ইশতিয়াক হাসান

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘাটতি এরা পুষিয়ে দিয়েছে সড়ক, নৌ কিংবা বিমানপথের মাধ্যমে। এবার তাহলে চলুন পরিচিত হওয়া যাক ট্রেন চলে না এমন কিছু দেশের সঙ্গে।
ভুটান
শুরুটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান দিয়েই করি। আয়তনে খুব বড় নয় ভুটান, ৩৮ হাজার ৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের দেশটির বেশির ভাগ অংশ জুড়েই উঁচু সব পর্বত এবং অসমতল ভূমি। এ সবকিছু মিলিয়ে এখানে রেল যোগাযোগ স্থাপন একরকম অসম্ভবই। তাই দেশটিতে যাতায়াতে বড় ভরসা সড়ক পথ। এমনকি দুরারোহ পার্বত্য এলাকাকেও চমৎকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে তারা।
ভুটানে চারটি বিমানবন্দরও আছে। এর মধ্যে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হয়। তবে পারো বিমানবন্দরে নামাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ৫০ জন প্রশিক্ষিত পাইলটেরই কেবল এখানে ওঠা-নামার অনুমোদন আছে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। একে তো একেবারেই ছোট দেশ, তারপর আবার জলের রাজ্যে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা—এ সবকিছু মিলিয়ে মালদ্বীপে রেললাইন বসানো বা ট্রেন চালানোটা খুব কঠিন। এক দ্বীপের সঙ্গে আরেক দ্বীপে যোগাযোগের মূল মাধ্যম তাই এখানে নৌযান। এ ছাড়া সি প্লেনও ব্যবহার করা হয়। এদিকে ভিনদেশি পর্যটকেরা সহজেই দেশটিতে চলে আসতে পারেন উড়োজাহাজে চেপে।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় রেললাইন স্থাপন করা মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকার কারণে উড়োজাহাজ চালানোও সহজ নয় এখানে। তাই ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই।
তাই বলে অ্যান্ডোরার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয় না। বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। বাসে বা গাড়িতে চেপে সেখানে গিয়ে ট্রেনে ধরতে পারেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য। তেমনি এ সব শহর থেকে উড়োজাহাজও ধরা যায়।
সাইপ্রাস
ইউরোপের দেশটির আয়তন ৯ হাজার ২৫১ বর্গকিলোমিটার। ১৯০৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে একটি রেলপথ চালু ছিল। অর্থনৈতিক কারণে এটি পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই রেলপথের একটি বাড়তি অংশ সংযোজন করে সাইপ্রাস মাইন করপোরেশন।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় এটিও। দেশটির ছোট আয়তন, পার্বত্য এলাকা এবং এমন ভূ-প্রকৃতির এলাকায় রেলপথ বসানোর জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন এর ঘাটতি—সব মিলিয়ে দেশটিতে রেলপথ নেই। তবে সাইপ্রাসে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর আছে। নৌপথও এখানকার মানুষদের যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে।
লিবিয়া
লিবিয়াতে রেলগাড়ি না চলাটা বিস্ময়করই। কারণ বিশালাকার এই দেশটির আয়তন ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪০ বর্গকিলোমিটার। একসময় দেশটিতে রেলপথ ছিল। তব গৃহযুদ্ধের সময় এসব রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও নতুন গৃহযুদ্ধে এটাও থামকে যায়। মূলত অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণেই এখান দেশটিতে রেল যোগাযোগ নেই। সড়ক ও বিমানপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাতায়াত করেন আফ্রিকার এ দেশটির বাসিন্দারা।
আইসল্যান্ড
এক লাখ ৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা কেবল ৩ লাখ ৮২ হাজার। অবশ্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির বৈরী, শীতল পরিবেশের কথা বিবেচনা করলে এটিও কম নয়। দেশটিতে জনসাধারণের জন্য কখনোই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে দেশটির ইতিহাসে তিনবার শিল্প কারখানার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে মালামাল বহনের জন্য রেলপথ বসানো হয়, ট্রেনও চলে। তবে এর কোনোটিই সচল নেই এখন আর।
অটোমোবাইল শিল্পের দিক থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তুলনামূলকভাবে কম জনসংখ্যা এবং বৈরী আবহাওয়াই এখানে ট্রেন না চলার মূল কারণ।
সোমালিয়া
আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সোমালিয়াতে গেলেও ট্রেনে চড়তে পারবেন না। কারণ ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৭ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে রেল যোগাযোগই নেই। ইতালির অধীনে থাকার সময় ১৯১০ সালে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে রেল ট্র্যাক বসানো হয়। ট্রেনও চলতে এই লাইনে। তবে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে ১৯৪০-র দশকে ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের সময় রেললাইনগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলায় এবং দারিদ্র্যের কারণে রেলপথ তো নেইই, এমনকি এখানে সড়ক যোগাযোগও খুব একটা ভালো নয়।
ওপরে বর্ণনা দেওয়া দেশগুলো ছাড়াও পাপুয়া নিউগিনি, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, মাল্টা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোসহ পৃথিবীর আরও কিছু দেশে রেলপথ নেই, কিংবা আগে থাকলেও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকনমিক টাইমস

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘাটতি এরা পুষিয়ে দিয়েছে সড়ক, নৌ কিংবা বিমানপথের মাধ্যমে। এবার তাহলে চলুন পরিচিত হওয়া যাক ট্রেন চলে না এমন কিছু দেশের সঙ্গে।
ভুটান
শুরুটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান দিয়েই করি। আয়তনে খুব বড় নয় ভুটান, ৩৮ হাজার ৩৯৪ বর্গকিলোমিটার। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের দেশটির বেশির ভাগ অংশ জুড়েই উঁচু সব পর্বত এবং অসমতল ভূমি। এ সবকিছু মিলিয়ে এখানে রেল যোগাযোগ স্থাপন একরকম অসম্ভবই। তাই দেশটিতে যাতায়াতে বড় ভরসা সড়ক পথ। এমনকি দুরারোহ পার্বত্য এলাকাকেও চমৎকার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে তারা।
ভুটানে চারটি বিমানবন্দরও আছে। এর মধ্যে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হয়। তবে পারো বিমানবন্দরে নামাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ৫০ জন প্রশিক্ষিত পাইলটেরই কেবল এখানে ওঠা-নামার অনুমোদন আছে।
মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১২০০ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। একে তো একেবারেই ছোট দেশ, তারপর আবার জলের রাজ্যে ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা—এ সবকিছু মিলিয়ে মালদ্বীপে রেললাইন বসানো বা ট্রেন চালানোটা খুব কঠিন। এক দ্বীপের সঙ্গে আরেক দ্বীপে যোগাযোগের মূল মাধ্যম তাই এখানে নৌযান। এ ছাড়া সি প্লেনও ব্যবহার করা হয়। এদিকে ভিনদেশি পর্যটকেরা সহজেই দেশটিতে চলে আসতে পারেন উড়োজাহাজে চেপে।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় রেললাইন স্থাপন করা মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকার কারণে উড়োজাহাজ চালানোও সহজ নয় এখানে। তাই ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই।
তাই বলে অ্যান্ডোরার বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয় না। বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। বাসে বা গাড়িতে চেপে সেখানে গিয়ে ট্রেনে ধরতে পারেন ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য। তেমনি এ সব শহর থেকে উড়োজাহাজও ধরা যায়।
সাইপ্রাস
ইউরোপের দেশটির আয়তন ৯ হাজার ২৫১ বর্গকিলোমিটার। ১৯০৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে একটি রেলপথ চালু ছিল। অর্থনৈতিক কারণে এটি পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই রেলপথের একটি বাড়তি অংশ সংযোজন করে সাইপ্রাস মাইন করপোরেশন।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় এটিও। দেশটির ছোট আয়তন, পার্বত্য এলাকা এবং এমন ভূ-প্রকৃতির এলাকায় রেলপথ বসানোর জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন এর ঘাটতি—সব মিলিয়ে দেশটিতে রেলপথ নেই। তবে সাইপ্রাসে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর আছে। নৌপথও এখানকার মানুষদের যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখে।
লিবিয়া
লিবিয়াতে রেলগাড়ি না চলাটা বিস্ময়করই। কারণ বিশালাকার এই দেশটির আয়তন ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪০ বর্গকিলোমিটার। একসময় দেশটিতে রেলপথ ছিল। তব গৃহযুদ্ধের সময় এসব রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও নতুন গৃহযুদ্ধে এটাও থামকে যায়। মূলত অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণেই এখান দেশটিতে রেল যোগাযোগ নেই। সড়ক ও বিমানপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাতায়াত করেন আফ্রিকার এ দেশটির বাসিন্দারা।
আইসল্যান্ড
এক লাখ ৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা কেবল ৩ লাখ ৮২ হাজার। অবশ্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির বৈরী, শীতল পরিবেশের কথা বিবেচনা করলে এটিও কম নয়। দেশটিতে জনসাধারণের জন্য কখনোই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়নি। তবে দেশটির ইতিহাসে তিনবার শিল্প কারখানার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে মালামাল বহনের জন্য রেলপথ বসানো হয়, ট্রেনও চলে। তবে এর কোনোটিই সচল নেই এখন আর।
অটোমোবাইল শিল্পের দিক থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তুলনামূলকভাবে কম জনসংখ্যা এবং বৈরী আবহাওয়াই এখানে ট্রেন না চলার মূল কারণ।
সোমালিয়া
আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সোমালিয়াতে গেলেও ট্রেনে চড়তে পারবেন না। কারণ ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৭ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে রেল যোগাযোগই নেই। ইতালির অধীনে থাকার সময় ১৯১০ সালে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে রেল ট্র্যাক বসানো হয়। ট্রেনও চলতে এই লাইনে। তবে ইতালিয়ান সোমালিল্যান্ডে ১৯৪০-র দশকে ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের সময় রেললাইনগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধ চলায় এবং দারিদ্র্যের কারণে রেলপথ তো নেইই, এমনকি এখানে সড়ক যোগাযোগও খুব একটা ভালো নয়।
ওপরে বর্ণনা দেওয়া দেশগুলো ছাড়াও পাপুয়া নিউগিনি, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, মাল্টা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোসহ পৃথিবীর আরও কিছু দেশে রেলপথ নেই, কিংবা আগে থাকলেও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইকনমিক টাইমস

পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। তাহলে উপায় কী? জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত। সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন...
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এই দৃশ্য সবার পরিচিত। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। শিশুরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাহলে উপায় কী? একটা একটা করে কলা কিনে এনে একজন একজন করে খাওয়া? এটা যে সম্ভব নয়, সেটা বোঝা যাচ্ছে সহজে। ফলে যা সম্ভব তাই করুন। অর্থাৎ জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত।
সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন। এতটুকুই! হ্যাঁ, এতেই মিলবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। খাদ্য অপচয় রোধ করা যেখানে আজকের দিনের একটি বড় উদ্বেগ, সেখানে সাধারণ লবণ ব্যবহার করে কীভাবে কলা সংরক্ষণের সময় বাড়ানো, আসলেই একটি সাশ্রয়ী উপায়।

লবণ-পানির সহজ প্রক্রিয়া
কলাগুলো সংরক্ষণ করার আগে এই সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
লবণ মিশ্রণ তৈরি: এক টেবিল চামচ লবণ পরিষ্কার পানির সঙ্গে গুলিয়ে নিন।
ধোয়ার প্রক্রিয়া: কলার পুরো ঝুঁকি বা ফানা লবণ মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে দিন। খোসা আলতো করে ধুয়ে নিন এবং বিশেষ করে কলার ডাঁটির অংশটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
সম্পূর্ণ শুকানো: কলাগুলো পানি থেকে তুলে একটি তোয়ালে দিয়ে মুছে পুরোপুরি শুকিয়ে নিন। অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকলে কলায় ছাঁটা বা ফাঙ্গাস দেখা দিতে পারে, তাই শুকানো খুব জরুরি।
পুরোপুরি শুকানোর পর কলা ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন।
কেন কাজ করে এই কৌশল
লবণ-পানি দিয়ে ধোয়ার এই পদ্ধতির কার্যকারিতা তিনটি মূল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে।
জীবাণু ও ছাঁটা দমন: কলার খোসায় বিভিন্ন অণুজীব ও ফাঙ্গাল স্পোর থাকে, যা পচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। লবণের জীবাণুনাশক গুণ থাকার কারণে এটি সেই পচন সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে।

এনজাইম এবং ইথিলিন নিয়ন্ত্রণ: লবণ সেই এনজাইমগুলোর গতি কমিয়ে দেয়, যা কলাকে দ্রুত পাকাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ ধীর করে দেয়। ইথিলিন গ্যাস ফলকে দ্রুত পরিপক্ব করে তোলে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: লবণ-পানি দিয়ে কলার ডাঁটির অংশ ধোয়ার ফলে খোসা তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। এতে খোসায় দ্রুত বলিরেখা পড়া বা বাদামি হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হয়।
অতিরিক্ত সংরক্ষণের টিপস
লবণ-পানির কৌশলের সঙ্গে আরও কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে কলার সতেজতা আরও বাড়াতে পারেন।
ডাঁটি মোড়ানো: কলার ডাঁটির অংশটি প্লাস্টিকের মোড়ক বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে দিন। এতে ইথিলিন গ্যাস ফলে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয় এবং পাকার প্রক্রিয়া ধীর হয়।
ঝুলিয়ে রাখা: কলা টেবিলে বা বাটিতে রাখার চেয়ে পুরো ফানা ঝুলিয়ে রাখুন। এতে ওজনের কারণে নিচের কলাগুলো থেঁতলে যাবে না। ঝুলিয়ে রাখলে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং কলা তার আকৃতি ধরে রাখতে পারে।
অন্যান্য ফল থেকে দূরে রাখুন: কলাকে আপেল, অ্যাভোকাডো এবং টমেটোর মতো ফল ও সবজি থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, এই ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ করে, যা কলাকে খুব দ্রুত অতিরিক্ত পাকিয়ে ফেলে।
সূত্র: ইভিএন এক্সপ্রেস

পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এই দৃশ্য সবার পরিচিত। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। শিশুরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাহলে উপায় কী? একটা একটা করে কলা কিনে এনে একজন একজন করে খাওয়া? এটা যে সম্ভব নয়, সেটা বোঝা যাচ্ছে সহজে। ফলে যা সম্ভব তাই করুন। অর্থাৎ জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত।
সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন। এতটুকুই! হ্যাঁ, এতেই মিলবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। খাদ্য অপচয় রোধ করা যেখানে আজকের দিনের একটি বড় উদ্বেগ, সেখানে সাধারণ লবণ ব্যবহার করে কীভাবে কলা সংরক্ষণের সময় বাড়ানো, আসলেই একটি সাশ্রয়ী উপায়।

লবণ-পানির সহজ প্রক্রিয়া
কলাগুলো সংরক্ষণ করার আগে এই সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
লবণ মিশ্রণ তৈরি: এক টেবিল চামচ লবণ পরিষ্কার পানির সঙ্গে গুলিয়ে নিন।
ধোয়ার প্রক্রিয়া: কলার পুরো ঝুঁকি বা ফানা লবণ মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে দিন। খোসা আলতো করে ধুয়ে নিন এবং বিশেষ করে কলার ডাঁটির অংশটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
সম্পূর্ণ শুকানো: কলাগুলো পানি থেকে তুলে একটি তোয়ালে দিয়ে মুছে পুরোপুরি শুকিয়ে নিন। অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকলে কলায় ছাঁটা বা ফাঙ্গাস দেখা দিতে পারে, তাই শুকানো খুব জরুরি।
পুরোপুরি শুকানোর পর কলা ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন।
কেন কাজ করে এই কৌশল
লবণ-পানি দিয়ে ধোয়ার এই পদ্ধতির কার্যকারিতা তিনটি মূল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে।
জীবাণু ও ছাঁটা দমন: কলার খোসায় বিভিন্ন অণুজীব ও ফাঙ্গাল স্পোর থাকে, যা পচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। লবণের জীবাণুনাশক গুণ থাকার কারণে এটি সেই পচন সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে।

এনজাইম এবং ইথিলিন নিয়ন্ত্রণ: লবণ সেই এনজাইমগুলোর গতি কমিয়ে দেয়, যা কলাকে দ্রুত পাকাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ ধীর করে দেয়। ইথিলিন গ্যাস ফলকে দ্রুত পরিপক্ব করে তোলে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: লবণ-পানি দিয়ে কলার ডাঁটির অংশ ধোয়ার ফলে খোসা তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। এতে খোসায় দ্রুত বলিরেখা পড়া বা বাদামি হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হয়।
অতিরিক্ত সংরক্ষণের টিপস
লবণ-পানির কৌশলের সঙ্গে আরও কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে কলার সতেজতা আরও বাড়াতে পারেন।
ডাঁটি মোড়ানো: কলার ডাঁটির অংশটি প্লাস্টিকের মোড়ক বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে দিন। এতে ইথিলিন গ্যাস ফলে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয় এবং পাকার প্রক্রিয়া ধীর হয়।
ঝুলিয়ে রাখা: কলা টেবিলে বা বাটিতে রাখার চেয়ে পুরো ফানা ঝুলিয়ে রাখুন। এতে ওজনের কারণে নিচের কলাগুলো থেঁতলে যাবে না। ঝুলিয়ে রাখলে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং কলা তার আকৃতি ধরে রাখতে পারে।
অন্যান্য ফল থেকে দূরে রাখুন: কলাকে আপেল, অ্যাভোকাডো এবং টমেটোর মতো ফল ও সবজি থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ, এই ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে ইথিলিন গ্যাস নিঃসরণ করে, যা কলাকে খুব দ্রুত অতিরিক্ত পাকিয়ে ফেলে।
সূত্র: ইভিএন এক্সপ্রেস

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪
ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
৫ ঘণ্টা আগেবিভাবরী রায়

ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই। এখন কোন কোন হাউস সেগুলো কত উন্নত করতে পারে, কত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করতে পারে, চলে সেই প্রতিযোগিতা।
টি-শার্ট
দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্টেটমেন্ট পোশাক হিসেবে টি-শার্ট নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে বেশ আগে। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো বিজয় দিবসকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ নকশা করা টি-শার্ট বাজারে আনে প্রতিবছর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নকশা করা টি-শার্টের মধ্যে অ্যাপ্লিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ প্রাধান্য পাচ্ছে। বিজয় দিবসের জন্য টি-শার্টে লাল-সবুজ রঙের প্রাধান্য থাকলেও সাদা, কালো অথবা ছাই রঙের ওপরও কাজ হচ্ছে প্রচুর। নিত্য উপহার প্রতিবছর বিজয় দিবসের আয়োজনে ছোট ও বড় সবার জন্য বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট নিয়ে আসে। শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও অর্ডার করা যাবে টি-শার্টগুলো। নিত্য উপহার ছাড়াও এখন অনেক ফ্যাশন হাউস টি-শার্টে লাল-সবুজ ও পতাকা নিয়ে কাজ করছে। যথাশিল্প, রঙ বাংলাদেশ, কে ক্র্যাফট, বিবিআনা, ডুয়েট ও অন্যান্য দেশীয় ফ্যাশন হাউসেও নারী-পুরুষ—উভয়ের পরার উপযোগী বিজয় দিবসের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে।

গয়না
বিজয় দিবসে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গয়না বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। লাল-সবুজ পোশাকের সঙ্গে একই রঙের গয়না আপনাকে অন্য রকমভাবে রাঙিয়ে তুলবে। বেশ কিছু অনলাইন পেজ বিজয় দিবস সামনে রেখে নতুন ধরনের গয়না নিয়ে এসেছে। ক্লে, সুতা, কাঠের গয়নাগুলোতে লাল ও সবুজ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। নকশা হিসেবে রয়েছে মানচিত্র, পতাকা, শাপলা কিংবা জবা ফুল ইত্যাদি। এসব নকশার পাশাপাশি কিছু কিছু গয়নায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আলপনার মোটিফ। এসব গয়না সিঙ্গেল বা সেট হিসেবে কেনা যাবে ১০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার মধ্য়ে। অনলাইন পেজ রূপসা, বৃত্ত, দেশি সাজসজ্জা ইত্যাদি পেজে পেয়ে যাবেন মনের মতো গয়না। এ ছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেটে পেয়ে যাবেন বিজয়ের থিমের গয়না।

নোটবুক
ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন শিল্পকেন্দ্র ‘যথাশিল্প’ তাদের নোটবুকের নকশা করেছে লাল ও সবুজ রং দিয়ে। নোটবুকগুলোর প্রচ্ছদে রয়েছে গাঢ় সবুজ রং। মাঝে রয়েছে টকটকে লাল রঙের বৃত্ত। বৃত্তের ভেতরে আছে বাংলাদেশের হলুদ রঙের মানচিত্র; অর্থাৎ পুরো নোটবুকের প্রচ্ছদ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা দিয়ে। এখানে সবুজ সুতি কাপড়ের ওপর লাল ও হলুদ সুতার এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। দেশে চায়নিজ নোটবুকের প্রাধান্যের যুগে যথাশিল্পের নোটবুকের এই নকশা একেবারে অভিনব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যথাশিল্পের নোটবুকগুলো ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এগুলোতে রয়েছে অফ হোয়াইট রঙের কার্টিজ পেপার। আকৃতিভেদে এগুলোর দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে। যথাশিল্পের আউটলেট, ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে অর্ডার করে কেনা যাবে নোটবুকগুলো।
টিপ
লাল-সবুজ শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে কপালে টিপ থাকবে না, তা কি হয়? বিজয়ের আনন্দে নিজেকে মাতাতে খুঁজে নিতে পারেন মনের মতো টিপ। বেশ কিছু অনলাইন পেজ ও উদ্যোক্তা অনুষঙ্গ হিসেবে বৈচিত্র্যময় টিপ তৈরি করেছেন এবার। টিপের ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন মানচিত্র, পতাকা, ফুল, মাছ, প্যাঁচা, হাঁস ইত্যাদি। প্রতিটি টিপেই রয়েছে লাল ও সবুজের ছোঁয়া। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন বর্ণমালাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে টিপের মধ্যে। টিপ দেখে বোঝা যায়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে দেশ ও ভাষার প্রতি মমত্ববোধ। অনলাইন পেজ রূপসা, ত্রিনিত্রিসহ অনেক পেজে পেয়ে যাবেন মনের মতো টিপ।

মগ
দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস নিয়ে এসেছে বিজয়ের মগ। বিজয় দিবস উপলক্ষে মগের নকশায় লাল আর সবুজের প্রাধান্য থাকছে এবার বরাবরের মতো। জাতীয় পতাকা, স্টেনগান, বিজয়ের উল্লাসসহ বিভিন্ন প্রিন্টে এসেছে চীনামাটির মগ। এ ছাড়া স্মৃতিসৌধের নকশা করা মগও রয়েছে। টাইপোগ্রাফি, কবিতার পঙ্ক্তি, পতাকা কিংবা অপরাজেয় বাংলার মতো ভাস্কর্যের ছবিসহ মগ পাওয়া যাচ্ছে ফ্যাশন হাউস নিত্য উপহারে। শুধু সবুজ কিংবা লাল রং নয়, সাদাকালো রঙেও রয়েছে এই স্মারকগুলো। ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশে এসেছে কয়েক ধরনের মগ। শান্তির প্রতীক পায়রা, পতাকা ও জ্যামিতিক নকশার মগ এনেছে তারা। অঞ্জন’স ফ্যাশন হাউসে ছবি ও লেখা নিয়ে মগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া লাল-সবুজ রঙে বর্ণমালার মগ পাবেন আড়ং ও যাত্রায়। চাইলে বিজয় দিবসের জন্য মগ কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। আজিজ সুপার মার্কেট ও কাটাবন মার্কেট থেকে পছন্দের মগ তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে আকাঙ্ক্ষিত মগ।

ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই। এখন কোন কোন হাউস সেগুলো কত উন্নত করতে পারে, কত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করতে পারে, চলে সেই প্রতিযোগিতা।
টি-শার্ট
দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্টেটমেন্ট পোশাক হিসেবে টি-শার্ট নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে বেশ আগে। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো বিজয় দিবসকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ নকশা করা টি-শার্ট বাজারে আনে প্রতিবছর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নকশা করা টি-শার্টের মধ্যে অ্যাপ্লিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ প্রাধান্য পাচ্ছে। বিজয় দিবসের জন্য টি-শার্টে লাল-সবুজ রঙের প্রাধান্য থাকলেও সাদা, কালো অথবা ছাই রঙের ওপরও কাজ হচ্ছে প্রচুর। নিত্য উপহার প্রতিবছর বিজয় দিবসের আয়োজনে ছোট ও বড় সবার জন্য বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট নিয়ে আসে। শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও অর্ডার করা যাবে টি-শার্টগুলো। নিত্য উপহার ছাড়াও এখন অনেক ফ্যাশন হাউস টি-শার্টে লাল-সবুজ ও পতাকা নিয়ে কাজ করছে। যথাশিল্প, রঙ বাংলাদেশ, কে ক্র্যাফট, বিবিআনা, ডুয়েট ও অন্যান্য দেশীয় ফ্যাশন হাউসেও নারী-পুরুষ—উভয়ের পরার উপযোগী বিজয় দিবসের টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে।

গয়না
বিজয় দিবসে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গয়না বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। লাল-সবুজ পোশাকের সঙ্গে একই রঙের গয়না আপনাকে অন্য রকমভাবে রাঙিয়ে তুলবে। বেশ কিছু অনলাইন পেজ বিজয় দিবস সামনে রেখে নতুন ধরনের গয়না নিয়ে এসেছে। ক্লে, সুতা, কাঠের গয়নাগুলোতে লাল ও সবুজ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। নকশা হিসেবে রয়েছে মানচিত্র, পতাকা, শাপলা কিংবা জবা ফুল ইত্যাদি। এসব নকশার পাশাপাশি কিছু কিছু গয়নায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আলপনার মোটিফ। এসব গয়না সিঙ্গেল বা সেট হিসেবে কেনা যাবে ১০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার মধ্য়ে। অনলাইন পেজ রূপসা, বৃত্ত, দেশি সাজসজ্জা ইত্যাদি পেজে পেয়ে যাবেন মনের মতো গয়না। এ ছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেটে পেয়ে যাবেন বিজয়ের থিমের গয়না।

নোটবুক
ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন শিল্পকেন্দ্র ‘যথাশিল্প’ তাদের নোটবুকের নকশা করেছে লাল ও সবুজ রং দিয়ে। নোটবুকগুলোর প্রচ্ছদে রয়েছে গাঢ় সবুজ রং। মাঝে রয়েছে টকটকে লাল রঙের বৃত্ত। বৃত্তের ভেতরে আছে বাংলাদেশের হলুদ রঙের মানচিত্র; অর্থাৎ পুরো নোটবুকের প্রচ্ছদ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা দিয়ে। এখানে সবুজ সুতি কাপড়ের ওপর লাল ও হলুদ সুতার এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। দেশে চায়নিজ নোটবুকের প্রাধান্যের যুগে যথাশিল্পের নোটবুকের এই নকশা একেবারে অভিনব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যথাশিল্পের নোটবুকগুলো ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এগুলোতে রয়েছে অফ হোয়াইট রঙের কার্টিজ পেপার। আকৃতিভেদে এগুলোর দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে। যথাশিল্পের আউটলেট, ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে অর্ডার করে কেনা যাবে নোটবুকগুলো।
টিপ
লাল-সবুজ শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে কপালে টিপ থাকবে না, তা কি হয়? বিজয়ের আনন্দে নিজেকে মাতাতে খুঁজে নিতে পারেন মনের মতো টিপ। বেশ কিছু অনলাইন পেজ ও উদ্যোক্তা অনুষঙ্গ হিসেবে বৈচিত্র্যময় টিপ তৈরি করেছেন এবার। টিপের ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন মানচিত্র, পতাকা, ফুল, মাছ, প্যাঁচা, হাঁস ইত্যাদি। প্রতিটি টিপেই রয়েছে লাল ও সবুজের ছোঁয়া। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন বর্ণমালাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে টিপের মধ্যে। টিপ দেখে বোঝা যায়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে দেশ ও ভাষার প্রতি মমত্ববোধ। অনলাইন পেজ রূপসা, ত্রিনিত্রিসহ অনেক পেজে পেয়ে যাবেন মনের মতো টিপ।

মগ
দেশীয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস নিয়ে এসেছে বিজয়ের মগ। বিজয় দিবস উপলক্ষে মগের নকশায় লাল আর সবুজের প্রাধান্য থাকছে এবার বরাবরের মতো। জাতীয় পতাকা, স্টেনগান, বিজয়ের উল্লাসসহ বিভিন্ন প্রিন্টে এসেছে চীনামাটির মগ। এ ছাড়া স্মৃতিসৌধের নকশা করা মগও রয়েছে। টাইপোগ্রাফি, কবিতার পঙ্ক্তি, পতাকা কিংবা অপরাজেয় বাংলার মতো ভাস্কর্যের ছবিসহ মগ পাওয়া যাচ্ছে ফ্যাশন হাউস নিত্য উপহারে। শুধু সবুজ কিংবা লাল রং নয়, সাদাকালো রঙেও রয়েছে এই স্মারকগুলো। ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশে এসেছে কয়েক ধরনের মগ। শান্তির প্রতীক পায়রা, পতাকা ও জ্যামিতিক নকশার মগ এনেছে তারা। অঞ্জন’স ফ্যাশন হাউসে ছবি ও লেখা নিয়ে মগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া লাল-সবুজ রঙে বর্ণমালার মগ পাবেন আড়ং ও যাত্রায়। চাইলে বিজয় দিবসের জন্য মগ কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। আজিজ সুপার মার্কেট ও কাটাবন মার্কেট থেকে পছন্দের মগ তৈরি করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে আকাঙ্ক্ষিত মগ।

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪
পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। তাহলে উপায় কী? জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত। সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন...
১ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস। অফিসে আপনার আইডিয়া কেউ বাতিল করলে, সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাইবেন। নিজেকে সামলান। ইমোশনাল মসলা যোগ না করে ডেটা দেখান। পার্টনার আজ আপনাকে ‘আগুনে মেজাজ’-এর জন্য একটা লাল গোলাপ উপহার দিতে পারে...যেটা আসলে আপনার রাগ কমানোর জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশারের প্রতীক। অতিরিক্ত উত্তেজনার ফলে পেটের গ্যাস বাড়তে পারে। আপনার ঝগড়ার আওয়াজ শুনে পালিয়ে যাওয়া মানুষের মুখের রং হবে ফ্যাকাশে।
বৃষ
পৃথিবী একদিকে থাকুক, আপনি আজ আরামের মহাসাগরে ডুব দিতে প্রস্তুত। আজ আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে–সোফা থেকে উঠে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়া এবং ফেরার পথে না ঘুমিয়ে পড়া। কোনো জরুরি কাজ এলেও, মন বলবে, ‘কাল করব, আজ একটু বিরতি নিক গ্রহরা।’ কাজের টেবিলে মাথা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না, বস ধরে ফেললে ঘুমের ঘোরেও অজুহাত তৈরি রাখুন। প্রিয়জনকে আজ অতিরিক্ত আলসেমির জন্য ডিনারের সময় কুইন বা কিং-এর মতো সেবা করতে হতে পারে। তবে ভালোবাসার মূল্য দিতে তিনি রাজি, যদি আপনি পালটা ভালো কোনো খাবারের প্রতিশ্রুতি দেন।
মিথুন
আজ মাথায় একসঙ্গে ১০টি আইডিয়া খেলবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কোনোটিই শেষ হবে না। একই সময়ে চা খাবেন নাকি কফি, ফেসবুক না ইনস্টাগ্রাম, এই নিয়েই প্রথম তিন ঘণ্টা চলে যাবে। কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি মন একে অপরের সঙ্গে তর্ক করবে। এক মন বলবে, ‘বসের সঙ্গে সরাসরি কথা বল’, আরেক মন বলবে, ‘ই-মেল ড্রাফট করো, তাতে ব্যাকস্পেস ব্যবহারের সুবিধা আছে।’ অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনার ফলে মাথা হালকা গরম থাকতে পারে। তাই ঠান্ডা ফলের রস খান, নাকি আইসক্রিম, এই নিয়েও আবার দ্বিধায় ভুগবেন! সঙ্গী হয়তো ভাববেন আপনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু আসলে নিজের দুটো মনের সঙ্গে কথোপকথন করছেন। বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন, নয়তো ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে।
কর্কট
আজ বিনা কারণে আবেগপ্রবণ হতে পারেন। পুরোনো দিনের ছবির অ্যালবাম দেখলে চোখে পানি আসতে পারে, এমনকি টিভির অ্যাড দেখেও চোখে পানি আসতে পারে। কেউ কিছু বললে সেটা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার অভ্যাসটা আজ একটু বেশি কাজ করবে। কেউ আপনার কাজ নিয়ে সামান্য সমালোচনা করলে ভাববেন, ‘আমার জীবনে আর কী রইল!’ দ্রুত টিস্যু পেপার জোগাড় করুন। পার্টনারের সামান্য উপেক্ষা বা ব্যস্ততাও মনে বিশাল অভিমানের জন্ম দেবে। সন্ধ্যাবেলায় নালিশ করার জন্য একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি রাখুন। রান্নাঘরের দিকে যান। সেখানেই আজ আপনার মানসিক শান্তি লুকিয়ে আছে।
সিংহ
আজ চাইবেন সবাই শুধু আপনার দিকেই তাকাক। আপনার পোশাক, হাসি, হাঁটাচলা–সবকিছুতেই যেন একটা বিশেষ গ্ল্যামার থাকে। নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যান, এবং এটাই আপনার শক্তি! মিটিং-এ এমনভাবে কথা বলবেন যেন আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সমস্যাটির সমাধান জানেন। আত্মবিশ্বাস আজ একটু বেশিই তেল মাখানো মনে হতে পারে। আজ একটি অপ্রয়োজনীয় কিন্তু অত্যন্ত মূল্যবান কিছু কেনার তাগিদ অনুভব করবেন, শুধু অন্যকে দেখানোর জন্য। সাবধানে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন।
কন্যা
আজ চারপাশে সামান্য ধুলো বা জিনিসপত্রের সামান্য অগোছালো ভাবও আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলবে। হয়তো পুরো অফিস বা বাড়ি পরিষ্কার করার জন্য একটা ‘মিশন ক্লিনিং’ শুরু করে দিতে পারেন।
বসের দেওয়া ফাইলটা বারবার চেক করবেন। একটা সামান্য কমা ভুলও আপনার চোখে বিশাল ত্রুটি মনে হবে। অতিরিক্ত নিখুঁত হতে গিয়ে ডেডলাইন মিস করবেন না যেন! খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে মানসিক স্ট্রেস বাড়বে। নিজেকে বলুন, ‘একটু নোংরা হলেও জগৎটা চলবে, পৃথিবী থেমে যাবে না।’ সঙ্গীর শার্টে বা ফ্রকে সামান্য দাগ দেখলেও সেটা নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিতে পারেন। সাবধানে!
তুলা
আজ জীবনে ভারসাম্য আনতে গিয়ে সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বেন। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে রাতের শোয়ার সময়, কোনো কিছুই নিজে ঠিক করতে পারবেন না। আজ টিমকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে আপনার ওপর ভরসা করা উচিত নয়। আপনি বলবেন, ‘এর দু’টি দিকই খুব ভালো, তাই তোমরা নিজেরাই ঠিক করো!’ পার্টনার আজ আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?’ এবং আপনি উত্তর দেবেন, ‘হ্যাঁ, তবে তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনটা বেশি, সেটা একটা কঠিন প্রশ্ন!’ অন্যের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিন, অন্তত আজকের দিনটির জন্য।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমনভাবে ঘুরবেন যেন মনে হবে আপনি কোনো গোপন মিশনে আছেন। হয়তো শুধু বাজার করতে যাচ্ছেন, কিন্তু ভাবভঙ্গি হবে যেন আপনি বিশ্বজুড়ে কোনো রহস্যের সমাধান করছেন।
বসের সামান্য হাসিও আপনার কাছে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হতে পারে। সবার কথায় সন্দেহ করবেন এবং সবার কথা ধরে ধরে বিশ্লেষণ করতে শুরু করবেন। একটু রিলাক্স করুন, পৃথিবী আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে না! সঙ্গীর ফোন চেক করার একটা গোপন ইচ্ছা আজ মনে জাগতে পারে। আপনার ‘স্পাই’ স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণ করুন, নইলে সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা আসতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে পৃথিবীটা খুব ছোট। হঠাৎ করেই ঠিক করতে পারেন যে পরের সপ্তাহেই আইসল্যান্ড যাবেন, যদিও আপনার পকেটে এখন ৫০০ টাকাও নেই। কাজের মাঝে হঠাৎ করেই জীবনবোধ নিয়ে একটা দীর্ঘ দার্শনিক বক্তৃতা দিতে শুরু করতে পারেন, যেটা শুনে সহকর্মীরা কনফিউজড হয়ে যাবে। একটা অপ্রত্যাশিত খরচ সব প্ল্যান ভেস্তে দেবে। হতে পারে, আপনার পোষা কুকুরটি হঠাৎ স্পা করতে চেয়েছে। পার্টনারকে নিয়ে এমন অ্যাডভেঞ্চারের প্ল্যান করবেন, যা শুনেই তিনি ভয়ে শিউরে উঠবেন। একটু শান্ত হোন, একটা কফি ডেটেও অ্যাডভেঞ্চার আনা যায়।
মকর
আজ এত ব্যস্ত থাকবেন যে, কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করলে, বলবেন, ‘আমার হাতে একদম সময় নেই! নিশ্বাস নেওয়ারও না!’ কিন্তু আসলে হয়তো বসে বসে নতুন টু-ডু লিস্ট তৈরি করছেন। আজ অন্যদের কাজও নিজের কাঁধে তুলে নেবেন, শুধু এইটা প্রমাণ করার জন্য যে আপনি কতটা পরিশ্রমী। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কাজ আপনাকে ‘হিরো’ নয়, বরং ‘শ্রান্ত’ করে তুলবে। ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। কারণ একটাই-আপনি পৃথিবীর সব চাপ একাই নিতে চাইছেন। পুরোনো মানিব্যাগ, যেটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে টাকার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু উদ্ভাবন করার কথা ভাববেন, যা এই পৃথিবীর কোনো কাজে আসবে না। যেমন: জুতায় লাগানোর জন্য ছোট্ট ফ্যান, যাতে হাঁটার সময় পা ঠান্ডা থাকে। আপনার ভাবনা অন্যদের কাছে ‘এলিয়েনদের ভাষা’ মনে হতে পারে। আপনার আইডিয়াগুলো হয়তো দারুণ, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করা কঠিন। বসকে এমনভাবে বোঝান যেন মনে হয় এটা একটা যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। পার্টনার আজ আপনার সঙ্গে রোমান্টিক হতে চাইলেও আপনি হয়তো তাকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব বোঝানোর চেষ্টা করবেন। রোমান্স বাদ দিন, তাকে বোঝান যে আপনি তাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদাভাবে ভাবেন। আজ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। নয়তো আপনার অদ্ভুত কথাবার্তা শুনে তারা পালিয়ে যেতে পারে।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে ভাসতে থাকবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে এমন উত্তর দেবেন, যার সঙ্গে প্রশ্নের কোনো সম্পর্ক নেই। হয়তো ভাববেন আপনি লটারি জিতে গেছেন, তারপর হঠাৎ বাস্তবে ফিরে এসে হতাশ হবেন। কাজের সময় অন্য কোনো গ্রহে থাকার ফলে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে সংখ্যা বা হিসাবের কাজ থেকে দূরে থাকুন। লটারি না জিতেও হয়তো কোনো একটি জিনিস কিনে ফেলতে পারেন এই ভেবে যে, ‘জিতলে তো টাকা চলেই আসবে!’ রোমান্টিক স্বপ্ন দেখতে দেখতে হয়তো আপনি ভুলে যাবেন যে পার্টনারকে একটা জরুরি কথা বলার ছিল। স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আসুন, বস!

মেষ
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস। অফিসে আপনার আইডিয়া কেউ বাতিল করলে, সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাইবেন। নিজেকে সামলান। ইমোশনাল মসলা যোগ না করে ডেটা দেখান। পার্টনার আজ আপনাকে ‘আগুনে মেজাজ’-এর জন্য একটা লাল গোলাপ উপহার দিতে পারে...যেটা আসলে আপনার রাগ কমানোর জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশারের প্রতীক। অতিরিক্ত উত্তেজনার ফলে পেটের গ্যাস বাড়তে পারে। আপনার ঝগড়ার আওয়াজ শুনে পালিয়ে যাওয়া মানুষের মুখের রং হবে ফ্যাকাশে।
বৃষ
পৃথিবী একদিকে থাকুক, আপনি আজ আরামের মহাসাগরে ডুব দিতে প্রস্তুত। আজ আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে–সোফা থেকে উঠে ফ্রিজ পর্যন্ত যাওয়া এবং ফেরার পথে না ঘুমিয়ে পড়া। কোনো জরুরি কাজ এলেও, মন বলবে, ‘কাল করব, আজ একটু বিরতি নিক গ্রহরা।’ কাজের টেবিলে মাথা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না, বস ধরে ফেললে ঘুমের ঘোরেও অজুহাত তৈরি রাখুন। প্রিয়জনকে আজ অতিরিক্ত আলসেমির জন্য ডিনারের সময় কুইন বা কিং-এর মতো সেবা করতে হতে পারে। তবে ভালোবাসার মূল্য দিতে তিনি রাজি, যদি আপনি পালটা ভালো কোনো খাবারের প্রতিশ্রুতি দেন।
মিথুন
আজ মাথায় একসঙ্গে ১০টি আইডিয়া খেলবে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কোনোটিই শেষ হবে না। একই সময়ে চা খাবেন নাকি কফি, ফেসবুক না ইনস্টাগ্রাম, এই নিয়েই প্রথম তিন ঘণ্টা চলে যাবে। কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি মন একে অপরের সঙ্গে তর্ক করবে। এক মন বলবে, ‘বসের সঙ্গে সরাসরি কথা বল’, আরেক মন বলবে, ‘ই-মেল ড্রাফট করো, তাতে ব্যাকস্পেস ব্যবহারের সুবিধা আছে।’ অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনার ফলে মাথা হালকা গরম থাকতে পারে। তাই ঠান্ডা ফলের রস খান, নাকি আইসক্রিম, এই নিয়েও আবার দ্বিধায় ভুগবেন! সঙ্গী হয়তো ভাববেন আপনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু আসলে নিজের দুটো মনের সঙ্গে কথোপকথন করছেন। বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন, নয়তো ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে।
কর্কট
আজ বিনা কারণে আবেগপ্রবণ হতে পারেন। পুরোনো দিনের ছবির অ্যালবাম দেখলে চোখে পানি আসতে পারে, এমনকি টিভির অ্যাড দেখেও চোখে পানি আসতে পারে। কেউ কিছু বললে সেটা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার অভ্যাসটা আজ একটু বেশি কাজ করবে। কেউ আপনার কাজ নিয়ে সামান্য সমালোচনা করলে ভাববেন, ‘আমার জীবনে আর কী রইল!’ দ্রুত টিস্যু পেপার জোগাড় করুন। পার্টনারের সামান্য উপেক্ষা বা ব্যস্ততাও মনে বিশাল অভিমানের জন্ম দেবে। সন্ধ্যাবেলায় নালিশ করার জন্য একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি রাখুন। রান্নাঘরের দিকে যান। সেখানেই আজ আপনার মানসিক শান্তি লুকিয়ে আছে।
সিংহ
আজ চাইবেন সবাই শুধু আপনার দিকেই তাকাক। আপনার পোশাক, হাসি, হাঁটাচলা–সবকিছুতেই যেন একটা বিশেষ গ্ল্যামার থাকে। নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় ফ্যান, এবং এটাই আপনার শক্তি! মিটিং-এ এমনভাবে কথা বলবেন যেন আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সমস্যাটির সমাধান জানেন। আত্মবিশ্বাস আজ একটু বেশিই তেল মাখানো মনে হতে পারে। আজ একটি অপ্রয়োজনীয় কিন্তু অত্যন্ত মূল্যবান কিছু কেনার তাগিদ অনুভব করবেন, শুধু অন্যকে দেখানোর জন্য। সাবধানে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন।
কন্যা
আজ চারপাশে সামান্য ধুলো বা জিনিসপত্রের সামান্য অগোছালো ভাবও আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলবে। হয়তো পুরো অফিস বা বাড়ি পরিষ্কার করার জন্য একটা ‘মিশন ক্লিনিং’ শুরু করে দিতে পারেন।
বসের দেওয়া ফাইলটা বারবার চেক করবেন। একটা সামান্য কমা ভুলও আপনার চোখে বিশাল ত্রুটি মনে হবে। অতিরিক্ত নিখুঁত হতে গিয়ে ডেডলাইন মিস করবেন না যেন! খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে মানসিক স্ট্রেস বাড়বে। নিজেকে বলুন, ‘একটু নোংরা হলেও জগৎটা চলবে, পৃথিবী থেমে যাবে না।’ সঙ্গীর শার্টে বা ফ্রকে সামান্য দাগ দেখলেও সেটা নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিতে পারেন। সাবধানে!
তুলা
আজ জীবনে ভারসাম্য আনতে গিয়ে সম্পূর্ণ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বেন। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে রাতের শোয়ার সময়, কোনো কিছুই নিজে ঠিক করতে পারবেন না। আজ টিমকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে আপনার ওপর ভরসা করা উচিত নয়। আপনি বলবেন, ‘এর দু’টি দিকই খুব ভালো, তাই তোমরা নিজেরাই ঠিক করো!’ পার্টনার আজ আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?’ এবং আপনি উত্তর দেবেন, ‘হ্যাঁ, তবে তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনটা বেশি, সেটা একটা কঠিন প্রশ্ন!’ অন্যের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিন, অন্তত আজকের দিনটির জন্য।
বৃশ্চিক
আজ সারা দিন এমনভাবে ঘুরবেন যেন মনে হবে আপনি কোনো গোপন মিশনে আছেন। হয়তো শুধু বাজার করতে যাচ্ছেন, কিন্তু ভাবভঙ্গি হবে যেন আপনি বিশ্বজুড়ে কোনো রহস্যের সমাধান করছেন।
বসের সামান্য হাসিও আপনার কাছে কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হতে পারে। সবার কথায় সন্দেহ করবেন এবং সবার কথা ধরে ধরে বিশ্লেষণ করতে শুরু করবেন। একটু রিলাক্স করুন, পৃথিবী আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে না! সঙ্গীর ফোন চেক করার একটা গোপন ইচ্ছা আজ মনে জাগতে পারে। আপনার ‘স্পাই’ স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণ করুন, নইলে সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা আসতে পারে।
ধনু
আজ মনে হবে পৃথিবীটা খুব ছোট। হঠাৎ করেই ঠিক করতে পারেন যে পরের সপ্তাহেই আইসল্যান্ড যাবেন, যদিও আপনার পকেটে এখন ৫০০ টাকাও নেই। কাজের মাঝে হঠাৎ করেই জীবনবোধ নিয়ে একটা দীর্ঘ দার্শনিক বক্তৃতা দিতে শুরু করতে পারেন, যেটা শুনে সহকর্মীরা কনফিউজড হয়ে যাবে। একটা অপ্রত্যাশিত খরচ সব প্ল্যান ভেস্তে দেবে। হতে পারে, আপনার পোষা কুকুরটি হঠাৎ স্পা করতে চেয়েছে। পার্টনারকে নিয়ে এমন অ্যাডভেঞ্চারের প্ল্যান করবেন, যা শুনেই তিনি ভয়ে শিউরে উঠবেন। একটু শান্ত হোন, একটা কফি ডেটেও অ্যাডভেঞ্চার আনা যায়।
মকর
আজ এত ব্যস্ত থাকবেন যে, কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করলে, বলবেন, ‘আমার হাতে একদম সময় নেই! নিশ্বাস নেওয়ারও না!’ কিন্তু আসলে হয়তো বসে বসে নতুন টু-ডু লিস্ট তৈরি করছেন। আজ অন্যদের কাজও নিজের কাঁধে তুলে নেবেন, শুধু এইটা প্রমাণ করার জন্য যে আপনি কতটা পরিশ্রমী। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কাজ আপনাকে ‘হিরো’ নয়, বরং ‘শ্রান্ত’ করে তুলবে। ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। কারণ একটাই-আপনি পৃথিবীর সব চাপ একাই নিতে চাইছেন। পুরোনো মানিব্যাগ, যেটি আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে টাকার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু উদ্ভাবন করার কথা ভাববেন, যা এই পৃথিবীর কোনো কাজে আসবে না। যেমন: জুতায় লাগানোর জন্য ছোট্ট ফ্যান, যাতে হাঁটার সময় পা ঠান্ডা থাকে। আপনার ভাবনা অন্যদের কাছে ‘এলিয়েনদের ভাষা’ মনে হতে পারে। আপনার আইডিয়াগুলো হয়তো দারুণ, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ করা কঠিন। বসকে এমনভাবে বোঝান যেন মনে হয় এটা একটা যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। পার্টনার আজ আপনার সঙ্গে রোমান্টিক হতে চাইলেও আপনি হয়তো তাকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব বোঝানোর চেষ্টা করবেন। রোমান্স বাদ দিন, তাকে বোঝান যে আপনি তাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদাভাবে ভাবেন। আজ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। নয়তো আপনার অদ্ভুত কথাবার্তা শুনে তারা পালিয়ে যেতে পারে।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে ভাসতে থাকবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে এমন উত্তর দেবেন, যার সঙ্গে প্রশ্নের কোনো সম্পর্ক নেই। হয়তো ভাববেন আপনি লটারি জিতে গেছেন, তারপর হঠাৎ বাস্তবে ফিরে এসে হতাশ হবেন। কাজের সময় অন্য কোনো গ্রহে থাকার ফলে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে সংখ্যা বা হিসাবের কাজ থেকে দূরে থাকুন। লটারি না জিতেও হয়তো কোনো একটি জিনিস কিনে ফেলতে পারেন এই ভেবে যে, ‘জিতলে তো টাকা চলেই আসবে!’ রোমান্টিক স্বপ্ন দেখতে দেখতে হয়তো আপনি ভুলে যাবেন যে পার্টনারকে একটা জরুরি কথা বলার ছিল। স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আসুন, বস!

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪
পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। তাহলে উপায় কী? জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত। সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন...
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই।
৪ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
কী দিয়ে বাড়ি ও ঘর সাজাবেন, নেট ঘেঁটে তার ধারণা নিতে পারেন। কীভাবে সাজাবেন, সেটা নিয়ে ভাবুন। সৌন্দর্য বিষয়টি নিয়ে একেকজন একেক রকম ধারণা। যেমন কারও নীল রং পছন্দ, তো কারও সাদা। আবার কারও ক্যাকটাস পছন্দ, তো কারও বনসাই। ফলে নিজেই ভাবুন, কীভাবে সাজাবেন। কিছু বুদ্ধি এখান থেকে নিতে পারেন অবশ্য।
করিডরের দেয়াল পেইন্টিং এবং ওয়ালম্যাট দিয়ে সাজাতে পারেন। সব ফ্রেম একই সমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। ছোট, বড়, মাঝারি—সব রকমের ফ্রেম ভালো লাগবে। সাদা দেয়ালের জন্য আপনি গাঢ় রঙের ফ্রেম বেছে নিতে পারেন। গ্যালারি ওয়াল তৈরি করতে নিজের তোলা ছবিও বাঁধাই করে ঝোলাতে পারেন।
সূত্র: গুড হাউস কিপিং ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানে বছরের শেষ, ডিসেম্বর মানে ছুটি আর অবসর। ডিসেম্বর মানে মনে সুখানুভূতির জাগরণ। নতুন বছরে অন্দরের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন, তা যেন ডিসেম্বরের অবসরেই ঠিক করে নিই আমরা। বাড়ির অন্দর থেকে বাহির—সবকিছুই ঝকঝকে করে তুলতে চাই এ সময়টায়।
কী দিয়ে বাড়ি ও ঘর সাজাবেন, নেট ঘেঁটে তার ধারণা নিতে পারেন। কীভাবে সাজাবেন, সেটা নিয়ে ভাবুন। সৌন্দর্য বিষয়টি নিয়ে একেকজন একেক রকম ধারণা। যেমন কারও নীল রং পছন্দ, তো কারও সাদা। আবার কারও ক্যাকটাস পছন্দ, তো কারও বনসাই। ফলে নিজেই ভাবুন, কীভাবে সাজাবেন। কিছু বুদ্ধি এখান থেকে নিতে পারেন অবশ্য।
করিডরের দেয়াল পেইন্টিং এবং ওয়ালম্যাট দিয়ে সাজাতে পারেন। সব ফ্রেম একই সমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। ছোট, বড়, মাঝারি—সব রকমের ফ্রেম ভালো লাগবে। সাদা দেয়ালের জন্য আপনি গাঢ় রঙের ফ্রেম বেছে নিতে পারেন। গ্যালারি ওয়াল তৈরি করতে নিজের তোলা ছবিও বাঁধাই করে ঝোলাতে পারেন।
সূত্র: গুড হাউস কিপিং ও অন্যান্য

এই একবিংশ শতাব্দীতে যদি শোনেন কোনো দেশে রেলপথ নেই কিংবা ট্রেন চলে না, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। কিন্তু বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশই রেল যোগাযোগের বাইরেই রয়ে গেছে। আয়তনে ছোট, পার্বত, দ্বীপ বা মরুময় এলাকার আধিক্যের কারণে এ সব দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা প্রায় অসম্ভব কিংবা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। অবশ্য রেলপথের ঘা
০৬ অক্টোবর ২০২৪
পাকা কলা দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং এর খোসা কালো হতে শুরু করে। এমন কলা বেশির ভাগ মানুষ খেতে চান না। তাহলে উপায় কী? জেনে রাখুন, পাকা কলা সংরক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া কৌশল। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কলা ভালো রাখা যাবে। সে সময় এগুলো থাকবে সতেজ ও শক্ত। সংরক্ষণের আগে কলাগুলো লবণ মেশানো পানিতে ধুয়ে নিন...
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর এলে বিজয় দিবস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন চোখে পড়ে। ফ্যাশন দুনিয়ায় তা এখন প্রতিবছরের নতুন ইভেন্ট। তবে এর বাইরেও বিভিন্ন জিনিসে বিজয়ের ছাপ চোখে পড়ে বেশ। প্রতিদিন ব্যবহার করা ছোট ছোট জিনিস, যেগুলো হয়তো আমরা হুটহাট কিনে ফেলি, সেগুলোতেও বিজয় দিবসের ছাপ পড়ে গেছে অনেক আগেই।
৪ ঘণ্টা আগে
আপনার এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে, যার ফলে অকারণে পাড়ার চায়ের দোকানে বা অনলাইনে কোনো পুরোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন। গ্রহরা বলছে, আপনি আজ ‘আমার কথাটাই ঠিক, বাকি সব ভুল’ এই মোডে থাকবেন। একটু সংযত হন, বস।
৫ ঘণ্টা আগে