
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন টুল ব্যবসার প্রসারে সাহায্য করে। এই টুলগুলো যেমন গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও প্রভাবশালী ও সুসংগঠিত করে তোলে।
নিজের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারে হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিছু টুল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো—
ক্যাটালগ
ক্যাটালগের মাধ্যমে আপনি পণ্য এবং সেবার তথ্য, মূল্য, ছবি এবং লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপলোড করতে পারেন।
ক্যাটালগ টুল ব্যবহারের জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে যেতে হবে। আইফোনে নিচের ডান দিকে সেটিংস অপশন থাকে। আর অ্যান্ড্রয়েড ওপরের বাঁ দিকে থাকা তিন ডট মেনুতে ‘সেটিংস’ অপশন পাওয়া যাবে।
২. এরপর ‘ক্যাটালগ’ অপশন নির্বাচন করুন। নতুন একটি পণ্য যোগ করুন।
৩. প্লাস আইকনে ক্লিক করে একটি ছবি আপলোড করুন। এরপর পণ্যের বিবরণ লিখুন এবং মূল্য ও লিংক যুক্ত করুন।
একবার পণ্যটি আপলোড হয়ে গেলে, গ্রাহকেরা সহজেই ক্যাটালগ ব্রাউজ করতে পারবেন। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট পণ্য সরাসরি চ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে শেয়ারও করা যাবে। আপনি একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০০টি পণ্য আপলোড করতে পারবেন।
বাল্ক মেসেজ
বাল্ক মেসেজ এমন একটি ফিচার, যা ব্যবহার করে আপনি একসঙ্গে অনেক কন্টাক্টকে একই সময়ে একই মেসেজ পাঠাতে পারবেন। এটি হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে ‘ব্রডকাস্ট’ টুলের মাধ্যমে করা যায়।
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে লগইন করুন।
২. ওপরের ডান দিকের তিন ডটে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন।
৩. মেনু থেকে ‘ব্রডকাস্ট লিস্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এরপর ‘নিউ লিস্ট’ অপশনে ক্লিক করুন।
৫. নতুন ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরির পর আপনি যাদের কাছে বাল্ক মেসেজ পাঠাতে চান তাদের কন্টাক্ট নির্বাচন করুন। (আপনার কন্টাক্টের নম্বর অবশ্যই তাদের ফোনবুকে সেভ থাকতে হবে।)
৬. এখন ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. ব্রডকাস্ট লিস্ট তৈরি হওয়ার পর পনি মেসেজ টাইপ করার জন্য একটি নতুন চ্যাট উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি যেকোনো মেসেজ যুক্ত করতে পারেন, যেমন—টেক্সট, ছবি, ভিডিও বা ফাইল।
৮. পছন্দমতো মেসেজ লেখা হলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন ব্রডকাস্ট লিস্টে থাকা সব কন্টাক্টের কাছে মেসেজটি একযোগে পৌঁছে যাবে।
ব্লাক মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
মেসেজ টেমপ্লেট
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে কিছু নির্দিষ্ট মেসেজ টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে স্বাগত বার্তা, অনলাইনে না থাকার মেসেজ এবং অন্যান্য ধরনের তথ্য ‘কুইক রিপ্লাই’-এর মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
এখানে কুইক রিপ্লাই টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ খুলুন।
২. স্ক্রিনের ওপরের ডান দিকে থাকা তিন ডট আইকনে (মেনু আইকন) ক্লিক করুন। এরপর ‘সেটিংস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৩. সেটিংস থেকে ‘বিজনেস টুল’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘কুইক রিপ্লাইস’ নির্বাচন করুন।
৫. এবার ‘অ্যাড টু কুইক রিপ্লাই’ বা ‘নিউ কুইক রিপ্লাই’ বাটনে ট্যাপ করুন।
এখন, আপনি শর্টকাট নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। সহজে মনে রাখা যায় এমন শর্টকাট নাম (যেমন—ওপেনিং আওয়ারস বা কন্টাক্ট ইনফো) এখানে টাইপ করুন।
৬. এবার মেসেজ বক্সে মেসেজ লিখুন (যেমন: আপনার ব্যবসার কাজের সময়, যোগাযোগের নম্বর, বা অন্যান্য তথ্য)। এই মেসেজে আপনি ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য মিডিয়া ফাইলও যুক্ত করতে পারেন।
৭. এখন ‘সেভ’ বাটনে বাটনে ক্লিক করুন।
কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করবেন যেভাবে
যখন আপনি একটি চ্যাটে এই কুইক রিপ্লাই ব্যবহার করতে চান। তখন চ্যাট বক্সে ‘/’ টাইপ করুন এবং এরপর শর্টকাট নামটি টাইপ করুন (যেমন: ওপেনিং আওয়ারস) আপনার তৈরি করা মেসেজটি চলে আসবে এবং আপনি এক ক্লিকে পাঠাতে পারবেন।
কুইক রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে—
লেবেল
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে আপনি আপনার কন্টাক্টদের জন্য লেবেল (যেমন—নতুন গ্রাহক, পেন্ডিং অর্ডার) তৈরি করতে পারেন এবং চ্যাটগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে পারেন। এই লেবেল ব্যবহার করে আপনি সহজে গ্রাহকদের এবং তাদের চ্যাটগুলোকে শনাক্ত করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি নতুন গ্রাহক এবং পুরোনো গ্রাহকেরা কোন ধরনের প্রশ্ন করেছেন তা আলাদা আলাদা লেবেল দিয়ে চিহ্নিত করতে পারবেন।
কিউআর কোড
হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেসের জন্য কিউআর কোড তৈরি করা যায়, যা স্ক্যান করে আপনার গ্রাহকেরা সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে আসতে পারেন। এই কোডটি আপনি আপনার দোকানে, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং বা অন্যান্য মার্কেটিং উপকরণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন
‘ক্লিক টু হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাডস’ হলো এমন একটি বিজ্ঞাপন পদ্ধতি যা আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে চালু করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের সরাসরি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে নিয়ে আসবে। এর ফলে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে তারা সহজেই জিজ্ঞেস করতে পারবে।

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২১ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
সাদা বা লাল মুলা ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকলি ১ মুঠ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫ থেকে ৬টি, মলা শুঁটকি ১০০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি।
প্রণালি
মুলা ও শুঁটকি শুকনা কড়াইতে ভেজে গরম পানিতে ধুয়ে নিন। পরে মুলার খোসা ফেলে গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি, মলা মাছের শুঁটকি আর তেজপাতা দিয়ে দু-তিন মিনিট ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজকলি দিয়ে আরও পাঁচ-সাত মিনিট রান্না করুন। এরপর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝাল।

শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
সাদা বা লাল মুলা ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকলি ১ মুঠ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫ থেকে ৬টি, মলা শুঁটকি ১০০ গ্রাম, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি।
প্রণালি
মুলা ও শুঁটকি শুকনা কড়াইতে ভেজে গরম পানিতে ধুয়ে নিন। পরে মুলার খোসা ফেলে গোল করে কেটে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুনকুচি, মলা মাছের শুঁটকি আর তেজপাতা দিয়ে দু-তিন মিনিট ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুনবাটা, হলুদ, মরিচ ও ধনেগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজকলি দিয়ে আরও পাঁচ-সাত মিনিট রান্না করুন। এরপর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার গরম-গরম পরিবেশন করুন মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝাল।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২১ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে সেরা অভিজ্ঞতা পেতে হলে মালদ্বীপ ভ্রমণের আদর্শ সময় কখন, সেই ধারণা আগে থেকে নিয়ে রাখা ভালো। মালদ্বীপে পর্যটন মৌসুমকে সাধারণত তিন ভাগ করা হয়—
পিক সিজন: নভেম্বর থেকে এপ্রিল
শোল্ডার সিজন: অক্টোবরের শেষ ও এপ্রিলের শেষ
লো সিজন: মে থেকে অক্টোবর
ওভার ওয়াটার বাংলোয় থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আবহাওয়া, ভিড়, দাম সব দিক মিলিয়ে কোন সময়টি উপযুক্ত হবে, তা বিবেচনায় রাখা দরকার।

ভ্রমণের জন্য ভালো সময়
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল। মালদ্বীপের শুষ্ক মৌসুম এটি। তখন বৃষ্টি কম, ডাইভিংয়ে পানির দৃশ্যমানতা অত্যন্ত ভালো থাকে। তবে এটাই দ্বীপ দেশটিতে পর্যটনের ব্যস্ততম সময়। ফলে হোটেল ও ফ্লাইটের দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
তাই কম খরচে ঘুরতে চাইলে মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযোগী সময়। সে সময় বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু এই সময়ে অনেক ধরনের ছাড় পাওয়া যায়। ফলে খরচ অনেকটা কমে আসে। অক্টোবরের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ, ছোট এই দুই শোল্ডার সিজনে আবহাওয়া তুলনামূলক শুকনো থাকে। ফলে সবকিছুর দামও থাকে কিছুটা কম।
ভিড় এড়াতে চাইলে
মালদ্বীপে প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বীপ থাকায় বছরের যেকোনো সময়ে নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে জনপ্রিয় রিসোর্ট বা ডাইভিং সাইটগুলো শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা ব্যস্ত থাকে। সম্পূর্ণ নিরিবিলি অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মালদ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে মে ও জুনে পর্যটকসংখ্যা সবচেয়ে কম থাকে সেখানে।
ভালো আবহাওয়ার জন্য সেরা সময়
মালদ্বীপে সারা বছরই গরম আর আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। মৌসুমি আবহাওয়ার দিক থেকে দেশটিতে মূলত দুই ঋতু; শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর-এপ্রিল) এবং বর্ষা মৌসুম (মে-অক্টোবর)।
শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি খুব কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া থাকে সবচেয়ে ভালো। ফলে এটি পর্যটনের পিক সময় এবং এ সময় সবকিছুর দামও বেশি থাকে। বর্ষাকালে কিছু দ্বীপে মাসে ৯ ইঞ্চির মতো বৃষ্টি হতে পারে। প্রায়ই বিকেলে বৃষ্টি নামে, তবে পুরো দিন রোদ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই এ সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে খরচ কিছু বাঁচতে পারে।
কম খরচে মালদ্বীপ ভ্রমণ
মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকালে থাকার জায়গা, ফ্লাইট, এমনকি ওভার ওয়াটার বাংলোগুলোর দামও কমে আসে। অগ্রিম বুকিং করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্লাইট খরচ কমাতে সরাসরি রুটের বদলে এশিয়া বা ইউরোপের বড় কোনো শহরে ট্রানজিট নিতে পারেন। রিসোর্টে না থেকে স্থানীয়দের পরিচালিত গেস্টহাউস বা এয়ারবিএনবিতে উঠলেও বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ সম্ভব।
ডাইভিং, সার্ফিং ও ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য সেরা সময়
বর্ষাকাল সার্ফিংয়ের জন্য আদর্শ সময়। কারণ এ সময় ঢেউ বড় ও স্বভাবতই চঞ্চল থাকে। যদি বৃষ্টির ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলও ভালো সময়। ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এ সময়ে সমুদ্রের পানির স্বচ্ছতা সবচেয়ে ভালো থাকে। ফলে রঙিন প্রবাল, মাছ আর বিখ্যাত ডাইভ সাইটগুলো উপভোগ করা যায় দারুণভাবে।
বায়োলুমিনেসেন্স দেখার সময়
বৃষ্টির মৌসুমে প্ল্যাঙ্কটনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এ সময় সমুদ্রের ঢেউয়ে নীল রঙের বায়োলুমিনেসেন্স বেশি দেখা যায়। তবে এটি নির্দিষ্ট মাসের ওপর হয় না। বরং পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার ওপর বেশি নির্ভরশীল।
কোন সময়টি খারাপ
অনেকের মতে, মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগস্ট সবচেয়ে অস্বস্তিকর মাস। কারণ এটি বর্ষাকালের ঠিক মাঝামাঝি, যদিও সাধারণত অক্টোবরেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই দুই মাস এড়িয়ে চললে আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে পাওয়া যায়।
বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য আবার নভেম্বর থেকে এপ্রিল সবচেয়ে খারাপ সময়। কারণ এ সময় সবকিছুর দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে সেরা অভিজ্ঞতা পেতে হলে মালদ্বীপ ভ্রমণের আদর্শ সময় কখন, সেই ধারণা আগে থেকে নিয়ে রাখা ভালো। মালদ্বীপে পর্যটন মৌসুমকে সাধারণত তিন ভাগ করা হয়—
পিক সিজন: নভেম্বর থেকে এপ্রিল
শোল্ডার সিজন: অক্টোবরের শেষ ও এপ্রিলের শেষ
লো সিজন: মে থেকে অক্টোবর
ওভার ওয়াটার বাংলোয় থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আবহাওয়া, ভিড়, দাম সব দিক মিলিয়ে কোন সময়টি উপযুক্ত হবে, তা বিবেচনায় রাখা দরকার।

ভ্রমণের জন্য ভালো সময়
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল। মালদ্বীপের শুষ্ক মৌসুম এটি। তখন বৃষ্টি কম, ডাইভিংয়ে পানির দৃশ্যমানতা অত্যন্ত ভালো থাকে। তবে এটাই দ্বীপ দেশটিতে পর্যটনের ব্যস্ততম সময়। ফলে হোটেল ও ফ্লাইটের দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
তাই কম খরচে ঘুরতে চাইলে মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযোগী সময়। সে সময় বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু এই সময়ে অনেক ধরনের ছাড় পাওয়া যায়। ফলে খরচ অনেকটা কমে আসে। অক্টোবরের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ, ছোট এই দুই শোল্ডার সিজনে আবহাওয়া তুলনামূলক শুকনো থাকে। ফলে সবকিছুর দামও থাকে কিছুটা কম।
ভিড় এড়াতে চাইলে
মালদ্বীপে প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বীপ থাকায় বছরের যেকোনো সময়ে নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে জনপ্রিয় রিসোর্ট বা ডাইভিং সাইটগুলো শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা ব্যস্ত থাকে। সম্পূর্ণ নিরিবিলি অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মালদ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে মে ও জুনে পর্যটকসংখ্যা সবচেয়ে কম থাকে সেখানে।
ভালো আবহাওয়ার জন্য সেরা সময়
মালদ্বীপে সারা বছরই গরম আর আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। মৌসুমি আবহাওয়ার দিক থেকে দেশটিতে মূলত দুই ঋতু; শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর-এপ্রিল) এবং বর্ষা মৌসুম (মে-অক্টোবর)।
শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি খুব কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া থাকে সবচেয়ে ভালো। ফলে এটি পর্যটনের পিক সময় এবং এ সময় সবকিছুর দামও বেশি থাকে। বর্ষাকালে কিছু দ্বীপে মাসে ৯ ইঞ্চির মতো বৃষ্টি হতে পারে। প্রায়ই বিকেলে বৃষ্টি নামে, তবে পুরো দিন রোদ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই এ সময় ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে খরচ কিছু বাঁচতে পারে।
কম খরচে মালদ্বীপ ভ্রমণ
মে থেকে অক্টোবরের বর্ষাকালে থাকার জায়গা, ফ্লাইট, এমনকি ওভার ওয়াটার বাংলোগুলোর দামও কমে আসে। অগ্রিম বুকিং করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্লাইট খরচ কমাতে সরাসরি রুটের বদলে এশিয়া বা ইউরোপের বড় কোনো শহরে ট্রানজিট নিতে পারেন। রিসোর্টে না থেকে স্থানীয়দের পরিচালিত গেস্টহাউস বা এয়ারবিএনবিতে উঠলেও বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ সম্ভব।
ডাইভিং, সার্ফিং ও ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য সেরা সময়
বর্ষাকাল সার্ফিংয়ের জন্য আদর্শ সময়। কারণ এ সময় ঢেউ বড় ও স্বভাবতই চঞ্চল থাকে। যদি বৃষ্টির ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলও ভালো সময়। ডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সময় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এ সময়ে সমুদ্রের পানির স্বচ্ছতা সবচেয়ে ভালো থাকে। ফলে রঙিন প্রবাল, মাছ আর বিখ্যাত ডাইভ সাইটগুলো উপভোগ করা যায় দারুণভাবে।
বায়োলুমিনেসেন্স দেখার সময়
বৃষ্টির মৌসুমে প্ল্যাঙ্কটনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এ সময় সমুদ্রের ঢেউয়ে নীল রঙের বায়োলুমিনেসেন্স বেশি দেখা যায়। তবে এটি নির্দিষ্ট মাসের ওপর হয় না। বরং পানির তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার ওপর বেশি নির্ভরশীল।
কোন সময়টি খারাপ
অনেকের মতে, মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য আগস্ট সবচেয়ে অস্বস্তিকর মাস। কারণ এটি বর্ষাকালের ঠিক মাঝামাঝি, যদিও সাধারণত অক্টোবরেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই দুই মাস এড়িয়ে চললে আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে পাওয়া যায়।
বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য আবার নভেম্বর থেকে এপ্রিল সবচেয়ে খারাপ সময়। কারণ এ সময় সবকিছুর দাম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২১ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক যোগাযোগের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবসায়ীরা তাঁদের গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি, দ্রুত এবং কার্যকরভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করে।
১৭ মার্চ ২০২৫
শীতের সবজি মুলা উঠেছে বাজারে। মুলা দিয়ে কখনো শুঁটকি খেয়েছেন? আপনাদের জন্য মুলা দিয়ে শুঁটকির ঝালের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগে
যাঁরা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর পরিষ্কার সমুদ্রের পানি দেখাকে অগ্রাধিকার দিতে চান, তাঁদের জন্য মালদ্বীপ ভ্রমণের সেরা সময় কোনটা? উত্তর ভারত মহাসাগরের বুকে ছড়িয়ে থাকা মালদ্বীপ নীল-সবুজ পানি আর বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। প্রকৃত অর্থে নিরিবিলি বিশ্রাম চাইলে এই দ্বীপপুঞ্জ আদর্শ জায়গা। তবে...
১৪ ঘণ্টা আগে
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
২১ ঘণ্টা আগে