নওরোজ চৌধুরী

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয় অবধারিতভাবে উঠে আসে। তবে জেনে রাখা ভালো, ক্যামেরাসহ স্মার্টফোনের দাম কিছুটা বেশি। ক্যামেরা ও স্মার্টফোন—এই দুয়ের দামের সমন্বয়ে মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যে ভালো ক্যামেরার সেরা কয়েকটি স্মার্টফোন এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
রেডমি নোট ১১ প্রো প্লাস ৫জি
এই মোবাইল ফোনে রয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এই ক্যামেরাগুলো হলো এফ/১.৯ অ্যাপারচারসহ ১০৮ মেগাপিক্সেল স্যামসাং এইচএম২ প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো শুটার। আর কাটআউটের মধ্যে একটি ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। হ্যান্ডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক এমআইইউআই ১৩ কাস্টম স্কিনে চলে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য এই ৫জি-এনাবল হ্যান্ডসেটে ৬৭ ওয়াট দ্রুত চার্জিং ৫০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এর দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
পোকো এক্স৫ প্রো ৫জি
এই ফোনের ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর ছাড়াও আছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো শুটার। এ ছাড়া ফোনের ডিসপ্লের ওপর রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা সেন্সর। আছে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৬৭ ওয়াটের দ্রুত চার্জিং ও ৫ ওয়াটের রিভার্স চার্জিং ফিচার। টাইপ-সি ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করতে হবে চার্জ দেওয়ার জন্য। ডুয়েল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ ৫.১ কানেকটিভিটি রয়েছে এই মোবাইল ফোনে। দাম প্রায় ৩২ হাজার টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫৩ ৫জি
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫৩ ৫জি ফোনে আছে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এতে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো শুটার। পাশাপাশি সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মোবাইল ফোনটির সামনে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা আছে। সেন্সর হিসেবে আছে অ্যাক্সেলেরোমিটার, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, প্রক্সিমিটি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচার। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টসহ আছে ৫০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি। ধুলা ও পানি প্রতিরোধের জন্য আইপি৬৭ রেটিং পাওয়া এ মোবাইল ফোনের দাম প্রায় ৫৫ হাজার টাকা।
ওয়ানপ্লাস ৯ ৫জি
অ্যাড্রেনো ৬৬০ জিপিইউ এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ানপ্লাস৯ ৫জি মোবাইলে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক অক্সিজেনওএস ১১ ভার্সনে চালিত। এর ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল মোনোক্রোম সেন্সর। সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স৪৭১ ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা। ওয়ানপ্লাস ফোনে ৪৫০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। দাম পড়বে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
ভিভো ভি২৫ ৫জি
ভিভো ভি২৫ ৫জি ফোনে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এতে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স। ডিসপ্লের ওপর রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য আছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৯০০ চিপ, ৮ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। অ্যামোলেড ফুল এইচডি ডিসপ্লে থাকায় এই ফোনে আপনি ভিডিও দেখেও মজা পাবেন। ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে এতে। এর ব্যাক প্যানেলের রং বদলে যাবে সূর্যালোক বা অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে। এর দাম প্রায় ৪৮ হাজার টাকা।
অপো রেনো ৮টি ৫জি
১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাথমিক লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল মাইক্রো লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট লেন্সসহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ আছে অপো রেনো ৮টি ৫জি মোবাইল ফোনে। সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য এই ফোনে পাওয়া যাবে ৩২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। মাইক্রোএসডি কার্ডের সাহায্যে ফোনের স্টোরেজ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এর দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
সূত্র: টেক অ্যাডভাইজার, ডিজিটাল ক্যামেরা ওয়ার্ল্ড

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয় অবধারিতভাবে উঠে আসে। তবে জেনে রাখা ভালো, ক্যামেরাসহ স্মার্টফোনের দাম কিছুটা বেশি। ক্যামেরা ও স্মার্টফোন—এই দুয়ের দামের সমন্বয়ে মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যে ভালো ক্যামেরার সেরা কয়েকটি স্মার্টফোন এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
রেডমি নোট ১১ প্রো প্লাস ৫জি
এই মোবাইল ফোনে রয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এই ক্যামেরাগুলো হলো এফ/১.৯ অ্যাপারচারসহ ১০৮ মেগাপিক্সেল স্যামসাং এইচএম২ প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো শুটার। আর কাটআউটের মধ্যে একটি ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। হ্যান্ডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক এমআইইউআই ১৩ কাস্টম স্কিনে চলে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য এই ৫জি-এনাবল হ্যান্ডসেটে ৬৭ ওয়াট দ্রুত চার্জিং ৫০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এর দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
পোকো এক্স৫ প্রো ৫জি
এই ফোনের ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর ছাড়াও আছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো শুটার। এ ছাড়া ফোনের ডিসপ্লের ওপর রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা সেন্সর। আছে ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি এবং ৬৭ ওয়াটের দ্রুত চার্জিং ও ৫ ওয়াটের রিভার্স চার্জিং ফিচার। টাইপ-সি ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করতে হবে চার্জ দেওয়ার জন্য। ডুয়েল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ ৫.১ কানেকটিভিটি রয়েছে এই মোবাইল ফোনে। দাম প্রায় ৩২ হাজার টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫৩ ৫জি
স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৫৩ ৫জি ফোনে আছে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এতে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো শুটার। পাশাপাশি সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মোবাইল ফোনটির সামনে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা আছে। সেন্সর হিসেবে আছে অ্যাক্সেলেরোমিটার, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, প্রক্সিমিটি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফিচার। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টসহ আছে ৫০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি। ধুলা ও পানি প্রতিরোধের জন্য আইপি৬৭ রেটিং পাওয়া এ মোবাইল ফোনের দাম প্রায় ৫৫ হাজার টাকা।
ওয়ানপ্লাস ৯ ৫জি
অ্যাড্রেনো ৬৬০ জিপিইউ এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ানপ্লাস৯ ৫জি মোবাইলে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ ভিত্তিক অক্সিজেনওএস ১১ ভার্সনে চালিত। এর ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল মোনোক্রোম সেন্সর। সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স৪৭১ ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা। ওয়ানপ্লাস ফোনে ৪৫০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে। দাম পড়বে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
ভিভো ভি২৫ ৫জি
ভিভো ভি২৫ ৫জি ফোনে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এতে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স। ডিসপ্লের ওপর রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য আছে মিডিয়াটেকের ডাইমেনসিটি ৯০০ চিপ, ৮ জিবি র্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। অ্যামোলেড ফুল এইচডি ডিসপ্লে থাকায় এই ফোনে আপনি ভিডিও দেখেও মজা পাবেন। ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে এতে। এর ব্যাক প্যানেলের রং বদলে যাবে সূর্যালোক বা অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে। এর দাম প্রায় ৪৮ হাজার টাকা।
অপো রেনো ৮টি ৫জি
১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাথমিক লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল মাইক্রো লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট লেন্সসহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ আছে অপো রেনো ৮টি ৫জি মোবাইল ফোনে। সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য এই ফোনে পাওয়া যাবে ৩২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। মাইক্রোএসডি কার্ডের সাহায্যে ফোনের স্টোরেজ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৪৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এর দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
সূত্র: টেক অ্যাডভাইজার, ডিজিটাল ক্যামেরা ওয়ার্ল্ড

ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৭ মিনিট আগে
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
আপনারও যদি সামনে কোনো দীর্ঘ লেওভার থাকে, আর ভাবছেন কীভাবে সেই সময়টুকু পার করবেন, তাহলে নিচের কয়েকটি টিপস কাজে লাগতে পারে। বিরতি এক ঘণ্টার হোক বা ১৮ ঘণ্টার।
আলাদা ব্যাগ রাখুন
লেওভারকে আরামদায়ক করার প্রথম ধাপ হলো আলাদা ব্যাগ রাখা। একটি ছোট ব্যাগে ভ্রমণের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখুন।
এই ব্যাগে রাখুন:
–ফেসওয়াশ
–টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
–ওয়েট টিস্যু বা ফেস ওয়াইপ
–ফোন ও ল্যাপটপ চার্জার
–প্লাগ কনভার্টার
–হালকা খাবার
–এক জোড়া অতিরিক্ত পোশাক
–বই এবং হেডফোন
এই ব্যাগটি থাকলে বিমানবন্দরে বা বিমানে যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় জিনিস বের করা সহজ। আর বারবার ব্যাগ খোঁজার ঝামেলা থাকে না।
ফ্লাইট বিরতির সময় কম হলে দু-তিন ঘণ্টার ফ্লাইট বিরতি সাধারণ বিষয়। এ সময়ে আপনি চাইলে নিজেকে একদম সতেজ করে তুলতে পারেন। শুরুতে মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, এরপর একটা বড় বোতল পানি কিনে নিন। দীর্ঘ ভ্রমণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, তাই এটি খুবই দরকারি। পরবর্তী সময়ে টার্মিনালের ভেতর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে পায়ের পেশি শিথিল হয়, ক্লান্তিও কমে। অনেক এয়ারপোর্টে এখন বিনা মূল্যে যোগ বা স্ট্রেচিং রুম আছে। যেমন—সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর। চাইলে একটু সময় কাটাতে পারেন সেখানে। এ ছাড়া দোকানগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় স্ন্যাকস বা ছোট স্মারকও কিনে নিতে পারেন।
মাঝারি ফ্লাইট বিরতি
চার থেকে ছয় ঘণ্টার বিরতি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। বাইরে যাওয়ার মতো সময়ও না, আবার শুধু বসে থাকাও কষ্টকর। এই সময়টা সবচেয়ে ভালো কাটে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে। সেখানে আরাম করে বসা যায়, থাকে বিনা মূল্যে খাবার, ওয়াইফাই, এমনকি কিছু লাউঞ্জে ঘুমানোর জায়গাও থাকে।
যদি আপনার কাছে প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে অনেক সময় ফ্রি বা কম খরচে লাউঞ্জে ঢোকা যায়। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁরা অনলাইনে ডে পাস কিনে নিতে পারেন। দাম সাধারণত ৩০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে হয়, বিমানবন্দরভেদে।
সময় যদি একটু বেশি থাকে (৫-৬ ঘণ্টা), তাহলে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি কোনো বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে ঘুরে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রওনা দেওয়ার আগে যেখানে বিরতি দেবে, সেখানকার ট্রানজিট ভিসা নিয়ে নিতে পারেন।
দীর্ঘ বিরতি
৮ ঘণ্টা বা তার বেশি বিরতি হলে সেটাকে ঝটিকা সফরের সুযোগ হিসেবে নিন। যদি শহরটা এয়ারপোর্ট থেকে খুব দূরে না হয়, তাহলে একটু ঘুরে আসুন। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টেই লাগেজ স্টোরেজ সার্ভিস থাকে। অল্প কিছু টাকায় ব্যাগ রেখে নির্ভারভাবে শহরে বের হতে পারেন।
অনেক এয়ারপোর্ট বা ট্রাভেল ওয়েবসাইটে শহরের কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান, ট্রানজিট ট্যুর বা ভ্রমণ প্যাকেজের তথ্যও দেওয়া থাকে।
অন্যদিকে, যদি বাইরে যেতে না চান, তাহলে নিতে পারেন হোটেল ডে পাস। অনেক হোটেলেই এমন পাস থাকে যেখানে আপনি কয়েক ঘণ্টার জন্য রুম, পুল, রেস্টুরেন্টসহ হোটেলের সব সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। রিসোর্ট পাস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের হোটেল পাস বুক করা যায়। দাম সাধারণত ২৫ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে।
ফ্লাইট বিরতি বিরক্তিকর মনে করবেন না। একটু প্রস্তুতি আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সময়টাও আপনার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তুলবে। এ ছাড়া সঙ্গে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে তার জন্যও আলাদা প্রস্তুতি রাখুন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
আপনারও যদি সামনে কোনো দীর্ঘ লেওভার থাকে, আর ভাবছেন কীভাবে সেই সময়টুকু পার করবেন, তাহলে নিচের কয়েকটি টিপস কাজে লাগতে পারে। বিরতি এক ঘণ্টার হোক বা ১৮ ঘণ্টার।
আলাদা ব্যাগ রাখুন
লেওভারকে আরামদায়ক করার প্রথম ধাপ হলো আলাদা ব্যাগ রাখা। একটি ছোট ব্যাগে ভ্রমণের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখুন।
এই ব্যাগে রাখুন:
–ফেসওয়াশ
–টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট
–ওয়েট টিস্যু বা ফেস ওয়াইপ
–ফোন ও ল্যাপটপ চার্জার
–প্লাগ কনভার্টার
–হালকা খাবার
–এক জোড়া অতিরিক্ত পোশাক
–বই এবং হেডফোন
এই ব্যাগটি থাকলে বিমানবন্দরে বা বিমানে যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় জিনিস বের করা সহজ। আর বারবার ব্যাগ খোঁজার ঝামেলা থাকে না।
ফ্লাইট বিরতির সময় কম হলে দু-তিন ঘণ্টার ফ্লাইট বিরতি সাধারণ বিষয়। এ সময়ে আপনি চাইলে নিজেকে একদম সতেজ করে তুলতে পারেন। শুরুতে মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, এরপর একটা বড় বোতল পানি কিনে নিন। দীর্ঘ ভ্রমণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, তাই এটি খুবই দরকারি। পরবর্তী সময়ে টার্মিনালের ভেতর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে পায়ের পেশি শিথিল হয়, ক্লান্তিও কমে। অনেক এয়ারপোর্টে এখন বিনা মূল্যে যোগ বা স্ট্রেচিং রুম আছে। যেমন—সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর। চাইলে একটু সময় কাটাতে পারেন সেখানে। এ ছাড়া দোকানগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় স্ন্যাকস বা ছোট স্মারকও কিনে নিতে পারেন।
মাঝারি ফ্লাইট বিরতি
চার থেকে ছয় ঘণ্টার বিরতি অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। বাইরে যাওয়ার মতো সময়ও না, আবার শুধু বসে থাকাও কষ্টকর। এই সময়টা সবচেয়ে ভালো কাটে এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে। সেখানে আরাম করে বসা যায়, থাকে বিনা মূল্যে খাবার, ওয়াইফাই, এমনকি কিছু লাউঞ্জে ঘুমানোর জায়গাও থাকে।
যদি আপনার কাছে প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে অনেক সময় ফ্রি বা কম খরচে লাউঞ্জে ঢোকা যায়। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁরা অনলাইনে ডে পাস কিনে নিতে পারেন। দাম সাধারণত ৩০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে হয়, বিমানবন্দরভেদে।
সময় যদি একটু বেশি থাকে (৫-৬ ঘণ্টা), তাহলে এয়ারপোর্টের কাছাকাছি কোনো বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে ঘুরে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রওনা দেওয়ার আগে যেখানে বিরতি দেবে, সেখানকার ট্রানজিট ভিসা নিয়ে নিতে পারেন।
দীর্ঘ বিরতি
৮ ঘণ্টা বা তার বেশি বিরতি হলে সেটাকে ঝটিকা সফরের সুযোগ হিসেবে নিন। যদি শহরটা এয়ারপোর্ট থেকে খুব দূরে না হয়, তাহলে একটু ঘুরে আসুন। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টেই লাগেজ স্টোরেজ সার্ভিস থাকে। অল্প কিছু টাকায় ব্যাগ রেখে নির্ভারভাবে শহরে বের হতে পারেন।
অনেক এয়ারপোর্ট বা ট্রাভেল ওয়েবসাইটে শহরের কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান, ট্রানজিট ট্যুর বা ভ্রমণ প্যাকেজের তথ্যও দেওয়া থাকে।
অন্যদিকে, যদি বাইরে যেতে না চান, তাহলে নিতে পারেন হোটেল ডে পাস। অনেক হোটেলেই এমন পাস থাকে যেখানে আপনি কয়েক ঘণ্টার জন্য রুম, পুল, রেস্টুরেন্টসহ হোটেলের সব সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। রিসোর্ট পাস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশের হোটেল পাস বুক করা যায়। দাম সাধারণত ২৫ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যে।
ফ্লাইট বিরতি বিরক্তিকর মনে করবেন না। একটু প্রস্তুতি আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সময়টাও আপনার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তুলবে। এ ছাড়া সঙ্গে যদি বাচ্চা থাকে তাহলে তার জন্যও আলাদা প্রস্তুতি রাখুন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয়
৩০ মে ২০২৩
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি ইতালির সার্ডিনিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর পর্তুগাল মোট ১২টি ইউরোপীয় অঞ্চলের মনোনীতদের পরাজিত করেছে। যার মধ্যে ছিল অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক। পর্যটন, বাণিজ্য ও পরিষেবা বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি পেড্রো মাচাদো এই সম্মানকে ‘পর্যটনকে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভে পরিণত করা সব পেশাদারি কাজ, উৎসর্গ এবং গুণমানের প্রতিফলন’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, ট্যুরিজম দে পর্তুগালের সভাপতি কার্লোস আবাদ মন্তব্য করেন, এই পুরস্কার প্রমাণ করে যে ‘ইউরোপের সেরা পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পর্তুগালের দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে’। এটি দেশের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফসল।
পর্তুগালের আইকনিক গন্তব্য
পুরো দেশের পাশাপাশি পর্তুগালের একাধিক অঞ্চলও ২০২৫ সালের বিশ্ব ভ্রমণ পুরস্কারে স্বীকৃতি লাভ করেছে, যা দেশটির পর্যটন মানকে আরও দৃঢ় করেছে। যেমন—ইউরোপের সেরা দ্বীপ গন্তব্য হয়েছে মাদেইরা। মহাদেশের সেরা শহুরে গন্তব্য পোর্তো। শহর বিরতির জন্য সেরা স্থান হয়েছে লিসবন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি:
হিউস্কা লা ম্যাজিয়া (স্পেন): অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের জন্য সেরা গন্তব্য হিসেবে আজোরসকে পেছনে ফেলেছে।
কোস্টা কারোনারিনো (গ্রিস: মহাদেশের বিচ হলিডেজের জন্য সেরা স্থান হিসেবে মনোনীত হয়।
বাতুমি (জর্জিয়া): বছরের ‘সব ঋতুর জন্য সেরা গন্তব্য’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ডুব্রোভনিক (ক্রোয়েশিয়া): টানা তৃতীয়বারের মতো ‘শীর্ষস্থানীয় ক্রুজ গন্তব্য’ হিসেবে নাম কুড়িয়েছে।

পর্তুগালের পর্যটন শক্তির মূল দিকগুলো
২০২৫ সালের এই স্বীকৃতি পর্তুগালের পর্যটন শিল্পের অবিচল প্রচেষ্টা এবং পেশাদারির সাক্ষ্য বহন করে। দেশটি ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের এক চমৎকার মিশ্রণ ঘটিয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে এটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পর্তুগালে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলোর প্রাচুর্য রয়েছে। যেমন—লিসবনের বেলেম টাওয়ার এবং ঐতিহাসিক পোর্তো শহর; যা ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকেও এগিয়ে আছে দেশটি। আলগারভের সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু করে উত্তরের ডুরো ভ্যালি পর্যন্ত, পর্তুগাল বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রদান করে। মাদেইরার মতো দ্বীপগুলো অ্যাডভেঞ্চার এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। পর্তুগিজ খাবার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশেষত, বাখালহাও (শুকনো লবণযুক্ত কডফিশ) এবং পাস্তেইস দে নাতা (কাস্টার্ড টার্ট) খাদ্যরসিকদের আকৃষ্ট করে।

লিসবন, পোর্তো ও মাদেইরার বিশেষত্ব
মাদেইরা: সেরা দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দ্বিপটি। তার সুন্দর পর্বতমালা, উষ্ণ জলবায়ু এবং বিদেশি বাগানগুলোর জন্য বিখ্যাত। এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সারা বছরের গন্তব্য।
পোর্তো: এটি সেরা শহুরে গন্তব্য। যা ঐতিহাসিক রিবেইরা জেলা, বিখ্যাত ওয়াইন সেলার এবং ডুরো ভ্যালির নৈকট্যের কারণে পোর্তো উত্তর পর্তুগালের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
লিসবন: ঐতিহাসিক ট্রাম, আলফামার মতো প্রাণবন্ত পাড়া এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মিশ্রণে লিসবন শহরের বিরতির জন্য একটি গতিশীল ও খাঁটি অভিজ্ঞতা দেয়।
ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি: টেকসই পর্যটন
পর্তুগালের এই সাফল্য টেকসই পর্যটনের প্রতি দেশটির অঙ্গীকারকেও তুলে ধরে। দেশটি পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল ভ্রমণ বিকল্পগুলোতে মনোনিবেশ করছে, যাতে পর্যটন বৃদ্ধি হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষিত থাকে। পর্তুগালের এই ধারাবাহিক সাফল্য প্রমাণ করে যে সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আধুনিকতাকে সঠিকভাবে মিশিয়ে কীভাবে একটি গন্তব্য বিশ্বমানের আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি ইতালির সার্ডিনিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর পর্তুগাল মোট ১২টি ইউরোপীয় অঞ্চলের মনোনীতদের পরাজিত করেছে। যার মধ্যে ছিল অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক। পর্যটন, বাণিজ্য ও পরিষেবা বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি পেড্রো মাচাদো এই সম্মানকে ‘পর্যটনকে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভে পরিণত করা সব পেশাদারি কাজ, উৎসর্গ এবং গুণমানের প্রতিফলন’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, ট্যুরিজম দে পর্তুগালের সভাপতি কার্লোস আবাদ মন্তব্য করেন, এই পুরস্কার প্রমাণ করে যে ‘ইউরোপের সেরা পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পর্তুগালের দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে’। এটি দেশের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফসল।
পর্তুগালের আইকনিক গন্তব্য
পুরো দেশের পাশাপাশি পর্তুগালের একাধিক অঞ্চলও ২০২৫ সালের বিশ্ব ভ্রমণ পুরস্কারে স্বীকৃতি লাভ করেছে, যা দেশটির পর্যটন মানকে আরও দৃঢ় করেছে। যেমন—ইউরোপের সেরা দ্বীপ গন্তব্য হয়েছে মাদেইরা। মহাদেশের সেরা শহুরে গন্তব্য পোর্তো। শহর বিরতির জন্য সেরা স্থান হয়েছে লিসবন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি:
হিউস্কা লা ম্যাজিয়া (স্পেন): অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের জন্য সেরা গন্তব্য হিসেবে আজোরসকে পেছনে ফেলেছে।
কোস্টা কারোনারিনো (গ্রিস: মহাদেশের বিচ হলিডেজের জন্য সেরা স্থান হিসেবে মনোনীত হয়।
বাতুমি (জর্জিয়া): বছরের ‘সব ঋতুর জন্য সেরা গন্তব্য’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ডুব্রোভনিক (ক্রোয়েশিয়া): টানা তৃতীয়বারের মতো ‘শীর্ষস্থানীয় ক্রুজ গন্তব্য’ হিসেবে নাম কুড়িয়েছে।

পর্তুগালের পর্যটন শক্তির মূল দিকগুলো
২০২৫ সালের এই স্বীকৃতি পর্তুগালের পর্যটন শিল্পের অবিচল প্রচেষ্টা এবং পেশাদারির সাক্ষ্য বহন করে। দেশটি ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের এক চমৎকার মিশ্রণ ঘটিয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে এটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে। পর্তুগালে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলোর প্রাচুর্য রয়েছে। যেমন—লিসবনের বেলেম টাওয়ার এবং ঐতিহাসিক পোর্তো শহর; যা ইতিহাসপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকেও এগিয়ে আছে দেশটি। আলগারভের সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু করে উত্তরের ডুরো ভ্যালি পর্যন্ত, পর্তুগাল বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রদান করে। মাদেইরার মতো দ্বীপগুলো অ্যাডভেঞ্চার এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। পর্তুগিজ খাবার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশেষত, বাখালহাও (শুকনো লবণযুক্ত কডফিশ) এবং পাস্তেইস দে নাতা (কাস্টার্ড টার্ট) খাদ্যরসিকদের আকৃষ্ট করে।

লিসবন, পোর্তো ও মাদেইরার বিশেষত্ব
মাদেইরা: সেরা দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দ্বিপটি। তার সুন্দর পর্বতমালা, উষ্ণ জলবায়ু এবং বিদেশি বাগানগুলোর জন্য বিখ্যাত। এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সারা বছরের গন্তব্য।
পোর্তো: এটি সেরা শহুরে গন্তব্য। যা ঐতিহাসিক রিবেইরা জেলা, বিখ্যাত ওয়াইন সেলার এবং ডুরো ভ্যালির নৈকট্যের কারণে পোর্তো উত্তর পর্তুগালের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
লিসবন: ঐতিহাসিক ট্রাম, আলফামার মতো প্রাণবন্ত পাড়া এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মিশ্রণে লিসবন শহরের বিরতির জন্য একটি গতিশীল ও খাঁটি অভিজ্ঞতা দেয়।
ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি: টেকসই পর্যটন
পর্তুগালের এই সাফল্য টেকসই পর্যটনের প্রতি দেশটির অঙ্গীকারকেও তুলে ধরে। দেশটি পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল ভ্রমণ বিকল্পগুলোতে মনোনিবেশ করছে, যাতে পর্যটন বৃদ্ধি হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষিত থাকে। পর্তুগালের এই ধারাবাহিক সাফল্য প্রমাণ করে যে সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আধুনিকতাকে সঠিকভাবে মিশিয়ে কীভাবে একটি গন্তব্য বিশ্বমানের আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।
সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ওয়ার্ল্ড

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয়
৩০ মে ২০২৩
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৭ মিনিট আগে
বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো একটি যাত্রা পাওয়া সম্ভব।
খাবারের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়
গ্যাস সৃষ্টিকারী ও ফোলাভাবের জন্য দায়ী খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ, পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি এড়াতে কিছু খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরি। গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার পরিহার করুন। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের চিকিৎসক ও নিবন্ধিত খাদ্য বিশেষজ্ঞ মাররা বারোজ পরামর্শ দেন যে, সাধারণত গ্যাস উৎপাদনের জন্য পরিচিত খাবারগুলো ভ্রমণকালে এড়িয়ে চলাই ভালো। শিম, মসুর ডাল (অধিকাংশ শস্যদানা) এবং ক্রুসিফেরাস সবজি যেমন বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, ফুলকপি ও ব্রকলি এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই খাবারগুলো থেকে সৃষ্ট ফোলাভাব, গ্যাস ও পেটের খিঁচুনি উড়ানের সময় চাপের পরিবর্তনের কারণে আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চললে অস্বস্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
কার্বনেটেড পানীয়
হোলিস্টিক পুষ্টিবিদ অ্যাম্বার অ্যাটেল উড়ানের সময় মিষ্টি সোডা বা অন্যান্য ফিজযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। কারণ, বিমান চলার সময় নিম্নচাপের কারণে এমনিতেই শরীরে ফোলাভাব হতে পারে আর কার্বনেটেড পানীয় পেটের ভেতরের সেই গ্যাসের চাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যা প্রচণ্ড অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
উচ্চ সোডিয়াম ও চিনিযুক্ত খাবার
বিমানবন্দরের সহজলভ্য চিপস ও নোনতা বাদামের মতন স্ন্যাকসগুলোও এড়িয়ে চলতে হবে। খাদ্য বিশেষজ্ঞ বারোজ জানান, ভ্রমণের সময় অনেকের পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ এই ফোলাভাবকে আরও খারাপ করে তোলে। মিষ্টি কিছু খাওয়ার লোভ সামলে নিন। এ বিষয়ে বারোজ বলেন, অতিরিক্ত চিনি বা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (যা অন্য কোনো ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট দ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ নয়) খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি কমে আসে এবং ক্লান্তি বাড়ে। যদি মিষ্টি খেতেই হয়, তবে তা চর্বি ও প্রোটিনের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অ্যালকোহল ও কফি
ফাংশনাল ডায়াগনস্টিক নিউট্রিশন প্র্যাকটিশনার এলিজাবেথ কাটজম্যান এই দুটি জনপ্রিয় পানীয় বর্জন করার পরামর্শ দেন। কারণ, কেবিনের শুষ্ক বাতাস এমনিতেই শরীর থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয় আর অ্যালকোহল ও কফি এই পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়েটিশিয়ান ফিওরেলা ডিকার্লো পরামর্শ দেন, বিমানে অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন ছাড়াও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পাশাপাশি হৃদ্স্পন্দন বাড়তে পারে। এর ফলে ঘুম ব্যাহত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং জেট ল্যাগ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

ট্যাপের পানি
বিমান থেকে সরবরাহ করা পানি বা বরফ পান করা উচিত নয়। কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির পুষ্টি বিভাগের চেয়ার হোপ বারকোউইস নিশ্চিত করেছেন যে, বিমানের পানির ট্যাংকগুলো কখনোই জীবাণুমুক্ত পরিবেশের জন্য পুরস্কৃত হয় না। এর পরিবর্তে, সিল করা ও ব্যক্তিগত বোতলজাত পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি।
আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সেরা বিকল্প
যদিও অনেক কিছু এড়িয়ে চলার তালিকা রয়েছে, তবুও এমন অনেক স্ন্যাকস আছে, যা আপনি উপভোগ করতে পারেন এবং যা আপনাকে নতুন গন্তব্যে দ্রুত সচল হতে সাহায্য করবে। যেমন প্রোটিনভিত্তিক স্ন্যাকস বিশেষজ্ঞরা এমন স্ন্যাকস নেওয়ার পরামর্শ দেন, যা প্রোটিন-প্রধান এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। লবণ ছাড়া বাদাম যেমন আমন্ড, কাজু, পেস্তা, গ্রিক ইয়োগার্ট, শুকনো মাংসের স্টিক, নাট বাটার ও হুমাস, এগুলো খেতে পারেন।

আর্দ্রতাদানকারী ও সহজে হজমযোগ্য খাবার
অ্যাম্বার অ্যাটেল পরামর্শ দেন, উড়ানের আগে ও চলাকালে সহজে হজমযোগ্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি, হার্বাল চা ও সাধারণ গোটা খাবারের স্ন্যাকস আপনার সিস্টেমকে হালকা ও সতেজ রাখে। শসা, সেলারি বা আপেলের টুকরাগুলোর সঙ্গে এক মুঠো কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। আর সারাক্ষণ পানি পান করা জরুরি। উড়ানের সময় পানি বা মিষ্টি ছাড়া নারকেলের পানি পান করলে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
খালি পেটে যাত্রা নয়
তালিকা দেখে হয়তো মনে হতে পারে, খালি পেটে থাকাটাই ভালো। কিন্তু রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান হান্না থম্পসনের পরামর্শ অনুযায়ী, যাত্রাপথে কিছু খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উড়ান চাপযুক্ত হতে পারে এবং ভুল জিনিস খাওয়ার ভয়ে বা খাবারের সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেলে ক্লান্তি বাড়ে এবং দীর্ঘ যাত্রার পরে শরীর পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো একটি যাত্রা পাওয়া সম্ভব।
খাবারের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়
গ্যাস সৃষ্টিকারী ও ফোলাভাবের জন্য দায়ী খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ, পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি এড়াতে কিছু খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরি। গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার পরিহার করুন। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের চিকিৎসক ও নিবন্ধিত খাদ্য বিশেষজ্ঞ মাররা বারোজ পরামর্শ দেন যে, সাধারণত গ্যাস উৎপাদনের জন্য পরিচিত খাবারগুলো ভ্রমণকালে এড়িয়ে চলাই ভালো। শিম, মসুর ডাল (অধিকাংশ শস্যদানা) এবং ক্রুসিফেরাস সবজি যেমন বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, ফুলকপি ও ব্রকলি এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই খাবারগুলো থেকে সৃষ্ট ফোলাভাব, গ্যাস ও পেটের খিঁচুনি উড়ানের সময় চাপের পরিবর্তনের কারণে আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চললে অস্বস্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
কার্বনেটেড পানীয়
হোলিস্টিক পুষ্টিবিদ অ্যাম্বার অ্যাটেল উড়ানের সময় মিষ্টি সোডা বা অন্যান্য ফিজযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। কারণ, বিমান চলার সময় নিম্নচাপের কারণে এমনিতেই শরীরে ফোলাভাব হতে পারে আর কার্বনেটেড পানীয় পেটের ভেতরের সেই গ্যাসের চাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যা প্রচণ্ড অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
উচ্চ সোডিয়াম ও চিনিযুক্ত খাবার
বিমানবন্দরের সহজলভ্য চিপস ও নোনতা বাদামের মতন স্ন্যাকসগুলোও এড়িয়ে চলতে হবে। খাদ্য বিশেষজ্ঞ বারোজ জানান, ভ্রমণের সময় অনেকের পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ এই ফোলাভাবকে আরও খারাপ করে তোলে। মিষ্টি কিছু খাওয়ার লোভ সামলে নিন। এ বিষয়ে বারোজ বলেন, অতিরিক্ত চিনি বা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (যা অন্য কোনো ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট দ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ নয়) খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি কমে আসে এবং ক্লান্তি বাড়ে। যদি মিষ্টি খেতেই হয়, তবে তা চর্বি ও প্রোটিনের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অ্যালকোহল ও কফি
ফাংশনাল ডায়াগনস্টিক নিউট্রিশন প্র্যাকটিশনার এলিজাবেথ কাটজম্যান এই দুটি জনপ্রিয় পানীয় বর্জন করার পরামর্শ দেন। কারণ, কেবিনের শুষ্ক বাতাস এমনিতেই শরীর থেকে আর্দ্রতা টেনে নেয় আর অ্যালকোহল ও কফি এই পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়েটিশিয়ান ফিওরেলা ডিকার্লো পরামর্শ দেন, বিমানে অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন ছাড়াও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পাশাপাশি হৃদ্স্পন্দন বাড়তে পারে। এর ফলে ঘুম ব্যাহত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং জেট ল্যাগ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

ট্যাপের পানি
বিমান থেকে সরবরাহ করা পানি বা বরফ পান করা উচিত নয়। কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির পুষ্টি বিভাগের চেয়ার হোপ বারকোউইস নিশ্চিত করেছেন যে, বিমানের পানির ট্যাংকগুলো কখনোই জীবাণুমুক্ত পরিবেশের জন্য পুরস্কৃত হয় না। এর পরিবর্তে, সিল করা ও ব্যক্তিগত বোতলজাত পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি।
আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সেরা বিকল্প
যদিও অনেক কিছু এড়িয়ে চলার তালিকা রয়েছে, তবুও এমন অনেক স্ন্যাকস আছে, যা আপনি উপভোগ করতে পারেন এবং যা আপনাকে নতুন গন্তব্যে দ্রুত সচল হতে সাহায্য করবে। যেমন প্রোটিনভিত্তিক স্ন্যাকস বিশেষজ্ঞরা এমন স্ন্যাকস নেওয়ার পরামর্শ দেন, যা প্রোটিন-প্রধান এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। লবণ ছাড়া বাদাম যেমন আমন্ড, কাজু, পেস্তা, গ্রিক ইয়োগার্ট, শুকনো মাংসের স্টিক, নাট বাটার ও হুমাস, এগুলো খেতে পারেন।

আর্দ্রতাদানকারী ও সহজে হজমযোগ্য খাবার
অ্যাম্বার অ্যাটেল পরামর্শ দেন, উড়ানের আগে ও চলাকালে সহজে হজমযোগ্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। তাজা ফল, সবুজ শাকসবজি, হার্বাল চা ও সাধারণ গোটা খাবারের স্ন্যাকস আপনার সিস্টেমকে হালকা ও সতেজ রাখে। শসা, সেলারি বা আপেলের টুকরাগুলোর সঙ্গে এক মুঠো কাঁচা বাদাম খেতে পারেন। আর সারাক্ষণ পানি পান করা জরুরি। উড়ানের সময় পানি বা মিষ্টি ছাড়া নারকেলের পানি পান করলে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
খালি পেটে যাত্রা নয়
তালিকা দেখে হয়তো মনে হতে পারে, খালি পেটে থাকাটাই ভালো। কিন্তু রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান হান্না থম্পসনের পরামর্শ অনুযায়ী, যাত্রাপথে কিছু খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উড়ান চাপযুক্ত হতে পারে এবং ভুল জিনিস খাওয়ার ভয়ে বা খাবারের সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেলে ক্লান্তি বাড়ে এবং দীর্ঘ যাত্রার পরে শরীর পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয়
৩০ মে ২০২৩
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৭ মিনিট আগে
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। তবে হ্যাঁ পারমাণবিক মহাপ্রলয় এলে বেঁচে থাকার জন্য কোন দেশগুলো সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে—এ সম্পর্কে জেনে রাখাই যায়। রিস্ক এনালাইসিস নামক একটি জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে একটি গবেষণার ফলাফল। তারা সেখানে কিছু দ্বীপ দেশকে চিহ্নিত করেছে—যা পারমাণবিক যুদ্ধ, সুপার আগ্নেয়গিরি বা গ্রহাণুর আঘাতের মতো ‘সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়’-এর পরেও তাদের জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে সক্ষম।

পারমাণবিক যুদ্ধের উদ্বেগ ও ভয়াবহ পরিণতি
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু এবং পরবর্তী ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় তৈরি হয়েছে ব্যাপকভাবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, একটি পারমাণবিক সংঘাত মানবতা এবং গ্রহের জন্য কী পরিণতি নিয়ে আসবে।
বিপর্যয়কর পরিণতি: একটি পারমাণবিক সংঘাতের সরাসরি বিস্ফোরণে প্রাথমিক মৃত্যু থেকে শুরু করে বিকিরণের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।
ব্যাপক প্রযুক্তিগত পতন: এমনকি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়, এমন স্থানগুলোতেও প্রযুক্তির পতন ঘটবে। এটি সহযোগিতা, সমন্বয় এবং স্থিতিস্থাপক খাদ্য উৎপাদনে মারাত্মকভাবে বাধা দেবে।
দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ফল: ৬৩ শতাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। রাটগার্স ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা অনুসারে, একটি পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক যুদ্ধের পরে পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যাবে। যা বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশ।
খাদ্য উৎপাদন হ্রাস: পারমাণবিক যুদ্ধে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদন ৯৭ শতাংশ হ্রাস হবে।
বেঁচে থাকা মানুষ: সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বিশ্বজুড়ে বেঁচে যাওয়া মানুষ থাকবে বলে মনে করা হয়।
বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে স্থিতিস্থাপক দেশ
'রিস্ক অ্যানালাইসিস'-এ প্রকাশিত গবেষণাটি ৩৮টি দ্বীপ দেশকে ১৩টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তুলনা করেছে। এই দেশগুলো একটি মহাপ্রলয়ের পরের বেঁচে থাকার রাজ্যের সাফল্যের পূর্বাভাস দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য উৎপাদন, শক্তির স্বয়ংসম্পূর্ণতা, উৎপাদন এবং জলবায়ুর ওপর বিপর্যয়ের প্রভাব। সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়ের পরেও এই দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

বেঁচে থাকার সম্ভাবনার ভিত্তিতে দেশের তালিকা
অস্ট্রেলিয়া: এই তালিকায় প্রথমেই আছে অস্ট্রেলিয়া। খাদ্য সরবরাহের বিশাল বাফার এই দেশটি। এখানে আছে কোটি কোটি অতিরিক্ত মানুষকে খাওয়ানোর সম্ভাবনা। ভালো অবকাঠামো, বিশাল শক্তির উদ্বৃত্ত, উচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা বাজেট দেশটিকে সম্ভাবনাময় করে তোলে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক এই দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

নিউজিল্যান্ড: তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরত্ব এবং দীর্ঘস্থায়ী পারমাণবিক-মুক্ত মর্যাদা এ দেশটিকে সুরক্ষিত রাখবে। একে চরম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করে সমুদ্রের নৈকট্য। কার্যকর খাদ্য রপ্তানি অর্থনীতি তাদের জনসংখ্যাকে একাধিকবার খাওয়াতে পারে। এমনকি ফসলের ৬১ শতাংশ হ্রাস হলেও সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য থাকবে।

আইসল্যান্ড: এই তালিকায় স্থান পাওয়া উত্তর গোলার্ধের একমাত্র দেশ আইসল্যান্ড। দেশটির দূরত্বের কারণে সবচেয়ে পারমাণবিক যুদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে একটি নিরাপদ দেশ। তবে ছোট অর্থনীতির কারণে এটি আমদানিকৃত পণ্য এবং অবকাঠামো পতনে ভুগতে পারে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু: তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভূগোল এবং সাধারণ সময়ে প্রচুর খাদ্য উৎপাদন দেশটিকে সুরক্ষিত রাখে। উচ্চপ্রযুক্তিগত উৎপাদন ও জ্ঞান অর্থনীতির অভাব দেশগুলোর পুনরুদ্ধার কঠিন করে তুলবে। তবে, প্রতিবেশী বেঁচে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে তারা বাণিজ্যে অংশ নিতে পারে।
অন্যান্য দেশ: এরপরেই আছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মরিশাস। পারমাণবিক যুদ্ধের পরে তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা। দুর্নীতি এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস তাদের স্থিতিস্থাপকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রিস্ক অ্যানালাইসিস

আমরা সবাই জানি যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ ঠিক কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেডের বৈশ্বিক মজুতের কারণে এর বিধ্বস্ততা হবে আরও ভয়াবহ। কাজ না থাকা অলস দুপুরে ঘরে বসে এ বিষয়ে ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। তবে হ্যাঁ পারমাণবিক মহাপ্রলয় এলে বেঁচে থাকার জন্য কোন দেশগুলো সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে—এ সম্পর্কে জেনে রাখাই যায়। রিস্ক এনালাইসিস নামক একটি জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে একটি গবেষণার ফলাফল। তারা সেখানে কিছু দ্বীপ দেশকে চিহ্নিত করেছে—যা পারমাণবিক যুদ্ধ, সুপার আগ্নেয়গিরি বা গ্রহাণুর আঘাতের মতো ‘সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়’-এর পরেও তাদের জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন চালিয়ে যেতে সক্ষম।

পারমাণবিক যুদ্ধের উদ্বেগ ও ভয়াবহ পরিণতি
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু এবং পরবর্তী ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় তৈরি হয়েছে ব্যাপকভাবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, একটি পারমাণবিক সংঘাত মানবতা এবং গ্রহের জন্য কী পরিণতি নিয়ে আসবে।
বিপর্যয়কর পরিণতি: একটি পারমাণবিক সংঘাতের সরাসরি বিস্ফোরণে প্রাথমিক মৃত্যু থেকে শুরু করে বিকিরণের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।
ব্যাপক প্রযুক্তিগত পতন: এমনকি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়, এমন স্থানগুলোতেও প্রযুক্তির পতন ঘটবে। এটি সহযোগিতা, সমন্বয় এবং স্থিতিস্থাপক খাদ্য উৎপাদনে মারাত্মকভাবে বাধা দেবে।
দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ফল: ৬৩ শতাংশ জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। রাটগার্স ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা অনুসারে, একটি পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক যুদ্ধের পরে পাঁচ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যাবে। যা বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশ।
খাদ্য উৎপাদন হ্রাস: পারমাণবিক যুদ্ধে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদন ৯৭ শতাংশ হ্রাস হবে।
বেঁচে থাকা মানুষ: সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বিশ্বজুড়ে বেঁচে যাওয়া মানুষ থাকবে বলে মনে করা হয়।
বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে স্থিতিস্থাপক দেশ
'রিস্ক অ্যানালাইসিস'-এ প্রকাশিত গবেষণাটি ৩৮টি দ্বীপ দেশকে ১৩টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তুলনা করেছে। এই দেশগুলো একটি মহাপ্রলয়ের পরের বেঁচে থাকার রাজ্যের সাফল্যের পূর্বাভাস দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্য উৎপাদন, শক্তির স্বয়ংসম্পূর্ণতা, উৎপাদন এবং জলবায়ুর ওপর বিপর্যয়ের প্রভাব। সূর্যালোক হঠাৎ হ্রাসকারী বিপর্যয়ের পরেও এই দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

বেঁচে থাকার সম্ভাবনার ভিত্তিতে দেশের তালিকা
অস্ট্রেলিয়া: এই তালিকায় প্রথমেই আছে অস্ট্রেলিয়া। খাদ্য সরবরাহের বিশাল বাফার এই দেশটি। এখানে আছে কোটি কোটি অতিরিক্ত মানুষকে খাওয়ানোর সম্ভাবনা। ভালো অবকাঠামো, বিশাল শক্তির উদ্বৃত্ত, উচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা বাজেট দেশটিকে সম্ভাবনাময় করে তোলে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক এই দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

নিউজিল্যান্ড: তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু থেকে দূরত্ব এবং দীর্ঘস্থায়ী পারমাণবিক-মুক্ত মর্যাদা এ দেশটিকে সুরক্ষিত রাখবে। একে চরম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করে সমুদ্রের নৈকট্য। কার্যকর খাদ্য রপ্তানি অর্থনীতি তাদের জনসংখ্যাকে একাধিকবার খাওয়াতে পারে। এমনকি ফসলের ৬১ শতাংশ হ্রাস হলেও সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য থাকবে।

আইসল্যান্ড: এই তালিকায় স্থান পাওয়া উত্তর গোলার্ধের একমাত্র দেশ আইসল্যান্ড। দেশটির দূরত্বের কারণে সবচেয়ে পারমাণবিক যুদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে একটি নিরাপদ দেশ। তবে ছোট অর্থনীতির কারণে এটি আমদানিকৃত পণ্য এবং অবকাঠামো পতনে ভুগতে পারে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু: তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতু। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভূগোল এবং সাধারণ সময়ে প্রচুর খাদ্য উৎপাদন দেশটিকে সুরক্ষিত রাখে। উচ্চপ্রযুক্তিগত উৎপাদন ও জ্ঞান অর্থনীতির অভাব দেশগুলোর পুনরুদ্ধার কঠিন করে তুলবে। তবে, প্রতিবেশী বেঁচে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে তারা বাণিজ্যে অংশ নিতে পারে।
অন্যান্য দেশ: এরপরেই আছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মরিশাস। পারমাণবিক যুদ্ধের পরে তাদের জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা। দুর্নীতি এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস তাদের স্থিতিস্থাপকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রিস্ক অ্যানালাইসিস

মোবাইল ফোনের নানান ব্যবহারের মধ্যে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এটি কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় কত ভালো ছবি ওঠে, পিক্সেল কত, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা কেমন, ভিডিও কেমন হয়—এসব বিষয়
৩০ মে ২০২৩
ভ্রমণের সময় ‘লেওভার’ বা ফ্লাইট বদলের জন্য অপেক্ষা করার সময়টা অনেকের কাছেই সবচেয়ে ক্লান্তিকর ও বিরক্তিকর লাগে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকা, ঘুম-খাবার-চার্জের ঝামেলা। সব মিলিয়ে এ সময়টাকে অনেকেই অপচয় মনে করেন। কিন্তু একটু পরিকল্পনা এবং কিছু কৌশল জানলে এ সময়টাও ভ্রমণে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে পারে।
৭ মিনিট আগে
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডের ইউরোপের সেরা গন্তব্যের শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। গত বছর এই তালিকায় সেরা দেশ হিসেবে গ্রিস সম্মাননা পেলেও আবার আবারও শিরোপা এসেছে পর্তুগালের কাছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি পর্তুগাল মোট ছয়বার জিতেছে। এটি ছিল পুরস্কারের ৩২তম সংস্করণ।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিমান ভ্রমণ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ওপর শারীরিক অস্বস্তি যোগ হলে তা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার খাদ্য ও পানীয়ের ওপর মনোযোগ দিলে এই যাত্রা অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। এমন কিছু খাবার ও অভ্যাস আছে, যা যাত্রার আগে এড়িয়ে চললে তুলনামূলকভাবে ভালো...
১৪ ঘণ্টা আগে