ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বেশ কয়েক দশক ধরে থিম পার্কের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাজত্ব করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো। সেখানে রয়েছে ডিজনি, ইউনিভার্সাল, সি ওয়ার্ল্ডসহ আরও অনেক আকর্ষণীয় থিম পার্ক ও ভ্রমণ গন্তব্য। সেসব দেখতে প্রতিবছর অরল্যান্ডো ভ্রমণ করে লাখ লাখ পর্যটক।
এবার কি অরল্যান্ডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে আবুধাবি! উটের দৌড় আর প্রাকৃতিক তেলের জন্য পরিচিত জনপদটি কি এখন অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চে ভরা রাজ্য তৈরি করছে?
এ বছরের মে মাসে ডিজনি তাদের নতুন থিম পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশ কিংবা জাপানের মনোরম প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে ডিজনি বেছে নেয় আবুধাবিকে। ডিজনি এক্সপেরিয়েন্সের চেয়ারম্যান জশ ডি’অমারো বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কোনো দ্বিধা ছিল না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীটি এরই মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফেরারি ওয়ার্ল্ড, ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ড ও ইয়াস ওয়াটারওয়ার্ল্ডের মতো আকর্ষণীয় স্থানগুলোর জন্য। এখানে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম রোলার কোস্টার। সম্প্রতি যোগ হয়েছে সি ওয়ার্ল্ড ইয়াস আইল্যান্ড আবুধাবি। স্পষ্টভাবে, অরল্যান্ডোর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছে আমিরাত।’
২০৩০ সালের শুরুর দিকে আবুধাবির ইয়াস আইল্যান্ডে চালু হতে যাচ্ছে ডিজনির নতুন শাখা। এটি হবে সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা ডিজনির প্রথম রিসোর্ট। পার্কটি আবুধাবি শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
ইয়াস আইল্যান্ডের অন্যান্য পার্ক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিরল থাকবে নতুন এই থিম পার্কের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে। ডিজনি ইমাজিনিয়ার্স সৃজনশীল নকশা ও অপারেশনাল তদারক করবে।
২০২৪ সালে ইয়াস আইল্যান্ডের থিম পার্কগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল ২০ শতাংশ। এরই মধ্যে তারা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে পার্কগুলো। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ডে একটি হ্যারি পটার থিমযুক্ত ল্যান্ড, ফেরারি ওয়ার্ল্ডে আরও রোমাঞ্চকর রাইড, নতুন থিমযুক্ত হোটেল ও ইয়াস বে ওয়াটারফ্রন্টে দুটি সমুদ্রসৈকত তৈরি করা হবে।
শুধু একটি থিম পার্ক নয়
আবুধাবির অবস্থানগত সুবিধা অসাধারণ। ইউরোপ ও এশিয়া উভয় মহাদেশের মাঝামাঝি ও ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় সহজে লাখ লাখ পর্যটক পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আবুধাবির পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ আল গেজিরি সিএনএনকে বলেন, ‘এটা শুধু আরেকটি থিম পার্ক তৈরি করার বিষয় নয়। আমরা আবুধাবিকে বিশ্বের এমন এক গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলছি; যেখানে সংস্কৃতি, বিনোদন ও বিলাসিতা এক জায়গায় পাওয়া যাবে।’
এদিকে অরল্যান্ডো ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটনশিল্প এখন কিছু সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ কমেছে। এর পেছনে দীর্ঘ ভিসা প্রক্রিয়া, অপ্রত্যাশিত ইমিগ্রেশন চেক ও কঠোর নিরাপত্তা তল্লাশিকে দায়ী করা হচ্ছে।
আবুধাবি এ ক্ষেত্রে সহজ বিকল্প। অনেক দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই অথবা ই-ভিসার মাধ্যমে এখানে প্রবেশ করতে পারে। অরল্যান্ডোতে রোদ থাকলেও গ্রীষ্মে থাকে আর্দ্রতা ও ব্যাপক ভিড়। আবুধাবিতেও তাপমাত্রা বাড়ে। কিন্তু এখানকার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ইনডোর পার্কগুলো বাইরের আবহাওয়া যেমনই হোক, আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ড ও ফেরারি ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এমনকি সি ওয়ার্ল্ডের অ্যাকুয়ারিয়াম ও প্রাণী দেখানোর জয়গাগুলোও ইনডোর।
ডিজনির কৌশলী সিদ্ধান্ত
আবুধাবি নিজেদের অরল্যান্ডোর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে না। তারা আরও বড় কিছু করতে চায়। এখানকার থিম পার্কগুলোকে তারা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিলাসবহুল হোটেল, প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত ও মরুভূমির অ্যাডভেঞ্চারের মতো আরও অনেক আকর্ষণের একটি অংশ হিসেবে তৈরি করছে। ইয়াস আইল্যান্ড থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত লুভর আবুধাবি জাদুঘর।
২০৩০ সালের মধ্যে আবুধাবি তাদের বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ২৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৯ লাখের বেশি করতে চায়। ডিজনিল্যান্ডকে কেন্দ্র করে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অরল্যান্ডোর অনেক বছরের অভিজ্ঞতা ও বিশাল অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু আবুধাবি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ, সারা বছর ধরে আরামদায়ক পরিবেশ, আধুনিক আকর্ষণ এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আবুধাবিকে একটি অনন্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলছে। এটি সম্ভবত পরবর্তী প্রজন্মের থিম পার্কের রাজধানীর একটি নতুন মডেল হতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
বেশ কয়েক দশক ধরে থিম পার্কের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাজত্ব করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো। সেখানে রয়েছে ডিজনি, ইউনিভার্সাল, সি ওয়ার্ল্ডসহ আরও অনেক আকর্ষণীয় থিম পার্ক ও ভ্রমণ গন্তব্য। সেসব দেখতে প্রতিবছর অরল্যান্ডো ভ্রমণ করে লাখ লাখ পর্যটক।
এবার কি অরল্যান্ডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে আবুধাবি! উটের দৌড় আর প্রাকৃতিক তেলের জন্য পরিচিত জনপদটি কি এখন অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চে ভরা রাজ্য তৈরি করছে?
এ বছরের মে মাসে ডিজনি তাদের নতুন থিম পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশ কিংবা জাপানের মনোরম প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে ডিজনি বেছে নেয় আবুধাবিকে। ডিজনি এক্সপেরিয়েন্সের চেয়ারম্যান জশ ডি’অমারো বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কোনো দ্বিধা ছিল না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীটি এরই মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফেরারি ওয়ার্ল্ড, ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ড ও ইয়াস ওয়াটারওয়ার্ল্ডের মতো আকর্ষণীয় স্থানগুলোর জন্য। এখানে রয়েছে বিশ্বের দ্রুততম রোলার কোস্টার। সম্প্রতি যোগ হয়েছে সি ওয়ার্ল্ড ইয়াস আইল্যান্ড আবুধাবি। স্পষ্টভাবে, অরল্যান্ডোর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছে আমিরাত।’
২০৩০ সালের শুরুর দিকে আবুধাবির ইয়াস আইল্যান্ডে চালু হতে যাচ্ছে ডিজনির নতুন শাখা। এটি হবে সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা ডিজনির প্রথম রিসোর্ট। পার্কটি আবুধাবি শহর থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
ইয়াস আইল্যান্ডের অন্যান্য পার্ক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিরল থাকবে নতুন এই থিম পার্কের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে। ডিজনি ইমাজিনিয়ার্স সৃজনশীল নকশা ও অপারেশনাল তদারক করবে।
২০২৪ সালে ইয়াস আইল্যান্ডের থিম পার্কগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল ২০ শতাংশ। এরই মধ্যে তারা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে পার্কগুলো। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ডে একটি হ্যারি পটার থিমযুক্ত ল্যান্ড, ফেরারি ওয়ার্ল্ডে আরও রোমাঞ্চকর রাইড, নতুন থিমযুক্ত হোটেল ও ইয়াস বে ওয়াটারফ্রন্টে দুটি সমুদ্রসৈকত তৈরি করা হবে।
শুধু একটি থিম পার্ক নয়
আবুধাবির অবস্থানগত সুবিধা অসাধারণ। ইউরোপ ও এশিয়া উভয় মহাদেশের মাঝামাঝি ও ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় সহজে লাখ লাখ পর্যটক পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আবুধাবির পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ আল গেজিরি সিএনএনকে বলেন, ‘এটা শুধু আরেকটি থিম পার্ক তৈরি করার বিষয় নয়। আমরা আবুধাবিকে বিশ্বের এমন এক গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলছি; যেখানে সংস্কৃতি, বিনোদন ও বিলাসিতা এক জায়গায় পাওয়া যাবে।’
এদিকে অরল্যান্ডো ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটনশিল্প এখন কিছু সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ কমেছে। এর পেছনে দীর্ঘ ভিসা প্রক্রিয়া, অপ্রত্যাশিত ইমিগ্রেশন চেক ও কঠোর নিরাপত্তা তল্লাশিকে দায়ী করা হচ্ছে।
আবুধাবি এ ক্ষেত্রে সহজ বিকল্প। অনেক দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই অথবা ই-ভিসার মাধ্যমে এখানে প্রবেশ করতে পারে। অরল্যান্ডোতে রোদ থাকলেও গ্রীষ্মে থাকে আর্দ্রতা ও ব্যাপক ভিড়। আবুধাবিতেও তাপমাত্রা বাড়ে। কিন্তু এখানকার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ইনডোর পার্কগুলো বাইরের আবহাওয়া যেমনই হোক, আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ড ও ফেরারি ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এমনকি সি ওয়ার্ল্ডের অ্যাকুয়ারিয়াম ও প্রাণী দেখানোর জয়গাগুলোও ইনডোর।
ডিজনির কৌশলী সিদ্ধান্ত
আবুধাবি নিজেদের অরল্যান্ডোর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে না। তারা আরও বড় কিছু করতে চায়। এখানকার থিম পার্কগুলোকে তারা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিলাসবহুল হোটেল, প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত ও মরুভূমির অ্যাডভেঞ্চারের মতো আরও অনেক আকর্ষণের একটি অংশ হিসেবে তৈরি করছে। ইয়াস আইল্যান্ড থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত লুভর আবুধাবি জাদুঘর।
২০৩০ সালের মধ্যে আবুধাবি তাদের বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ২৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৯ লাখের বেশি করতে চায়। ডিজনিল্যান্ডকে কেন্দ্র করে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অরল্যান্ডোর অনেক বছরের অভিজ্ঞতা ও বিশাল অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু আবুধাবি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ, সারা বছর ধরে আরামদায়ক পরিবেশ, আধুনিক আকর্ষণ এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আবুধাবিকে একটি অনন্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলছে। এটি সম্ভবত পরবর্তী প্রজন্মের থিম পার্কের রাজধানীর একটি নতুন মডেল হতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৮ ঘণ্টা আগেসৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
১১ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
১২ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
১৪ ঘণ্টা আগে