লাইফস্টাইল ডেস্ক

এ বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। বালি বরাবরই এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে ভোট পায়। তবে পর্যটকদের কিছু আচরণ ও অভ্যাসের কারণে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। বিদেশি পর্যটকদের অশোভন আচরণ কমাতে এবং ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটন নিজেদের চিত্র উন্নত করতে এমন নির্দেশনা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
বালি কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ‘অশোভন আচরণ’ মোকাবিলার জন্য এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। গত ২৪ মার্চ দ্বীপটির গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টারের জারি করা এই নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে, পবিত্র জায়গাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
ভদ্রস্থ পোশাক পরা।
বিনয়ী আচরণ।
অনলাইনে পর্যটক শুল্ক পরিশোধ।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইড ও আবাসন ব্যবহারের নিয়ম।
ট্রাফিক আইন অনুসরণ।
অনুমোদিত আউটলেট থেকে মুদ্রা বিনিময় করা।

গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টার বলেন, ‘আমরা আগে এমন একটি নিয়ম জারি করেছিলাম, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অভিযোজন করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে বালির পর্যটন সম্মানজনক, টেকসই এবং আমাদের স্থানীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকবে।’ বালিতে হ্রদ বা নদীসহ যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা বা দূষণ তৈরি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই বিধিমালা ভাঙবেন ইন্দোনেশীয় আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

‘নেপি ডে’ বালির পবিত্র নীরবতার দিন। দিনটি এ বছর ২৯ মার্চ পালিত হবে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর্যটকসহ সবাইকে সেদিন ঘরের ভেতর থাকতে হবে। বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর এবং ভ্রমণ কার্যক্রম।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া পবিত্র মন্দির এলাকায় প্রবেশ, আবর্জনা ফেলা, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার, অনুপযুক্ত আচরণ, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করার কারণ হিসেবে গভর্নর উল্লেখ করেন, ‘আমি এই সার্কুলারটি বাস্তবায়ন করছি একটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে যাতে বিদেশি পর্যটকেরা বালি ভ্রমণের সময় নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন।’

নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বালিনিজ রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক প্রথাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। বিশেষ করে পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণের সময় এবং মন্দির, পর্যটন স্থান বা পাবলিক স্পেস পরিদর্শন করার সময় যথাযথ পোশাক পরিধান করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যটকদের আহ্বান করা হয়েছে তাঁরা যেন ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ, শপিং এলাকা বা পাবলিক রাস্তায় সম্মানজনক আচরণ করেন। গভর্নর কোস্টার আরও বলেন, ‘যারা পর্যটক শুল্ক পরিশোধ করবেন না, তাঁদের পর্যটন স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। যারা এই বিধিমালা লঙ্ঘন করবেন, তাঁরা ইন্দোনেশীয় আইন অনুসারে আইনগত পরিণতির মুখোমুখি হবেন।’

ধর্মীয় জায়গাগুলোতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে নতুন নির্দেশিকাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় প্রার্থনা করতে না আসলে তারা পবিত্র মন্দির এলাকাগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রার্থনা করতে হলে তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ পোশাক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া, এতে আরও যোগ করা হয়েছে যে ঋতু স্রাবরত নারীরা এই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যটকদের পবিত্র গাছ বা স্মৃতিসৌধে উঠতে অনুমতি দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ধর্মীয় জায়গাগুলোতে অনুপযুক্ত বা নগ্ন ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গালি দেওয়া নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দা, কর্মকর্তা বা অন্যান্য পর্যটকদের প্রতি অবজ্ঞা-প্রদর্শন বা ভ্রমণে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণামূলক ভাষণ বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সেখানকার মেয়র।
বালির সিভিল সার্ভিস পুলিশ ইউনিট পর্যটকদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নতুন সাংস্কৃতিক নির্দেশিকাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করবে। এর আগে বালি বেশ কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত পর্যটক এবং অশোভন আচরণকারী পর্যটকদের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ২০২৩ সালে তারা পর্যটন ট্যাক্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে বালি ৬৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেছিল। তবে এ বছর বালি কর্তৃপক্ষ ৬৫ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সূত্র: দ্য বালি সান

এ বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। বালি বরাবরই এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে ভোট পায়। তবে পর্যটকদের কিছু আচরণ ও অভ্যাসের কারণে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। বিদেশি পর্যটকদের অশোভন আচরণ কমাতে এবং ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটন নিজেদের চিত্র উন্নত করতে এমন নির্দেশনা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
বালি কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ‘অশোভন আচরণ’ মোকাবিলার জন্য এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। গত ২৪ মার্চ দ্বীপটির গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টারের জারি করা এই নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে, পবিত্র জায়গাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
ভদ্রস্থ পোশাক পরা।
বিনয়ী আচরণ।
অনলাইনে পর্যটক শুল্ক পরিশোধ।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইড ও আবাসন ব্যবহারের নিয়ম।
ট্রাফিক আইন অনুসরণ।
অনুমোদিত আউটলেট থেকে মুদ্রা বিনিময় করা।

গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টার বলেন, ‘আমরা আগে এমন একটি নিয়ম জারি করেছিলাম, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অভিযোজন করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে বালির পর্যটন সম্মানজনক, টেকসই এবং আমাদের স্থানীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকবে।’ বালিতে হ্রদ বা নদীসহ যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা বা দূষণ তৈরি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই বিধিমালা ভাঙবেন ইন্দোনেশীয় আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

‘নেপি ডে’ বালির পবিত্র নীরবতার দিন। দিনটি এ বছর ২৯ মার্চ পালিত হবে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর্যটকসহ সবাইকে সেদিন ঘরের ভেতর থাকতে হবে। বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর এবং ভ্রমণ কার্যক্রম।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া পবিত্র মন্দির এলাকায় প্রবেশ, আবর্জনা ফেলা, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার, অনুপযুক্ত আচরণ, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করার কারণ হিসেবে গভর্নর উল্লেখ করেন, ‘আমি এই সার্কুলারটি বাস্তবায়ন করছি একটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে যাতে বিদেশি পর্যটকেরা বালি ভ্রমণের সময় নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন।’

নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বালিনিজ রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক প্রথাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। বিশেষ করে পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণের সময় এবং মন্দির, পর্যটন স্থান বা পাবলিক স্পেস পরিদর্শন করার সময় যথাযথ পোশাক পরিধান করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যটকদের আহ্বান করা হয়েছে তাঁরা যেন ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ, শপিং এলাকা বা পাবলিক রাস্তায় সম্মানজনক আচরণ করেন। গভর্নর কোস্টার আরও বলেন, ‘যারা পর্যটক শুল্ক পরিশোধ করবেন না, তাঁদের পর্যটন স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। যারা এই বিধিমালা লঙ্ঘন করবেন, তাঁরা ইন্দোনেশীয় আইন অনুসারে আইনগত পরিণতির মুখোমুখি হবেন।’

ধর্মীয় জায়গাগুলোতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে নতুন নির্দেশিকাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় প্রার্থনা করতে না আসলে তারা পবিত্র মন্দির এলাকাগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রার্থনা করতে হলে তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ পোশাক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া, এতে আরও যোগ করা হয়েছে যে ঋতু স্রাবরত নারীরা এই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যটকদের পবিত্র গাছ বা স্মৃতিসৌধে উঠতে অনুমতি দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ধর্মীয় জায়গাগুলোতে অনুপযুক্ত বা নগ্ন ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গালি দেওয়া নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দা, কর্মকর্তা বা অন্যান্য পর্যটকদের প্রতি অবজ্ঞা-প্রদর্শন বা ভ্রমণে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণামূলক ভাষণ বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সেখানকার মেয়র।
বালির সিভিল সার্ভিস পুলিশ ইউনিট পর্যটকদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নতুন সাংস্কৃতিক নির্দেশিকাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করবে। এর আগে বালি বেশ কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত পর্যটক এবং অশোভন আচরণকারী পর্যটকদের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ২০২৩ সালে তারা পর্যটন ট্যাক্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে বালি ৬৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেছিল। তবে এ বছর বালি কর্তৃপক্ষ ৬৫ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সূত্র: দ্য বালি সান
লাইফস্টাইল ডেস্ক

এ বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। বালি বরাবরই এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে ভোট পায়। তবে পর্যটকদের কিছু আচরণ ও অভ্যাসের কারণে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। বিদেশি পর্যটকদের অশোভন আচরণ কমাতে এবং ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটন নিজেদের চিত্র উন্নত করতে এমন নির্দেশনা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
বালি কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ‘অশোভন আচরণ’ মোকাবিলার জন্য এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। গত ২৪ মার্চ দ্বীপটির গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টারের জারি করা এই নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে, পবিত্র জায়গাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
ভদ্রস্থ পোশাক পরা।
বিনয়ী আচরণ।
অনলাইনে পর্যটক শুল্ক পরিশোধ।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইড ও আবাসন ব্যবহারের নিয়ম।
ট্রাফিক আইন অনুসরণ।
অনুমোদিত আউটলেট থেকে মুদ্রা বিনিময় করা।

গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টার বলেন, ‘আমরা আগে এমন একটি নিয়ম জারি করেছিলাম, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অভিযোজন করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে বালির পর্যটন সম্মানজনক, টেকসই এবং আমাদের স্থানীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকবে।’ বালিতে হ্রদ বা নদীসহ যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা বা দূষণ তৈরি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই বিধিমালা ভাঙবেন ইন্দোনেশীয় আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

‘নেপি ডে’ বালির পবিত্র নীরবতার দিন। দিনটি এ বছর ২৯ মার্চ পালিত হবে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর্যটকসহ সবাইকে সেদিন ঘরের ভেতর থাকতে হবে। বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর এবং ভ্রমণ কার্যক্রম।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া পবিত্র মন্দির এলাকায় প্রবেশ, আবর্জনা ফেলা, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার, অনুপযুক্ত আচরণ, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করার কারণ হিসেবে গভর্নর উল্লেখ করেন, ‘আমি এই সার্কুলারটি বাস্তবায়ন করছি একটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে যাতে বিদেশি পর্যটকেরা বালি ভ্রমণের সময় নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন।’

নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বালিনিজ রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক প্রথাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। বিশেষ করে পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণের সময় এবং মন্দির, পর্যটন স্থান বা পাবলিক স্পেস পরিদর্শন করার সময় যথাযথ পোশাক পরিধান করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যটকদের আহ্বান করা হয়েছে তাঁরা যেন ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ, শপিং এলাকা বা পাবলিক রাস্তায় সম্মানজনক আচরণ করেন। গভর্নর কোস্টার আরও বলেন, ‘যারা পর্যটক শুল্ক পরিশোধ করবেন না, তাঁদের পর্যটন স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। যারা এই বিধিমালা লঙ্ঘন করবেন, তাঁরা ইন্দোনেশীয় আইন অনুসারে আইনগত পরিণতির মুখোমুখি হবেন।’

ধর্মীয় জায়গাগুলোতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে নতুন নির্দেশিকাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় প্রার্থনা করতে না আসলে তারা পবিত্র মন্দির এলাকাগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রার্থনা করতে হলে তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ পোশাক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া, এতে আরও যোগ করা হয়েছে যে ঋতু স্রাবরত নারীরা এই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যটকদের পবিত্র গাছ বা স্মৃতিসৌধে উঠতে অনুমতি দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ধর্মীয় জায়গাগুলোতে অনুপযুক্ত বা নগ্ন ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গালি দেওয়া নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দা, কর্মকর্তা বা অন্যান্য পর্যটকদের প্রতি অবজ্ঞা-প্রদর্শন বা ভ্রমণে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণামূলক ভাষণ বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সেখানকার মেয়র।
বালির সিভিল সার্ভিস পুলিশ ইউনিট পর্যটকদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নতুন সাংস্কৃতিক নির্দেশিকাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করবে। এর আগে বালি বেশ কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত পর্যটক এবং অশোভন আচরণকারী পর্যটকদের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ২০২৩ সালে তারা পর্যটন ট্যাক্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে বালি ৬৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেছিল। তবে এ বছর বালি কর্তৃপক্ষ ৬৫ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সূত্র: দ্য বালি সান

এ বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। বালি বরাবরই এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে ভোট পায়। তবে পর্যটকদের কিছু আচরণ ও অভ্যাসের কারণে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। বিদেশি পর্যটকদের অশোভন আচরণ কমাতে এবং ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটন নিজেদের চিত্র উন্নত করতে এমন নির্দেশনা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
বালি কর্তৃপক্ষ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ‘অশোভন আচরণ’ মোকাবিলার জন্য এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। গত ২৪ মার্চ দ্বীপটির গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টারের জারি করা এই নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে, পবিত্র জায়গাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
ভদ্রস্থ পোশাক পরা।
বিনয়ী আচরণ।
অনলাইনে পর্যটক শুল্ক পরিশোধ।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাইড ও আবাসন ব্যবহারের নিয়ম।
ট্রাফিক আইন অনুসরণ।
অনুমোদিত আউটলেট থেকে মুদ্রা বিনিময় করা।

গভর্নর আই ওয়ায়ান কোস্টার বলেন, ‘আমরা আগে এমন একটি নিয়ম জারি করেছিলাম, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অভিযোজন করতে হবে। এটি নিশ্চিত করে যে বালির পর্যটন সম্মানজনক, টেকসই এবং আমাদের স্থানীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকবে।’ বালিতে হ্রদ বা নদীসহ যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলা বা দূষণ তৈরি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই বিধিমালা ভাঙবেন ইন্দোনেশীয় আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

‘নেপি ডে’ বালির পবিত্র নীরবতার দিন। দিনটি এ বছর ২৯ মার্চ পালিত হবে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর্যটকসহ সবাইকে সেদিন ঘরের ভেতর থাকতে হবে। বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর এবং ভ্রমণ কার্যক্রম।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া পবিত্র মন্দির এলাকায় প্রবেশ, আবর্জনা ফেলা, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার, অনুপযুক্ত আচরণ, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করার কারণ হিসেবে গভর্নর উল্লেখ করেন, ‘আমি এই সার্কুলারটি বাস্তবায়ন করছি একটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে যাতে বিদেশি পর্যটকেরা বালি ভ্রমণের সময় নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন থাকেন।’

নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বালিনিজ রীতিনীতি, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক প্রথাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। বিশেষ করে পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণের সময় এবং মন্দির, পর্যটন স্থান বা পাবলিক স্পেস পরিদর্শন করার সময় যথাযথ পোশাক পরিধান করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পর্যটকদের আহ্বান করা হয়েছে তাঁরা যেন ধর্মীয় স্থান, রেস্তোরাঁ, শপিং এলাকা বা পাবলিক রাস্তায় সম্মানজনক আচরণ করেন। গভর্নর কোস্টার আরও বলেন, ‘যারা পর্যটক শুল্ক পরিশোধ করবেন না, তাঁদের পর্যটন স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। যারা এই বিধিমালা লঙ্ঘন করবেন, তাঁরা ইন্দোনেশীয় আইন অনুসারে আইনগত পরিণতির মুখোমুখি হবেন।’

ধর্মীয় জায়গাগুলোতে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে নতুন নির্দেশিকাগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় প্রার্থনা করতে না আসলে তারা পবিত্র মন্দির এলাকাগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রার্থনা করতে হলে তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ পোশাক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া, এতে আরও যোগ করা হয়েছে যে ঋতু স্রাবরত নারীরা এই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যটকদের পবিত্র গাছ বা স্মৃতিসৌধে উঠতে অনুমতি দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ধর্মীয় জায়গাগুলোতে অনুপযুক্ত বা নগ্ন ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
গালি দেওয়া নিষিদ্ধ করে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দা, কর্মকর্তা বা অন্যান্য পর্যটকদের প্রতি অবজ্ঞা-প্রদর্শন বা ভ্রমণে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণামূলক ভাষণ বা মিথ্যা তথ্য শেয়ার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সেখানকার মেয়র।
বালির সিভিল সার্ভিস পুলিশ ইউনিট পর্যটকদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নতুন সাংস্কৃতিক নির্দেশিকাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করবে। এর আগে বালি বেশ কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত পর্যটক এবং অশোভন আচরণকারী পর্যটকদের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ২০২৩ সালে তারা পর্যটন ট্যাক্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালে বালি ৬৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেছিল। তবে এ বছর বালি কর্তৃপক্ষ ৬৫ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সূত্র: দ্য বালি সান

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ মিনিট আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২০ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
সাদা বা লাল মুলা ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকলি ১ মুঠ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫ থেকে ৬টি, মলা শুঁটকি ১০০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি।
প্রণালি
মুলা ও শুঁটকি শুকনা কড়াইতে ভেজে গরম পানিতে ধুয়ে নিন। পরে মুলার খোসা ফেলে গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি, মলা মাছের শুঁটকি আর তেজপাতা দিয়ে দু-তিন মিনিট ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজকলি দিয়ে আরও পাঁচ-সাত মিনিট রান্না করুন। এরপর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝাল।

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
সাদা বা লাল মুলা ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকলি ১ মুঠ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫ থেকে ৬টি, মলা শুঁটকি ১০০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি।
প্রণালি
মুলা ও শুঁটকি শুকনা কড়াইতে ভেজে গরম পানিতে ধুয়ে নিন। পরে মুলার খোসা ফেলে গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি, মলা মাছের শুঁটকি আর তেজপাতা দিয়ে দু-তিন মিনিট ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজকলি দিয়ে আরও পাঁচ-সাত মিনিট রান্না করুন। এরপর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝাল।

এই বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম একটি পর্যটন গন্তব্য।
২৯ মার্চ ২০২৫
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২০ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে সেরা অভিজ্ঞতা পেতে হলে মালদ্বীপ ভ্রমণের আদর্শ সময় কখন, সেই ধারণা আগে থেকে নিয়ে রাখা ভালো। মালদ্বীপে পর্যটন মৌসুমকে সাধারণত তিন ভাগ করা হয়—
পিক সিজন: নভেম্বর থেকে এপ্রিল
শোল্ডার সিজন: অক্টোবরের শেষ ও এপ্রিলের শেষ
লো সিজন: মে থেকে অক্টোবর
ওভার ওয়াটার বাংলোয় থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আবহাওয়া, ভিড়, দাম সব দিক মিলিয়ে কোন সময়টি উপযুক্ত হবে, তা বিবেচনায় রাখা দরকার।

ভ্রমণের জন্য ভালো সময়
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল। মালদ্বীপের শুষ্ক মৌসুম এটি। তখন বৃষ্টি কম, ডাইভিংয়ে পানির দৃশ্যমানতা অত্যন্ত ভালো থাকে। তবে এটাই দ্বীপ দেশটিতে পর্যটনের ব্যস্ততম সময়। ফলে হোটেল ও ফ্লাইটের দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
তাই কম খরচে ঘুরতে চাইলে মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযোগী সময়। সে সময় বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু এই সময়ে অনেক ধরনের ছাড় পাওয়া যায়। ফলে খরচ অনেকটা কমে আসে। অক্টোবরের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ, ছোট এই দুই শোল্ডার সিজনে আবহাওয়া তুলনামূলক শুকনো থাকে। ফলে সবকিছুর দামও থাকে কিছুটা কম।
ভিড় এড়াতে চাইলে
মালদ্বীপে প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বীপ থাকায় বছরের যেকোনো সময়ে নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে জনপ্রিয় রিসোর্ট বা ডাইভিং সাইটগুলো শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা ব্যস্ত থাকে। সম্পূর্ণ নিরিবিলি অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মালদ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে মে ও জুনে পর্যটকসংখ্যা সবচেয়ে কম থাকে সেখানে।
ভালো আবহাওয়ার জন্য সেরা সময়
মালদ্বীপে সারা বছরই গরম আর আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। মৌসুমি আবহাওয়ার দিক থেকে দেশটিতে মূলত দুই ঋতু; শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর-এপ্রিল) এবং বর্ষা মৌসুম (মে-অক্টোবর)।
শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি খুব কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া থাকে সবচেয়ে ভালো। ফলে এটি পর্যটনের পিক সময় এবং এ সময় সবকিছুর দামও বেশি থাকে। বর্ষাকালে কিছু দ্বীপে মাসে ৯ ইঞ্চির মতো বৃষ্টি হতে পারে। প্রায়ই বিকেলে বৃষ্টি নামে, তবে পুরো দিন রোদ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই এ সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে খরচ কিছু বাঁচতে পারে।
কম খরচে মালদ্বীপ ভ্রমণ
মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকালে থাকার জায়গা, ফ্লাইট, এমনকি ওভার ওয়াটার বাংলোগুলোর দামও কমে আসে। অগ্রিম বুকিং করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্লাইট খরচ কমাতে সরাসরি রুটের বদলে এশিয়া বা ইউরোপের বড় কোনো শহরে ট্রানজিট নিতে পারেন। রিসোর্টে না থেকে স্থানীয়দের পরিচালিত গেস্টহাউস বা এয়ারবিএনবিতে উঠলেও বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ সম্ভব।
ডাইভিং, সার্ফিং ও ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য সেরা সময়
বর্ষাকাল সার্ফিংয়ের জন্য আদর্শ সময়। কারণ এ সময় ঢেউ বড় ও স্বভাবতই চঞ্চল থাকে। যদি বৃষ্টির ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলও ভালো সময়। ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এ সময়ে সমুদ্রের পানির স্বচ্ছতা সবচেয়ে ভালো থাকে। ফলে রঙিন প্রবাল, মাছ আর বিখ্যাত ডাইভ সাইটগুলো উপভোগ করা যায় দারুণভাবে।
বায়োলুমিনেসেন্স দেখার সময়
বৃষ্টির মৌসুমে প্ল্যাঙ্কটনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এ সময় সমুদ্রের ঢেউয়ে নীল রঙের বায়োলুমিনেসেন্স বেশি দেখা যায়। তবে এটি নির্দিষ্ট মাসের ওপর হয় না। বরং পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার ওপর বেশি নির্ভরশীল।
কোন সময়টি খারাপ
অনেকের মতে, মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগস্ট সবচেয়ে অস্বস্তিকর মাস। কারণ এটি বর্ষাকালের ঠিক মাঝামাঝি, যদিও সাধারণত অক্টোবরেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই দুই মাস এড়িয়ে চললে আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে পাওয়া যায়।
বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য আবার নভেম্বর থেকে এপ্রিল সবচেয়ে খারাপ সময়। কারণ এ সময় সবকিছুর দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে সেরা অভিজ্ঞতা পেতে হলে মালদ্বীপ ভ্রমণের আদর্শ সময় কখন, সেই ধারণা আগে থেকে নিয়ে রাখা ভালো। মালদ্বীপে পর্যটন মৌসুমকে সাধারণত তিন ভাগ করা হয়—
পিক সিজন: নভেম্বর থেকে এপ্রিল
শোল্ডার সিজন: অক্টোবরের শেষ ও এপ্রিলের শেষ
লো সিজন: মে থেকে অক্টোবর
ওভার ওয়াটার বাংলোয় থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আবহাওয়া, ভিড়, দাম সব দিক মিলিয়ে কোন সময়টি উপযুক্ত হবে, তা বিবেচনায় রাখা দরকার।

ভ্রমণের জন্য ভালো সময়
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল। মালদ্বীপের শুষ্ক মৌসুম এটি। তখন বৃষ্টি কম, ডাইভিংয়ে পানির দৃশ্যমানতা অত্যন্ত ভালো থাকে। তবে এটাই দ্বীপ দেশটিতে পর্যটনের ব্যস্ততম সময়। ফলে হোটেল ও ফ্লাইটের দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
তাই কম খরচে ঘুরতে চাইলে মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযোগী সময়। সে সময় বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু এই সময়ে অনেক ধরনের ছাড় পাওয়া যায়। ফলে খরচ অনেকটা কমে আসে। অক্টোবরের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ, ছোট এই দুই শোল্ডার সিজনে আবহাওয়া তুলনামূলক শুকনো থাকে। ফলে সবকিছুর দামও থাকে কিছুটা কম।
ভিড় এড়াতে চাইলে
মালদ্বীপে প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বীপ থাকায় বছরের যেকোনো সময়ে নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে জনপ্রিয় রিসোর্ট বা ডাইভিং সাইটগুলো শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা ব্যস্ত থাকে। সম্পূর্ণ নিরিবিলি অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মালদ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে মে ও জুনে পর্যটকসংখ্যা সবচেয়ে কম থাকে সেখানে।
ভালো আবহাওয়ার জন্য সেরা সময়
মালদ্বীপে সারা বছরই গরম আর আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। মৌসুমি আবহাওয়ার দিক থেকে দেশটিতে মূলত দুই ঋতু; শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর-এপ্রিল) এবং বর্ষা মৌসুম (মে-অক্টোবর)।
শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি খুব কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া থাকে সবচেয়ে ভালো। ফলে এটি পর্যটনের পিক সময় এবং এ সময় সবকিছুর দামও বেশি থাকে। বর্ষাকালে কিছু দ্বীপে মাসে ৯ ইঞ্চির মতো বৃষ্টি হতে পারে। প্রায়ই বিকেলে বৃষ্টি নামে, তবে পুরো দিন রোদ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই এ সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে খরচ কিছু বাঁচতে পারে।
কম খরচে মালদ্বীপ ভ্রমণ
মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকালে থাকার জায়গা, ফ্লাইট, এমনকি ওভার ওয়াটার বাংলোগুলোর দামও কমে আসে। অগ্রিম বুকিং করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্লাইট খরচ কমাতে সরাসরি রুটের বদলে এশিয়া বা ইউরোপের বড় কোনো শহরে ট্রানজিট নিতে পারেন। রিসোর্টে না থেকে স্থানীয়দের পরিচালিত গেস্টহাউস বা এয়ারবিএনবিতে উঠলেও বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ সম্ভব।
ডাইভিং, সার্ফিং ও ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য সেরা সময়
বর্ষাকাল সার্ফিংয়ের জন্য আদর্শ সময়। কারণ এ সময় ঢেউ বড় ও স্বভাবতই চঞ্চল থাকে। যদি বৃষ্টির ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলও ভালো সময়। ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এ সময়ে সমুদ্রের পানির স্বচ্ছতা সবচেয়ে ভালো থাকে। ফলে রঙিন প্রবাল, মাছ আর বিখ্যাত ডাইভ সাইটগুলো উপভোগ করা যায় দারুণভাবে।
বায়োলুমিনেসেন্স দেখার সময়
বৃষ্টির মৌসুমে প্ল্যাঙ্কটনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এ সময় সমুদ্রের ঢেউয়ে নীল রঙের বায়োলুমিনেসেন্স বেশি দেখা যায়। তবে এটি নির্দিষ্ট মাসের ওপর হয় না। বরং পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার ওপর বেশি নির্ভরশীল।
কোন সময়টি খারাপ
অনেকের মতে, মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগস্ট সবচেয়ে অস্বস্তিকর মাস। কারণ এটি বর্ষাকালের ঠিক মাঝামাঝি, যদিও সাধারণত অক্টোবরেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই দুই মাস এড়িয়ে চললে আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে পাওয়া যায়।
বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য আবার নভেম্বর থেকে এপ্রিল সবচেয়ে খারাপ সময়। কারণ এ সময় সবকিছুর দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

এই বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম একটি পর্যটন গন্তব্য।
২৯ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ মিনিট আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২০ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

এই বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম একটি পর্যটন গন্তব্য।
২৯ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ মিনিট আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

এই বছরের বার্ষিক রিডার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে ‘ডেস্টিনএশিয়ান ম্যাগাজিন’–এ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ হিসেবে মনোনীত হয়েছে বালি। এই দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম একটি পর্যটন গন্তব্য।
২৯ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ মিনিট আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২০ ঘণ্টা আগে