ইশতিয়াক হাসান

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা। আগেই বলে রাখছি এই তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী ভারত কিংবা পাকিস্তানের রাস্তা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সড়ক নেই।
কেলং কিশতওয়ার রোড, ভারত
যদি প্রচণ্ড রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে খাঁড়া পর্বত কেটে যাওয়া ২৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথটি আপনার জন্য আদর্শ। হিমাচল প্রদেশের কেলং থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার পর্যন্ত চলে যাওয়া এই সড়কের এক পাশে পাহাড়ের খাঁড়া দেয়াল, আরেক পাশে গভীর খাদ। নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল।
পাহাড় ধ্বাসের ঝুঁকি এবং আবহাওয়ার নিত্য বদলে যাওয়া পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে একে। বিশেষ করে ‘ক্লিফ হেঙ্গার’ নামে পরিচিত রাস্তার একটি অংশ ভীষণ সরু এবং এর কাছাকাছি গেলে আপনিসহ অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সিচুয়ান-তিব্বত হাইওয়ে, চীন
বিশ্বের উচ্চতম সড়কগুলির একটি এটি। তুষারপাত এবং ভূমিধস এড়ানোর পাশাপাশি অনেক উচ্চতায় চলা মিলিয়ে এই রাস্তাটি যে কোনো চালককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে। তবে এত কিছুর পরও এটি অত্যন্ত ব্যস্ত এক সড়ক। ক্রমাগত ট্রাফিক জ্যাম এবং পথের নানা বাধা-বিঘ্নের কারণে পুরো হাইওয়ে ভ্রমণ করতে কখনো কখনো ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনি যদি এই রাস্তায় ভ্রমণ করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হন, তবে পুরস্কার হিসেবে মিলবে তুষার-ঢাকা পর্বত এবং গভীর গিরিসঙ্কটের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ ।
ইবাসকা মাগ্রিসত্রালা, সার্বিয়া
স্টেট রোড ২২ বা ‘ইবার হাইওয়ে’ স্থানীয়ভাবে কালো মহাসড়ক নামেও পরিচিত। সার্বিয়ার অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়কটি ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক সড়কগুলোর একটি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি রাজধানী শহর বেলগ্রেডকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ মন্টেনেগ্রোর সঙ্গেও যুক্ত করেছে।
লম্বা সোজা রাস্তায় হঠাৎ বিপজ্জনক কোণ বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তবে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য মদ পান করে গাড়ি চালানো বা গাড়ির উচ্চগতিকে দায়ী করা হয়।
ট্রান্সফগেরাসান, রোমানিয়া
এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর মহাসড়কগুলোর একটি। একই সঙ্গে প্রচণ্ড বিপজ্জনক এক রাস্তাও এটি। ঘোরানো পাহাড়ি সড়কটি কোথাও কোথাও দুই হাজার মিটারের বেশি উচ্চতা দিয়ে গিয়েছে। ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটিতে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াবে আপনার।
চুলের কাটার মতো বাঁক, বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ এবং হঠাৎ উচ্চতার পরিবর্তন এই রাস্তা ধরে গাড়ি চালানো পর্যটকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। এই মহাসড়কে আপনি অন্য যে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন, তা হলো ভেড়ার বিশাল পাল। মেষপালকেরা তাদের ভেড়াগুলিকে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে। তাই আপনার যদি তাড়াহুড়ো থাকে তবে এই রাস্তাটি এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
স্কিপারস ক্যানিয়ন রোড, নিউজিল্যান্ড
স্কিপারস ক্যানিয়ন নিউজিল্যান্ডের একটি গিরিখাত। শটওভার নদী এ পথে গিয়েছে। ১৮৬২ সালে এই এলাকায় সোনা আবিষ্কৃত হলে গিরিখাতের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। খনি শ্রমিকেরা পাথুরে পাহাড়ের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে এটি তৈরি করে। গিরিখাতের নরম পাথরের কারণে, বৃষ্টি হলে পথটি বিপজ্জনকরকম পিচ্ছিল হয়ে উঠে।
হঠাৎ খাড়াভাবে নামা কিংবা ওঠে যাওয়া, অগণিত চুলের কাটাসদৃশ বাঁক ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শুধুমাত্র একমুখী যাতায়াতের মতো প্রশস্ত এটি। এর কুখ্যাতি ও বিপজ্জনক প্রকৃতির কারণে, এই রাস্তাটিতে ভাড়ায় চলাচল করা গাড়ির বিমা কার্যকর হয় না।
রাস্তাটি সম্পূর্ণ হতে হতে খনির সোনার মজুত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু ঐতিহাসিক মূল্য এবং অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের কারণে এটি আজও একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
জেমস ডালটন হাইওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র
টিভি শো ‘আইস রোড ট্রাকারস’ এই সড়কটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে। জেমস ডাল্টন হাইওয়ে নামের এই দীর্ঘ রাস্তাটি ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে অবস্থিত উত্তরের জনপদ ডেডহর্সের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
আলাস্কার এক প্রকৌশলীর নামে নামকরণ করা ৬৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার করে মূলত তেলক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জ্বালানি বহনকারী ট্রাকগুলি। রাস্তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পাকা, বাকি অংশে আলগা নুড়ি ও পাথর ফেলা।
প্রতিকূল আবহাওয়া যেমন তুষার এবং বরফ—এই রাস্তায় ভ্রমণকারীদের জন্য বড় হুমকি। একেবারে নির্জন এলাকা দিয়ে যাওয়ায় এবং মেরু ভালুকের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে রাস্তাটিকে।
জজিলা পাস, ভারত
লাদাখকে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। হিমালয়ের পর্বতমালার বেশ উচ্চতায় অবস্থানের কারণে তুষারপাত এবং বরফ জমে কঠিন হয়ে যাওয়া এখানে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। এতে প্রায়ই এটি কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
কেবল একটি গাড়ির যাতায়াতের মতো চওড়া পথটি। কোনো নিরাপত্তা দেয়াল নেই এতে। রাস্তার এমন অনেক অংশ পাবেন যেখানে আপনার একপাশে পাহাড়, অন্য পাশে রাস্তার পরেই অতল খাদ। সংক্ষেপে এটি দুর্বলচিত্তদের কোনোভাবেই ভ্রমণ করা উচিত নয় এমন এক রাস্তা।
শীতকালীন আবহাওয়ায় নিরাপত্তা দিতে একটি বড় অংশ বরাবর একটি নতুন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। যা সারা বছর রাস্তাটি খোলা রাখতে সাহায্য করবে। তবে এটি রাস্তাটিকে আরও নিরাপদ করে কিনা তা দেখার বিষয়।
ফেয়ারি মিডোজ রোড, পাকিস্তান
মূর্তিমান এক দুঃস্বপ্নের মতো রাস্তাটি পাকিস্তানের উঁচু সব পর্বতের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। কিছু পয়েন্টে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছে এটি। রাস্তাটা এতটাই সরু যে একবারে একটি গাড়ির জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত। আর কোনো নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে একেবারে নিচের উপত্যকায় গিয়ে তবেই থামবে গাড়ির পতন। আর এমন দুর্ঘটনা এখানে ঘটেও।
১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি কারাকোরাম হাইওয়েকে ফেয়ারি মিডোজ জাতীয় উদ্যানের ছোট্ট গ্রামের তাতোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। অতিমাত্রায় বিপজ্জনক হওয়ায়, রাস্তাটিতে শুধুমাত্র স্থানীয়দের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
উত্তর ইয়াংগাস সড়ক, বলিভিয়া
অনেকের কাছেই বলিভিয়ার উত্তর ইয়াংগাস সড়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা। এখানে ঘটা বিভিন্ন দুর্ঘটনা, রাস্তার নানা বাঁক আর ঢালের কারণে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডেথ রোড’ বা মৃত্যুসড়ক নামে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটির নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে বলে জানা গেছে।
সড়কটি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের সঙ্গে যুক্ত করেছে আমাজনের জঙ্গলের মধ্যকার এলাকা ইয়াংগাসকে। আর এটি করতে গিয়ে বিশাল, দুরারোহ করডিলেরা ওরিয়েন্টাল পর্বতমালা অতিক্রম করতে হয়েছে রাস্তাটিকে। হঠাৎ খাঁড়া নেমে যাওয়া, ওঠা কিংবা কড়া মোচড়—সব মিলিয়ে ভয়ানক এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে এটি।
পথের শুরু লা পাজ থেকে, ৩ হাজার ৬৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শহরটি পৃথিবীর উচ্চতম রাজধানী। এখান থেকে শুরুতে ওপর দিকে উঠে রাস্তাটি পৌঁছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় লা কুমবরে পাসে। তারপর একেবারে খাঁড়া নামতে শুরু করে করোইকো শহরে, এর উচ্চতা ১ হাজার ২০০ মিটার। আর এই সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি পতন একে পৃথিবীর বিপজ্জনক রাস্তাগুলোর একটিতে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। একটা সময় পর্যন্ত ফি বছর এ রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
১৯৩০-এর দশকে চাকো যুদ্ধের সময় প্যারাগুয়ের কয়েদিদের দিয়ে বানানো হয় সড়কটি। কোথাও কোথাও পর্বতের খাঁড়া ঢাল কেটে তৈরি করা হয়েছে পথটি। রাস্তার এক পাশে কঠিন পাথুরে তাক, আরেক পাশে ৬০০ মিটার খাঁড়া গিরিখাদ। রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ সাড়ে তিন মিটার বা প্রায় ১১ ফুট চওড়া। অনেক জায়গায় নেই রেলিং।
আমাজনের দিক থেকে আসা উষ্ণ, ভেজা বাতাস আন্দিজের পুবের ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়, সেই সঙ্গে জন্ম দেয় কুয়াশার। এতে আরও বিপজ্জনক রূপ নেয় রাস্তাটি। গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে মাঝেমধ্যেই পাহাড় থেকে কাদা বা পাথর ঝরতে শুরু করে, কোথাও কোথাও ওপরের কোনো জলপ্রপাতের পানিতেও সিক্ত হয় রাস্তাটি।
পৃথিবীর রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এ পথ পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিগত বছরগুলোতে সড়কটির আধুনিকায়ন করা হয়। এখন কারও কারও মতে, রাস্তাটি এখন আগের চেয়ে নিরাপদ। সত্যি কি তাই?
বাইবুর্ত ডি ৯১৫, তুরস্ক
প্যাঁচানো এই পথটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করার মূল কারণ চুলের কাটাসদৃশ বাঁক এবং একপাশের গভীর খাদ। এটি উত্তর উপকূলে কৃষ্ণ সাগরকে বাইবুর্ত শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রাচীন সিল্ক রোডের অংশ ছিল শহরটি প্রাচীনকালে।
রাস্তাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। রাস্তার আলগা পাথর, প্রায়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে এ পথে চলতে হলে চালকদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, ডিসকভারি ডট কম, উইকিপিডিয়া
আরও পড়ুন:

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা। আগেই বলে রাখছি এই তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী ভারত কিংবা পাকিস্তানের রাস্তা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সড়ক নেই।
কেলং কিশতওয়ার রোড, ভারত
যদি প্রচণ্ড রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে খাঁড়া পর্বত কেটে যাওয়া ২৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথটি আপনার জন্য আদর্শ। হিমাচল প্রদেশের কেলং থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার পর্যন্ত চলে যাওয়া এই সড়কের এক পাশে পাহাড়ের খাঁড়া দেয়াল, আরেক পাশে গভীর খাদ। নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল।
পাহাড় ধ্বাসের ঝুঁকি এবং আবহাওয়ার নিত্য বদলে যাওয়া পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে একে। বিশেষ করে ‘ক্লিফ হেঙ্গার’ নামে পরিচিত রাস্তার একটি অংশ ভীষণ সরু এবং এর কাছাকাছি গেলে আপনিসহ অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সিচুয়ান-তিব্বত হাইওয়ে, চীন
বিশ্বের উচ্চতম সড়কগুলির একটি এটি। তুষারপাত এবং ভূমিধস এড়ানোর পাশাপাশি অনেক উচ্চতায় চলা মিলিয়ে এই রাস্তাটি যে কোনো চালককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে। তবে এত কিছুর পরও এটি অত্যন্ত ব্যস্ত এক সড়ক। ক্রমাগত ট্রাফিক জ্যাম এবং পথের নানা বাধা-বিঘ্নের কারণে পুরো হাইওয়ে ভ্রমণ করতে কখনো কখনো ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনি যদি এই রাস্তায় ভ্রমণ করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হন, তবে পুরস্কার হিসেবে মিলবে তুষার-ঢাকা পর্বত এবং গভীর গিরিসঙ্কটের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ ।
ইবাসকা মাগ্রিসত্রালা, সার্বিয়া
স্টেট রোড ২২ বা ‘ইবার হাইওয়ে’ স্থানীয়ভাবে কালো মহাসড়ক নামেও পরিচিত। সার্বিয়ার অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়কটি ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক সড়কগুলোর একটি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি রাজধানী শহর বেলগ্রেডকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ মন্টেনেগ্রোর সঙ্গেও যুক্ত করেছে।
লম্বা সোজা রাস্তায় হঠাৎ বিপজ্জনক কোণ বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তবে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য মদ পান করে গাড়ি চালানো বা গাড়ির উচ্চগতিকে দায়ী করা হয়।
ট্রান্সফগেরাসান, রোমানিয়া
এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর মহাসড়কগুলোর একটি। একই সঙ্গে প্রচণ্ড বিপজ্জনক এক রাস্তাও এটি। ঘোরানো পাহাড়ি সড়কটি কোথাও কোথাও দুই হাজার মিটারের বেশি উচ্চতা দিয়ে গিয়েছে। ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটিতে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াবে আপনার।
চুলের কাটার মতো বাঁক, বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ এবং হঠাৎ উচ্চতার পরিবর্তন এই রাস্তা ধরে গাড়ি চালানো পর্যটকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। এই মহাসড়কে আপনি অন্য যে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন, তা হলো ভেড়ার বিশাল পাল। মেষপালকেরা তাদের ভেড়াগুলিকে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে। তাই আপনার যদি তাড়াহুড়ো থাকে তবে এই রাস্তাটি এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
স্কিপারস ক্যানিয়ন রোড, নিউজিল্যান্ড
স্কিপারস ক্যানিয়ন নিউজিল্যান্ডের একটি গিরিখাত। শটওভার নদী এ পথে গিয়েছে। ১৮৬২ সালে এই এলাকায় সোনা আবিষ্কৃত হলে গিরিখাতের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। খনি শ্রমিকেরা পাথুরে পাহাড়ের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে এটি তৈরি করে। গিরিখাতের নরম পাথরের কারণে, বৃষ্টি হলে পথটি বিপজ্জনকরকম পিচ্ছিল হয়ে উঠে।
হঠাৎ খাড়াভাবে নামা কিংবা ওঠে যাওয়া, অগণিত চুলের কাটাসদৃশ বাঁক ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শুধুমাত্র একমুখী যাতায়াতের মতো প্রশস্ত এটি। এর কুখ্যাতি ও বিপজ্জনক প্রকৃতির কারণে, এই রাস্তাটিতে ভাড়ায় চলাচল করা গাড়ির বিমা কার্যকর হয় না।
রাস্তাটি সম্পূর্ণ হতে হতে খনির সোনার মজুত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু ঐতিহাসিক মূল্য এবং অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের কারণে এটি আজও একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
জেমস ডালটন হাইওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র
টিভি শো ‘আইস রোড ট্রাকারস’ এই সড়কটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে। জেমস ডাল্টন হাইওয়ে নামের এই দীর্ঘ রাস্তাটি ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে অবস্থিত উত্তরের জনপদ ডেডহর্সের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
আলাস্কার এক প্রকৌশলীর নামে নামকরণ করা ৬৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার করে মূলত তেলক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জ্বালানি বহনকারী ট্রাকগুলি। রাস্তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পাকা, বাকি অংশে আলগা নুড়ি ও পাথর ফেলা।
প্রতিকূল আবহাওয়া যেমন তুষার এবং বরফ—এই রাস্তায় ভ্রমণকারীদের জন্য বড় হুমকি। একেবারে নির্জন এলাকা দিয়ে যাওয়ায় এবং মেরু ভালুকের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে রাস্তাটিকে।
জজিলা পাস, ভারত
লাদাখকে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। হিমালয়ের পর্বতমালার বেশ উচ্চতায় অবস্থানের কারণে তুষারপাত এবং বরফ জমে কঠিন হয়ে যাওয়া এখানে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। এতে প্রায়ই এটি কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
কেবল একটি গাড়ির যাতায়াতের মতো চওড়া পথটি। কোনো নিরাপত্তা দেয়াল নেই এতে। রাস্তার এমন অনেক অংশ পাবেন যেখানে আপনার একপাশে পাহাড়, অন্য পাশে রাস্তার পরেই অতল খাদ। সংক্ষেপে এটি দুর্বলচিত্তদের কোনোভাবেই ভ্রমণ করা উচিত নয় এমন এক রাস্তা।
শীতকালীন আবহাওয়ায় নিরাপত্তা দিতে একটি বড় অংশ বরাবর একটি নতুন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। যা সারা বছর রাস্তাটি খোলা রাখতে সাহায্য করবে। তবে এটি রাস্তাটিকে আরও নিরাপদ করে কিনা তা দেখার বিষয়।
ফেয়ারি মিডোজ রোড, পাকিস্তান
মূর্তিমান এক দুঃস্বপ্নের মতো রাস্তাটি পাকিস্তানের উঁচু সব পর্বতের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। কিছু পয়েন্টে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছে এটি। রাস্তাটা এতটাই সরু যে একবারে একটি গাড়ির জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত। আর কোনো নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে একেবারে নিচের উপত্যকায় গিয়ে তবেই থামবে গাড়ির পতন। আর এমন দুর্ঘটনা এখানে ঘটেও।
১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি কারাকোরাম হাইওয়েকে ফেয়ারি মিডোজ জাতীয় উদ্যানের ছোট্ট গ্রামের তাতোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। অতিমাত্রায় বিপজ্জনক হওয়ায়, রাস্তাটিতে শুধুমাত্র স্থানীয়দের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
উত্তর ইয়াংগাস সড়ক, বলিভিয়া
অনেকের কাছেই বলিভিয়ার উত্তর ইয়াংগাস সড়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা। এখানে ঘটা বিভিন্ন দুর্ঘটনা, রাস্তার নানা বাঁক আর ঢালের কারণে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডেথ রোড’ বা মৃত্যুসড়ক নামে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটির নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে বলে জানা গেছে।
সড়কটি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের সঙ্গে যুক্ত করেছে আমাজনের জঙ্গলের মধ্যকার এলাকা ইয়াংগাসকে। আর এটি করতে গিয়ে বিশাল, দুরারোহ করডিলেরা ওরিয়েন্টাল পর্বতমালা অতিক্রম করতে হয়েছে রাস্তাটিকে। হঠাৎ খাঁড়া নেমে যাওয়া, ওঠা কিংবা কড়া মোচড়—সব মিলিয়ে ভয়ানক এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে এটি।
পথের শুরু লা পাজ থেকে, ৩ হাজার ৬৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শহরটি পৃথিবীর উচ্চতম রাজধানী। এখান থেকে শুরুতে ওপর দিকে উঠে রাস্তাটি পৌঁছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় লা কুমবরে পাসে। তারপর একেবারে খাঁড়া নামতে শুরু করে করোইকো শহরে, এর উচ্চতা ১ হাজার ২০০ মিটার। আর এই সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি পতন একে পৃথিবীর বিপজ্জনক রাস্তাগুলোর একটিতে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। একটা সময় পর্যন্ত ফি বছর এ রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
১৯৩০-এর দশকে চাকো যুদ্ধের সময় প্যারাগুয়ের কয়েদিদের দিয়ে বানানো হয় সড়কটি। কোথাও কোথাও পর্বতের খাঁড়া ঢাল কেটে তৈরি করা হয়েছে পথটি। রাস্তার এক পাশে কঠিন পাথুরে তাক, আরেক পাশে ৬০০ মিটার খাঁড়া গিরিখাদ। রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ সাড়ে তিন মিটার বা প্রায় ১১ ফুট চওড়া। অনেক জায়গায় নেই রেলিং।
আমাজনের দিক থেকে আসা উষ্ণ, ভেজা বাতাস আন্দিজের পুবের ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়, সেই সঙ্গে জন্ম দেয় কুয়াশার। এতে আরও বিপজ্জনক রূপ নেয় রাস্তাটি। গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে মাঝেমধ্যেই পাহাড় থেকে কাদা বা পাথর ঝরতে শুরু করে, কোথাও কোথাও ওপরের কোনো জলপ্রপাতের পানিতেও সিক্ত হয় রাস্তাটি।
পৃথিবীর রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এ পথ পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিগত বছরগুলোতে সড়কটির আধুনিকায়ন করা হয়। এখন কারও কারও মতে, রাস্তাটি এখন আগের চেয়ে নিরাপদ। সত্যি কি তাই?
বাইবুর্ত ডি ৯১৫, তুরস্ক
প্যাঁচানো এই পথটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করার মূল কারণ চুলের কাটাসদৃশ বাঁক এবং একপাশের গভীর খাদ। এটি উত্তর উপকূলে কৃষ্ণ সাগরকে বাইবুর্ত শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রাচীন সিল্ক রোডের অংশ ছিল শহরটি প্রাচীনকালে।
রাস্তাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। রাস্তার আলগা পাথর, প্রায়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে এ পথে চলতে হলে চালকদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, ডিসকভারি ডট কম, উইকিপিডিয়া
আরও পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা। আগেই বলে রাখছি এই তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী ভারত কিংবা পাকিস্তানের রাস্তা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সড়ক নেই।
কেলং কিশতওয়ার রোড, ভারত
যদি প্রচণ্ড রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে খাঁড়া পর্বত কেটে যাওয়া ২৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথটি আপনার জন্য আদর্শ। হিমাচল প্রদেশের কেলং থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার পর্যন্ত চলে যাওয়া এই সড়কের এক পাশে পাহাড়ের খাঁড়া দেয়াল, আরেক পাশে গভীর খাদ। নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল।
পাহাড় ধ্বাসের ঝুঁকি এবং আবহাওয়ার নিত্য বদলে যাওয়া পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে একে। বিশেষ করে ‘ক্লিফ হেঙ্গার’ নামে পরিচিত রাস্তার একটি অংশ ভীষণ সরু এবং এর কাছাকাছি গেলে আপনিসহ অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সিচুয়ান-তিব্বত হাইওয়ে, চীন
বিশ্বের উচ্চতম সড়কগুলির একটি এটি। তুষারপাত এবং ভূমিধস এড়ানোর পাশাপাশি অনেক উচ্চতায় চলা মিলিয়ে এই রাস্তাটি যে কোনো চালককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে। তবে এত কিছুর পরও এটি অত্যন্ত ব্যস্ত এক সড়ক। ক্রমাগত ট্রাফিক জ্যাম এবং পথের নানা বাধা-বিঘ্নের কারণে পুরো হাইওয়ে ভ্রমণ করতে কখনো কখনো ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনি যদি এই রাস্তায় ভ্রমণ করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হন, তবে পুরস্কার হিসেবে মিলবে তুষার-ঢাকা পর্বত এবং গভীর গিরিসঙ্কটের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ ।
ইবাসকা মাগ্রিসত্রালা, সার্বিয়া
স্টেট রোড ২২ বা ‘ইবার হাইওয়ে’ স্থানীয়ভাবে কালো মহাসড়ক নামেও পরিচিত। সার্বিয়ার অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়কটি ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক সড়কগুলোর একটি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি রাজধানী শহর বেলগ্রেডকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ মন্টেনেগ্রোর সঙ্গেও যুক্ত করেছে।
লম্বা সোজা রাস্তায় হঠাৎ বিপজ্জনক কোণ বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তবে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য মদ পান করে গাড়ি চালানো বা গাড়ির উচ্চগতিকে দায়ী করা হয়।
ট্রান্সফগেরাসান, রোমানিয়া
এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর মহাসড়কগুলোর একটি। একই সঙ্গে প্রচণ্ড বিপজ্জনক এক রাস্তাও এটি। ঘোরানো পাহাড়ি সড়কটি কোথাও কোথাও দুই হাজার মিটারের বেশি উচ্চতা দিয়ে গিয়েছে। ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটিতে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াবে আপনার।
চুলের কাটার মতো বাঁক, বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ এবং হঠাৎ উচ্চতার পরিবর্তন এই রাস্তা ধরে গাড়ি চালানো পর্যটকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। এই মহাসড়কে আপনি অন্য যে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন, তা হলো ভেড়ার বিশাল পাল। মেষপালকেরা তাদের ভেড়াগুলিকে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে। তাই আপনার যদি তাড়াহুড়ো থাকে তবে এই রাস্তাটি এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
স্কিপারস ক্যানিয়ন রোড, নিউজিল্যান্ড
স্কিপারস ক্যানিয়ন নিউজিল্যান্ডের একটি গিরিখাত। শটওভার নদী এ পথে গিয়েছে। ১৮৬২ সালে এই এলাকায় সোনা আবিষ্কৃত হলে গিরিখাতের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। খনি শ্রমিকেরা পাথুরে পাহাড়ের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে এটি তৈরি করে। গিরিখাতের নরম পাথরের কারণে, বৃষ্টি হলে পথটি বিপজ্জনকরকম পিচ্ছিল হয়ে উঠে।
হঠাৎ খাড়াভাবে নামা কিংবা ওঠে যাওয়া, অগণিত চুলের কাটাসদৃশ বাঁক ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শুধুমাত্র একমুখী যাতায়াতের মতো প্রশস্ত এটি। এর কুখ্যাতি ও বিপজ্জনক প্রকৃতির কারণে, এই রাস্তাটিতে ভাড়ায় চলাচল করা গাড়ির বিমা কার্যকর হয় না।
রাস্তাটি সম্পূর্ণ হতে হতে খনির সোনার মজুত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু ঐতিহাসিক মূল্য এবং অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের কারণে এটি আজও একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
জেমস ডালটন হাইওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র
টিভি শো ‘আইস রোড ট্রাকারস’ এই সড়কটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে। জেমস ডাল্টন হাইওয়ে নামের এই দীর্ঘ রাস্তাটি ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে অবস্থিত উত্তরের জনপদ ডেডহর্সের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
আলাস্কার এক প্রকৌশলীর নামে নামকরণ করা ৬৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার করে মূলত তেলক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জ্বালানি বহনকারী ট্রাকগুলি। রাস্তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পাকা, বাকি অংশে আলগা নুড়ি ও পাথর ফেলা।
প্রতিকূল আবহাওয়া যেমন তুষার এবং বরফ—এই রাস্তায় ভ্রমণকারীদের জন্য বড় হুমকি। একেবারে নির্জন এলাকা দিয়ে যাওয়ায় এবং মেরু ভালুকের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে রাস্তাটিকে।
জজিলা পাস, ভারত
লাদাখকে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। হিমালয়ের পর্বতমালার বেশ উচ্চতায় অবস্থানের কারণে তুষারপাত এবং বরফ জমে কঠিন হয়ে যাওয়া এখানে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। এতে প্রায়ই এটি কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
কেবল একটি গাড়ির যাতায়াতের মতো চওড়া পথটি। কোনো নিরাপত্তা দেয়াল নেই এতে। রাস্তার এমন অনেক অংশ পাবেন যেখানে আপনার একপাশে পাহাড়, অন্য পাশে রাস্তার পরেই অতল খাদ। সংক্ষেপে এটি দুর্বলচিত্তদের কোনোভাবেই ভ্রমণ করা উচিত নয় এমন এক রাস্তা।
শীতকালীন আবহাওয়ায় নিরাপত্তা দিতে একটি বড় অংশ বরাবর একটি নতুন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। যা সারা বছর রাস্তাটি খোলা রাখতে সাহায্য করবে। তবে এটি রাস্তাটিকে আরও নিরাপদ করে কিনা তা দেখার বিষয়।
ফেয়ারি মিডোজ রোড, পাকিস্তান
মূর্তিমান এক দুঃস্বপ্নের মতো রাস্তাটি পাকিস্তানের উঁচু সব পর্বতের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। কিছু পয়েন্টে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছে এটি। রাস্তাটা এতটাই সরু যে একবারে একটি গাড়ির জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত। আর কোনো নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে একেবারে নিচের উপত্যকায় গিয়ে তবেই থামবে গাড়ির পতন। আর এমন দুর্ঘটনা এখানে ঘটেও।
১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি কারাকোরাম হাইওয়েকে ফেয়ারি মিডোজ জাতীয় উদ্যানের ছোট্ট গ্রামের তাতোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। অতিমাত্রায় বিপজ্জনক হওয়ায়, রাস্তাটিতে শুধুমাত্র স্থানীয়দের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
উত্তর ইয়াংগাস সড়ক, বলিভিয়া
অনেকের কাছেই বলিভিয়ার উত্তর ইয়াংগাস সড়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা। এখানে ঘটা বিভিন্ন দুর্ঘটনা, রাস্তার নানা বাঁক আর ঢালের কারণে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডেথ রোড’ বা মৃত্যুসড়ক নামে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটির নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে বলে জানা গেছে।
সড়কটি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের সঙ্গে যুক্ত করেছে আমাজনের জঙ্গলের মধ্যকার এলাকা ইয়াংগাসকে। আর এটি করতে গিয়ে বিশাল, দুরারোহ করডিলেরা ওরিয়েন্টাল পর্বতমালা অতিক্রম করতে হয়েছে রাস্তাটিকে। হঠাৎ খাঁড়া নেমে যাওয়া, ওঠা কিংবা কড়া মোচড়—সব মিলিয়ে ভয়ানক এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে এটি।
পথের শুরু লা পাজ থেকে, ৩ হাজার ৬৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শহরটি পৃথিবীর উচ্চতম রাজধানী। এখান থেকে শুরুতে ওপর দিকে উঠে রাস্তাটি পৌঁছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় লা কুমবরে পাসে। তারপর একেবারে খাঁড়া নামতে শুরু করে করোইকো শহরে, এর উচ্চতা ১ হাজার ২০০ মিটার। আর এই সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি পতন একে পৃথিবীর বিপজ্জনক রাস্তাগুলোর একটিতে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। একটা সময় পর্যন্ত ফি বছর এ রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
১৯৩০-এর দশকে চাকো যুদ্ধের সময় প্যারাগুয়ের কয়েদিদের দিয়ে বানানো হয় সড়কটি। কোথাও কোথাও পর্বতের খাঁড়া ঢাল কেটে তৈরি করা হয়েছে পথটি। রাস্তার এক পাশে কঠিন পাথুরে তাক, আরেক পাশে ৬০০ মিটার খাঁড়া গিরিখাদ। রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ সাড়ে তিন মিটার বা প্রায় ১১ ফুট চওড়া। অনেক জায়গায় নেই রেলিং।
আমাজনের দিক থেকে আসা উষ্ণ, ভেজা বাতাস আন্দিজের পুবের ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়, সেই সঙ্গে জন্ম দেয় কুয়াশার। এতে আরও বিপজ্জনক রূপ নেয় রাস্তাটি। গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে মাঝেমধ্যেই পাহাড় থেকে কাদা বা পাথর ঝরতে শুরু করে, কোথাও কোথাও ওপরের কোনো জলপ্রপাতের পানিতেও সিক্ত হয় রাস্তাটি।
পৃথিবীর রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এ পথ পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিগত বছরগুলোতে সড়কটির আধুনিকায়ন করা হয়। এখন কারও কারও মতে, রাস্তাটি এখন আগের চেয়ে নিরাপদ। সত্যি কি তাই?
বাইবুর্ত ডি ৯১৫, তুরস্ক
প্যাঁচানো এই পথটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করার মূল কারণ চুলের কাটাসদৃশ বাঁক এবং একপাশের গভীর খাদ। এটি উত্তর উপকূলে কৃষ্ণ সাগরকে বাইবুর্ত শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রাচীন সিল্ক রোডের অংশ ছিল শহরটি প্রাচীনকালে।
রাস্তাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। রাস্তার আলগা পাথর, প্রায়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে এ পথে চলতে হলে চালকদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, ডিসকভারি ডট কম, উইকিপিডিয়া
আরও পড়ুন:

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা। আগেই বলে রাখছি এই তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী ভারত কিংবা পাকিস্তানের রাস্তা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সড়ক নেই।
কেলং কিশতওয়ার রোড, ভারত
যদি প্রচণ্ড রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে খাঁড়া পর্বত কেটে যাওয়া ২৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথটি আপনার জন্য আদর্শ। হিমাচল প্রদেশের কেলং থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ার পর্যন্ত চলে যাওয়া এই সড়কের এক পাশে পাহাড়ের খাঁড়া দেয়াল, আরেক পাশে গভীর খাদ। নেই কোনো নিরাপত্তা দেয়াল।
পাহাড় ধ্বাসের ঝুঁকি এবং আবহাওয়ার নিত্য বদলে যাওয়া পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে একে। বিশেষ করে ‘ক্লিফ হেঙ্গার’ নামে পরিচিত রাস্তার একটি অংশ ভীষণ সরু এবং এর কাছাকাছি গেলে আপনিসহ অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
সিচুয়ান-তিব্বত হাইওয়ে, চীন
বিশ্বের উচ্চতম সড়কগুলির একটি এটি। তুষারপাত এবং ভূমিধস এড়ানোর পাশাপাশি অনেক উচ্চতায় চলা মিলিয়ে এই রাস্তাটি যে কোনো চালককে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে। তবে এত কিছুর পরও এটি অত্যন্ত ব্যস্ত এক সড়ক। ক্রমাগত ট্রাফিক জ্যাম এবং পথের নানা বাধা-বিঘ্নের কারণে পুরো হাইওয়ে ভ্রমণ করতে কখনো কখনো ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনি যদি এই রাস্তায় ভ্রমণ করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হন, তবে পুরস্কার হিসেবে মিলবে তুষার-ঢাকা পর্বত এবং গভীর গিরিসঙ্কটের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ ।
ইবাসকা মাগ্রিসত্রালা, সার্বিয়া
স্টেট রোড ২২ বা ‘ইবার হাইওয়ে’ স্থানীয়ভাবে কালো মহাসড়ক নামেও পরিচিত। সার্বিয়ার অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়কটি ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক সড়কগুলোর একটি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি রাজধানী শহর বেলগ্রেডকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ মন্টেনেগ্রোর সঙ্গেও যুক্ত করেছে।
লম্বা সোজা রাস্তায় হঠাৎ বিপজ্জনক কোণ বিশেষ করে রাতে দুর্ঘটনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। তবে বেশির ভাগ দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য মদ পান করে গাড়ি চালানো বা গাড়ির উচ্চগতিকে দায়ী করা হয়।
ট্রান্সফগেরাসান, রোমানিয়া
এটি ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর মহাসড়কগুলোর একটি। একই সঙ্গে প্রচণ্ড বিপজ্জনক এক রাস্তাও এটি। ঘোরানো পাহাড়ি সড়কটি কোথাও কোথাও দুই হাজার মিটারের বেশি উচ্চতা দিয়ে গিয়েছে। ১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটিতে ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াবে আপনার।
চুলের কাটার মতো বাঁক, বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ এবং হঠাৎ উচ্চতার পরিবর্তন এই রাস্তা ধরে গাড়ি চালানো পর্যটকদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। এই মহাসড়কে আপনি অন্য যে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন, তা হলো ভেড়ার বিশাল পাল। মেষপালকেরা তাদের ভেড়াগুলিকে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পথটি ব্যবহার করে। তাই আপনার যদি তাড়াহুড়ো থাকে তবে এই রাস্তাটি এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
স্কিপারস ক্যানিয়ন রোড, নিউজিল্যান্ড
স্কিপারস ক্যানিয়ন নিউজিল্যান্ডের একটি গিরিখাত। শটওভার নদী এ পথে গিয়েছে। ১৮৬২ সালে এই এলাকায় সোনা আবিষ্কৃত হলে গিরিখাতের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। খনি শ্রমিকেরা পাথুরে পাহাড়ের মধ্যে শুধুমাত্র সাধারণ সরঞ্জাম এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে এটি তৈরি করে। গিরিখাতের নরম পাথরের কারণে, বৃষ্টি হলে পথটি বিপজ্জনকরকম পিচ্ছিল হয়ে উঠে।
হঠাৎ খাড়াভাবে নামা কিংবা ওঠে যাওয়া, অগণিত চুলের কাটাসদৃশ বাঁক ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শুধুমাত্র একমুখী যাতায়াতের মতো প্রশস্ত এটি। এর কুখ্যাতি ও বিপজ্জনক প্রকৃতির কারণে, এই রাস্তাটিতে ভাড়ায় চলাচল করা গাড়ির বিমা কার্যকর হয় না।
রাস্তাটি সম্পূর্ণ হতে হতে খনির সোনার মজুত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। কিন্তু ঐতিহাসিক মূল্য এবং অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের কারণে এটি আজও একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
জেমস ডালটন হাইওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র
টিভি শো ‘আইস রোড ট্রাকারস’ এই সড়কটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভূমিকা রাখে। জেমস ডাল্টন হাইওয়ে নামের এই দীর্ঘ রাস্তাটি ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে আর্কটিক সার্কেলের ওপরে অবস্থিত উত্তরের জনপদ ডেডহর্সের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
আলাস্কার এক প্রকৌশলীর নামে নামকরণ করা ৬৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার করে মূলত তেলক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ও জ্বালানি বহনকারী ট্রাকগুলি। রাস্তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পাকা, বাকি অংশে আলগা নুড়ি ও পাথর ফেলা।
প্রতিকূল আবহাওয়া যেমন তুষার এবং বরফ—এই রাস্তায় ভ্রমণকারীদের জন্য বড় হুমকি। একেবারে নির্জন এলাকা দিয়ে যাওয়ায় এবং মেরু ভালুকের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে রাস্তাটিকে।
জজিলা পাস, ভারত
লাদাখকে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। হিমালয়ের পর্বতমালার বেশ উচ্চতায় অবস্থানের কারণে তুষারপাত এবং বরফ জমে কঠিন হয়ে যাওয়া এখানে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। এতে প্রায়ই এটি কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
কেবল একটি গাড়ির যাতায়াতের মতো চওড়া পথটি। কোনো নিরাপত্তা দেয়াল নেই এতে। রাস্তার এমন অনেক অংশ পাবেন যেখানে আপনার একপাশে পাহাড়, অন্য পাশে রাস্তার পরেই অতল খাদ। সংক্ষেপে এটি দুর্বলচিত্তদের কোনোভাবেই ভ্রমণ করা উচিত নয় এমন এক রাস্তা।
শীতকালীন আবহাওয়ায় নিরাপত্তা দিতে একটি বড় অংশ বরাবর একটি নতুন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। যা সারা বছর রাস্তাটি খোলা রাখতে সাহায্য করবে। তবে এটি রাস্তাটিকে আরও নিরাপদ করে কিনা তা দেখার বিষয়।
ফেয়ারি মিডোজ রোড, পাকিস্তান
মূর্তিমান এক দুঃস্বপ্নের মতো রাস্তাটি পাকিস্তানের উঁচু সব পর্বতের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। কিছু পয়েন্টে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছে এটি। রাস্তাটা এতটাই সরু যে একবারে একটি গাড়ির জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত। আর কোনো নিরাপত্তা দেয়াল না থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে একেবারে নিচের উপত্যকায় গিয়ে তবেই থামবে গাড়ির পতন। আর এমন দুর্ঘটনা এখানে ঘটেও।
১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি কারাকোরাম হাইওয়েকে ফেয়ারি মিডোজ জাতীয় উদ্যানের ছোট্ট গ্রামের তাতোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। অতিমাত্রায় বিপজ্জনক হওয়ায়, রাস্তাটিতে শুধুমাত্র স্থানীয়দের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
উত্তর ইয়াংগাস সড়ক, বলিভিয়া
অনেকের কাছেই বলিভিয়ার উত্তর ইয়াংগাস সড়ক পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা। এখানে ঘটা বিভিন্ন দুর্ঘটনা, রাস্তার নানা বাঁক আর ঢালের কারণে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডেথ রোড’ বা মৃত্যুসড়ক নামে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটির নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ নেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে বলে জানা গেছে।
সড়কটি বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের সঙ্গে যুক্ত করেছে আমাজনের জঙ্গলের মধ্যকার এলাকা ইয়াংগাসকে। আর এটি করতে গিয়ে বিশাল, দুরারোহ করডিলেরা ওরিয়েন্টাল পর্বতমালা অতিক্রম করতে হয়েছে রাস্তাটিকে। হঠাৎ খাঁড়া নেমে যাওয়া, ওঠা কিংবা কড়া মোচড়—সব মিলিয়ে ভয়ানক এক রাস্তায় পরিণত হয়েছে এটি।
পথের শুরু লা পাজ থেকে, ৩ হাজার ৬৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শহরটি পৃথিবীর উচ্চতম রাজধানী। এখান থেকে শুরুতে ওপর দিকে উঠে রাস্তাটি পৌঁছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় লা কুমবরে পাসে। তারপর একেবারে খাঁড়া নামতে শুরু করে করোইকো শহরে, এর উচ্চতা ১ হাজার ২০০ মিটার। আর এই সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি পতন একে পৃথিবীর বিপজ্জনক রাস্তাগুলোর একটিতে পরিণত করতে সহায়তা করেছে। একটা সময় পর্যন্ত ফি বছর এ রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
১৯৩০-এর দশকে চাকো যুদ্ধের সময় প্যারাগুয়ের কয়েদিদের দিয়ে বানানো হয় সড়কটি। কোথাও কোথাও পর্বতের খাঁড়া ঢাল কেটে তৈরি করা হয়েছে পথটি। রাস্তার এক পাশে কঠিন পাথুরে তাক, আরেক পাশে ৬০০ মিটার খাঁড়া গিরিখাদ। রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ সাড়ে তিন মিটার বা প্রায় ১১ ফুট চওড়া। অনেক জায়গায় নেই রেলিং।
আমাজনের দিক থেকে আসা উষ্ণ, ভেজা বাতাস আন্দিজের পুবের ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়, সেই সঙ্গে জন্ম দেয় কুয়াশার। এতে আরও বিপজ্জনক রূপ নেয় রাস্তাটি। গোদের ওপর বিষফোড়া হিসেবে মাঝেমধ্যেই পাহাড় থেকে কাদা বা পাথর ঝরতে শুরু করে, কোথাও কোথাও ওপরের কোনো জলপ্রপাতের পানিতেও সিক্ত হয় রাস্তাটি।
পৃথিবীর রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এ পথ পাড়ি দেওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিগত বছরগুলোতে সড়কটির আধুনিকায়ন করা হয়। এখন কারও কারও মতে, রাস্তাটি এখন আগের চেয়ে নিরাপদ। সত্যি কি তাই?
বাইবুর্ত ডি ৯১৫, তুরস্ক
প্যাঁচানো এই পথটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করার মূল কারণ চুলের কাটাসদৃশ বাঁক এবং একপাশের গভীর খাদ। এটি উত্তর উপকূলে কৃষ্ণ সাগরকে বাইবুর্ত শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। প্রাচীন সিল্ক রোডের অংশ ছিল শহরটি প্রাচীনকালে।
রাস্তাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। রাস্তার আলগা পাথর, প্রায়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে এ পথে চলতে হলে চালকদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, ডিসকভারি ডট কম, উইকিপিডিয়া
আরও পড়ুন:

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৯ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৪
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৯ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৭ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

চান্দের গাড়িতে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে কিংবা বগা লেকের ঠিক আগের চড়াইটা পেরোনোর সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে এমন বিপজ্জনক রাস্তা মনে হয় পৃথিবীতে আর নেই! কিন্তু বাস্তবে এগুলোর চেয়ে ঢের কঠিন রাস্তা পাবেন। কাজেই পাঠক সিটবেল্টটি ভালোভাবে বেঁধে নিন, বিশ্বের বিপজ্জনক ১০টি রাস্তার ভ্রমণে চলেছি আমরা।
১৫ অক্টোবর ২০২৪
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৭ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৯ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগে