রিদা মুনাম হক
ঠোঁট না রাঙালে কি চলে?
বাড়ির বাইরে বের হলে অন্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার না করলেও প্রায় সবাই ঠোঁট সাজান হালকা রঙে। আসলে লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট ব্যবহার না করলে চেহারার অবসন্ন ভাব দূর হয় না অনেকেরই। ফলে ঠোঁটে বুলিয়ে নেওয়ার পর ব্যাগেও পছন্দের লিপস্টিকটি পুরে নিতে ভোলেন না রূপ সচেতন নারীরা।
লিপস্টিক রোজ ব্যবহারের ফলে ঠোঁটে একটা কালচে ভাব চলে আসে। সে জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁট স্ক্র্যাব করলে উপকার পাওয়া যায়। দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
কিন্তু রোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। যাঁদের পানিশূন্যতার সমস্যা রয়েছে কিংবা ত্বক অতিমাত্রায় শুষ্ক, তাঁরা নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ঠোঁট কালচে হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে—
⦁ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব
⦁ অতিরিক্ত চা-কফি পান
⦁ ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ
⦁ পরিমাণের চেয়ে কম পানি পান
⦁ বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো
⦁ লিপস্টিক বা টুথপেস্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
⦁ মানহীন লিপস্টিক ব্যবহার।
যাঁরা নিয়মিত ঠোঁটে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন, তাঁরা ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো যাবে। এ জন্য যা করতে পারেন—
কালচে ভাব দূর করবে লেবু
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফল ত্বকের মেলানিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা লেবুর টুকরা নিয়ে ঠোঁটে ধীরে ধীরে ঘষতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে। ঠোঁট হবে সতেজ।
লেবু ও চিনির মিশ্রণে পেলব হবে ঠোঁট
মরা চামড়া দূর করে ত্বক সজীব রাখতে চিনি ও লেবুর মিশ্রণ ভালো কাজ করে। এ ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। এ জন্য একটি লেবুর টুকরার ওপর চিনি লাগিয়ে তা দিয়ে ঠোঁট ঘষুন। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে।
গোলাপি আভা পেতে গোলাপজল ও মধু ব্যবহার করুন
ছয় ড্রপ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ঠোঁটে লাগান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপজল ও মধুর ব্যবহারে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
প্রাকৃতিক রং অটুট রাখবে হলুদের প্রলেপ
আমরা জানি, হলুদ ত্বকের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট সুন্দর রাখতে এক টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি থেকে সামান্য পরিমাণ হাতের আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট তার হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
কোমলতা ফেরাবে অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে এর পাতা থেকে জেলটুকু বের করে তা ঠোঁটে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁট হবে কোমল ও নরম। তবে অ্যালোভেরা পাতা থেকে নেওয়া রস বা জেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। সে ক্ষেত্রে বাজারে যেসব অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়, তা প্যাচ টেস্ট করে তবেই ঠোঁটে ব্যবহার করুন, নয়তো ব্যবহার করার দরকার নেই।
ঠোঁট না রাঙালে কি চলে?
বাড়ির বাইরে বের হলে অন্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার না করলেও প্রায় সবাই ঠোঁট সাজান হালকা রঙে। আসলে লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট ব্যবহার না করলে চেহারার অবসন্ন ভাব দূর হয় না অনেকেরই। ফলে ঠোঁটে বুলিয়ে নেওয়ার পর ব্যাগেও পছন্দের লিপস্টিকটি পুরে নিতে ভোলেন না রূপ সচেতন নারীরা।
লিপস্টিক রোজ ব্যবহারের ফলে ঠোঁটে একটা কালচে ভাব চলে আসে। সে জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লিপস্টিক তুলতে হবে। মুখ ধোয়ার পর লিপবাম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন চিনির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁট স্ক্র্যাব করলে উপকার পাওয়া যায়। দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালচে ভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
কিন্তু রোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। যাঁদের পানিশূন্যতার সমস্যা রয়েছে কিংবা ত্বক অতিমাত্রায় শুষ্ক, তাঁরা নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ঠোঁট কালচে হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে—
⦁ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব
⦁ অতিরিক্ত চা-কফি পান
⦁ ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ
⦁ পরিমাণের চেয়ে কম পানি পান
⦁ বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো
⦁ লিপস্টিক বা টুথপেস্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
⦁ মানহীন লিপস্টিক ব্যবহার।
যাঁরা নিয়মিত ঠোঁটে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন, তাঁরা ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো যাবে। এ জন্য যা করতে পারেন—
কালচে ভাব দূর করবে লেবু
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফল ত্বকের মেলানিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা লেবুর টুকরা নিয়ে ঠোঁটে ধীরে ধীরে ঘষতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে। ঠোঁট হবে সতেজ।
লেবু ও চিনির মিশ্রণে পেলব হবে ঠোঁট
মরা চামড়া দূর করে ত্বক সজীব রাখতে চিনি ও লেবুর মিশ্রণ ভালো কাজ করে। এ ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। এ জন্য একটি লেবুর টুকরার ওপর চিনি লাগিয়ে তা দিয়ে ঠোঁট ঘষুন। পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে।
গোলাপি আভা পেতে গোলাপজল ও মধু ব্যবহার করুন
ছয় ড্রপ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ঠোঁটে লাগান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপজল ও মধুর ব্যবহারে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
প্রাকৃতিক রং অটুট রাখবে হলুদের প্রলেপ
আমরা জানি, হলুদ ত্বকের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। ঠোঁট সুন্দর রাখতে এক টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি থেকে সামান্য পরিমাণ হাতের আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট তার হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
কোমলতা ফেরাবে অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে এর পাতা থেকে জেলটুকু বের করে তা ঠোঁটে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস, ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁট হবে কোমল ও নরম। তবে অ্যালোভেরা পাতা থেকে নেওয়া রস বা জেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। সে ক্ষেত্রে বাজারে যেসব অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়, তা প্যাচ টেস্ট করে তবেই ঠোঁটে ব্যবহার করুন, নয়তো ব্যবহার করার দরকার নেই।
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয় সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
৪ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর তিনি করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
৫ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১০ ঘণ্টা আগেকত টাকা সঞ্চয় করবেন, তা নির্ভর করে আপনি মাসিক কত টাকা আয় করেন, জীবনযাত্রা ও জরুরি খাতে কতটা ব্যয় হতে পারে, তার ওপর। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ৫০/৩০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা হয়। যেখানে আয়ের ৫০ শতাংশ আপনার প্রয়োজনের জন্য, ৩০ শতাংশ বিশেষ চাহিদার জন্য এবং ২০ শতাংশ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্য আলাদা করা যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে