
কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ। ভিউ বাড়ানোর পাশাপাশি ফিচারটি ব্যবহার করে নির্মাতারা গড়ে তুলতে পারেন একটি সক্রিয় ও বিশ্বস্ত কমিউনিটি।
ভিউ বাড়াতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহারের ১০ উপায়
১. নিয়মিত পোস্ট করুন
কমিউনিটি পোস্টের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো, নিয়মিত পোস্ট করা। যেভাবে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন, তেমনি ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাবে নিয়মিত পোস্ট করা প্রয়োজন। এটি দর্শকদের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি দারুণ উপায়। তবে পোস্ট দেওয়ার পর যতটা সম্ভব দর্শকদের মন্তব্য বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারেন।
এ ছাড়াও এর মাধ্যমে দর্শকেরা আপনার ভিডিও দেখতে, লাইক-কমেন্ট করতে এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী হবে।
২. বিষয়ের বৈচিত্র্য আনুন
দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে হলে কনটেন্টে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। বিভিন্ন ফরম্যাট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং দেখুন যে কোন ধরনের পোস্ট আপনার দর্শকদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ তৈরি করছে। একই ধরনের পোস্ট বারবার করলে তা একসময় একঘেয়েমি হতে পারে।
কমিউনিটি ট্যাবে টেক্সট পোস্ট, ছবি, পোল এবং জিআইএফ সব মিলিয়ে একটি মিশ্র ফরম্যাট ব্যবহার করুন, যাতে প্রতিটি পোস্টে নতুনত্ব থাকে।
এর মধ্যে পোল বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ, এটি দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত পাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং এটি করতে তাদের বেশি কষ্ট হয় না। ফলে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ে এবং কমিউনিটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
৩. আসন্ন কনটেন্টের ঝলক দিন
নতুন ভিডিও সম্পর্কে কমিউনিটি ট্যাবে একটি পোস্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন। পর্দার অন্তরালের কিছু ছবি বা একটি ছোট ক্লিপ দিন অথবা রহস্যময় কোনো বার্তা লিখে কৌতূহল জাগান। এটি ঠিক যেন সিনেমার আগে ট্রেলার দেখানোর মতো, যা দর্শকদের কৌতূহল ও আগ্রহ উসকে দেয়। এর মাধ্যমে তারা আসন্ন ভিডিওর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
৪. পুরোনো ভিডিও আবার সামনে আনুন
নতুন সাবস্ক্রাইবারের কাছে পুরোনো ভিডিও তুলে ধরতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই পোস্টের মাধ্যমে কোনো মূল্যবান ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। পুরোনো হলেও এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক এবং নতুন দর্শকদের জন্য দারুণ উপকারী হতে পারে। এই ধরনের পোস্ট আপনার পুরোনো কনটেন্টে ভিউ, কমেন্ট ও শেয়ার বাড়াতে পারে।
৫. ভিডিও তৈরির সময় মজাদার মুহূর্ত শেয়ার করুন
দর্শকেরা পর্দার পেছনের মুহূর্তগুলো দেখতে ভালোবাসে। ভিডিও তৈরির সময় মজার ঘটনা কিংবা অপ্রত্যাশিত বিপত্তিগুলো তুলে ধরতে পারেন।
এই ধরনের কনটেন্ট দর্শকদের এমন একটি অভিজ্ঞতা দেয়, যেন তারা আপনার কাজের একেবারে ভেতরের অংশ। এতে তারা আরও বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করে এবং আপনাকে একজন বাস্তব, মানবিক নির্মাতা হিসেবে দেখতে পারে।
৬. ফ্যানদের তৈরি কনটেন্ট তুলে ধরুন
আপনাকে বা আপনার চ্যানেল নিয়ে তৈরি করা ইতিবাচক বিষয়গুলো কমিউনিটিতে তুলে ধরুন। এতে কমিউনিটির অন্য ফ্যানরা আরও উৎসাহিত করবে আপনাকে নিয়ে কনটেন্ট বানাতে। ফলে আপনার ও আপনার চ্যানেলের প্রচারণা বাড়বে।
৭. প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের আয়োজন করুন
মূল চ্যানেলের ভিডিওতে পুরস্কার বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা কিছু সময় জটিল হয়। কারণ, ইউটিউবে আপনার ভিডিওগুলোর লাইফটাইম অনেক দীর্ঘ। অনেক সময় প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার অনেক পরে এসব ভিডিও তাদের চোখের সামনে পড়ে, যা তাদের জন্য হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এই কারণে কমিউনিটি পোস্টগুলো হলো এমন কনটেন্ট শেয়ার করার আদর্শ জায়গা, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো হয়ে যাবে।
এ ধরনের পুরস্কার বা প্রতিযোগিতা আপনার দর্শকদের এনগেজমেন্ট বাড়ায় এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।
৮. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট বা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন
যদি আপনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে বা আপনার প্রস্তাবিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ইউটিউব থেকে আয় করেন, তাহলে আপনার কমিউনিটি পোস্টগুলো আয়ের আরেকটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার সব পোস্ট শুধু বিজ্ঞাপন না হয়, তাহলে দর্শকেরা দ্রুত সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে পারে।
১০. মতামত নিন বা আইডিয়া সংগ্রহ করুন
আপনার দর্শকেরা তথ্যের একটি অমূল্য ভান্ডার। পোল ও প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান মতামত সংগ্রহ করুন, আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে তাদের কী মনে হয়, তারা কোন সমস্যার সমাধান চায় অথবা আপনার সাম্প্রতিক ভিডিও নিয়ে তাদের কী প্রশ্ন রয়েছে। তারা আপনার চ্যানেলে কোন কনটেন্ট বেশি আর কোন কনটেন্ট কম দেখতে চায়।
১০. অ্যানালিটিক ভুলবেন না
সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় আপনার অ্যানালিটিক সবচেয়ে ভালো নির্দেশক হয়, কোন ধরনের কনটেন্ট কার্যকর হচ্ছে আর কোনটি নয়। প্রতিটি কমিউনিটি পোস্টের অ্যানালিটিক দেখতে, ইউটিউব স্টুডিওতে যান, তারপর ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাব ক্লিক করুন।
এখানে আপনার সব পোস্টের তালিকা পাবেন, যেগুলো আপনি টাইপ বা ভিজিবিলিটি অনুসারে ফিল্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি এই ট্যাব থেকে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্ট সম্পাদনা বা মুছে ফেলার অপশন পাবেন। আপনার পোস্টের বিস্তারিত দেখতে ও সম্পাদনা করতে চাইলে ডিটেইলস পেজে ক্লিক করুন। একই জায়গা থেকে আপনি কমেন্ট ম্যানেজ ও রিপ্লাই করতে পারবেন।

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ। ভিউ বাড়ানোর পাশাপাশি ফিচারটি ব্যবহার করে নির্মাতারা গড়ে তুলতে পারেন একটি সক্রিয় ও বিশ্বস্ত কমিউনিটি।
ভিউ বাড়াতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহারের ১০ উপায়
১. নিয়মিত পোস্ট করুন
কমিউনিটি পোস্টের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো, নিয়মিত পোস্ট করা। যেভাবে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন, তেমনি ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাবে নিয়মিত পোস্ট করা প্রয়োজন। এটি দর্শকদের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি দারুণ উপায়। তবে পোস্ট দেওয়ার পর যতটা সম্ভব দর্শকদের মন্তব্য বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারেন।
এ ছাড়াও এর মাধ্যমে দর্শকেরা আপনার ভিডিও দেখতে, লাইক-কমেন্ট করতে এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী হবে।
২. বিষয়ের বৈচিত্র্য আনুন
দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে হলে কনটেন্টে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। বিভিন্ন ফরম্যাট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং দেখুন যে কোন ধরনের পোস্ট আপনার দর্শকদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ তৈরি করছে। একই ধরনের পোস্ট বারবার করলে তা একসময় একঘেয়েমি হতে পারে।
কমিউনিটি ট্যাবে টেক্সট পোস্ট, ছবি, পোল এবং জিআইএফ সব মিলিয়ে একটি মিশ্র ফরম্যাট ব্যবহার করুন, যাতে প্রতিটি পোস্টে নতুনত্ব থাকে।
এর মধ্যে পোল বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ, এটি দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত পাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং এটি করতে তাদের বেশি কষ্ট হয় না। ফলে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ে এবং কমিউনিটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
৩. আসন্ন কনটেন্টের ঝলক দিন
নতুন ভিডিও সম্পর্কে কমিউনিটি ট্যাবে একটি পোস্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন। পর্দার অন্তরালের কিছু ছবি বা একটি ছোট ক্লিপ দিন অথবা রহস্যময় কোনো বার্তা লিখে কৌতূহল জাগান। এটি ঠিক যেন সিনেমার আগে ট্রেলার দেখানোর মতো, যা দর্শকদের কৌতূহল ও আগ্রহ উসকে দেয়। এর মাধ্যমে তারা আসন্ন ভিডিওর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
৪. পুরোনো ভিডিও আবার সামনে আনুন
নতুন সাবস্ক্রাইবারের কাছে পুরোনো ভিডিও তুলে ধরতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই পোস্টের মাধ্যমে কোনো মূল্যবান ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। পুরোনো হলেও এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক এবং নতুন দর্শকদের জন্য দারুণ উপকারী হতে পারে। এই ধরনের পোস্ট আপনার পুরোনো কনটেন্টে ভিউ, কমেন্ট ও শেয়ার বাড়াতে পারে।
৫. ভিডিও তৈরির সময় মজাদার মুহূর্ত শেয়ার করুন
দর্শকেরা পর্দার পেছনের মুহূর্তগুলো দেখতে ভালোবাসে। ভিডিও তৈরির সময় মজার ঘটনা কিংবা অপ্রত্যাশিত বিপত্তিগুলো তুলে ধরতে পারেন।
এই ধরনের কনটেন্ট দর্শকদের এমন একটি অভিজ্ঞতা দেয়, যেন তারা আপনার কাজের একেবারে ভেতরের অংশ। এতে তারা আরও বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করে এবং আপনাকে একজন বাস্তব, মানবিক নির্মাতা হিসেবে দেখতে পারে।
৬. ফ্যানদের তৈরি কনটেন্ট তুলে ধরুন
আপনাকে বা আপনার চ্যানেল নিয়ে তৈরি করা ইতিবাচক বিষয়গুলো কমিউনিটিতে তুলে ধরুন। এতে কমিউনিটির অন্য ফ্যানরা আরও উৎসাহিত করবে আপনাকে নিয়ে কনটেন্ট বানাতে। ফলে আপনার ও আপনার চ্যানেলের প্রচারণা বাড়বে।
৭. প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের আয়োজন করুন
মূল চ্যানেলের ভিডিওতে পুরস্কার বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা কিছু সময় জটিল হয়। কারণ, ইউটিউবে আপনার ভিডিওগুলোর লাইফটাইম অনেক দীর্ঘ। অনেক সময় প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার অনেক পরে এসব ভিডিও তাদের চোখের সামনে পড়ে, যা তাদের জন্য হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এই কারণে কমিউনিটি পোস্টগুলো হলো এমন কনটেন্ট শেয়ার করার আদর্শ জায়গা, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো হয়ে যাবে।
এ ধরনের পুরস্কার বা প্রতিযোগিতা আপনার দর্শকদের এনগেজমেন্ট বাড়ায় এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।
৮. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট বা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন
যদি আপনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে বা আপনার প্রস্তাবিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ইউটিউব থেকে আয় করেন, তাহলে আপনার কমিউনিটি পোস্টগুলো আয়ের আরেকটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার সব পোস্ট শুধু বিজ্ঞাপন না হয়, তাহলে দর্শকেরা দ্রুত সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে পারে।
১০. মতামত নিন বা আইডিয়া সংগ্রহ করুন
আপনার দর্শকেরা তথ্যের একটি অমূল্য ভান্ডার। পোল ও প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান মতামত সংগ্রহ করুন, আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে তাদের কী মনে হয়, তারা কোন সমস্যার সমাধান চায় অথবা আপনার সাম্প্রতিক ভিডিও নিয়ে তাদের কী প্রশ্ন রয়েছে। তারা আপনার চ্যানেলে কোন কনটেন্ট বেশি আর কোন কনটেন্ট কম দেখতে চায়।
১০. অ্যানালিটিক ভুলবেন না
সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় আপনার অ্যানালিটিক সবচেয়ে ভালো নির্দেশক হয়, কোন ধরনের কনটেন্ট কার্যকর হচ্ছে আর কোনটি নয়। প্রতিটি কমিউনিটি পোস্টের অ্যানালিটিক দেখতে, ইউটিউব স্টুডিওতে যান, তারপর ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাব ক্লিক করুন।
এখানে আপনার সব পোস্টের তালিকা পাবেন, যেগুলো আপনি টাইপ বা ভিজিবিলিটি অনুসারে ফিল্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি এই ট্যাব থেকে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্ট সম্পাদনা বা মুছে ফেলার অপশন পাবেন। আপনার পোস্টের বিস্তারিত দেখতে ও সম্পাদনা করতে চাইলে ডিটেইলস পেজে ক্লিক করুন। একই জায়গা থেকে আপনি কমেন্ট ম্যানেজ ও রিপ্লাই করতে পারবেন।

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ। ভিউ বাড়ানোর পাশাপাশি ফিচারটি ব্যবহার করে নির্মাতারা গড়ে তুলতে পারেন একটি সক্রিয় ও বিশ্বস্ত কমিউনিটি।
ভিউ বাড়াতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহারের ১০ উপায়
১. নিয়মিত পোস্ট করুন
কমিউনিটি পোস্টের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো, নিয়মিত পোস্ট করা। যেভাবে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন, তেমনি ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাবে নিয়মিত পোস্ট করা প্রয়োজন। এটি দর্শকদের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি দারুণ উপায়। তবে পোস্ট দেওয়ার পর যতটা সম্ভব দর্শকদের মন্তব্য বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারেন।
এ ছাড়াও এর মাধ্যমে দর্শকেরা আপনার ভিডিও দেখতে, লাইক-কমেন্ট করতে এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী হবে।
২. বিষয়ের বৈচিত্র্য আনুন
দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে হলে কনটেন্টে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। বিভিন্ন ফরম্যাট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং দেখুন যে কোন ধরনের পোস্ট আপনার দর্শকদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ তৈরি করছে। একই ধরনের পোস্ট বারবার করলে তা একসময় একঘেয়েমি হতে পারে।
কমিউনিটি ট্যাবে টেক্সট পোস্ট, ছবি, পোল এবং জিআইএফ সব মিলিয়ে একটি মিশ্র ফরম্যাট ব্যবহার করুন, যাতে প্রতিটি পোস্টে নতুনত্ব থাকে।
এর মধ্যে পোল বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ, এটি দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত পাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং এটি করতে তাদের বেশি কষ্ট হয় না। ফলে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ে এবং কমিউনিটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
৩. আসন্ন কনটেন্টের ঝলক দিন
নতুন ভিডিও সম্পর্কে কমিউনিটি ট্যাবে একটি পোস্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন। পর্দার অন্তরালের কিছু ছবি বা একটি ছোট ক্লিপ দিন অথবা রহস্যময় কোনো বার্তা লিখে কৌতূহল জাগান। এটি ঠিক যেন সিনেমার আগে ট্রেলার দেখানোর মতো, যা দর্শকদের কৌতূহল ও আগ্রহ উসকে দেয়। এর মাধ্যমে তারা আসন্ন ভিডিওর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
৪. পুরোনো ভিডিও আবার সামনে আনুন
নতুন সাবস্ক্রাইবারের কাছে পুরোনো ভিডিও তুলে ধরতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই পোস্টের মাধ্যমে কোনো মূল্যবান ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। পুরোনো হলেও এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক এবং নতুন দর্শকদের জন্য দারুণ উপকারী হতে পারে। এই ধরনের পোস্ট আপনার পুরোনো কনটেন্টে ভিউ, কমেন্ট ও শেয়ার বাড়াতে পারে।
৫. ভিডিও তৈরির সময় মজাদার মুহূর্ত শেয়ার করুন
দর্শকেরা পর্দার পেছনের মুহূর্তগুলো দেখতে ভালোবাসে। ভিডিও তৈরির সময় মজার ঘটনা কিংবা অপ্রত্যাশিত বিপত্তিগুলো তুলে ধরতে পারেন।
এই ধরনের কনটেন্ট দর্শকদের এমন একটি অভিজ্ঞতা দেয়, যেন তারা আপনার কাজের একেবারে ভেতরের অংশ। এতে তারা আরও বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করে এবং আপনাকে একজন বাস্তব, মানবিক নির্মাতা হিসেবে দেখতে পারে।
৬. ফ্যানদের তৈরি কনটেন্ট তুলে ধরুন
আপনাকে বা আপনার চ্যানেল নিয়ে তৈরি করা ইতিবাচক বিষয়গুলো কমিউনিটিতে তুলে ধরুন। এতে কমিউনিটির অন্য ফ্যানরা আরও উৎসাহিত করবে আপনাকে নিয়ে কনটেন্ট বানাতে। ফলে আপনার ও আপনার চ্যানেলের প্রচারণা বাড়বে।
৭. প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের আয়োজন করুন
মূল চ্যানেলের ভিডিওতে পুরস্কার বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা কিছু সময় জটিল হয়। কারণ, ইউটিউবে আপনার ভিডিওগুলোর লাইফটাইম অনেক দীর্ঘ। অনেক সময় প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার অনেক পরে এসব ভিডিও তাদের চোখের সামনে পড়ে, যা তাদের জন্য হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এই কারণে কমিউনিটি পোস্টগুলো হলো এমন কনটেন্ট শেয়ার করার আদর্শ জায়গা, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো হয়ে যাবে।
এ ধরনের পুরস্কার বা প্রতিযোগিতা আপনার দর্শকদের এনগেজমেন্ট বাড়ায় এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।
৮. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট বা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন
যদি আপনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে বা আপনার প্রস্তাবিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ইউটিউব থেকে আয় করেন, তাহলে আপনার কমিউনিটি পোস্টগুলো আয়ের আরেকটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার সব পোস্ট শুধু বিজ্ঞাপন না হয়, তাহলে দর্শকেরা দ্রুত সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে পারে।
১০. মতামত নিন বা আইডিয়া সংগ্রহ করুন
আপনার দর্শকেরা তথ্যের একটি অমূল্য ভান্ডার। পোল ও প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান মতামত সংগ্রহ করুন, আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে তাদের কী মনে হয়, তারা কোন সমস্যার সমাধান চায় অথবা আপনার সাম্প্রতিক ভিডিও নিয়ে তাদের কী প্রশ্ন রয়েছে। তারা আপনার চ্যানেলে কোন কনটেন্ট বেশি আর কোন কনটেন্ট কম দেখতে চায়।
১০. অ্যানালিটিক ভুলবেন না
সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় আপনার অ্যানালিটিক সবচেয়ে ভালো নির্দেশক হয়, কোন ধরনের কনটেন্ট কার্যকর হচ্ছে আর কোনটি নয়। প্রতিটি কমিউনিটি পোস্টের অ্যানালিটিক দেখতে, ইউটিউব স্টুডিওতে যান, তারপর ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাব ক্লিক করুন।
এখানে আপনার সব পোস্টের তালিকা পাবেন, যেগুলো আপনি টাইপ বা ভিজিবিলিটি অনুসারে ফিল্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি এই ট্যাব থেকে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্ট সম্পাদনা বা মুছে ফেলার অপশন পাবেন। আপনার পোস্টের বিস্তারিত দেখতে ও সম্পাদনা করতে চাইলে ডিটেইলস পেজে ক্লিক করুন। একই জায়গা থেকে আপনি কমেন্ট ম্যানেজ ও রিপ্লাই করতে পারবেন।

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ। ভিউ বাড়ানোর পাশাপাশি ফিচারটি ব্যবহার করে নির্মাতারা গড়ে তুলতে পারেন একটি সক্রিয় ও বিশ্বস্ত কমিউনিটি।
ভিউ বাড়াতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহারের ১০ উপায়
১. নিয়মিত পোস্ট করুন
কমিউনিটি পোস্টের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো, নিয়মিত পোস্ট করা। যেভাবে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন, তেমনি ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাবে নিয়মিত পোস্ট করা প্রয়োজন। এটি দর্শকদের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি দারুণ উপায়। তবে পোস্ট দেওয়ার পর যতটা সম্ভব দর্শকদের মন্তব্য বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এর মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট সাবস্ক্রাইবারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারেন।
এ ছাড়াও এর মাধ্যমে দর্শকেরা আপনার ভিডিও দেখতে, লাইক-কমেন্ট করতে এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী হবে।
২. বিষয়ের বৈচিত্র্য আনুন
দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে হলে কনটেন্টে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। বিভিন্ন ফরম্যাট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং দেখুন যে কোন ধরনের পোস্ট আপনার দর্শকদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংযোগ তৈরি করছে। একই ধরনের পোস্ট বারবার করলে তা একসময় একঘেয়েমি হতে পারে।
কমিউনিটি ট্যাবে টেক্সট পোস্ট, ছবি, পোল এবং জিআইএফ সব মিলিয়ে একটি মিশ্র ফরম্যাট ব্যবহার করুন, যাতে প্রতিটি পোস্টে নতুনত্ব থাকে।
এর মধ্যে পোল বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ, এটি দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত পাওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং এটি করতে তাদের বেশি কষ্ট হয় না। ফলে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ে এবং কমিউনিটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
৩. আসন্ন কনটেন্টের ঝলক দিন
নতুন ভিডিও সম্পর্কে কমিউনিটি ট্যাবে একটি পোস্ট দিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন। পর্দার অন্তরালের কিছু ছবি বা একটি ছোট ক্লিপ দিন অথবা রহস্যময় কোনো বার্তা লিখে কৌতূহল জাগান। এটি ঠিক যেন সিনেমার আগে ট্রেলার দেখানোর মতো, যা দর্শকদের কৌতূহল ও আগ্রহ উসকে দেয়। এর মাধ্যমে তারা আসন্ন ভিডিওর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
৪. পুরোনো ভিডিও আবার সামনে আনুন
নতুন সাবস্ক্রাইবারের কাছে পুরোনো ভিডিও তুলে ধরতে কমিউনিটি পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই পোস্টের মাধ্যমে কোনো মূল্যবান ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। পুরোনো হলেও এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক এবং নতুন দর্শকদের জন্য দারুণ উপকারী হতে পারে। এই ধরনের পোস্ট আপনার পুরোনো কনটেন্টে ভিউ, কমেন্ট ও শেয়ার বাড়াতে পারে।
৫. ভিডিও তৈরির সময় মজাদার মুহূর্ত শেয়ার করুন
দর্শকেরা পর্দার পেছনের মুহূর্তগুলো দেখতে ভালোবাসে। ভিডিও তৈরির সময় মজার ঘটনা কিংবা অপ্রত্যাশিত বিপত্তিগুলো তুলে ধরতে পারেন।
এই ধরনের কনটেন্ট দর্শকদের এমন একটি অভিজ্ঞতা দেয়, যেন তারা আপনার কাজের একেবারে ভেতরের অংশ। এতে তারা আরও বেশি ঘনিষ্ঠ বোধ করে এবং আপনাকে একজন বাস্তব, মানবিক নির্মাতা হিসেবে দেখতে পারে।
৬. ফ্যানদের তৈরি কনটেন্ট তুলে ধরুন
আপনাকে বা আপনার চ্যানেল নিয়ে তৈরি করা ইতিবাচক বিষয়গুলো কমিউনিটিতে তুলে ধরুন। এতে কমিউনিটির অন্য ফ্যানরা আরও উৎসাহিত করবে আপনাকে নিয়ে কনটেন্ট বানাতে। ফলে আপনার ও আপনার চ্যানেলের প্রচারণা বাড়বে।
৭. প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের আয়োজন করুন
মূল চ্যানেলের ভিডিওতে পুরস্কার বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা কিছু সময় জটিল হয়। কারণ, ইউটিউবে আপনার ভিডিওগুলোর লাইফটাইম অনেক দীর্ঘ। অনেক সময় প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার অনেক পরে এসব ভিডিও তাদের চোখের সামনে পড়ে, যা তাদের জন্য হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এই কারণে কমিউনিটি পোস্টগুলো হলো এমন কনটেন্ট শেয়ার করার আদর্শ জায়গা, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো হয়ে যাবে।
এ ধরনের পুরস্কার বা প্রতিযোগিতা আপনার দর্শকদের এনগেজমেন্ট বাড়ায় এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়ানোর একটি চমৎকার উপায় হতে পারে।
৮. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট বা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন
যদি আপনি ব্র্যান্ডের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে বা আপনার প্রস্তাবিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে ইউটিউব থেকে আয় করেন, তাহলে আপনার কমিউনিটি পোস্টগুলো আয়ের আরেকটি শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার সব পোস্ট শুধু বিজ্ঞাপন না হয়, তাহলে দর্শকেরা দ্রুত সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে পারে।
১০. মতামত নিন বা আইডিয়া সংগ্রহ করুন
আপনার দর্শকেরা তথ্যের একটি অমূল্য ভান্ডার। পোল ও প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মূল্যবান মতামত সংগ্রহ করুন, আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে তাদের কী মনে হয়, তারা কোন সমস্যার সমাধান চায় অথবা আপনার সাম্প্রতিক ভিডিও নিয়ে তাদের কী প্রশ্ন রয়েছে। তারা আপনার চ্যানেলে কোন কনটেন্ট বেশি আর কোন কনটেন্ট কম দেখতে চায়।
১০. অ্যানালিটিক ভুলবেন না
সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় আপনার অ্যানালিটিক সবচেয়ে ভালো নির্দেশক হয়, কোন ধরনের কনটেন্ট কার্যকর হচ্ছে আর কোনটি নয়। প্রতিটি কমিউনিটি পোস্টের অ্যানালিটিক দেখতে, ইউটিউব স্টুডিওতে যান, তারপর ইউটিউব কমিউনিটি ট্যাব ক্লিক করুন।
এখানে আপনার সব পোস্টের তালিকা পাবেন, যেগুলো আপনি টাইপ বা ভিজিবিলিটি অনুসারে ফিল্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি এই ট্যাব থেকে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্ট সম্পাদনা বা মুছে ফেলার অপশন পাবেন। আপনার পোস্টের বিস্তারিত দেখতে ও সম্পাদনা করতে চাইলে ডিটেইলস পেজে ক্লিক করুন। একই জায়গা থেকে আপনি কমেন্ট ম্যানেজ ও রিপ্লাই করতে পারবেন।

বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন...
৯ ঘণ্টা আগে
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
১৪ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এই গ্রামগুলো শুধু সুন্দর নয়, একই সঙ্গে সামাজিক ও পরিবেশগত সচেতনতার অনন্য উদাহরণ।
পেংলিপুরান, ইন্দোনেশিয়া
বালির ব্যাংলি জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম পরিচ্ছন্ন গ্রাম পেংলিপুরান। এখানে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের বাড়ি, পাথরের রাস্তা, ফুল-বাগানসহ গ্রামীণ পরিবেশ অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। গ্রামটির প্রতিটি পরিবারের সবাই পরিবেশ বিষয়ে সচেতন। তারা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং জৈব বর্জ্য সার ব্যবহার করে। সেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ। গ্রামটিতে গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ। এর পাশাপাশি পর্যটকের সংখ্যা সীমিত রাখার কারণে সেখানকার পরিবেশ ও শান্তি ঠিক নির্বিঘ্ন আছে। পেংলিপুরান গ্রামের অধিবাসীদের ঐতিহ্যের অংশ পেনজোর ও বান্টেন উৎসব। এসব গ্রামের হোমস্টেগুলোতে থাকলে স্থানীয়দের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়। সুযোগ পাওয়া যায় তাদের সংস্কৃতি ও জীবনধারা দেখার। সব মিলিয়ে পরিচ্ছন্নতা ধরে রাখায় পেংলিপুরান গ্রাম পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
গিয়েথুর্ন, নেদারল্যান্ডস

‘উত্তরের ভেনিস’ বলে খ্যাত নেদারল্যান্ডসের গিয়েথুর্ন গ্রাম। সেখানে পাওয়া যায় না গাড়ির শব্দ, নেই রাস্তাঘাটে ব্যস্ততা। আছে শুধু শান্ত পানিপথ, ফুলে ভরা বাগান আর ছোট ছোট বাড়ি। গ্রামটিতে চলাচলের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় নৌকার ওপর। আরেকটি ব্যবস্থা আছে, সেটা হলো হাঁটা। স্থানীয়রা পরিবেশ রক্ষায় বেশ সচেতন। গ্রামটির খালে পানিও থাকে বারো মাস। পুরো গ্রাম ঘুরেও কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য চোখে পড়বে না। এ গ্রামের মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট না করতে পর্যটকদের অনুরোধ করে থাকে সব সময়। শীতকালে বরফে জমে যাওয়া খালে জমে ওঠে স্থানীয় মানুষদের স্কেটিং। গিয়েথুর্ন যেন আধুনিক সভ্যতার কোলাহলের বাইরে প্রকৃতির কোলে শান্ত জীবনের এক নিদর্শন।
মাওলাইনং, ভারত
এশিয়ার পরিচ্ছন্নতম গ্রাম হিসেবে খ্যাত মাওলাইনং। গ্রামটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহার করা হয় বাঁশের ডাস্টবিন। স্থানীয়রা নিয়মিত গ্রামের সবকিছু পরিষ্কার রাখে। গ্রামের প্রতিটি রাস্তা দেখলেই সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতার কথা উপলব্ধি করা যায়। গ্রামীণ সৌন্দর্যের উপভোগের পাশাপাশি সেখানকার পরিবেশ-সচেতনতা দেখতেও পর্যটকেরা ভিড় জমায় প্রতিবছর।

ইয়ানা, ভারত
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের আছে ইয়ানা নামের এই গ্রাম। ঘন জঙ্গলের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা কালো চুনাপাথরের বিশাল শিলাখণ্ড ভৈরবেশ্বর ও মহাশক্তি শিখর গ্রামটির প্রধান আকর্ষণ। এখানের বাতাসে ভেসে বেড়ায় আসে বৃষ্টির গন্ধ আর পাখির ডাক। ইয়ানার বাসিন্দারা পরিচ্ছন্নতা ও প্রকৃতি রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। গ্রামটিতে প্লাস্টিক ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পর্যটকদেরও বর্জ্য নিজের সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয়রা পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করে, যাতে গ্রামের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। গ্রামজুড়ে হাঁটার পথগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। আশপাশের ঝরনা ও পাহাড়ের দৃশ্য মিলিয়ে ইয়ানা ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দেয়।
খোনোমা, ভারত

‘গ্রিন ভিলেজ’ নামে পরিচিত ভারতের নাগাল্যান্ডের খোনোমা গ্রাম। এটি ভারতের প্রথম পরিবেশবান্ধব গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পাহাড় ঘেরা এই গ্রামের জনগণ একসময় শিকারনির্ভর জীবনে অভ্যস্ত ছিল। এখন গ্রামজুড়ে পরিষ্কার রাস্তা, কাঠের ছাদের ঐতিহ্যবাহী ঘর আর সবুজ ধানখেত মিলে তৈরি করেছে পোস্টকার্ডের মতো দৃশ্য। গ্রামটির মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে, তারা অতিথিপরায়ণ এবং নিজেদের সংস্কৃতি গর্বের সঙ্গে তুলে ধরে।
এই গ্রামগুলো শুধু ভ্রমণের জন্যই পরিচিতি পায়নি। এসব গ্রাম আমাদের শিখিয়েছে, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শুধু সরকারের নির্দেশ থাকলেই হয় না। কমিউনিটি উদ্যোগ, সচেতনতা ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে পরিবেশ ও জীবনধারা পরিচ্ছন্ন তো বটেই, উন্নত করাও সম্ভব।
সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজার, ফোর্বস, ইন্ডিয়া ট্রাভেল

বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এই গ্রামগুলো শুধু সুন্দর নয়, একই সঙ্গে সামাজিক ও পরিবেশগত সচেতনতার অনন্য উদাহরণ।
পেংলিপুরান, ইন্দোনেশিয়া
বালির ব্যাংলি জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম পরিচ্ছন্ন গ্রাম পেংলিপুরান। এখানে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের বাড়ি, পাথরের রাস্তা, ফুল-বাগানসহ গ্রামীণ পরিবেশ অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। গ্রামটির প্রতিটি পরিবারের সবাই পরিবেশ বিষয়ে সচেতন। তারা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং জৈব বর্জ্য সার ব্যবহার করে। সেখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ। গ্রামটিতে গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ। এর পাশাপাশি পর্যটকের সংখ্যা সীমিত রাখার কারণে সেখানকার পরিবেশ ও শান্তি ঠিক নির্বিঘ্ন আছে। পেংলিপুরান গ্রামের অধিবাসীদের ঐতিহ্যের অংশ পেনজোর ও বান্টেন উৎসব। এসব গ্রামের হোমস্টেগুলোতে থাকলে স্থানীয়দের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়। সুযোগ পাওয়া যায় তাদের সংস্কৃতি ও জীবনধারা দেখার। সব মিলিয়ে পরিচ্ছন্নতা ধরে রাখায় পেংলিপুরান গ্রাম পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
গিয়েথুর্ন, নেদারল্যান্ডস

‘উত্তরের ভেনিস’ বলে খ্যাত নেদারল্যান্ডসের গিয়েথুর্ন গ্রাম। সেখানে পাওয়া যায় না গাড়ির শব্দ, নেই রাস্তাঘাটে ব্যস্ততা। আছে শুধু শান্ত পানিপথ, ফুলে ভরা বাগান আর ছোট ছোট বাড়ি। গ্রামটিতে চলাচলের জন্য পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় নৌকার ওপর। আরেকটি ব্যবস্থা আছে, সেটা হলো হাঁটা। স্থানীয়রা পরিবেশ রক্ষায় বেশ সচেতন। গ্রামটির খালে পানিও থাকে বারো মাস। পুরো গ্রাম ঘুরেও কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য চোখে পড়বে না। এ গ্রামের মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট না করতে পর্যটকদের অনুরোধ করে থাকে সব সময়। শীতকালে বরফে জমে যাওয়া খালে জমে ওঠে স্থানীয় মানুষদের স্কেটিং। গিয়েথুর্ন যেন আধুনিক সভ্যতার কোলাহলের বাইরে প্রকৃতির কোলে শান্ত জীবনের এক নিদর্শন।
মাওলাইনং, ভারত
এশিয়ার পরিচ্ছন্নতম গ্রাম হিসেবে খ্যাত মাওলাইনং। গ্রামটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্যবহার করা হয় বাঁশের ডাস্টবিন। স্থানীয়রা নিয়মিত গ্রামের সবকিছু পরিষ্কার রাখে। গ্রামের প্রতিটি রাস্তা দেখলেই সেখানকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতার কথা উপলব্ধি করা যায়। গ্রামীণ সৌন্দর্যের উপভোগের পাশাপাশি সেখানকার পরিবেশ-সচেতনতা দেখতেও পর্যটকেরা ভিড় জমায় প্রতিবছর।

ইয়ানা, ভারত
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের আছে ইয়ানা নামের এই গ্রাম। ঘন জঙ্গলের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা কালো চুনাপাথরের বিশাল শিলাখণ্ড ভৈরবেশ্বর ও মহাশক্তি শিখর গ্রামটির প্রধান আকর্ষণ। এখানের বাতাসে ভেসে বেড়ায় আসে বৃষ্টির গন্ধ আর পাখির ডাক। ইয়ানার বাসিন্দারা পরিচ্ছন্নতা ও প্রকৃতি রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। গ্রামটিতে প্লাস্টিক ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পর্যটকদেরও বর্জ্য নিজের সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয়রা পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করে, যাতে গ্রামের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। গ্রামজুড়ে হাঁটার পথগুলো ঝকঝকে পরিষ্কার। আশপাশের ঝরনা ও পাহাড়ের দৃশ্য মিলিয়ে ইয়ানা ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দেয়।
খোনোমা, ভারত

‘গ্রিন ভিলেজ’ নামে পরিচিত ভারতের নাগাল্যান্ডের খোনোমা গ্রাম। এটি ভারতের প্রথম পরিবেশবান্ধব গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পাহাড় ঘেরা এই গ্রামের জনগণ একসময় শিকারনির্ভর জীবনে অভ্যস্ত ছিল। এখন গ্রামজুড়ে পরিষ্কার রাস্তা, কাঠের ছাদের ঐতিহ্যবাহী ঘর আর সবুজ ধানখেত মিলে তৈরি করেছে পোস্টকার্ডের মতো দৃশ্য। গ্রামটির মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে, তারা অতিথিপরায়ণ এবং নিজেদের সংস্কৃতি গর্বের সঙ্গে তুলে ধরে।
এই গ্রামগুলো শুধু ভ্রমণের জন্যই পরিচিতি পায়নি। এসব গ্রাম আমাদের শিখিয়েছে, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শুধু সরকারের নির্দেশ থাকলেই হয় না। কমিউনিটি উদ্যোগ, সচেতনতা ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে পরিবেশ ও জীবনধারা পরিচ্ছন্ন তো বটেই, উন্নত করাও সম্ভব।
সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজার, ফোর্বস, ইন্ডিয়া ট্রাভেল

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ।
১৩ আগস্ট ২০২৫
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
১৪ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
১৪ ঘণ্টা আগেছন্দা ব্যানার্জি

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ।
১৩ আগস্ট ২০২৫
বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন...
৯ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
১৪ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ।
১৩ আগস্ট ২০২৫
বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন...
৯ ঘণ্টা আগে
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১৩ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইউটিউব কমিউনিটি পোস্টস। শুধু ভিডিও প্রকাশে সীমাবদ্ধ না থেকে ইউটিউব এখন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পোস্ট, পোল, ইমেজ ও আপডেটের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তৈরি করা যায় গভীর সংযোগ।
১৩ আগস্ট ২০২৫
বিশ্বের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ বা শহর নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা হয়। কিন্তু এমন অনেক গ্রাম রয়েছে, যেগুলোতে শহরের আধুনিক সুবিধা না থাকলেও পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। সেসব গ্রামে আলাদা করে কোনো নিয়ম বেঁধে দেওয়া নেই পরিষ্কার রাখার জন্য। স্থানীয়দের জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে পরিচ্ছন্ন...
৯ ঘণ্টা আগে
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
১৪ ঘণ্টা আগে