ইকরামুল হাসান শাকিল

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি পর্বতের পাশ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। দূর থেকে নিচের দিকে যখন এই গ্রাম দেখতে পাই, ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল। চারপাশে ধূসর পাথুরে পর্বত। তার ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে। সেই মেঘের নিচে ছোট্ট গ্রাম। তার শস্যখেত দূর থেকে দেখে মনে হলো এক টুকরো সবুজের স্বর্গ!
গ্রামে ঢুকে প্রথমে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু বাড়ির মালকিন রাজি হলেন না। পরে আরও একটি বাড়িতে গেলাম। সেখানেও থাকার সুযোগ হলো না। তবে বাড়ির মালিক একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই বাড়ি আমাদের গ্রামের প্রধান লামার। সেখানে যাও। তিনিই থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।’ আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়ালাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে এলাম। বাড়িতে ঢোকার দরজা খোলাই ছিল।
আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই আট-দশ বছরের একটি ছেলে কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এল, কিন্তু কিছু বলল না। আবার দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল। আমি বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে বড় কাউকে খুঁজছি। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। ঘরের ভেতর থেকে সেই ছেলের সঙ্গে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম, তাশি দিলেক। তিনিও আমাকে তাশি দিলেক বলে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। বললাম, আমার নাম শাকিল, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি একজন পর্বতারোহী, গ্রেট হিমালয় ট্রেইল অভিযান করছি। সেই হিলশা থেকে ট্রেকিং শুরু করেছি। আজকে আপনার গ্রামে একটু থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন? তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘অবশ্যই।
তুমি আমার বাড়িতেই থাকতে পারো, যদি তোমার সমস্যা না হয়।’ আমি আনন্দের সঙ্গে জানালাম, ‘না না, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাকে একটু থাকার জায়গা দিলেই হবে।’ আমাকে তিনি তাঁর ঘরের ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই গ্রামের ঘরগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে অন্য সব গ্রাম থেকে। এখানে যেহেতু বড় বড় গাছ কিংবা পাথর নেই, তাই সেগুলোর ব্যবহার কম। এখানে নুড়িমিশ্রিত মাটি দিয়ে ঘরগুলো তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে বড় ঘর। এই একটি ঘরেই অনেক কক্ষ। প্রায় প্রতিটি ঘরই দোতলা।
নিচতলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়। আর ওপরের ঘরগুলোতে থাকার ব্যবস্থা। অনেক পুরোনো কাঠের দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকলাম। নানা জিনিসপত্র রাখা আছে চারপাশে। দেখে মনে হচ্ছে একটি গোডাউন। ওপরের কক্ষে যাওয়ার জন্য একটি গাছের গুঁড়ি রাখা আছে। এই গুঁড়ি সিঁড়ির মতো খাঁজকাটা। এই খাঁজকাটা গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে ওপরে উঠে এলাম।এখানে চারটা কক্ষ। একটা কক্ষে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। ছোট একটি কক্ষে তাঁর দুই নাতি থাকে। একটি বড় রান্নাঘর। আর সব থেকে বড় যে কক্ষ, সেটি হলো তাঁদের পারিবারিক উপাসনালয়। আমার থাকার ব্যবস্থা হলো এই উপাসনালয়ের ঘরটিতে। এই গ্রামের সবাই তিব্বতিয়ান। তারা তিব্বতিয়ান বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ মনাস্ট্রির ভেতরে যেমন হয়, এটিও ঠিক তেমনই। কোনো কমতি নেই। আমাকে এখানে থাকতে দেওয়ায় খুব বেশি অবাক হইনি। এর আগেও এমন জায়গায় থাকার সুযোগ হয়েছে।
পুরো বিকেলটা কাটালাম গ্রামটি ঘুরে। গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখতে পেলাম। এগিয়ে গিয়ে দেখি একজন মৃত মানুষের সৎকারের জন্য ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে পালনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে এই আনুষ্ঠানিকতা।
তারপর সকালে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের ওপরে নিয়ে যাওয়া হবে মৃতদেহটি সৎকার করতে। এরা মৃতদেহকে কবর দেয় না কিংবা চিতায় দাহ করে না। এদের সৎকারের প্রথা অন্য রকম। মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে শকুন, চিলদের খেতে দেওয়া হয়!
তাদের এই প্রথার চর্চা করা হয় তিব্বত ও নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায়।
এই প্রথাকে তিব্বতি ভাষায় ‘ঝাটর’ বলা হয়। ঝাটর অর্থ পাখিদের খাবার দেওয়া। সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে মৃতদেহটিকে প্রথমে পাহাড়ের ওপরে সৎকারের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লামা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সৎকারের উদ্দেশ্যে পূজা করতে থাকেন এবং সেখানে থাকা সন্ন্যাসীরা দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন। তারপর সেখানে উড়ে আসে শকুনের মতো মাংসাশী পাখিরা। তারা এসে মৃতদেহটির মাংস খেয়ে ফেলে। শকুনেরা তো শুধু মাংস খেয়েই উড়ে যায়, থেকে যায় মৃতদেহের হাড়গুলো। সেগুলো এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়ো করে ফেলা হয়। হাড়ের চূর্ণ এরপর ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অন্য ছোট পাখিদের খাওয়ানো হয়। আকাশ থেকে উড়ে আসা প্রাণীদের সাহায্যে এই সৎকারের কাজ করা হয় বলেই এর নাম ‘ঝাটর’।
রাতে সুশিং লাদাং পরিবারের সঙ্গেই খাবার খাওয়া হলো। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, সুকুটি (শুকনো মাংস), রাই শাক, ডাল, আলু সেদ্ধ, মুলার চাটনি ও স্যুচিয়া বা তিব্বতি লবণ-চা। রাতে বেশ দীর্ঘ ও গভীর ঘুম হলো। এমন ঘুম অনেক দিন হয়নি। রাতেই ভেবে রেখেছিলাম, সেই মৃতদেহের সৎকার নিজের চোখে দেখব। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়লাম মৃত ব্যক্তির বাড়ির দিকে। মৃতদেহটি নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। আমিও তাদের পেছনে হাঁটতে লাগলাম। সৎকারের জায়গায় পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেল। এই প্রথম নিজের চোখে এ রকম একটি সৎকারপ্রথা দেখছি।

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি পর্বতের পাশ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। দূর থেকে নিচের দিকে যখন এই গ্রাম দেখতে পাই, ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল। চারপাশে ধূসর পাথুরে পর্বত। তার ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে। সেই মেঘের নিচে ছোট্ট গ্রাম। তার শস্যখেত দূর থেকে দেখে মনে হলো এক টুকরো সবুজের স্বর্গ!
গ্রামে ঢুকে প্রথমে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু বাড়ির মালকিন রাজি হলেন না। পরে আরও একটি বাড়িতে গেলাম। সেখানেও থাকার সুযোগ হলো না। তবে বাড়ির মালিক একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই বাড়ি আমাদের গ্রামের প্রধান লামার। সেখানে যাও। তিনিই থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।’ আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়ালাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে এলাম। বাড়িতে ঢোকার দরজা খোলাই ছিল।
আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই আট-দশ বছরের একটি ছেলে কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এল, কিন্তু কিছু বলল না। আবার দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল। আমি বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে বড় কাউকে খুঁজছি। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। ঘরের ভেতর থেকে সেই ছেলের সঙ্গে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম, তাশি দিলেক। তিনিও আমাকে তাশি দিলেক বলে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। বললাম, আমার নাম শাকিল, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি একজন পর্বতারোহী, গ্রেট হিমালয় ট্রেইল অভিযান করছি। সেই হিলশা থেকে ট্রেকিং শুরু করেছি। আজকে আপনার গ্রামে একটু থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন? তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘অবশ্যই।
তুমি আমার বাড়িতেই থাকতে পারো, যদি তোমার সমস্যা না হয়।’ আমি আনন্দের সঙ্গে জানালাম, ‘না না, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাকে একটু থাকার জায়গা দিলেই হবে।’ আমাকে তিনি তাঁর ঘরের ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই গ্রামের ঘরগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে অন্য সব গ্রাম থেকে। এখানে যেহেতু বড় বড় গাছ কিংবা পাথর নেই, তাই সেগুলোর ব্যবহার কম। এখানে নুড়িমিশ্রিত মাটি দিয়ে ঘরগুলো তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে বড় ঘর। এই একটি ঘরেই অনেক কক্ষ। প্রায় প্রতিটি ঘরই দোতলা।
নিচতলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়। আর ওপরের ঘরগুলোতে থাকার ব্যবস্থা। অনেক পুরোনো কাঠের দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকলাম। নানা জিনিসপত্র রাখা আছে চারপাশে। দেখে মনে হচ্ছে একটি গোডাউন। ওপরের কক্ষে যাওয়ার জন্য একটি গাছের গুঁড়ি রাখা আছে। এই গুঁড়ি সিঁড়ির মতো খাঁজকাটা। এই খাঁজকাটা গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে ওপরে উঠে এলাম।এখানে চারটা কক্ষ। একটা কক্ষে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। ছোট একটি কক্ষে তাঁর দুই নাতি থাকে। একটি বড় রান্নাঘর। আর সব থেকে বড় যে কক্ষ, সেটি হলো তাঁদের পারিবারিক উপাসনালয়। আমার থাকার ব্যবস্থা হলো এই উপাসনালয়ের ঘরটিতে। এই গ্রামের সবাই তিব্বতিয়ান। তারা তিব্বতিয়ান বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ মনাস্ট্রির ভেতরে যেমন হয়, এটিও ঠিক তেমনই। কোনো কমতি নেই। আমাকে এখানে থাকতে দেওয়ায় খুব বেশি অবাক হইনি। এর আগেও এমন জায়গায় থাকার সুযোগ হয়েছে।
পুরো বিকেলটা কাটালাম গ্রামটি ঘুরে। গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখতে পেলাম। এগিয়ে গিয়ে দেখি একজন মৃত মানুষের সৎকারের জন্য ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে পালনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে এই আনুষ্ঠানিকতা।
তারপর সকালে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের ওপরে নিয়ে যাওয়া হবে মৃতদেহটি সৎকার করতে। এরা মৃতদেহকে কবর দেয় না কিংবা চিতায় দাহ করে না। এদের সৎকারের প্রথা অন্য রকম। মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে শকুন, চিলদের খেতে দেওয়া হয়!
তাদের এই প্রথার চর্চা করা হয় তিব্বত ও নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায়।
এই প্রথাকে তিব্বতি ভাষায় ‘ঝাটর’ বলা হয়। ঝাটর অর্থ পাখিদের খাবার দেওয়া। সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে মৃতদেহটিকে প্রথমে পাহাড়ের ওপরে সৎকারের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লামা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সৎকারের উদ্দেশ্যে পূজা করতে থাকেন এবং সেখানে থাকা সন্ন্যাসীরা দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন। তারপর সেখানে উড়ে আসে শকুনের মতো মাংসাশী পাখিরা। তারা এসে মৃতদেহটির মাংস খেয়ে ফেলে। শকুনেরা তো শুধু মাংস খেয়েই উড়ে যায়, থেকে যায় মৃতদেহের হাড়গুলো। সেগুলো এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়ো করে ফেলা হয়। হাড়ের চূর্ণ এরপর ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অন্য ছোট পাখিদের খাওয়ানো হয়। আকাশ থেকে উড়ে আসা প্রাণীদের সাহায্যে এই সৎকারের কাজ করা হয় বলেই এর নাম ‘ঝাটর’।
রাতে সুশিং লাদাং পরিবারের সঙ্গেই খাবার খাওয়া হলো। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, সুকুটি (শুকনো মাংস), রাই শাক, ডাল, আলু সেদ্ধ, মুলার চাটনি ও স্যুচিয়া বা তিব্বতি লবণ-চা। রাতে বেশ দীর্ঘ ও গভীর ঘুম হলো। এমন ঘুম অনেক দিন হয়নি। রাতেই ভেবে রেখেছিলাম, সেই মৃতদেহের সৎকার নিজের চোখে দেখব। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়লাম মৃত ব্যক্তির বাড়ির দিকে। মৃতদেহটি নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। আমিও তাদের পেছনে হাঁটতে লাগলাম। সৎকারের জায়গায় পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেল। এই প্রথম নিজের চোখে এ রকম একটি সৎকারপ্রথা দেখছি।
ইকরামুল হাসান শাকিল

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি পর্বতের পাশ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। দূর থেকে নিচের দিকে যখন এই গ্রাম দেখতে পাই, ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল। চারপাশে ধূসর পাথুরে পর্বত। তার ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে। সেই মেঘের নিচে ছোট্ট গ্রাম। তার শস্যখেত দূর থেকে দেখে মনে হলো এক টুকরো সবুজের স্বর্গ!
গ্রামে ঢুকে প্রথমে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু বাড়ির মালকিন রাজি হলেন না। পরে আরও একটি বাড়িতে গেলাম। সেখানেও থাকার সুযোগ হলো না। তবে বাড়ির মালিক একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই বাড়ি আমাদের গ্রামের প্রধান লামার। সেখানে যাও। তিনিই থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।’ আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়ালাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে এলাম। বাড়িতে ঢোকার দরজা খোলাই ছিল।
আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই আট-দশ বছরের একটি ছেলে কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এল, কিন্তু কিছু বলল না। আবার দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল। আমি বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে বড় কাউকে খুঁজছি। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। ঘরের ভেতর থেকে সেই ছেলের সঙ্গে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম, তাশি দিলেক। তিনিও আমাকে তাশি দিলেক বলে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। বললাম, আমার নাম শাকিল, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি একজন পর্বতারোহী, গ্রেট হিমালয় ট্রেইল অভিযান করছি। সেই হিলশা থেকে ট্রেকিং শুরু করেছি। আজকে আপনার গ্রামে একটু থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন? তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘অবশ্যই।
তুমি আমার বাড়িতেই থাকতে পারো, যদি তোমার সমস্যা না হয়।’ আমি আনন্দের সঙ্গে জানালাম, ‘না না, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাকে একটু থাকার জায়গা দিলেই হবে।’ আমাকে তিনি তাঁর ঘরের ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই গ্রামের ঘরগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে অন্য সব গ্রাম থেকে। এখানে যেহেতু বড় বড় গাছ কিংবা পাথর নেই, তাই সেগুলোর ব্যবহার কম। এখানে নুড়িমিশ্রিত মাটি দিয়ে ঘরগুলো তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে বড় ঘর। এই একটি ঘরেই অনেক কক্ষ। প্রায় প্রতিটি ঘরই দোতলা।
নিচতলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়। আর ওপরের ঘরগুলোতে থাকার ব্যবস্থা। অনেক পুরোনো কাঠের দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকলাম। নানা জিনিসপত্র রাখা আছে চারপাশে। দেখে মনে হচ্ছে একটি গোডাউন। ওপরের কক্ষে যাওয়ার জন্য একটি গাছের গুঁড়ি রাখা আছে। এই গুঁড়ি সিঁড়ির মতো খাঁজকাটা। এই খাঁজকাটা গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে ওপরে উঠে এলাম।এখানে চারটা কক্ষ। একটা কক্ষে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। ছোট একটি কক্ষে তাঁর দুই নাতি থাকে। একটি বড় রান্নাঘর। আর সব থেকে বড় যে কক্ষ, সেটি হলো তাঁদের পারিবারিক উপাসনালয়। আমার থাকার ব্যবস্থা হলো এই উপাসনালয়ের ঘরটিতে। এই গ্রামের সবাই তিব্বতিয়ান। তারা তিব্বতিয়ান বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ মনাস্ট্রির ভেতরে যেমন হয়, এটিও ঠিক তেমনই। কোনো কমতি নেই। আমাকে এখানে থাকতে দেওয়ায় খুব বেশি অবাক হইনি। এর আগেও এমন জায়গায় থাকার সুযোগ হয়েছে।
পুরো বিকেলটা কাটালাম গ্রামটি ঘুরে। গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখতে পেলাম। এগিয়ে গিয়ে দেখি একজন মৃত মানুষের সৎকারের জন্য ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে পালনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে এই আনুষ্ঠানিকতা।
তারপর সকালে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের ওপরে নিয়ে যাওয়া হবে মৃতদেহটি সৎকার করতে। এরা মৃতদেহকে কবর দেয় না কিংবা চিতায় দাহ করে না। এদের সৎকারের প্রথা অন্য রকম। মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে শকুন, চিলদের খেতে দেওয়া হয়!
তাদের এই প্রথার চর্চা করা হয় তিব্বত ও নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায়।
এই প্রথাকে তিব্বতি ভাষায় ‘ঝাটর’ বলা হয়। ঝাটর অর্থ পাখিদের খাবার দেওয়া। সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে মৃতদেহটিকে প্রথমে পাহাড়ের ওপরে সৎকারের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লামা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সৎকারের উদ্দেশ্যে পূজা করতে থাকেন এবং সেখানে থাকা সন্ন্যাসীরা দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন। তারপর সেখানে উড়ে আসে শকুনের মতো মাংসাশী পাখিরা। তারা এসে মৃতদেহটির মাংস খেয়ে ফেলে। শকুনেরা তো শুধু মাংস খেয়েই উড়ে যায়, থেকে যায় মৃতদেহের হাড়গুলো। সেগুলো এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়ো করে ফেলা হয়। হাড়ের চূর্ণ এরপর ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অন্য ছোট পাখিদের খাওয়ানো হয়। আকাশ থেকে উড়ে আসা প্রাণীদের সাহায্যে এই সৎকারের কাজ করা হয় বলেই এর নাম ‘ঝাটর’।
রাতে সুশিং লাদাং পরিবারের সঙ্গেই খাবার খাওয়া হলো। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, সুকুটি (শুকনো মাংস), রাই শাক, ডাল, আলু সেদ্ধ, মুলার চাটনি ও স্যুচিয়া বা তিব্বতি লবণ-চা। রাতে বেশ দীর্ঘ ও গভীর ঘুম হলো। এমন ঘুম অনেক দিন হয়নি। রাতেই ভেবে রেখেছিলাম, সেই মৃতদেহের সৎকার নিজের চোখে দেখব। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়লাম মৃত ব্যক্তির বাড়ির দিকে। মৃতদেহটি নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। আমিও তাদের পেছনে হাঁটতে লাগলাম। সৎকারের জায়গায় পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেল। এই প্রথম নিজের চোখে এ রকম একটি সৎকারপ্রথা দেখছি।

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি পর্বতের পাশ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। দূর থেকে নিচের দিকে যখন এই গ্রাম দেখতে পাই, ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল। চারপাশে ধূসর পাথুরে পর্বত। তার ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে। সেই মেঘের নিচে ছোট্ট গ্রাম। তার শস্যখেত দূর থেকে দেখে মনে হলো এক টুকরো সবুজের স্বর্গ!
গ্রামে ঢুকে প্রথমে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু বাড়ির মালকিন রাজি হলেন না। পরে আরও একটি বাড়িতে গেলাম। সেখানেও থাকার সুযোগ হলো না। তবে বাড়ির মালিক একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘ওই বাড়ি আমাদের গ্রামের প্রধান লামার। সেখানে যাও। তিনিই থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।’ আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেই বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়ালাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে কিছুটা নিচে নেমে এলাম। বাড়িতে ঢোকার দরজা খোলাই ছিল।
আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই আট-দশ বছরের একটি ছেলে কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এল, কিন্তু কিছু বলল না। আবার দৌড়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল। আমি বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে বড় কাউকে খুঁজছি। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। ঘরের ভেতর থেকে সেই ছেলের সঙ্গে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। আমি তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়ে বললাম, তাশি দিলেক। তিনিও আমাকে তাশি দিলেক বলে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। বললাম, আমার নাম শাকিল, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি একজন পর্বতারোহী, গ্রেট হিমালয় ট্রেইল অভিযান করছি। সেই হিলশা থেকে ট্রেকিং শুরু করেছি। আজকে আপনার গ্রামে একটু থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন? তিনি মুচকি হেসে বললেন, ‘অবশ্যই।
তুমি আমার বাড়িতেই থাকতে পারো, যদি তোমার সমস্যা না হয়।’ আমি আনন্দের সঙ্গে জানালাম, ‘না না, আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাকে একটু থাকার জায়গা দিলেই হবে।’ আমাকে তিনি তাঁর ঘরের ভেতরে নিয়ে গেলেন। এই গ্রামের ঘরগুলোর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে অন্য সব গ্রাম থেকে। এখানে যেহেতু বড় বড় গাছ কিংবা পাথর নেই, তাই সেগুলোর ব্যবহার কম। এখানে নুড়িমিশ্রিত মাটি দিয়ে ঘরগুলো তৈরি। প্রতিটি বাড়িতে একটি করে বড় ঘর। এই একটি ঘরেই অনেক কক্ষ। প্রায় প্রতিটি ঘরই দোতলা।
নিচতলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়। আর ওপরের ঘরগুলোতে থাকার ব্যবস্থা। অনেক পুরোনো কাঠের দরজা ঠেলে ঘরের ভেতর ঢুকলাম। নানা জিনিসপত্র রাখা আছে চারপাশে। দেখে মনে হচ্ছে একটি গোডাউন। ওপরের কক্ষে যাওয়ার জন্য একটি গাছের গুঁড়ি রাখা আছে। এই গুঁড়ি সিঁড়ির মতো খাঁজকাটা। এই খাঁজকাটা গাছের গুঁড়ি ব্যবহার করে ওপরে উঠে এলাম।এখানে চারটা কক্ষ। একটা কক্ষে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। ছোট একটি কক্ষে তাঁর দুই নাতি থাকে। একটি বড় রান্নাঘর। আর সব থেকে বড় যে কক্ষ, সেটি হলো তাঁদের পারিবারিক উপাসনালয়। আমার থাকার ব্যবস্থা হলো এই উপাসনালয়ের ঘরটিতে। এই গ্রামের সবাই তিব্বতিয়ান। তারা তিব্বতিয়ান বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ মনাস্ট্রির ভেতরে যেমন হয়, এটিও ঠিক তেমনই। কোনো কমতি নেই। আমাকে এখানে থাকতে দেওয়ায় খুব বেশি অবাক হইনি। এর আগেও এমন জায়গায় থাকার সুযোগ হয়েছে।
পুরো বিকেলটা কাটালাম গ্রামটি ঘুরে। গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কিছু মানুষের ভিড় দেখতে পেলাম। এগিয়ে গিয়ে দেখি একজন মৃত মানুষের সৎকারের জন্য ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে পালনীয় কাজগুলো করা হচ্ছে। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলবে এই আনুষ্ঠানিকতা।
তারপর সকালে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে পাহাড়ের ওপরে নিয়ে যাওয়া হবে মৃতদেহটি সৎকার করতে। এরা মৃতদেহকে কবর দেয় না কিংবা চিতায় দাহ করে না। এদের সৎকারের প্রথা অন্য রকম। মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে শকুন, চিলদের খেতে দেওয়া হয়!
তাদের এই প্রথার চর্চা করা হয় তিব্বত ও নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায়।
এই প্রথাকে তিব্বতি ভাষায় ‘ঝাটর’ বলা হয়। ঝাটর অর্থ পাখিদের খাবার দেওয়া। সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে মৃতদেহটিকে প্রথমে পাহাড়ের ওপরে সৎকারের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লামা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সৎকারের উদ্দেশ্যে পূজা করতে থাকেন এবং সেখানে থাকা সন্ন্যাসীরা দেহটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন। তারপর সেখানে উড়ে আসে শকুনের মতো মাংসাশী পাখিরা। তারা এসে মৃতদেহটির মাংস খেয়ে ফেলে। শকুনেরা তো শুধু মাংস খেয়েই উড়ে যায়, থেকে যায় মৃতদেহের হাড়গুলো। সেগুলো এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়ো করে ফেলা হয়। হাড়ের চূর্ণ এরপর ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে অন্য ছোট পাখিদের খাওয়ানো হয়। আকাশ থেকে উড়ে আসা প্রাণীদের সাহায্যে এই সৎকারের কাজ করা হয় বলেই এর নাম ‘ঝাটর’।
রাতে সুশিং লাদাং পরিবারের সঙ্গেই খাবার খাওয়া হলো। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, সুকুটি (শুকনো মাংস), রাই শাক, ডাল, আলু সেদ্ধ, মুলার চাটনি ও স্যুচিয়া বা তিব্বতি লবণ-চা। রাতে বেশ দীর্ঘ ও গভীর ঘুম হলো। এমন ঘুম অনেক দিন হয়নি। রাতেই ভেবে রেখেছিলাম, সেই মৃতদেহের সৎকার নিজের চোখে দেখব। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বেরিয়ে পড়লাম মৃত ব্যক্তির বাড়ির দিকে। মৃতদেহটি নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছে। আমিও তাদের পেছনে হাঁটতে লাগলাম। সৎকারের জায়গায় পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেল। এই প্রথম নিজের চোখে এ রকম একটি সৎকারপ্রথা দেখছি।

এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না।
৪০ মিনিট আগে
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা...
১ ঘণ্টা আগে
‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না। শহরের বাইরে গিয়ে ঠান্ডায় যেন বেকায়দায় না পড়তে হয়, তাই কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে ঘর ছাড়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পা-ঢাকা জুতা, মোজা, স্কার্ফ ও টুপির মতো অন্যান্য শীতকালীন পোশাকও প্যাক করার কথা বিবেচনায় নিতে হবে। শীত মোকাবিলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকবে, আবার ব্যাগও ভারী হবে না, এমন কিছু টিপস রইল।
লেয়ারিং টপস নিন
এখনো যেহেতু অত শীত পড়েনি, তাই লেয়ারিং করে পরা যায় এমন টপস নিতে হবে। টার্টেল নেকের ফুলস্লিভ গেঞ্জি, হাতাকাটা কয়েকটি টি-শার্ট আর দুটি হাফস্লিভ টি-শার্ট সঙ্গে নিন। আবহাওয়া বুঝে একটার ওপর আরেকটা লেয়ার করে পরলেন। এসব টপসের রং কালো, সাদা অথবা বেইজ হলে ভালো হয়। তাহলে লেয়ারিং করার সময় দেখতে ভালো লাগবে।
গন্তব্যে যাওয়ার সময় ভারী প্যান্ট পরুন
ঠান্ডার জন্য একটা ভারী প্যান্ট তো নিতেই হবে। ব্যাগের জায়গা বাঁচাতে এবং ব্যাগ যেন ভারী না হয়, এ জন্য যাওয়ার সময় ভারী প্যান্টটা পরে নিন। যদি ব্লেজার বা বুট নিত হয়, তাহলে সেগুলোও পরে বের হোন। তাতে ব্যাগ হালকা লাগবে।
হালকা এবং গরম কাপড় বেছে নিন
যদি আগে থেকে জানা থাকে গন্তব্যের আবহাওয়া কেমন, সে ক্ষেত্রে একটু উষ্ণ কাপড় নেওয়ার আগ্রহ থাকলে এমন কাপড় বেছে নিন, যা ওজনে হালকা কিন্তু পরলে শরীর উষ্ণতা পাবে।
ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ ব্যবহার করুন
ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ বা কম্প্রেশন ব্যাগ থাকলে অনেক ভারী কাপড়ও কম জায়গায় বহন করা যায়। পোশাকগুলো সুন্দর করে ভাঁজ করে এই ব্যাগে রাখুন। এবার ব্যাগটি বন্ধ করুন এবং বাতাস বের করে দিন। এই ব্যাগগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এসব ব্যাগে কাপড় ভরে তারপর বড় ব্যাগে নিলে অনেক কাপড় নেওয়া যায় অল্প জায়গায়।
সূত্র: দ্য ট্রাভেল হ্যাক ও অন্যান্য

এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না। শহরের বাইরে গিয়ে ঠান্ডায় যেন বেকায়দায় না পড়তে হয়, তাই কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে ঘর ছাড়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। পা-ঢাকা জুতা, মোজা, স্কার্ফ ও টুপির মতো অন্যান্য শীতকালীন পোশাকও প্যাক করার কথা বিবেচনায় নিতে হবে। শীত মোকাবিলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকবে, আবার ব্যাগও ভারী হবে না, এমন কিছু টিপস রইল।
লেয়ারিং টপস নিন
এখনো যেহেতু অত শীত পড়েনি, তাই লেয়ারিং করে পরা যায় এমন টপস নিতে হবে। টার্টেল নেকের ফুলস্লিভ গেঞ্জি, হাতাকাটা কয়েকটি টি-শার্ট আর দুটি হাফস্লিভ টি-শার্ট সঙ্গে নিন। আবহাওয়া বুঝে একটার ওপর আরেকটা লেয়ার করে পরলেন। এসব টপসের রং কালো, সাদা অথবা বেইজ হলে ভালো হয়। তাহলে লেয়ারিং করার সময় দেখতে ভালো লাগবে।
গন্তব্যে যাওয়ার সময় ভারী প্যান্ট পরুন
ঠান্ডার জন্য একটা ভারী প্যান্ট তো নিতেই হবে। ব্যাগের জায়গা বাঁচাতে এবং ব্যাগ যেন ভারী না হয়, এ জন্য যাওয়ার সময় ভারী প্যান্টটা পরে নিন। যদি ব্লেজার বা বুট নিত হয়, তাহলে সেগুলোও পরে বের হোন। তাতে ব্যাগ হালকা লাগবে।
হালকা এবং গরম কাপড় বেছে নিন
যদি আগে থেকে জানা থাকে গন্তব্যের আবহাওয়া কেমন, সে ক্ষেত্রে একটু উষ্ণ কাপড় নেওয়ার আগ্রহ থাকলে এমন কাপড় বেছে নিন, যা ওজনে হালকা কিন্তু পরলে শরীর উষ্ণতা পাবে।
ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ ব্যবহার করুন
ভ্যাকুয়াম সিল ব্যাগ বা কম্প্রেশন ব্যাগ থাকলে অনেক ভারী কাপড়ও কম জায়গায় বহন করা যায়। পোশাকগুলো সুন্দর করে ভাঁজ করে এই ব্যাগে রাখুন। এবার ব্যাগটি বন্ধ করুন এবং বাতাস বের করে দিন। এই ব্যাগগুলো বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এসব ব্যাগে কাপড় ভরে তারপর বড় ব্যাগে নিলে অনেক কাপড় নেওয়া যায় অল্প জায়গায়।
সূত্র: দ্য ট্রাভেল হ্যাক ও অন্যান্য

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা...
১ ঘণ্টা আগে
‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে। অপ্রত্যাশিত অর্থ প্রাপ্তির যোগ আছে, যা দিয়ে সাধের 'শখের জিনিস'টি কিনতে পারবেন (কিন্তু ইএমআই কিস্তির কথাও একটু মাথায় রাখুন)। প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো গভীর দার্শনিক কথা বলছেন, আর প্রিয়জন ভাবছেন আপনি বিড়বিড় করছেন। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় একটি ফ্লিপচার্ট ব্যবহার করুন অথবা অন্তত একটি ডিকশনারি পাশে রাখুন। কাজের চাপ বাড়লে কফির কাপকে আপনার থেরাপিস্ট ভাবুন।
বৃষ
আপনার রাশিফল বলছে, 'অপ্রয়োজনীয় খরচ' কমাতে হবে। অথচ আপনার শপিং লিস্টে অপ্রয়োজনীয় জিনিসই বেশি! আজ একটি অর্থনৈতিক ধ্যানের মুডে থাকবেন, অর্থাৎ মানিব্যাগটি আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রাখুন। দূরদেশ থেকে কোনো সুখবর আসতে পারে—হয়তো সেই বন্ধুটি, যে আপনার কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল, সে আজ ফোন করে ক্ষমা চাইবে (টাকাটা দেবে না, শুধু ক্ষমা)। রাস্তায় চলাফেরার সময় একটু সাবধানে থাকুন। বিশেষ করে যদি কোনো পুলিশি ঝামেলা দেখেন, তাহলে উল্টো দিকের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যান। আজ দুধ আর চিনি দান করুন। তবে নিজেই কফি বানিয়ে খান, তাতে অন্তত খরচটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মিথুন
আজ কর্মস্থলে আপনার পরিশ্রম দেখে সবাই অবাক হবে। আসলে আপনি এত বেশি দৌড়াদৌড়ি করবেন যে অফিসেই একটা ছোটখাটো ম্যারাথন হয়ে যাবে। ভালো খবর হলো, ব্যবসায় নতুন সুযোগ আসছে, হয়তো 'পার্টনারশিপে শিঙাড়া বিক্রি'র প্ল্যান এবার সফল হবে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সামান্য মতভেদ আসতে পারে। সঙ্গী হয়তো আপনাকে 'সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট' দেবেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কূটনৈতিক সংঘাতের চেয়েও মারাত্মক। সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা বাড়বে, বিশেষ করে যখন দেখবেন সে বইয়ের বদলে ফোন দেখছে। উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে মাঝেমধ্যে অফিসের ছাদে গিয়ে জোরে শ্বাস নিন।
কর্কট
আজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে উঠবেন। চোখের জল যেন হিমবাহের মতো গলে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্যবসায়ীদের জন্য সময় ততটা অনুকূল নয়। তাই আজ ঋণ নিয়ে হুট করে মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরামর্শ জীবন বদলে দিতে পারে, যদি না সেই বন্ধুটি নিজেই ডিপ্রেসড থাকে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সম্ভবত তাকে গোলাপ দিতে যাবেন, আর সে ভাববে আপনি তার দিকে মশা মারার স্প্রে ছুড়েছেন। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। শান্ত থাকার জন্য চাঁদের আলোয় কিছুক্ষণ ধ্যান করুন (যদি মেঘ না থাকে)।
সিংহ
আজ আপনার রাশিতে একেবারে 'লক্ষ্মীর যোগ'! লটারি বা স্পেকুলেশন (শেয়ার মার্কেট) থেকে হুট করে অনেক টাকা আসতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা সঞ্চয়ের দিকে মন দিন। এত সহজে পাওয়া টাকা কিন্তু উড়তে সময় নেয় না। কর্মক্ষেত্রে আপনার গতি আসবে, তবে সহকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখবেন না। মনে রাখবেন, আজকের দিনে আপনার কফি মগ থেকে কেক চুরি যাওয়ার ষড়যন্ত্র হতে পারে! প্রেমপ্রীতি ও বিয়ের যোগ রয়েছে। যদি কাউকে প্রপোজ করার থাকে, আজই করে ফেলুন—গ্রহ যেহেতু অনুকূলে, প্রত্যাখ্যানের ভয় কম। খাবারদাবার সাবধানে খান। আজ খাবারে বিষক্রিয়ার যোগ আছে (হয়তো অফিসের ক্যানটিনের রান্নার জন্য)।
কন্যা
আজ যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখানোর দিন। আপনার বুদ্ধিমত্তার কাছে ঊর্ধ্বতনরা মুগ্ধ হয়ে যাবেন (যা শেষ পর্যন্ত আপনার কাজের বোঝা বাড়াবে)। আপনি লাভের একাধিক সুযোগ পাবেন, বিশেষ করে বই, পোশাক বা ওষুধের ব্যবসায়ীরা। আজ বাড়িতে প্রিয়জনের সমাগম হতে পারে। কিন্তু সাবধান, মনের কোনো ইচ্ছা আজ প্রকাশ না করাই ভালো। কেন জানেন? কারণ, হয়তো ভাবছেন একটা গোপন ইচ্ছা, আর আত্মীয়রা সেটাকে গোটা পাড়ার আলোচ্য বিষয় বানিয়ে ফেলবে। অকারণে সুনামহানি হতে পারে, তাই বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। কারও কাছে কোনো ধার চাইবেন না। সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগান, ধার নয়।
তুলা
আজ সবার ইমোশনাল কোচ হয়ে উঠবেন। আপনি আবেগগতভাবে মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করবেন এবং সবার ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান দেখাবেন। অন্যের গোপনীয়তা ফাঁস না করলেই হলো। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করুন। অবিবাহিত আত্মীয়স্বজনের জন্য আজ বিয়ের কথা পাকা হতে পারে! পাত্র/পাত্রীর সঙ্গে দেখা হলে হাসিখুশি থাকুন, কিন্তু বেফাঁস মন্তব্য করে বিড়ম্বনায় পড়বেন না। কারণ, আজকের দিনে আপনার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া একটা কথা সারা জীবন পিছু ছাড়বে না। লৌকিকতা পরিহার করে মন থেকে কথা বলুন। (তবে বেফাঁস কথা বাদ দিয়ে!)
বৃশ্চিক
তরুণ বৃশ্চিক জাতকদের পারফরম্যান্স আজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হবে। উৎসাহ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে একই সঙ্গে কফি খেতে, কম্পিউটার কোড লিখতে আর গান শুনতে পারবেন। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দদায়ক ভ্রমণের যোগ রয়েছে। এমন একটা জায়গায় যান যেখানে ইন্টারনেটের ছিটেফোঁটাও নেই! লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগোনোর চেষ্টা করুন, কিন্তু তাড়াহুড়া করে দেয়ালে ধাক্কা খাবেন না। ভুল এড়াতে সচেষ্ট থাকুন। বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিক চিন্তা শেয়ার করুন। তবে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স নয়!
ধনু
আজ সবাই আপনার কাজে সহযোগিতা করবেন। আজ 'ঐক্যের প্রতীক' হয়ে উঠবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে এবং তাঁদের সমর্থন আপনাকে অবাক করে দেবে। তবে এই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের কাছে টাকা ধার চাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। সঠিক পথ বেছে নিতে সাহায্য পাবেন। আপনার সবচেয়ে বড় কাজ হবে, যে সুযোগগুলো আসবে, সেগুলোকে কাজে লাগানো। লোভে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকুন। (ফ্রি পিৎজার অফার দেখলেও!)
মকর
কর্মক্ষেত্রে দুম করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার রাশিফল বলছে, ‘ভাবনাচিন্তা করে পা ফেলুন’। অর্থাৎ বসের দেওয়া নতুন প্রজেক্টে সই করার আগে ফাইন প্রিন্টগুলো চারবার পড়ুন। আজকের দিনটি সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য একটা ভালো সময়। সামাজিক অনুষ্ঠান বা কোনো কার্যক্রমে অংশ নিন। তবে সাবধান, হয়তো ভেবেছেন জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, আর শেষ পর্যন্ত পেলেন একটা কুকুরছানা! নিজের বিমা পলিসিগুলোর দিকে নজর দিন, বিশেষ করে গাড়ি বা বাইকের বিষয়ে। বিমা পলিসি পড়ুন। এটা সিনেমার চেয়েও রোমাঞ্চকর হতে পারে।
কুম্ভ
আজ আপনি আত্মবিশ্বাসের এক নতুন শিখরে পৌঁছাবেন। প্রতিটি কাজ আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের একটি 'আজগুবি' অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক দিকটি শক্তিশালী হতে পারে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা ভাবলে অবশ্যই কোনো আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করুন। অবিবাহিতরা আজ কোনো পার্টি বা সামাজিক ইভেন্টে একটি বিশেষ সঙ্গী খুঁজে পেতে পারেন। প্রেমের জীবনে সতর্ক থাকুন। পুরোনো সম্পর্ক থেকে দূরে থাকাই ভালো। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকুন। আজ চাইলে জলপথে ভ্রমণ করতে পারেন (কিন্তু লাইফ জ্যাকেট নিয়ে)।
মীন
আজ আপনার সৃজনশীলতা একেবারে উথলে উঠবে! নিজের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে আরও আগ্রহ বোধ করবেন। হয়তো আজ রান্নাঘরে গিয়ে একটা নতুন রেসিপি আবিষ্কার করে ফেলবেন। অবশ্য খেতে ভয়ংকর হতে পারে! চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার সময় আপনার দক্ষতা দেখাতে দ্বিধা করবেন না। তবে আপনার মনের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে, তা প্রকাশ না করাই ভালো। আজ নিজে ঠিক করতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন নাকি সবুজ! আপনার সমস্ত নথিপত্র আজ গুছিয়ে নিন। জীবন যদি না গোছানো যায়, অন্তত কাগজগুলো গোছান!

মেষ
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে। অপ্রত্যাশিত অর্থ প্রাপ্তির যোগ আছে, যা দিয়ে সাধের 'শখের জিনিস'টি কিনতে পারবেন (কিন্তু ইএমআই কিস্তির কথাও একটু মাথায় রাখুন)। প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো গভীর দার্শনিক কথা বলছেন, আর প্রিয়জন ভাবছেন আপনি বিড়বিড় করছেন। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় একটি ফ্লিপচার্ট ব্যবহার করুন অথবা অন্তত একটি ডিকশনারি পাশে রাখুন। কাজের চাপ বাড়লে কফির কাপকে আপনার থেরাপিস্ট ভাবুন।
বৃষ
আপনার রাশিফল বলছে, 'অপ্রয়োজনীয় খরচ' কমাতে হবে। অথচ আপনার শপিং লিস্টে অপ্রয়োজনীয় জিনিসই বেশি! আজ একটি অর্থনৈতিক ধ্যানের মুডে থাকবেন, অর্থাৎ মানিব্যাগটি আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রাখুন। দূরদেশ থেকে কোনো সুখবর আসতে পারে—হয়তো সেই বন্ধুটি, যে আপনার কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল, সে আজ ফোন করে ক্ষমা চাইবে (টাকাটা দেবে না, শুধু ক্ষমা)। রাস্তায় চলাফেরার সময় একটু সাবধানে থাকুন। বিশেষ করে যদি কোনো পুলিশি ঝামেলা দেখেন, তাহলে উল্টো দিকের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যান। আজ দুধ আর চিনি দান করুন। তবে নিজেই কফি বানিয়ে খান, তাতে অন্তত খরচটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মিথুন
আজ কর্মস্থলে আপনার পরিশ্রম দেখে সবাই অবাক হবে। আসলে আপনি এত বেশি দৌড়াদৌড়ি করবেন যে অফিসেই একটা ছোটখাটো ম্যারাথন হয়ে যাবে। ভালো খবর হলো, ব্যবসায় নতুন সুযোগ আসছে, হয়তো 'পার্টনারশিপে শিঙাড়া বিক্রি'র প্ল্যান এবার সফল হবে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সামান্য মতভেদ আসতে পারে। সঙ্গী হয়তো আপনাকে 'সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট' দেবেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কূটনৈতিক সংঘাতের চেয়েও মারাত্মক। সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা বাড়বে, বিশেষ করে যখন দেখবেন সে বইয়ের বদলে ফোন দেখছে। উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে মাঝেমধ্যে অফিসের ছাদে গিয়ে জোরে শ্বাস নিন।
কর্কট
আজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে উঠবেন। চোখের জল যেন হিমবাহের মতো গলে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্যবসায়ীদের জন্য সময় ততটা অনুকূল নয়। তাই আজ ঋণ নিয়ে হুট করে মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরামর্শ জীবন বদলে দিতে পারে, যদি না সেই বন্ধুটি নিজেই ডিপ্রেসড থাকে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা আছে। সম্ভবত তাকে গোলাপ দিতে যাবেন, আর সে ভাববে আপনি তার দিকে মশা মারার স্প্রে ছুড়েছেন। সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। শান্ত থাকার জন্য চাঁদের আলোয় কিছুক্ষণ ধ্যান করুন (যদি মেঘ না থাকে)।
সিংহ
আজ আপনার রাশিতে একেবারে 'লক্ষ্মীর যোগ'! লটারি বা স্পেকুলেশন (শেয়ার মার্কেট) থেকে হুট করে অনেক টাকা আসতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা সঞ্চয়ের দিকে মন দিন। এত সহজে পাওয়া টাকা কিন্তু উড়তে সময় নেয় না। কর্মক্ষেত্রে আপনার গতি আসবে, তবে সহকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বিশ্বাস রাখবেন না। মনে রাখবেন, আজকের দিনে আপনার কফি মগ থেকে কেক চুরি যাওয়ার ষড়যন্ত্র হতে পারে! প্রেমপ্রীতি ও বিয়ের যোগ রয়েছে। যদি কাউকে প্রপোজ করার থাকে, আজই করে ফেলুন—গ্রহ যেহেতু অনুকূলে, প্রত্যাখ্যানের ভয় কম। খাবারদাবার সাবধানে খান। আজ খাবারে বিষক্রিয়ার যোগ আছে (হয়তো অফিসের ক্যানটিনের রান্নার জন্য)।
কন্যা
আজ যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখানোর দিন। আপনার বুদ্ধিমত্তার কাছে ঊর্ধ্বতনরা মুগ্ধ হয়ে যাবেন (যা শেষ পর্যন্ত আপনার কাজের বোঝা বাড়াবে)। আপনি লাভের একাধিক সুযোগ পাবেন, বিশেষ করে বই, পোশাক বা ওষুধের ব্যবসায়ীরা। আজ বাড়িতে প্রিয়জনের সমাগম হতে পারে। কিন্তু সাবধান, মনের কোনো ইচ্ছা আজ প্রকাশ না করাই ভালো। কেন জানেন? কারণ, হয়তো ভাবছেন একটা গোপন ইচ্ছা, আর আত্মীয়রা সেটাকে গোটা পাড়ার আলোচ্য বিষয় বানিয়ে ফেলবে। অকারণে সুনামহানি হতে পারে, তাই বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। কারও কাছে কোনো ধার চাইবেন না। সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগান, ধার নয়।
তুলা
আজ সবার ইমোশনাল কোচ হয়ে উঠবেন। আপনি আবেগগতভাবে মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করবেন এবং সবার ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান দেখাবেন। অন্যের গোপনীয়তা ফাঁস না করলেই হলো। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার চেষ্টা করুন। অবিবাহিত আত্মীয়স্বজনের জন্য আজ বিয়ের কথা পাকা হতে পারে! পাত্র/পাত্রীর সঙ্গে দেখা হলে হাসিখুশি থাকুন, কিন্তু বেফাঁস মন্তব্য করে বিড়ম্বনায় পড়বেন না। কারণ, আজকের দিনে আপনার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া একটা কথা সারা জীবন পিছু ছাড়বে না। লৌকিকতা পরিহার করে মন থেকে কথা বলুন। (তবে বেফাঁস কথা বাদ দিয়ে!)
বৃশ্চিক
তরুণ বৃশ্চিক জাতকদের পারফরম্যান্স আজ প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হবে। উৎসাহ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে একই সঙ্গে কফি খেতে, কম্পিউটার কোড লিখতে আর গান শুনতে পারবেন। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দদায়ক ভ্রমণের যোগ রয়েছে। এমন একটা জায়গায় যান যেখানে ইন্টারনেটের ছিটেফোঁটাও নেই! লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগোনোর চেষ্টা করুন, কিন্তু তাড়াহুড়া করে দেয়ালে ধাক্কা খাবেন না। ভুল এড়াতে সচেষ্ট থাকুন। বন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিক চিন্তা শেয়ার করুন। তবে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স নয়!
ধনু
আজ সবাই আপনার কাজে সহযোগিতা করবেন। আজ 'ঐক্যের প্রতীক' হয়ে উঠবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে এবং তাঁদের সমর্থন আপনাকে অবাক করে দেবে। তবে এই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের কাছে টাকা ধার চাওয়ার আগে দুবার ভাবুন। সঠিক পথ বেছে নিতে সাহায্য পাবেন। আপনার সবচেয়ে বড় কাজ হবে, যে সুযোগগুলো আসবে, সেগুলোকে কাজে লাগানো। লোভে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকুন। (ফ্রি পিৎজার অফার দেখলেও!)
মকর
কর্মক্ষেত্রে দুম করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার রাশিফল বলছে, ‘ভাবনাচিন্তা করে পা ফেলুন’। অর্থাৎ বসের দেওয়া নতুন প্রজেক্টে সই করার আগে ফাইন প্রিন্টগুলো চারবার পড়ুন। আজকের দিনটি সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য একটা ভালো সময়। সামাজিক অনুষ্ঠান বা কোনো কার্যক্রমে অংশ নিন। তবে সাবধান, হয়তো ভেবেছেন জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, আর শেষ পর্যন্ত পেলেন একটা কুকুরছানা! নিজের বিমা পলিসিগুলোর দিকে নজর দিন, বিশেষ করে গাড়ি বা বাইকের বিষয়ে। বিমা পলিসি পড়ুন। এটা সিনেমার চেয়েও রোমাঞ্চকর হতে পারে।
কুম্ভ
আজ আপনি আত্মবিশ্বাসের এক নতুন শিখরে পৌঁছাবেন। প্রতিটি কাজ আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতের একটি 'আজগুবি' অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক দিকটি শক্তিশালী হতে পারে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা ভাবলে অবশ্যই কোনো আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করুন। অবিবাহিতরা আজ কোনো পার্টি বা সামাজিক ইভেন্টে একটি বিশেষ সঙ্গী খুঁজে পেতে পারেন। প্রেমের জীবনে সতর্ক থাকুন। পুরোনো সম্পর্ক থেকে দূরে থাকাই ভালো। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকুন। আজ চাইলে জলপথে ভ্রমণ করতে পারেন (কিন্তু লাইফ জ্যাকেট নিয়ে)।
মীন
আজ আপনার সৃজনশীলতা একেবারে উথলে উঠবে! নিজের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে আরও আগ্রহ বোধ করবেন। হয়তো আজ রান্নাঘরে গিয়ে একটা নতুন রেসিপি আবিষ্কার করে ফেলবেন। অবশ্য খেতে ভয়ংকর হতে পারে! চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার সময় আপনার দক্ষতা দেখাতে দ্বিধা করবেন না। তবে আপনার মনের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে, তা প্রকাশ না করাই ভালো। আজ নিজে ঠিক করতে পারবেন না, নীল শার্ট পরবেন নাকি সবুজ! আপনার সমস্ত নথিপত্র আজ গুছিয়ে নিন। জীবন যদি না গোছানো যায়, অন্তত কাগজগুলো গোছান!

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না।
৪০ মিনিট আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা...
১ ঘণ্টা আগে
‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
একসময় যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষে জর্জরিত এই অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এখন বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটক এসে ভিড় জমাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম দিকের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্প ইতিবাচকভাবে এগিয়ে গেছে।
নতুনভাবে গড়ে উঠছে মালয়েশিয়া
এ বছরের মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। এভাবে থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে মালয়েশিয়া এখন আসিয়ানের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশ। চীনা পর্যটক বৃদ্ধি, ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করা ও প্রচারণা দেশটির এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। পর্যটকদের গড় ব্যয় বেড়েছে, যা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ভিয়েতনাম
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ বিদেশি পর্যটক, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভিসানীতি শিথিল করা এবং ডিজিটাল প্রচারণায় জোর দেওয়ার ফলে ভিয়েতনাম এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত বেড়ে ওঠা পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি।
ধীরগতিতে এগোচ্ছে থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কম। সীমান্ত উত্তেজনা এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি এই অবস্থার অন্যতম কারণ। তবু ব্যাংকক, পাতায়া ও ফুকেট এখনো পর্যটকে ভরপুর। দেশটিতে বেশি সময় অবস্থান করে দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটকেরা। এর পরেই অবস্থান জাপান ও মালয়েশিয়ার পর্যটকদের।
স্থিতিশীল ফিলিপাইন
এ বছরের জুন পর্যন্ত ফিলিপাইনে বিদেশি পর্যটক গিয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ। যদিও এই সংখ্যা গত বছরের মতোই। তবু পর্যটন খাতে দেশটির আয় বেড়েছে এবং মহামারির আগের সময়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে। দেশটিতে বেশি ভ্রমণে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পর্যটকেরা।
ধারাবাহিক সাফল্যে সিঙ্গাপুর
এ বছর ৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন বিদেশি সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। তারপরও দেশটি ব্যবসা ও প্রিমিয়াম ট্রাভেল হাব হিসেবে জনপ্রিয়।
ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়ন
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়নের বেশি বিদেশি পর্যটক। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এর মধ্যে শুধু বালি ভ্রমণ করেছিল ৪ মিলিয়নের বেশি পর্যটক।
ধীরে এগোচ্ছে কম্বোডিয়া ও লাওস
কম্বোডিয়ায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভ্রমণ করেছে প্রায় ৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে লাওস ভ্রমণ করেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৫ লাখ পর্যটক; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। দেশটি এ বছর ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন পর্যটক এবং এক বিলিয়ন ডলার রাজস্বের লক্ষ্য স্পর্শ করতে চলেছে।
মিয়ানমার ও ব্রুনেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না
এই দুই দেশে পর্যটন এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এখনো প্রভাব ফেলছে তাদের পর্যটন শিল্পে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো মিলিতভাবে পর্যটন পুনরুদ্ধারে কাজ করছে। বেশ কয়েকটি দেশে এখন ভিসা-ফ্রি বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল চালু হয়েছে। এতে পর্যটকেরা একাধিক দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছে।
সূত্র: গালফ নিউজ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।
একসময় যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষে জর্জরিত এই অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এখন বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে পর্যটক এসে ভিড় জমাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম দিকের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্প ইতিবাচকভাবে এগিয়ে গেছে।
নতুনভাবে গড়ে উঠছে মালয়েশিয়া
এ বছরের মে পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। এভাবে থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে মালয়েশিয়া এখন আসিয়ানের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশ। চীনা পর্যটক বৃদ্ধি, ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করা ও প্রচারণা দেশটির এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। পর্যটকদের গড় ব্যয় বেড়েছে, যা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ভিয়েতনাম
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ বিদেশি পর্যটক, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভিসানীতি শিথিল করা এবং ডিজিটাল প্রচারণায় জোর দেওয়ার ফলে ভিয়েতনাম এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুত বেড়ে ওঠা পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি।
ধীরগতিতে এগোচ্ছে থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কম। সীমান্ত উত্তেজনা এবং মুদ্রার মান বৃদ্ধি এই অবস্থার অন্যতম কারণ। তবু ব্যাংকক, পাতায়া ও ফুকেট এখনো পর্যটকে ভরপুর। দেশটিতে বেশি সময় অবস্থান করে দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটকেরা। এর পরেই অবস্থান জাপান ও মালয়েশিয়ার পর্যটকদের।
স্থিতিশীল ফিলিপাইন
এ বছরের জুন পর্যন্ত ফিলিপাইনে বিদেশি পর্যটক গিয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ। যদিও এই সংখ্যা গত বছরের মতোই। তবু পর্যটন খাতে দেশটির আয় বেড়েছে এবং মহামারির আগের সময়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে। দেশটিতে বেশি ভ্রমণে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পর্যটকেরা।
ধারাবাহিক সাফল্যে সিঙ্গাপুর
এ বছর ৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন বিদেশি সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। তারপরও দেশটি ব্যবসা ও প্রিমিয়াম ট্রাভেল হাব হিসেবে জনপ্রিয়।
ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়ন
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়নের বেশি বিদেশি পর্যটক। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এর মধ্যে শুধু বালি ভ্রমণ করেছিল ৪ মিলিয়নের বেশি পর্যটক।
ধীরে এগোচ্ছে কম্বোডিয়া ও লাওস
কম্বোডিয়ায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভ্রমণ করেছে প্রায় ৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে লাওস ভ্রমণ করেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৫ লাখ পর্যটক; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। দেশটি এ বছর ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন পর্যটক এবং এক বিলিয়ন ডলার রাজস্বের লক্ষ্য স্পর্শ করতে চলেছে।
মিয়ানমার ও ব্রুনেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না
এই দুই দেশে পর্যটন এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এখনো প্রভাব ফেলছে তাদের পর্যটন শিল্পে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো মিলিতভাবে পর্যটন পুনরুদ্ধারে কাজ করছে। বেশ কয়েকটি দেশে এখন ভিসা-ফ্রি বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল চালু হয়েছে। এতে পর্যটকেরা একাধিক দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছে।
সূত্র: গালফ নিউজ

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না।
৪০ মিনিট আগে
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে।
১ ঘণ্টা আগে
‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এতে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ ১২টি দেশের পর্যটনসংশ্লিষ্ট সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা।
টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া থাকছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা।
এবারের মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন। এ ছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হলো টোয়াব। ২০০৭ সাল টোয়াব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় পর্যটন মেলা বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।’
রাফেউজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্পসংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধারা বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এতে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ ১২টি দেশের পর্যটনসংশ্লিষ্ট সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা।
টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া থাকছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা।
এবারের মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন। এ ছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হলো টোয়াব। ২০০৭ সাল টোয়াব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় পর্যটন মেলা বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।’
রাফেউজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্পসংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধারা বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

সুশিং লাদাং মনাস্ট্রিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্নালি জোনের ডোলপা জেলার সালদাং গ্রামের প্রধান ধর্মীয় গুরু নিংমাপা সুশিং লাদাংয়ের পারিবারিক মনাস্ট্রি এটি। বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ এসে পৌঁছেছি এই গ্রামে। এই গ্রামের আগে যে গ্রামটি পেয়েছিলাম, তার নাম বিজের। সেটাও দিন দুই আগের কথা। আজ ৫ হাজার মিটার কঠিন একটি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বছর হেমন্তে শহরেও শীতের আগমন খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে কিন্তু কোনো কোনো জায়গায় ঠান্ডা পড়ে গেছে। দিনে না হলেও রাতে কম্বল বা কাঁথা গায়ে তুলতে হচ্ছে। তাই সপ্তাহান্তে কদিন আগের মতো ব্যাকপ্যাকে দুটো টি-শার্ট আর দুটো শর্টস নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সুযোগ আর থাকছে না।
৪০ মিনিট আগে
বস আজ আপনার কাঁধে এমন একটা গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন, যাকে তিনি 'অভূতপূর্ব সুযোগ' বলে ব্যাখ্যা করবেন। মনে মনে বুঝবেন, এটি আসলে অতিরিক্ত কাজের ভার। তবে মন খারাপ করবেন না, আপনার আর্থিক ভাগ্য আজ বেশ চনমনে।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনশিল্পের এখন রমরমা চলছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের পর্যটনশিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ভ্রমণ নিয়ে প্রচারণা, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণের কারণে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান) দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা...
১ ঘণ্টা আগে