রজত কান্তি রায়, ঢাকা
রীতা ফারিয়াকে মনে থাকার কথা নয় এ প্রজন্মের অনেকের। কিন্তু ঐশ্বরিয়া রাই কিংবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াদের মনে আছে সবার। প্রায় ৭৩ বছর আগে ১৯৫১ সালে পৃথিবীতে প্রথম যে ‘আধুনিক’ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল, তার নাম মিস ওয়ার্ল্ড। রীতা-ঐশ্বরিয়া-প্রিয়াঙ্কারা ছিলেন সেই আসরের বিভিন্ন সময়ের বিজয়ী।
১৯৫২ সালে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা। ১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেন সে প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন সেরার মুকুট। আমরা মনে রেখেছি তাঁকে। কিংবা তারপরেও যাঁরা এ প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন, সেই লারা দত্ত বা হালের হারনাজ সান্ধুকেও আমরা মনে রেখেছি।
সেসব নাম আমাদের মনের ভেতর কোথাও আফসোস তৈরি করেছিল—ইশ্, বাংলাদেশের কেউ যদি পেত বিশ্বসুন্দরীর খেতাব! সেই আফসোস ঘুচবে কি না জানি না। কিন্তু এমনই এক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সংবাদ আমাদের আনন্দিত করছে।
এ বছর শুরু হয়েছে মিস কসমো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়েছেন খুলনার মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। ৫ অক্টোবর এর চূড়ান্ত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির ফু থো ইনডোর স্টেডিয়ামে। সে স্টেডিয়ামের র্যাম্পে হাঁটবেন ৫৫টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের অনন্যা। মিস কসমো সংগঠন ঘোষণা করেছে, সাবেক মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০১৬, কাইলি ভারজোসা এর গ্র্যান্ড ফিনালে উপস্থাপনা করবেন।
মিস কসমো প্রতিযোগিতাটি নারীদের জন্য শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, তাদের অধিকার এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি মঞ্চ। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম, যা নারীদের মেধা, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সামাজিক সচেতনতা প্রদর্শন করার সুযোগ দেবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নারী শুধু তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন না, তিনি বৈশ্বিক ইস্যুগুলোর প্রতিও মনোযোগ দেবেন এবং বিভিন্ন দাতব্যকাজে অংশ নেবেন।
ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা যে একাই বিশ্বমঞ্চে গেছেন, বিষয়টি সে রকম নয়। এর সঙ্গে দেশের পোশাক, সংস্কৃতিসহ আরও অনেক কিছু গেছে ভিয়েতনামে। অনন্যার জন্য পোশাকের ডিজাইন করেছেন ফারদিন বায়েজিদ। এ পোশাকের থিম ছিল বসন্ত। পোশাকটি কিছুটা লেহেঙ্গার মতো হলেও একটি ফুল। এর সঙ্গে যে ব্লাউজ আছে, সেটি তৈরি বলাকা সিল্ক দিয়ে। তার ওপর করা হয়েছে যশোর জেলায় প্রচলিত সূচিকর্মের কারুকাজ। বসন্ত বলেই এর নকশার রঙে লালের আধিক্য আছে। সঙ্গে আছে সবুজ। এই লাল আর সবুজ একই সঙ্গে বসন্ত আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে জানিয়েছেন ফারদিন। এর সঙ্গে যে কেভ আছে, সেটি সিল্কের তৈরি। তাতে স্ক্রিনপ্রিন্টে আছে ট্রাইবাল আর্ট।
এ পোশাকের কোমর থেকে নিচের যে মূল অংশ, সেটি তৈরি করা হয়েছে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি কেটে। ফারদিন জানিয়েছেন, এই অংশ তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ৯টি টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি। পোশাকটির পাশের যে স্বচ্ছ অংশ, তা তৈরি করা হয়েছে অরগাঞ্জা ফ্যাব্রিকস দিয়ে। তার ওপরে প্রিন্ট করা হয়েছে বসন্তের ফুল আর একটি কোকিল পাখি।
ফারদিন জানিয়েছেন, তাঁর কাজ ছিল—বাংলাদেশের যেকোনো একটি উৎসব বেছে নিতে হবে পোশাকের থিম হিসেবে। তিনি বেছে নিয়েছিলেন বসন্ত উৎসব। এবার আমাদের অপেক্ষার পালা, বসন্তের উৎসব শরতে আরও রঙিন হয় কি না।
রীতা ফারিয়াকে মনে থাকার কথা নয় এ প্রজন্মের অনেকের। কিন্তু ঐশ্বরিয়া রাই কিংবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াদের মনে আছে সবার। প্রায় ৭৩ বছর আগে ১৯৫১ সালে পৃথিবীতে প্রথম যে ‘আধুনিক’ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল, তার নাম মিস ওয়ার্ল্ড। রীতা-ঐশ্বরিয়া-প্রিয়াঙ্কারা ছিলেন সেই আসরের বিভিন্ন সময়ের বিজয়ী।
১৯৫২ সালে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা। ১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেন সে প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন সেরার মুকুট। আমরা মনে রেখেছি তাঁকে। কিংবা তারপরেও যাঁরা এ প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন, সেই লারা দত্ত বা হালের হারনাজ সান্ধুকেও আমরা মনে রেখেছি।
সেসব নাম আমাদের মনের ভেতর কোথাও আফসোস তৈরি করেছিল—ইশ্, বাংলাদেশের কেউ যদি পেত বিশ্বসুন্দরীর খেতাব! সেই আফসোস ঘুচবে কি না জানি না। কিন্তু এমনই এক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সংবাদ আমাদের আনন্দিত করছে।
এ বছর শুরু হয়েছে মিস কসমো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়েছেন খুলনার মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। ৫ অক্টোবর এর চূড়ান্ত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির ফু থো ইনডোর স্টেডিয়ামে। সে স্টেডিয়ামের র্যাম্পে হাঁটবেন ৫৫টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশের অনন্যা। মিস কসমো সংগঠন ঘোষণা করেছে, সাবেক মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০১৬, কাইলি ভারজোসা এর গ্র্যান্ড ফিনালে উপস্থাপনা করবেন।
মিস কসমো প্রতিযোগিতাটি নারীদের জন্য শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়; এটি নারীর ক্ষমতায়ন, তাদের অধিকার এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি মঞ্চ। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম, যা নারীদের মেধা, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সামাজিক সচেতনতা প্রদর্শন করার সুযোগ দেবে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নারী শুধু তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন না, তিনি বৈশ্বিক ইস্যুগুলোর প্রতিও মনোযোগ দেবেন এবং বিভিন্ন দাতব্যকাজে অংশ নেবেন।
ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা যে একাই বিশ্বমঞ্চে গেছেন, বিষয়টি সে রকম নয়। এর সঙ্গে দেশের পোশাক, সংস্কৃতিসহ আরও অনেক কিছু গেছে ভিয়েতনামে। অনন্যার জন্য পোশাকের ডিজাইন করেছেন ফারদিন বায়েজিদ। এ পোশাকের থিম ছিল বসন্ত। পোশাকটি কিছুটা লেহেঙ্গার মতো হলেও একটি ফুল। এর সঙ্গে যে ব্লাউজ আছে, সেটি তৈরি বলাকা সিল্ক দিয়ে। তার ওপর করা হয়েছে যশোর জেলায় প্রচলিত সূচিকর্মের কারুকাজ। বসন্ত বলেই এর নকশার রঙে লালের আধিক্য আছে। সঙ্গে আছে সবুজ। এই লাল আর সবুজ একই সঙ্গে বসন্ত আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে জানিয়েছেন ফারদিন। এর সঙ্গে যে কেভ আছে, সেটি সিল্কের তৈরি। তাতে স্ক্রিনপ্রিন্টে আছে ট্রাইবাল আর্ট।
এ পোশাকের কোমর থেকে নিচের যে মূল অংশ, সেটি তৈরি করা হয়েছে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি কেটে। ফারদিন জানিয়েছেন, এই অংশ তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ৯টি টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি। পোশাকটির পাশের যে স্বচ্ছ অংশ, তা তৈরি করা হয়েছে অরগাঞ্জা ফ্যাব্রিকস দিয়ে। তার ওপরে প্রিন্ট করা হয়েছে বসন্তের ফুল আর একটি কোকিল পাখি।
ফারদিন জানিয়েছেন, তাঁর কাজ ছিল—বাংলাদেশের যেকোনো একটি উৎসব বেছে নিতে হবে পোশাকের থিম হিসেবে। তিনি বেছে নিয়েছিলেন বসন্ত উৎসব। এবার আমাদের অপেক্ষার পালা, বসন্তের উৎসব শরতে আরও রঙিন হয় কি না।
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
২ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
২ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
২ দিন আগেচীনা নববর্ষের ইতিহাস ৩ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। এটি শুরু হয়েছিল চীনের প্রাচীন কৃষি ভিত্তিক সমাজে। দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের সম্মান, ভালো ফসলের প্রার্থনা এবং মন্দ আত্মা তাড়ানোর সামাজিক প্রথা থেকে এ উৎসবের সূচনা হয়েছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলা এ উৎসবের মূলে থাকে পরিবার।
২ দিন আগে