ফিচার ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে। বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা দেশের তালিকায় দেশটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে ভ্রমণের প্রতি পর্যটকদের অনীহা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি, শুল্ক বৃদ্ধি এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ—এই সবকিছুর প্রভাবে বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে; বিশেষ করে কানাডা ও ইউরোপের নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্র সফর কমিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিরাপত্তা কঠোর হওয়ায় কানাডা এবং ইউরোপীয় কিছু পর্যটককে আটক করা হয়। এ কারণে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও পর্তুগাল তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। এ পরিস্থিতি আরও তীব্র হচ্ছে এবং অন্য অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ বর্জন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
কানাডার বর্জন
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরাপদ বোধ করছেন না তাদের প্রতিবেশী দেশ কানাডার নাগরিকেরা। অথচ এই দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন। সংখ্যাটি অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। কিন্তু ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক এবং কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার হুমকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার পর্যটক কমছে। কানাডার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ২০ শতাংশ। ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন অনুমান করেছে, যদি কানাডীয় পর্যটক ১০ শতাংশ কমে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ২১০ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে।
নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
পর্যটকদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সব নীতির প্রতিবাদে আবার কেউ নিরাপত্তার ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ এড়িয়ে চলছেন। সম্প্রতি কয়েকজন কানাডীয়কে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। এক নারীর ভিসা বাতিল করে দুই সপ্তাহ আটকে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাগুলো কানাডীয়দের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছে। কানাডার সাংবাদিক কেট ডিংওয়াল বলেন, ‘সীমান্তে আটকা পড়ার ভয় এখন বেশি। এর সঙ্গে কানাডার প্রতি ট্রাম্পের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার পর্যটক কমছে।’ কুইবেকের মন্ট্রিয়ল শহরের লেখক ও কমেডিয়ান কিথ সেরি তাঁর নিউইয়র্ক সিটির ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভ্যালে পাঁচটি শো বাতিল করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাকে নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্তগুলো থেকে বঞ্চিত করবে। তবে সত্যি কথা বলতে, আমি এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিরাপদ বোধ করি না। আর আমি তাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব রাখতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের বদলে এখন কানাডীয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা বা ইউরোপে ভ্রমণ করছেন। বারমুডার হ্যামিলটন প্রিন্সেস হোটেলের পরিচালক ডিয়ারমাইড ওসুলিভান জানান, তাঁরা গত কয়েক সপ্তাহে কানাডীয়দের কাছ থেকে ১০টির বেশি ইভেন্ট বুকিং পেয়েছেন। এ থেকে তাঁদের আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব
পর্যটন খাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর পর্যটনশিল্প থেকে ২ দশমিক ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল দেশটির। কিন্তু ট্যুরিজম ইকোনমিকসের নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখন পর্যটক ধরে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। ধারণা করা হচ্ছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটকের সংখ্যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
নতুন পরিবর্তনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে; বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং সেগুলোর কর্মীদের ওপর। আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে কমে যাওয়া মানে স্থানীয় হোটেল, ট্যাক্সি, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য ব্যবসার ক্ষতি হওয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি এই কঠোর নীতির বিষয়ে নতুন করে না ভাবে, তাহলে পর্যটন খাত দিন দিন আরও খারাপ হতে বাধ্য।
এ ছাড়া অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হবে।
সূত্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে। বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা দেশের তালিকায় দেশটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে ভ্রমণের প্রতি পর্যটকদের অনীহা শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি, শুল্ক বৃদ্ধি এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ—এই সবকিছুর প্রভাবে বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে; বিশেষ করে কানাডা ও ইউরোপের নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্র সফর কমিয়ে দিচ্ছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিরাপত্তা কঠোর হওয়ায় কানাডা এবং ইউরোপীয় কিছু পর্যটককে আটক করা হয়। এ কারণে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও পর্তুগাল তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। এ পরিস্থিতি আরও তীব্র হচ্ছে এবং অন্য অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ বর্জন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
কানাডার বর্জন
যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরাপদ বোধ করছেন না তাদের প্রতিবেশী দেশ কানাডার নাগরিকেরা। অথচ এই দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন। সংখ্যাটি অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। কিন্তু ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক এবং কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার হুমকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার পর্যটক কমছে। কানাডার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ২০ শতাংশ। ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন অনুমান করেছে, যদি কানাডীয় পর্যটক ১০ শতাংশ কমে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ২১০ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে।
নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
পর্যটকদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সব নীতির প্রতিবাদে আবার কেউ নিরাপত্তার ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ এড়িয়ে চলছেন। সম্প্রতি কয়েকজন কানাডীয়কে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। এক নারীর ভিসা বাতিল করে দুই সপ্তাহ আটকে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাগুলো কানাডীয়দের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছে। কানাডার সাংবাদিক কেট ডিংওয়াল বলেন, ‘সীমান্তে আটকা পড়ার ভয় এখন বেশি। এর সঙ্গে কানাডার প্রতি ট্রাম্পের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার পর্যটক কমছে।’ কুইবেকের মন্ট্রিয়ল শহরের লেখক ও কমেডিয়ান কিথ সেরি তাঁর নিউইয়র্ক সিটির ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভ্যালে পাঁচটি শো বাতিল করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাকে নিউইয়র্কের সাধারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্তগুলো থেকে বঞ্চিত করবে। তবে সত্যি কথা বলতে, আমি এখন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিরাপদ বোধ করি না। আর আমি তাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব রাখতে চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প গন্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রের বদলে এখন কানাডীয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা বা ইউরোপে ভ্রমণ করছেন। বারমুডার হ্যামিলটন প্রিন্সেস হোটেলের পরিচালক ডিয়ারমাইড ওসুলিভান জানান, তাঁরা গত কয়েক সপ্তাহে কানাডীয়দের কাছ থেকে ১০টির বেশি ইভেন্ট বুকিং পেয়েছেন। এ থেকে তাঁদের আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব
পর্যটন খাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর পর্যটনশিল্প থেকে ২ দশমিক ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হওয়ার কথা ছিল দেশটির। কিন্তু ট্যুরিজম ইকোনমিকসের নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখন পর্যটক ধরে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। ধারণা করা হচ্ছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে পর্যটকের সংখ্যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
নতুন পরিবর্তনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে; বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং সেগুলোর কর্মীদের ওপর। আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে কমে যাওয়া মানে স্থানীয় হোটেল, ট্যাক্সি, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য ব্যবসার ক্ষতি হওয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি এই কঠোর নীতির বিষয়ে নতুন করে না ভাবে, তাহলে পর্যটন খাত দিন দিন আরও খারাপ হতে বাধ্য।
এ ছাড়া অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হবে।
সূত্র: বিবিসি
পশ্চিমা ঘরানার পোশাক পরায় যাঁরা স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা এবারের ঈদে আরামদায়ক কাপড়ের মিডি ড্রেস বেছে নিতে পারেন। চলতি ট্রেন্ডে আঁটসাঁট ও ঢিলেঢালা—দুই ধরনের মিডি ড্রেসই চলছে। হাঁটু বা তার একটু নিচের দৈর্ঘ্যের ফ্রক, ম্যাক্সি কাটিং জামা কিংবা গাউন স্টাইলের পোশাকগুলো মিডি ড্রেসের অন্তর্ভুক্ত।
৭ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদে পশু জবাই এবং মাংস কাটাকাটির ফলে কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই দাগ তোলার জন্য কাপড়ভেদে আলাদা উপায় আছে। ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই কাপড় থেকে রক্তের দাগ তোলা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ বলে কথা। গরুর মাংসের রেজালা, কালা ভুনা, আস্ত রসুন দিয়ে মাংসের তরকারি তো খাবেনই, সেই সঙ্গে রান্না করে নিতে পারেন গরুর মাংসের টার্কিশ পদ। তাতে খাবারে চমক ও স্বাদবদল—দুটোই থাকবে...
৮ ঘণ্টা আগেযাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন, তাঁদের বিশেষ দিন নিয়ে আলাদা ভাবতে হয় না। যাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন না, তাঁরা যদি হঠাৎ একদিন অতিরিক্ত যত্ন নেন, তাহলে ত্বকে র্যাশ, লালচে ভাব বা ব্রণ দেখা দিতে পারে। তাই শরীরের যত্ন নেওয়াটা প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে ত্বক বা চুল ভালো থাকে। ঈদে সবাই চায়...
৮ ঘণ্টা আগে