ফিচার ডেস্ক
মশার কামড় খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাদের ঘুমটা ভাঙেনি—এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। গরমের দিনে সন্ধ্যা নামতেই মশার ঝাঁক যেন হানা দেয়। ঘরে-বাইরে, পার্কে কিংবা বারবিকিউ পার্টিতে মনে হয়, পুরো মহল্লার সব মশা শুধু আপনাকেই খুঁজছে। এমন মনে হয় না যে পাশে বসা বন্ধুটি নিশ্চিন্তে গল্প করছে আর আপনি চুলকাতে চুলকাতে পাগল হয়ে যাচ্ছেন? মনে তো তখন অবশ্যই প্রশ্ন জাগে, কেন মশা আপনাকে এত কামড় দেয়? কেন বারবার আপনিই মশার বুফেতে পরিণত হন, জানেন কি?
চলুন, খুঁজে বের করি, আপনার প্রতি মশার অগাধ এই ভালোবাসার রহস্য।
কেন আপনি মশার কাছে সুস্বাদু
যেমন আমাদের কারও ভাজাপোড়া পছন্দ, কারও মিষ্টি—তেমনই মশারও খাওয়ার পছন্দ আছে। হাজার হোক, সেও তো একটি প্রাণই। তাকেও তো খেয়ে বাঁচতে হবে, নাকি? মানবজাতির প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার কাছে স্পেশাল ডেলিকেসি। দুর্ভাগ্যবশত, হয়তো আপনিও সেই লিস্টেই পড়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, মশা আপনার কোন কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষিত হয়ে আপনাকে কামড় দেয়।
ঘাম: আপনি যত বেশি ঘামবেন, মশার কাছে তত বেশি আকর্ষণীয় হবেন। কারণ, আপনার ঘামে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড আর অ্যামোনিয়া; যা মশার কাছে একেবারে লাচ্ছি-ফালুদার মতো প্রিয়! ব্যায়াম করার পর বা গরমে ঘেমে গেলে আপনার রক্ত ত্বকের কাছে চলে আসে। মশার কাছে তখন আপনি একেবারে বাফেট ডিনার!
জিন: ভাগ্য খারাপ হলে জিনগতভাবেই আপনি মশার কাছে অপ্রতিরোধ্য! মানে আপনার দোষ নেই, জেনেটিক কারণেই আপনি মশার কাছে অমৃত খাবার।
কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার: মশার আছে প্রাকৃতিক কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার। আপনি যত বেশি শ্বাস ছাড়বেন, ততই মশা ‘হটস্পট’ লোকেট করে উড়ে আসবে। তাই দৌড়ানো বা জোরে হাঁটার পর মনে হয় যেন মশার ‘বুকিং অফিস’ হয়ে গেলেন!
রক্তের গ্রুপ: মশা ‘ও’ গ্রুপের রক্তকে অন্য যেকোনো গ্রুপের চেয়ে বেশি পছন্দ করে। যদি আপনি ‘ও’ গ্রুপের হন, তবে অভিনন্দন, আপনি মশার ফেবারিট!
গর্ভবতী নারীরা মশার প্রিয়
পুরুষ মশা নিরামিষভোজী হলেও স্ত্রী মশা রক্ত খোঁজে; কারণ, তাদের ডিম উৎপাদনের জন্য প্রোটিন দরকার। অর্থাৎ মশা শুধু রক্তই খায় না, ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনও চায়। হবু মায়েরা স্ত্রী মশার ডিম উৎপাদনে সাহায্য করে ফেলেন। গর্ভবতী নারীরা যেহেতু বেশি গরম অনুভব করেন আর বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়েন, তাই মশার কাছে তাঁরা আকর্ষণীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা অ-গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি মশার কামড় খান।
পোশাকেও বিপদ
মশা গাঢ় রং খুব ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারে। এই রং আর চলাফেরা মিলিয়ে মশা তার সহজ শিকার নির্ধারণ করে। কালো, লাল, নেভি—এসব গাঢ় রঙের পোশাক পরলে মশা আপনাকে সহজে টার্গেট করতে পারে। তাই গরমের দিনে সাদা, খাকি বা হালকা রং বেছে নিন। অন্য দিকে সাদা, বেইজ আর খাকি কিছুটা ক্যামোফ্লেজ দিতে পারে। ২০১০ সালে থাইল্যান্ডে নারীদের কালো লেগিংস পরা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল ডেঙ্গুর ঝুঁকির কারণে।
ভুল ভাঙুন, ভাঙা যাক
অনেকে বলেন, রসুন খেলে নাকি মশা দূরে থাকে। তাঁদের জন্য বলে রাখি, রসুন খাওয়ার সঙ্গে মশার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই রসুন খেলে মশা কামড়াবে না—এমন ধারণা থাকাটা ভুল। শুধু তাই নয়, অনেকে ভাবেন, ভিটামিন বি১২ খেলে মশা কামড়ায় না; এটাও আসলে একটি মিথ।
অ্যালার্জির কাহিনি
কিছু মানুষ সত্যিই মশার কামড়ে ভোগেন। তবে এর মানে এই নয় যে তাঁরা বেশি কামড় খান। আসলে তাঁরা কামড়ে বেশি সংবেদনশীল। যখন মশা কামড়ায়, তখন শরীর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। শরীরে ভীষণ লাল গোটা ওঠে। এটা নির্ভর করে কে কতটা হিস্টামিন ছাড়ে, তার ওপর। ফলে ফোসকা ও চুলকানি হয়। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি হিস্টামিন ছাড়ে।
করণীয় কী
–হালকা রঙের পোশাক পরুন
–রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন
–বিয়ার এড়িয়ে চলুন
–ঠান্ডা থাকুন আর কম ঘামুন
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
মশার কামড় খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাদের ঘুমটা ভাঙেনি—এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। গরমের দিনে সন্ধ্যা নামতেই মশার ঝাঁক যেন হানা দেয়। ঘরে-বাইরে, পার্কে কিংবা বারবিকিউ পার্টিতে মনে হয়, পুরো মহল্লার সব মশা শুধু আপনাকেই খুঁজছে। এমন মনে হয় না যে পাশে বসা বন্ধুটি নিশ্চিন্তে গল্প করছে আর আপনি চুলকাতে চুলকাতে পাগল হয়ে যাচ্ছেন? মনে তো তখন অবশ্যই প্রশ্ন জাগে, কেন মশা আপনাকে এত কামড় দেয়? কেন বারবার আপনিই মশার বুফেতে পরিণত হন, জানেন কি?
চলুন, খুঁজে বের করি, আপনার প্রতি মশার অগাধ এই ভালোবাসার রহস্য।
কেন আপনি মশার কাছে সুস্বাদু
যেমন আমাদের কারও ভাজাপোড়া পছন্দ, কারও মিষ্টি—তেমনই মশারও খাওয়ার পছন্দ আছে। হাজার হোক, সেও তো একটি প্রাণই। তাকেও তো খেয়ে বাঁচতে হবে, নাকি? মানবজাতির প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার কাছে স্পেশাল ডেলিকেসি। দুর্ভাগ্যবশত, হয়তো আপনিও সেই লিস্টেই পড়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, মশা আপনার কোন কোন জিনিসের প্রতি আকর্ষিত হয়ে আপনাকে কামড় দেয়।
ঘাম: আপনি যত বেশি ঘামবেন, মশার কাছে তত বেশি আকর্ষণীয় হবেন। কারণ, আপনার ঘামে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড আর অ্যামোনিয়া; যা মশার কাছে একেবারে লাচ্ছি-ফালুদার মতো প্রিয়! ব্যায়াম করার পর বা গরমে ঘেমে গেলে আপনার রক্ত ত্বকের কাছে চলে আসে। মশার কাছে তখন আপনি একেবারে বাফেট ডিনার!
জিন: ভাগ্য খারাপ হলে জিনগতভাবেই আপনি মশার কাছে অপ্রতিরোধ্য! মানে আপনার দোষ নেই, জেনেটিক কারণেই আপনি মশার কাছে অমৃত খাবার।
কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার: মশার আছে প্রাকৃতিক কার্বন ডাই-অক্সাইড রাডার। আপনি যত বেশি শ্বাস ছাড়বেন, ততই মশা ‘হটস্পট’ লোকেট করে উড়ে আসবে। তাই দৌড়ানো বা জোরে হাঁটার পর মনে হয় যেন মশার ‘বুকিং অফিস’ হয়ে গেলেন!
রক্তের গ্রুপ: মশা ‘ও’ গ্রুপের রক্তকে অন্য যেকোনো গ্রুপের চেয়ে বেশি পছন্দ করে। যদি আপনি ‘ও’ গ্রুপের হন, তবে অভিনন্দন, আপনি মশার ফেবারিট!
গর্ভবতী নারীরা মশার প্রিয়
পুরুষ মশা নিরামিষভোজী হলেও স্ত্রী মশা রক্ত খোঁজে; কারণ, তাদের ডিম উৎপাদনের জন্য প্রোটিন দরকার। অর্থাৎ মশা শুধু রক্তই খায় না, ডিম পাড়ার জন্য প্রোটিনও চায়। হবু মায়েরা স্ত্রী মশার ডিম উৎপাদনে সাহায্য করে ফেলেন। গর্ভবতী নারীরা যেহেতু বেশি গরম অনুভব করেন আর বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়েন, তাই মশার কাছে তাঁরা আকর্ষণীয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীরা অ-গর্ভবতী নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি মশার কামড় খান।
পোশাকেও বিপদ
মশা গাঢ় রং খুব ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারে। এই রং আর চলাফেরা মিলিয়ে মশা তার সহজ শিকার নির্ধারণ করে। কালো, লাল, নেভি—এসব গাঢ় রঙের পোশাক পরলে মশা আপনাকে সহজে টার্গেট করতে পারে। তাই গরমের দিনে সাদা, খাকি বা হালকা রং বেছে নিন। অন্য দিকে সাদা, বেইজ আর খাকি কিছুটা ক্যামোফ্লেজ দিতে পারে। ২০১০ সালে থাইল্যান্ডে নারীদের কালো লেগিংস পরা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল ডেঙ্গুর ঝুঁকির কারণে।
ভুল ভাঙুন, ভাঙা যাক
অনেকে বলেন, রসুন খেলে নাকি মশা দূরে থাকে। তাঁদের জন্য বলে রাখি, রসুন খাওয়ার সঙ্গে মশার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই রসুন খেলে মশা কামড়াবে না—এমন ধারণা থাকাটা ভুল। শুধু তাই নয়, অনেকে ভাবেন, ভিটামিন বি১২ খেলে মশা কামড়ায় না; এটাও আসলে একটি মিথ।
অ্যালার্জির কাহিনি
কিছু মানুষ সত্যিই মশার কামড়ে ভোগেন। তবে এর মানে এই নয় যে তাঁরা বেশি কামড় খান। আসলে তাঁরা কামড়ে বেশি সংবেদনশীল। যখন মশা কামড়ায়, তখন শরীর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখায়। শরীরে ভীষণ লাল গোটা ওঠে। এটা নির্ভর করে কে কতটা হিস্টামিন ছাড়ে, তার ওপর। ফলে ফোসকা ও চুলকানি হয়। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি হিস্টামিন ছাড়ে।
করণীয় কী
–হালকা রঙের পোশাক পরুন
–রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন
–বিয়ার এড়িয়ে চলুন
–ঠান্ডা থাকুন আর কম ঘামুন
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
২ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১১ ঘণ্টা আগেবিকেল বেলা ছাদে ফুরফুরে হাওয়া খেতে যাচ্ছেন? খালি হাতে যাবেন নাকি? সঙ্গে জিবে জল আনা টক-ঝাল-মিষ্টি কিছু নেবেন না? এখন পেয়ারার মৌসুম। এক বাটি মসলামাখা পেয়ারা সঙ্গে নিয়ে ছাদে বসে খান। গল্পও জমবে, সময়টাও ভালো কাটবে। আপনাদের জন্য টক-ঝাল-মিষ্টি পেয়ারা মাখার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক
১৯ ঘণ্টা আগে