ইশতিয়াক হাসান
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘাটতি এরা পুষিয়ে দিয়েছে সড়ক, নৌ কিংবা বিমানপথের মাধ্যমে। এবার তাহলে চলুন পরিচিত হওয়া যাক ট্রেন চলে না এমন কিছু দেশের সঙ্গে।
ভুটান
শুরুটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান দিয়েই করি। আয়তনে খুব বড় নয় ভুটান, ৩৮ হাজার ৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের দেশটির বেশির ভাগ অংশ জুড়েই উঁচু সব পর্বত এবং অসমতল ভূমি। এ সবকিছু মিলিয়ে এখানে রেল যোগাযোগ স্থাপন একরকম অসম্ভবই। তাই দেশটিতে যাতায়াতে বড় ভরসা সড়ক পথ। এমনকি দুরারোহ পার্বত্য এলাকাকেও চমৎকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে তারা।
ভুটানে চারটি বিমানবন্দরও আছে। এর মধ্যে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হয়। তবে পারো বিমানবন্দরে নামাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ৫০ জন প্রশিক্ষিত পাইলটেরই কেবল এখানে ওঠা-নামার অনুমোদন আছে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। একে তো একেবারেই ছোট দেশ, তারপর আবার জলের রাজ্যে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা—এ সবকিছু মিলিয়ে মালদ্বীপে রেললাইন বসানো বা ট্রেন চালানোটা খুব কঠিন। এক দ্বীপের সঙ্গে আরেক দ্বীপে যোগাযোগের মূল মাধ্যম তাই এখানে নৌযান। এ ছাড়া সি প্লেনও ব্যবহার করা হয়। এদিকে ভিনদেশি পর্যটকেরা সহজেই দেশটিতে চলে আসতে পারেন উড়োজাহাজে চেপে।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় রেললাইন স্থাপন করা মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকার কারণে উড়োজাহাজ চালানোও সহজ নয় এখানে। তাই ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই।
তাই বলে অ্যান্ডোরার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয় না। বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। বাসে বা গাড়িতে চেপে সেখানে গিয়ে ট্রেনে ধরতে পারেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য। তেমনি এ সব শহর থেকে উড়োজাহাজও ধরা যায়।
সাইপ্রাস
ইউরোপের দেশটির আয়তন ৯ হাজার ২৫১ বর্গকিলোমিটার। ১৯০৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে একটি রেলপথ চালু ছিল। অর্থনৈতিক কারণে এটি পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই রেলপথের একটি বাড়তি অংশ সংযোজন করে সাইপ্রাস মাইন করপোরেশন।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় এটিও। দেশটির ছোট আয়তন, পার্বত্য এলাকা এবং এমন ভূ-প্রকৃতির এলাকায় রেলপথ বসানোর জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন এর ঘাটতি—সব মিলিয়ে দেশটিতে রেলপথ নেই। তবে সাইপ্রাসে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর আছে। নৌপথও এখানকার মানুষদের যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে।
লিবিয়া
লিবিয়াতে রেলগাড়ি না চলাটা বিস্ময়করই। কারণ বিশালাকার এই দেশটির আয়তন ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪০ বর্গকিলোমিটার। একসময় দেশটিতে রেলপথ ছিল। তব গৃহযুদ্ধের সময় এসব রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও নতুন গৃহযুদ্ধে এটাও থামকে যায়। মূলত অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণেই এখান দেশটিতে রেল যোগাযোগ নেই। সড়ক ও বিমানপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাতায়াত করেন আফ্রিকার এ দেশটির বাসিন্দারা।
আইসল্যান্ড
এক লাখ ৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা কেবল ৩ লাখ ৮২ হাজার। অবশ্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির বৈরী, শীতল পরিবেশের কথা বিবেচনা করলে এটিও কম নয়। দেশটিতে জনসাধারণের জন্য কখনোই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে দেশটির ইতিহাসে তিনবার শিল্প কারখানার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে মালামাল বহনের জন্য রেলপথ বসানো হয়, ট্রেনও চলে। তবে এর কোনোটিই সচল নেই এখন আর।
অটোমোবাইল শিল্পের দিক থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তুলনামূলকভাবে কম জনসংখ্যা এবং বৈরী আবহাওয়াই এখানে ট্রেন না চলার মূল কারণ।
সোমালিয়া
আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সোমালিয়াতে গেলেও ট্রেনে চড়তে পারবেন না। কারণ ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৭ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে রেল যোগাযোগই নেই। ইতালির অধীনে থাকার সময় ১৯১০ সালে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে রেল ট্র্যাক বসানো হয়। ট্রেনও চলতে এই লাইনে। তবে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে ১৯৪০-র দশকে ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের সময় রেললাইনগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলায় এবং দারিদ্র্যের কারণে রেলপথ তো নেইই, এমনকি এখানে সড়ক যোগাযোগও খুব একটা ভালো নয়।
ওপরে বর্ণনা দেওয়া দেশগুলো ছাড়াও পাপুয়া নিউগিনি, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, মাল্টা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোসহ পৃথিবীর আরও কিছু দেশে রেলপথ নেই, কিংবা আগে থাকলেও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকনমিক টাইমস
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘাটতি এরা পুষিয়ে দিয়েছে সড়ক, নৌ কিংবা বিমানপথের মাধ্যমে। এবার তাহলে চলুন পরিচিত হওয়া যাক ট্রেন চলে না এমন কিছু দেশের সঙ্গে।
ভুটান
শুরুটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান দিয়েই করি। আয়তনে খুব বড় নয় ভুটান, ৩৮ হাজার ৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের দেশটির বেশির ভাগ অংশ জুড়েই উঁচু সব পর্বত এবং অসমতল ভূমি। এ সবকিছু মিলিয়ে এখানে রেল যোগাযোগ স্থাপন একরকম অসম্ভবই। তাই দেশটিতে যাতায়াতে বড় ভরসা সড়ক পথ। এমনকি দুরারোহ পার্বত্য এলাকাকেও চমৎকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে তারা।
ভুটানে চারটি বিমানবন্দরও আছে। এর মধ্যে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হয়। তবে পারো বিমানবন্দরে নামাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ৫০ জন প্রশিক্ষিত পাইলটেরই কেবল এখানে ওঠা-নামার অনুমোদন আছে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। একে তো একেবারেই ছোট দেশ, তারপর আবার জলের রাজ্যে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা—এ সবকিছু মিলিয়ে মালদ্বীপে রেললাইন বসানো বা ট্রেন চালানোটা খুব কঠিন। এক দ্বীপের সঙ্গে আরেক দ্বীপে যোগাযোগের মূল মাধ্যম তাই এখানে নৌযান। এ ছাড়া সি প্লেনও ব্যবহার করা হয়। এদিকে ভিনদেশি পর্যটকেরা সহজেই দেশটিতে চলে আসতে পারেন উড়োজাহাজে চেপে।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় রেললাইন স্থাপন করা মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকার কারণে উড়োজাহাজ চালানোও সহজ নয় এখানে। তাই ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই।
তাই বলে অ্যান্ডোরার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয় না। বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। বাসে বা গাড়িতে চেপে সেখানে গিয়ে ট্রেনে ধরতে পারেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য। তেমনি এ সব শহর থেকে উড়োজাহাজও ধরা যায়।
সাইপ্রাস
ইউরোপের দেশটির আয়তন ৯ হাজার ২৫১ বর্গকিলোমিটার। ১৯০৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে একটি রেলপথ চালু ছিল। অর্থনৈতিক কারণে এটি পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই রেলপথের একটি বাড়তি অংশ সংযোজন করে সাইপ্রাস মাইন করপোরেশন।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় এটিও। দেশটির ছোট আয়তন, পার্বত্য এলাকা এবং এমন ভূ-প্রকৃতির এলাকায় রেলপথ বসানোর জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন এর ঘাটতি—সব মিলিয়ে দেশটিতে রেলপথ নেই। তবে সাইপ্রাসে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর আছে। নৌপথও এখানকার মানুষদের যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে।
লিবিয়া
লিবিয়াতে রেলগাড়ি না চলাটা বিস্ময়করই। কারণ বিশালাকার এই দেশটির আয়তন ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪০ বর্গকিলোমিটার। একসময় দেশটিতে রেলপথ ছিল। তব গৃহযুদ্ধের সময় এসব রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও নতুন গৃহযুদ্ধে এটাও থামকে যায়। মূলত অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণেই এখান দেশটিতে রেল যোগাযোগ নেই। সড়ক ও বিমানপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাতায়াত করেন আফ্রিকার এ দেশটির বাসিন্দারা।
আইসল্যান্ড
এক লাখ ৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা কেবল ৩ লাখ ৮২ হাজার। অবশ্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির বৈরী, শীতল পরিবেশের কথা বিবেচনা করলে এটিও কম নয়। দেশটিতে জনসাধারণের জন্য কখনোই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে দেশটির ইতিহাসে তিনবার শিল্প কারখানার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে মালামাল বহনের জন্য রেলপথ বসানো হয়, ট্রেনও চলে। তবে এর কোনোটিই সচল নেই এখন আর।
অটোমোবাইল শিল্পের দিক থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তুলনামূলকভাবে কম জনসংখ্যা এবং বৈরী আবহাওয়াই এখানে ট্রেন না চলার মূল কারণ।
সোমালিয়া
আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সোমালিয়াতে গেলেও ট্রেনে চড়তে পারবেন না। কারণ ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৭ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে রেল যোগাযোগই নেই। ইতালির অধীনে থাকার সময় ১৯১০ সালে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে রেল ট্র্যাক বসানো হয়। ট্রেনও চলতে এই লাইনে। তবে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে ১৯৪০-র দশকে ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের সময় রেললাইনগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলায় এবং দারিদ্র্যের কারণে রেলপথ তো নেইই, এমনকি এখানে সড়ক যোগাযোগও খুব একটা ভালো নয়।
ওপরে বর্ণনা দেওয়া দেশগুলো ছাড়াও পাপুয়া নিউগিনি, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, মাল্টা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোসহ পৃথিবীর আরও কিছু দেশে রেলপথ নেই, কিংবা আগে থাকলেও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকনমিক টাইমস
মন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
৪ ঘণ্টা আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ইংরেজিতে একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘মানি টকস’ অর্থাৎ টাকা কথা বলে। আসলেই কি এই কাগজের টুকরা কথা বলে? একেক মানুষের কাছে আছে এর একেক রকম উত্তর। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই উপলব্ধি করে না যে টাকার পাশাপাশি মানুষের পরিহিত পোশাকের ধরন ফিসফিস করে কথা বলে। এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।
বিষয়টি ট্রেন্ডের পেছনে ছোটা বা সেলিব্রিটিদের স্টাইল নকল করা নয়, বরং সূক্ষ্ম বিষয়। এই ছোট ছোট বিষয় একজন মানুষের রুচি, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অন্যের সামনে তুলে ধরে। তাই অনেক বেশি খরচ না করেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে অন্যের সামনে তুলে ধরা ‘আর্ট’ হিসেবে পরিচিত।
নিখুঁত মাপ
ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে একধরনের আকর্ষণ থাকে। আপনার পরনে যদি কম দামের কিন্তু ভালো ফিটিংয়ের একটি টি-শার্টও থাকে, তাহলেও আপনাকে মানানসই দেখাবে। উল্টোটাও সত্য যে কয়েক হাজার টাকার মাপ ভুল হওয়া ব্লেজারও যদি আপনার গায়ে থাকে, তবে সেই ‘দামি’ হওয়ার ধারণাটি তৎক্ষণাৎ শেষ হয়ে যায়। তাই আপনার সাধারণ পোশাক, যেমন টি-শার্ট বা লিনেনের শার্টও টেইলার্সের কাছে নিয়ে যান। কাঁধ বা অন্যান্য জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করলেই তা হাই-এন্ড বুটিকের পোশাকের মতো দেখতে পারে।
বিখ্যাত লোগো না রেখেও আত্মবিশ্বাসী থাকুন
অনেকে মনে করেন, দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা লোগোই স্ট্যাটাস প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংযমই আত্মবিশ্বাস। পোশাকে কোনো লোগো না থাকা বা খুব কম থাকা বোঝায় যে আপনার কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। যাঁরা ‘মনে মনে ধনী’, তাঁদের পোশাক লোগো দিয়ে বিচার করতে হয় না। তাঁরা পরিচিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন না, বরং সম্মানিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন। একটি পুরোনো প্রবাদ আছে, যার বাংলা অর্থ, ‘টাকা চিৎকার করে, আর সম্পদ ফিসফিস করে।’ ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। আপনার ব্র্যান্ডিং যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন হবে, আপনার পোশাক তত বেশি উদ্দেশ্যমূলক ও ব্যয়বহুল মনে হবে।
নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন রঙের উপস্থিতি
আপনি কি লক্ষ করেছেন, বিলাসবহুল পোশাকের কালেকশনগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট রঙের চারপাশে ঘোরাফেরা করে? যেমন বেইজ, কালো, সাদা, নেভি, অলিভ ও ধূসর। কিংবা মার্ক জাকারবার্গকে কখনো রঙিন পোশাকে দেখেছেন? বরং একটা নির্দিষ্ট রঙের টি-শার্ট পরেই তিনি সব সময় স্টেজে কথা বলেন। নিরপেক্ষ টোন বা নিউট্রাল রংগুলো শান্ত ও সংযম প্রকাশ করে। এই দুটি বৈশিষ্ট্য আমরা অবচেতনভাবে ক্ষমতা ও সম্পদের সঙ্গে সংযুক্ত করি। উজ্জ্বল রং চমৎকার লাগতে পারে, কিন্তু তারা প্রায়ই ট্রেন্ডি হয়, ক্ল্যাসিক নয়। নিউট্রাল রং পরা মানে বিরক্তিকর হওয়া নয়। এর মানে আপনি স্থায়িত্ব বোঝেন। আপনি যদি ফরেস্ট গ্রিন বা হালকা গোলাপির মতো একটি স্টেটমেন্ট রংও যোগ করেন, তবে বাকি পোশাকটিকে সংযত রাখলে তা বিশৃঙ্খল না হয়ে সুচিন্তিত বলে মনে হবে।
অনুভবযোগ্য মানসম্পন্ন ফ্যাব্রিকস
দামি দেখানোর জন্য পোশাকের একটি নিজস্ব টেক্সচার বা বুনন থাকে। এটি চকচকে উপায়ে নয়, বরং স্পর্শযোগ্য উপায়ে উপস্থিত হয় মানুষের সামনে। লিনেন প্রাকৃতিকভাবে ভাঁজ হয়ে ঝুলে থাকে। তবে এটি নরম কিন্তু সুগঠিত তুলা দিয়ে তৈরি। উলের কাপড় ঘন, কিন্তু খসখসে নয়। কাপড়টি কীভাবে নড়ে, তা দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন, পোশাকটি কতটা দামি। সিনথেটিক ফাইবারগুলো শরীরকে আঁকড়ে ধরে এবং সহজে কুঁচকে যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়। মানের জন্য বেশি খরচ করা জরুরি নয়। আপনাকে জানতে হবে মানের অনুভূতি কেমন। ওজন ও বুনন চিনতে পারলে আপনি ব্যবহৃত কাপড় দেখেই তার গুণাগুণ বুঝতে পারবেন।
ত্রুটিহীন সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণ
বিষয়টি শুধু পোশাক নিয়ে নয়, কিন্তু এটি অনেক কিছুর বেলাতেই সত্য। আমরা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকাকে সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করি। যেমন একটি ভাঁজহীন ইস্তিরি করা শার্ট। এক জোড়া পুরোনো কিন্তু পরিষ্কার জুতা, কিংবা পরিপাটি নখ, গোছানো চুল, সতেজ নিশ্বাস। আপনি কী কিনছেন, তার মধ্যে সব সময় সম্পদ থাকে না। সম্পদ থাকে আপনার যা আছে তার প্রতি আপনি কতটা যত্নশীল, তার মধ্যে। আপনার পোশাক ইস্তিরি করতে, জুতা পরিষ্কার করতে এবং ছেঁড়া ফিতা বা নিস্তেজ বোতামের মতো ছোট বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে সময় নিন। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো আত্মসম্মানের সংকেত দেয়। এগুলোকেই মানুষ আপনার আত্মবিশ্বাস হিসেবে পড়বে। আর জানেন তো, আত্মবিশ্বাসকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সুচিন্তিত অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হলো স্টাইলের বিরামচিহ্ন। তারা হয় আপনাকে সম্পূর্ণ করবে, অথবা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। একটি একটি ভালো ঘড়ি, চামড়ার ব্রেসলেট বা মিনিমালিস্ট সানগ্লাসের মতো সাধারণ জিনিস আপনার পুরো সাজকে উন্নত করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হলো সংযম ও ধারাবাহিকতা। একটি দারুণ মানের জিনিস সব সময় কয়েকটি ট্রেন্ডি জিনিসের চেয়ে ভালো দেখাবে।
সঠিক জুতা এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ
মানুষ অবচেতনভাবে প্রথম যে জিনিসগুলো লক্ষ করে, জুতা তার মধ্যে অন্যতম। আপনি বেশি দামের পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু আপনার জুতা যদি নোংরা বা পুরোনো হয়, তবে আপনার লুকে ছেদ পড়ে যাবে। অন্যদিকে, পরিষ্কার, ভালো ভাবে যত্নে রাখা জুতা সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের হলেও আপনার পুরো পোশাক উন্নত করে তুলতে পারে।
পোশাকের স্তরবিন্যাস
লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে পোশাক পরা একটি শিল্প। সঠিকভাবে করা হলে এটি আভিজাত্য প্রকাশ করে। যেমন একটি বোনা সোয়েটারের নিচে একটি কড়কড়ে শার্ট, সঙ্গে একটি হালকা ট্রেঞ্চ কোট বা একটি খোলা ওভারশার্টের নিচে একটি সাধারণ টি-শার্ট। এটি আপাতদৃষ্টে সাধারণ দেখালেও এর জন্য সামান্য কৌশল প্রয়োজন। লেয়ারিং করার সময় কেবল রং নয়, টেক্সচার বা বুননের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। ম্যাট কাপড়ের সঙ্গে নরম চকচকে টেনসেল বা সাটিনের মতো কাপড় যোগ করুন। এটি সূক্ষ্ম আকর্ষণ তৈরি করে রুচিশীলতার ইঙ্গিত দেবে।
শান্ত দেহভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাস
পোশাক আপনাকে কেবল একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই নিয়ে যেতে পারে। আপনার দেহভঙ্গি তার সঙ্গে মানানসই না হলে আপনি ব্যর্থ। যাঁরা নীরব আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাঁরা সোজা হয়ে দাঁড়ান, ধীরে ধীরে চলাফেরা করেন এবং অস্থির হন না। তাঁরা তাড়াহুড়ো করেন না বা ক্রমাগত তাঁদের পোশাক ঠিক করেন না। তাঁদের উপস্থিতি স্থিতিশীল মনে হয়। আপনি এটি অনুশীলন করতে পারেন। ঘরে প্রবেশ করার পর কথা বলার আগে এক সেকেন্ড থামুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনার অঙ্গভঙ্গি কম ও শিথিল রাখুন।
সূত্র: ভেজ আউট
ইংরেজিতে একটা প্রচলিত কথা আছে, ‘মানি টকস’ অর্থাৎ টাকা কথা বলে। আসলেই কি এই কাগজের টুকরা কথা বলে? একেক মানুষের কাছে আছে এর একেক রকম উত্তর। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই উপলব্ধি করে না যে টাকার পাশাপাশি মানুষের পরিহিত পোশাকের ধরন ফিসফিস করে কথা বলে। এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।
বিষয়টি ট্রেন্ডের পেছনে ছোটা বা সেলিব্রিটিদের স্টাইল নকল করা নয়, বরং সূক্ষ্ম বিষয়। এই ছোট ছোট বিষয় একজন মানুষের রুচি, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান অন্যের সামনে তুলে ধরে। তাই অনেক বেশি খরচ না করেও নিজেকে আকর্ষণীয় করে অন্যের সামনে তুলে ধরা ‘আর্ট’ হিসেবে পরিচিত।
নিখুঁত মাপ
ভালো ফিটিংয়ের পোশাকে একধরনের আকর্ষণ থাকে। আপনার পরনে যদি কম দামের কিন্তু ভালো ফিটিংয়ের একটি টি-শার্টও থাকে, তাহলেও আপনাকে মানানসই দেখাবে। উল্টোটাও সত্য যে কয়েক হাজার টাকার মাপ ভুল হওয়া ব্লেজারও যদি আপনার গায়ে থাকে, তবে সেই ‘দামি’ হওয়ার ধারণাটি তৎক্ষণাৎ শেষ হয়ে যায়। তাই আপনার সাধারণ পোশাক, যেমন টি-শার্ট বা লিনেনের শার্টও টেইলার্সের কাছে নিয়ে যান। কাঁধ বা অন্যান্য জায়গায় সামান্য পরিবর্তন করলেই তা হাই-এন্ড বুটিকের পোশাকের মতো দেখতে পারে।
বিখ্যাত লোগো না রেখেও আত্মবিশ্বাসী থাকুন
অনেকে মনে করেন, দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা লোগোই স্ট্যাটাস প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংযমই আত্মবিশ্বাস। পোশাকে কোনো লোগো না থাকা বা খুব কম থাকা বোঝায় যে আপনার কিছু প্রমাণ করার দরকার নেই। যাঁরা ‘মনে মনে ধনী’, তাঁদের পোশাক লোগো দিয়ে বিচার করতে হয় না। তাঁরা পরিচিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন না, বরং সম্মানিত হওয়ার জন্য পোশাক পরেন। একটি পুরোনো প্রবাদ আছে, যার বাংলা অর্থ, ‘টাকা চিৎকার করে, আর সম্পদ ফিসফিস করে।’ ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। আপনার ব্র্যান্ডিং যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন হবে, আপনার পোশাক তত বেশি উদ্দেশ্যমূলক ও ব্যয়বহুল মনে হবে।
নিরপেক্ষ ও পরিচ্ছন্ন রঙের উপস্থিতি
আপনি কি লক্ষ করেছেন, বিলাসবহুল পোশাকের কালেকশনগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট রঙের চারপাশে ঘোরাফেরা করে? যেমন বেইজ, কালো, সাদা, নেভি, অলিভ ও ধূসর। কিংবা মার্ক জাকারবার্গকে কখনো রঙিন পোশাকে দেখেছেন? বরং একটা নির্দিষ্ট রঙের টি-শার্ট পরেই তিনি সব সময় স্টেজে কথা বলেন। নিরপেক্ষ টোন বা নিউট্রাল রংগুলো শান্ত ও সংযম প্রকাশ করে। এই দুটি বৈশিষ্ট্য আমরা অবচেতনভাবে ক্ষমতা ও সম্পদের সঙ্গে সংযুক্ত করি। উজ্জ্বল রং চমৎকার লাগতে পারে, কিন্তু তারা প্রায়ই ট্রেন্ডি হয়, ক্ল্যাসিক নয়। নিউট্রাল রং পরা মানে বিরক্তিকর হওয়া নয়। এর মানে আপনি স্থায়িত্ব বোঝেন। আপনি যদি ফরেস্ট গ্রিন বা হালকা গোলাপির মতো একটি স্টেটমেন্ট রংও যোগ করেন, তবে বাকি পোশাকটিকে সংযত রাখলে তা বিশৃঙ্খল না হয়ে সুচিন্তিত বলে মনে হবে।
অনুভবযোগ্য মানসম্পন্ন ফ্যাব্রিকস
দামি দেখানোর জন্য পোশাকের একটি নিজস্ব টেক্সচার বা বুনন থাকে। এটি চকচকে উপায়ে নয়, বরং স্পর্শযোগ্য উপায়ে উপস্থিত হয় মানুষের সামনে। লিনেন প্রাকৃতিকভাবে ভাঁজ হয়ে ঝুলে থাকে। তবে এটি নরম কিন্তু সুগঠিত তুলা দিয়ে তৈরি। উলের কাপড় ঘন, কিন্তু খসখসে নয়। কাপড়টি কীভাবে নড়ে, তা দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন, পোশাকটি কতটা দামি। সিনথেটিক ফাইবারগুলো শরীরকে আঁকড়ে ধরে এবং সহজে কুঁচকে যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানগুলো স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়। মানের জন্য বেশি খরচ করা জরুরি নয়। আপনাকে জানতে হবে মানের অনুভূতি কেমন। ওজন ও বুনন চিনতে পারলে আপনি ব্যবহৃত কাপড় দেখেই তার গুণাগুণ বুঝতে পারবেন।
ত্রুটিহীন সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণ
বিষয়টি শুধু পোশাক নিয়ে নয়, কিন্তু এটি অনেক কিছুর বেলাতেই সত্য। আমরা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকাকে সমৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করি। যেমন একটি ভাঁজহীন ইস্তিরি করা শার্ট। এক জোড়া পুরোনো কিন্তু পরিষ্কার জুতা, কিংবা পরিপাটি নখ, গোছানো চুল, সতেজ নিশ্বাস। আপনি কী কিনছেন, তার মধ্যে সব সময় সম্পদ থাকে না। সম্পদ থাকে আপনার যা আছে তার প্রতি আপনি কতটা যত্নশীল, তার মধ্যে। আপনার পোশাক ইস্তিরি করতে, জুতা পরিষ্কার করতে এবং ছেঁড়া ফিতা বা নিস্তেজ বোতামের মতো ছোট বিষয়গুলো পরিবর্তন করতে সময় নিন। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো আত্মসম্মানের সংকেত দেয়। এগুলোকেই মানুষ আপনার আত্মবিশ্বাস হিসেবে পড়বে। আর জানেন তো, আত্মবিশ্বাসকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সুচিন্তিত অ্যাকসেসরিজ
অ্যাকসেসরিজ হলো স্টাইলের বিরামচিহ্ন। তারা হয় আপনাকে সম্পূর্ণ করবে, অথবা আপনাকে সম্পূর্ণভাবে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। একটি একটি ভালো ঘড়ি, চামড়ার ব্রেসলেট বা মিনিমালিস্ট সানগ্লাসের মতো সাধারণ জিনিস আপনার পুরো সাজকে উন্নত করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হলো সংযম ও ধারাবাহিকতা। একটি দারুণ মানের জিনিস সব সময় কয়েকটি ট্রেন্ডি জিনিসের চেয়ে ভালো দেখাবে।
সঠিক জুতা এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ
মানুষ অবচেতনভাবে প্রথম যে জিনিসগুলো লক্ষ করে, জুতা তার মধ্যে অন্যতম। আপনি বেশি দামের পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু আপনার জুতা যদি নোংরা বা পুরোনো হয়, তবে আপনার লুকে ছেদ পড়ে যাবে। অন্যদিকে, পরিষ্কার, ভালো ভাবে যত্নে রাখা জুতা সাশ্রয়ী ব্র্যান্ডের হলেও আপনার পুরো পোশাক উন্নত করে তুলতে পারে।
পোশাকের স্তরবিন্যাস
লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে পোশাক পরা একটি শিল্প। সঠিকভাবে করা হলে এটি আভিজাত্য প্রকাশ করে। যেমন একটি বোনা সোয়েটারের নিচে একটি কড়কড়ে শার্ট, সঙ্গে একটি হালকা ট্রেঞ্চ কোট বা একটি খোলা ওভারশার্টের নিচে একটি সাধারণ টি-শার্ট। এটি আপাতদৃষ্টে সাধারণ দেখালেও এর জন্য সামান্য কৌশল প্রয়োজন। লেয়ারিং করার সময় কেবল রং নয়, টেক্সচার বা বুননের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। ম্যাট কাপড়ের সঙ্গে নরম চকচকে টেনসেল বা সাটিনের মতো কাপড় যোগ করুন। এটি সূক্ষ্ম আকর্ষণ তৈরি করে রুচিশীলতার ইঙ্গিত দেবে।
শান্ত দেহভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাস
পোশাক আপনাকে কেবল একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই নিয়ে যেতে পারে। আপনার দেহভঙ্গি তার সঙ্গে মানানসই না হলে আপনি ব্যর্থ। যাঁরা নীরব আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাঁরা সোজা হয়ে দাঁড়ান, ধীরে ধীরে চলাফেরা করেন এবং অস্থির হন না। তাঁরা তাড়াহুড়ো করেন না বা ক্রমাগত তাঁদের পোশাক ঠিক করেন না। তাঁদের উপস্থিতি স্থিতিশীল মনে হয়। আপনি এটি অনুশীলন করতে পারেন। ঘরে প্রবেশ করার পর কথা বলার আগে এক সেকেন্ড থামুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনার অঙ্গভঙ্গি কম ও শিথিল রাখুন।
সূত্র: ভেজ আউট
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪আজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
৪ ঘণ্টা আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মেষ
আজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
বৃষ
আজ আপনার পেটের ডাক মহাজাগতিক শব্দের চেয়েও জোরালো। আরাম আর পছন্দের খাবারের জন্য মন সারা দিন ছটফট করবে। বিকেলের দিকে প্রেমের জীবন নিয়ে একটা মিষ্টি স্বপ্ন মনে উদয় হতে পারে, কিন্তু বাস্তবের কঠিন মাটিতে পা রাখুন, না হলে দেখবেন স্বপ্নে দেখা খাবারটাও হাতছাড়া! মানিব্যাগকে আজকের জন্য ‘আত্মগোপনে’ যেতে বলুন।
মিথুন
আজ আপনি একই সঙ্গে দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন, যেমন ‘অফিস যাব’ বনাম ‘কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাব।’ গ্রহরা বলছে, কোনো একটি বেছে নেওয়ার দরকার নেই। দুটোই এড়িয়ে যান এবং বাকিদের চিন্তায় ফেলে দিন। আপনার দ্বিচারিতাই আজ আপনার সুপার পাওয়ার। তবে ভুল করেও একসঙ্গে দুজনকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেবেন না!
কর্কট
আপনার আবেগ আজ সাগরের জোয়ারের মতো, সকালে উথলে উঠবে, দুপুরে সামান্য শান্ত হবে, আর রাতে আবার পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কেঁদে ফেলবে। পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে না ধরে একটু সামনের দিকে তাকান। প্লিজ, আপনার প্রাক্তন কী করছে তা আজ গুগল করা থেকে বিরত থাকুন। সাবধান! কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে অনুমতি নিন।
সিংহ
আজ আপনি যেখানেই যান, লাইমলাইট আপনাকেই খুঁজবে। আপনার তেজ এতটাই বেশি যে আশপাশের মানুষজন সানগ্লাস পরে থাকতে পারে! অতিরিক্ত নাটকীয়তা আজ চলবে, তবে খেয়াল রাখবেন নিজে ভালো সেজে অন্যকে যেন অন্ধকারে না ফেলে দেন। আজকের চ্যালেঞ্জ হলো, নিজেকে ছাড়া অন্য কারও প্রশংসা করুন। আপনার জন্য এটা কঠিন, তবে পারতে হবে।
কন্যা
আজ আপনার চোখে পড়বে ডেস্কে পড়ে থাকা একফোঁটা ধুলো অথবা ই-মেইলের বানান ভুলের মতো তুচ্ছ অনেক কিছু। নিখুঁত হওয়ার এই রোগ আজ আপনাকে একটু ভোগাবে। সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা না করে, বরং আরাম করুন। মহাবিশ্ব আপনাকে বলতে চাইছে: ‘সবকিছু ১০০ ভাগ ঠিক না হলেও চলে, বস!’
তুলা
সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটা আপনার জন্মগত ব্যারাম, আর আজ সেটা আরও প্রকট হবে। শার্টের রং কী হবে, লাঞ্চে কী খাবেন—এসব ভাবতে ভাবতেই আজকের অর্ধেক দিন পার। চিন্তা করবেন না, সময় আপনার হয়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে (মানে, হয়তো ততক্ষণে খাবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে)। ঝগড়া মিটিয়ে ফেলার আজ দারুণ সুযোগ, যদি ‘সরি’ বলা না বলা নিয়ে দ্বিধায় না ভোগেন!
বৃশ্চিক
আপনার চোখে আজ গভীর রহস্য। মনে হবে যেন কোনো গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন। আপনার তীব্র চাহনি আজ সহকর্মীদের একটু অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আজকের জন্য আপনার গোপন মিশন: লোকদেখানো হাসি দিয়ে সবাইকে কনফিউজ করে দেওয়া। সামান্য ব্যাপারেও সন্দেহ করা আজ একটু কমালে ভালো হয়।
ধনু
আজ আপনি মহৎ কোনো জ্ঞান দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আপনার অতিসরল সত্যগুলো অন্যকে আঘাত দিতে পারে। সবার সামনে নিজেকে ‘পৃথিবীর দার্শনিক’ প্রমাণ না করে, চুপচাপ থাকুন। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা আজ ক্যানসেল করুন, না হলে টিকিট কেটে চাঁদেই চলে যেতে পারেন! সঙ্গীকে কোনো অপ্রিয় সত্য বলার আগে ১০ বার ভাবুন।
মকর
আজ কাজ, কাজ আর শুধুই কাজ। আপনি যদি এখন নিজের শরীরের কথা না শোনেন, তবে শরীর আপনাকে ছুটি নিতে বাধ্য করবে। আপনার গ্রহরা চাইছে, আজ একটু রিলাক্স করুন। হ্যাঁ, সারা পৃথিবীতে কাজ জমে থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি যদি আজ ৩০ মিনিট কাজের ডেস্ক থেকে দূরে থাকেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে না তো! খেয়াল রাখবেন, আজ দুপুরের লাঞ্চটাইম ভুলে যাওয়ার চান্স আছে।
কুম্ভ
আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো আজ তুঙ্গে থাকবে। আপনার উদ্ভট সব পরিকল্পনা অফিসে পেশ করার আগে ভালো করে ভাবুন। সমাজের মূল স্রোত থেকে আপনি আরও দূরে সরে যেতে পারেন, এটা অবশ্য আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক। আজকের লক্ষ্য ঠিক করুন—এমন কাজ করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি!
মীন
বাস্তবতা আজ আপনার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগবে। পুরো দিনটা স্বপ্ন দেখবেন বলে আলস্যে কাটাতে পারেন, যেমন আপনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন আর এখন একটা প্রমোদতরিতে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। স্বপ্ন দেখতে কোনো বাধা নেই, তবে বসের ডাকে সাড়া দিতে ভুলবেন না। না হলে স্বপ্ন থেকে জাগতেই দেখবেন আপনার ‘রিয়েলিটি চেক’ হয়ে গেছে। সাবধান! দিনের শেষে জলখাবারটা একটু সাবধানে!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
মেষ
আজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
বৃষ
আজ আপনার পেটের ডাক মহাজাগতিক শব্দের চেয়েও জোরালো। আরাম আর পছন্দের খাবারের জন্য মন সারা দিন ছটফট করবে। বিকেলের দিকে প্রেমের জীবন নিয়ে একটা মিষ্টি স্বপ্ন মনে উদয় হতে পারে, কিন্তু বাস্তবের কঠিন মাটিতে পা রাখুন, না হলে দেখবেন স্বপ্নে দেখা খাবারটাও হাতছাড়া! মানিব্যাগকে আজকের জন্য ‘আত্মগোপনে’ যেতে বলুন।
মিথুন
আজ আপনি একই সঙ্গে দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন, যেমন ‘অফিস যাব’ বনাম ‘কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাব।’ গ্রহরা বলছে, কোনো একটি বেছে নেওয়ার দরকার নেই। দুটোই এড়িয়ে যান এবং বাকিদের চিন্তায় ফেলে দিন। আপনার দ্বিচারিতাই আজ আপনার সুপার পাওয়ার। তবে ভুল করেও একসঙ্গে দুজনকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেবেন না!
কর্কট
আপনার আবেগ আজ সাগরের জোয়ারের মতো, সকালে উথলে উঠবে, দুপুরে সামান্য শান্ত হবে, আর রাতে আবার পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কেঁদে ফেলবে। পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে না ধরে একটু সামনের দিকে তাকান। প্লিজ, আপনার প্রাক্তন কী করছে তা আজ গুগল করা থেকে বিরত থাকুন। সাবধান! কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে অনুমতি নিন।
সিংহ
আজ আপনি যেখানেই যান, লাইমলাইট আপনাকেই খুঁজবে। আপনার তেজ এতটাই বেশি যে আশপাশের মানুষজন সানগ্লাস পরে থাকতে পারে! অতিরিক্ত নাটকীয়তা আজ চলবে, তবে খেয়াল রাখবেন নিজে ভালো সেজে অন্যকে যেন অন্ধকারে না ফেলে দেন। আজকের চ্যালেঞ্জ হলো, নিজেকে ছাড়া অন্য কারও প্রশংসা করুন। আপনার জন্য এটা কঠিন, তবে পারতে হবে।
কন্যা
আজ আপনার চোখে পড়বে ডেস্কে পড়ে থাকা একফোঁটা ধুলো অথবা ই-মেইলের বানান ভুলের মতো তুচ্ছ অনেক কিছু। নিখুঁত হওয়ার এই রোগ আজ আপনাকে একটু ভোগাবে। সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা না করে, বরং আরাম করুন। মহাবিশ্ব আপনাকে বলতে চাইছে: ‘সবকিছু ১০০ ভাগ ঠিক না হলেও চলে, বস!’
তুলা
সিদ্ধান্ত নিতে না পারাটা আপনার জন্মগত ব্যারাম, আর আজ সেটা আরও প্রকট হবে। শার্টের রং কী হবে, লাঞ্চে কী খাবেন—এসব ভাবতে ভাবতেই আজকের অর্ধেক দিন পার। চিন্তা করবেন না, সময় আপনার হয়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে (মানে, হয়তো ততক্ষণে খাবার দোকান বন্ধ হয়ে যাবে)। ঝগড়া মিটিয়ে ফেলার আজ দারুণ সুযোগ, যদি ‘সরি’ বলা না বলা নিয়ে দ্বিধায় না ভোগেন!
বৃশ্চিক
আপনার চোখে আজ গভীর রহস্য। মনে হবে যেন কোনো গোপন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন। আপনার তীব্র চাহনি আজ সহকর্মীদের একটু অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আজকের জন্য আপনার গোপন মিশন: লোকদেখানো হাসি দিয়ে সবাইকে কনফিউজ করে দেওয়া। সামান্য ব্যাপারেও সন্দেহ করা আজ একটু কমালে ভালো হয়।
ধনু
আজ আপনি মহৎ কোনো জ্ঞান দিতে প্রস্তুত। কিন্তু আপনার অতিসরল সত্যগুলো অন্যকে আঘাত দিতে পারে। সবার সামনে নিজেকে ‘পৃথিবীর দার্শনিক’ প্রমাণ না করে, চুপচাপ থাকুন। ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা আজ ক্যানসেল করুন, না হলে টিকিট কেটে চাঁদেই চলে যেতে পারেন! সঙ্গীকে কোনো অপ্রিয় সত্য বলার আগে ১০ বার ভাবুন।
মকর
আজ কাজ, কাজ আর শুধুই কাজ। আপনি যদি এখন নিজের শরীরের কথা না শোনেন, তবে শরীর আপনাকে ছুটি নিতে বাধ্য করবে। আপনার গ্রহরা চাইছে, আজ একটু রিলাক্স করুন। হ্যাঁ, সারা পৃথিবীতে কাজ জমে থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি যদি আজ ৩০ মিনিট কাজের ডেস্ক থেকে দূরে থাকেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে না তো! খেয়াল রাখবেন, আজ দুপুরের লাঞ্চটাইম ভুলে যাওয়ার চান্স আছে।
কুম্ভ
আপনার উদ্ভট আইডিয়াগুলো আজ তুঙ্গে থাকবে। আপনার উদ্ভট সব পরিকল্পনা অফিসে পেশ করার আগে ভালো করে ভাবুন। সমাজের মূল স্রোত থেকে আপনি আরও দূরে সরে যেতে পারেন, এটা অবশ্য আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক। আজকের লক্ষ্য ঠিক করুন—এমন কাজ করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি!
মীন
বাস্তবতা আজ আপনার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগবে। পুরো দিনটা স্বপ্ন দেখবেন বলে আলস্যে কাটাতে পারেন, যেমন আপনি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন আর এখন একটা প্রমোদতরিতে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন। স্বপ্ন দেখতে কোনো বাধা নেই, তবে বসের ডাকে সাড়া দিতে ভুলবেন না। না হলে স্বপ্ন থেকে জাগতেই দেখবেন আপনার ‘রিয়েলিটি চেক’ হয়ে গেছে। সাবধান! দিনের শেষে জলখাবারটা একটু সাবধানে!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন। ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন! আসলে দোষটা আর কারও নয়, শুধু আপনার অলসতা।
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪মন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
২ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
৪ ঘণ্টা আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। এমনকি পর্যটকদের ভিড়ে এ বছর সেখানকার এক অঞ্চলে কারফিউ পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটির কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে গেলে ভ্রমণ হবে ঝামেলামুক্ত।
রেজিস্ট্রেশন দরকার
বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিকেরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে অনলাইনে কোরিয়ান ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ওয়েবসাইটে ভ্রমণের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি করতে খুব বেশি সময় লাগে না এবং একবার অনুমোদন পেলে দুই বছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে।
কোথায় থাকবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার অনেক ধরনের জায়গা রয়েছে। ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল ও গেস্টহাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল—সবকিছুই পাওয়া যায়। স্থানীয় অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ঐতিহ্যবাহী হনোক অতিথিশালায় থাকতে পারেন। সেখানে কাঠের মেঝে, ফুতন বিছানা ও কোরিয়ান পরিবেশ পাবেন। এ ছাড়া বৌদ্ধ মঠেও থাকা সম্ভব অনুমতি সাপেক্ষে।
কখন যাবেন
মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত জেজু দ্বীপ থেকে শুরু করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে চেরি ফুলের রঙিন আভা। আবার অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত সোনালি গিঙ্কো পাতায় সাজে সিউলসহ বিভিন্ন শহর। এ দুই সময়ে তো যেতে পারেনই, বছরের অন্য সময়গুলোতে গেলে অভিজ্ঞতা খারাপ হবে না। তবে পরামর্শ হলো, ছুটির সময়গুলো এড়িয়ে চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি বড় উৎসব হলো লুনার নিউ ইয়ার ও ছুসক। এ সময় দেশজুড়ে মানুষ নিজেদের গ্রামে চলে যায়। ফলে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় এই দুই উৎসবের তারিখ দেখে নিন। যদি ওই সময় যেতেই হয়, তবে সিউল বা বুসানে থাকা ভালো।
সেরা গণপরিবহন
দক্ষিণ কোরিয়ার মেট্রো, বাস ও ট্রেন সেবা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ব্যবস্থা। ১ ডলারেরও কম ভাড়ায় সিউলে যাতায়াত করা যায়। ভ্রমণের শুরুতেই একটি টি-মানি কার্ড কিনে নিন। এটি বাস, ট্রেন, এমনকি ট্যাক্সিতেও ব্যবহার করা যায়। দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য হাইস্পিড ট্রেনে দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
দরকারি অ্যাপ রাখুন মোবাইল ফোনে
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় সবখানে ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়। তবুও পর্যটকেরা চাইলে এয়ারপোর্ট থেকেই স্থানীয় সিম বা ই-সিম নিতে পারেন।
ভ্রমণে কাজে লাগবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ—
নাভের ম্যাপ: গুগল ম্যাপ সেবায় বেশি কাজে দেয়।
সাবওয়ে কোরিয়া: মেট্রো রুট ও সময় জানার জন্য।
কাকাও টি: ট্যাক্সি ভাড়ার অ্যাপ।
গ্রামে ঘুরুন
সিউল নিঃসন্দেহে আধুনিক ও প্রাণচঞ্চল শহর ও জনপ্রিয় গন্তব্য। কিন্তু কোরিয়ার আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে। পাহাড় ও নদীর মনোরম পরিবেশে এসব অঞ্চল বেশ শান্ত। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে অন্তত একবার ঘুরে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী কোরিয়া।
কোরিয়ানদের সামাজিক অভ্যাস সম্পর্কে জেনে যান
কোরিয়ানরা সাধারণত হালকা করে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানায়। হাত মেলায় আলতোভাবে। অপরিচিত মানুষও অনেক সময় আপনার বয়স, পেশা বা বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইতে পারে। এমন প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে ভদ্রভাবে উত্তর দিন। চাইলে পাল্টা প্রশ্নও করতে পারেন।
পোশাকে সংযম রাখুন
কোরিয়ানরা পোশাকে বেশ আধুনিক। তবে কিছু বিষয়ে রক্ষণশীল। মন্দিরে গেলে শর্টস চললেও ট্যাংক টপ বা ছোট স্কার্ট পরা ঠিক হবে না। সৈকতে মেয়েরা সাধারণত টি-শার্ট পরে, আর পুরুষদের সাঁতারের পোশাক। ট্যাটু থাকলে কিছু পাবলিক বাথ হাউসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস থাকলে সতর্ক থাকুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরামিষ বা ভেগান খাবার এখনো তেমন প্রচলিত নয়। অনেক খাবারেই মাছের ঝোল বা ফারমেন্টেড চিংড়ির পেস্ট ব্যবহার করা হয়। তবে বিবিমবাপ, জাপচে বা সবজি প্যানকেক নিরামিষভোজীদের জন্য ভালো বিকল্প খাবার। বৌদ্ধমন্দিরগুলোতেও পাওয়া যায় চমৎকার নিরামিষ খাবার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট
দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য। এমনকি পর্যটকদের ভিড়ে এ বছর সেখানকার এক অঞ্চলে কারফিউ পর্যন্ত জারি করতে হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটির কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় জেনে গেলে ভ্রমণ হবে ঝামেলামুক্ত।
রেজিস্ট্রেশন দরকার
বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের নাগরিকেরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে অনলাইনে কোরিয়ান ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ওয়েবসাইটে ভ্রমণের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি করতে খুব বেশি সময় লাগে না এবং একবার অনুমোদন পেলে দুই বছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে।
কোথায় থাকবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার অনেক ধরনের জায়গা রয়েছে। ব্যাকপ্যাকার হোস্টেল ও গেস্টহাউস থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল—সবকিছুই পাওয়া যায়। স্থানীয় অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে ঐতিহ্যবাহী হনোক অতিথিশালায় থাকতে পারেন। সেখানে কাঠের মেঝে, ফুতন বিছানা ও কোরিয়ান পরিবেশ পাবেন। এ ছাড়া বৌদ্ধ মঠেও থাকা সম্ভব অনুমতি সাপেক্ষে।
কখন যাবেন
মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত জেজু দ্বীপ থেকে শুরু করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে চেরি ফুলের রঙিন আভা। আবার অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত সোনালি গিঙ্কো পাতায় সাজে সিউলসহ বিভিন্ন শহর। এ দুই সময়ে তো যেতে পারেনই, বছরের অন্য সময়গুলোতে গেলে অভিজ্ঞতা খারাপ হবে না। তবে পরামর্শ হলো, ছুটির সময়গুলো এড়িয়ে চলুন।
দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি বড় উৎসব হলো লুনার নিউ ইয়ার ও ছুসক। এ সময় দেশজুড়ে মানুষ নিজেদের গ্রামে চলে যায়। ফলে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় এই দুই উৎসবের তারিখ দেখে নিন। যদি ওই সময় যেতেই হয়, তবে সিউল বা বুসানে থাকা ভালো।
সেরা গণপরিবহন
দক্ষিণ কোরিয়ার মেট্রো, বাস ও ট্রেন সেবা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ব্যবস্থা। ১ ডলারেরও কম ভাড়ায় সিউলে যাতায়াত করা যায়। ভ্রমণের শুরুতেই একটি টি-মানি কার্ড কিনে নিন। এটি বাস, ট্রেন, এমনকি ট্যাক্সিতেও ব্যবহার করা যায়। দূরপাল্লার ভ্রমণের জন্য হাইস্পিড ট্রেনে দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
দরকারি অ্যাপ রাখুন মোবাইল ফোনে
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় সবখানে ওয়াই-ফাই পাওয়া যায়। তবুও পর্যটকেরা চাইলে এয়ারপোর্ট থেকেই স্থানীয় সিম বা ই-সিম নিতে পারেন।
ভ্রমণে কাজে লাগবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ—
নাভের ম্যাপ: গুগল ম্যাপ সেবায় বেশি কাজে দেয়।
সাবওয়ে কোরিয়া: মেট্রো রুট ও সময় জানার জন্য।
কাকাও টি: ট্যাক্সি ভাড়ার অ্যাপ।
গ্রামে ঘুরুন
সিউল নিঃসন্দেহে আধুনিক ও প্রাণচঞ্চল শহর ও জনপ্রিয় গন্তব্য। কিন্তু কোরিয়ার আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে। পাহাড় ও নদীর মনোরম পরিবেশে এসব অঞ্চল বেশ শান্ত। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে অন্তত একবার ঘুরে আসুন এই ঐতিহ্যবাহী কোরিয়া।
কোরিয়ানদের সামাজিক অভ্যাস সম্পর্কে জেনে যান
কোরিয়ানরা সাধারণত হালকা করে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানায়। হাত মেলায় আলতোভাবে। অপরিচিত মানুষও অনেক সময় আপনার বয়স, পেশা বা বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইতে পারে। এমন প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে ভদ্রভাবে উত্তর দিন। চাইলে পাল্টা প্রশ্নও করতে পারেন।
পোশাকে সংযম রাখুন
কোরিয়ানরা পোশাকে বেশ আধুনিক। তবে কিছু বিষয়ে রক্ষণশীল। মন্দিরে গেলে শর্টস চললেও ট্যাংক টপ বা ছোট স্কার্ট পরা ঠিক হবে না। সৈকতে মেয়েরা সাধারণত টি-শার্ট পরে, আর পুরুষদের সাঁতারের পোশাক। ট্যাটু থাকলে কিছু পাবলিক বাথ হাউসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস থাকলে সতর্ক থাকুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরামিষ বা ভেগান খাবার এখনো তেমন প্রচলিত নয়। অনেক খাবারেই মাছের ঝোল বা ফারমেন্টেড চিংড়ির পেস্ট ব্যবহার করা হয়। তবে বিবিমবাপ, জাপচে বা সবজি প্যানকেক নিরামিষভোজীদের জন্য ভালো বিকল্প খাবার। বৌদ্ধমন্দিরগুলোতেও পাওয়া যায় চমৎকার নিরামিষ খাবার।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪মন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
৩ ঘণ্টা আগেহেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
১৭ ঘণ্টা আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪মন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনো লোগো বা ডিজাইনার ব্র্যান্ডের পোশাক না পরেই অবিশ্বাস্যভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার অনেকে আছেন দামি ব্র্যান্ডের পোশাকেও নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে পারেন না। এখানেই শুরু হয় রুচিবোধ আর ফ্যাশনবিষয়ক জ্ঞানের আলোচনা।...
২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার মেজাজ থাকবে আগুনের গোলার মতো! কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়ার আগে চটজলদি মাথা গরম করার অভ্যাসটা একটু ত্যাগ করুন। যদি একান্তই ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে, তাহলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলারের সঙ্গে করুন—ওটা উত্তর দেবে না, আর আপনিও জিতবেন! আর কফিটা ঠান্ডা হওয়ার আগে পান করে নিন।
৩ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ, কে-ড্রামা বা কোরিয়ান সিনেমা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর থেকে দেশটি ভ্রমণে পর্যটকেরা আরও আগ্রহী হচ্ছেন। এ ছাড়া পাহাড়, সমুদ্র, প্রাচীন ঐতিহ্য, আধুনিক শহর আর চমৎকার পরিবহনব্যবস্থা মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ এখন অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে দেশটিতে যাওয়ার আগে...
৪ ঘণ্টা আগে