ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ভোজনরসিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় বুফে রেস্টুরেন্টে খাওয়া। খেতে গিয়ে কত বিল হলো, সেটি চিন্তা করতে হয় না। তাই পেট পুরে খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে বুফে দারুণ সমাধান। খাওয়ার পদ অনেক দেখে অনেকে আবার দিশাহীন হয়ে পড়েন। অনেকে প্লেট হাতে নিয়ে অগোছালোভাবে সবকিছু একসঙ্গে নেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি তাঁদের পছন্দের খাবারের দিকে ছুটে যান। কিন্তু বুফেতে খাওয়ারও কিছু নিয়ম আছে, যেগুলোর দিকে খেয়াল রাখলে আপনার অভিজ্ঞতা আরও স্বস্তিদায়ক হতে পারে।
চারপাশ দেখে খাবার নিন
প্লেট হাতে নেওয়ার আগে একটু হাঁটুন। খাবারের সব আয়োজন দেখুন। কোন খাবার কোথায় আছে, কোন খাবার আগে নেওয়া উচিত। সাধারণ নিয়ম হলো শুকনো বা হালকা খাবার আগে, এরপর স্যুপ, গ্রিল বা ভাজা খাবার, এরপর ভাত, নুডলস এবং সবশেষে মিষ্টি। ফলে খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যায় এবং পেটও ভারী হয় না। অনেক সময় ফলের রস অতিরিক্ত খেলে পেট ফোলার সমস্যা হতে পারে।
সরঞ্জাম ঠিকভাবে ব্যবহার করুন
বুফেতে প্রতিটি খাবারের পাশে চামচ বা টং রাখা থাকে। এগুলো ব্যবহার করলে খাবার নেওয়া সহজ হয় এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। নিজের চপস্টিক বা চামচ দিয়ে খাবার নেওয়া ঠিক নয়। শিশুদের এ নিয়ম মানা শেখাতে হবে। যদি টং বা চামচ ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়, তবে বড়রা সাহায্য করুন। এক টং দিয়ে একাধিক খাবার নেওয়া কিংবা খাবার নেওয়ার পর টং সেখানে রেখে দেওয়া—এসব এড়িয়ে চলুন। এটি সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে।
যা নিলেন, তা শেষ করুন
অনেকে একসঙ্গে অনেক খাবার তুলে নেন। প্রথমে যা চোখে পড়ে বা নতুন মনে হয়, সেটাই প্লেটে ভরে ফেলেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, খাবারটা পছন্দ হয়নি বা খেতে ইচ্ছা করছে না। ফলে প্লেটে খাবার জমে থাকে, আর শেষ হয় না। এই অভ্যাস শুধু খাবারের অপচয়ই করে না, অন্যদের কাছেও অস্বস্তিকর মনে হয়। তাই খাওয়ার সময় মনে রাখা উচিত, যা খেতে ইচ্ছা করছে বা যতটুকু খেতে পারবেন, কেবল ততটুকু নিন। একটু করে বিভিন্ন খাবার চেখে দেখতে পারেন, কিন্তু অযথা প্লেট ভরবেন না।
খাবার নেওয়ার সময় ভদ্রতা বজায় রাখুন
কাশি, হাঁচি, জিহ্বা বের করা বা অন্য অপ্রিয় শব্দ করা নিষিদ্ধ। খাবারের সঙ্গে জীবাণু ছড়াতে পারে এবং অন্যদের বিরক্ত করতে পারে। বুফে এলাকা ব্যস্ত থাকে, তাই খাবার নেওয়ার সময় মাস্ক পরা ভালো। খাবার নেওয়ার পথে খাওয়া বা আওয়াজ করা থেকে বিরত থাকুন।
লাইনে শৃঙ্খলা বজায় রাখুন
খাবার নেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়ানোটা স্বাভাবিক ও নিয়মিত কাজ। ধৈর্য ধরে নিজের পালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ হঠাৎ লাইনের মাঝখান থেকে এসে খাবার নিতে শুরু করেন। এতে অন্যদের বিরক্তি তো তৈরি হয়ই, আবার ধাক্কাধাক্কি বা জোরাজুরির মতো অশোভন পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে।
নতুন খাবারের জন্য নতুন প্লেট নিন
একই প্লেটে নতুন খাবার নেওয়া ঠিক নয়। এতে খাবারের স্বাদ মিশে যায় বা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। প্রতিটি নতুন খাবারের জন্য নতুন প্লেট নিন।
দামি খাবারের জন্য লোভ করবেন না
লবস্টার, স্যাশিমি বা গরুর মাংসের মতো খাবার একবারে বেশি নেওয়া ঠিক নয়। নিজের জন্য যেটুকু যথেষ্ট, তা নিন। একসঙ্গে অনেক খাবার নেওয়া বা গোপনে বাড়ির জন্য সংগ্রহ অশোভনীয়।
শিশুদের খেয়াল রাখুন
ছোট শিশুরা রেস্তোরাঁয় অবাধে ঘুরলে তারা আহত হতে পারে বা অন্যকে বিপদে ফেলতে পারে। শিশুকে খাওয়াতে হলে একজন বড় কারও সঙ্গে থাকা ভালো। প্রয়োজনে খাবার বেছে নিয়ে বড়রা তাদের জন্য নিন।
বুফেতে খাওয়ার নিয়মগুলো মেনে চললে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যরাও স্বচ্ছন্দবোধ করেন। পরিচ্ছন্নতা, ভদ্রতা, ধৈর্য—এই তিন মূল কৌশল মেনে চললে বুফে খাওয়াটা সত্যিই আনন্দময় হয়ে ওঠে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস
ভোজনরসিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় বুফে রেস্টুরেন্টে খাওয়া। খেতে গিয়ে কত বিল হলো, সেটি চিন্তা করতে হয় না। তাই পেট পুরে খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে বুফে দারুণ সমাধান। খাওয়ার পদ অনেক দেখে অনেকে আবার দিশাহীন হয়ে পড়েন। অনেকে প্লেট হাতে নিয়ে অগোছালোভাবে সবকিছু একসঙ্গে নেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি তাঁদের পছন্দের খাবারের দিকে ছুটে যান। কিন্তু বুফেতে খাওয়ারও কিছু নিয়ম আছে, যেগুলোর দিকে খেয়াল রাখলে আপনার অভিজ্ঞতা আরও স্বস্তিদায়ক হতে পারে।
চারপাশ দেখে খাবার নিন
প্লেট হাতে নেওয়ার আগে একটু হাঁটুন। খাবারের সব আয়োজন দেখুন। কোন খাবার কোথায় আছে, কোন খাবার আগে নেওয়া উচিত। সাধারণ নিয়ম হলো শুকনো বা হালকা খাবার আগে, এরপর স্যুপ, গ্রিল বা ভাজা খাবার, এরপর ভাত, নুডলস এবং সবশেষে মিষ্টি। ফলে খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যায় এবং পেটও ভারী হয় না। অনেক সময় ফলের রস অতিরিক্ত খেলে পেট ফোলার সমস্যা হতে পারে।
সরঞ্জাম ঠিকভাবে ব্যবহার করুন
বুফেতে প্রতিটি খাবারের পাশে চামচ বা টং রাখা থাকে। এগুলো ব্যবহার করলে খাবার নেওয়া সহজ হয় এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে। নিজের চপস্টিক বা চামচ দিয়ে খাবার নেওয়া ঠিক নয়। শিশুদের এ নিয়ম মানা শেখাতে হবে। যদি টং বা চামচ ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়, তবে বড়রা সাহায্য করুন। এক টং দিয়ে একাধিক খাবার নেওয়া কিংবা খাবার নেওয়ার পর টং সেখানে রেখে দেওয়া—এসব এড়িয়ে চলুন। এটি সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে।
যা নিলেন, তা শেষ করুন
অনেকে একসঙ্গে অনেক খাবার তুলে নেন। প্রথমে যা চোখে পড়ে বা নতুন মনে হয়, সেটাই প্লেটে ভরে ফেলেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, খাবারটা পছন্দ হয়নি বা খেতে ইচ্ছা করছে না। ফলে প্লেটে খাবার জমে থাকে, আর শেষ হয় না। এই অভ্যাস শুধু খাবারের অপচয়ই করে না, অন্যদের কাছেও অস্বস্তিকর মনে হয়। তাই খাওয়ার সময় মনে রাখা উচিত, যা খেতে ইচ্ছা করছে বা যতটুকু খেতে পারবেন, কেবল ততটুকু নিন। একটু করে বিভিন্ন খাবার চেখে দেখতে পারেন, কিন্তু অযথা প্লেট ভরবেন না।
খাবার নেওয়ার সময় ভদ্রতা বজায় রাখুন
কাশি, হাঁচি, জিহ্বা বের করা বা অন্য অপ্রিয় শব্দ করা নিষিদ্ধ। খাবারের সঙ্গে জীবাণু ছড়াতে পারে এবং অন্যদের বিরক্ত করতে পারে। বুফে এলাকা ব্যস্ত থাকে, তাই খাবার নেওয়ার সময় মাস্ক পরা ভালো। খাবার নেওয়ার পথে খাওয়া বা আওয়াজ করা থেকে বিরত থাকুন।
লাইনে শৃঙ্খলা বজায় রাখুন
খাবার নেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়ানোটা স্বাভাবিক ও নিয়মিত কাজ। ধৈর্য ধরে নিজের পালা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ হঠাৎ লাইনের মাঝখান থেকে এসে খাবার নিতে শুরু করেন। এতে অন্যদের বিরক্তি তো তৈরি হয়ই, আবার ধাক্কাধাক্কি বা জোরাজুরির মতো অশোভন পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে।
নতুন খাবারের জন্য নতুন প্লেট নিন
একই প্লেটে নতুন খাবার নেওয়া ঠিক নয়। এতে খাবারের স্বাদ মিশে যায় বা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। প্রতিটি নতুন খাবারের জন্য নতুন প্লেট নিন।
দামি খাবারের জন্য লোভ করবেন না
লবস্টার, স্যাশিমি বা গরুর মাংসের মতো খাবার একবারে বেশি নেওয়া ঠিক নয়। নিজের জন্য যেটুকু যথেষ্ট, তা নিন। একসঙ্গে অনেক খাবার নেওয়া বা গোপনে বাড়ির জন্য সংগ্রহ অশোভনীয়।
শিশুদের খেয়াল রাখুন
ছোট শিশুরা রেস্তোরাঁয় অবাধে ঘুরলে তারা আহত হতে পারে বা অন্যকে বিপদে ফেলতে পারে। শিশুকে খাওয়াতে হলে একজন বড় কারও সঙ্গে থাকা ভালো। প্রয়োজনে খাবার বেছে নিয়ে বড়রা তাদের জন্য নিন।
বুফেতে খাওয়ার নিয়মগুলো মেনে চললে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যরাও স্বচ্ছন্দবোধ করেন। পরিচ্ছন্নতা, ভদ্রতা, ধৈর্য—এই তিন মূল কৌশল মেনে চললে বুফে খাওয়াটা সত্যিই আনন্দময় হয়ে ওঠে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস
একেকটা মৌসুমে একেক ধরনের রোগবালাই দেখা দেয়। আর এসব রোগবালাই থেকে বাঁচতে সে মৌসুমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়, সেসব খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কার্তিক মাসে চৌদ্দ শাক খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসাইকেল শুধু পরিবহন নয়, এটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে প্রায় ১ বিলিয়ন সাইকেল রয়েছে—এ সংখ্যা গাড়ির সংখ্যার দ্বিগুণ। করোনা মহামারির পর সাইকেল ব্যবহার আরও বেড়েছে। মানুষ এখন ব্যায়াম, অবসর ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদের দেশেও অসংখ্য সাইকেল চলাচল করে বটে...
৮ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন।
৯ ঘণ্টা আগেচলছে অক্টোবর মাস। এটি স্তন ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির মাস। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী এ মাসে স্তন ক্যানসারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিয়ে স্বাস্থ্যসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রতিটি গল্প অনন্য, প্রতিটি যাত্রা মূল্যবান’।
৯ ঘণ্টা আগে