কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
কার্তিকের শেষে শরীরে শীতল পরশ লাগবে না, তা কি হয় নাকি। সূর্য বড্ড দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। তারপরেই ধীরলয়ে নেমে আসছে হিম। যদিও তা প্রকট নয়; কিন্তু পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে কুয়াশা দেখা দিয়েছে। সকালে রোদের তাপ এখন আরাম দেয়।
প্রকৃতির এই বিশাল বদলের খানিক যে শরীরের ওপরও পড়ে, তা বলাই বাহুল্য। তাই শীতে ত্বকের মতো চুলেরও খানিক বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
সঙ্গে থাকুক টুপি বা স্কার্ফ
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ধুলাবালুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাই চুল ঢেকে রাখতে হয়। এ জন্য সিল্ক বা সাটিনের স্কার্ফ আদর্শ। সুতি বা পশমি কাপড়ের স্কার্ফ ব্যবহারে ঘর্ষণের কারণে চুলের প্রান্ত ভেঙে যেতে পারে। তবে কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা বলেন, ‘স্কার্ফ পরার আগে চুলে হালকা সেরাম লাগিয়ে নিলে চুলের সঙ্গে স্কার্ফের সংঘর্ষ কম হয়। এতে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তেমন থাকে না।’
নিয়ম মেনে হিট স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার
স্ট্রেইটনার, ব্লো ড্রায়ার ও কার্লারের মতো হিট স্টাইলিং সরঞ্জামগুলোর তাপ চুল ভেঙে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে শোভন সাহার পরামর্শ হচ্ছে, সঠিক নিয়ম মেনে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হবে না। যেমন একেবারে শুকনো অবস্থায় চুলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা যাবে না। এতে ড্যামেজ বেশি হয়। চুল ৮০ শতাংশ শুকনো রেখে হিট প্রোটেকটেড সেরাম ব্যবহার করার পর স্ট্রেট করার পরামর্শ দেন শোভন সাহা।
খুশকির সঙ্গে লড়াই
শীতকালে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। দেখা দেয় খুশকি। মাথার ত্বক ও চুল ময়লা হয়ে গেলে খুশকির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করার পরামর্শ শোভন সাহার। শীতে ছত্রাকের সংক্রমণ বা মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণে খুশকি হতে পারে। তাই মাথা সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্যালিসিলিক অ্যাসিড, জিংক পাইরিথিওন, কেটোকোনাজল, সেলেনিয়াম সালফাইড বা কয়লা টারের মতো সক্রিয় উপাদান থাকা অ্যান্টি-ড্যানড্রাফট শ্যাম্পু ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে হবে।
তেল বা সেরাম ব্যবহার
শীত চুলের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই চুল হাইড্রেটেড স্ট্র্যান্ড দেখাতে সারা রাত সেরাম বা তেল ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময় একটি সিল্ক বা সাটিনের কভার দেওয়া বালিশ ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুল ভেঙে না যায়। সেরামে অ্যালোভেরা, গ্রিন টি এবং শিয়া মাখনের মতো হাইড্রেটিং উপাদান থাকতে হবে। গরম তেল ম্যাসাজের জন্য নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং বাদাম তেলের মতো তেল বেছে নিতে পারেন। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তেল দিয়ে সপ্তাহে এক বা দুবার চুল ম্যাসাজ করতে হবে।
গরম পানিতে চুল ধোয়া
হালকা গরম পানি দিয়ে বারো মাসই চুল ধোয়ার পরামর্শ দেন শোভন সাহা। তাঁর পরামর্শ, চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলাই বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ, কন্ডিশনারে যে তেল থাকে, তা ঠান্ডা পানিতে ওঠে না; বরং চুলের গোড়ায় সেই তেল থেকে গিয়ে খুশকি তৈরি করতে পারে। তাই হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
খানিকটা অবিশ্বাস্য শোনালেও চুলের অপরিহার্য উপাদানগুলোর অন্যতম হলো পানি। শীতের মাসগুলোতে হারিয়ে যাওয়া পানির চাহিদা পূরণ করতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। চুল হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে শীতকালে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। হাইড্রেশন নিশ্চিত করলে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো থাকবে। চুল ও মাথার ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকলে শুষ্কতা, চুলকানি ও খুশকির প্রকোপ থাকবে না।
কার্তিকের শেষে শরীরে শীতল পরশ লাগবে না, তা কি হয় নাকি। সূর্য বড্ড দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে। তারপরেই ধীরলয়ে নেমে আসছে হিম। যদিও তা প্রকট নয়; কিন্তু পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে কুয়াশা দেখা দিয়েছে। সকালে রোদের তাপ এখন আরাম দেয়।
প্রকৃতির এই বিশাল বদলের খানিক যে শরীরের ওপরও পড়ে, তা বলাই বাহুল্য। তাই শীতে ত্বকের মতো চুলেরও খানিক বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
সঙ্গে থাকুক টুপি বা স্কার্ফ
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ধুলাবালুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাই চুল ঢেকে রাখতে হয়। এ জন্য সিল্ক বা সাটিনের স্কার্ফ আদর্শ। সুতি বা পশমি কাপড়ের স্কার্ফ ব্যবহারে ঘর্ষণের কারণে চুলের প্রান্ত ভেঙে যেতে পারে। তবে কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা বলেন, ‘স্কার্ফ পরার আগে চুলে হালকা সেরাম লাগিয়ে নিলে চুলের সঙ্গে স্কার্ফের সংঘর্ষ কম হয়। এতে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তেমন থাকে না।’
নিয়ম মেনে হিট স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার
স্ট্রেইটনার, ব্লো ড্রায়ার ও কার্লারের মতো হিট স্টাইলিং সরঞ্জামগুলোর তাপ চুল ভেঙে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রে শোভন সাহার পরামর্শ হচ্ছে, সঠিক নিয়ম মেনে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হবে না। যেমন একেবারে শুকনো অবস্থায় চুলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা যাবে না। এতে ড্যামেজ বেশি হয়। চুল ৮০ শতাংশ শুকনো রেখে হিট প্রোটেকটেড সেরাম ব্যবহার করার পর স্ট্রেট করার পরামর্শ দেন শোভন সাহা।
খুশকির সঙ্গে লড়াই
শীতকালে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। দেখা দেয় খুশকি। মাথার ত্বক ও চুল ময়লা হয়ে গেলে খুশকির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করার পরামর্শ শোভন সাহার। শীতে ছত্রাকের সংক্রমণ বা মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণে খুশকি হতে পারে। তাই মাথা সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্যালিসিলিক অ্যাসিড, জিংক পাইরিথিওন, কেটোকোনাজল, সেলেনিয়াম সালফাইড বা কয়লা টারের মতো সক্রিয় উপাদান থাকা অ্যান্টি-ড্যানড্রাফট শ্যাম্পু ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে হবে।
তেল বা সেরাম ব্যবহার
শীত চুলের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই চুল হাইড্রেটেড স্ট্র্যান্ড দেখাতে সারা রাত সেরাম বা তেল ব্যবহার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময় একটি সিল্ক বা সাটিনের কভার দেওয়া বালিশ ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুল ভেঙে না যায়। সেরামে অ্যালোভেরা, গ্রিন টি এবং শিয়া মাখনের মতো হাইড্রেটিং উপাদান থাকতে হবে। গরম তেল ম্যাসাজের জন্য নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং বাদাম তেলের মতো তেল বেছে নিতে পারেন। মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তেল দিয়ে সপ্তাহে এক বা দুবার চুল ম্যাসাজ করতে হবে।
গরম পানিতে চুল ধোয়া
হালকা গরম পানি দিয়ে বারো মাসই চুল ধোয়ার পরামর্শ দেন শোভন সাহা। তাঁর পরামর্শ, চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলাই বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ, কন্ডিশনারে যে তেল থাকে, তা ঠান্ডা পানিতে ওঠে না; বরং চুলের গোড়ায় সেই তেল থেকে গিয়ে খুশকি তৈরি করতে পারে। তাই হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
খানিকটা অবিশ্বাস্য শোনালেও চুলের অপরিহার্য উপাদানগুলোর অন্যতম হলো পানি। শীতের মাসগুলোতে হারিয়ে যাওয়া পানির চাহিদা পূরণ করতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। চুল হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে শীতকালে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। হাইড্রেশন নিশ্চিত করলে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো থাকবে। চুল ও মাথার ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকলে শুষ্কতা, চুলকানি ও খুশকির প্রকোপ থাকবে না।
সকাল সকাল স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বাজতেই তড়িঘড়ি করে গোসল করতে দৌড়। এরপর আলমারি খুলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই পরে ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই চম্পট। পাঁচ মিনিট দেরি হলেই বাস পাওয়া যাবে না। মেট্রো তো না-ই। যে মেয়েটার রোজ ক্লাস বা অফিস ধরতে এমনভাবে সকালটা যায়, বিশেষ দিনগুলোয় তার হালটা বোঝেন...
১ দিন আগেগরম মানেই প্রচণ্ড তাপ আর ঘাম। কিন্তু রোদে বের হলে ত্বক কেমন যেন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। আঙুলের ডগা, গোড়ালি এমনকি ঠোঁটও ফাটে এখনকার গ্রীষ্মকালে। ভাবা যায়? এর কারণ হলো, গরম পড়লেও বাতাসে আর্দ্রতা কম, ফলে ত্বকে টান টান অনুভব হয়, অতিরিক্ত শুষ্কতাও দেখা দেয়। গরমে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই।
১ দিন আগেএখন কাঁচা আমের সময়। নববর্ষের প্রথম দিন বানাতে পারেন কাঁচা আমের কয়েক রকমের পদ। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেআমার গলা, ঘাড়ে ও পিঠে কিছু কালো ছোপ রয়েছে। দাগমুক্ত ত্বকের জন্য কী করতে পারি? নুসরাত জাহান, জয়পুরহাট
১ দিন আগে