মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
মড্যুলার ফোনকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সঙ্গে। ল্যাপটপের যেমন র্যাম, হার্ড ডিস্ক, ক্যামেরা, ব্যাটারি ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়; মড্যুলার ফোনও তেমনভাবে তৈরি।
বাজারের সব সংস্থার স্মার্টফোন প্রায় একই ধরনের। বেশ কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কোনো নতুনত্ব আসছে না। অ্যাপলের আইফোন, স্যামসাং, গুগলের পিক্সেল বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন—এর সবগুলোর গঠন ও ডিজাইন প্রায় একই ধরনের। ঠিক এ জায়গাতেই পরিবর্তন আনতে চায় মড্যুলার ফোনের উদ্যোক্তারা। ব্যবহারকারীকে তাঁর ফোনের ফিচার বা হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ও চাহিদামতো পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াই এই উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য।
মড্যুলার ফোনে বিকল হয়ে যাওয়া অংশগুলো আলাদাভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকায় ফোনের মতো নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স কেনার পেছনে খরচ কমে যায়। এর ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্যও কমে।
যেভাবে কাজ করে মড্যুলার ফোন
মড্যুলার ফোনের প্রধান অংশ হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এতে বিভিন্ন স্লটে আলাদা যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। এসব যন্ত্রাংশ আলাদাভাবে বিভিন্ন দামে বাজারে পাওয়া যায়। এই পরিবর্তনযোগ্য যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে আছে— ডিজিটাল ক্যামেরা, জিপিএস, স্টোরেজ, ব্যাটারি ইত্যাদি। এমনকি কেউ স্থায়িত্বের জন্য ক্যামেরার জায়গায় বাড়তি ব্যাটারি যোগ করতে পারেন। এই ভিন্ন মডিউলগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ নিজের মনমতো কাস্টমাইজড স্মার্টফোন তৈরি করতে পারেন।
এ ধরনের মড্য়ুলার ডিজাইনের কেন্দ্রে আছে এর অপারেটিং সিস্টেম। এসব ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেমটিও বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করা হয়। নতুন কোনো মডিউল ফোনে যুক্ত করলে অপারেটিং সিস্টেম সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। যেমন, ব্লুটুথ মডিউল যুক্ত করা হলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি সক্রিয় হয় এবং ফোনের স্ক্রিনে ব্লুটুথ অপশন দেখায়।
মড্যুলার ফোনের সুবিধা কী?
সাধারণ স্মার্টফোনের মতো কাজ করলেও মড্যুলার ফোনে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন:
আপডেট থাকা
প্রযুক্তির এ সময়ে কিছুদিন পরপর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে নতুনত্ব আসছে। নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। ফোনে নতুন আপডেটের সঙ্গে থাকে নতুন সব সুবিধা। এসব সুবিধা পেতে হলে নতুন ফোন বাজারে আসা বা সফটওয়্যার আপডেট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু মড্যুলার ফোনে অতো নির্ভরশীল থাকতে হয় না। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোনো মডিউলের (হার্ডওয়্যার) হালনাগাদ সংস্করণ বাজারে আনতে পারে। ব্যবহারকারী সেটি কিনে নিজেই ফোনে সেটি প্রতিস্থাপন করতে পারেন। যেমন, আগের চেয়ে ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা পেতে হলে নতুন ফোন না কিনে শুধু পুরোনো ক্যামেরার বদলে আপডেট ভার্সনের ক্যামেরা মডিউল প্রতিস্থাপন করলেই চলবে।
তুলনামূলক কম মেরামত খরচ
ফোনের ব্যাটারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে তা মেরামত করতে হলে আজকাল মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয় পারিশ্রমিক। কিন্তু মড্যুলার ফোনের ক্ষেত্রে কম খরচে শুধু নষ্ট মডিউলটি পরিবর্তন করলেই চলে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে। আবার নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগও থাকে।
কম ইলেকট্রনিক বর্জ্য
মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। আর বছর বছর নতুন মোবাইল ফোন কেনা মানেই হলো ভাগাড়ে মোবাইল ফোনের স্তূপ জমা। মোবাইল ফোনটিকে এমন আলাদাভাবে হালনাগাদ করা গেলে আর সম্পূর্ণ ফোন ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে আশা করা যায়, মানুষ একটি ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করবে। এর ফলে স্মার্টফোন বর্জ্য কমবে। পুরোনো ফোনগুলোর পুনর্ব্যবহারও হবে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে ১৫ কোটি মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে একটি স্মার্টফোন তৈরিতে ৭ কেজি উচ্চমানের স্বর্ণের আকরিক, ১ কেজি সাধারণ তামার আকরিক, ৭৫০ গ্রাম টাংস্টেন আকরিক ও ২০০ গ্রাম সাধারণ নিকেলের আকরিক প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাজ্যে শুধু ১২ শতাংশ মোবাইল ফোন পুনর্ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন ভাগাড়ে যায়। বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়ে উঠছে সবচেয়ে দ্রুত ঘনায়মান সংকট। যেখানে বছরে বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা
মড্যুলার ফোনে নিজের পছন্দমতো চেহারা, আকার ও ফিচার দেওয়া যায়। এমনকি এর বাটনগুলোর (পাওয়ার, ভলিউম) অবস্থানও পরিবর্তন করা যায়। প্রয়োজন হলে পোর্টেবল প্রিন্টারও এ ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
ধারণাটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে এখনো এর বাস্তবায়ন বেশ কঠিন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি সংস্থা মড্যুলার ফোনে বাজারে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কয়েকটি সংস্থা এখনো মড্যুলার ফোনকে মেইন স্ট্রিম ফিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ যাবত যেকটি কোম্পানি মড্যুলার ফোন বাজারে এনেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
গুগলের আরা প্রকল্প
মড্যুলার ফোনের সম্ভবত সবচেয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল গুগল। ২০১২ সালের দিকে হাতে নেওয়া এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় আরা। গুগল বলেছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতে তারা মড্যুলার ফোন তুলে দিতে পারবে। তবে ২০১৬ সেপ্টেম্বর গুগল জানায় প্রকল্পটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল— ব্যাটারি, ক্যামেরা এমনকি সিপিইউ পর্যন্ত মডিউল আকারে রাখা, যাতে ব্যবহারকারী নিজের মতো পরিবর্তন করতে পারেন। এর দাম রাখারা কথা ছিল মাত্র ১৫ মার্কিন ডলার!
রেড হাইড্রোজেন
মড্যুলার ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রেড হাইড্রোজেনের দাম ১ হাজার ১৯৫ ডলার থেকে ১ হাজার ৫৯৫ ডলার। এ ফোনের বিশেষত্ব হলো— এতে ৪–ভিউ হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে আছে, যাতে স্ক্রিনের থ্রিডি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা যায়। এ ছাড়া এতে আলাদা ব্যাটারি ও ক্যামেরার মতো মডিউল যোগ করার সুযোগ আছে।
এসেনশিয়াল ফোন
গুগলের সাবেক কর্মকর্তা অ্য়ান্ডি রুবিনকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জনক। গুগলের চাকরি ছেড়ে নিজের ফোন কোম্পানি স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের আগস্টে বাজারে আসা এ কোম্পানির একটি ফোন বেশ আলোচিত হয়। চিকন গড়ন ও বিলাসবহুল ডিজাইনের এ ফোনের পেছনটা চুম্বকীয়। ফলে পেছনের অংশে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো এক্সেসরিজ যুক্ত করা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফোনটির ক্যামেরা তেমন ভালো নয়, ব্যাটারিও সন্তোষজনক নয় এবং এতে হেডফোন যুক্ত করার ব্যবস্থাও নেই।
ফেয়ারফোন ২
অন্যান্য মোবাইল ফোনের মতো তেমন আলোচিত না হলেও মেরামত যোগ্যতার জন্য বেশ সুনাম কুড়োচ্ছে ফেয়ারফোন। ২০১৩ সালে বাজারে আসা ফেয়ারফোন সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিকভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। এ ফোনের প্রত্যেকটি অংশ সহজে মেরামত করা যায় ও হালনাগাদ করা যায়। ছোট এ সংস্থাটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের ক্যামেরা মডিউলের প্রথম সংস্করণ বাজারে আনে।
এ ছাড়া, এলজি জি ৫, মটোরোলা মোটো জি২ ফোর্স এবং মোটো জি২ প্লে বাজারে এলেও শেষ পর্যন্ত এই দুই কোম্পানি আর মড্যুলার ফোন বানায়নি।
মড্যুলার ফোন কি ব্যর্থ
মড্যুলার ফোন এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় না হওয়ার বেশি কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো— এর দাম। এখনো বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কোনো কোম্পানিই মড্যুলার ফোন বানাতে পারেনি। তাছাড়া সাধারণ ব্যবহারকারীরা ডিভাইস কাস্টমাইজ করতে চান না, তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি ডিভাইস চান। আর এখন পর্যন্ত বাজারে আসা মড্যুলার ফোনগুলোর ক্যামেরা, ব্যাটারির মতো হাতে গোনা কয়েকটি মডিউল পরিবর্তন করা যায়। তার মানে, র্যাম, সিপিইউ বা মাদারবোর্ড পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ এই হার্ডওয়্যারের কোনোটি নষ্ট হলে নতুন ফোনই কিনতে হবে।
তথ্যসূত্র: সাগা ম্যাগাজিন ও সি–নেট
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
মড্যুলার ফোনকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সঙ্গে। ল্যাপটপের যেমন র্যাম, হার্ড ডিস্ক, ক্যামেরা, ব্যাটারি ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়; মড্যুলার ফোনও তেমনভাবে তৈরি।
বাজারের সব সংস্থার স্মার্টফোন প্রায় একই ধরনের। বেশ কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কোনো নতুনত্ব আসছে না। অ্যাপলের আইফোন, স্যামসাং, গুগলের পিক্সেল বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন—এর সবগুলোর গঠন ও ডিজাইন প্রায় একই ধরনের। ঠিক এ জায়গাতেই পরিবর্তন আনতে চায় মড্যুলার ফোনের উদ্যোক্তারা। ব্যবহারকারীকে তাঁর ফোনের ফিচার বা হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ও চাহিদামতো পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াই এই উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য।
মড্যুলার ফোনে বিকল হয়ে যাওয়া অংশগুলো আলাদাভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকায় ফোনের মতো নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স কেনার পেছনে খরচ কমে যায়। এর ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্যও কমে।
যেভাবে কাজ করে মড্যুলার ফোন
মড্যুলার ফোনের প্রধান অংশ হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এতে বিভিন্ন স্লটে আলাদা যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। এসব যন্ত্রাংশ আলাদাভাবে বিভিন্ন দামে বাজারে পাওয়া যায়। এই পরিবর্তনযোগ্য যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে আছে— ডিজিটাল ক্যামেরা, জিপিএস, স্টোরেজ, ব্যাটারি ইত্যাদি। এমনকি কেউ স্থায়িত্বের জন্য ক্যামেরার জায়গায় বাড়তি ব্যাটারি যোগ করতে পারেন। এই ভিন্ন মডিউলগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ নিজের মনমতো কাস্টমাইজড স্মার্টফোন তৈরি করতে পারেন।
এ ধরনের মড্য়ুলার ডিজাইনের কেন্দ্রে আছে এর অপারেটিং সিস্টেম। এসব ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেমটিও বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করা হয়। নতুন কোনো মডিউল ফোনে যুক্ত করলে অপারেটিং সিস্টেম সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। যেমন, ব্লুটুথ মডিউল যুক্ত করা হলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি সক্রিয় হয় এবং ফোনের স্ক্রিনে ব্লুটুথ অপশন দেখায়।
মড্যুলার ফোনের সুবিধা কী?
সাধারণ স্মার্টফোনের মতো কাজ করলেও মড্যুলার ফোনে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন:
আপডেট থাকা
প্রযুক্তির এ সময়ে কিছুদিন পরপর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে নতুনত্ব আসছে। নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। ফোনে নতুন আপডেটের সঙ্গে থাকে নতুন সব সুবিধা। এসব সুবিধা পেতে হলে নতুন ফোন বাজারে আসা বা সফটওয়্যার আপডেট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু মড্যুলার ফোনে অতো নির্ভরশীল থাকতে হয় না। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোনো মডিউলের (হার্ডওয়্যার) হালনাগাদ সংস্করণ বাজারে আনতে পারে। ব্যবহারকারী সেটি কিনে নিজেই ফোনে সেটি প্রতিস্থাপন করতে পারেন। যেমন, আগের চেয়ে ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা পেতে হলে নতুন ফোন না কিনে শুধু পুরোনো ক্যামেরার বদলে আপডেট ভার্সনের ক্যামেরা মডিউল প্রতিস্থাপন করলেই চলবে।
তুলনামূলক কম মেরামত খরচ
ফোনের ব্যাটারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে তা মেরামত করতে হলে আজকাল মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয় পারিশ্রমিক। কিন্তু মড্যুলার ফোনের ক্ষেত্রে কম খরচে শুধু নষ্ট মডিউলটি পরিবর্তন করলেই চলে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে। আবার নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগও থাকে।
কম ইলেকট্রনিক বর্জ্য
মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। আর বছর বছর নতুন মোবাইল ফোন কেনা মানেই হলো ভাগাড়ে মোবাইল ফোনের স্তূপ জমা। মোবাইল ফোনটিকে এমন আলাদাভাবে হালনাগাদ করা গেলে আর সম্পূর্ণ ফোন ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে আশা করা যায়, মানুষ একটি ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করবে। এর ফলে স্মার্টফোন বর্জ্য কমবে। পুরোনো ফোনগুলোর পুনর্ব্যবহারও হবে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে ১৫ কোটি মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে একটি স্মার্টফোন তৈরিতে ৭ কেজি উচ্চমানের স্বর্ণের আকরিক, ১ কেজি সাধারণ তামার আকরিক, ৭৫০ গ্রাম টাংস্টেন আকরিক ও ২০০ গ্রাম সাধারণ নিকেলের আকরিক প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাজ্যে শুধু ১২ শতাংশ মোবাইল ফোন পুনর্ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন ভাগাড়ে যায়। বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়ে উঠছে সবচেয়ে দ্রুত ঘনায়মান সংকট। যেখানে বছরে বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা
মড্যুলার ফোনে নিজের পছন্দমতো চেহারা, আকার ও ফিচার দেওয়া যায়। এমনকি এর বাটনগুলোর (পাওয়ার, ভলিউম) অবস্থানও পরিবর্তন করা যায়। প্রয়োজন হলে পোর্টেবল প্রিন্টারও এ ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
ধারণাটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে এখনো এর বাস্তবায়ন বেশ কঠিন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি সংস্থা মড্যুলার ফোনে বাজারে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কয়েকটি সংস্থা এখনো মড্যুলার ফোনকে মেইন স্ট্রিম ফিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ যাবত যেকটি কোম্পানি মড্যুলার ফোন বাজারে এনেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
গুগলের আরা প্রকল্প
মড্যুলার ফোনের সম্ভবত সবচেয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল গুগল। ২০১২ সালের দিকে হাতে নেওয়া এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় আরা। গুগল বলেছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতে তারা মড্যুলার ফোন তুলে দিতে পারবে। তবে ২০১৬ সেপ্টেম্বর গুগল জানায় প্রকল্পটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল— ব্যাটারি, ক্যামেরা এমনকি সিপিইউ পর্যন্ত মডিউল আকারে রাখা, যাতে ব্যবহারকারী নিজের মতো পরিবর্তন করতে পারেন। এর দাম রাখারা কথা ছিল মাত্র ১৫ মার্কিন ডলার!
রেড হাইড্রোজেন
মড্যুলার ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রেড হাইড্রোজেনের দাম ১ হাজার ১৯৫ ডলার থেকে ১ হাজার ৫৯৫ ডলার। এ ফোনের বিশেষত্ব হলো— এতে ৪–ভিউ হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে আছে, যাতে স্ক্রিনের থ্রিডি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা যায়। এ ছাড়া এতে আলাদা ব্যাটারি ও ক্যামেরার মতো মডিউল যোগ করার সুযোগ আছে।
এসেনশিয়াল ফোন
গুগলের সাবেক কর্মকর্তা অ্য়ান্ডি রুবিনকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জনক। গুগলের চাকরি ছেড়ে নিজের ফোন কোম্পানি স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের আগস্টে বাজারে আসা এ কোম্পানির একটি ফোন বেশ আলোচিত হয়। চিকন গড়ন ও বিলাসবহুল ডিজাইনের এ ফোনের পেছনটা চুম্বকীয়। ফলে পেছনের অংশে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো এক্সেসরিজ যুক্ত করা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফোনটির ক্যামেরা তেমন ভালো নয়, ব্যাটারিও সন্তোষজনক নয় এবং এতে হেডফোন যুক্ত করার ব্যবস্থাও নেই।
ফেয়ারফোন ২
অন্যান্য মোবাইল ফোনের মতো তেমন আলোচিত না হলেও মেরামত যোগ্যতার জন্য বেশ সুনাম কুড়োচ্ছে ফেয়ারফোন। ২০১৩ সালে বাজারে আসা ফেয়ারফোন সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিকভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। এ ফোনের প্রত্যেকটি অংশ সহজে মেরামত করা যায় ও হালনাগাদ করা যায়। ছোট এ সংস্থাটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের ক্যামেরা মডিউলের প্রথম সংস্করণ বাজারে আনে।
এ ছাড়া, এলজি জি ৫, মটোরোলা মোটো জি২ ফোর্স এবং মোটো জি২ প্লে বাজারে এলেও শেষ পর্যন্ত এই দুই কোম্পানি আর মড্যুলার ফোন বানায়নি।
মড্যুলার ফোন কি ব্যর্থ
মড্যুলার ফোন এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় না হওয়ার বেশি কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো— এর দাম। এখনো বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কোনো কোম্পানিই মড্যুলার ফোন বানাতে পারেনি। তাছাড়া সাধারণ ব্যবহারকারীরা ডিভাইস কাস্টমাইজ করতে চান না, তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি ডিভাইস চান। আর এখন পর্যন্ত বাজারে আসা মড্যুলার ফোনগুলোর ক্যামেরা, ব্যাটারির মতো হাতে গোনা কয়েকটি মডিউল পরিবর্তন করা যায়। তার মানে, র্যাম, সিপিইউ বা মাদারবোর্ড পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ এই হার্ডওয়্যারের কোনোটি নষ্ট হলে নতুন ফোনই কিনতে হবে।
তথ্যসূত্র: সাগা ম্যাগাজিন ও সি–নেট
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
মড্যুলার ফোনকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সঙ্গে। ল্যাপটপের যেমন র্যাম, হার্ড ডিস্ক, ক্যামেরা, ব্যাটারি ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়; মড্যুলার ফোনও তেমনভাবে তৈরি।
বাজারের সব সংস্থার স্মার্টফোন প্রায় একই ধরনের। বেশ কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কোনো নতুনত্ব আসছে না। অ্যাপলের আইফোন, স্যামসাং, গুগলের পিক্সেল বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন—এর সবগুলোর গঠন ও ডিজাইন প্রায় একই ধরনের। ঠিক এ জায়গাতেই পরিবর্তন আনতে চায় মড্যুলার ফোনের উদ্যোক্তারা। ব্যবহারকারীকে তাঁর ফোনের ফিচার বা হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ও চাহিদামতো পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াই এই উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য।
মড্যুলার ফোনে বিকল হয়ে যাওয়া অংশগুলো আলাদাভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকায় ফোনের মতো নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স কেনার পেছনে খরচ কমে যায়। এর ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্যও কমে।
যেভাবে কাজ করে মড্যুলার ফোন
মড্যুলার ফোনের প্রধান অংশ হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এতে বিভিন্ন স্লটে আলাদা যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। এসব যন্ত্রাংশ আলাদাভাবে বিভিন্ন দামে বাজারে পাওয়া যায়। এই পরিবর্তনযোগ্য যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে আছে— ডিজিটাল ক্যামেরা, জিপিএস, স্টোরেজ, ব্যাটারি ইত্যাদি। এমনকি কেউ স্থায়িত্বের জন্য ক্যামেরার জায়গায় বাড়তি ব্যাটারি যোগ করতে পারেন। এই ভিন্ন মডিউলগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ নিজের মনমতো কাস্টমাইজড স্মার্টফোন তৈরি করতে পারেন।
এ ধরনের মড্য়ুলার ডিজাইনের কেন্দ্রে আছে এর অপারেটিং সিস্টেম। এসব ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেমটিও বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করা হয়। নতুন কোনো মডিউল ফোনে যুক্ত করলে অপারেটিং সিস্টেম সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। যেমন, ব্লুটুথ মডিউল যুক্ত করা হলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি সক্রিয় হয় এবং ফোনের স্ক্রিনে ব্লুটুথ অপশন দেখায়।
মড্যুলার ফোনের সুবিধা কী?
সাধারণ স্মার্টফোনের মতো কাজ করলেও মড্যুলার ফোনে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন:
আপডেট থাকা
প্রযুক্তির এ সময়ে কিছুদিন পরপর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে নতুনত্ব আসছে। নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। ফোনে নতুন আপডেটের সঙ্গে থাকে নতুন সব সুবিধা। এসব সুবিধা পেতে হলে নতুন ফোন বাজারে আসা বা সফটওয়্যার আপডেট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু মড্যুলার ফোনে অতো নির্ভরশীল থাকতে হয় না। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোনো মডিউলের (হার্ডওয়্যার) হালনাগাদ সংস্করণ বাজারে আনতে পারে। ব্যবহারকারী সেটি কিনে নিজেই ফোনে সেটি প্রতিস্থাপন করতে পারেন। যেমন, আগের চেয়ে ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা পেতে হলে নতুন ফোন না কিনে শুধু পুরোনো ক্যামেরার বদলে আপডেট ভার্সনের ক্যামেরা মডিউল প্রতিস্থাপন করলেই চলবে।
তুলনামূলক কম মেরামত খরচ
ফোনের ব্যাটারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে তা মেরামত করতে হলে আজকাল মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয় পারিশ্রমিক। কিন্তু মড্যুলার ফোনের ক্ষেত্রে কম খরচে শুধু নষ্ট মডিউলটি পরিবর্তন করলেই চলে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে। আবার নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগও থাকে।
কম ইলেকট্রনিক বর্জ্য
মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। আর বছর বছর নতুন মোবাইল ফোন কেনা মানেই হলো ভাগাড়ে মোবাইল ফোনের স্তূপ জমা। মোবাইল ফোনটিকে এমন আলাদাভাবে হালনাগাদ করা গেলে আর সম্পূর্ণ ফোন ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে আশা করা যায়, মানুষ একটি ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করবে। এর ফলে স্মার্টফোন বর্জ্য কমবে। পুরোনো ফোনগুলোর পুনর্ব্যবহারও হবে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে ১৫ কোটি মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে একটি স্মার্টফোন তৈরিতে ৭ কেজি উচ্চমানের স্বর্ণের আকরিক, ১ কেজি সাধারণ তামার আকরিক, ৭৫০ গ্রাম টাংস্টেন আকরিক ও ২০০ গ্রাম সাধারণ নিকেলের আকরিক প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাজ্যে শুধু ১২ শতাংশ মোবাইল ফোন পুনর্ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন ভাগাড়ে যায়। বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়ে উঠছে সবচেয়ে দ্রুত ঘনায়মান সংকট। যেখানে বছরে বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা
মড্যুলার ফোনে নিজের পছন্দমতো চেহারা, আকার ও ফিচার দেওয়া যায়। এমনকি এর বাটনগুলোর (পাওয়ার, ভলিউম) অবস্থানও পরিবর্তন করা যায়। প্রয়োজন হলে পোর্টেবল প্রিন্টারও এ ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
ধারণাটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে এখনো এর বাস্তবায়ন বেশ কঠিন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি সংস্থা মড্যুলার ফোনে বাজারে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কয়েকটি সংস্থা এখনো মড্যুলার ফোনকে মেইন স্ট্রিম ফিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ যাবত যেকটি কোম্পানি মড্যুলার ফোন বাজারে এনেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
গুগলের আরা প্রকল্প
মড্যুলার ফোনের সম্ভবত সবচেয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল গুগল। ২০১২ সালের দিকে হাতে নেওয়া এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় আরা। গুগল বলেছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতে তারা মড্যুলার ফোন তুলে দিতে পারবে। তবে ২০১৬ সেপ্টেম্বর গুগল জানায় প্রকল্পটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল— ব্যাটারি, ক্যামেরা এমনকি সিপিইউ পর্যন্ত মডিউল আকারে রাখা, যাতে ব্যবহারকারী নিজের মতো পরিবর্তন করতে পারেন। এর দাম রাখারা কথা ছিল মাত্র ১৫ মার্কিন ডলার!
রেড হাইড্রোজেন
মড্যুলার ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রেড হাইড্রোজেনের দাম ১ হাজার ১৯৫ ডলার থেকে ১ হাজার ৫৯৫ ডলার। এ ফোনের বিশেষত্ব হলো— এতে ৪–ভিউ হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে আছে, যাতে স্ক্রিনের থ্রিডি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা যায়। এ ছাড়া এতে আলাদা ব্যাটারি ও ক্যামেরার মতো মডিউল যোগ করার সুযোগ আছে।
এসেনশিয়াল ফোন
গুগলের সাবেক কর্মকর্তা অ্য়ান্ডি রুবিনকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জনক। গুগলের চাকরি ছেড়ে নিজের ফোন কোম্পানি স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের আগস্টে বাজারে আসা এ কোম্পানির একটি ফোন বেশ আলোচিত হয়। চিকন গড়ন ও বিলাসবহুল ডিজাইনের এ ফোনের পেছনটা চুম্বকীয়। ফলে পেছনের অংশে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো এক্সেসরিজ যুক্ত করা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফোনটির ক্যামেরা তেমন ভালো নয়, ব্যাটারিও সন্তোষজনক নয় এবং এতে হেডফোন যুক্ত করার ব্যবস্থাও নেই।
ফেয়ারফোন ২
অন্যান্য মোবাইল ফোনের মতো তেমন আলোচিত না হলেও মেরামত যোগ্যতার জন্য বেশ সুনাম কুড়োচ্ছে ফেয়ারফোন। ২০১৩ সালে বাজারে আসা ফেয়ারফোন সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিকভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। এ ফোনের প্রত্যেকটি অংশ সহজে মেরামত করা যায় ও হালনাগাদ করা যায়। ছোট এ সংস্থাটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের ক্যামেরা মডিউলের প্রথম সংস্করণ বাজারে আনে।
এ ছাড়া, এলজি জি ৫, মটোরোলা মোটো জি২ ফোর্স এবং মোটো জি২ প্লে বাজারে এলেও শেষ পর্যন্ত এই দুই কোম্পানি আর মড্যুলার ফোন বানায়নি।
মড্যুলার ফোন কি ব্যর্থ
মড্যুলার ফোন এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় না হওয়ার বেশি কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো— এর দাম। এখনো বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কোনো কোম্পানিই মড্যুলার ফোন বানাতে পারেনি। তাছাড়া সাধারণ ব্যবহারকারীরা ডিভাইস কাস্টমাইজ করতে চান না, তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি ডিভাইস চান। আর এখন পর্যন্ত বাজারে আসা মড্যুলার ফোনগুলোর ক্যামেরা, ব্যাটারির মতো হাতে গোনা কয়েকটি মডিউল পরিবর্তন করা যায়। তার মানে, র্যাম, সিপিইউ বা মাদারবোর্ড পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ এই হার্ডওয়্যারের কোনোটি নষ্ট হলে নতুন ফোনই কিনতে হবে।
তথ্যসূত্র: সাগা ম্যাগাজিন ও সি–নেট
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
মড্যুলার ফোনকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সঙ্গে। ল্যাপটপের যেমন র্যাম, হার্ড ডিস্ক, ক্যামেরা, ব্যাটারি ইত্যাদি পরিবর্তন করা যায়; মড্যুলার ফোনও তেমনভাবে তৈরি।
বাজারের সব সংস্থার স্মার্টফোন প্রায় একই ধরনের। বেশ কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে কোনো নতুনত্ব আসছে না। অ্যাপলের আইফোন, স্যামসাং, গুগলের পিক্সেল বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন—এর সবগুলোর গঠন ও ডিজাইন প্রায় একই ধরনের। ঠিক এ জায়গাতেই পরিবর্তন আনতে চায় মড্যুলার ফোনের উদ্যোক্তারা। ব্যবহারকারীকে তাঁর ফোনের ফিচার বা হার্ডওয়্যার প্রয়োজন ও চাহিদামতো পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াই এই উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য।
মড্যুলার ফোনে বিকল হয়ে যাওয়া অংশগুলো আলাদাভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকায় ফোনের মতো নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স কেনার পেছনে খরচ কমে যায়। এর ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্যও কমে।
যেভাবে কাজ করে মড্যুলার ফোন
মড্যুলার ফোনের প্রধান অংশ হচ্ছে এর মূল কাঠামো। এতে বিভিন্ন স্লটে আলাদা যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। এসব যন্ত্রাংশ আলাদাভাবে বিভিন্ন দামে বাজারে পাওয়া যায়। এই পরিবর্তনযোগ্য যন্ত্রাংশগুলোর মধ্যে আছে— ডিজিটাল ক্যামেরা, জিপিএস, স্টোরেজ, ব্যাটারি ইত্যাদি। এমনকি কেউ স্থায়িত্বের জন্য ক্যামেরার জায়গায় বাড়তি ব্যাটারি যোগ করতে পারেন। এই ভিন্ন মডিউলগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ নিজের মনমতো কাস্টমাইজড স্মার্টফোন তৈরি করতে পারেন।
এ ধরনের মড্য়ুলার ডিজাইনের কেন্দ্রে আছে এর অপারেটিং সিস্টেম। এসব ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেমটিও বিশেষভাবে কাস্টমাইজ করা হয়। নতুন কোনো মডিউল ফোনে যুক্ত করলে অপারেটিং সিস্টেম সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে। যেমন, ব্লুটুথ মডিউল যুক্ত করা হলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি সক্রিয় হয় এবং ফোনের স্ক্রিনে ব্লুটুথ অপশন দেখায়।
মড্যুলার ফোনের সুবিধা কী?
সাধারণ স্মার্টফোনের মতো কাজ করলেও মড্যুলার ফোনে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন:
আপডেট থাকা
প্রযুক্তির এ সময়ে কিছুদিন পরপর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে নতুনত্ব আসছে। নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। ফোনে নতুন আপডেটের সঙ্গে থাকে নতুন সব সুবিধা। এসব সুবিধা পেতে হলে নতুন ফোন বাজারে আসা বা সফটওয়্যার আপডেট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু মড্যুলার ফোনে অতো নির্ভরশীল থাকতে হয় না। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোনো মডিউলের (হার্ডওয়্যার) হালনাগাদ সংস্করণ বাজারে আনতে পারে। ব্যবহারকারী সেটি কিনে নিজেই ফোনে সেটি প্রতিস্থাপন করতে পারেন। যেমন, আগের চেয়ে ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা পেতে হলে নতুন ফোন না কিনে শুধু পুরোনো ক্যামেরার বদলে আপডেট ভার্সনের ক্যামেরা মডিউল প্রতিস্থাপন করলেই চলবে।
তুলনামূলক কম মেরামত খরচ
ফোনের ব্যাটারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে তা মেরামত করতে হলে আজকাল মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয় পারিশ্রমিক। কিন্তু মড্যুলার ফোনের ক্ষেত্রে কম খরচে শুধু নষ্ট মডিউলটি পরিবর্তন করলেই চলে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে। আবার নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগও থাকে।
কম ইলেকট্রনিক বর্জ্য
মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। আর বছর বছর নতুন মোবাইল ফোন কেনা মানেই হলো ভাগাড়ে মোবাইল ফোনের স্তূপ জমা। মোবাইল ফোনটিকে এমন আলাদাভাবে হালনাগাদ করা গেলে আর সম্পূর্ণ ফোন ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে আশা করা যায়, মানুষ একটি ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করবে। এর ফলে স্মার্টফোন বর্জ্য কমবে। পুরোনো ফোনগুলোর পুনর্ব্যবহারও হবে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে ১৫ কোটি মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে একটি স্মার্টফোন তৈরিতে ৭ কেজি উচ্চমানের স্বর্ণের আকরিক, ১ কেজি সাধারণ তামার আকরিক, ৭৫০ গ্রাম টাংস্টেন আকরিক ও ২০০ গ্রাম সাধারণ নিকেলের আকরিক প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাজ্যে শুধু ১২ শতাংশ মোবাইল ফোন পুনর্ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন ভাগাড়ে যায়। বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়ে উঠছে সবচেয়ে দ্রুত ঘনায়মান সংকট। যেখানে বছরে বৈশ্বিকভাবে প্রায় ৫ কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা
মড্যুলার ফোনে নিজের পছন্দমতো চেহারা, আকার ও ফিচার দেওয়া যায়। এমনকি এর বাটনগুলোর (পাওয়ার, ভলিউম) অবস্থানও পরিবর্তন করা যায়। প্রয়োজন হলে পোর্টেবল প্রিন্টারও এ ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
ধারণাটি নিঃসন্দেহে চমৎকার। তবে এখনো এর বাস্তবায়ন বেশ কঠিন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি সংস্থা মড্যুলার ফোনে বাজারে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। কয়েকটি সংস্থা এখনো মড্যুলার ফোনকে মেইন স্ট্রিম ফিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ যাবত যেকটি কোম্পানি মড্যুলার ফোন বাজারে এনেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
গুগলের আরা প্রকল্প
মড্যুলার ফোনের সম্ভবত সবচেয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল গুগল। ২০১২ সালের দিকে হাতে নেওয়া এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় আরা। গুগল বলেছিল, ২০১৭ সালের মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীদের হাতে তারা মড্যুলার ফোন তুলে দিতে পারবে। তবে ২০১৬ সেপ্টেম্বর গুগল জানায় প্রকল্পটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল— ব্যাটারি, ক্যামেরা এমনকি সিপিইউ পর্যন্ত মডিউল আকারে রাখা, যাতে ব্যবহারকারী নিজের মতো পরিবর্তন করতে পারেন। এর দাম রাখারা কথা ছিল মাত্র ১৫ মার্কিন ডলার!
রেড হাইড্রোজেন
মড্যুলার ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রেড হাইড্রোজেনের দাম ১ হাজার ১৯৫ ডলার থেকে ১ হাজার ৫৯৫ ডলার। এ ফোনের বিশেষত্ব হলো— এতে ৪–ভিউ হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে আছে, যাতে স্ক্রিনের থ্রিডি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডও দেখা যায়। এ ছাড়া এতে আলাদা ব্যাটারি ও ক্যামেরার মতো মডিউল যোগ করার সুযোগ আছে।
এসেনশিয়াল ফোন
গুগলের সাবেক কর্মকর্তা অ্য়ান্ডি রুবিনকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জনক। গুগলের চাকরি ছেড়ে নিজের ফোন কোম্পানি স্থাপন করেন। ২০১৭ সালের আগস্টে বাজারে আসা এ কোম্পানির একটি ফোন বেশ আলোচিত হয়। চিকন গড়ন ও বিলাসবহুল ডিজাইনের এ ফোনের পেছনটা চুম্বকীয়। ফলে পেছনের অংশে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মতো এক্সেসরিজ যুক্ত করা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফোনটির ক্যামেরা তেমন ভালো নয়, ব্যাটারিও সন্তোষজনক নয় এবং এতে হেডফোন যুক্ত করার ব্যবস্থাও নেই।
ফেয়ারফোন ২
অন্যান্য মোবাইল ফোনের মতো তেমন আলোচিত না হলেও মেরামত যোগ্যতার জন্য বেশ সুনাম কুড়োচ্ছে ফেয়ারফোন। ২০১৩ সালে বাজারে আসা ফেয়ারফোন সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিকভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। এ ফোনের প্রত্যেকটি অংশ সহজে মেরামত করা যায় ও হালনাগাদ করা যায়। ছোট এ সংস্থাটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের ক্যামেরা মডিউলের প্রথম সংস্করণ বাজারে আনে।
এ ছাড়া, এলজি জি ৫, মটোরোলা মোটো জি২ ফোর্স এবং মোটো জি২ প্লে বাজারে এলেও শেষ পর্যন্ত এই দুই কোম্পানি আর মড্যুলার ফোন বানায়নি।
মড্যুলার ফোন কি ব্যর্থ
মড্যুলার ফোন এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় না হওয়ার বেশি কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো— এর দাম। এখনো বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কোনো কোম্পানিই মড্যুলার ফোন বানাতে পারেনি। তাছাড়া সাধারণ ব্যবহারকারীরা ডিভাইস কাস্টমাইজ করতে চান না, তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি ডিভাইস চান। আর এখন পর্যন্ত বাজারে আসা মড্যুলার ফোনগুলোর ক্যামেরা, ব্যাটারির মতো হাতে গোনা কয়েকটি মডিউল পরিবর্তন করা যায়। তার মানে, র্যাম, সিপিইউ বা মাদারবোর্ড পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ এই হার্ডওয়্যারের কোনোটি নষ্ট হলে নতুন ফোনই কিনতে হবে।
তথ্যসূত্র: সাগা ম্যাগাজিন ও সি–নেট
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
৩ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১৩ ঘণ্টা আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়। তবে সমাধানের পথ জানার আগে জেনে নিন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ কীভাবে হয়।
সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ যেভাবে হয়
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ থেকে ত্বক রক্ষার জন্য শরীরের একটি প্রাকৃতিক উপায় হলো ট্যানিং। ত্বকে মেলানিন তৈরির জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যখন ত্বকের নিচের এপিডার্মিস স্তরগুলোতে প্রবেশ করে, তখন এটি ঘটে। মেলানিন উৎপাদন বেড়ে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক রং পরিবর্তিত হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। সাধারণত মুখ, হাত ও ঘাড়ে রোদ বেশি পড়ে বলে সেসব জায়গায় সানট্যান বেশি হয়।
কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা জানিয়েছেন, রোদে পোড়া দাগ এড়াতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে এসপিএফ যুক্ত পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টরযুক্ত ক্রিম, লোশন, পাউডার, লিপ বাম, স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার শুরু করুন এ ঋতু থেকেই। এ ছাড়া সঙ্গে রাখুন ছাতা ও সানগ্লাস।
মুখ ও হাতে রোদে পোড়া গভীর দাগ থেকে থাকলে প্রাকৃতিক উপায়েও তা সারানো সম্ভব। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে, সেগুলো হলো—
জাফরান
ঘরোয়াভাবে রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য জাফরান অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ব্রণ, ব্রণের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ এবং ত্বকের অসমান রঙের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য জাফরানের ব্যবহার রয়েছে। ৫ চা-চামচ দুধে জাফরানের ২টি কেশর ভিজিয়ে রাখুন। দুধের রং পরিবর্তন হলে নেড়ে নিন। এবার তুলার বল সেই দুধে ভিজিয়ে রোদে পোড়া দাগের ওপর বুলিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি সানট্যান রিমুভাল ফেসপ্যাক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এই উপাদান মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্যাক ব্যবহারে রোমকূপের গভীরে জমা হওয়া ময়লাও অপসারিত হয়। মুখ ও হাত থেকে রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে রোদে পোড়া জায়গায় লাগান। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
নারকেল দুধ
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
লেবুর রস
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রসও। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবুমিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
টক দই
মুখ থেকে ট্যান দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এতে উচ্চ মাত্রার ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে বলে রোদে পোড়া ত্বকের রং হালকা করে ও আরাম দেয়। এ ছাড়া এই অ্যাসিড ত্বক নরম করে তোলে। চাইলে শসা, কমলা বা টমেটোর মতো অন্যান্য উপাদান বেটে তার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শসা
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে ও পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। এ ছাড়া ত্বকের রং হালকা করতে এটি কার্যকর। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তুলার বল দিয়ে সে রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বক থেকে সানট্যান প্রতিরোধের কিছু টিপস
রোদে পোড়া দাগ দূর করার উপায় তো জানলেন, এবার জেনে নিন কী করে সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থেকে ত্বক বাঁচাবেন।
সূত্র: বাইওয়াও ও অন্যান্য
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
৩ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
৩ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৯ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
মড্যুলার ফোন বলতে এমন এক ধরনের স্মার্টফোন বোঝানো হয় যেটির অধিকাংশ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা যায়। এ ধরনের ফোনে কোনো ফিচার হালনাগাদ বা উন্নত করতে চাইলে ব্যবহারকারী মন মতো তা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ফলে শুধু দু–একটি ফিচারের জন্য নতুন ফোন না কিনে যেমন খরচ কমানো যায়, তেমনি কমানো যায় ইলেকট্রনিক বর্জ্যও।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩হেমন্তের সোনালি রোদ দেখে মন ফুরফুরে হয়ে উঠলেও ত্বকের বারোটা বেজে এক। রোজ সকালে বাইরে বের হতে হয় যাঁদের, কড়া রোদের সংস্পর্শে থাকার কারণে তাঁদের ত্বকের উপরিভাগে ট্যান পড়ে যায় যায়। কী করে এই সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ সহজে তোলা যায়, তার হদিস ইন্টারনেটে খোঁজেন অনেকেই। এবার জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়...
৩ ঘণ্টা আগেরুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৯ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১২ ঘণ্টা আগে