Ajker Patrika

ডায়েটে থেকে দাওয়াতে যাওয়ার আগে যা মেনে চলতে হবে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ডায়েটে থাকলে মাসে দুই বারের বেশি রেস্তোরাঁর বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। ছবি: মঞ্জু আলম
ডায়েটে থাকলে মাসে দুই বারের বেশি রেস্তোরাঁর বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। ছবি: মঞ্জু আলম

সকাল ৯টায় প্রকাশিত হবে

ঈদে মাংসের বিভিন্ন পদ খেয়ে যখন ওজন বেড়ে গেলে টনক নড়ে আমাদের। অনেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার সাজিয়ে ডায়েট রুটিন বানিয়ে ফেললেন তড়িঘড়ি। কিন্তু এর মধ্য়েই যদি আবারও দাওয়াত পেয়ে যান, তাহলে? ‘একদিন খেলে কিচ্ছু হবে না’ এই বাক্য়ে বিশ্বাসী বাঙালির ভুলটা ওখানেই। দাওয়াতে একবার সুস্বাদু খাবার চেখে দেখার পরদিনও মনে হয়, যা খুশি খাই। একদিন খেলে কিছু হয় না। কিন্তু জন্মদিন, বিয়ে ও অন্যান্য দাওয়াতে গিয়েও পরিমিত খাওয়া যায়। একটু বুঝে খেলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে এ ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কয়েকটি বিষয়।

দাওয়াতে যাওয়ার আগে এক প্লেট ফল বা সবজির সালাদ খেয়ে নিলে পেট অনেকটাই ভরা থাকবে। তাতে দাওয়াতের খাওয়া হবে পরিমিত। ছবি: মঞ্জু আলম
দাওয়াতে যাওয়ার আগে এক প্লেট ফল বা সবজির সালাদ খেয়ে নিলে পেট অনেকটাই ভরা থাকবে। তাতে দাওয়াতের খাওয়া হবে পরিমিত। ছবি: মঞ্জু আলম

বলা বাহুল্য, বিয়েবাড়িতে যেসব খাবার পরিবেশন করা হয়, সেগুলো বেশ সুস্বাদু। সেগুলোতে তেল–মসলা–ঘি ব্যবহারের পরিমাণও থাকে বেশি। কোনো কোনো অনুষ্ঠানে কয়েক পর্বে খাবার পরিবেশন করা হয়। শেষ পাতে থাকে দই, মিষ্টি আর কোমল পানীয়। ডায়েটে থাকাকালীন এসব লোভনীয় খাবার দেখে নিজেকে সংযত রাখা কঠিন হতে পারে অনেকের জন্য। তাই দাওয়াতে যাওয়ার আগে এক প্লেট ফল বা সবজির সালাদ খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। তাতে পেট অনেকটাই ভরা থাকবে এবং পরিমিত খাওয়াটাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এক গ্লাস পানি পানের পর খাওয়া শুরু করতে পারেন। ছবি: মঞ্জু আলম
এক গ্লাস পানি পানের পর খাওয়া শুরু করতে পারেন। ছবি: মঞ্জু আলম

বন্ধুদের সঙ্গে যদি রেস্তোরাঁয় গেট টুগেদার করেন তাহলে প্রথমেই স্টার্টার ও সফট ড্রিংকস দিয়ে খাওয়া শুরু হয়। অনেকেই একাধিক ক্যান বা গ্লাস কোমল পানীয় পান করেন, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। চেষ্টা করুন খাবার পরিবেশনের পর প্রথমেই এক গ্লাস পানি পান করে নিতে। তাতে শরীরে পানির চাহিদা কমবে এবং খাবার হজমও ভালোভাবে হবে। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

ভেজিটেরিয়ান ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করে তেমন রেস্তোরাঁ বেছে নিন। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
ভেজিটেরিয়ান ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করে তেমন রেস্তোরাঁ বেছে নিন। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

পারিবারিক আড্ডা ও গেট টুগেদারের জন্য এমন রেস্তোরাঁ বেছে নিতে পারেন যেখানে ভেজিটেরিয়ান ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়। তাতে বাইরে খাওয়াও হবে আবার পরিমাণটাও ঠিক থাকবে।

ফলমূলকে প্রাধান্য দিন। ছবি: রিদা মুনাম হক
ফলমূলকে প্রাধান্য দিন। ছবি: রিদা মুনাম হক

কারও বাসায় দাওয়াতে গেলে চেষ্টা করুন আগে সবজি ও সালাদ খেয়ে নেওয়ার। এরপর মাছ বা মাংস যেটা থাকে নিন ও সঙ্গে অল্প ভাত বা পোলাও। এ ক্ষেত্র কোমল পানীয় একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে। দই ও মিষ্টি দুটোই থাকলে যেকোনো একটা অল্প পরিমাণে খান। ফাস্ট ফুডের সঙ্গে যদি ফলমূলও পরিবেশন করা হয় তাহলে ফলকেই বেছে নিতে পারেন।

ডায়েটে থাকলে মাসে দুই বারের বেশি রেস্তোরাঁর বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। ছবি: মঞ্জু আলম
ডায়েটে থাকলে মাসে দুই বারের বেশি রেস্তোরাঁর বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। ছবি: মঞ্জু আলম

কসরত করে যেহেতু ডায়েট রুটিন তৈরি করেছেন, তাই মাসে কতবার রেস্তোরাঁয় খেতে যাচ্ছেন বা বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করছেন, সেটারও একটা খসড়া তৈরি করুন। ডায়েটে থাকলে মাসে দুই বারের বেশি রেস্তোরাঁর খাবার তথা প্রক্রিয়াজাত ও লবণাক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এটুকু মেনে চললেই আর ক্ষতি নেই।

সূত্র: হেলথ লাইন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত