ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ভ্রমণের সময় নিজেদের সুরক্ষিত রাখা বেশ বড় কাজ। এর জন্য মানুষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু হোটেলে চেক-ইন করার সময় কিছু জরুরি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে সহজে নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আপনাদের ভ্রমণ আরও নিরাপদ করে তুলবে। অধিকাংশ ভ্রমণকারী নিজেদের থাকার অভিজ্ঞতা দারুণ উপভোগ করলেও চেক-আউটের সময় কিছু সাধারণ ভুল করে ফেলেন। বিষয়টি তাড়াহুড়ো বা অপ্রয়োজনীয় বিলের কারণেও হতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে ভ্রমণ নিরাপদ হয়ে উঠবে।
রুম নম্বর গোপন রাখুন
এএএ ডায়মন্ড প্রোগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জেইমি কিমব্রো জানিয়েছেন, হোটেলের রিসেপশনে থাকা কর্মী সাধারণত অতিথিদের রুম নম্বর বলার সময় বিচক্ষণতা অবলম্বন করতে প্রশিক্ষিত হন। এর ফলে ভ্রমণকারীর অবস্থান ব্যক্তিগত থাকে এবং তাঁরা সুরক্ষিত থাকেন। অনেক সময় এমন হতেই পারে যে, তাঁরা একটু জোরে রুম নম্বর বলে থাকেন। সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তাঝুঁকি মনে করতেই পারেন কেউ কেউ। তাই জেইমির পরামর্শ হলো, যদি ডেস্ক এজেন্ট ভুলবশত জোরে রুম নম্বর বলে ফেলেন, তাহলে আপনি সব সময় অন্য একটি রুম চাইতে পারেন। এই অনুরোধ করার সময় উল্লেখ করুন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আপনি আপনার রুম নম্বরটি জোরে বলা হোক, তা চান না।
রুমে প্রবেশের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
হোটেল রুমের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে জেইমি কিছু নির্দিষ্ট কাজ করার পরামর্শ দেন—
জেইমি বলেন, যদি রুমটি ‘ঠিক মনে না হয়’, তবে নিজের ওপর ভরসা রাখুন এবং অন্য একটি রুমের জন্য অনুরোধ করুন।
গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিরাপদে রাখুন
সবকিছু সামলে রুমে ঢোকার পর এবার সঙ্গে থাকা জিনিসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পালা। এনস্যুট কালেকশনের প্রতিষ্ঠাতা চিরাগ পাঞ্চাল এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি গয়না, পাসপোর্ট ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের মতো মূল্যবান সামগ্রী রুমের সেলফে তালাবদ্ধ করে রাখার পরামর্শ দেন। এর সঙ্গে জেইমি যোগ করেছেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পরীক্ষা হলো রুমের টেলিফোনটি কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করা। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কোনো জরুরি অবস্থা দেখা দিলে এটি কাজে আসতে পারে।
আগে চেক-ইন বা পরে চেক-আউটের অনুরোধ না করা
অনেকে ধরে নেন, হোটেলের চেক-ইন ও চেক-আউটের সময় কঠোরভাবে নির্দিষ্ট। তবে এটি সব সময় সত্যি নয়। এর সহজ সমাধান হলো, বিনয়। সব সময় বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করুন। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ শ্যাঙ্ক বলেছেন, ‘একটি আন্তরিক অনুরোধেই কাজ হতে পারে। রুমের বিষয়গুলো নিয়ে নমনীয় থাকুন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট রুমের জন্য জেদ না করেন, তবে হোটেল আপনার অনুরোধ মেটাতে বেশি সক্ষম হবে। কারণ, তাদের প্রিমিয়াম রুমগুলো প্রস্তুত করতে সময় লাগতে পারে।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বকশিশ রাখা
আপনি যেমন আপনার হেয়ারড্রেসার বা রেস্তোরাঁর ওয়েটারকে টিপ দেন, তেমনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার আরামদায়ক থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তাঁরা তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী দিনে এক থেকে তিনবার আবার যেকোনো সময় আপনার দরকারে সেবা দিতে প্রস্তুত থাকেন। সুতরাং ভ্রমণ শেষে তাঁদের জন্য ছোট একটা টিপসের বাজেট আপনি রাখতে পারেন। চেক-আউটের আগে পরিমাণটি ঘরে রেখে যান; কিংবা সুযোগ বুঝে তাদের হাতে দিয়ে যান।
ঘর থেকে বের হওয়ার আগে সব দেখে নিন
বাসা ছাড়ার আগে যেমন ‘মানিব্যাগ, ফোন, চাবি’ বলে নিজেকে মনে করিয়ে দেন, তেমনি হোটেল ছাড়ার আগেও একই অভ্যাস করুন। চলে যাওয়ার আগে মানসিক চেকলিস্ট (যেমন চার্জার, পাসপোর্ট, গয়না, বাথরুমের জিনিস) মনে মনে মিলিয়ে নিন এবং পুরো রুমে হেঁটে একবার দেখে নিন। প্রতিটি আউটলেটে নজর দিন ভুলে যাওয়া চার্জার আছে কি না। এ ছাড়া সেলফ, আলমারি, বাথরুম ও বিছানার নিচ কিংবা বালিশের তলা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
সূত্র: ডেইলি মেইন, ট্রাভেল+লিজার
ভ্রমণের সময় নিজেদের সুরক্ষিত রাখা বেশ বড় কাজ। এর জন্য মানুষ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু হোটেলে চেক-ইন করার সময় কিছু জরুরি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে সহজে নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আপনাদের ভ্রমণ আরও নিরাপদ করে তুলবে। অধিকাংশ ভ্রমণকারী নিজেদের থাকার অভিজ্ঞতা দারুণ উপভোগ করলেও চেক-আউটের সময় কিছু সাধারণ ভুল করে ফেলেন। বিষয়টি তাড়াহুড়ো বা অপ্রয়োজনীয় বিলের কারণেও হতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলে ভ্রমণ নিরাপদ হয়ে উঠবে।
রুম নম্বর গোপন রাখুন
এএএ ডায়মন্ড প্রোগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জেইমি কিমব্রো জানিয়েছেন, হোটেলের রিসেপশনে থাকা কর্মী সাধারণত অতিথিদের রুম নম্বর বলার সময় বিচক্ষণতা অবলম্বন করতে প্রশিক্ষিত হন। এর ফলে ভ্রমণকারীর অবস্থান ব্যক্তিগত থাকে এবং তাঁরা সুরক্ষিত থাকেন। অনেক সময় এমন হতেই পারে যে, তাঁরা একটু জোরে রুম নম্বর বলে থাকেন। সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তাঝুঁকি মনে করতেই পারেন কেউ কেউ। তাই জেইমির পরামর্শ হলো, যদি ডেস্ক এজেন্ট ভুলবশত জোরে রুম নম্বর বলে ফেলেন, তাহলে আপনি সব সময় অন্য একটি রুম চাইতে পারেন। এই অনুরোধ করার সময় উল্লেখ করুন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আপনি আপনার রুম নম্বরটি জোরে বলা হোক, তা চান না।
রুমে প্রবেশের পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
হোটেল রুমের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে জেইমি কিছু নির্দিষ্ট কাজ করার পরামর্শ দেন—
জেইমি বলেন, যদি রুমটি ‘ঠিক মনে না হয়’, তবে নিজের ওপর ভরসা রাখুন এবং অন্য একটি রুমের জন্য অনুরোধ করুন।
গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিরাপদে রাখুন
সবকিছু সামলে রুমে ঢোকার পর এবার সঙ্গে থাকা জিনিসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পালা। এনস্যুট কালেকশনের প্রতিষ্ঠাতা চিরাগ পাঞ্চাল এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি গয়না, পাসপোর্ট ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের মতো মূল্যবান সামগ্রী রুমের সেলফে তালাবদ্ধ করে রাখার পরামর্শ দেন। এর সঙ্গে জেইমি যোগ করেছেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পরীক্ষা হলো রুমের টেলিফোনটি কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করা। তিনি ব্যাখ্যা করেন, কোনো জরুরি অবস্থা দেখা দিলে এটি কাজে আসতে পারে।
আগে চেক-ইন বা পরে চেক-আউটের অনুরোধ না করা
অনেকে ধরে নেন, হোটেলের চেক-ইন ও চেক-আউটের সময় কঠোরভাবে নির্দিষ্ট। তবে এটি সব সময় সত্যি নয়। এর সহজ সমাধান হলো, বিনয়। সব সময় বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করুন। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ শ্যাঙ্ক বলেছেন, ‘একটি আন্তরিক অনুরোধেই কাজ হতে পারে। রুমের বিষয়গুলো নিয়ে নমনীয় থাকুন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট রুমের জন্য জেদ না করেন, তবে হোটেল আপনার অনুরোধ মেটাতে বেশি সক্ষম হবে। কারণ, তাদের প্রিমিয়াম রুমগুলো প্রস্তুত করতে সময় লাগতে পারে।’
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বকশিশ রাখা
আপনি যেমন আপনার হেয়ারড্রেসার বা রেস্তোরাঁর ওয়েটারকে টিপ দেন, তেমনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও আপনার আরামদায়ক থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তাঁরা তাঁদের নিয়ম অনুযায়ী দিনে এক থেকে তিনবার আবার যেকোনো সময় আপনার দরকারে সেবা দিতে প্রস্তুত থাকেন। সুতরাং ভ্রমণ শেষে তাঁদের জন্য ছোট একটা টিপসের বাজেট আপনি রাখতে পারেন। চেক-আউটের আগে পরিমাণটি ঘরে রেখে যান; কিংবা সুযোগ বুঝে তাদের হাতে দিয়ে যান।
ঘর থেকে বের হওয়ার আগে সব দেখে নিন
বাসা ছাড়ার আগে যেমন ‘মানিব্যাগ, ফোন, চাবি’ বলে নিজেকে মনে করিয়ে দেন, তেমনি হোটেল ছাড়ার আগেও একই অভ্যাস করুন। চলে যাওয়ার আগে মানসিক চেকলিস্ট (যেমন চার্জার, পাসপোর্ট, গয়না, বাথরুমের জিনিস) মনে মনে মিলিয়ে নিন এবং পুরো রুমে হেঁটে একবার দেখে নিন। প্রতিটি আউটলেটে নজর দিন ভুলে যাওয়া চার্জার আছে কি না। এ ছাড়া সেলফ, আলমারি, বাথরুম ও বিছানার নিচ কিংবা বালিশের তলা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
সূত্র: ডেইলি মেইন, ট্রাভেল+লিজার
ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি কমবেশি সবার প্রিয়। বিশেষ দিনে প্রিয়জনের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন সুস্বাদু রসে ভরা কাঁচাগোল্লা। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেকম শক্তি, পেট ফাঁপা কিংবা ত্বকের সমস্যার মতো উপসর্গগুলোকে অনেকে ব্যস্ত জীবন বা ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফল বলে মনে করেন। এর জন্য তাঁরা ব্যস্ত জীবন বা বাজে খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেন। ফলে এই বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে খাদ্য অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা।
১৯ ঘণ্টা আগেখুশকি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারও মাথায় সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি উড়ে বেড়ায়, কারও আবার চুল সব সময় ভারী ও আঠালো লাগে। অনেক সময় মানুষ ধরে নেয়, এটি শুধু চুলে তেল জমে থাকার কারণে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, তেলতেলে এবং আঠালো খুশকি একধরনের সমস্যা। এর যত্ন আলাদা ও নিয়মিত নিতে হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন! ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন। আসলে দোষটা আর কারও নয়,
২১ ঘণ্টা আগে