Ajker Patrika

ভ্রমণ /২০২৫ সালে অবশ্যই যাওয়া উচিত বিশ্বের এমন ১০টি দেশ

ইশতিয়াক হাসান
লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় আছে কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। ছবি: উইকিপিডিয়া
লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় আছে কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। ছবি: উইকিপিডিয়া

ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে লোনলি প্ল্যানেট। এর আগে আমরা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে। আজ থাকছে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দশ দেশের গল্প।

জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও বিপুল বৈচিত্র্যের অধিকারী ক্যামেরুন। ছবি: উইকিপিডিয়া
জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও বিপুল বৈচিত্র্যের অধিকারী ক্যামেরুন। ছবি: উইকিপিডিয়া

ক্যামেরুন

ক্যামরুনকে আমরা মূলত চিনি ফুটবল খেলার জন্য। আফ্রিকার এ দেশটি ভ্রমণের জন্যও যে চমৎকার একটি জায়গা সেটা সম্ভবত অনেকেরই জানা নেই। লোনলি প্ল্যানেট তো আগামী বছর যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় পয়লা নম্বরেই রেখেছে ক্যামেরুনকে। কিন্তু ক্যামেরুন কেন যাবেন আপনি?

সত্যি বলতে দেখার মতো জায়গা, জিনিসের অভাব নেই দেশটিকে। এখানকার সাদা বালুর অসাধারণ সব সৈকত, ছোট ছোট দ্বীপ, চিরসবুজ বন, আগ্নেয়গিরি, শুকনো জমির মাঝখানে হঠাৎই ছেদ টানা বিচিত্র কাঠামোর সব পাথর—এ সবকিছুই আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।

হাতি, সিংহ, গন্ডার, জলহস্তী, জিরাফসহ আফ্রিকা মহাদেশে দেখা মেলে এমন বেশির ভাগ প্রাণীই পাবেন দেশটিতে। জাতিগত এবং ভাষাগত দিক থেকেও এটি বিপুল বৈচিত্র্য বুকে ধারণ করে আছে। ২৫০টির মতো স্থানীয় ভাষা আছে এখানে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল। অর্থাৎ পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সময় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয় না।

অরণ্য ও লেক লিথুয়ানিয়ার বড় আকর্ষণ। ছবি: উইকিপিডিয়া
অরণ্য ও লেক লিথুয়ানিয়ার বড় আকর্ষণ। ছবি: উইকিপিডিয়া

লিথুয়ানিয়া

বাল্টিক সাগরে তীরে অবস্থান ইউরোপের এ দেশটির। মন জুড়িয়ে দেওয়া সব সাগরসৈকত, গাছপালায় ঠাসা অরণ্য এখানকার বড় আকর্ষণ। সব সময় কোনো না কোনো উৎসব লেগেই থাকে। কাজেই বেড়াতে গিয়ে একঘেয়েমি পেয়ে বসবে না। এমনিতে উত্তর ইউরোপের সীমানায় পড়লেও মহাদেশের মধ্যবিন্দু পড়েছে এখানেই।

দেশটির ইতিহাসও অনেক সমৃদ্ধ। বলা চলে এটি ছোট্ট এক দেশ হলেও এর অতীত অনেক বিশাল। পনেরো শতকে এটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় রাজ্য। কাজেই আকৃতির প্রতি একটা আগ্রহ আছে এখানকার মানুষদের। যেমন বড় পাহাড় এখানে পরিচিতি পেয়ে যায় পর্বত হিসেবে। দেশটি তার নানা পদের সুস্বাদু খাবারের জন্যও পরিচিত।

রাজধানী ভিনিয়সে গ্রীষ্মে আসুন, আপনি শহরের ওপর দিয়ে নানা রঙের হট এয়ার বেলুন উড়ে বেড়াতে মুগ্ধ হবেন। প্রকৃতপক্ষে, ভিনিয়াস সেই অল্প কয়েকটি ইউরোপীয় রাজধানীগুলির মধ্যে একটি যা হট এয়ার বেলুনদের মূল শহরের ওপর দিয়ে উড়তে দেয়। কাজেই আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন এবং সত্যিকারের শ্বাসরুদ্ধকর কোণ থেকে ইউনেসকো তালিকাভুক্ত পুরোনো শহর দেখতে চান তবে এই বেলুনই হবে আপনার প্রথম পছন্দ।

ফিজিতে পাহাড় এবং ঐতিহ্যবাহী সব ঘর-বাড়িও পাবেন। ছবি: উইকিপিডিয়া
ফিজিতে পাহাড় এবং ঐতিহ্যবাহী সব ঘর-বাড়িও পাবেন। ছবি: উইকিপিডিয়া

ফিজি

ওশেনিয়া মহাদেশের এ দেশটি ৩০০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড় উঠেছে। এখানকার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সমুদ্রের তলদেশের মনোমুগ্ধকর প্রবাল রাজ্য, এবং আকর্ষণীয় সংস্কৃতি অন্বেষণ করার জন্য পর্যটকেরা ছুটে আসেন।

ফিজির উষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়া, নানা পদের মুখরোচক খাবার, রিসোর্ট একে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রের পরিচিতি পেতে সাহায্য করেছে। নানা ধরনের সংস্কৃতির মানুষের বসবাস ফিজিতে। এর প্রমাণ তাদের অফিশিয়াল বা রাষ্ট্রীয় ভাষা তিনটি।

প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত লাওসের পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। ছবি: ফেসবুক
প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত লাওসের পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। ছবি: ফেসবুক

লাওস

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র ল্যান্ডলকড বা স্থলভাগ ঘেরা দেশ এটি। লাওসের জিয়েন খোয়াং এলাকায় ছড়িয়ে আছে বিশাল আকারের সব পাথরের পাত্র।

প্লেইন অব জারস নামে পরিচিত এই পাত্রগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ১০ ফুট। সর্বোচ্চ ওজন ১৪ টন। এ ধরনের ২ হাজারের বেশি পাত্র বা জার আছে এলাকাটিতে। লাওসের প্রতি পর্যটকদের বড় আকর্ষণ প্রাচীন এ পাত্রগুলি।

লাওসে প্রচুর মহিষের খামারের দেখা মেলে। সে তুলনায় গরু দেখা যায় না বললেই চলে। নানা ধরনের উৎসবের জন্য বিখ্যাত। প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনো নৌকাবাইচ উৎসব জনপ্রিয় দেশটিতে। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এবং বৈচিত্র্যময় সব খাবারের জন্যও নাম আছে লাওসের। এশীয় হাতি দেখা মেলে যে ১৩টি দেশে তার একটি লাওস।

কাজাখস্তানের ঘাসে ভরা সব সমতলভূমি। ছবি: এএফপি
কাজাখস্তানের ঘাসে ভরা সব সমতলভূমি। ছবি: এএফপি

কাজাখস্তান

২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটারের কাজাখস্তান আয়তনে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম দেশ। এত বিশাল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা ২ কোটিরও কম। চারপাশে ভূ-ভাগ দিয়ে ঘেরা দেশকে বলা হয় ল্যান্ডলকড দেশ। আর কাজাখস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডলকড কান্ট্রি। বিস্তীর্ণ স্তেপস বা সমতল ঘাসসমৃদ্ধ এলাকা, মরুভূমি এবং পর্বতমালা মিলিয়ে গড়ে উঠেছে দেশটি। নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস এখানে। এদের মধ্যে কাজাখরা ঐতিহ্যগতভাবে যাযাবর।

আর এমন বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির কারণে কাজাখস্তান পর্যটকদের জন্য এক চমৎকার ভ্রমণগন্তব্য। এখানকার গ্রামগুলোর আতিথেয়তাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। পুরোনো, ঐতিহ্যবাহী সব দালান-কোঠা এখানকার বড় আকর্ষণ।

তেলের খনির কারণে অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধ দেশটি। রাজধানী শহর আস্তানায় (নূর-সুলতান) দারুণ সব জাদুঘর, শপিং মল এবং রাতের জীবন উপভোগ্য। দেশটির ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারও টানে পর্যটকদের।

প্যারাগুয়ে গহিন অরণ্য ও জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত। ছবি: উইকিপিডিয়া
প্যারাগুয়ে গহিন অরণ্য ও জলপ্রপাতের জন্যও পরিচিত। ছবি: উইকিপিডিয়া

প্যারাগুয়ে

অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের তালিকায় ছয়ে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে। মোটামুটি মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার পরও পর্যটকদের কাছে অনেকটাই অচেনা দেশটি। অনেক পর্যটকই খুব বিখ্যাত দ্রষ্টব্য স্থান না থাকাতে এখানে আসতে খুব একটা আগ্রহী হোন না। তবে যারা খাঁটি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণের আমেজ পেতে চান তাদের জন্য আদর্শ প্যারাগুয়ে।

প্যারাগুয়েতে পাহাড়-জঙ্গলের অভাব নেই। তবে এখানে কোনো উপকূল রেখা পাবেন না। তবে তাতে পানিকে উপজীব্য করে নানা ধরনের খেলা ও উৎসবে কোনো বাধা পড়েনি। এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির অগণিত সংখ্যক নদী এবং হ্রদ।

প্যারাগুয়ের একটি মজার বিষয় হলো এখানে মানব আকৃতির পুতুল বানানোর ঐতিহ্য আছে। আগের বছর এবং বছরের বিদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে এটি। বছর শেষে জাঁকালোভাবে উৎসবের মাধ্যমে আগুন জ্বেলে পোড়ানো হয়। প্যারাগুয়ের খাবার-দাবারে স্থানীয় আদিবাসী সংস্কৃতি এবং স্প্যানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ চোখে পড়ে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত সোপা প্যারাগুয়ে। তবে মজার ঘটনা এটি কোনো স্যুপ নয় বরং ভুট্টা এবং পনিরের কেক।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের দুই দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো দেশটি। ছবি: উইকিপিডিয়া
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দুই দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো দেশটি। ছবি: উইকিপিডিয়া

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো

ক্যারিবীয় অঞ্চলের খুব সুন্দর এই দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। ত্রিনিদাদে আদিম ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে অনবরত ধোঁয়া ছাড়তে থাকা তেল শোধনাগার এবং শিল্প এলাকা।

টোবাগোতে একটি ক্যারিবীয় দ্বীপে যা যা থাকা দরকার সবই আছে। সাদা বালুর রাজ্যে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছ এখানকার বড় আকর্ষণ। পর্যটকের চাপও এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করতে পারেনি।

দুই দ্বীপের এই দেশ পাখি দেখা, সাগরে ডাইভিং, চিরসবুজ অরণ্যে হেঁটে বেড়ানো এবং জলপ্রপাতে গোসলের জন্য রীতিমতো অতুলনীয়। বৈচিত্র্যময় উৎসব এবং জাঁকজমকপূর্ণ নাইট লাইফ এখানকার বড় আকর্ষণ। নানা পদের মাছের ম্যানুর জন্যও বিখ্যাত দেশটি।

ভানুয়াতু দ্বীপ থেকেই বাঞ্জি জাম্পিং এসেছে বলে ধারণা করা হয়। ছবি: এয়ার ভানুয়াতু
ভানুয়াতু দ্বীপ থেকেই বাঞ্জি জাম্পিং এসেছে বলে ধারণা করা হয়। ছবি: এয়ার ভানুয়াতু

ভানুয়াতু

প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৮০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে ভানুয়াতু। কোলাহলহীন সৈকত, পুরোনো সংস্কৃতি, দুর্গম সব দ্বীপ এবং সাগর তলে ডাইভারদের অসাধারণ সব দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলিয়ে এটি লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন দেশের লিস্টিতে আছে আটে।

এমনকি সাগরের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরন দর্শনের সুযোগ আছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাঞ্জি জাম্পিংয়ের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার; বিশেষ করে রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা অনেক। অনেকেই জেনে অবাক হবেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জের এক দ্বীপের বাসিন্দারা শত শত বছর আগ থেকেই এর চেয়ে দুঃসাহসী লাফের কীর্তি করে আসছেন। সেখান থেকেই ‘বাঞ্জি জাম্পিং’ এসেছে বলে ধরা হয়। প্যান্টেকোস্ট দ্বীপে প্রতিবছরের এপ্রিল থেকে জুনে এ দ্বীপে হয় ঝুঁকিপূর্ণ ও তুমুল রোমাঞ্চকর এই ঐতিহ্যবাহী আচার।

স্লোভাকিয়াকে বলতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সব স্থাপনা এবং পর্বতের দেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া
স্লোভাকিয়াকে বলতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সব স্থাপনা এবং পর্বতের দেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া

স্লোভাকিয়া

ইউরোপের প্রায় হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত স্লোভাকিয়াকে বলতে পারেন ঐতিহ্যবাহী সব প্রাসাদ এবং পর্বতের দেশ। চেকোশ্লাভাকিয়া ভেঙে যাওয়ার অনেক বছর পরে স্বাধীন একটি দেশে পরিণত হয় এটি। রাজধানী বাতিস্লাভার পুরোনো শহর আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।

উঁচু সব পর্বতে আছে হাঁটার জন্য অসংখ্য ট্রেইল। এগুলোয় হাঁটা এবং বরফে ঢাকা সব হ্রদ দর্শনও টানে পর্যটকদের।

আর্মেনিয়ার পুরোনো একটি মনাস্ট্রি। ছবি: উইকিপিডিয়া
আর্মেনিয়ার পুরোনো একটি মনাস্ট্রি। ছবি: উইকিপিডিয়া

আর্মেনিয়া

আর্মেনিয়ার মতো প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ইতিহাস খুব কম জাতিরই আছে। এটি এমন একটি গন্তব্য যেখানে ইতিহাস আপনাকে কৌতূহলী করবে, স্মৃতিস্তম্ভ করবে বিস্মিত, ভূ-প্রকৃতি করবে মুগ্ধ আর সবশেষে স্থানীয়দের ব্যবহার মনে এনে দেবে শান্তি।

তবে দেশটি অন্বেষণ করা একটি সহজ জায়গা নয়। রাস্তাগুলি রুক্ষ, পরিবহন চলাচলের খুব উপযোগী নয়। তবে দেশটি ভ্রমণে গেলে সবকিছু মিলিয়ে এটা কোনো বাধাই মনে হবে না আপনার।

সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, লিথুয়ানিয়া ডট ট্রাভেল, রাস্টিক প্যাথওয়ে ডট কম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌসুমি রোগবালাই থেকে বাঁচতে চৌদ্দ শাক খাবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক
রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

একেকটা মৌসুমে একেক ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। আর এসব রোগবালাই থেকে বাঁচতে সে মৌসুমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, সেসব খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক মাসে চৌদ্দ শাক খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। শহুরে জীবনে এ ধরনের নিয়ম হয়তো অনেকেই জানেন না বা মেনে চলেন না। তবে গ্রামাঞ্চলে ঠিকই মৌসুমভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারদাবারের আয়োজন থাকে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। আজ থাকছে চৌদ্দ শাক রান্নার রেসিপি। রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

শজনে শাক, কলমি শাক, কচু শাক, পালং শাক, পুঁই শাক, ডাঁটা শাক, লাউ শাক, কুমড়ো শাক, লম্বা সেঁচি শাক, গোল সেঁচি শাক, মুলা শাক, লাল শাক, আলু শাক, তেলাকুচা পাতা (সবগুলোর পরিমাণ ১০০ গ্রাম করে), কাঁচা মরিচ ফালি ৭-৮টা, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, ডালের বড়ি ৮-১০টা, চিনি ও লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ৩-৪টা, সয়াবিন তেল আধা কাপ, লেবুপাতা, আদা কুচি ও হলুদ গুঁড়া (ইচ্ছা)।

প্রণালি

সব শাক ধুয়ে কেটে রাখুন। কড়াইতে তেল গরম হলে শুকনা মরিচের ফোড়ন দিন। এবার ধুয়ে রাখা বড়ি সামান্য ভেজে তুলে রাখুন। ফোড়নের তেলে পাঁচ ফোড়ন দিন। তারপর কেটে রাখা শাক দিয়ে লবণ দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন পাঁচ মিনিট। পরের লবণ ও মিষ্টি দিন স্বাদমতো। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন শাকের রং যেন ঠিক থাকে। তারপর কাঁচা মরিচ ফালি ভাজা বড়ি আবারও নেড়ে রান্না করুন। শেষে লেবুপাতা ছিঁড়ে দিয়ে সামান্য নেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে আদা কুচি ও সামান্য হলুদ গুঁড়া দিতে পারেন। গরম-গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চৌদ্দ শাক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বে সাইকেল ব্যবহারে সেরা ১০ দেশ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছবি: ফ্রিপিক
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছবি: ফ্রিপিক

সাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে; তবে আমরা কোনো তালিকায় নেই। চলুন, দেখে নিই সাইকেল ব্যবহারে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকা।

চীন

চীনে বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ছবি: পেক্সেলস
চীনে বাইসাইকেলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। ছবি: পেক্সেলস

একবার শুধু ভাবুন যে একটি দেশের শহরাঞ্চলে বাইসাইকেলের জ্যাম লেগে যাচ্ছে! আর আপনি সেই জ্যামে বসে আছেন। বাংলাদেশে বসে সেটা ভাবা কঠিনই বটে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে বেইজিংয়ে সাইকেলের জন্য আলাদা ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ছিল। কারণ, সেখানে বাইসাইকেলের জ্যাম ছিল প্রতিদিনের ব্যাপার। অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে গাড়ি থেকে শুরু করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীতে চীন এখন এক নম্বরে উঠে এসেছে বা সেদিকে এগিয়ে চলেছে। এমন অবস্থায় বাইসাইকেলের ব্যবহারের দিকে তারা পিছিয়ে থাকবে, সেটা কি স্বাভাবিক? সে কারণেই হয়তো চীনে বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন! এই সংখ্যার কারণেই দেশটিকে বলা হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাইসাইকেল ব্যবহারকারী দেশ। সাংহাই শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন সাইকেল ব্যবহার করে। হাংঝো ও চেংদু শহরে রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বলে রাখা ভালো, চীন হলো আধুনিক শেয়ার্ড বাইসাইকেল সেবার জন্মস্থান। পরিবেশবান্ধব ও শহুরে জীবনে সুবিধাজনক বলে সাইকেলের ব্যবহার আরও জনপ্রিয় হচ্ছে দেশটিতে।

জার্মানি

জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় ৮২ মিলিয়ন। কিন্তু দেশটিতে বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৮১ মিলিয়ন! অবসরে ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমণের জন্য জার্মানিতে সাইকেল বেশ জনপ্রিয়। এ জন্য দেশটিকে ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’ বলা হয়। মোটরগাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাইসাইকেল চালানো জার্মানদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। দেশটিতে আয়োজিত হয় বার্ষিক ডয়েচল্যান্ড ট্যুর ইভেন্ট। এই আয়োজনের সময় দেশজুড়ে রোমান্টিক রোড ও বার্লিন ওয়াল ট্রেইলের মতো রুটে সাইকেলপ্রেমীরা বেরিয়ে পড়ে। এভাবে জার্মানি সাইকেলকে পরিবহন, পর্যটন এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

জার্মানিকে বলা হয় ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’। সেখানে মানুষ ও বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় সমান। ছবি: পেক্সেলস
জার্মানিকে বলা হয় ‘সাইকেল আরোহীদের দেশ’। সেখানে মানুষ ও বাইসাইকেলের সংখ্যা প্রায় সমান। ছবি: পেক্সেলস

নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডসকে বলা হয় ‘সাইকেলের দেশ’। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি। সেখানে আছে প্রায় ২৩ মিলিয়ন সাইকেল। সেগুলোর মধ্যে প্রায় ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ই-বাইক। সেখানে একজন ব্যক্তি গড়ে ১ দশমিক ৩টি সাইকেলের মালিক। দেশটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে রয়েছে প্রায় ৬৮০টি সাইকেল। নেদারল্যান্ডসে সাইকেল চলাচলের জন্য রয়েছে উন্নত অবকাঠামো। সে কারণে দেশটিতে তৈরি হয়েছে সাইকেল সংস্কৃতি। এ দুটি কারণে দৈনন্দিন যাতায়াতের ২৮ শতাংশ সাইকেলেই করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন সাইকেলের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে সাইকেল পার্কিং এবং অফিসে সাইকেল চলাচলের জন্য করছাড়।

ডেনমার্ক

ডেনমার্কে সাইকেল ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। এখানে জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ সাইকেল ব্যবহার করে। একজন ব্যক্তি গড়ে দৈনিক সাইকেল চালান ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। কোপেনহেগেন শহরকে ২০১৫ সালে বিশ্বের সাইকেলবান্ধব শহর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য রাস্তায় লেন, সাইকেল ব্রিজ এবং পার্কিং সুবিধায় বড় বিনিয়োগ করেছে। সেখানে ‘ট্যুর দে ডেনমার্ক’ নামের সাইকেল প্রতিযোগিতা খুব জনপ্রিয়।

সুইডেন

সুইডেনের জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর প্রায় ৬৪ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। স্টকহোম, গোথেনবার্গ ও মলমো শহরে সাইকেলের বিশেষ পথ, পার্কিং সুবিধা এবং রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির গটল্যান্ড ও ওল্যান্ড দ্বীপে সাইকেল পর্যটন জনপ্রিয়।

নরওয়ে

নরওয়েতে জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সাইকেল যাত্রার হার ১১ শতাংশ বেড়েছে। নরওয়ের, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকার মানুষ এবং বয়স্কদের মধ্যে ই-বাইকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

ফিনল্যান্ড

দেশটি সাইকেল অবকাঠামো, সাইকেল পার্কিং ও নিরাপদ বাইক লেনে বড় বিনিয়োগ করেছে। ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা এবং সাইকেল পর্যটনের জন্য স্থানীয়রা সাইকেল চালাতে বেশ আগ্রহী।

জাপান

জাপানে সাইকেল সাধারণত অল্প দূরত্বে যাতায়াত এবং শহরে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। ২০২২ সালে প্রায় ১৫ লাখ সাইকেল বিক্রি হয়েছে দেশটিতে। টোকিও ও অন্যান্য বড় শহরে সাইকেল বেশ জনপ্রিয় বাহন। দেশটিতে ‘শিমানামি কাইডো’ নামে ৬০ কিলোমিটার সেতু ও দ্বীপ রুটে সাইকেল রেস হিসেবে পরিচিত। জাপানে বিশেষ ধরনের সাইকেল মামাচারি বেশ জনপ্রিয়।

সুইজারল্যান্ড

দেশটিতে ১২ হাজার কিলোমিটার সাইকেল পথ আছে। সেখানে ইদানীং ই-বাইকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডে ‘ট্যুর দে সুইস’ ও ‘ট্যুর দে রোমানডিয়া’ ইভেন্টের জন্য প্রতিবছর হাজারো সাইকেলপ্রেমী একত্র হয়।

বেলজিয়াম

দেশটির রাজধানী ব্রাসেলস, অ্যান্টওয়ার্প ও ঘেন্ট শহরে সাইকেল চালানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটিতে আছে বিশেষ সাইকেল লেন, পার্কিং ব্যবস্থা এবং ভাড়ায় সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ। দেশটিতে বহু খ্যাতনামা পেশাদার সাইক্লিস্ট বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে এডি মার্কস ও ফিলিপ গিলবার্ট বিশ্বব্যাপী পরিচিত। প্রতিবছর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘রোন্দে ভান ফ্লান্দেরেন’। এটি বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ সাইকেল রেস হিসেবে পরিচিত।

বিশ্বে শুধু যাতায়াতের উদ্দেশ্যে সাইকেল ব্যবহৃত হয় না। এটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সুস্থ জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উন্নত সাইকেল অবকাঠামো, নিরাপদ পথ, সরকারি প্রণোদনা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি মিলিয়ে মানুষ সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত হয়। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, জাপান থেকে শুরু করে চীন পর্যন্ত দেখিয়েছে কীভাবে সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধি করে যানজট ও দূষণ কমিয়ে জীবনের মান উন্নয়ন সম্ভব।

সূত্র: র‍্যাঙ্কিং রয়েলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ‘বিশেষ কারও’ দেখা পাবে সিঙ্গেলরা, মন গলবে বসের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ‘বিশেষ কারও’ দেখা পাবে সিঙ্গেলরা, মন গলবে বসের

আজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।

মেষ রাশি

আজ আপনার ‘ফাইটিং স্পিরিট’ তুঙ্গে! ট্র্যাফিক সিগন্যাল আপনার দিকে তাকিয়ে হাসলেও মেজাজ খারাপ হবে। আপনার এনার্জি আজ আদা দিয়ে চা খেতে গেছে, তাই সেটিকে খুঁজে লাভ নেই। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো আগামীকালের জন্য তুলে রাখুন। নইলে ভুল করে হয়তো পুরোনো প্রেমের মানুষটিকে ফোন করে বসবেন!

বৃষ রাশি

আপনার জিহ্বা আর মস্তিষ্ক আজ একে অপরের সঙ্গে ডিভোর্স চাইছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার আগে তিনবার ভাবুন। কাউকে টাকা ধার দেবেন না—শুধু ঝালমুড়ি কিনে খান, কারণ এটাই সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ! অন্তত পেট খারাপ হলে দুদিন ছুটি নিতে পারবেন! সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে পড়ুন, আপনাকে নিয়ে কারও ভাবার টাইম নাই!

মিথুন রাশি

আজ আপনার মনে হবে আপনি বুঝি লটারি জিতেছেন! হুট করে বাড়ি সাজানোর ভূত চাপবে। আপনার বন্ধুরা আজ ‘হ্যাঁ’ বলতে রাজি, তাই তাদের দিয়ে কঠিন কাজগুলো করিয়ে নিতে পারেন। তবে বন্ধুর কফি বিল যেন আপনাকে না দিতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কর্কট রাশি

আজ ভাগ্য আপনার কাঁধে টিয়াপাখির মতো বসে আছে। সামান্য হাঁসফাঁস করলেই প্রচুর লাভ! তাই আজ অফিসে কেবল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলুন—হয়তো তাতেই বসের মন গলে স্যালারি বেড়ে যাবে! অতীত থেকে পাওয়া কোনো লাভ আজ হঠাৎ আপনার পকেটে আসতে পারে।

সিংহ রাশি

আজ আপনার রাজার মতো এনার্জি লেভেল হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকুন, বিশেষত শেষ রসগোল্লাটা কে খেল, এই নিয়ে তুলকালাম বাঁধাবেন না। দ্রুত গাড়ি চালানো বা তাড়াহুড়ো করে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ আজ গ্রহরা চায় আপনি একটু আলসেমি করুন।

কন্যা রাশি

আজ আপনার ভেতরে একজন শিল্পী জেগে উঠবে। বিলাসবহুল জিনিস কেনার আগে দেখুন, ব্যাংক ব্যালেন্সে শূন্য কয়টা আছে। আর মনে রাখবেন, ভাগ্য পাশে থাকলেও বাসন আপনাকেই মাজতে হবে। সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা ছাড়ুন, একটা ছোট ভুল আজ খুবই কিউট লাগতে পারে!

তুলা রাশি

কর্মক্ষেত্রে বস আজ আপনার দিকে প্রমোশনের ফাইল ছুড়ে দিতে পারেন। কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে একটু শান্ত থাকুন। পার্টনারকে বোঝাতে যাবেন না যে আপনি কেন তার চেয়ে বেশি সঠিক! ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইলে, ঝগড়ার সময় চুপ থাকুন।

বৃশ্চিক রাশি

আজ আপনার ফোকাস এতটাই তীক্ষ্ণ যে আপনি এক বছর আগে হারানো টিভি রিমোটটাও খুঁজে বের করতে পারবেন। এই সুপারপাওয়ারটা শুধু অফিসের কাজে ব্যবহার করুন, ঘরের ঝগড়ায় নয়। আজ যা চাইবেন, সেটাই পাবেন—তবে পাওয়ার পর যেন আফসোস না হয়!

ধনু রাশি

আজ মনটা একটু ‘হালকা’ থাকবে। শেয়ার বাজারে টাকা ঢালার চেয়ে বরং ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ফুচকা খান। অযথা তর্ক করে এনার্জি নষ্ট করবেন না, কারণ আজ ধৈর্যই আপনার একমাত্র বন্ধু। নিজেকে নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না, গ্রহরা আপনার জন্য একটা ভালো ঘুম বরাদ্দ করেছে।

মকর রাশি

আপনার কঠিন জীবন আজ একটু মিষ্টি হতে চলেছে। সিঙ্গেলরা ‘বিশেষ কারও’ দেখা পেতে পারেন, যার সঙ্গে কফি বিল ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। আর অফিসের টিমের কথা? আজ তারা আপনার কথা শুনবে! এটা অলৌকিক, উপভোগ করুন।

কুম্ভ রাশি

বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে আজ আপনাকে একটু ‘নীরব সাধনা’ করতে হবে। প্রতিবেশীর পর্দা বা টিভির ভলিউম নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। আপনার এনার্জিটা আপাতত গঠনমূলক কাজে লাগান। নিজের স্বাধীনতা দেখানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় বিদ্রোহ করবেন না।

মীন রাশি

আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে মানবিক মানুষ! সবাইকে সাহায্য করার জন্য আপনার মন আনচান করবে। নিজের এই ‘ভালো মানুষ’ ইমেজটা বজায় রাখুন। তবে দয়া করে কাউকে খুব বেশি জ্ঞান দেবেন না, আর লাঞ্চটা খেতে ভুলবেন না! আপনার সৃজনশীলতা আজ বাথরুমের দেওয়ালেও দেখা দিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে যেমন হবে জীবনযাপন

ডা. নাদিয়া ফারহীন
মডেল: শিরিন শিলা। ছবি: মঞ্জু আলম
মডেল: শিরিন শিলা। ছবি: মঞ্জু আলম

চলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।

২০২৫ সালে এসেও স্তন ক্যানসার নিয়ে ভীতি, অসচেতনতা ও কুসংস্কার একজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। তাই সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। এ জন্য স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপন কেমন হওয়া জরুরি, তা জানা দরকার। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতন হওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য কিছু বিষয় দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা

যেসব খাবার সুষম ও শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, সেসব খাবার খেতে হবে। এগুলোর মধ্য়ে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত খাবার রাখা চাই। পাশাপাশি বাদ দিতে হবে সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত মাংস ও চিনিযুক্ত পানীয়।

শারীরিক পরিশ্রম করা

প্রতিদিনের জন্য ব্যায়ামের একটি নির্দিষ্ট রুটিন থাকতে হবে। দিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে মাঝারি থেকে উচ্চ তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা চলছে, তাঁদের জন্যও চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যায়ামের রুটিন থাকা জরুরি। চিকিৎসার কারণে যে শারীরিক অবসাদ চলে আসে, তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে ব্যায়াম। কারণ, ব্যায়াম এন্ডোরফিন হরমোন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভালো বোধ করাতে সহায়ক।

কিছু প্রসাধনী এড়িয়ে চলা

বেশ কয়েকটি গবেষণায় ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের যোগসূত্র মিলেছে; বিশেষ করে যদি আন্ডারআর্ম শেভ করার পরপরই সেগুলো ব্যবহার করা হয়, তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি এবং দ্রুত হতে পারে। কিছু প্রসাধনীতে প্যারাবেন বা অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে। যাঁদের স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, তাঁরা তো বটেই, যেকোনো বয়সের যে কেউ প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

মানসিক শক্তি বাড়ানো

ক্যানসার যদি শনাক্ত হয়েই যায়, তাহলে ভয় পাবেন না। এর প্রতিকারের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করাতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো, শখের চর্চা করলে আমাদের শরীরে ভালো হরমোন নিঃসৃত হয়, যা অনেক সময় আপনাকে ক্যানসারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অনেকটাই বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম।

সব শেষে প্রতিবছর নিয়ম করে স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাম করানো জরুরি। যদি আপনার পরিবারে কারও স্তন ক্যানসার থাকে, তাহলে আপনার স্তনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা এবং আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে পরিবর্তনগুলো জানানো অপরিহার্য।

প্রতিরোধের উপায়

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
  • খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও শাকসবজি রাখুন।
  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
  • প্রসবের পর বুকে পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন হলে সন্তানকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

কাদের ঝুঁকি বেশি

  • বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এ ক্যানসারের স্বাভাবিক ঝুঁকি বাড়ে (বিশেষ করে
  • ৪০ বছরের পর)।
  • যাদের পরিবারের কোনো সদস্যের স্তন অথবা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ইতিহাস আছে।
  • হরমোনের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার।
  • স্থূলকায় শরীর, কায়িক পরিশ্রমের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যাদের রয়েছে।
  • অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান।
  • প্রথম সন্তান দেরিতে নেওয়া বা দুধের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো।

স্ক্রিনিং ও পরীক্ষার উপায়

  • নিজে পরীক্ষা: মাসে একবার, মাসিক শেষ হওয়ার ৫ থেকে ৭ দিন পর নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। স্তনে কোনো ব্যথাহীন চাকা, স্তনের বোঁটায় রং পরিবর্তন অথবা কোনো কিছু নিঃসরণ হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি ৩ বছর পর চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করাতে হবে।
  • ম্যামোগ্রাম: বয়স ৪০ পার হওয়ার পর ১ থেকে ২ বছর অন্তর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। যদি স্তন ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে এটি আরও আগে শুরু করা দরকার।

হাত বাড়িয়ে দিন

রোগ ধরা পড়লে স্বাভাবিকভাবেই রোগী তীব্র মানসিক চাপে থাকবে। সে ক্ষেত্রে পরিবারকে সহানুভূতির হাত বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নিতে হবে। এ ছাড়া মানসিক ও সামাজিক সহায়তার মাধ্যমে রোগীর ভয়, উদ্বেগ, হতাশা, একাকিত্বের ভোগান্তি কমানো এবং ডিব্রিফিং ও আত্মিক সেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

ডা. নাদিয়া ফারহীন, এমডি, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন, চিকিৎসক ও কো-অর্ডিনেটর, মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্প

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত