ফিচার ডেস্ক
চলতি বছর মার্চ মাসের এক সকালে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু করেন জর্জ কোলার ও তার ছেলে জশ। সাধারণত বাবা-ছেলে মিলে হয়তো সপ্তাহ শেষে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা পরিবারের আড্ডায় সময় কাটায়। কিন্তু এই বাবা-ছেলের গল্প আলাদা। তারা সাইকেল চালিয়ে পৃথিবী ঘুরতে বেরিয়েছেন।
এরইমধ্যে চারটি মহাদেশ ভ্রমণ করেছেন বাবা–ছেলে। এই ভ্রমণে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, মানসিক চ্যালেঞ্জ, ভিসার জটিলতা, পরিবার থেকে দূরে থাকা। তবুও দুই চাকার এই যাত্রা এগিয়ে চলছে। ইউরোপ পেরিয়ে তারা চীনে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে এখন রয়েছেন থাইল্যান্ডে। সামনে আরও দীর্ঘ পথ বাকি।
যেভাবে এলো এমন পরিকল্পনা
২২ বছর বয়সী জশ কোলার প্রথম পৃথিবী ঘোরার স্বপ্ন দেখে। স্কুলে পড়ার সময় তাদের ক্লাসে এসেছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের অভিযাত্রী লিয়ন ম্যাককারন। তাঁর ভ্রমণকাহিনি শুনে জশের মনে জন্ম নেয় একদিন পৃথিবী জুড়ে ছুটে বেড়ানোর ইচ্ছে। ২০২২ সালে বাবা-ছেলে মিলে সাইকেলে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। সেই অভিজ্ঞতা জশকে আরও সাহসী করে তোলে। তখন প্রথম পরিকল্পনা ছিল সিঙ্গাপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে ইংল্যান্ডে ফেরা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই ভাবনা বদলে যায়। জশের মনে হলো এত দূরের পথে বের হবই, তাহলে পুরো পৃথিবীটাই ঘুরে আসা যাক। বাবা জর্জ এ প্রসঙ্গে হেসে বলেন, ‘আমরা দুজনই নতুন সাইকেল চালাই। কিন্তু জশের বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করতেই আমি রাজি হয়ে গেলাম।’ তাদের লক্ষ্য শুধু ভ্রমণ নয়, বিশ্বরেকর্ডও। চেষ্টা করছেন তিনটি রেকর্ড ভাঙতে—
– বাবা-ছেলের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সাইকেল ভ্রমণ
– বাবা-ছেলের দ্রুততম বিশ্বভ্রমণ
– বাবা-ছেলের সবচেয়ে বেশি দেশ ভ্রমণ
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, এমন ভ্রমণে অন্তত দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত ভৌগোলিক বিন্দু অতিক্রম করতে হয়। যেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সোজা রেখা টানা যায়। এই শর্ত পূরণ করতে জশ আর জর্জ বেছে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ও স্পেনকে।
রাস্তার জীবন
প্রতিদিন জশ এবং জর্জের লক্ষ্য প্রায় ১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালানো। তবে সেটি নির্ভর করে আবহাওয়া, রাস্তার অবস্থা আর তাদের শারীরিক শক্তির ওপর। কোনো দিন সূর্যের তীব্র তাপে ক্লান্ত শরীর আর দীর্ঘ রাস্তা তাদের গতি কমিয়ে দেয়, আবার মসৃণ পথ পেলে নির্ধারিত দূরত্বের চেয়ে অনেক বেশি চালাতে পারেন। এই যাত্রায় প্রতিদিনই তারা প্রায় ৫ হাজার ক্যালোরি খরচ করেন। তাই এই ভ্রমণে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। আবার সবখানে খাবার পাওয়াটাও বেশ প্রতিবন্ধকতা ছিল। কোথাও সহজেই পেট ভরে খেতে পারে, আবার কোথাও শুধু সামনে যা পাওয়া যায় তাই খেয়ে নিতে হয়। চীনে যাওযার পর তারা বিভিন্ন স্বাদের খাবার খেয়েছেন। যেগুলো তাদের ভ্রমণের বিশেষ স্মৃতি।
মানুষই সবচেয়ে বড় সম্পদ
দীর্ঘ এই ভ্রমণে জশ আর জর্জ সবচেয়ে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা মানুষের আন্তরিকতা। তুরস্কে এক গ্রামের রাস্তায় একজন তার নিজের খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করেছেন। প্রচন্ড গমরে অনেকে জানালা খুলে পানি দিয়েছে। এই ছোট ছোট ঘটনাগুলোই তাদের জন্য বড় আনন্দের। তবে মাঝে মাঝে বাড়ি আর পরিবারের কথা মনে পড়ে, মন খারাপ হয়।
পর্দার আড়ালের গল্প
সাইকেল ভ্রমণের পাশাপাশি এই ভ্রমণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। জশের ইউটিউব চ্যানেলে লাখো মানুষ তাদের ভ্রমণের ভিডিও দেখছে। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামেও ভক্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। অবশ্য জর্জের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন।
ভ্রমণের প্রতিটি দিনেই ক্লান্তি থাকে, মাঝে মাঝে ছোটখাটো ঝগড়াও হয়। কিন্তু এসব কিছুই বেশি দিন থাকে না। দিনের শেষে তারা বুঝতে পারে, এই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত, কঠিন রাস্তা, ক্ষুধা, মানুষের আন্তরিকতা সবই তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
এই ভ্রমণ বাবা-ছেলের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। ধৈর্য ধরতে ও মনে সাহস রাখতে শিখিয়েছে। জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো একে অপরের পাশে থাকা।
সূত্র: সিএনএন
চলতি বছর মার্চ মাসের এক সকালে ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু করেন জর্জ কোলার ও তার ছেলে জশ। সাধারণত বাবা-ছেলে মিলে হয়তো সপ্তাহ শেষে কোথাও বেড়াতে যাওয়া বা পরিবারের আড্ডায় সময় কাটায়। কিন্তু এই বাবা-ছেলের গল্প আলাদা। তারা সাইকেল চালিয়ে পৃথিবী ঘুরতে বেরিয়েছেন।
এরইমধ্যে চারটি মহাদেশ ভ্রমণ করেছেন বাবা–ছেলে। এই ভ্রমণে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, মানসিক চ্যালেঞ্জ, ভিসার জটিলতা, পরিবার থেকে দূরে থাকা। তবুও দুই চাকার এই যাত্রা এগিয়ে চলছে। ইউরোপ পেরিয়ে তারা চীনে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে এখন রয়েছেন থাইল্যান্ডে। সামনে আরও দীর্ঘ পথ বাকি।
যেভাবে এলো এমন পরিকল্পনা
২২ বছর বয়সী জশ কোলার প্রথম পৃথিবী ঘোরার স্বপ্ন দেখে। স্কুলে পড়ার সময় তাদের ক্লাসে এসেছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের অভিযাত্রী লিয়ন ম্যাককারন। তাঁর ভ্রমণকাহিনি শুনে জশের মনে জন্ম নেয় একদিন পৃথিবী জুড়ে ছুটে বেড়ানোর ইচ্ছে। ২০২২ সালে বাবা-ছেলে মিলে সাইকেলে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। সেই অভিজ্ঞতা জশকে আরও সাহসী করে তোলে। তখন প্রথম পরিকল্পনা ছিল সিঙ্গাপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে ইংল্যান্ডে ফেরা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই ভাবনা বদলে যায়। জশের মনে হলো এত দূরের পথে বের হবই, তাহলে পুরো পৃথিবীটাই ঘুরে আসা যাক। বাবা জর্জ এ প্রসঙ্গে হেসে বলেন, ‘আমরা দুজনই নতুন সাইকেল চালাই। কিন্তু জশের বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করতেই আমি রাজি হয়ে গেলাম।’ তাদের লক্ষ্য শুধু ভ্রমণ নয়, বিশ্বরেকর্ডও। চেষ্টা করছেন তিনটি রেকর্ড ভাঙতে—
– বাবা-ছেলের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সাইকেল ভ্রমণ
– বাবা-ছেলের দ্রুততম বিশ্বভ্রমণ
– বাবা-ছেলের সবচেয়ে বেশি দেশ ভ্রমণ
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম অনুযায়ী, এমন ভ্রমণে অন্তত দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত ভৌগোলিক বিন্দু অতিক্রম করতে হয়। যেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সোজা রেখা টানা যায়। এই শর্ত পূরণ করতে জশ আর জর্জ বেছে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ও স্পেনকে।
রাস্তার জীবন
প্রতিদিন জশ এবং জর্জের লক্ষ্য প্রায় ১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালানো। তবে সেটি নির্ভর করে আবহাওয়া, রাস্তার অবস্থা আর তাদের শারীরিক শক্তির ওপর। কোনো দিন সূর্যের তীব্র তাপে ক্লান্ত শরীর আর দীর্ঘ রাস্তা তাদের গতি কমিয়ে দেয়, আবার মসৃণ পথ পেলে নির্ধারিত দূরত্বের চেয়ে অনেক বেশি চালাতে পারেন। এই যাত্রায় প্রতিদিনই তারা প্রায় ৫ হাজার ক্যালোরি খরচ করেন। তাই এই ভ্রমণে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। আবার সবখানে খাবার পাওয়াটাও বেশ প্রতিবন্ধকতা ছিল। কোথাও সহজেই পেট ভরে খেতে পারে, আবার কোথাও শুধু সামনে যা পাওয়া যায় তাই খেয়ে নিতে হয়। চীনে যাওযার পর তারা বিভিন্ন স্বাদের খাবার খেয়েছেন। যেগুলো তাদের ভ্রমণের বিশেষ স্মৃতি।
মানুষই সবচেয়ে বড় সম্পদ
দীর্ঘ এই ভ্রমণে জশ আর জর্জ সবচেয়ে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা মানুষের আন্তরিকতা। তুরস্কে এক গ্রামের রাস্তায় একজন তার নিজের খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করেছেন। প্রচন্ড গমরে অনেকে জানালা খুলে পানি দিয়েছে। এই ছোট ছোট ঘটনাগুলোই তাদের জন্য বড় আনন্দের। তবে মাঝে মাঝে বাড়ি আর পরিবারের কথা মনে পড়ে, মন খারাপ হয়।
পর্দার আড়ালের গল্প
সাইকেল ভ্রমণের পাশাপাশি এই ভ্রমণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। জশের ইউটিউব চ্যানেলে লাখো মানুষ তাদের ভ্রমণের ভিডিও দেখছে। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামেও ভক্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। অবশ্য জর্জের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন।
ভ্রমণের প্রতিটি দিনেই ক্লান্তি থাকে, মাঝে মাঝে ছোটখাটো ঝগড়াও হয়। কিন্তু এসব কিছুই বেশি দিন থাকে না। দিনের শেষে তারা বুঝতে পারে, এই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত, কঠিন রাস্তা, ক্ষুধা, মানুষের আন্তরিকতা সবই তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
এই ভ্রমণ বাবা-ছেলের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। ধৈর্য ধরতে ও মনে সাহস রাখতে শিখিয়েছে। জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো একে অপরের পাশে থাকা।
সূত্র: সিএনএন
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
৬ ঘণ্টা আগেবিকেল বেলা ছাদে ফুরফুরে হাওয়া খেতে যাচ্ছেন? খালি হাতে যাবেন নাকি? সঙ্গে জিবে জল আনা টক-ঝাল-মিষ্টি কিছু নেবেন না? এখন পেয়ারার মৌসুম। এক বাটি মসলামাখা পেয়ারা সঙ্গে নিয়ে ছাদে বসে খান। গল্পও জমবে, সময়টাও ভালো কাটবে। আপনাদের জন্য টক-ঝাল-মিষ্টি পেয়ারা মাখার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক
১৪ ঘণ্টা আগেজিমে গিয়ে নতুন ওয়ার্কআউট সেশন নিচ্ছেন, কিন্তু দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। এমন হলে হতাশ তো হতেই হয়। বাড়তি ওজন ঝরানো ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিত ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যায়ামই একমাত্র উপায় নয়; ব্যায়ামের সঙ্গে জীবনযাপনের আরও
১৬ ঘণ্টা আগেতারকাদের এয়ারপোর্ট স্টাইল যতই প্রশংসা করি না কেন, যখন বিমান ভ্রমণের জন্য পোশাক বাছতে হয়, তখন কী পরা উচিত, তা ঠিক করা সব সময় সহজ নয়। যেমন ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল যেকোনো সৈকত ছুটির জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু বিমান ভ্রমণের জন্য ফ্লিপ ফ্লপ ধরণেনের জুতা বা স্যান্ডেল পরা উচিত নয়।
১৭ ঘণ্টা আগে