাটা দিয়েই ১০ থেকে ১২ ফুট নিচে নামতে হবে। একটু এদিক-সেদিক হলেই চোখে আর কিছু দেখতে হবে না। কী আর করা, সঙ্গীদের সাহায্যে রশি বেয়ে নেমে পড়ি। নিখাদ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। লিখে বোঝানো মুশকিল। বুঝতে হলে যেতে হবে মায়াবি প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘেরা তুয়ারী মারাইং। সেখানে প্রকৃতি যেমন মায়াবি, তেমনি চরম প্রতিশোধপরায়ণ। যাক সেসব গুরুগম্ভীর কথা। বরং বাকি অংশের ট্রেইল নিয়ে গল্প করি।
তুয়ারী মারাইং ঝরনার দেখা পেতে আর খুব বেশি পথ ছিল না। যতটুকুনই ছিল শুধু পাথর আর পাথর। দুপাশে খাঁড়া উঁচু পাহাড়, তার মাঝ দিয়েই চলছিল আমাদের হাইকিং। প্রাচীন গাছগুলোর ডালপালা এমনভাবে একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল, যে কেউ প্রথম দেখায় ভূতুরে বাড়ির প্রান্তর মনে করে ভুল করতে পারে। ভ্রমণের আনন্দ ঠিক এই জায়গাটাতেই।
যেতে যেতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঝরনার দেখা মেলে। তুয়ারী মারাইং ঝরনার রূপ দেখব, নাকি এর পরিবেশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখব স্থির করা কিছুটা অসম্ভব হয়ে যায়। প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে ঝরনার পানির ধারা পতনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এখানে। মন মাতানো অনবরত ছন্দ তোলা রিমঝিম শব্দ। পানি পড়তে পড়তে ঝরনার সামনে খুব সুন্দর ক্যাসকেড তৈরি হয়েছে। সেখানে অবলীলায় সাঁতার কাটা যায়। ঝরনার ডান পাশের পাহাড়ের পাদদেশটা চমৎকার আকৃতির। যেন বিশাল একটি থালা। সম্ভবত এ কারণেই ঝরনার নামটা তুয়ারী মারাইং।
তুয়ারী অর্থ কুয়া বা কূপ আর মারাইং অর্থ থালা। অর্থাৎ কুয়ার থালা বা কুয়ার মতো থালা। এটি একটি ত্রিপুরা ভাষার শব্দ। সব মিলিয়ে তুয়ারী মাইরাং ঝরনা ও এর পাহাড়ের পাদদেশের ভৌগোলিক আকৃতিসহ এখানে যাওয়ার ট্রেইলটা অসাধারণ সুন্দর।
সতর্কতা
অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণে রশি, শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত পানিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে। গাইডের পরামর্শ ছাড়া কোনো পাড়া বা পাহাড়ের পথে যাওয়া যাবে না।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি রুটে যেতে হবে বাসে। অথবা বাস, ট্রেন বা ফ্লাইটে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে খাগড়াছড়ি। ঢাকা থেকে বাসে ভাড়া ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা। তাবাক্ষ যেতে হলে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর থেকে চান্দের গাড়িতে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের দীঘিনালা উপজেলার আটমাইল নামক এলাকা হয়ে বড় পাড়া বা বগড়াছড়া পাড়া পর্যন্ত যেতে হবে। এরপর প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথে ট্র্যাকিং করতে হবে। অবশ্যই স্থানীয় পাড়াগুলো থেকে গাইড নিয়ে যেতে হবে। নয়তো পথ হারানোর আশঙ্কা আছে। যাঁরা খাগড়াছড়ি শহর থেকে সরাসরি তুয়ারী মারাইং যেতে চান, তাঁরা বাসস্ট্যান্ড থেকে চান্দের গাড়ি বা মাহেন্দ্র কিংবা সিএনজিতে দীঘিনালার নয়মাইল এলাকার সীমানা পাড়া পর্যন্ত যাবেন। মাইতুই বা সীমানা পাড়া থেকে স্থানীয় গাইড পাওয়া যায়।
খাওয়া ও থাকা
সকালে বেরিয়ে গেলে দিনেই ঘুরে এসে শহরে থাকা যায়। তাবাক্ষ যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে নিতে হবে।
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৪ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৭ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
৮ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
৩১ মার্চ ২০২৫রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৭ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
৮ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
৩১ মার্চ ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৪ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
৮ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
৩১ মার্চ ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৪ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৭ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
৯ ঘণ্টা আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা
শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।
সঠিক তেল নির্বাচন করুন
চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।
মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন
চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।
আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন
মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।
চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন
চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।
তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না
অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।
অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।
এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।
সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।
সঠিক তেল নির্বাচন করুন
চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।
মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন
চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।
আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন
মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।
চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন
চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।
তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না
অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।
অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।
এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।
সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
দেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
৩১ মার্চ ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৪ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৭ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
৮ ঘণ্টা আগে