ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ব্যাংকককে ঘিরে বিশ্বের পর্যটকদের আগ্রহ নতুন নয়। রাজপ্রাসাদ, বৌদ্ধমন্দির, নদী ভ্রমণ থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড—সব মিলিয়ে শহরটি ভ্রমণপিয়াসিদের জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বেশ আগেই। তবে এই শহরের আরেকটি পরিচয় সামনে এনেছে ভ্রমণ বিমা প্রতিষ্ঠান ‘কম্পেয়ার দ্য মার্কেট’। তাদের এ বছরের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পর্যটকদের পকেটমারি ও প্রতারণার দিক থেকে ব্যাংকক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর।
ব্যাংককের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো
ব্যাংককের বহুল পরিচিত গ্র্যান্ড প্যালেসে ঘুরতে পাওয়া যতটা আকর্ষণীয়, জায়গাটি ঝুঁকির দিক থেকেও ততটা উল্লেখযোগ্য। এই জায়গায় বিশ্বের যেকোনো পর্যটনকেন্দ্রের তুলনায় পকেটমারি ও প্রতারণা ঘটনা তুলনামূলক বেশি ঘটে। পর্যটকদের রিভিউ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সেখানে ভিড়ের মধ্যে ব্যাগ কাটা, মানিব্যাগ নিয়ে যাওয়া, ভুয়া টিকিট বিক্রি বা অতিরিক্ত দাম দাবি করার মতো ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। শুধু গ্র্যান্ড প্যালেস নয়, ওয়াট ফো এবং চাতুচক উইকেন্ড মার্কেটও একই রকম অবস্থা। বিশেষ করে চাতুচক মার্কেটের মতো জায়গায় মোবাইল ফোন চুরি, ব্যাগ টেনে নেওয়া বা কেনাকাটায় প্রতারণার অভিযোগ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঝুঁকি যেভাবে নির্ধারণ করা হলো
কম্পেয়ার দ্য মার্কেট বিশ্বের ৭৫টির বেশি শহরের পর্যটক রিভিউ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছে, যে শহরগুলোতে পকেটমার, প্রতারণা ও চুরির মতো অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছিল পর্যটকেরা। এসব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি শহরের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। স্কোর যত বেশি, শহরটি তত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এই পদ্ধতি শুধু চুরির হার নয়, পর্যটকদের ভয় ও উদ্বেগকেও তুলে ধরে। যেসব জায়গা নিয়ে পর্যটকেরা বেশি সতর্কবার্তা দিয়েছে, সেগুলোই উঠে এসেছে তালিকার শীর্ষে।
ব্যাংককের পরেই প্যারিস ও প্রাগ
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এসেছে প্যারিস। এই নগরী প্রেম, শিল্প ও সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হলেও পর্যটকদের মানিব্যাগ রক্ষায় যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যারিসে পকেটমারের ঘটনা প্রতারণার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি ঘটে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে। তৃতীয় স্থানে আছে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ। শহরের বড় পর্যটন স্থানগুলোতে, বিশেষ করে মোবাইল ফোন চুরি খুব সাধারণ ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে দ্রুত হাত থেকে ফোন টান দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাগে।

চীনের সাংহাইয়ে প্রতারণার হার বেশি
চতুর্থ স্থানে থাকা সাংহাইয়ের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে পকেটমারির ঘটনা ততটা বেশি নয়। তবে শহরটিতে প্রতারণার হার উল্লেখযোগ্য। ভুয়া ট্যুর গাইড, নকল চা বিক্রি, অতিরিক্ত বিলের ফাঁদসহ নানান কৌশলে পর্যটকদের টার্গেট করা হয় সাংহাইতে।
কোন অঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ
সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।

ভ্রমণের সময় কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, পকেটমারি ও প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে কয়েকটি সাধারণ সতর্কতা বড় বিপদ এড়াতে কাজে দিতে পারে। এগুলো হলো—
এ ছাড়া প্রতিটি শহরে কোন ধরনের প্রতারণা বেশি হয়, সেটি আগে থেকে জেনে গেলে সহজে সন্দেহজনক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পকেটমারি ও প্রতারণার হারে ২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শহর ও তাদের পয়েন্ট—
১. ব্যাংকক: ৮৩.৪৫
২. প্যারিস: ৬৮.৮১
৩. প্রাগ: ৫২.১৬
৪. সাংহাই: ৫১.৮৩
৫. আগ্রা: ৪৭.৪৮
৬. রোম: ৪৫.৫৩
৭. পাতায়া: ৪৪.৪৩
৮. ফুকেট: ৪০.৫২
৯. শেনজেন: ৩৯.৫১
১০. মুম্বাই: ৩৬.৮৬
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ভ্রমণ মানুষের জীবনে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে আকর্ষণীয় শহরগুলো যতই মনোমুগ্ধকর হোক, অপরাধের ঝুঁকি সব সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যাংকক, প্যারিস বা প্রাগের মতো শহরগুলো দারুণ সৌন্দর্য, সংস্কৃতি আর ইতিহাসে ভরপুর। কিন্তু সামান্য অসতর্কতা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সচেতনতা এবং নিজের জিনিসপত্রের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

ব্যাংকককে ঘিরে বিশ্বের পর্যটকদের আগ্রহ নতুন নয়। রাজপ্রাসাদ, বৌদ্ধমন্দির, নদী ভ্রমণ থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুড—সব মিলিয়ে শহরটি ভ্রমণপিয়াসিদের জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বেশ আগেই। তবে এই শহরের আরেকটি পরিচয় সামনে এনেছে ভ্রমণ বিমা প্রতিষ্ঠান ‘কম্পেয়ার দ্য মার্কেট’। তাদের এ বছরের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পর্যটকদের পকেটমারি ও প্রতারণার দিক থেকে ব্যাংকক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর।
ব্যাংককের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো
ব্যাংককের বহুল পরিচিত গ্র্যান্ড প্যালেসে ঘুরতে পাওয়া যতটা আকর্ষণীয়, জায়গাটি ঝুঁকির দিক থেকেও ততটা উল্লেখযোগ্য। এই জায়গায় বিশ্বের যেকোনো পর্যটনকেন্দ্রের তুলনায় পকেটমারি ও প্রতারণা ঘটনা তুলনামূলক বেশি ঘটে। পর্যটকদের রিভিউ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সেখানে ভিড়ের মধ্যে ব্যাগ কাটা, মানিব্যাগ নিয়ে যাওয়া, ভুয়া টিকিট বিক্রি বা অতিরিক্ত দাম দাবি করার মতো ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। শুধু গ্র্যান্ড প্যালেস নয়, ওয়াট ফো এবং চাতুচক উইকেন্ড মার্কেটও একই রকম অবস্থা। বিশেষ করে চাতুচক মার্কেটের মতো জায়গায় মোবাইল ফোন চুরি, ব্যাগ টেনে নেওয়া বা কেনাকাটায় প্রতারণার অভিযোগ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঝুঁকি যেভাবে নির্ধারণ করা হলো
কম্পেয়ার দ্য মার্কেট বিশ্বের ৭৫টির বেশি শহরের পর্যটক রিভিউ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছে, যে শহরগুলোতে পকেটমার, প্রতারণা ও চুরির মতো অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছিল পর্যটকেরা। এসব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি শহরের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। স্কোর যত বেশি, শহরটি তত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। এই পদ্ধতি শুধু চুরির হার নয়, পর্যটকদের ভয় ও উদ্বেগকেও তুলে ধরে। যেসব জায়গা নিয়ে পর্যটকেরা বেশি সতর্কবার্তা দিয়েছে, সেগুলোই উঠে এসেছে তালিকার শীর্ষে।
ব্যাংককের পরেই প্যারিস ও প্রাগ
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এসেছে প্যারিস। এই নগরী প্রেম, শিল্প ও সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হলেও পর্যটকদের মানিব্যাগ রক্ষায় যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যারিসে পকেটমারের ঘটনা প্রতারণার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি ঘটে বলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে। তৃতীয় স্থানে আছে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ। শহরের বড় পর্যটন স্থানগুলোতে, বিশেষ করে মোবাইল ফোন চুরি খুব সাধারণ ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে দ্রুত হাত থেকে ফোন টান দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাগে।

চীনের সাংহাইয়ে প্রতারণার হার বেশি
চতুর্থ স্থানে থাকা সাংহাইয়ের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে পকেটমারির ঘটনা ততটা বেশি নয়। তবে শহরটিতে প্রতারণার হার উল্লেখযোগ্য। ভুয়া ট্যুর গাইড, নকল চা বিক্রি, অতিরিক্ত বিলের ফাঁদসহ নানান কৌশলে পর্যটকদের টার্গেট করা হয় সাংহাইতে।
কোন অঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ
সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।

ভ্রমণের সময় কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, পকেটমারি ও প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে কয়েকটি সাধারণ সতর্কতা বড় বিপদ এড়াতে কাজে দিতে পারে। এগুলো হলো—
এ ছাড়া প্রতিটি শহরে কোন ধরনের প্রতারণা বেশি হয়, সেটি আগে থেকে জেনে গেলে সহজে সন্দেহজনক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পকেটমারি ও প্রতারণার হারে ২০২৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ শহর ও তাদের পয়েন্ট—
১. ব্যাংকক: ৮৩.৪৫
২. প্যারিস: ৬৮.৮১
৩. প্রাগ: ৫২.১৬
৪. সাংহাই: ৫১.৮৩
৫. আগ্রা: ৪৭.৪৮
৬. রোম: ৪৫.৫৩
৭. পাতায়া: ৪৪.৪৩
৮. ফুকেট: ৪০.৫২
৯. শেনজেন: ৩৯.৫১
১০. মুম্বাই: ৩৬.৮৬
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ভ্রমণ মানুষের জীবনে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে আকর্ষণীয় শহরগুলো যতই মনোমুগ্ধকর হোক, অপরাধের ঝুঁকি সব সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। ব্যাংকক, প্যারিস বা প্রাগের মতো শহরগুলো দারুণ সৌন্দর্য, সংস্কৃতি আর ইতিহাসে ভরপুর। কিন্তু সামান্য অসতর্কতা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সচেতনতা এবং নিজের জিনিসপত্রের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
১৮ মিনিট আগে
রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশন নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বের নিরাপদতম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত শান্তিপ্রিয় মনোভাব, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার কারণে দেশটিকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী ভ্রমণকারী, সমকামী সম্প্রদায় এবং যেকোনো মানদণ্ডে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ডস বেশি স্কোর পায়। ২০২৪ সালে নেদারল্যান্ডস ১৪তম স্থানে ছিল। সেখান থেকে এবার উঠে এসেছে শীর্ষে।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সংজ্ঞা শুধু অপরাধের হারের ওপর নির্ভর করে না। এখন পর্যটকেরা স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিস্থিতি, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং ভ্রমণকারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের বিষয়গুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। জরিপে দেখা গেছে, এই দিকগুলোতে নেদারল্যান্ডস অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তাই ২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে তালিকার প্রথমে রয়েছে।
গত বছরের নিরাপদ দেশ আইসল্যান্ড এবার নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। তবু বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আইসল্যান্ড সমাদৃত। দেশটির বড় ঝুঁকি হলো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ। কারণ, লাভা প্রায়ই দেশের একমাত্র রিং রোডে প্রভাব ফেলে, যা পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
২০২৬ সালের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং সন্ত্রাসবাদের কম ঝুঁকিতে থাকার কারণে শীর্ষে এসেছে। অস্ট্রিয়া তিন নম্বরে অবস্থান করছে আর পাঁচ নম্বরে আছে কানাডা।

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে সংস্থার জরিপে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি আমেরিকান ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জরিপে সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দেশগুলোর নিরাপত্তা মান নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে নির্বাচিত ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, জাপান, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক।
নিরাপদ দেশ হিসেবে এই দেশগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক, শান্তিপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করবে। সঠিক প্রস্তুতি এবং সচেতনতার মাধ্যমে পর্যটকেরা নিরাপদ ও আনন্দের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন এ দেশগুলোতে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশন নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বের নিরাপদতম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত শান্তিপ্রিয় মনোভাব, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার কারণে দেশটিকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী ভ্রমণকারী, সমকামী সম্প্রদায় এবং যেকোনো মানদণ্ডে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নেদারল্যান্ডস বেশি স্কোর পায়। ২০২৪ সালে নেদারল্যান্ডস ১৪তম স্থানে ছিল। সেখান থেকে এবার উঠে এসেছে শীর্ষে।
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ট্রাভেল প্রোটেকশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তার সংজ্ঞা শুধু অপরাধের হারের ওপর নির্ভর করে না। এখন পর্যটকেরা স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিস্থিতি, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং ভ্রমণকারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের বিষয়গুলোকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। জরিপে দেখা গেছে, এই দিকগুলোতে নেদারল্যান্ডস অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তাই ২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য এটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে তালিকার প্রথমে রয়েছে।
গত বছরের নিরাপদ দেশ আইসল্যান্ড এবার নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। তবু বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আইসল্যান্ড সমাদৃত। দেশটির বড় ঝুঁকি হলো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ। কারণ, লাভা প্রায়ই দেশের একমাত্র রিং রোডে প্রভাব ফেলে, যা পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
২০২৬ সালের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং সন্ত্রাসবাদের কম ঝুঁকিতে থাকার কারণে শীর্ষে এসেছে। অস্ট্রিয়া তিন নম্বরে অবস্থান করছে আর পাঁচ নম্বরে আছে কানাডা।

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে সংস্থার জরিপে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি আমেরিকান ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জরিপে সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দেশগুলোর নিরাপত্তা মান নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৬ সালে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে নির্বাচিত ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, জাপান, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক।
নিরাপদ দেশ হিসেবে এই দেশগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক, শান্তিপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করবে। সঠিক প্রস্তুতি এবং সচেতনতার মাধ্যমে পর্যটকেরা নিরাপদ ও আনন্দের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন এ দেশগুলোতে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।...
২০ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। এরপর সেদিন রাতেই সংগঠনটির ২১ সদস্য ৫ দিনের ভ্রমণে রওনা দেন থানচি, লামা ও আলীকদমের উদ্দেশে।
বর্ষপূর্তির অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্যুর মুরল্যান্ডের সভাপতি চিকিৎসক শরীফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক ইউসুফ আলী, সদস্য চিকিৎসক জামিল রায়হান, চিকিৎসক নুরুল ইসলাম, সুলতানুল নাহিদসহ অন্যরা।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, ‘এক বছরে অনেক শক্তি ক্ষয় হয়ে গেছে। এখন একটু বের হব। এই পাঁচ দিন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখব। রিংটোন বাজবে না, পাখির গান শুনব। এখন ঘুরতে গিয়ে নতুন করে শক্তি অর্জন করব।’
ট্যুর মুরল্যান্ডের বেশির ভাগ সদস্য পেশায় চিকিৎসক। মূলত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইসমাইল হোসেনের প্রচেষ্টায় এই পর্যটক দল গড়ে উঠেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবার ভ্রমণের আগে তাঁদের একটি থিম সং তৈরি করা হয়; পাশাপাশি প্রতিবারই ভ্রমণে গিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য ক্যাম্প করেন। সেখানে স্থানীয় অধিবাসীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এবারও এমন আয়োজন থাকবে।

রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। এরপর সেদিন রাতেই সংগঠনটির ২১ সদস্য ৫ দিনের ভ্রমণে রওনা দেন থানচি, লামা ও আলীকদমের উদ্দেশে।
বর্ষপূর্তির অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্যুর মুরল্যান্ডের সভাপতি চিকিৎসক শরীফ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক ইউসুফ আলী, সদস্য চিকিৎসক জামিল রায়হান, চিকিৎসক নুরুল ইসলাম, সুলতানুল নাহিদসহ অন্যরা।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, ‘এক বছরে অনেক শক্তি ক্ষয় হয়ে গেছে। এখন একটু বের হব। এই পাঁচ দিন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখব। রিংটোন বাজবে না, পাখির গান শুনব। এখন ঘুরতে গিয়ে নতুন করে শক্তি অর্জন করব।’
ট্যুর মুরল্যান্ডের বেশির ভাগ সদস্য পেশায় চিকিৎসক। মূলত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইসমাইল হোসেনের প্রচেষ্টায় এই পর্যটক দল গড়ে উঠেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবার ভ্রমণের আগে তাঁদের একটি থিম সং তৈরি করা হয়; পাশাপাশি প্রতিবারই ভ্রমণে গিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্য ক্যাম্প করেন। সেখানে স্থানীয় অধিবাসীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এবারও এমন আয়োজন থাকবে।

সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।...
২০ ঘণ্টা আগে
বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
১৮ মিনিট আগে
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বর মানেই পাড়ায় পাড়ায় বিয়ের প্রস্তুতি। আজ এ বাড়িতে বিয়ে, তো কাল সে বাড়িতে। আজকালকার হবু কনের কাজও কিন্তু কম নয়। বিয়ের জোগাড়যন্ত্রে তাঁরাও অনেক কাজে হাত লাগান। তবে এত ব্যস্ততার ফাঁকেও নিজের দিকে একটু নজর দেওয়া চাই। বিয়ের মঞ্চে সবার নজর নববধূর ওপরই থাকে। তাই বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে, যাতে ভেতর থেকে সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
বিয়ের আগে যেভাবে রূপচর্চা করবেন
নিয়ম করে মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ত্বক পরিষ্কার করা দিয়ে দিন শুরু করুন। প্রথমে কুসুম গরম পানির ঝাপটা দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল ও ময়লা অপসারণ করা সহজ হবে। এরপর হাতে ফেসওয়াশ নিয়ে ফেনা তৈরি করে মুখে মেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। নাকের দুই পাশ, চোখের নিজে, চিবুকে ম্যাসাজ করুন। এসব জায়গায় বেশি ময়লা জমে। এরপর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর মুখে ভালোভাবে বরফ ঘরে নিন।

এ তো গেল সকালের কথা। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরেও ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ফেসিয়াল ওয়াইপস দিয়ে মুখের মেকআপ যতটা তোলা যায়, তুলে নিন। তারপর সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর কাপড়ে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। মুখ পরিষ্কারের জন্য দিনে অন্তত দুবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি।
সপ্তাহে ৩ দিন স্ক্র্যাবিং করুন
ত্বকের জেল্লা অটুট রাখতে নিয়মিত ত্বকের এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এ জন্য ঘরোয়া উপকরণ নির্দ্বিধায় ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে ২ চামচ ওটস, এক চামচ দুধ, তার মধ্যে ১ চামচ কফির গুঁড়া, ৪ থেকে ৫ ফোঁটা মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পুরো শরীরে মাখুন। মিনিট ১৫ রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিলেই ত্বক ঝকঝকে হবে। এ ছাড়া চিনি, মধু ও কফি একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে ম্যাসাজ করুন ১৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন। এতে ত্বকের মরা কোষ তো ঝরবেই, ত্বক হয়ে উঠবে কোমল। ত্বকে মৃত কোষ বেশি জমলে পরিমাণমতো মধু ও কফির সঙ্গে ১ চা-চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন। এই স্ক্র্যাব খুব ভালোভাবে মৃত কোষ দূর করে। ত্বক হয়ে উঠবে পেলব ও উজ্জ্বল।
ত্বকের জেল্লা বাড়াবে যেসব প্যাক
ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে প্রলেপ দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্য়াক সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই জেল্লা ফিরে আসবে।

এ ছাড়া ত্বকের অসমান রং ও ময়লা দূর করতে মসুর ডাল এবং কমলার খোসা একসঙ্গে বেটে নিন। এবার এতে কাঁচা দুধ ঢেলে ঘন পেস্ট তৈরি করে পুরো শরীরে মাখুন। চাইলে এতে কাঁচা হলুদ বাটাও যোগ করতে পারেন। এই প্যাক ত্বকে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে ত্বক রগড়ে রগড়ে প্যাক তুলে ভালোভাবে গোসল সেরে নিন। সপ্তাহে ২ দিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে ত্বক সুন্দর, কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ত্বকের ক্লান্তি ও নির্জীব ভাব দূর করতে পাকা কলা চটকে, তার সঙ্গে টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সঠিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগাতে, ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে ভিটামিন ‘সি’ ও সেরামাইড রয়েছে, এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কোকো ও শিয়া বাটার রয়েছে, এমন ক্রিমজাতীয় ময়শ্চারাইজার বেছে নিন।
তবে হ্যাঁ, শুধু ত্বকের বাইরের যত্নই সব নয়। এ সময় থাকতে হবে দুশ্চিন্তামুক্ত, নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে আর খেতে হবে সুষম খাবার। ত্বকের বাহ্যিক যত্নের সঙ্গে এগুলো যুক্ত হলে পাওয়া যাবে দারুণ ফল।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই পাড়ায় পাড়ায় বিয়ের প্রস্তুতি। আজ এ বাড়িতে বিয়ে, তো কাল সে বাড়িতে। আজকালকার হবু কনের কাজও কিন্তু কম নয়। বিয়ের জোগাড়যন্ত্রে তাঁরাও অনেক কাজে হাত লাগান। তবে এত ব্যস্ততার ফাঁকেও নিজের দিকে একটু নজর দেওয়া চাই। বিয়ের মঞ্চে সবার নজর নববধূর ওপরই থাকে। তাই বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে, যাতে ভেতর থেকে সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
বিয়ের আগে যেভাবে রূপচর্চা করবেন
নিয়ম করে মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ত্বক পরিষ্কার করা দিয়ে দিন শুরু করুন। প্রথমে কুসুম গরম পানির ঝাপটা দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখে জমা হওয়া অতিরিক্ত তেল ও ময়লা অপসারণ করা সহজ হবে। এরপর হাতে ফেসওয়াশ নিয়ে ফেনা তৈরি করে মুখে মেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। নাকের দুই পাশ, চোখের নিজে, চিবুকে ম্যাসাজ করুন। এসব জায়গায় বেশি ময়লা জমে। এরপর ঠান্ডা পানির ঝাপটায় মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর মুখে ভালোভাবে বরফ ঘরে নিন।

এ তো গেল সকালের কথা। সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরেও ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ফেসিয়াল ওয়াইপস দিয়ে মুখের মেকআপ যতটা তোলা যায়, তুলে নিন। তারপর সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর কাপড়ে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। মুখ পরিষ্কারের জন্য দিনে অন্তত দুবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি।
সপ্তাহে ৩ দিন স্ক্র্যাবিং করুন
ত্বকের জেল্লা অটুট রাখতে নিয়মিত ত্বকের এক্সফোলিয়েশন জরুরি। এ জন্য ঘরোয়া উপকরণ নির্দ্বিধায় ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে ২ চামচ ওটস, এক চামচ দুধ, তার মধ্যে ১ চামচ কফির গুঁড়া, ৪ থেকে ৫ ফোঁটা মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পুরো শরীরে মাখুন। মিনিট ১৫ রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিলেই ত্বক ঝকঝকে হবে। এ ছাড়া চিনি, মধু ও কফি একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে ম্যাসাজ করুন ১৫ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন। এতে ত্বকের মরা কোষ তো ঝরবেই, ত্বক হয়ে উঠবে কোমল। ত্বকে মৃত কোষ বেশি জমলে পরিমাণমতো মধু ও কফির সঙ্গে ১ চা-চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে নিন। এই স্ক্র্যাব খুব ভালোভাবে মৃত কোষ দূর করে। ত্বক হয়ে উঠবে পেলব ও উজ্জ্বল।
ত্বকের জেল্লা বাড়াবে যেসব প্যাক
ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা হলুদ বেটে তার সঙ্গে এক থেকে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে প্রলেপ দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই প্য়াক সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই জেল্লা ফিরে আসবে।

এ ছাড়া ত্বকের অসমান রং ও ময়লা দূর করতে মসুর ডাল এবং কমলার খোসা একসঙ্গে বেটে নিন। এবার এতে কাঁচা দুধ ঢেলে ঘন পেস্ট তৈরি করে পুরো শরীরে মাখুন। চাইলে এতে কাঁচা হলুদ বাটাও যোগ করতে পারেন। এই প্যাক ত্বকে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে ত্বক রগড়ে রগড়ে প্যাক তুলে ভালোভাবে গোসল সেরে নিন। সপ্তাহে ২ দিন এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে ত্বক সুন্দর, কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ত্বকের ক্লান্তি ও নির্জীব ভাব দূর করতে পাকা কলা চটকে, তার সঙ্গে টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সঠিক ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগাতে, ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে ভিটামিন ‘সি’ ও সেরামাইড রয়েছে, এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কোকো ও শিয়া বাটার রয়েছে, এমন ক্রিমজাতীয় ময়শ্চারাইজার বেছে নিন।
তবে হ্যাঁ, শুধু ত্বকের বাইরের যত্নই সব নয়। এ সময় থাকতে হবে দুশ্চিন্তামুক্ত, নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে আর খেতে হবে সুষম খাবার। ত্বকের বাহ্যিক যত্নের সঙ্গে এগুলো যুক্ত হলে পাওয়া যাবে দারুণ ফল।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন ও অন্যান্য

সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।...
২০ ঘণ্টা আগে
বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
১৮ মিনিট আগে
রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
বেশি নেওয়া হয় স্লিপার

গ্রিসের ফাইয়া দ্বীপে একটি বিলাসবহুল হোটেলের এক মালিক জানান, তাঁদের হোটেল থেকে বেশি নেওয়া হয় রুম স্লিপার। এগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি আরামদায়ক। পুরোনো তোয়ালে রিসাইকেল করে তৈরি এই স্লিপারের তলায় থাকে নারকেলের আঁশ। পরিবেশবান্ধব এই স্লিপার অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া থাকে। তাই এগুলো নেওয়ায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে এমন অনেক হোটেল আছে, যেখানে এসব নেওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা নেই। কিন্তু সেখান থেকে এসব জিনিস উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়।
এক হোটেলমালিক জানান, মাঝে মাঝে অতিথিরা এমন কিছু নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন, যা ব্যাগে নেওয়ার মতো নয়। যেমন রুম বা লবির সাজসজ্জার শিল্পকর্ম বা বিভিন্ন দামি সামগ্রী। তিনি বলেন, অনেকে ভদ্রভাবে অনুমতি চান, কিন্তু অধিকাংশই না জানিয়ে নিয়ে যান।
২০২৩ সালে ‘পাসপোর্ট ফটো’র এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৮৭ শতাংশ ভ্রমণকারী স্বীকার করেছেন, জীবনে অন্তত একবার হোটেল থেকে কিছু নিয়ে গেছেন। প্রতি চারজনের একজন নিয়মিতই হোটেল থেকে কিছু না কিছু তুলে নেন বলে জানা যায়।
২০২৪ সালে ১ হাজার ৩৭৬ জন হোটেল ম্যানেজারকে নিয়ে এক জরিপে উঠে আসে বেশি চুরি হওয়া জিনিসগুলোর তালিকা।
তালিকার প্রথমে রয়েছে তোয়ালে। ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ হোটেল এই অভিযোগ করেছে। এই তালিকায় আরও রয়েছে বাথরোব, হ্যাঙ্গার, কলম, টয়লেট্রিজ বা কসমেটিকস, কফি মেকার, হেয়ারড্রায়ার, রিমোট কন্ট্রোল, এমনকি বড় টিভিও।

জরিপে সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো, কিছু হোটেল থেকে পুরো বাথরুমের বিভিন্ন স্থায়ী জিনিসও খুলে নিয়ে গেছে অতিথিরা। এক ইতালীয় হোটেল ম্যানেজার জানান, একদিন তিনি লবিতে গিয়ে দেখেন, গ্র্যান্ড পিয়ানোটি নেই। পরে জানা যায়, তিনজন অচেনা লোক ওভারঅল পরে এসে সেটি তুলে নিয়ে গেছে এবং আর কখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।
লেক টাহোর স্টেশন হাউস ইন-এর মার্কেটিং ম্যানেজার জানান, তাঁদের হোটেলে সবচেয়ে বেশি চুরি হয় ব্র্যান্ডেড কফি মগ। নতুন ডিজাইনের মগগুলো সাধারণত লবির শেলফে রাখা থাকে। সেই দিনই অন্তত ২০টি মগ উধাও হয়ে যায়। অতিথিরা বিনা মূল্যের কফি ঢেলে হাঁটতে হাঁটতে মগগুলো নিয়ে চলে গেছেন!
ওয়েলনেস হ্যাভেনের তথ্য বলছে, পাঁচ তারা হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরি হওয়ার হার চার তারার তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে দামি ও বড় জিনিস হারানোর ঘটনা বেশি দেখা যায়। ট্যাবলেট কম্পিউটার পাঁচ তারা হোটেল থেকে চুরি হওয়ার আশঙ্কা চার তারার তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি। এ ছাড়া আধুনিক স্মার্ট টিভি, কক্ষে থাকা শিল্পকর্ম এবং এমনকি ম্যাট্রেস পর্যন্ত হারানোর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। হোটেল ব্যবস্থাপকদের মতে, বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে দামি সুবিধা ও সাজসজ্জা থাকায় এগুলো চুরির টার্গেট হয়। তাই অনেক হোটেল এখন কক্ষে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং মূল্যবান জিনিস ব্যবস্থাপনায় কড়া নীতি গ্রহণ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হোটেলের ছোটখাটো জিনিস অতিথিরা স্মারক মনে করে সঙ্গে নিতে চান। আর বড় জিনিস চুরির ঘটনাগুলো হোটেলশিল্পের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়। তবে স্লিপার বা ছোট টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিছু হোটেল এগুলো অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেয়।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে হোটেল রুম থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। আরামদায়ক গাউন, নরম স্লিপার কিংবা আকর্ষণীয় মগ দেখে অনেকে প্রলোভনে পড়ে সেগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু হোটেলমালিকদের মতে, অতিথিরা শুধু এসব ছোটখাটো জিনিসই নেন না, তালিকায় আছে আরও অবাক করা সামগ্রী।
বেশি নেওয়া হয় স্লিপার

গ্রিসের ফাইয়া দ্বীপে একটি বিলাসবহুল হোটেলের এক মালিক জানান, তাঁদের হোটেল থেকে বেশি নেওয়া হয় রুম স্লিপার। এগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি আরামদায়ক। পুরোনো তোয়ালে রিসাইকেল করে তৈরি এই স্লিপারের তলায় থাকে নারকেলের আঁশ। পরিবেশবান্ধব এই স্লিপার অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া থাকে। তাই এগুলো নেওয়ায় কোনো সমস্যা হয় না। তবে এমন অনেক হোটেল আছে, যেখানে এসব নেওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা নেই। কিন্তু সেখান থেকে এসব জিনিস উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়।
এক হোটেলমালিক জানান, মাঝে মাঝে অতিথিরা এমন কিছু নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন, যা ব্যাগে নেওয়ার মতো নয়। যেমন রুম বা লবির সাজসজ্জার শিল্পকর্ম বা বিভিন্ন দামি সামগ্রী। তিনি বলেন, অনেকে ভদ্রভাবে অনুমতি চান, কিন্তু অধিকাংশই না জানিয়ে নিয়ে যান।
২০২৩ সালে ‘পাসপোর্ট ফটো’র এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৮৭ শতাংশ ভ্রমণকারী স্বীকার করেছেন, জীবনে অন্তত একবার হোটেল থেকে কিছু নিয়ে গেছেন। প্রতি চারজনের একজন নিয়মিতই হোটেল থেকে কিছু না কিছু তুলে নেন বলে জানা যায়।
২০২৪ সালে ১ হাজার ৩৭৬ জন হোটেল ম্যানেজারকে নিয়ে এক জরিপে উঠে আসে বেশি চুরি হওয়া জিনিসগুলোর তালিকা।
তালিকার প্রথমে রয়েছে তোয়ালে। ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ হোটেল এই অভিযোগ করেছে। এই তালিকায় আরও রয়েছে বাথরোব, হ্যাঙ্গার, কলম, টয়লেট্রিজ বা কসমেটিকস, কফি মেকার, হেয়ারড্রায়ার, রিমোট কন্ট্রোল, এমনকি বড় টিভিও।

জরিপে সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো, কিছু হোটেল থেকে পুরো বাথরুমের বিভিন্ন স্থায়ী জিনিসও খুলে নিয়ে গেছে অতিথিরা। এক ইতালীয় হোটেল ম্যানেজার জানান, একদিন তিনি লবিতে গিয়ে দেখেন, গ্র্যান্ড পিয়ানোটি নেই। পরে জানা যায়, তিনজন অচেনা লোক ওভারঅল পরে এসে সেটি তুলে নিয়ে গেছে এবং আর কখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।
লেক টাহোর স্টেশন হাউস ইন-এর মার্কেটিং ম্যানেজার জানান, তাঁদের হোটেলে সবচেয়ে বেশি চুরি হয় ব্র্যান্ডেড কফি মগ। নতুন ডিজাইনের মগগুলো সাধারণত লবির শেলফে রাখা থাকে। সেই দিনই অন্তত ২০টি মগ উধাও হয়ে যায়। অতিথিরা বিনা মূল্যের কফি ঢেলে হাঁটতে হাঁটতে মগগুলো নিয়ে চলে গেছেন!
ওয়েলনেস হ্যাভেনের তথ্য বলছে, পাঁচ তারা হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরি হওয়ার হার চার তারার তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে দামি ও বড় জিনিস হারানোর ঘটনা বেশি দেখা যায়। ট্যাবলেট কম্পিউটার পাঁচ তারা হোটেল থেকে চুরি হওয়ার আশঙ্কা চার তারার তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি। এ ছাড়া আধুনিক স্মার্ট টিভি, কক্ষে থাকা শিল্পকর্ম এবং এমনকি ম্যাট্রেস পর্যন্ত হারানোর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। হোটেল ব্যবস্থাপকদের মতে, বিলাসবহুল হোটেলগুলোতে দামি সুবিধা ও সাজসজ্জা থাকায় এগুলো চুরির টার্গেট হয়। তাই অনেক হোটেল এখন কক্ষে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং মূল্যবান জিনিস ব্যবস্থাপনায় কড়া নীতি গ্রহণ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হোটেলের ছোটখাটো জিনিস অতিথিরা স্মারক মনে করে সঙ্গে নিতে চান। আর বড় জিনিস চুরির ঘটনাগুলো হোটেলশিল্পের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে দাঁড়ায়। তবে স্লিপার বা ছোট টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিছু হোটেল এগুলো অতিথিদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেয়।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

সমগ্র র্যাংকিং লক্ষ করলে দেখা যায়, ইউরোপ ও এশিয়া অপরাধের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। এশিয়ার ২৪টি এবং ইউরোপের ২৭টি শহর এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার মাত্র ছয়টি শহর র্যাংকিংয়ে থাকলেও এদের অবস্থান তালিকার শেষের দিকে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন শহর দুটি আছে এই তালিকায়।...
২০ ঘণ্টা আগে
বিদেশ ভ্রমণে নিরাপত্তা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হয়; যদিও যেকোনো দেশে গিয়েই সচেতন থাকা জরুরি। তবে বিশ্বের কিছু দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পর্যটকদের জন্য নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। ২০২৬ সালে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
১৮ মিনিট আগে
রাজশাহীর ভ্রমণপিয়াসি মানুষদের সংগঠন ট্যুর মুরল্যান্ড। সম্প্রতি সংগঠনটির ১৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরদিন থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে বিয়ের দিন ত্বকে একটা উজ্জ্বলতা দেখা যাবে। যদিও অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগের দিন একটা ভালো ফেসিয়াল, ওয়্যাক্সিং ও পেডিকিওর ম্যানিকিওর করে নিলেই দেখতে ভালো লাগবে। তবে এ ধারণা ভুল। বিশেষ দিনের প্রস্তুতি হিসেবে রূপচর্চা এমনভাবে করতে হবে...
১৪ ঘণ্টা আগে