Ajker Patrika

ঢাকা কেন্দ্রিক পর্যটনের রোডম্যাপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে: মেয়র আতিক

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
Thumbnail image

ঢাকা কেন্দ্রিক পর্যটনের রোডম্যাপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ১৯তম ‘বিমান-ঢাকা ট্রাভেল মার্ট ২০২৪’ মেলার উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। 

মেয়র আতিক বলেন, উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পর্যটনের সমন্বয় করতে হলে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া পর্যটনের প্রচার বাড়ানোর ওপর জোড় দেন বক্তারা। 

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে ‘বিমান-ঢাকা ট্রাভেল মার্ট ২০২৪’ মেলা। তিন দিনের এই পর্যটন মেলায় দেশ-বিদেশের ৮০ টির অধিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা তাঁদের পণ্য-সেবা উপস্থাপন করছে। এসব প্রতিষ্ঠান দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছে। 

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পর্যটনের বিকাশ ঘটাতে গেলে ভালো বিক্রেতা হতে হবে। এই যে ভাষার মাস। মায়ের ভাষার জন্য আমরা প্রাণ দিয়েছি। আমার শহীদ মিনার আছে। এটা ভালোভাবে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে পারলে কিন্তু অনেকে এটা দেখতে আসবে। কিন্তু আমরা সেভাবে পারছি না। আমাদের একটা লম্বা বিচ আছে। অথচ এই বিচের কথা অনেক দেশে জানেই না। এসব বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে, জানাতে হবে। তাহলে দেশের পর্যটন এগিয়ে যাবে।’ 

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম পর্যটনের জন্য অনেক বড় কেন্দ্র। সিলেটেরও অনেক জায়গা আছে। এগুলোতে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করা গেলে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। 

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘এই মেলা দেশের পর্যটনের বিকাশে ভূমিকা রাখবে। সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আগাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতবান্ধব বিভিন্ন নীতিমালা পর্যটনের বিকাশে সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, মেলা উপলক্ষে বিমানের সকল ফ্লাইটে ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে বিমানের সেবা আরও উন্নতির মাধ্যমে দেশকে পর্যটনবান্ধব দেশে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। 

টুরিস্ট পুলিশের ডি আই জি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ষড়্ঋতুর বাংলাদেশ, এখানে প্রত্যেক ঋতুতে আলাদাভাবে দেখার অনেক কিছু আছে। সেগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেটার দায়িত্ব নিতে হবে সম্মিলিতভাবে সবাইকে। এটা কারও একার পক্ষে সম্ভব না।’ 

স্বাগত বক্তব্যে দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সুন্দর দেশ। এখানে অনেক বিদেশি আসতে চায়। সরকারের কিছু পদক্ষেপ এই গতি বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু কোনো বিদেশি বিমানবন্দরে নেমে প্রথমেই দেখে যাতায়াতের ব্যবস্থা কেমন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা একেবারে চিহ্নিত। ঢাকা শহরের লক্কর ঝক্কর বাসের জন্য এই শহরের সৌন্দর্য মলিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য নগরপিতার কাছে আবেদন জানাই।’ 

সাবরে ট্রাভেল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত থেকে জিডিপিতে অবদান এখন চার শতাংশের নিচে। তবে এখানে যে সম্ভাবনা আছে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে, জিডিপিতে অবদান ১২ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। তবে এ জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপের আলোকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। 

এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের ৮০ টির অধিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা তাদের পণ্য-সেবা উপস্থাপন করছে। এসব প্রতিষ্ঠান দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি ৫০ টাকা।

দ্য বাংলাদেশ মনিটর ২০০২ সালে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ঢাকা ট্রাভেল মার্ট’ প্রবর্তন করে। পরবর্তীতে মেলাটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারের মেলাটি ঢাকা ট্রাভেল মার্টের ১৯ তম সংস্করণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত