দীপারুণ ভট্টাচার্য
সিকিম ভারতের পর্যটকপ্রিয় একটি পাহাড়ি রাজ্য। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এখানে আসেন হিমালয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
অনেক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিকিম যাব ভিড়হীন হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে। সিকিমের পাহাড়ি গ্রামে গিয়েও যদি শহুরে মানুষদের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে হয়, তাহলে কলকাতা কিংবা ঢাকা শহর ছেড়ে যাওয়ার দরকার কী! তবে বিপদ হলো বৃষ্টি!
কয়েক বছর ধরে হিমালয়ের বিভিন্ন জায়গায় একটা প্রাকৃতিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে—মেঘ ফাটা বৃষ্টি। সারা বছরের বৃষ্টি নেমে আসছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! ভারতের উত্তরাঞ্চল ও হিমাচলের পর এবার এ ঘটনাই হয়েছে সিকিমে। প্রবল বৃষ্টির ধারা হইহই করে নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে রাস্তা, বাড়িঘর, নদীর ওপর তৈরি ব্রিজসহ আরও অনেক কিছু। সিকিমের এই বন্যায় ভেসে গেছে ১৫টি নদীর সেতু। ফলে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ হয়ে পড়েছে জনবিচ্ছিন্ন। খাদ্য, বিদ্যুৎহীনতাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত।
গত ৩ ও ৪ অক্টোবর এই দুই দিনে সিকিমে দুই বছরের সমান বৃষ্টি হয়েছে! এই প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যায় ১৫ থেকে ২০ ফুট। সেতু ভেসে যাওয়ার ফলে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। শুধু সিকিম নয়, প্রবল এই বৃষ্টির প্রভাবে দার্জিলিং, কালিম্পংসহ তিস্তা অববাহিকার বাংলাদেশের দিকেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।
সিকিম মূলত পর্যটন প্রধান রাজ্য। আর এটাই মৌসুম শুরুর সময়। সেখানে তাই পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। তখন সিকিম সরকার পর্যটকদের দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিম ভ্রমণের পরামর্শ দেয়। হোটেলে ফোন করে জানলাম, আমরা যেখানে যাব, মানে রাবাংলা বা বোরং অঞ্চলে, সেখানে তেমন ক্ষতি হয়নি। রাস্তা ঠিক আছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যাওয়ার।
আমরা কলকাতা থেকে দার্জিলিং, জোরথাং, নামচি, রাবাংলা হয়ে বোরং গেলাম নিজে গাড়ি চালিয়ে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার মূল রাস্তা সেবক রোড তখনো বন্ধ। কাজেই জোরথাং হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সে রাস্তায় একটিমাত্র দোলনা ব্রিজ। যার ওপর দিয়ে মাত্র একটাই গাড়ি যেতে পারে। কাজেই পুলিশের নির্দেশে যাওয়ার সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হোটেলে পৌঁছে শুনলাম, আমরা ছাড়া আর সবাই বুকিং ক্যানসেল করে দিয়েছে। কাজেই দুটো রাত কেবল আমরাই রইলাম বোরংয়ের সবচেয়ে ভালো হোটেল ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার রিসোর্টে। আমরাই একমাত্র অতিথি বলে রাজকীয় সেবা পেলাম। কথায় কথায় হোটেলের মালকিন জানালেন, তাঁর ছেলে ও স্বামী দুজনই সিকিমের অন্যান্য জায়গায় ত্রাণের কাজে গেছেন। তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে।
বোরং যাঁরা যাননি, তাঁদের কাছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য দুই-চার কথায় প্রকাশ করা কঠিন। ভোরের সোনালি আলো যখন তুষার শৃঙ্গের ওপর এসে পড়ে, তখন হিমালয় যে অবর্ণনীয় রূপ ধারণ করে, তা হোটেলের নরম বিছানায় শুয়ে উপভোগ করতে চাইলে সিকিমের এই ছোট্ট গ্রামে আসতেই হবে।
কলকাতা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি কিংবা বিমানে বাগডোগরা এসে সেখান থেকে গাড়ি নিতে হবে। সময় লাগবে মোটামুটি ছয় ঘণ্টা। অনলাইনে হোটেল বুকিং করা যাবে। এখানে কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে প্রকৃতি ও পাহাড় উপভোগ করলে মন-প্রাণ শান্ত হবে। তারপর আবার ফিরে যাওয়া যায় মহানগরের নাগরিক কোলাহলে। বোরং থেকে রাবাংলা মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া আশপাশে দর্শনীয় জায়গার সংখ্যা অনেক। এখানে কয়েকটা দিন কাটিয়ে গেলে ভ্রমণের একটা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি হবে।
সিকিম ভারতের পর্যটকপ্রিয় একটি পাহাড়ি রাজ্য। দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এখানে আসেন হিমালয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
অনেক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিকিম যাব ভিড়হীন হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে। সিকিমের পাহাড়ি গ্রামে গিয়েও যদি শহুরে মানুষদের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে হয়, তাহলে কলকাতা কিংবা ঢাকা শহর ছেড়ে যাওয়ার দরকার কী! তবে বিপদ হলো বৃষ্টি!
কয়েক বছর ধরে হিমালয়ের বিভিন্ন জায়গায় একটা প্রাকৃতিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে—মেঘ ফাটা বৃষ্টি। সারা বছরের বৃষ্টি নেমে আসছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! ভারতের উত্তরাঞ্চল ও হিমাচলের পর এবার এ ঘটনাই হয়েছে সিকিমে। প্রবল বৃষ্টির ধারা হইহই করে নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে রাস্তা, বাড়িঘর, নদীর ওপর তৈরি ব্রিজসহ আরও অনেক কিছু। সিকিমের এই বন্যায় ভেসে গেছে ১৫টি নদীর সেতু। ফলে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ হয়ে পড়েছে জনবিচ্ছিন্ন। খাদ্য, বিদ্যুৎহীনতাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত।
গত ৩ ও ৪ অক্টোবর এই দুই দিনে সিকিমে দুই বছরের সমান বৃষ্টি হয়েছে! এই প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে যায় ১৫ থেকে ২০ ফুট। সেতু ভেসে যাওয়ার ফলে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। শুধু সিকিম নয়, প্রবল এই বৃষ্টির প্রভাবে দার্জিলিং, কালিম্পংসহ তিস্তা অববাহিকার বাংলাদেশের দিকেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।
সিকিম মূলত পর্যটন প্রধান রাজ্য। আর এটাই মৌসুম শুরুর সময়। সেখানে তাই পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। তখন সিকিম সরকার পর্যটকদের দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিম ভ্রমণের পরামর্শ দেয়। হোটেলে ফোন করে জানলাম, আমরা যেখানে যাব, মানে রাবাংলা বা বোরং অঞ্চলে, সেখানে তেমন ক্ষতি হয়নি। রাস্তা ঠিক আছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যাওয়ার।
আমরা কলকাতা থেকে দার্জিলিং, জোরথাং, নামচি, রাবাংলা হয়ে বোরং গেলাম নিজে গাড়ি চালিয়ে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার মূল রাস্তা সেবক রোড তখনো বন্ধ। কাজেই জোরথাং হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সে রাস্তায় একটিমাত্র দোলনা ব্রিজ। যার ওপর দিয়ে মাত্র একটাই গাড়ি যেতে পারে। কাজেই পুলিশের নির্দেশে যাওয়ার সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হোটেলে পৌঁছে শুনলাম, আমরা ছাড়া আর সবাই বুকিং ক্যানসেল করে দিয়েছে। কাজেই দুটো রাত কেবল আমরাই রইলাম বোরংয়ের সবচেয়ে ভালো হোটেল ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার রিসোর্টে। আমরাই একমাত্র অতিথি বলে রাজকীয় সেবা পেলাম। কথায় কথায় হোটেলের মালকিন জানালেন, তাঁর ছেলে ও স্বামী দুজনই সিকিমের অন্যান্য জায়গায় ত্রাণের কাজে গেছেন। তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে।
বোরং যাঁরা যাননি, তাঁদের কাছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য দুই-চার কথায় প্রকাশ করা কঠিন। ভোরের সোনালি আলো যখন তুষার শৃঙ্গের ওপর এসে পড়ে, তখন হিমালয় যে অবর্ণনীয় রূপ ধারণ করে, তা হোটেলের নরম বিছানায় শুয়ে উপভোগ করতে চাইলে সিকিমের এই ছোট্ট গ্রামে আসতেই হবে।
কলকাতা থেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি কিংবা বিমানে বাগডোগরা এসে সেখান থেকে গাড়ি নিতে হবে। সময় লাগবে মোটামুটি ছয় ঘণ্টা। অনলাইনে হোটেল বুকিং করা যাবে। এখানে কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে প্রকৃতি ও পাহাড় উপভোগ করলে মন-প্রাণ শান্ত হবে। তারপর আবার ফিরে যাওয়া যায় মহানগরের নাগরিক কোলাহলে। বোরং থেকে রাবাংলা মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া আশপাশে দর্শনীয় জায়গার সংখ্যা অনেক। এখানে কয়েকটা দিন কাটিয়ে গেলে ভ্রমণের একটা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি হবে।
ঘড়ি কেবল সময় দেখার যন্ত্র নয়। বহু আগেই ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘড়ির ভিন্ন রূপে ফিরে আসা নিয়ে ‘ওয়াচেস অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স’ নামের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জেনেভায়। যেখানে নামীদামি সব ব্র্যান্ড নিজেদের ঘড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেতরমুজ গ্রীষ্মকালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। তাজা, রসাল এবং মিষ্টি না হলে এই ফলে সত্যিকার স্বাদ পাওয়া যায় না। তরমুজ কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। গরমকালে তরমুজ হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে, কারণ এর বেশির ভাগই পানি। এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।
১ দিন আগেরাশা থাডানির দিকে তাকালে তরুণী রাভিনার কথা মনে পড়বে অনেকের। রাশা থাডানির জেল্লাদার ত্বক দারুণ ঈর্ষণীয়। হ্যাঁ, স্বীকার করতে হবে এমন ত্বক পেতে বেশ পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। সুন্দর ও তরতাজা থাকার জন্য এই গ্রীষ্মে না হয় রাশার রূপ রুটিনই অনুসরণ করলেন।
২ দিন আগেহেঁশেলের জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছেন বুঝি? উফ, ঠান্ডা ঠান্ডা কী সুন্দর বৃষ্টিভেজা বাতাস বইছে। চট করে দুপুর বা রাতের খাবারের মেনুটা বদলে ফেলবেন নাকি? খিচুড়ির সঙ্গে একটা ভিন্ন পদের মুরগির মাংস হলে জমে যায় কিন্তু! আপনাদের জন্য চিকেন স্টিমার কারির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ছন্দা ব্যানার্জি...
২ দিন আগে