Ajker Patrika

থাইল্যান্ডের যে শহরে দিনে ৯ বার চলে ভুরিভোজ

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ৫৪
থাইল্যান্ডের যে শহরে দিনে ৯ বার চলে ভুরিভোজ

স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে থাইল্যান্ডের নানা পদের খাবার। স্ট্রিট ফুডের জাদু যেকোনো ভোজনরসিককে আকৃষ্ট করবে। থাইল্যান্ড জায়গাটাই এমন, এখানকার মানুষ খেতে ভালোবাসে। পর্যটকদের বেশির ভাগই থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, পাতায়া, ফুকেত—এসব জায়গায় ঘুরতে যান। তবে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় থাইল্যান্ডের ‘ত্রাং’ শহরের গল্প জেনে আপনি অবাক হবেন। ভোজনরসিকদের জন্য এটি এক স্বর্গরাজ্য বলা চলে। থাইল্যান্ডের ত্রাং শহরের মানুষ এতটাই ভোজনরসিক যে তাঁরা দিনে ৯ বেলা ভুরিভোজ করেন। স্ট্রিট ফুডের স্বর্গরাজ্য সেই ত্রাং শহরের গল্পই তুলে ধরেছে বিবিসি। ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন আমিনুল ইসলাম নাবিল। 

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ত্রাং। এই শহরের মানুষের ঘুম ভাঙে ভোর ৪টায়। ভোরবেলায়ই জমজমাট হয়ে ওঠে এখানকার স্ট্রিট ফুড ও ক্যাফে স্টলগুলো। ভোরেই ঐতিহ্যবাহী ‘দিম সাম’ খেতে দোকানগুলোতে ভিড় জমায় মানুষ। ভোর থেকে ভোজনরসিকদের আনাগোনা শুরু হলেও মূলত সারা রাত ধরে চলে খাবার তৈরির কার্যক্রম। মধ্যরাতেই চুলার ধোঁয়া আর খাবারের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। 

মধ্যরাতে শূকর কেটে খাবারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মসলা মাখানো শূকর চুল্লিতে রাখা হয় ঘণ্টাখানেক। সেটি বের করার পর প্রস্তুত করা হয় পরিবেশনের জন্য। ত্রাং শহরের মূল বাজারে ভোররাত ৪টা থেকেই এগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। 

দিনভরই থাইল্যান্ডের রাস্তায় হরেক রকমের খাবার পাওয়া যায়। ছবি: এএফপিপৃথিবীর এমন কম জায়গাই রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন এমন আস্ত শূকরের কাবাব পাওয়া যায়। এগুলো আবার কেজি হিসেবেও বিক্রি করা হয়।

তবে ত্রাং শহরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসলিমের বসবাস। তাঁদের কথা চিন্তা করে ত্রাং শহরে ‘হালাল খাবারের’ অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। রুটিসহ নানা আইটেমের খাবারের আয়োজন থাকে সেই সব দোকানে। 

স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। ছবি: এএফপিবিশ্বের কম জায়গাই রয়েছে, যেখানে ত্রাং শহরের মতো রাজসিক সকালের নাশতার এমন পসরা বসে। পুরো থাইল্যান্ডই খাবারের জন্য বিখ্যাত। তবে ত্রাং শহরকে অন্য সব শহর থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। এখানকার মানুষের মধ্যে সকালের নাশতা নিয়ে যে উন্মাদনা, সেটিকে এক কথায় ‘পাগলামি’ বলা চলে। 

দিম সাম দিয়ে সকালের নাশতার প্রথম পর্ব শুরু করে এখানকার মানুষ। কয়েক দশকের পুরোনো বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে এখানে। দিম সাম ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় ধোঁয়া ওঠা নুডলস ও বাটিভর্তি জাউভাত। দোকানগুলোতে ট্রেতে সাজানো থাকে হরেক পদের তরকারি। নানা ভাজা আইটেম এবং স্যুপও থাকে। ডুবো তেলে ভাজা ময়দা দিয়ে তৈরি নানা খাবারও পাওয়া যায় এখানে। 

ডুবো তেলে ভাজা ময়দা, চীনাদের খাবার হলেও থাইল্যান্ডে জনপ্রিয়। ছবি: বিবিসির সৌজন্যেঐতিহ্যবাহী থাই রান্নাকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়। তম (সিদ্ধ খাবার), ইয়াম (মসলাদার সালাদ), ত্যাম (ভর্তা করা খাবার) ও গায়েং (তরকারি)। ডিপ-ফ্রাই, স্টায়ার-ফ্রাই এবং স্টিমড ডিশগুলো চীনা খাবারের অংশ। 

খাবারের ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন ত্রাং-ভিত্তিক রেস্তোরাঁর মালিক খানাপোর্ন জানজির্দসাক। তিনি বলেন, ত্রাং শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক কাজ করেন। এখানে তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ত্রাং শহরের মানুষ এক কথায় সারা দিনই খায়। ভোর ৫টা বাজলেই রেস্তোরাঁর মালিকেরা বাজার করতে বের হয়ে পড়েন। 

ত্রাং শহরের সকালের নাশতার সংস্কৃতির সঙ্গে রাবার চাষের একটা যোগসূত্র রয়েছে। রাবার এখানকার গুরুত্বপূর্ণ ফসল। রাবার বাগানের শ্রমিকেরা কাজের জন্য রাত ২টাতেই জেগে ওঠেন। ফলে সকালের নাশতাটা তাঁরা রাতের শেষ ভাগে কিংবা একদম ভোরে করেন। এভাবেই একসময় ভোরবেলায় নাশতার সংস্কৃতি চালু হয়। 

খানাপোর্ন জানজির্দসাক জানান, রাবার শ্রমিকেরা সূর্য ওঠার আগে অনেক সময় দুবারও নাশতা খেয়ে ফেলেন। 

ত্রাং শহরের সকালের নাশতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি বিষয়। ১৫ শতক থেকে এখানে চীনা অভিবাসীদের আগমন শুরু হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কাজের সন্ধানে তাঁরা থাইল্যান্ডের আন্দামান সমুদ্র উপকূল হয়ে এখানে আসেন। ফলে এ জায়গায় বিপুলসংখ্যক চীনার বসবাস। এতে ত্রাং শহরে সংস্কৃতির একটা মিশ্রণ ঘটেছে। ত্রাং শহরের সকালের এমন রাজসিক নাশতার পেছনে চীনা ক্যান্টোনিজদেরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। 

ত্রাং শহরের রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৭টার মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা, অফিসগামী মানুষ সবাই এসব দোকানে ভিড় জমায়। তারা চাসহ আরও নানা খাবার খায়। তবে জিপ খাও রেস্তোরাঁর চতুর্থ প্রজন্মের ক্যান্টোনিজ মালিক ইয়াওওয়ানি থিরাকলিলা জানান, আগের দিনে মানুষ এখানে এসে শুধু চা পান করতেন। বর্তমানে টি-স্টলগুলো সব রেস্তোরাঁয় রূপ নিয়েছে। ত্রাং শহর এখন দিম সাম রেস্তোরাঁর সমার্থক হয়ে উঠেছে।

ভোরে উঠে রাজসিক নাশতা করে ত্রাং শহরের বাসিন্দারা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যেইয়াওওয়ানি থিরাকলিলা বলেন, ‘আমরা বাড়ি থেকে তৈরি করা দিম সাম পরিবেশন করে থাকি। ছোট বাঁশের ঝুড়িতে সেদ্ধ করার পরিবর্তে আমরা ঐতিহ্যবাহী প্রশস্ত ট্রেতে দিম সাম সেদ্ধ করি।’ 

কুন চিয়াং ব্যাং রাক রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় প্রজন্মের মালিক সোমিওট আথাকিজমংকোল বলেন, ‘আমি প্রতিদিন রাত ৩টা বাজে ময়দা মাখতে ঘুম থেকে উঠি। ভোর ৬টা থেকে এগুলো ভাজতে শুরু করি এবং সকাল ৯টা থেকে বিক্রি শুরু করি।’ 

এখানকার একটি খাবারের দোকানের মালিক থানাতিপ বুনিয়ারাত বলেন, ‘ত্রাং শহরের মানুষ সেই রকমের ভোজনরসিক! থাইল্যান্ডের অন্যান্য শহরের লোকেরা দিনে চারবার খায়, আর এখানকার মানুষ দিনে খায় নয়বার!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

ফারিয়া রহমান খান 
সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু স্কিন কেয়ার পণ্য সুইমিংপুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকের শুষ্কতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেগুলো আলো সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ত্বকে জ্বালা, র‍্যাশ বা সানট্যানের ঝুঁকি বাড়ায়।

সাঁতারের আগে যেসব উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বহুল ব্যবহৃত কিছু উপাদানের কথা বলেছেন, যেগুলো পানির ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে ত্বকের ক্ষতি করে।

  • রেটিনল: বলিরেখা দূর করা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত এই উপাদান বেশ সংবেদনশীল। ক্লোরিনের সংস্পর্শে এলে এটি ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি।
  • আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এবং বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড: গ্লাইকোলিক, ল্যাকটিক বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। কিন্তু ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে এগুলো তেল দ্রুত শুষে নিয়ে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়।
  • বেনজয়েল পারক্সাইড: এটি ব্রণের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু ক্লোরিনের প্রভাবে এর ত্বক শুষ্ক করার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
  • সাঁতারের আগে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া পানিতে থাকা ক্লোরিন এগুলোর কার্যকারিতাও নষ্ট করে দেয়।

সাঁতারের আগে কী ব্যবহার করতে হবে

বিষয়টি এমন নয় যে সাঁতার এবং সুস্থ ত্বকের মধ্যে আপনাকে যেকোনো

একটি বেছে নিতে হবে। সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে আপনার রুটিনে কিছু কোমল উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। ত্বক বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ হিসেবে যে উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো—

  • বাকুচিওল: এটি রেটিনলের মতো কার্যকর। কিন্তু ত্বকের জন্য অনেক বেশি সহনশীল।
  • পেপটাইডস বা নিয়াসিনামাইড: এগুলো ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে, কিন্তু তীব্রভাবে এক্সফোলিয়েট করে না। আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডের বদলে ব্যবহার করা যায়।
  • টি ট্রি অয়েল: এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে জীবাণু থেকে রক্ষা করে। বেনজয়েল পারক্সাইডের বদলে এটি ব্যবহার করা যায়।

সাঁতার শেষে করণীয়

সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে ওঠার পর সাধারণ পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিয়ে প্রথমে একটি ক্রিম-বেজড এবং পরে একটি অয়েল-বেজড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো সাঁতারের আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এতে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।

সূত্র: ওমেনস হেলথ ম্যাগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রান্নাঘরের কিছু সহজ টিপস

ফিচার ডেস্ক
রান্নাঘরের কিছু সহজ টিপস

নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।

  • রান্নার সময় হঠাৎ টক দই দরকার হলে এক কাপ দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনেগার বা লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিলে সহজে টক দই পাওয়া যাবে। এভাবে বাসায় ব্যবহারের জন্যও তৈরি করতে পারবেন টক দই।
  • প্লাস্টিকের বক্সে পেপার টাওয়েল রেখে তার ওপর শাক, সবজি, ধনেপাতা
  • বা পুদিনাপাতা রেখে সেই বক্স ফ্রিজে রাখুন। পেপার টাওয়েল অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে শাকসবজি বেশি সময় ভালো রাখবে।
  • পোলাও রান্নার সময় চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে হালকা করে তেলে ভেজে নিয়ে তারপর পানি দিন। এতে পোলাও ঝরঝরে হবে।
  • রান্নার সময় খাবারে লবণ দেওয়ার পরেও স্বাদ কম মনে হলে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার না করে ভিনেগার বা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। অনেক সময় খাবারে অ্যাসিডের অভাবকে আমরা লবণের অভাব মনে করি। তাই স্বাদ কম মনে হয়।
  • রান্নার শুরুতে খুব কম আঁচে হলুদ, জিরা, ধনে হালকা করে টেলে নিন। একে ‘ব্লুমিং’ বলে, যা মসলার স্বাদ-গন্ধ পুরোপুরি বের করে আনে।
  • সহজে খোসা ছাড়ানোর জন্য রসুনের কোয়া ১৫ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভে গরম করুন। এতে খুব সহজে রসুনের খোসা ছাড়ানো যাবে।

সূত্র: বাজফিড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুকেট ভ্রমণে মজার খাবার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫৩
ফুকেটে পাওয়া যায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার। ছবি: পেক্সেল
ফুকেটে পাওয়া যায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার। ছবি: পেক্সেল

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।

ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

কাং ক্রাটি নুডলস। ছবি: পেক্সেলস
কাং ক্রাটি নুডলস। ছবি: পেক্সেলস

সকালের স্থানীয় খাবার

ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।

ঠান্ডা পানীয়

ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ছবি: পেক্সেলস
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ছবি: পেক্সেলস

হক্কিয়েন নুডলস

ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।

মিষ্টি ও ডেজার্ট

ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ

ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।

ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান

খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।

থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।

সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপনি যে ভুল ধারণাগুলো বিশ্বাস করে চলেছেন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫২
আপনি যে ভুল ধারণাগুলো বিশ্বাস করে চলেছেন

ব্রিটিশরা তাঁতিদের আঙুল কেটে দিত। বাংলাদেশের বহু মানুষ এই তথ্যে বিশ্বাস করে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব আছে বলে কোনো গবেষণায় এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু মানুষ সেই তথ্য বিশ্বাস করে। আবার ধরুন, ব্রিটিশ সেনাদের ধরে ধরে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করেছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। এমন বহু তথ্য আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়ায় প্রতিনিয়ত। এসব তথ্য অনেকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাসও করেন। কিন্তু সেসব তথ্যের বাস্তবতাই খুব কম।

সে রকমই জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারণা এবং সেগুলোর পিঠের সত্য তথ্যগুলো জেনে নিই।

ভুল ধারণা: প্রতিদিন ঠিক আট গ্লাস পানি পান করতে হবে।

সত্য: এটি অপরিহার্যভাবে কোনো নিয়ম নয়। মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, কারও প্রতিদিন কতটা পানি প্রয়োজন, তা সামগ্রিক স্বাস্থ্য, কার্যকলাপের স্তর এবং ভৌগোলিকভাবে কোথায় থাকেন ইত্যাদি শর্তের ওপর নির্ভর করে।

ভুল ধারণা: কিছু বিশেষ চা পান করলে শরীর ডিটক্স হয়।

সত্য: চা পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় না। ভক্স ডট কম তাদের একটি লেখায় জানিয়েছে, যদি আপনি কোনো ধরনের নেশাগ্রস্ত না হন বা অ্যালকোহল বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে না থাকেন, তাহলে আপনার ডিটক্সের প্রয়োজন নেই।

ভুল ধারণা: ভেজা চুলে বাইরে গেলে সর্দি-কাশি হয়।

সত্য: মায়ো ক্লিনিক জানিয়েছে, সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে হয়। এর মানে হলো, ভেজা চুলে বাইরে গেলেই সর্দি-কাশি হবে না। সর্দি-কাশি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ভেজা চুলের মাধ্যমে নয়।

ভুল ধারণা: মানুষ মস্তিষ্কের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করে।

সত্য: স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্যারি গর্ডন ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’কে জানিয়েছেন, মানুষ তাদের মস্তিষ্কের প্রায় প্রতিটি অংশ ব্যবহার করে এবং এটি প্রায় সব সময় সক্রিয় থাকে।

ভুল ধারণা: চিনি শিশুদের বেশি চঞ্চল করে তোলে।

সত্য: যদিও অনেক বাবা-মা তাদের শিশুদের বেশি চঞ্চল হয়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেন না। এটি কেবল একটি গুজব। জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে চিনি শিশুদের আচরণ প্রভাবিত করে না।

ভুল ধারণা: মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়ে গজায়।

সত্য: মায়ো ক্লিনিকের তথ্য মতে, চুল শেভ করলে এর রং পরিবর্তন হয় না বা এর বৃদ্ধির হার অথবা ঘনত্বকেও প্রভাবিত করে না। ন্যাড়া করলে যা হয় তা হলো, চুলের প্রান্তটি ভোঁতা হয়ে যায় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে এটি গজানোর সময় বেশি মোটা মনে হতে পারে।

ভুল ধারণা: একই জায়গায় দুবার বজ্রপাত হয় না।

সত্য: ২০০৩ সালে, নাসা এই ভুল ধারণা খণ্ডন করে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, একই জায়গায় শুধু একাধিকবার বজ্রপাতই হয় না, বরং সেটি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়ই ঘটে থাকে।

ভুল ধারণা: আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হয়।

সত্য: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল জানিয়েছে, আঙুল ফোটালে বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় গ্যাসের বুদ্‌বুদ ভেঙে যাওয়ার কারণে।

ভুল ধারণা: ব্যাঙ বা টাড থেকে আঁচিল হয়।

সত্য: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই গুজব সম্ভবত এই তথ্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ব্যাঙ বা টাডদের নিজেদের চামড়ায় আঁচিলের মতো গোটা থাকে। কিন্তু সেগুলো শুধু গ্রন্থি। সেগুলো এমন কোনো পদার্থ নিঃসরণ করে না, যা মানুষের ত্বকে আঁচিল সৃষ্টি করতে পারে। আঁচিল হয় হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামক একটি ভাইরাসের কারণে। সেটি সংক্রামিত মানুষের ত্বক থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়ায়।

ভুল ধারণা: মানুষের তৈরি একমাত্র বস্তু হিসেবে মহাকাশ থেকে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়।

সত্য: নাসা এবং চীনা নভোচারী ইয়াং লিউয়েইর মতে, মহাকাশ থেকে আসলে এই কাঠামো দেখা যায় না।

ভুল ধারণা: লাল রং দেখলেই ষাঁড় রেগে যায়।

সত্য: সত্য জেনে আসলে অবাক হবেন! ষাঁড় ও অন্যান্য গবাদিপশু আসলে বর্ণান্ধ। লাইভ সায়েন্সের মতে, ষাঁড়ের লড়াইয়ে ম্যাটাডর যখন কেপ নাড়াচাড়া করে, তখন তার নড়াচড়ায় ষাঁড় সম্ভবত বিরক্ত হয়ে আক্রমণ করে। অন্য সময়ে গবাদিপশু বিরক্ত হলেই কেবল রেগে যায়, রং দেখে নয়।

ভুল ধারণা: আইনস্টাইন গণিতে ফেল করা খারাপ ছাত্র ছিলেন।

সত্য: এই বহুল প্রচলিত গুজব আইনস্টাইন নিজেই ১৯৩৫ সালে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি প্রিন্সটনে এক ইহুদি শিক্ষককে বলেছিলেন, ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি ডিফারেনশিয়াল ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।

ভুল ধারণা: মধ্যযুগের মানুষ বিশ্বাস করত যে পৃথিবী চ্যাপটা।

সত্য: ইতিহাসবিদ জেফ্রি বার্টন রাসেল বলেছেন, অত্যন্ত কম ব্যতিক্রম বাদে, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে পশ্চিমি সভ্যতার ইতিহাসে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি পৃথিবী চ্যাপটা বলে বিশ্বাস করতেন না।

ভুল ধারণা: নেপোলিয়ন আকৃতিতে খাটো ছিলেন।

সত্য: নেপোলিয়ন সম্ভবত তাঁর সময়ের গড় উচ্চতার মানুষ ছিলেন। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এই বিশেষ গুজব ১৮০০ সালের শুরুতে জেমস গিলরের আঁকা একটি কার্টুন থেকে এসেছে।

ভুল ধারণা: গোল্ডফিশের স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।

সত্য: এই ধারণা একদম ভুল। গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, গোল্ডফিশের স্মৃতি পাঁচ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে!

ভুল ধারণা: বাদুড় অন্ধ।

সত্য: বাদুড় আসলে দেখতে পারে। ব্যাট (বাদুড়) কনজারভেশন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক রব মাইসের মতে, বাদুড় মানুষের চেয়ে তিন গুণ ভালো দেখতে পারে।

ভুল ধারণা: মাছি মাত্র ২৪ ঘণ্টা বাঁচে।

সত্য: প্রজাতি ও পরিবেশভেদে মাছির জীবনচক্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রজাতি ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে মাছি কয়েক দিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এমনকি সাধারণ মাছিও এক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

ভুল ধারণা: মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি বিষাক্ত।

সত্য: প্রক্রিয়াজাত খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির ব্যবহার প্রচলিত কিন্তু এটি বিষাক্ত নয়। এটি প্রায়শই এমন খাবারে পাওয়া যায়, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ‘খারাপ’ বলে মনে করা হয়। কারণ, সেসব খাবারে চর্বি ও সোডিয়াম বেশি থাকে। কিন্তু এমএসজি নিজে থেকে খারাপ নয়।

ভুল ধারণা: পানিতে লবণ দিলে তা দ্রুত ফুটতে থাকে।

সত্য: অধ্যাপক লেসলি-অ্যান গিল্ডিংস ও ‘লাইভসায়েন্স’র মতে, নোনাপানি বিশুদ্ধ পানির চেয়ে দ্রুত গরম হবে, তবু এর ভর বেশি হওয়ায় এটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি থাকে। সোজা কথায়, পানিতে লবণ মেশালে তা দ্রুত ফোটে না।

সূত্র: বাজ ফিড, সিলিকন রিপাবলিক ডট কম, বেস্ট লাইফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত