মোশারফ হোসেন

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈরি পাস্তা একসময় দক্ষিণ ইতালির প্রধান খাবার হয়ে ওঠে। কারণ, সিসিলি ও দক্ষিণ ইতালিতে গমের উৎপাদন বেশি এবং দামেও সস্তা ছিল। উত্তর ইতালিতে পাস্তার খামির বানাতে ময়দা ও ডিম ব্যবহার করা হয়। আবার দক্ষিণ ইতালিতে ব্যবহৃত হয় উৎকৃষ্ট মানের সুজি ও পানির মিশ্রণ।
ইতালির সবচেয়ে ভালো মানের পাস্তা তৈরি হয় এমিলিয়া রোম্যাগনা অঞ্চলে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পাস্তা বিভিন্ন রেসিপিতে রান্না করে উদরপূর্তি ও উপভোগ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। আমাদের দেশেও এখন পাস্তা খাবার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পাস্তা দিবস যেভাবে এল
পাস্তা যখন ধীরে ধীরে এক দেশ থেকে অন্য দেশ হয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে শুরু করল, তখন পাস্তা উৎপাদন ও এর গুণাগুণ নিয়ে কাজ করতে বিভিন্ন দেশে গড়ে ওঠে পাস্তাপ্রেমী ও উৎপাদকদের নিজস্ব কিছু সংগঠন।
বিশ্বায়নের মুখে দাঁড়িয়ে একসময় আন্তর্জাতিক পাস্তা সংস্থা গড়ারও চিন্তা করতে শুরু করে ছোট ছোট এই সংগঠনগুলো। ১৯৯৫ সালের ২৫ অক্টোবর ইতালির রোমে বিশ্ব পাস্তা কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে নেপলস শহরে বসে তাদের দ্বিতীয় অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনেই ২৫ অক্টোবরকে বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ধরনের পাস্তা
বিশ্বে প্রায় ৬০০-এর বেশি আকৃতির পাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে স্প্যাগেটি, পেনে, রিগাটোনি, ফেট্টুসিন, লিঙ্গুইন, অরজো, রাভিওলি, জিটি, টর্টেলিনি, ম্যাকারনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এসব পাস্তা আবার দুই ধরনের হয়। শুকনো ও তাজা পাস্তা। শুকনো পাস্তা বাজার থেকেই কেনা হয়, তাজা পাস্তা ঘরেই তৈরি করা হয়।
যেভাবে উদ্যাপন করবেন পাস্তা দিবস
পাস্তা দিবস উদ্যাপন করতে ঘরে বসেই তৈরি করে নিন পছন্দের পাস্তা। আর উপভোগ করুন মজাদার ও মোহনীয় স্বাদ। বেশির ভাগ মানুষই সস ছাড়া পাস্তা খেতে পছন্দ করেন না। সস বানাতে একটু গলানো মাখন ও রসুন মিশিয়ে নিয়ে পাস্তার স্বাদ চেখে দেখা যেতে পারে। পাস্তায় পনির সস ও টমেটো সস সাধারণভাবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে কেউ কেউ বাটারনাট স্কোয়াশ কারবোনারা, অ্যাভোকাডো এবং আমের সসের মতো ভিন্ন স্বাদ চেখে নিতেও আগ্রহী।
ঘরে পাস্তা বানাবেন যেভাবে
খুব সহজে ঘরেই বানিয়ে ফেলা যায় পাস্তা।
উপকরণ
২ কাপ ময়দা, ৬টি ডিম, ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে চালনি দিয়ে ময়দা চেলে নিন। একটি পাত্রে ময়দা ঢেলে নিন। খুব ভালো করে ময়ান করা হয়ে গেলে ডো-কে দুই ভাগে ভাগ করে বলের মতো আকৃতি দিয়ে রাখুন। এরপর ৫ মিনিট রেখে দিন ডোগুলো। এরপর রুটি বেলার পিঁড়িতে সামান্য শুকনা ময়দা ছিটিয়ে পাতলা করে বেলে নিন। এরপর পাস্তা কাটার, পিৎজা কাটার বা ছুরি দিয়ে পছন্দমতো আকৃতিতে কেটে নিন পাস্তা। আপনার পাস্তা এবার রান্না করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। এখন চুলায় গরম পানিতে পরিমাণমতো লবণ দিন। ফুটন্ত লবণ পানিতে মাত্র ৪-৫ মিনিট রাখলেই পাস্তা সেদ্ধ হয়ে যাবে ভালোভাবে। এরপর পছন্দের চিজ, মসলা ও সস দিয়ে স্বাদমতো বানিয়ে পরিবেশন করুন ঘরে বানানো সুস্বাদু পাস্তা। ঘরে তৈরি পাস্তা ৩-৪ ঘণ্টা শুকিয়ে এয়ারটাইট বয়ামে ভরে ফ্রিজে রাখলে ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এ ছাড়া সেদ্ধ করে বক্সে ভরে ফ্রিজে রাখলেও কয়েক দিন ভালো থাকে এই পাস্তা।
সহজ রেসিপিতে পাস্তা দিবস উদ্যাপন করুন
বারবিকিউ স্প্যাগেটি
উপকরণ
স্প্যাগেটি ৫০০ গ্রাম, মুরগির মাংস কিউব ১ কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, বারবিকিউ সস ২ টেবিল চামচ, হট চিলি সস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম স্লাইস আধা কাপ, রোস্টেড কাজুবাদাম আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, ফ্রেশ ক্রিম ১-২ টেবিল চামচ এবং লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
স্প্যাগেটি সেদ্ধ করে নিতে হবে লবণ ও তেল দিয়ে। প্যানে বাটার দিয়ে রসুনকুচি ভেজে মুরগি দিয়ে দিন। মুরগি রান্না হলে একে একে সব সস দিয়ে রান্না করুন। তারপর স্প্যাগেটিসহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন। এরপর ওপরে রোস্টেড বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
হোয়াইট সস পাস্তা
উপকরণ
সেদ্ধ পাস্তা ৫০০ গ্রাম, লাল ক্যাপসিকামকুচি ২টি, সুইট কর্ন ১ কাপ, মাখন ১ টেবিল চামচ, দুধ ২ কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, সবুজ ১টি বড় ক্যাপসিকামকুচি, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা-চামচ, ব্রকলি ২৫০ গ্রাম সেদ্ধ, রসুনকুচি ৪ কোয়া, গোলমরিচগুঁড়া ২ চিমটি, পানি ও তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে নিন। তারপর একে একে সুইট কর্ন, ব্রকলি, সবুজ ও লাল ক্যাপসিকাম হালকা ভেজে নিন। এরপর পানি দিয়ে আধা চা-চামচ লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। সবজিগুলো সামান্য সেদ্ধ করে নিন। এবার আরেকটি প্যানে পানি গরম করে পাস্তা সেদ্ধ করুন। সামান্য লবণও মিশিয়ে দিন। সাদা সস তৈরির জন্য হালকা আঁচে প্যান বসিয়ে মাখন গলিয়ে নিন। এর মধ্যে গ্রেট করা রসুন দিয়ে এক মিনিট ভাজুন। তারপর আবার কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে খুব ভালোভাবে রান্না করে নিন।
ঢাকায় পাস্তা খেতে কোথায় যাবেন: ঢাকার পিৎজা ইন, লা মেরিডিয়ান, পিৎজা হাট, আলফ্রেস্কো, শর্মা হাউস, ক্যাফে অ্যাপেলিয়ানো, গ্লোরিয়া জিনসে বিভিন্ন ধরনের পাস্তা পাওয়া যায়।
সূত্র: নিউজ নাইন লাইভ ও অন্যান্য

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈরি পাস্তা একসময় দক্ষিণ ইতালির প্রধান খাবার হয়ে ওঠে। কারণ, সিসিলি ও দক্ষিণ ইতালিতে গমের উৎপাদন বেশি এবং দামেও সস্তা ছিল। উত্তর ইতালিতে পাস্তার খামির বানাতে ময়দা ও ডিম ব্যবহার করা হয়। আবার দক্ষিণ ইতালিতে ব্যবহৃত হয় উৎকৃষ্ট মানের সুজি ও পানির মিশ্রণ।
ইতালির সবচেয়ে ভালো মানের পাস্তা তৈরি হয় এমিলিয়া রোম্যাগনা অঞ্চলে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পাস্তা বিভিন্ন রেসিপিতে রান্না করে উদরপূর্তি ও উপভোগ করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। আমাদের দেশেও এখন পাস্তা খাবার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
পাস্তা দিবস যেভাবে এল
পাস্তা যখন ধীরে ধীরে এক দেশ থেকে অন্য দেশ হয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে শুরু করল, তখন পাস্তা উৎপাদন ও এর গুণাগুণ নিয়ে কাজ করতে বিভিন্ন দেশে গড়ে ওঠে পাস্তাপ্রেমী ও উৎপাদকদের নিজস্ব কিছু সংগঠন।
বিশ্বায়নের মুখে দাঁড়িয়ে একসময় আন্তর্জাতিক পাস্তা সংস্থা গড়ারও চিন্তা করতে শুরু করে ছোট ছোট এই সংগঠনগুলো। ১৯৯৫ সালের ২৫ অক্টোবর ইতালির রোমে বিশ্ব পাস্তা কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে নেপলস শহরে বসে তাদের দ্বিতীয় অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনেই ২৫ অক্টোবরকে বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন ধরনের পাস্তা
বিশ্বে প্রায় ৬০০-এর বেশি আকৃতির পাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে স্প্যাগেটি, পেনে, রিগাটোনি, ফেট্টুসিন, লিঙ্গুইন, অরজো, রাভিওলি, জিটি, টর্টেলিনি, ম্যাকারনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এসব পাস্তা আবার দুই ধরনের হয়। শুকনো ও তাজা পাস্তা। শুকনো পাস্তা বাজার থেকেই কেনা হয়, তাজা পাস্তা ঘরেই তৈরি করা হয়।
যেভাবে উদ্যাপন করবেন পাস্তা দিবস
পাস্তা দিবস উদ্যাপন করতে ঘরে বসেই তৈরি করে নিন পছন্দের পাস্তা। আর উপভোগ করুন মজাদার ও মোহনীয় স্বাদ। বেশির ভাগ মানুষই সস ছাড়া পাস্তা খেতে পছন্দ করেন না। সস বানাতে একটু গলানো মাখন ও রসুন মিশিয়ে নিয়ে পাস্তার স্বাদ চেখে দেখা যেতে পারে। পাস্তায় পনির সস ও টমেটো সস সাধারণভাবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে কেউ কেউ বাটারনাট স্কোয়াশ কারবোনারা, অ্যাভোকাডো এবং আমের সসের মতো ভিন্ন স্বাদ চেখে নিতেও আগ্রহী।
ঘরে পাস্তা বানাবেন যেভাবে
খুব সহজে ঘরেই বানিয়ে ফেলা যায় পাস্তা।
উপকরণ
২ কাপ ময়দা, ৬টি ডিম, ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে চালনি দিয়ে ময়দা চেলে নিন। একটি পাত্রে ময়দা ঢেলে নিন। খুব ভালো করে ময়ান করা হয়ে গেলে ডো-কে দুই ভাগে ভাগ করে বলের মতো আকৃতি দিয়ে রাখুন। এরপর ৫ মিনিট রেখে দিন ডোগুলো। এরপর রুটি বেলার পিঁড়িতে সামান্য শুকনা ময়দা ছিটিয়ে পাতলা করে বেলে নিন। এরপর পাস্তা কাটার, পিৎজা কাটার বা ছুরি দিয়ে পছন্দমতো আকৃতিতে কেটে নিন পাস্তা। আপনার পাস্তা এবার রান্না করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। এখন চুলায় গরম পানিতে পরিমাণমতো লবণ দিন। ফুটন্ত লবণ পানিতে মাত্র ৪-৫ মিনিট রাখলেই পাস্তা সেদ্ধ হয়ে যাবে ভালোভাবে। এরপর পছন্দের চিজ, মসলা ও সস দিয়ে স্বাদমতো বানিয়ে পরিবেশন করুন ঘরে বানানো সুস্বাদু পাস্তা। ঘরে তৈরি পাস্তা ৩-৪ ঘণ্টা শুকিয়ে এয়ারটাইট বয়ামে ভরে ফ্রিজে রাখলে ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এ ছাড়া সেদ্ধ করে বক্সে ভরে ফ্রিজে রাখলেও কয়েক দিন ভালো থাকে এই পাস্তা।
সহজ রেসিপিতে পাস্তা দিবস উদ্যাপন করুন
বারবিকিউ স্প্যাগেটি
উপকরণ
স্প্যাগেটি ৫০০ গ্রাম, মুরগির মাংস কিউব ১ কাপ, টমেটো সস আধা কাপ, বারবিকিউ সস ২ টেবিল চামচ, হট চিলি সস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম স্লাইস আধা কাপ, রোস্টেড কাজুবাদাম আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, ফ্রেশ ক্রিম ১-২ টেবিল চামচ এবং লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
স্প্যাগেটি সেদ্ধ করে নিতে হবে লবণ ও তেল দিয়ে। প্যানে বাটার দিয়ে রসুনকুচি ভেজে মুরগি দিয়ে দিন। মুরগি রান্না হলে একে একে সব সস দিয়ে রান্না করুন। তারপর স্প্যাগেটিসহ বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন। এরপর ওপরে রোস্টেড বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
হোয়াইট সস পাস্তা
উপকরণ
সেদ্ধ পাস্তা ৫০০ গ্রাম, লাল ক্যাপসিকামকুচি ২টি, সুইট কর্ন ১ কাপ, মাখন ১ টেবিল চামচ, দুধ ২ কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, সবুজ ১টি বড় ক্যাপসিকামকুচি, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা-চামচ, ব্রকলি ২৫০ গ্রাম সেদ্ধ, রসুনকুচি ৪ কোয়া, গোলমরিচগুঁড়া ২ চিমটি, পানি ও তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি
প্রথমে প্যান চুলায় বসিয়ে তেল গরম করে নিন। তারপর একে একে সুইট কর্ন, ব্রকলি, সবুজ ও লাল ক্যাপসিকাম হালকা ভেজে নিন। এরপর পানি দিয়ে আধা চা-চামচ লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। সবজিগুলো সামান্য সেদ্ধ করে নিন। এবার আরেকটি প্যানে পানি গরম করে পাস্তা সেদ্ধ করুন। সামান্য লবণও মিশিয়ে দিন। সাদা সস তৈরির জন্য হালকা আঁচে প্যান বসিয়ে মাখন গলিয়ে নিন। এর মধ্যে গ্রেট করা রসুন দিয়ে এক মিনিট ভাজুন। তারপর আবার কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে খুব ভালোভাবে রান্না করে নিন।
ঢাকায় পাস্তা খেতে কোথায় যাবেন: ঢাকার পিৎজা ইন, লা মেরিডিয়ান, পিৎজা হাট, আলফ্রেস্কো, শর্মা হাউস, ক্যাফে অ্যাপেলিয়ানো, গ্লোরিয়া জিনসে বিভিন্ন ধরনের পাস্তা পাওয়া যায়।
সূত্র: নিউজ নাইন লাইভ ও অন্যান্য

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি...
২ মিনিট আগে
সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
২ ঘণ্টা আগে
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগেআফরোজা খানম মুক্তা

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
লেবুর স্বাদে দই চিকেন
উপকরণ
মুরগি ১টি, আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা ২ টেবিল চামচ করে, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা, জয়ত্রী ২টি করে, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে, জিরাগুঁড়া এবং গরমমসলা পাউডার এক চা-চামচ করে, লেবুর রস ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭টি, ধনেপাতাকুচি আধা কাপ।
প্রণালি
আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা, কালো গোলমরিচের গুঁড়া, টক দই, লেবুর রস এবং সয়াবিন তেল দিয়ে মুরগির মাংস মেরিনেট করে রাখুন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল ও ঘি গরম হলে এলাচি, দারুচিনি, জয়ত্রী, তেজপাতা, শাহি জিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে কিছুটা সময় রান্না করে পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে ধনে, জিরা, মরিচ ও গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে খানিক কষিয়ে নিন। এরপর লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। শেষে তেল ভেসে এলে লেবুর রস, কাঁচা মরিচের ফালি ও ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দুই মিনিট রান্না করে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

বিফ মনোহারি
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন।
এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ইলিশের উল্লাস
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
লেবুর স্বাদে দই চিকেন
উপকরণ
মুরগি ১টি, আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা ২ টেবিল চামচ করে, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা, জয়ত্রী ২টি করে, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে, জিরাগুঁড়া এবং গরমমসলা পাউডার এক চা-চামচ করে, লেবুর রস ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭টি, ধনেপাতাকুচি আধা কাপ।
প্রণালি
আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা, কালো গোলমরিচের গুঁড়া, টক দই, লেবুর রস এবং সয়াবিন তেল দিয়ে মুরগির মাংস মেরিনেট করে রাখুন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল ও ঘি গরম হলে এলাচি, দারুচিনি, জয়ত্রী, তেজপাতা, শাহি জিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে কিছুটা সময় রান্না করে পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে ধনে, জিরা, মরিচ ও গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে খানিক কষিয়ে নিন। এরপর লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। শেষে তেল ভেসে এলে লেবুর রস, কাঁচা মরিচের ফালি ও ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দুই মিনিট রান্না করে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

বিফ মনোহারি
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন।
এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ইলিশের উল্লাস
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈ
২৫ অক্টোবর ২০২৩
সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
২ ঘণ্টা আগে
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু স্কিন কেয়ার পণ্য সুইমিংপুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকের শুষ্কতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেগুলো আলো সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ত্বকে জ্বালা, র্যাশ বা সানট্যানের ঝুঁকি বাড়ায়।
সাঁতারের আগে যেসব উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বহুল ব্যবহৃত কিছু উপাদানের কথা বলেছেন, যেগুলো পানির ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে ত্বকের ক্ষতি করে।
সাঁতারের আগে কী ব্যবহার করতে হবে
বিষয়টি এমন নয় যে সাঁতার এবং সুস্থ ত্বকের মধ্যে আপনাকে যেকোনো
একটি বেছে নিতে হবে। সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে আপনার রুটিনে কিছু কোমল উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। ত্বক বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ হিসেবে যে উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো—
সাঁতার শেষে করণীয়
সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে ওঠার পর সাধারণ পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিয়ে প্রথমে একটি ক্রিম-বেজড এবং পরে একটি অয়েল-বেজড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো সাঁতারের আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এতে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।
সূত্র: ওমেনস হেলথ ম্যাগ

সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু স্কিন কেয়ার পণ্য সুইমিংপুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকের শুষ্কতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেগুলো আলো সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ত্বকে জ্বালা, র্যাশ বা সানট্যানের ঝুঁকি বাড়ায়।
সাঁতারের আগে যেসব উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বহুল ব্যবহৃত কিছু উপাদানের কথা বলেছেন, যেগুলো পানির ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে ত্বকের ক্ষতি করে।
সাঁতারের আগে কী ব্যবহার করতে হবে
বিষয়টি এমন নয় যে সাঁতার এবং সুস্থ ত্বকের মধ্যে আপনাকে যেকোনো
একটি বেছে নিতে হবে। সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে আপনার রুটিনে কিছু কোমল উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। ত্বক বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ হিসেবে যে উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো—
সাঁতার শেষে করণীয়
সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে ওঠার পর সাধারণ পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিয়ে প্রথমে একটি ক্রিম-বেজড এবং পরে একটি অয়েল-বেজড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো সাঁতারের আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এতে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।
সূত্র: ওমেনস হেলথ ম্যাগ

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈ
২৫ অক্টোবর ২০২৩
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি...
২ মিনিট আগে
নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
২ ঘণ্টা আগে
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
সূত্র: বাজফিড

নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
সূত্র: বাজফিড

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈ
২৫ অক্টোবর ২০২৩
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি...
২ মিনিট আগে
সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়।
১ ঘণ্টা আগে
খাবারের জন্য থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

পুরো থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য কোনো না কোনোভাবে সেজে থাকে। এই যেমন ফুকেটের কথা বলি। খাবারের জন্য দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের সুনাম থাকলেও ফুকেট সবকিছু ছাপিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে নিয়েছে বহু বছর আগে। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের সমারোহ। এ জন্য শহরটি ইউনেসকো থেকে ‘সিটি অব গ্যাস্ট্রোনমি’র স্বীকৃতি পেয়েছে। চায়নিজ-পেরানাকান, মুসলিম, দক্ষিণ থাই এবং ভারতীয় খাবার পাওয়া যায় এখানে। হক্কিয়েন নুডলস, প্যান্ডান চিকেন কারি, চা-চাক, ডিম সাম ও স্থানীয় স্ট্রিট ফুড—সবই যেন স্বাদে অনন্য।
ফুকেটে সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। এর বিশেষত্ব হলো, চাইলে এসব খাবার কম বা বেশি ঝাল দিয়ে নিজের মতো করে খাওয়া যায়।

সকালের স্থানীয় খাবার
ফুকেটের সকালের শুরুটা করতে পারেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মন সম্প্রদায়ের তৈরি নুডলস দিয়ে। এটি সাধারণ নুডলসের মতো নয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই নুডলস থাই পরিবারগুলো সাধারণত বড় টেবিলে বসে একসঙ্গে খায়। নুডলসের সঙ্গে থাকে তরকারি। সবাই নিজের মতো করে তরকারির সঙ্গে নুডলস মিশিয়ে নেয়। কেউ একটু বেশি ঝাল পছন্দ করে, কেউ হালকা। ব্যাংককের লোকেরা এটাকে কানোম জিন নামইয়া বলে ডাকে। এ ছাড়া এই নুডলসের আরও একটি বিশেষ রেসিপি আছে। তাকে বলা হয় কাং ক্রাটি। এটি নারকেলের দুধে তৈরি ক্রিমি তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে সবজি, সরিষাপাতার আচার, থাই বেসিল ও শুকনা সারডিন।
ঠান্ডা পানীয়
ফুকেটের জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় চা-চাক। ভাবতে পারেন, চা আবার ঠান্ডা হয় কীভাবে! সেখানকার শ্রমিকেরা চিনি ছাড়া চা খেতে পারতেন না। তাই চায়ের তেতো স্বাদ কমানোর জন্য গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হতো। সেখান থেকে আজকের চা-চাক। এখন এটি হয় ক্রিমি ও মিষ্টি। অনেকটা ক্যারামেলের মতো স্বাদ এর। এতে সাধারণত বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয়। তাই গরমের দিন এটির বেশ চাহিদা থাকে।

হক্কিয়েন নুডলস
ফুকেটের চুই-চুই নুডলস চীনের জনপ্রিয় খাবার। তবে চীনের মূল রেসিপি থেকে ফুকেটের রেসিপিতে পরিবর্তন রয়েছে। এখানকার চায়নিজ সম্প্রদায় এই নুডলস সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করে। ছোট ছোট শামুক, ডিমের কুসুম, শুকনা পেঁয়াজ, সবুজ সবজি ও কালো মরিচ দিয়ে এই নুডলস রান্না করা হয়। এর সঙ্গে চুলায় রান্নার কারণে নুডলসে যোগ হয় ধোঁয়াটে স্বাদ। ফলে এই স্মোকি নুডলস হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।
মিষ্টি ও ডেজার্ট
ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি অনেকের আকর্ষণ থাকে। ফুকেটে গেলে ওহ আউ খেয়ে দেখতে পারেন। এটি মূলত ঠান্ডা জেলিজাতীয় মিষ্টি। পাকা কলা, রেড বিন ও সামান্য চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ওপরে দেওয়া হয় বরফের কুচি। এই খাবার ফুকেটের সংস্কৃতির অংশ। সেখানকার বিভিন্ন দোকানে এটি পাওয়া যায় খুব সহজে; বিশেষ করে গরমের সময় এটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঝাল ও টক স্বাদের স্যুপ
ফুকেটের বিশেষ স্যুপ তোম সোম প্লা। এটি তৈরি হয় কলাগাছের আঁশসমৃদ্ধ নরম কাণ্ড ব্যবহার করে। এটি স্যুপে যোগ করে হালকা মিষ্টি ও টক স্বাদ। এ স্যুপে থাকে কাজুবাদাম, সুইট গ্রুপার মাছ, বিভিন্ন স্থানীয় সবজি ও তেঁতুল। এটি প্রথম চুমুকে আপনাকে সতেজ করে তুলবে। ফুকেটে সকালের বা মধ্যাহ্নভোজের জন্য এটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান
খাবারের জন্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন বাহারি ভেজিটেরিয়ান ও ভেগান খাবারের সমাহার চোখে পড়ে। ফুকেটেও এ ধরনের খাবারের অভাব নেই। অনেক রেস্টুরেন্টে নারকেলের স্যুপ, টফু ও সবজি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। হক্কিয়েন নুডলসও ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়।
থাইল্যান্ডে যাঁরা দ্বীপ ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের অন্যতম গন্তব্য এই ফুকেট। পাশাপাশি বাহারি খাবারের জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই ভোজনরসিক পর্যটকেরা এখানে একের মধ্যে দুই আনন্দ উপভোগ করেন।
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

প্রতিবছরের ২৫ অক্টোবর বিশ্ব পাস্তা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। যাঁরা পাস্তা খেতে ভালোবাসেন, দিনটি তাঁদের জন্যই। অনেকের মতে, বিখ্য়াত পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো চীন থেকে ইতালিতে পাস্তা নিয়ে আসেন। তবে ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকে মানুষ পাস্তা খাওয়া শুরু করে। ময়দা, পানি ও ডিম দিয়ে তৈ
২৫ অক্টোবর ২০২৩
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন তিন পদের রেসিপি...
২ মিনিট আগে
সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়।
১ ঘণ্টা আগে
নতুন রাঁধুনিদের রান্নার সময় প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। সহজ কিছু টিপস জানা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
২ ঘণ্টা আগে